রিক্যাপচারিং পাস্ট -৩
তো কথা হলো বরিশাল থেকে স্টিমারে চড়ে খুলনা গিয়েছিলাম এবং এই আনন্দদায়ক ঘটনাটা আমার বিস্মৃতিতে থাকবে সেটা হতে পারে না। যেভাবে হোক, নদী খুড়ে বা স্টিমার খুড়ে হলেও স্মৃতি প্রকোষ্ঠে জমা করতে হবে। মনে থাকার প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল, কোন থিউরি কাজে লাগে না। একসময় মনে হতো যা হৃদয়ে দাগ কেটে যায় তাই কেবল মনে থাকে। আমার বিজ্ঞ ও আতেলায়িত পরিচিতকরা 'মনে কি থাকে' আর 'কি থাকে না' প্রসঙ্গে কোন একটা বিষয়ের সাথে ব্যক্তির ঘনিষ্ঠতম যোগাযোগের সম্বন্ধ আছে বলে ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু এর কোনো কাঠামো নেই, নিদিষ্ট ধরণ বুঝতে আমি অক্ষম। স্টিমারের দুটো বিশালকায় চাকা দেখে বিস্ময়াভিভূত আমার মুহূর্তটা না হয় বুঝলাম দাগ কেটে থাকার মত, কিন্তু এর চেয়ে ঠুনকো বিষয়ওতো মনে থাকে। আর পুরা স্টিমার যাত্রাটাই বেমালুম ভুলে যাবো তা হতে পারে না এবং হতে দেয়া যাবে না।
স্টিমারের চাকা দেখে আমার মনে হয়েছিলো, সেটা ঐ ভ্রমণেতেই চোখে পড়েছে কিনা নিশ্চিত না, আমার ছোট্ট লঞ্চটাতে যদি এমন থাকতো! কেরোসিনে চুবানো এক চিকন ফিতের সলতেতে চলতো টিনের লঞ্চ। ভটভট আওয়াজ তুলে। স্টিমারের চাকা কিভাবে ঘোরে জানতে চাইলে বাবা নিয়ে গেছিলেন ইঞ্জিন রুমে। মুভিতে দেখা স্পেসসিপের ভেতরটার সাথে যার তুলনা চলে। তখন কিছু বুঝেছিলাম কিনা মনে নেই তবে এখন বলতে পারি কিছুই বুঝি নাই, একমাত্র বাষ্পীয় ইঞ্জিনকে দেখার আলোড়নটুকু ছাড়া।
ঐ ভ্রমণের স্মৃতিটুকু আমার হারিয়ে যেতে পারে না। তারও বছর দুই (!) আগে প্রথম স্টিমারে চড়ে বরিশাল থেকে চাঁদপুর গিয়েছিলাম। প্রচন্ড ঝড়ের কথা মনে আছে, স্টিমারের চাকা দেখে বিস্মিত হবার কথা মনে নেই। চাকার গোলক, আকৃতি এবং স্টিমার যেসব কারণে লঞ্চ থেকে আলাদা সেটা হয়তো ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম। আবার হয়তো বলার কারণ এখানেও স্মৃতিতে ঝাপসা নোঙর...চুরামি....।
কি সুন্দর লেখেন!
আমি এমভি মাসুদএ চড়ে বরিশাল গিয়েছিলাম। এত সুন্দর জার্ণি জীবনে কখনো আসে নাই। যারা স্টিমারে চড়ে বাড়িতে যায় তারা খুব লাকি।
থ্যাংকস বস। দিনের বেলায় বরিশালের বড় বড় লঞ্চে চড়ে পদ্মা পাড়ি দেবার মত ভ্রমণ - আর কিছুর সাথে তুলনা চলে না।
দিনের বেলায় যাবার সুযোগ মেলেনি জার্ণিটা ছিল রাতের। তারা জ্বলা আকাশ, দুরন্ত বাতাস, স্টিমারের ভোঁ ভোঁ শব্দ, পানির ছলাৎ ছল, খোলা ডেকে কয়েকটি চেয়ার..........অদ্ভুত-অসাধারণ লেগেছিল। বরিশালে পৌঁছুলাম ভোররাতের দিকে। অন্ধকার অন্ধকার ঘাট আর পুবের একটু একটু আলোয় আলোকিত চারপাশ দেখে মনে হচ্ছিলো গল্পে পড়া কোন দৃশ্যে এসে পড়েছি।
তবে বরিশাল শহরটা বেশী ভালো লাগেনি একটাই রাস্তা-নাম সদর রোড, আর কোন কিছু নাই ।।
রাতে অবশ্য অন্য রকম মজা।
বরিশালের মত এত রূপবতী শহর পৃথিবীতে আছে নাকি? ওহ মাই বরিশাল!
আছে। এইযে,
ফেনি?????????????????
হবেই তো।
প্রতিদিন নিয়ম করে একটা পোস্ট দিয়েন
মনে হচ্ছে অনেকদিন পরে আবার ব্লগিং করছি! থ্যাংকস।
এসব কথা কুথায় খুঁজে পান? আমি তো পাই না।
রোজ দিয়েন পোষ্ট।
থ্যাংকস। প্রতিদিন সকালে এসে চা সাবাড় করতে করতে এখন আমার কাজ হয়েছে একটা ব্লগ লেখা....আমাদের জব্বার ভাইকে যিনি চমৎকার এক কাপ চা তৈরী করে দেন প্রতিদিন সকালে - সে যতদিন আছে, এক কাপ চায়ের সাথে তিন প্যারার একটা পোস্ট নিশ্চিত আমি লিখে যাবো।
নেন কোক খান
বরিশালের মানুষ। লঞ্চ ও স্টিমারে যাওয়া হতো বার বার। ছোটবেলায় নানা ও দাদা বাড়ি বেড়াতে, বড় হয় কলেজে। পোস্টটা পড়ে সেই ছোট বেলার কথা ভাবতে লাগলাম।
বস, চলেন একবার বরিশাল যাই। আপনারে আমি দধিঘরের দধি আর শঙ্করের মিষ্টি খাওয়াবো।
ভাল লাগলো স্মৃতি কথা। আমার স্টিমারে চড়ার অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। তবে স্পিড বোটে চড়েছি আর ফেরীতে চড়ে সেন্ট মার্টিনে গিয়েছি। যদিও কেয়ারি তাকে জাহাজ বলেছে।?http://amrabondhu.com/sites/all/modules/smileys/packs/Roving/smile.png
স্টিমারের রুটটা সম্ভবত এখন বন্ধ হয়ে গেছে! ইচ্ছে করলেও যাবার উপায় নাই।
লঞ্চ আর ষ্টীমার কি মোটামুটি একরকম ব্যাপার? আমি অনেক বার লঞ্চে চড়েছি
মন্তব্য করুন