'ইমপসিবলের চেয়েও অধিক ইমপসিবল হলো আনইমপসিবল'
যেমন আমি লিখতাম বা লিখতে পারতাম আজ সকালের নৈয়মিক দিনাচার নিয়ে। দুটি বালিকা সামনের সিটে বসে বিস্তর বকবক করেই যাচ্ছিলো। টুইটারের মনযোগ থেকে বাধ্য হলাম তাদের খুনসুটি শুনতে। সাধারণত সহযাত্রীদের কানের দূরত্ব মেপে চাপা গলায় যেমন মানুষ ফিসফিস করে - সেসব নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে আগেই। মাইক্রোবাস ভর্তি মানুষ এখন মনযোগী অডিয়েন্স।
একজন বললো, মা'কে দারোয়ান বানিয়ে রেখেছি সাড়ে ৬টা থেকে। গাড়ী আসলেই যেনো আমাকে ডাক দেয়! সকাল থেকে মেজাজ গরম!
অন্যজন হাসলো খিলখিলিয়ে। আমি তো এলার্মেও উঠি না। মা আমাকে সেই ছোটবেলা থেকে সকালে উঠিয়ে দেয়, ইস আরেকটু ঘুমাতে পারতাম যদি!
এরপরে আরো আরো কথা, জানলাম তারা শহীদ আনোয়ারে পড়ে, আজকে কোনো একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেখানে একজন গান গাইবে, যার গান সম্পর্কে আবার ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটি জেলাস। আজকে তাদের বায়োলজী ক্লাস আছে, আগামীকাল একজন পুরো বোটানীর সিলেবাস শেষ করে ফেলবে। শুনে অন্যজন ফোড়ন কাটলো 'আনইমপসিবল' বলে এবং পরক্ষণেই খলবলিয়ে হেসে উঠলো আনইমপসিবল শব্দ আবিষ্কারের জন্য। ব্যাখ্যাটাও ধরিয়ে দিলো 'যা ইমপসিবলের চেয়েও অধিক ইমপসিবল সেটা হলো আনইমপসিবল'! মোটামুটি কানের পোকা সব যখন পালিয়ে বেঁচেছে তখন তারা নামলো।
এখন আমরা দুবন্ধু পাশাপাশি বেশ জেন্টেলমেন স্পিচ দেই। প্রাণ খোলা, থোরাই কেয়ার করে বাতচিত আর হয় না। কবে যে বন্ধুদের সাথে এমন কথা বলেছি মনে নেই।
আপনাকে ধইন্যা, একটা নতুন জট্রিল শব্দ শিখলাম। কাজে লাগবো।
আসলেই। বয়স বাড়ছে, তিনকাল এককালে ঠেকেছে বলেই আজকাল মিস করি সেইসব দিনগুলি।
হ, ঠিক কইছেন ওস্তাদ। আমি তো পুরা বুড়াইয়াগেছি।
আজকাল আমরা যখন আড্ডায় বসি, আশেপাশের মানুষদের খুব বেশি খেয়াল করি বলে তো মনে হয় না। জয়িতা কী বলো?
আপনি তো অলওয়েজ তরুণীদের প্রতিক, সরি, তারুণ্যের প্রতিক!
অন্যের চড়কায় তেল দেয়া খ্রাপ
নিজের চড়কায় তেল দিলে কেমন স্বমেহন হইয়া যায় না বস? এই বয়সেও!
বেহিসেবি কথা বলার একজন বন্ধু দরকার
বেয়াড়া সময় কাটানোর একটা জীবন
বেসামাল হারিয়ে যাবার একটা অরণ্য আর
বেহুদা লেখালেখি করার একটা খাতা
কপিরাইটঃ নীড়দা
দারুণ তো! কবিকে ও আপনাকে ধন্যবাদ।
থোড়াই কেয়ার সংক্রান্ত বাতচিত হয় না ব্যাপারটা কিছু ক্ষেত্রে মনে হয় ঠিক না। আমার বন্ধুরা এখনো একসাথ হলে প্রাণ খুলে হাসি, উড়াধুড়া বাতচিতও করি
স্পেশাল থ্যাঙ্কু। নিয়মিত লেখা চাই বন্ধু।
সব্বোনাশ! আপনাদের হিংসা করতেই হয়!
আমি একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার না করে পারলাম না -
বাসে পিছনের সিটে ২ তরুনী। সম্ভবত কলেজ পড়ুয়া হবে। একজন বলছিলো -
তারা বান্ধবীরা মিলে সি এন জি তে উঠেছে নিউমার্কেট থেকে, যাবে গুলশান ১। সি এন জি ওয়ালারে বললো - ১ নম্বর যাবে।
সিএনজি ওয়ালা মিরপুর ১ নম্বর নিয়ে গেছে, তারা গল্প করতে করতে খেয়াল করে নাই মিরপুর ১ নং যে গেছে।
সিএনজি ওয়ালা বলার পর হুশ হইছে নাকি।
সেই বয়স নেই অকারন হাসি নেই। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে সেই বয়সে ফিরে যেত যখন সবাই কথা বলতাম আর হাসতাম কারো কথা শুনতাম না।
মন্তব্য করুন