রেসিপিঃ বিফ তেহারী [ইন রাইস কুকার!]
আনাড়ি হোন আর সুপার-কুক, ঝটপট নিমেষেই রান্নায় সহজে তেহারীইইইইই! তাও আবার যে সে তেহারী না! সরিষা তেলে বিফ তেহারী!
উপকরনঃ
এর মাঝে পেতে একটু ঝামেলা হতে পারে মাত্র দুইটা জিনিষ কিন্তু সেইগুলা দেয়া মাস্ট! [* চিহ্নিত]
চাল – ৫ কাপ, তাহলে একই কাপে ৭ কাপ পানি, চাল পানিতে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে আগে।
মাংস – ৬০০ গ্রাম+ [যত বেশী তত মজা]
এলাচ + দারচিনি – আন্দাজ মতো!
টক দই – ৩০০ মিলিলিটার, মাংস সুন্দর ভাবে মাখাতে যতোটুকু দরকার মনে হয়।
আদা + রসুন বাটা – ১ চা চামচ করে
পিয়াজ কুঁচি – এক কাপ
সরষের তেল – আধা কাপ
গরম মশলা গুড়া – আন্দাজ মতো
শুকনা মরিচ গুড়া – ইচ্ছামতো
লবণ – যেটুকু খেতে চান
কেওড়ার পানি – তিন চার ফোঁটা *
শাহী জিরা – দুই চা চামচ *
এইবার চলেন ঝাঁপায় পড়ি রান্নাবান্নায়!
১। প্রথমে অন্য আরেক বাটিতে মাংস নিয়ে তাতে আদা-রসুন বাটা, টক দই, শুকনা মরিচ গুড়া, কাঁচা মরিচ, লবণ সব একসাথে মাখিয়ে ছ্যাড়াব্যাড়া করে ফেলুন। সেই ম্যারিনেটেড মাংস ঢেকে ঢুকে চুপিচুপি রেখে দিতে হবে ২/৩ ঘণ্টা।
২। এখন রাইস কুকারে সরষের তেল দিয়ে তাতে পিয়াজ + দারুচিনি + এলাচ দিয়ে তিন মিনিট কুকার অন করে বসে থাকুন। খবরদার! এই তিন মিনিট কোনোরকম নড়াচড়া করবেন না!
৩। তিন মিনিট পরে মাখানো মাংস গোপন জায়গা থেকে বের করে এনে কুকারে দিয়ে দিন। ঢাকনা বন্ধ কইরা রাখেন পনেরো মিনিট, ইনাফ সময় তাও যদি মনে হয় কম হইসে তাহলে রাইখেন আরও কয়েক মিনিট!
৪। মাংস সিদ্ধ হয়ে তেল উঠে যাবে, এরপরে আগে থেকে ভেজানো চাল দিয়ে দিন কুকারে আর সাথে পরিমাণ মতো পানি। কয়েক ফোঁটা কেওড়ার পানি আর শাহী জিরা ছড়িয়ে দিন উপরে। কেওড়ার পানি আবার বেশী দিয়েন না যদিনা তিতকুটে তেহারী খাবার মনোবাঞ্ছা হয়। বন্ধ করুন ঢাকনা। অপেক্ষা করুন। রান্না শেষ হলে আপনা আপনি কুকার বন্ধ হয়ে যাবে।
খাবার আগ পর্যন্ত গরম রাখতে কুকার প্লাগড ইন রাখুন, ওয়ার্ম বাটনটাও জ্বলে থাকুক হলুদ আলো!
ইচ্ছা করলে এর মাঝে মটরশুঁটি দিতে পারেন, বা সিমের বিচি। সেটা মাংসের সাথে দিয়ে দিলেই চলবে। আর বিফ তেহারিটার বিশেষত্ব হলো তেল কম লাগাতে এই ভারী খাবারটা খেয়েও বেশ দ্রুতই নড়াচড়া করা যায়! যদি বাড়িতে থাকে নিকোবিনার নাগা মরিচ স্পেশাল তাহলে তো কথাই নাই, নাহলে ঝটপট বানিয়ে ফেলুন শসা-টমেটোর সালাদ। তেহারীর সাথে জমবে ভালো!
বোনাস রেসিপিঃ তেহারীর সাথে ডিরিংক্স!
আমদই শরবত!
উপকরণ
কাঁচা/পাকা আম - ৪টা
টক দই - আধ লিটার
কাঁচা মরিচ - ৮-১০টা
গোল মরিচ গুঁড়ো -১ টেবিল চামচ
ধনে পাতা - আন্দাজ মতো
বিট লবন - আন্দাজ মতো
চিনি - ইচ্ছেমতো
বরফকুঁচি
প্রণালি
সবকিছু একসাথে করে ব্লেন্ডারে দিন ঘুটা!
*** যেহেতু পাতিল থেকে পেটে গেছে সেহেতু নো পিচকার অ্যাভেইলেবল!
সব কিছু পইড়্যা মনে হইলো মোটেও স্বাদের হইবো না।
তেহারী-নেহারী কিছুই হইবো না এইড্যা ।
োনও সমস্যা নাই! যদি মনে না হয় তাইলে রাইন্ধেন না! প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল!
চুল দিতে হবে কখন?
চুলটা ভাই আপনি আন্দাজমতো রাইস কুকার থেকে নামিয়ে পরিবেশনের আগে খাবারের মাঝে মিলিয়ে দিবেন। এইটাও বলে দিতে হবে? আপনি কি কিছুই পারেন না?
মাসুম্ভাই, চুলটা হইলো লবনের মতো, আপ্নে নিজের পছন্দ মতো পরিমানে দিতে পারেন। এখন আপ্নে সুসিদ্ধ চুলের স্বাদ নিতে চাইলে মাংসটা দেয়ার টাইমেই চুল ফেলে দিতে পারেন আবার নামাবার আগে আগেও বাগার টাইপের করে চুলের ফোড়ন দিতে পারেন এমন কি ড্রেসিং এর মতো করে সার্ভিং ডিসেও ছড়িয়ে দিতে পারে ক'খানা চুল!!
এতো বড় চুল আমি কই পাবো। খাবারে তো কখনো ছোট চুল দেখা যায় না। জিগাইলাম তোমরা কখন দাও?
তাইলে আপ্নের একটা ফটুক দেন আপ্নারেই দেখি।
ছিঃ ছিঃ আপ্নে কী খারাপ! আমার বুঝি লইজ্যা করে না?
না মানে আমি ভাবলাম তেহারী যেহেতু পেটে গেছে আপ্নেরে দেইখা ঘোলের সাধ পানিতে মিটাই
পনি মুনয় লুক ভালুনা!
আফা আমারে আপনার লুক খারাপ মনে হইলেও আমি কিন্তু আপ্নেরে ভালু পাই।
আপ্নের পিচ্চি ফটুকটা দেইখা মনে হইলো আপ্নের সাথে বুঝি দেখা হইছিলো। আপ্নে কি তাতা'পুর কলাবাগানের বাসায় আসছিলেন?
আসছিলোতো
আমরা কিন্তু যাই নাই তাতাপু। আমরারে পর করে দিলেন?
হ, এমন করতে পারলো তাতাপু?
যারা আপন ভাবছিলো তারা নিজেরাই আসছিল, দাওয়াত দেই নাই কাউরে
হদাইয়েস! তোমারে এত্তোগুলা ভালুবাসা!
ইশশ ! আমার বুয়াটা যদি এরকম রান্না করতে পারতো ! আচ্ছা আলুর ভর্তা আর ডালের খুব ভালো রেসিপি দিতে পারেন ? আমার বুয়াটারে একটু রান্না শেখাতাম ! ভালো করে যদি ডাল আলুভর্তা রান্না করতে পারতো , তাইলে আফসুস ছিলোনা !
আমি আবার এনসাইন্ট পদ্ধতিতে হাত নেড়ে নেড়ে রান্না না করে পারিনা। রাইস কুকারে তেহারী??? তাও দই দিয়ে? রেসিপি কি তোর নিজের আবিস্কার?
আমার নিজের আবিষ্কার আ তাতাপু। কোনও এক অনুষ্ঠানে দেখা আর স্লাইটলি ইম্প্রোভাইজ করা! রেঁধে দেখো। অনেক মজা হয়! সত্যিই!
আমি গরুর মাংসে মরিচ গুড়া মেশাই না, এতে তেহারীও সাদাটে থাকে।
কাঁচা মরিচ দিতে ভুলে গেছেন।
হু। কাঁচা মরিচ দেইনি গুঁড়া মরিচ দেয়া হয়েছে বলে। দিতে পারেন। গন্ধটা ভালোলাগে!
একদিন রাইন্ধা খাওয়াও
সময় সুযোগ পেলে অবশ্যই!
সময় সুযোগ আপনিই তৈরি করে নিন, আমরা তো আছি ই
ইয়ে মানে.।.।.।
এত কষ্ট করে রানতে পারুম না। কবে খাওয়াইবা বলো, হাজির হমু সময়মতো।
আচ্ছা, পরীক্ষাটা শেষ করি আগে!
লাইক কর্লাম
হুম!
হুম!
এই তিনফোঁটা পানি আর দুইচামচ জিরার কারনে তেহারী খাওয়া হবে না।
এটা মেনে নেয়া যায় না।
গুড! বানায় ফেলেন, কী আছে জেবনে!
কেওড়ার পানি...চিনলাম না।
রেসিপি পছন্দ হয়েছে, আপনার মতো করে আগামীবার রানবো।
আচ্ছা, জানাবেন কেমন হলো!
কালিজিড়া চাল ভিজিয়ে রাখলে তেহারী আর খেতে হবে না, পায়েস খেতে হবে। বাসমতি ভিজিয়ে রাখা যায় চাল নরম করার জন্য।
আগের রাত থেকে ভিজিয়ে রাখার কথা কি বলেছি? আপনি যখন প্রিপারেশন নিবেন রান্নার, তখন চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখবেন। সেটা রাইস কুকারে রান্নার সময় বাঁচায় আর চাল আধসিদ্ধও থেকে যায় না!
ঠিকাছে
কেওড়া জল দিলে তেহারী বেশী খেতে পারবেন না। বাসায় ঘরোয়া ভাবে খাবার জন্য এই দুই * মার্ক না হলেও চলে। যখন অতিথিদের নিজের রন্ধন প্রতিভা দেখাতে হয় তখন অনেক কিছুই লাগে । আমি আবার স্পেশাল রাধুনী তাই স্পেসিয়াল কিছুই লাগেনা।
তা, স্পেশাল রাধুনী'র রান্না খেতে কবে আসবো?
এটা নিয়ে আসলে তর্ক করারও কিছু নেই। আপনার দিতে ইচ্ছে না হলে দিবেন না।
কালকা টেরাই নিমু বাসায় ।
ভালো না হইলে আপনার খপর আছে
ভালো না হইলে এইখানে আইসা বলতে লইজ্যা লাগবোনা?
সাবধান সবাই।
দিশা দীর্ঘদিন এবিতে ঢুকতে পারে নাই। সবাইরে উল্টাপাল্টা খাওয়াইয়া সেই প্রতিশোধ নিতাছে কিন্তু।
মাসুম্ভাই! ঠিক হচ্ছে ব্যাপারটা? (
জনস্বার্থে সাবধান করা দায়িত্বের মধ্যে পরে ডিয়ার
তোমার কাছে জানি আমার কয়টা খাওয়া পাওনা আছে?
মন্তব্য করুন