পছন্দের বাংলা ছবি
প্রিয় ১০ বাংলা ছবির এই তালিকা আমি তিন ভাগে ভাগ করেছি। প্রথম ভাগে ভারতীয় বাংলা ছবি। তবে প্রথম তালিকায় আমি সত্যজিত রায়কে রাখিনি। তাঁর জন্য আমার আলাদা একটি তালিকা। আমি সব ভাষার ছবি দেখতেই পছন্দ করি। ভাল হিন্দী ছবিতেও আমার আপত্তি নাই। আজকাল নন হলিউডি ছবি দেখতে বেশি ইচ্ছা করে। খুঁজে খুঁজে তাও দেখছি। বলে রাখছি এই তালিকা এলোমেলো, পছন্দের ক্রম না।
১. একদিন প্রতিদিন- মৃনাল সেনের ছবি। মেয়েটি এক রাতে বাসায় ফেরে না। সেই বাসায় না ফেরা নিয়ে এক রাতের ছবি। মমতা ব্যানার্জি এর মূল চরিত্র। একরাতের ঘটনার এই ছবিটি ১৯৭৯ সালের।

২. ভুবন সোম-এটাও মৃনাল সেনের ছবি। উৎপল দত্ত ও সুহাসিনী মোলে। আমি যখন ভুবন সোম প্রথম দেখি আমি বলা যায় বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। অসাধারণ বলার চেয়ে কি বলার আছে আমি ঠিক বুঝতে পারি না। আমি চলচ্চিত্র বোদ্ধা না। তাই এর চলচ্চিত্র গুন নিয়ে কিছু বলতে পারবো না।
তবে এই টুকু বলি, যারা ছবি দেখেন তাদের জন্য এটি দেখা জাতীয় দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ভুবন সোম মৃনাল সেনের প্রথম দিককার ছবি, মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালে। আমার কাছে কিন্তু মনে হয় এটাই তার সেরা ছবি।

এক নীতিবান রেল কর্মকর্তা থাকেন উত্তপল দত্ত। টিকেট চুরির তদন্ত করার দায়িত্ব পান। সে কাজে যেয়ে দেখা হয় গ্রামের মেয়ে গৌরির সঙ্গে। এক সময় জানতে পারেন যার বিরুদ্ধে তদন্ত করবেন সে গৌরিরই স্বামী।
শেষটা আর বললাম না।
৩. পারমিতার একদিন-অপর্না সেনের ছবি। মূল চরিত্রে অপর্না সেন ও ঋতুপর্ণা। বিশেষ করে ঋতুপর্ণার অন্যতম সেরা অভিনয় এই ছবিতে। তথাকথিত বাণিজ্য ছবির ঋতুপর্ণা অবাক করেছে আমায়। একাকিত্ব, বন্ধুত্ব আর সম্পর্ক নিয়ে এই ছবি।

৪. দেখা- গৌতম ঘোষের ছবি। সুনীলের কাহিনী। সোমিত্র ছবির মূল চরিত্র। এই সময়ের একজনের লেখকের কাহিনী। গৌতম ঘোষের বাংলা ছবিগুলোর মধ্যে এটাই আমার প্রিয়।

৫. দাদার কীর্তি-পুরোপুরি বিনোদন এই ছবি। তাপস পালের প্রথম ছবি। আমার কাছে বাংলা ছবির মধ্যে এর চেয়ে ভাল টাইম পাস মুভি আর নেই। চরণ ধরিতে দিয়ে গো আমার-গানটা অসাধারণ লাগে এই ছবিতে। যারা এই ধরণের ছবি পছন্দ করেন তারা তরুণ মজুমদারের শ্রীমান পৃথ্বিরাজও দেখতে পারেন।

৬. অনুরণন-রাহুল বোস আমার বরাবরই পছন্দ। এই ছবির সেরা সম্পদ মনে হয় এর লোকেসন ও ক্যামেরার কাজ। ঋতুপর্ণা আর রাইমা সেন আছে। সবমিলিয়ে আমার খুবই পছন্দ হয়েছে ছবিটা। এই ছবির পরিচালকের পরের ছবি অন্তরীন।

৭. ৩৬ চৌরঙ্গী লেন-এটাকে পুরোপুরি বাংলা ছবি হয়তো বলা যায় না। এই ছবিতে বাংলা, ইংরেজি দুটোই আছে। অপর্না সেনের ছবি। ধৃতিমান, দেবশ্রি ও জেনিফার কাপুর। এক অ্যাংলো ভারতীয় মহিলার একাকীত্ব আর এই একাকীত্বের সুযোগ নেয়ার ছবি। ১৯৮১ সালের এই ছবিটি থেকে কেন জেনিফার সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পেলো না এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। সেবার পেয়েছিল ওমরাও জান থেকে রেখা। জেনিফার শশি কাপুরের স্ত্রী।

৮. দ্বীপ জেলে যাই-সুচিত্রার এই ছবিটিই আমার বেশি পছন্দ। অনেক বিখ্যাত উত্তম-সুচিত্রার ছবির চেয়েও। এই ছবিতে সুচিত্রা অসাধারন, আর এই রাত তোমার আমার গানটা তো আছেই। ছবিটির পরিচালক অসিত সেন হিন্দিতেও এটি বানান। নাম খামোশি। ওয়াহিদা আর রাজেস খান্না। এরও কিছু অসাধারণ গান আছে। বিশেষ করে ও শাম কুচ আজিব থি-গানটা আমার খুবই পছন্দের।

৯. মেঘে ঢাকা তারা-ঋত্বিক ঘটকের এই ছবি আরও যুগ যুগ ধরে মানুষ দেখবে এবং মুগ্ধ হবে বলেই আমার ধারণা। ১৯৬০ সালের এই ছবিটি আমার দেখা অন্যতম সেরা বাংলা ছবি। সুপ্রিয়া এর প্রধান চরিত্র। শেষে যখন বলে দাদা আমি বাঁচতে চাই-তখন আবেগি হবে না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর।

১০. তিতলি-ঋতুপর্ণ ঘোষের এই ছবিটি না নিয়ে দহন বা ১৯ এপ্রিল নেওয়া যেতো। তারপরেও অনেক ভেবে তিতলি নিলাম। সুইট একটা ছবি। কঙ্কণা, অপর্না আর মিঠুন। আর শুরুর গানটা তো আছেই।

ভাবতাছি তিতলি বাদ দিয়া কালপুরুষ রাখবো তালিকায়। মিঠুন আর রাহুল বোসের এই ছবিটা একদমই অন্যরকম। বাংলা ছবিতে এই ধারা খুব একটা দেখা যায় না।
এবার সত্যজিৎ রায়। তালিকা আগে একবার অন্য ব্লগে দিয়েছিলাম। খানিকটা বদল হয়েছে মনে হলো নতুন করে তালিকা করতে গিয়ে।
১। মহানগর: মাধবী আর অনিল। মূলত এটি মাধবীর ছবি। আমার বেশ পছন্দের এই ছবিটি।

২। কাঞ্চনজঙ্ঘা- এই ছবি যে আমি কতবার দেখেছি তা কোনো হিসেব নেই। সংলাপ নির্ভর এক ছবি। কালার যে কিভাবে একটা ছবিতে ব্যবহার করা যায় তা দেখতে হলে আছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। অসাধারণ। জায়গা যে মানুষের মনকে কতখানি প্রভাবিত করে সেটিও দেখিয়েছেন পরিচালক।

৩। অরণ্যের দিনরাত্রি: উপন্যাসটা যেমন প্রিয়, তেমন ছবিটা। তারুণ্য আর সম্পর্ক নিয়ে এই ছবি। সোমিত্র ও শর্মিলা ঠাকুর তো অসাধারণ। বার বার দেখা যায় এই ছবি।

৪। অপুর সংসার- সৌমিত্রের প্রথম ছবি। রাতে রাস্তায় হাটতে হাটতে বন্ধুকে বলা স্বপ্নের কথাগুলো বলার সেই দৃশ্য আমি ভুলবো না।

৫। হিরক রাজার দেশে-উৎপল দত্ত না থাকলে সত্যজিত রায় কাকে নিয়ে এটি করতেন? অসাধারণ একটি ছবি। সংলাপ তো এখনো কিছু কিছু মুখস্ত।
![_hirak_rajar_deshe[16].jpg](/sites/default/files/users/masum/_hirak_rajar_deshe%5B16%5D.jpg)
৬। কাপুরুষ-মহাপুরুষ: এটা আসলে দুটি ছবি, একসাথে। আমার পছন্দ কাপুরুষ। পুরানো প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হয় সৌমিত্র। তারপরেও কাপুরুষ থেকে যায়। মাধবী যে এসেছিল তার কাছে এটা কি সে বোঝেনি?

৭।অশনি সংকেত: ববিতা আছে তাতেই তো পছন্দ বেশি। তারপরেও মন্বন্তরের সেই সময়ের কথা অসাধারণ ভাবে আছে এই ছবিটায। বিশেষ করে একটা মৃত্যুদৃশ্য আছে। কখনোই ভুলবার নয় সেটি।
৮। চারুলতা-নষ্টনীড় থেকে ছবি। সৌমিত্র আর মাধবী। এটি নিয়ে নতুন করে কী আর বলার আছে।
৯। নায়ক- এই ছবির মতো ভাল উত্তমকে আর কখনোই আমার লাগেনি। সংলাপ নির্ভর ছবি।

১০। পিকুর ডায়েরি-টিভির জন্য তৈরি। শর্ট ফিল্ম। পরকীয়া নিয়ে তার তৈরি একমাত্র ছবি।

এবার বাংলাদেশের ছবি। যা যা মনে পড়লো সেখান থেকেই তালিকাটা তেরি।
১. রূপালি সৈকতে-আলমগীর কবিরের ছবি। বুলবুল আহমেদ, জয়শ্রী কবির আর আনোয়ার হোসেন। এই ছবিটির কথা খুব একটা আলোচনা হয় না। আমি সিনেমা হলে এটি দেখেছিলাম। সেই বয়সের মুগ্ধতা আমার যায়নি।
২. ঘুড্ডি-সুবর্না আর আসাদের প্রেমের ছবি। তারুণ্য ভরা এই ছবিটা সব সময়েরই পছন্দ।
৩. সীমানা পেরিয়ে-আবারও আলমগীর কবির। বুলবুল আর জয়শ্রী কবির। এই ছবিটি দেখেনি এমন মানুষ মনে হয় কমই আছে। গানগুলোও তো অসাধারন।
৪. মাটির ময়না- এই সময়ের পরিচালকদের মধ্যে আমার পছন্দ তারেক মাসুদ। আর এই সময়ের ধারা বদলের প্রথম ছবি এই মাটির ময়না।
৫. সুতরাং- কবরী আর সুভাস দত্ত। সুভাস দত্তই পরিচালক। অনেক আগের ছবি।
৬. সূর্যকন্যা- আবারও আলমগীর কবির। বুলবুল, জয়শ্রী, সিডনী আর রাজশ্রী। আলমগীর কবিরের ছবি দেখলে মনে হয় এই লোকটি বেঁচে থাকলে বাংলা সিনেমাকে তিনি কোথায় নিয়ে যেতেন?
৭. গোলাপি এখন ট্রেনে: তালিকায় ববিতা থাকবে না তা কি হয়? ববিতার এই ছবিটিই আমার বেশি পছন্দ। ববিতা, ফারুক, আনোয়ার হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন। অসাধারণ এই ছবির কিছু গান।
৮. টাকা আনা পাই- ববিতাকে দেখার জন্যই এই ছবিটা বার বার দেখা যায় এবং দেখতে চাই।
৯. জীবন থেকে নেয়া-জহির রায়হানের এই ছবিটাই সেরা। এখন হয়তো মনে হবে প্লটটা তো চির চেনা। কিন্তু সময়টি বিবেচনা করলে এই ছবিকে বাদ দিয়ে বাংলা ছবির ইতিহাস লেখা যাবে না। জহির রায়হানের আরেকটা ছবির কথা খুব মনে পড়ছে। শেষ পর্যন্ত। এটিতেও ববিতা আছে।
১০. ১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন: দেশে ভাল কমেডি মুভি হয় না। সেই কবে হয়েছিল এই ছবিটি। এর পর আর একটাও হলো না। এখনও দেখলে আগের মতোই মজা পাই।





প্রথমটায় পাঁচটার মত আর সেকেন্ডটায় প্রায় সবগুলি দেখা।
দৌড়ের উপ্রে, পরে বিস্তারিত বলার ইরাদা রাখি।
বিস্তারিত বলেন। আলোচনা করি।
ভারতীয় বাংলা ছবি:
ভূবন সোম-অনুরণন দেখার সুযোগ হয়নি। তালিকার অন্য আট টি ছবিই ভালো লাগা ছবিরতালিকায় থাকবে, দাদার কির্তী আসলেই খুব মজার ছবি। যেহেতু আমি আপনার তালিকার দুটো ছবি দেখিনি তাই আমি তালিকা করলে অসুখ আর উনিশে এপ্রিল থাকতো।
সত্যজিৎ এর তালিকা নিয়া আর কি বলবো সুধু আফসোস কাঞ্চনজঙ্ঘাটা দেখা হয়নাই
বাংলাদেশি ছবি:
ঘুড্ডির কথা তো ভুলেই গেছিলাম মনে করায় দিলেন, তবে আসাদরে নায়ক হিসেবে আমার পছন্দ হয়না।রূপালী সৈকত, সূর্য্যকন্যা, সুতরাং দেখিনাই। সীমানা পেরিয়ে ভালো ছবি, এটা সম্ভবত ব্লু-লেগুন এডপ্ট করে বানানো - না?
১০ টা বাংলাদেশী সিনেমার তালিকায় আগুণের পরশমনি নাই দেখে অবাক হইলাম, এই ছবিটা আমার অসাধারণ লাগে সিম্পলি অসাধারণ একটা ছবি;
ভুবন সোম আর কাঞ্চনজঙ্গা না দেখা তো অপরাধের মধ্যে পড়ে।
আগুনের পরশমনির কথা একবার ভাবছিলাম, তবে প্রখম দশে আনতে পারি নাই। হুমায়ূন আহমেদ ভাল বলতে এই ছবিটাই বানাইছিল।
সীমানা পেরিয়ে আর ব্লু লেগুন-এর কাহিনীর মূলটা প্রায় এক। তবে এডপ্ট বলা যাবে না। প্রথমত বক্তব্য পুরাটাই ভিন্ন।সীমানা পেরিয়ে ছবি হিসেবে যত ভাল ব্লু লেগুন তার কাছে কিছুই না। এটা আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য। আর যতদূর মনে পড়ে আলমগীর কবির একটা সত্য ঘটনা থেকেই ছবিটা বানিয়েছিলেন।
আপনে কাঞ্চন জঙ্ঘা দেখেন নাই? ধিক্কার তেব্র ধিক্কার।
এখনি খুজে বের করে দেখে ফেলেন। এইটা না দেখা অপরাধের মধ্যে পড়ে। 
সত্যজিৎ এর আরেকটা ছবি আছে শাখা-প্রশাখা - দেখছেন?
সত্যজিৎ রায় টিভির জন্য একটা ছবি করছিলেন, সদগতি। এইটা ছাড়া তাঁর সবগুলো ছবিই আমার দেখা এবং সংগ্রহে আছে। শাখা প্রশাখা সত্যজিত রায়ের শেষ ছবি। ডাক্তাররা তাঁকে বাড়ির বাইরে, আউটডোরে শুটিং করতে নিষেধ করেছিলেন। তখন তিনি এই ছবিটা বানান।
অনুরনন টা যে কি ভারো লাগছে! অনুরনন দেখার পর এটা মনের মধ্যে ছিলো অনেকটা সময় ধরে।
লিস্ট পেলাম । এর মধ্যে যা দেখি নাই তার লিস্ট দিবো। দেখতে দিবেন।
আগুনের পরশমনি আমারো খুব পছন্দের সিনেমা। মনে রাখার মতো। কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি।
অনুরণন খুব কম প্রত্যাশা নিয়া দেখতে বসেছিলাম। এ কারণেও ছবিটা দেখে অনেক বেশি মুগ্ধ হইছিলাম। অন্তহীনের চেয়ে অনুরণনকেই আমার বেশি ভাল লাগছে।
বলা হয়নি কাপুরুষ ও খুব ভালো, খুবই ভালো লেগেছে।
কাপুরুষ আমি মনে হয় ৫ বার দেখছি। শেষ দৃশ্যটায় সৌমিত্র যে লুকটা দেয় সেইটা আমার অসাধারণ লাগে।
ভুবন সোম দেখা নেই। অনুরণন এর কথায় অন্তহীন মনে পড়ে গেলো। রাহুল বোসের অভিনয় সত্যি ভালো লাগে।মনে পড়ছে আরেকটি ছবির নাম যেটি বাংলা নয় এখানে তাই নাম আসা উচিত নয়,তবু লোভ হচ্ছে নাম দিতে 'মিস্টার এন্ড মিসেস আয়ার'।
সুন্দর পোস্ট। ভালো লাগা রাখলাম।
মিস্টার এন্ড মিসেস আয়ার আমারো খুব পছন্দের ছবি, রাহুল বোস- কঙ্কণা দুজনেই দারুণ অভিনয় করেছে; খুব ছোট একটা চরিত্রে ছিল অন্জন দত্ত। অন্জনের চরিত্রটা মনে দাগ কেটেছিলো, বিপর্জয়ে মানুষ খুব বিচিত্র কাজকর্ম করে; টিকে থাকার চেষ্টায় বেশিরভাগ সময় অন্যসব গৌণ হয়ে যায়
মি. অ্যান্ড মিসেস আয়ার বাংলা না বলেই রাখি নি। তবে এটা ঠিক অসাধারণ এক ছবি। বার বার দেখা যায়।
সব মিলিয়ে প্রায় ৮০% কমন পড়লো।
'টাকা আনা পাই' ছবিটার সন্ধান চাই। আছে আপনার? একটা কপি যোগাড় করে রাখতে চাই। আদি অকৃত্রিম ববিতাকে দেখার জন্য এই ছবির বিকল্প নাই।
১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন। এর চেয়ে জটিল হাসির ছবি বাংলাদেশে আর কখনো হয়নি। সর্বকালের সবচে প্রিয় ছবিটা কোথাও পাইনা আজ আর।
'অরণ্যের দিনরাত্রি' ছবিটা আজো দেখতে পারলাম না। ডিভিডির দোকানে যতবার খুঁজেছি দেখা গেছে আরেকজন নিয়ে গেছে।
'অরণ্যের দিনরাত্রি' খুব সুন্দর নীড়দা।দেইখেন। আমি তো গুছিয়ে লিখতে পারব না না হয় লিখতাম।
পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম।
টাকা আনা পাই এর তো ডিভিডি পাওয়া যায়। সম্ভবত লেজার ভিশন বের করছে। অরণ্যের দিনরাত্রিরও তো ঝকঝকে প্রিন্ট পাওয়া যায়।
১৩ নং ফেকু আমি প্রতিবারই বিটিভিতে দেখছি। কিন্তু ডিভিডি পাই নাই।
হায় হায়! অধিকাংশই তো দেখিনাই
দেইখা ফালান। ভাল লাগবে
বেশিরভাগই দেখি নাই
দেখেন, জলদি
ভারতীয় ছবিগুলো অনেকগুলাই দেখি নাই। এইবার দেখবো....।
নীড়দার মত আমিও কই, ১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন এর মত হাসির ছবি আর বাংলাদেশে তৈরী হয় নাই। অসাধারন কমেডি, সেই ছোট বেলায় যেমন হেসেছিলাম, এখনও দেখলে তেমনি হাসবো........।
একমত, পুরাটাই।
আপনাকে মাইনাস, আপনি শুধু নষ্টালজিক করে দেন ।
তালিকার প্রায় সবই দেখা । আসলে বাংলা-হিন্দি-তেলেগু-তামিল-উর্দু-ইংরেজি প্রচুর ছবি দেখেছি । সিনেমা হলে প্রথম দেখা ছবির নাম সম্ভবত রাজ্জাক-ববিতার নাগিন (সাল ১৯৭৮/৭৯ ) । ভিসিআরে প্রথম দেখি সিলসিলা (সাল ১৯৮১/৮২ ) ।
আমি সম্ভবত ভিসিআরে প্রথম দেকি ডন। আমার মামার বাসায় ভিসিআর আনা হইছিল। ব্যাপক আয়োজন কইরা সিনেমা দেখছিলাম। আর বড়রা দেখছিলো ববি, ছোটদের এইটা দেখতে দেয নাই।এইটা নাকি বড়দের সিনেমা। তখন বিকিনি পড়লেই এইটা বড়দের হইয়া যাইতো।
কিন্তু সে সময় কিন্তু মধুমিতায় নাইট শোতে ....
অনেক ছবি দেখা হয় নাই, দেখা দরকার, আপনার এই পোষ্ট নিয়ে যামু ডীভিডির দোকানে , লিস্ট ধইরা কিনতে।
সব তো আর পাইবেন না। বিশেষ করে দেশেরগুলো।
ভিসিআরে প্রথম দেখা হিন্দি ছবি "নিকা" । (সাল সম্ভবত ১৯৮৪/৮৫) নায়িকা সালমা আগা। বিখ্যাত গান "দিরকি আরমা আছুওমে বেহেকগেয়ি। সিলসিলা (রিলিজড ১৯৮১) দেখেছি ১৯৮৫ দিকে। সত্যজিতের হিরক রাজার দেশে। পারমিতার একদিন আর অনুরনন এর অংশবিশেষ দেখেছি বা মনে পড়ছে। বাংলায় ঘুড্ডি, সীমানা পেড়িয়ে, গোলাপী এখন ট্টেনে, ১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেইন দেখা হইছে।
বিটিভিতে একটা সাদা কালো নাটক না সিনেমা দেখছিলাম মনে নাই তয় খুব ভাল লাগছিল। নাম সম্ভবত "ইডিয়ট" অভিনয়ে, বুলবুল আহমেদ, শম্পা রেজা, আল মনসুর, আবুল হায়াত ছিল বলে মনে পড়ছে। একই ঘটনার হিন্দি সিনেমা "যুগপুরুষ" (অভিনয়ে মনিষআ কৈরালা, নানা পাটেকার) ভাল লেগেছিল। ঐ ছবিতে রবী ঠাকুরের "পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে, পাগল আমার মন কেমন করে" গানটার হিন্দি ভার্সনও খুব ভাল লেগেছিল। গানটা এখানে শুনুন
আহা, ইডিয়েটের কথা মনে করাইয়া দিলেন। এইটা দস্তভয়স্কির একটা গল্প থেকে নেওয়া। বিটিভির ইতিহাসে অন্যতম ভাল নাটক এইটা। এইটা নিয়া ভারতে বাংলা ছবিও হইছিল। অপিরিচিত। উত্তম, সৌমিত্র আর অপর্ণা । নাকি সুপ্রিয়া?
মাসুম ভাই, অপর্না সেন। ছবিটা দেখছি ইউ টিউবে। অফিসে প্রতিদিন ১/২ ঘন্টা আগে এসে কম্পিউটার খুলে দেখতাম। ভাই, আপনি কি বাক্স বদল দেখছেন? সৌমিত্র-অপর্ণার?
বাক্স বদল তো মজার একটা সিনেমা। এইটার চিত্রনাট্য কিন্তু সত্যজিত রায়ের।
আহা, ইডিয়েট
একটা কাজের কাজ হইছে মাসুম ভাই। প্রিয়তে গেল।
ছবিগুলো দেখেন তাইলে
থ্যাংকু দুলাভাই ....... বেশির ভাগই দেখি নাই। নামানো শুরু করুম
নামা্ও। কেমন লাগছে বইলো
প্রথম লিস্টি দেখে একটু বেসামাল হলাম ,বেশিরভাগই দেখা নেই ।তবে ঋত্বিক ঘটকের সুবর্ণরেখা না দেখে একটু মনটা খচখচ করছে বৈকি ।
তবে দুই নম্বর লিস্টিতে অনেক ছবিই দেখা ।এবং সবচে বড় কথা হল প্রতিটি ছবিই আলাদাভাবে আলোচনার দাবি রাখে ।গুপি বাঘা ট্রিলজির মধ্যে প্রথম দুটির তুলনা নেই ,একেবারেই লাজওয়াব।নায়ক ,চারুলতা ,অশনী সংকেত ,কাপুরুষ -মহাপুরুষও লিস্টে আসার দাবি রাখে ।তবে এর মধ্যে আমি কাঞ্চঞ্জঙ্ঘা আর অরণ্যের দিনরাত্রিকে একটু আলাদা করেই রাখব ,আর মজার হল পান্ডববর্জিত আদিম প্রকৃতির সান্নিধ্যে মানুষের মন কেমন করে পালটে যায় ,সেটা সত্যজিতের মত করে আর কেউ দেখাতে পেরেছেন বা পারবেন বলে মনে হয়না ।যাই হোক ,এর মাঝেও এই লিস্টিতে জনারণ্য আর আগন্তুককে মিস করছি ।
বাংলাদেশি ছবিগুলোর মাঝে আলমগীর কবিরের দুটো দেখা হয়নি ।তবে ওরা এগারো জন ,ধীরে বহে মেঘনা, আগুনের পরশমনির মত মুক্তিযুদ্ধের আর একটা দুটো চলচ্চিত্র বোধহয় আসতে পারত ।
সূবর্ণরেখার কথা আমিও একবার ভাবছিলাম। বিশেষ করে এই ছবির শেষটা তো দুর্দান্ত একটা ধাক্কা। তবে মেঘে ঢাকা তারা আমার কাছে অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
জন অরণ্য ভাল লাগছে। তবে আমার কাছে বইটা বেশি লাগছিলো। আর হিরক রাজার দেশ নতুনত্বের জন্য স্থান পাইছে। গুপি গাইন বাঘা বাইন তো অসাধারণ একটা ছবি। বিশেস করে ভুতের নৃত্য। এইটা সত্যজিত রায়ের পক্ষেই সম্ভব।
ধীরে বহে মেঘনা আসতে পারতো। আগুনের পরশমনিও। তবে ওরা ১১ জন ঘটনার কারনে তাবি রাখলেও চলচ্চিত্র হিসেবে খুব কি বেমি ভাল?
আর অরণ্যের দিনরাত্রি উপন্যাসটাও কিন্তু দারুণ্ সুনীলের একটা সাক্ষাতকারে দেখলাম এইটা নাকি একটা অর্ডারি উপন্যাস ছিল। কিন্তু এইটাই এতো বিখ্যাত হয়ে গেছে।
অনেকগুলিই দেখা। বাকিগুলি চাইলে দিবানা? আর ভাইয়া আমি হইলে লুকোচুরি, জয় বাবা ফেলুনাথ, সিস্টার, টুনি বউ, ওগো বধূ সুন্দরী এইরাম আরও দুয়েকখান রাখতাম... যাইহোক। এখন তো দেখতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে!
ওগো বধুর অরিজিনালটা এতোটাই ভাল যে, বাঙলাটা আমার কাছে একদমই ভাল লাগে নাই। জয বাবা ফেলুনাথ-আহা। এরম কইলে তো পুরা সত্যজিত রায়রেই রাখতে হবে।
আর ছুটির ঘন্টা?
ছুটির ঘন্টাও ভাল। তবে আমার তালিকায় আসে না।
অভিসার হলে দেখেছিলাম ছুটির ঘন্টা । সুমনের অশিক্ষিতও ভাল ছবি আর এই গানটা ‘মাষ্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই ’ আমার প্রিয় ।
১।
পয়লায় আপনার পোস্টের সমালোচনা করি।
এভাবে তালিকা না দিয়ে একটা একটা ছবি ধরে ধরে আলোচনা করতে পারেন। তাহলে আলাপসালাপ করা যায়। একটা সিরিজ বানান।
২।
অথবা ফিল্মাগ্রোহিদের নিয়া আপনার নেতৃত্বে একটা পাঠ/দেখচক্র হতে পারে।
ধরেন আপনি একটা ছবির নাম দিয়ে দিলেন, আমরা সবাই মিলে সেটা দেখলাম নিজ দায়িত্বে। তারপর একজন সেইটা নিয়া একটা লেখা দিলো। তারপর সেইটা নিয়া আলোচনা। এভাবে এবিতে কিন্তু একটা ফিল্ম দেখচক্র হইতে পারে।
৩।
ঘুড্ডির ডিভিডি আছে? এইটা আমি হন্যে হয়ে খুঁজতেছি
নজরুল ভাইয়ের এই প্রস্তাবে জাঝা (আপাতত সিনেমা দেখার মুডে আছি কিনা
)
আমিও ঝাঝা দিলাম। আমি তো অরওয়েজ মুডে থাকি।
পুরাপুরি সহতমের সাথে একমত
দারুণ প্রস্তাব। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এভাবে আমরা বই পড়তাম এবং বই এর মনোমুগ্ধকর আলোচনায় অংশ নিতাম। এবি'র পাবলিকরা মাসুম ভাই সহ আরও যারা সিনেমাখোর আছে তাদের নেতৃত্বে এমন একটা উদ্যোগ নিতে পারে।
নজরুল ভাইরে ধইন্যা।
সহমত। সহমতের উপর সহমত। আমি নেতৃত্বে কেন? সবাই নাম দিক। তারপর আলোচনা হোউক।
ঘুড্ডির ডিভিডি পাই নাই।
দেখা, কাপুরুষ - মহাপুরুষ আর পিকুর ডায়েরী বাদ দিলে বাকি সব দেখা। প্রত্যেকটাই মাষ্টারপিস।
দেখে ফেলেন। তবে মহাপুরুষ পার্টটা না দেখলেও চলবে। কাপুরুষটা আবার মিস কইরেন না।
সত্যজিতের সব দেখছি, সিকিম ছাড়া।
সিনেমার কথা শুনে যারা মুখ বাঁকা করেন আমি তাদের থেকে এট্টু দূরত্ব রেখে চলি রে ভাই।
যেকারণে আপনিসহ আপনার এই পুষ্ট খুউব ভালা পাইলাম! আমি নজরুল ভাইয়ের সাথে একমত। এ রকম সিনেমাড্ডার ফলে আমরা হয়ত অনেক অদেখা ভালু কিছু ছবির সাথে পরিচিত হতে পারবো।যদিও আমি মোটেও সিনেমা বদ্ধা নই , তারপরও টুকটাক আলোচনায় নিজের ভাবনাটা মেলে ধরতে পারবো হয়ত।
১ থেকে ১০ এই গন্ডীতে ভালো সিনেমা ফেলতে গেলে আসলে একটু বিপদেই পড়তে হয় যেন! কারণ এতো এতো ভালো সিনেমা দেখেছি বা দেখবো ভবিষ্যতে। তাই এই ব্যাপারটা একটু কঠিনই আমার কাছে।
তারপরও আপনার লিষ্টের 'ভূবনসোম' বাদে আমার সবগুলো সিনেমাই দেখা বলে বেশ আনন্দ হচ্ছে রে ভাই! আবার একই সাথে সত্যজিতের ছবি তালিকায় " পথের পাঁচালি" নেই দেখে বেশ একটু অবাকই হতে হলো। যদিও জানি সবার ভালো লাগা, মন্দ লাগার নিক্তি একই দাগে ওঠা-নামা করে না। কিন্তু আমার কাছে কেনো জানিনা সত্যজিৎ বলতেই "পথের পাঁচালি" মনে ভাসে। আর বলাইবাহুল্য এটি আমার অন্যতম প্রিয় একটা সিনেমা।
সত্যজিতের পরে বর্তমানে ঋতুপর্ণ ঘোষ, অপর্ণা সেন আর বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত আমার প্রিয় ছবির কারিগর ।
ঋতুপর্ণ ঘোষের বেশ কিছু ভালো ছবি যেগুলো আমার ভালো লেগেছে সেগুলো হচ্ছে : "দোসর'
অভিনয়ে: প্রসেনজিৎ,( এই লুকরে আমি দুই চোক্ষে দেখতারতাম না কিন্তু এই ছবিটা দেখার ফলে ধারণা পালটে ফেলেছি) কঙ্কণা সেনশর্মা। সম্পর্কের টানাপোড়েনের চমৎকার ওঠানামা টা দারুণ ভাবে এসেছে এখানে।"অন্দরমহল" অভিনয়ে : জ্যাকিশ্রফ, রূপাগাঙ্গুলি,সোহা আলীখান ও অভিষেক বচ্চন।নিজের অভিজাত্য আর বংশ গৌরবের গ্যাঁড়াকলে থাকা নপুংসক জমিদারের বাবা হতে চাইবার তীব্র ইচ্ছার সুন্দর বহিঃপ্রকাশ আছে ।আছে নিজের দুবর্লতা লুকিয়ে রাখবার মানসিকতার মুখে একজন রূপাঙ্গুলি আর সোহা আলীর চমৎকার করে থুথু ছিঁটিয়ে দেবার সাহসী মনোভাব । না দেখে থাকলে দেখে নেবেন ভাইসব/বোনসব।"বাড়িওয়ালি" ও আমার ভালোলাগার ছবি । এই ছবিতে একাকী একজন মানুষের জীবনে কী করে একদিন হঠাৎই চলে আসে কিছু পেয়ে যাবার সম্ভাবনা, আর তা নিয়ে স্বপ্ন বুঁনে উঠতে না উঠতেই, ওয়ান ফাইন মর্নিংয়ে সেটা হারিয়ে ফেলবার বেদনা নিয়েই গল্প (ভালো করে কইতারিনা তো কিন্তু গল্প চমৎকার ) অভিনয়ে : কিরণ খের এবং চিরন্জিৎ। "শুভমহরৎ" আমার পছন্দের একটা সিনেমা। কাহিনী চমৎকার উথ্থান-পতনে না চমকে উপায় থাকেনা। অন্ততঃ আমি কিন্তু চমকেছি। অভিনয়ে: শর্মিলা ঠাকুর,নন্দিতা দাস,কল্যাণী মন্ডল।"সব চরিত্র কাল্পনিক" এখানেও প্রসেনজিতের অভিনয় দেখবার মতো। আর সিনেমাটিও বেশ ভালো একটা সিনেমা।ঋতুপর্ণ ঘোষের আরো একটা সিনেমা,যদিও সেটা ইংরেজীতে কিন্তু দেখবার মতো ছবি রে ভাই । আর যারা অমিতাভের ভক্ত তারা হতাশ হবেন না মোটেও । ছবিটির নাম"দি লাষ্ট লিয়ার" চমৎকার একটা ছবি কিন্তু!
এইবার কই পিয় অপর্ণার ছবির কথা( তাঁর কথা বলার ইশটাইলটা এত্তো দারুণ লাগে না, এত্তো ন্যাকামী কইরা কথা একমাত্র আম্রার ববিতাই করতারে!) "পারমিতার একদিন" অবশ্যই ভীষণ ভালোলাগার একটা সিনেমা । আর এখানেই ঋতুপর্ণা তার শ্রেষ্ঠ অভিনয় শৈলীটা দেখাতে পেরেছেন নো ডাউট, কিন্তু আরো একটা ছবি" দহন' ও ঋতুপর্ণা নিজে মেলে ধরেছিলেন খুব দক্ষতার সাথেই(অবশ্য এটা আমার ধারণা)।
অপর্ণার "১৫ পার্ক এভিনিউ" দেখবার মতোই একটা সিনেমা।স্বপ্ন হারিয়ে ফেলা এক মেয়ে যে কল্পনায় তার বাড়ি খুঁজে ফেরে........'তারগল্প নিয়েই ছবির মূলকাহিনী । অভিনয়ে: কঙ্কণা সেনশর্মা, শাবানা আজমী, রাহুলবোস।"জাপানীজ ওয়াইফ" নামের হিন্দি একটা সিনেমা আসলো বলে । ওটাতেও অপর্ণার মেয়ে কঙ্কণাসহ আরো আছেন রাহুল বোস এবং রাইমা সেন।
ঠিক এই মুহূর্তে বুদ্ধদেব বসুর "কালপুরুষ" ছাড়া আর কোন সিনেমার নামই মাথাত আসছেনা। এই ছবিটি যদিও একটু ধীরগতির কিন্তু লেগে থাকতে পারলে ঠকবেন না, অন্ততঃ আমি ঠকিনি বলেই মনে হয়েছে । এর প্রধান ভূমিকাতে আছেন, মিঠুন চক্রবর্তী ও রাহুল।
"নিশিযাপন" ছবিটিও বেশ চমৎকার। এটি ঠিক কার এই মুহূর্তে মনে করতে পারছিনা।
খুব সম্ভবত, বুদ্ধদেব বসুর । বিপরীত পরিবেশে মানুষের সঠিক চেহারা উন্মোচণের একটা চমৎকার উপাখ্যান এই ছবির কাহিনী। অভিনয়ে : রাইমা সেন,ঋতুপর্ণা, সৌমিত্র (বাকীদের নাম মনে নেই রে বাপ)।
বদ্ধুদেব(সম্ভবতঃ) দাশগুপ্তের "খেলা" খুবই ভালো লেগেছে আমার। যদিও একজনরে দেখতে বলায় আমারে গালি দিসে(বেশির ভাগই তাই খাই আর কি! হিহিহি) । তবে এখানে গুল্লো একটা বাবু আছে ওর অভিনয় দেখে এত্তো মজা পাবেন না, সত্যি বলছি। আর প্রসেনজিত তো ফাটিয়ে দিসেচে দাদা! আরো আছেন মনিশা কৈরালা এবং রাইমা।
সিনেমার কথা কইতে বসলে নিশি পোহাইবে, কিন্তু কথা থেকে যাবে বাকী। তাই বাকীকথা পরে হবে। আরো সিনেমা নিয়ে আলোচনা আসুক। ভালো সিনেমার সাথে চিন-পরিচয় হোক। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। ধুমাইয়া ব্লগিং করুন আর সিনেমা দেখুন। শুভেচ্ছা নিরন্তর!
আমিও সিনেমা বোদ্ধা নই। দর্শক মাত্র। আর তালিকা করা কখনোই সম্ভব না। এক মাস পর করতে বসলে আবার বদলে যাবে। যেমন সামুতে একবার সত্যজিতের ছবির প্রিয় তালিকা দিছিলাম। সেখানে পথের পাচালি ছিল। এবারেরটায় নাই।
দোসর টা ভাল। তবে এই ধারার বেশ কিছু ছবি আছে। হলিউডে একটা আছে, হ্যারিসন ফোর্ড আছে সেইটায়। অন্তরমহল আমার ভাল লাগে নাই। মনে হয়েচে বাণিজ্যিক সুবিধা পেতে অহেতুক অনেক কিছু যুক্ত করেছেন পরিচালক।
বাড়িওয়ালি টা ভাল। এইটা নিয়া বেশ বিতর্ক আছে একটা। অন্যধরণের। এ্টা থেকে কিরণ খের জাতীয় পুরস্কার পান। তখন বলা হলো এইটার ডাবিং করছেন আরেকজন। তাহলে কেন একা কিরণ খের পান।
ন্যাকামি নিয়া তুলনাটা ভাল লাগছে।আপনার মন্তব্যের কেবল কিং লিয়ারটা দেখা হযনাই। আর খেলা ছবিটা এতো বেশি প্রেডিকটেবল যে, বুঝাই যাচ্ছিল কি হতে যাচ্ছে। সব চরিত্র কাল্পনিক আহামরি কিছু মনে হযনি।
দহনটাও দারুণ। আর ১৫ পার্ক এভিনিউকে আমার কাছে মনে হইছে অপর্নার সবচেযে দুর্বূল ছবি।
খেলা ঋতুপর্ণের, নিমিযাপন সম্ভবত সন্দ্বীপ রায়ের।
আর কালপুরুস অসাধারণ।
সিনেমার পোস্ট দেখলেই কান্দন আসে
লিস্টের কয়েকটা দেখেছি, বেশ কয়েকটাই দেখা হয় নাই। লোকজনের কত টাইম কত কিছু করে..............
সবাই ব্যস্ত। তবে সিনেমা দেখার টাইম বের করে নিতে হয়।
সবডি সুন্দর, তয় মুলধারার বাংলা সিনেমার মাঝে আরো কয়টা কিছু কিছু কারনে ভাল্লাগে আরকি
১।নয়নের আলো-জাফর, সুবর্না আর কাজরী---চোখ দান--গানের সিনেমা মুলত, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সেরম সব গান...আমার বুকের মধ্যেখানে/ আমার সারা দেহ খেওগো মাটি/ আমার বাবার মুখে যেদিন প্রথম শুনেছিলাম গান-----এরম আরো অনেক গুলা, গানের জন্যই পছন্দ, আর সেই সময়ের তুলনায় অনেক স্মার্ট মেকিং।
২।ছুটির ফাঁদে: উজ্জল আর রুপা গাঙ্গুলী না ঝুমুর গাঙ্গুলী জানি--গোলাম মোস্তফা উজ্জলের অফিসের কড়া বস তাই ছুটি পায়না, বউরে নিয়া বেড়াইতে যাইতে পারেনা। শেষে সিক লীভ নিয়া বউরে নিয়া সমুদ্র সৈকতে যায়, সেই খানে গোলাম মোস্তফাও হাযির আর উজ্জলের বউরে দেইখা লাইকাইয়া ফেলে, সাথে নিয়া ঘুরে, উজ্জল লুকাইয়া লুকাইয়া থাকে...একটা গান আছে----------"সাগরের সৈকতে, কে যেনো দুর হতে, ইশারায় ডেকে দিয়ে যায়, আয় আয় আয়..পারিনাতো যেতে, শিকল বাঁধা এই দুটি পায়"-----সেরম আছিলো গানডা-----
৩। দুই পয়সার আলতা একটা ভালো সিনেমা আছিলো বৈলা তখন মনে হৈছিলো
৪।একটা সিনেমায় রাজ্জাক রেডিও গায়ক থাকে ববিতার ফেভারিট কিন্তু সে মশকরা কৈরা ববিতার বাসায় ড্রাইভারের চাকরী নেয়, নাম নেয় চুশনী----গানেরই খাতায় স্মরলিপি লিখে, বলো, কি হবে, জীবন খাতার শূন্য পাতায়, শুধু, বেহিসাবে ভরে রবে---------সেই কুলেস্ট এভার গানটা------
৫। আর পোলাপাইনের কাছে হঠাৎ বৃষ্টি বেশ ভাল্লাগছে, তখন আমি সেমি পোলাপাইন।
এইসবই আপনার পছন্দের তালিকার পরেই নিজের বাড়তি গুলা যোগ করছি..নাইলে সীমানা পেরিয়ে'র মত আধুনিক সিনেমা বাংলা দেশে কোনো কালে বানায় নাই। মাইয়ার বান্ধুবীরে বিয়া করে বাপে------হাউ স্মার্ট, সেই আমলে!!চরম----
১, নয়নের আলোর সেরা গান আমার কাছে আমার বুকের মধ্যে খানে মন যেখানে.............
২. ছুটির ফাদে টা মনে করাইয়া দিলেন। ঝুমুর গঙ্গুলি ছিল। এইটার সময়ের বসুর একটা উপন্যাস। ভারতী বাংলাটায় আছে সেৌমিত্র, অপর্ণা আর উতপল দত্ত। বাংলাদেশেরটাই ভাল্ বেশি।
৩. দুই পয়সার আলতা দিখছিলাম, বেশি নাটকীয়।
৪. এই স্বরলিপি ছবি। এইটার হিন্দিটায় আছে রাজেস খান্না ও সিম্পল, আর ভারতীয় বাংলাটায় আছে উত্তম ও তনুজা।
১) নয়নের আলো ছোট বেলায় দেখছিলাম; জাফর ইকবালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষেই দেখাইছিলো; জাফর ইকবাল -- সেই রকম স্মার্ট একজন নায়ক (@মাসুম্ভাই, শুনছি ববিতার কাছে ছ্যাকা খাইয়া দেবদাস হইয়া লিভার নষ্ট করছিলো জাফর ইকবাল, এরকম গুজব আসলেই প্রচলিত ছিল নাকি ঐ সময়?) নয়নের আলো সিনেমায় সবচেয়ে দুর্বল অভিনয় করছে সুবর্ণা, সুবর্ণা তার অভিনয় জীবনে সবচেয়ে খারাপ অভিনয় মনে হয় এই সিনেমায় করছে । ছবির গাংুলা দারুণ।
২)ছুটির ফাঁদে দেখিনাই; এখন দেখতে মনচাইতেসে
৩)দুই পয়সার আলতা তো একটা অতি নাটকীয় বাংলা সিনেমা, সার্ক এর অনুষ্ঠানে দেখাইছিলো। ঐ সময় ববিতা - রাজ্জাকের একটা সিনেমা দেখাইছিলো নাম মনে নাই সিনেমাটা ভালো লাগছিলো , ববিতার নানা উইল কইরা যায় বিয়ে না করলে সে কোন সম্পত্তি পাবে না, ববিতা তখন খুনের আসামী রাজ্জাকরে বিয়ে করে কারণ দুইদিন পর তো জামাই গন আর সে সম্পত্তিগুলাও পাইবো; বাট রাজ্জাক নায়ক তো ছাড়া পাইয়া যায়, সিনেমায় একটা গানছিলো "আমি কারো খাই না পরি না কারো চাকরী করি.......... আমাকে যঃন তখন চোখ রাঙানো চলবে না"
৪)স্বরলিপীর নাম ভুলে গেলা পাক্না, এইটা ঐ বিখ্যাত গান "গানের ও খাতায় স্বরলিপী লিখে বল কি হবে....", সুযোগ পাইলে উত্তম-তনুজার দেয়া-নেয়া টা দেইখো।
৫)হঠাৎ বৃষ্টি আমারো খুব ভালো লাগছিলো :); আমিও পোলাপাইন আছিলাম
"রুখ যা ইউ ছোড় কে না যা মেরা আঙনা" -- এই নায়িকাটারে খুব ভালো লাগছিলো
মাইয়ার বান্ধবীরে কিন্তু সেই আমলে লোকজন বাস্তবিকই বিয়া করতো; পোলার গার্লফ্রেন্ড বিয়া করার কাহিনীও শুনছিলাম একবার
জাফর ইকবালের কত ভাগ্য ববিতার লগে প্রেম আছিল। আহা.হিংশিত আমি।ববিতার প্রেমে পইড়া লিভার তো কিছু্ই সবকিছুই দেওয়া যায়। আহা..............ববিতা
ছুটির ফাঁদে দেখেন। বাংলাদেশেরটাই বেশি ভালো। মুস্তফা যে কত বড় অভিনেতা সেইটা আবারও বুঝবেন।
রাজ্জাক ববিতার এই সিনেমাটার নাম সম্ভবত কি যে করি
হঠাৎ বৃষ্টি আমারও খুবই ভাল লাগছিল।
৪। আসলে গানডার মাঝে স্মরলিপি আছে বৈলাই কিনা, সিনেমার নাম স্মরলিপি জীবনেও হবেনা টাইপ একটা কিছু ছিলো মাথায়।
৩।আমি কি দুই পয়শার আলতা আর মাটির ঘরে প্যাচ লাগাইছি? বুঝলাম না....(এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই, মানুষ নামের মানুষ আছে দুনিয়া বোঝাই, এই মানুষের ভীড়ে আমার সেই মানুষ নাই???)
প্যাচ লাগান নাই। তয় দুই পয়শার আলতারে লাইক কইরা প্যাচটা লাগাইছেন।
আমি দেখছি "ছুটির ফাদ"। তখন খুব ছুডু আছিলাম। কাহিনী ঠিক ইয়াদ নাই। তয়, মুস্তাফা সাহেবের ভিলেন মার্কা হাসি খুব মনে পরে।
সীমানা পেরিয়ে, জীবন থেকে নেয়া আর টাকা আনা পাই --এই তিনটা ছবি বিটিভিতে দেখছি। আর কিছু দেখি নাই। বাংলা সিনেমা ক্যান জানি দেখা হয় না
দেখেন। অনেক ভাল বাংলা ছবি আছে।
এইটা করা যায় বস... বস... উদ্যোগ নেন
আগ্রহীগন নাম অন্তর্ভূক্ত করেন...
জলদি
নাম খোদাই করে রেখে গেলাম।
১। নজরুল ইসলাম
সিনেমা দেখতে আগ্রহী হয়ে নাম লেখালাম।
টিং....
এই সপ্তাহে কুনটা দেখুম?
এখানে কোনো নেতৃত্বের দরকার নাই। যে কেউ মুভির নাম দিয়ে আহবান জানাইতে পারেন । আমিও দেবো, অবশ্যই।
আমার মনে হয় নেতৃত্বের দরকার আছে। ছড়ায়া ছিটায়া আগানোর কোনো দরকার দেখি না। এমনিতেই সবাই ছবি দেখে, তাহলে চক্রের দরকার কী? নেতৃত্বের দরকার কী?
চক্র দরকার একটা পরিকল্পনা মাফিক আগানোর জন্য... একটা নির্দিষ্ট বিষয় ধরে আগানো। কোনো একজন পরিচালককে টার্গেট করে শুরু হতে পারে [সত্যজিত, কিয়ারোস্তামি...], অথবা কোনো বিষয় ভিত্তিক [দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ফিল্ম ন'য়ের...] অথবা কোনো শিল্পী ধরে আগানো যেতে পারে [উত্তম কুমার, সোফিয়া লোরেন...], অথবা দেশ/অঞ্চল ভিত্তিক হতে পারে [ইরানী ছবি, ল্যাটিন আমেরিকার ছবি...]
ব্যক্তিগতভাবে সিনেমা দেখা আর চক্রের হয়ে সিনেমা দেখার এটাই পার্থক্য। একটা কিছুকে টার্গেট করে এর শেষ দেখে ছাড়া, তা নিয়ে আলোচনা...
ধরা যাক সত্যজিত। হয়তো সবগুলো ছবি দেখা হয়নি। চক্রের অংশ হিসেবে সবগুলো ছবি দেখে ফেলা যায়, যেগুলো আগে দেখা, সেগুলো ডবল শো মারা যায়... আলোচনা করা যায়। এক সময় দেখা যাবে এই চক্রের সদস্যরা সত্যজিত সম্পর্কে প্রায় সবটুকু জেনে গেছেন। তারপর শুরু হতে পারে অন্য কোনো পরিচালক বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে...
এজন্যই বলছিলাম নেতৃত্বটা দরকার আছে। দিক নির্দেশনার দরকার আছে।
নজরুল ভাই এর সাথে একমত।
ঠিক ঠিক.।.।.।।।
আমিও আছি আপনাগো লগে.।
আর আমরা যারা অচিন দেশে আছি তাদের জন্য যদি ইন্টারনেট এ কোন লিঙ্ক থাকে তাইলে সেটাও দিয়েন।।
গল্প হলেও সত্যি
এই ছবিটা কি আছে লিস্টে? একটি অসাধারণ ছবি।
গল্প হলেও সত্যি
কাহিনী ও পরিচালনাঃ তপন সিনহা
মুক্তির সালঃ ১৯৬৬
অভিনয়ঃ ভানু বন্দোপাধ্যায়, যোগেশ চট্টোপাধ্যায়, ভারতী দেবী, ছায়া দেবী, অজয় গঙ্গোপাধ্যায়, বঙ্কিম ঘোষ, রবি ঘোষ, পার্থ মুখোপাধ্যায়, প্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রূদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত
--আরিফ বুলবুল--
এইটার একটা হিন্দী ভার্সন আছে। দেখছেন? বাবুর্চি। রাজেস খান্না ও জয়া ভাদুরী। তবে রবি ঘোষের তুলনা হয় না।
বাংলা সিনেমার নাম আসলে, উপরে ব্যানারে "বেদের মেয়ে জুসনা" টাঙ্গাইয়া বাকী আলাপ করা উচিৎ-------
হুম। এইটা তো ক্লাসিক
কমেন্ট পড়ে মাথা আউলায় গেছে। পোস্টে যেন কী ছিলো?
ভুবন সোম অসাধারণ লেগেছিলো। মৃণাল সেনের মুভির নামে "একদিন" শব্দটা বেশ আসে। (একদিন আচানকটা কি বাংলা ছিলো? থিমটা ভালো লাগলেও মুভিটা কেন যেন তেমন ভালো লাগেনি। মহাপৃথিবী মৃণাল সেনের না? আপনার প্রিয় ডিম্পল ছিলো মনে হয়)। মেঘে ঢাকা তারার জন্য সুপ্রিয়াকে মনে রাখা যায়। শ্রীমান পৃথ্বীরাজ দেখছিলাম। ঐটা দেখার পর আমার এক হাইস্কুল পড়ুয়া তুতোভাইয়ের বেশ বিবাহেচ্ছা জাগছিলো
একদিন আচানক রমাপদ চৌধুরীর উপন্যাস বীজ থেকে নেয়া। হিন্দিতে, শাবানা আজমী ছিলো। উপন্যাসটা বেশি ভাল ছিল। মহাপৃথিবী্ও মৃনাল সেনের। বার্লিন দেয়াল ভাঙ্গা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার পর বিশ্ব পরিস্থিতির যে বদল সেইটা নিয়া ছবিটা। একসময় অনেক অনেক বিষয় বা বিশ্বের যাবতীয় বিষয় নিয়া আতিকুল হক চৌধুরী নাটক করতো, এইটাও সেই টাইপ। আমাকে টানে নাই। আর ডিম্পল ছিল অন্তরীণ ছবিটা্য়।আহা..........ডিম্পল।
সুপ্রিয়া আর কোনো ছবি না করলেও মনে রাখার জন্য এই একটা ছবিই যথেষ্ট।
শ্রীমান সেরকম একটা ছবিই বটে।
লিস্টিটা প্রিন্ট আউট করতে হইবে মনে হয়। দোকানে দোকানে ঘুরাঘুরি করতে হইবে।
মুভি কিনার হুজুগ আবার শুরু হবে।
আসেন। আবার শুরু করি। মোবাইলের কি অবস্থা?
জহির রায়হানের কাঁচের দেয়ালের নাম নাই।
আমার দেখা বাংলাদেশে তৈরি অন্যতম সেরা ছবি। সাধারণ গল্প। বাবা মা বিহীন একটা মেয়ে মামার বাসায় থাকে। তাচ্ছিল্য গন্জনা নিয়ে। কিন্তু শেষে অবস্থা পাল্টে যায় মেয়েটি যখন লটারি পায়। ছবির মেকিং এমন ঝরঝরে যেন কুলকুল করে বয়ে চলা ঝরণা। শেষটা সবচেয়ে দারুন। লটারি পাওয়ার পর সবাই যখন তোষামোদি করছে মেয়েটার। সে তখন তার খারাপ সময়ের বন্ধু বেকার মামা কে নিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়।
ও, এই ছবিটার কথা ভুলেই গেছিলাম। এইটার একটা ভারতীয় ভার্সন আছে দেখছেন? তৃপ্তি মিত্র থাকে। কোনটা যে আগের আমি জানি না। বাঙলাদেশের টায় সুন্দর একটা গান আছে না..............সুমিতা কাজ করছিল, আর খান আতা গান গায়।
সেই মেয়েটির নাম বলবো না নাম বলবো না...........
প্রথম তালিকায় 'ভুবন সোম' টাই শুধু দেখা হয় নাই। বাকি গুলা সব দেখেছি।
এই তালিকায় আমার সবচেয়ে পছন্দের হলো 'মেঘে ঢাকা তারা'। ;পদ্মা নদীর মাঝি', 'মন্দ মেয়ের উপাখ্যান', 'উত্তরা' এধরনের আরো বেশ কিছু ভালো ছবি আছে। আমার বেশ লেগেছিল। থাকতে পারত মনে হয়। বুদ্ধদেব দাস গুপ্ত আর ঋতুপর্ন ঘোষের আরো কিছু ছবি আছে এই মুহুর্তে নাম মনে পড়ছে না। বাতিঘর ভাই উপরে কিছু নাম বলছে অবশ্য।
দ্বিতীয় তালিকার ব্যাপারেতো আসলে কিছু বলার নাই। সত্যজিতের সব মুভিই অসাধারন। তবে 'আগন্তুক' এর নামটা থাকবে ভেবেছিলাম। উৎপল দত্তের অসাধারন অভিনয়। কাঞ্চন জঙ্ঘা যারা দেখে নাই তাদেরকে আরো একবার মাইনাস।
তৃতীয় লিস্টে বেশ কয়েকটা মুভি দেখা হয় নাই। 'সুতরাং' ,'রুপালী সৈকতে' দেখা হয় নাই। বাকী গুলা দেখছি। ১৩ নং ফেকু ওস্তেগার লেইন অসাধারন কমেডি। 'আগুনের পরশমনি' না থাকাটা অন্যায় মাসুম ভাই।
সেইদিন আবার দেখছি। অন্যরকম অনুভূতি। ভিতরে গিয়া মোচড় দেয়। চমৎকার লিস্টের জইন্য ব্যাপক ধইন্যা।
আপনার এই লেখারে উত্তম জাঝা। অনেকের বাংলা সিনেমা নাম শুনলেই নাক সিটকানোর অভ্যাস আছে। কিন্তু বাংলাও যে অনেক ভালো ছবি আছে অনেকে মানতে চায় না। আমার অনেক পছন্দের একটা ছবি আছে, পুরস্কার। অভিনয়ে বুলবুল আহমেদ, মাস্টার শাকিল। আর জীবন থেকে নেয়ার তো কোন তুলনা হয় না। আরো বেশ কিছু দারুন বাংলা ছবি ছিল। আফসোস এখন আর সেইরকম ছবি হয় না।
মন্তব্য করুন