রিক্যাপচারিং পাস্ট -৭
কিছু ভাবার না পেয়ে বা ভাবতে গিয়ে আটকে গিয়ে বৃক্ষ গুনতে শুরু করলাম। নদীর বুক চিড়ে দৌড়ে যাবার তাড়া নেই ভাসমান যানের, কেউ একজন গিয়ে বলে এসেছে ক্যাপ্টেনকে ধীরে চলতে। বড় নদী ছেড়ে সুন্দরবনের ভেতর থেকে প্রবাহিত শাখা নদীতে। দিবস-সায়াহ্নে নির্জনতা প্রখর হয়ে ওঠে। অভূতপূর্ব গুঞ্জন আছড়ে পড়লো - দিবসের কোলাহল তাড়িয়ে। সূর্যালোকের কিরণ সশব্দ বিচ্ছুরিত হয়, আর আঁধারের থাকে কোমল শব্দমালা। হরিদ্রা বর্ণের কোঠরে সবুজাভ সংমিশ্রণ যেন দূর্দান্ত ক্যানভাস তৈরী করেছিলো। এক, দুই থেকে হাজার ছাড়িয়েও ক্লান্তিহীন গণনা চলছিলো আমার।
যার ভেতরে বাস করি তার খোলস মুড়িয়ে থাকি। কিন্তু বারবিকিউয়ের আগুণ জ্বলছে জাহাজের খোলস পরে। আমাদের সাথে কে যেন ভালো হাওয়াইন গিটার বাজাত। খুব বেশী মুন্সীয়ানা নেই, হাজারো পতঙ্গ নরম স্কেলে যে সিম্ফনি সৃষ্টি করে যাচ্ছিলো চারদিকে, তারপরেও গিটারের অপূর্ব টুংটাং মূর্ছনা মিশে গেলো। চোখের ভেতরে তারা ফুটলো, আর বেরসিক চাঁদ এসে গুটিয়ে দিলো নিকষিত আলপনা। মহর্ষি মুরগী সেদ্ধ হতে হতে চাউর হয়ে গেলো কারো কাছে ভোদকা আছে। সে-সময়ে ভোদকা, বিয়ার, ওয়াইন এবং হুইস্কির মাজেজা আমার কাছে অচেনা - কেবল এক নামেই চিনি, মদ।
প্রলুব্ধ হতে জুরি নাই। আমরা ক'জন ভোদকা এবং ঝলসানো মুরগি খেয়ে জাহাজের একটা ডিঙি নিয়ে নেমে গেলাম নদীতে। সুন্দরবনে হঠাৎ পাগলামী ভর করে, নিয়ন্ত্রন করা না গেলে সোজা বাঘ বা কুমিরের পেটে নাকি চালান হতে হয়। কে যেনো বললো আর সবার পাগলামী গেলো বেড়ে, নৌকা গেলো উল্টে। হিমেল জলে ছ্যাত করে নিভে গেলো মদ্যপদের অ্যাডভেঞ্চার, সাতরিয়ে উঠতে হলো জাহাজে।
সূর্যালোকের কিরণ সশব্দ বিচ্ছুরিত হয়, আর আঁধারের থাকে কোমল শব্দমালা। হরিদ্রা বর্ণের কোঠরে সবুজাভ সংমিশ্রণ যেন দূর্দান্ত ক্যানভাস তৈরী করেছিলো। এক, দুই থেকে হাজার ছাড়িয়েও ক্লান্তিহীন গণনা চলছিলো আমার।
কি বর্ণনা! চমৎকার।
থ্যাংকু থ্যাংকু।
আচ্ছা, একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি। সুন্দরবনের নদী বা খাল দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে একসময় একঘেয়েমি পায় না? আমার পায়। সৌখিনভাবে সুন্দরবন বেড়ানো আর সুন্দরবনকে দেখার মধ্যে পার্থক্যটুকু বোধহয় অনেক ট্যুরিস্টই করতে পারেন না। পারেন কি? জানি না। এ ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণটা জানতে চাই।
আমি কিন্তু প্রতিটা সেকেন্ড উত্তেজনায় ছিলাম। প্রচন্ড নির্জনতার সেই মুহূর্তগুলো এত চমৎকার মনে হয়েছিলো যে কিভাবে সময়টা কেটে গেলো বুঝতে পারি নি। একেকজনের একেক রকম অনুভূতি হবে - সেটাই তো স্বাভাবিক।
ঠিক - খোলস ভেঙে বের হওয়া সম্ভব নয়! অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
সাত দিন ছিলাম দুবলার চরে। রোজ ট্রলার নিয়ে ঘুরতাম সুন্দরবনে। দারুণ এক সপ্তাহ ছিলো সেই সময়টা
আমি সুন্দরবন যাই নাই (
মন্তব্য করুন