মুভিস টু সি বিফোর ইউ ডাই
১০০ সিনেমা, যা মরে যাওয়ার আগে দেখা উচিৎ। এই নামে নানা ধরণের প্রকাশনা আছে। অনেক লেখকই এ ধরণের বই বের করেন। ইন্টারনেট ঘাটলে সবগুলোই পাওয়া যাবে। তবে তালিকায়র বেশিরভাগ ছবিই হলিউডের।
সিনেমা দেখায় আমার কোনো গাইড ছিল না। ফলে বিটিভিতে বাংলা সিনেমা আর ভিসিআরে হিন্দি সিনেমা দেখে দেখে জীবনের অনেকটা সময় পার করেছি। মাঝে মধ্যে বিটিভেতে সেন্সর তরা মুভি অব দি উইক। এখন আর হিন্দি তেমন সহ্য হয়। অবাক বিস্ময়ে দেখছি আজকাল হলিউডের সিনেমাও খুব সহ্য হচ্ছে না। সম্ভবত বাণিজ্যিক দিকটা বেশি মনোযোগ পাওয়ায় হলিউডি সিনেমায় এক ধরণের পছন্দের সংকট তৈরি হয়েছে। আমি নেটে সিনেমা নামাতে পারি না। ফলে অন্য ভাষার ছবি খুব একটা অনেকদিন দেখা হয়নি। মাঝে মধ্যে কিছু দেখা হয়েছে. কিন্তু নিয়মিত না। তবে বছর খানেক ধরে পরিস্থিতি অনেকটা পালটেছে। এখন অন্য ভাষার মুভি বেশ ভালই পাওয়া যায়। ফলে দেখাও হচ্ছে প্রচুর। আর এসব সিনেমা দেখে আমার ভিতরের পছন্দ-অপছন্দ ভালই ওলট-পালট খেয়েছে বলা যায়।
আমার নেশা দুটা। বউ পড়া আর মুভি দেখা। হয়তো দেখা যায় বইই পড়ছি। আবার হয়তো দেখা যাচ্ছে সিনেমাই দেখছি। এখন চলছে সিনেমা দেখার নেশা।
আজ বলছি ৫টি ভিন্ন ভাষার ৫টি মুভির কথা। হাতে আছে আরও প্রায় ৫০টা অন্য ভাষার মুভি। সুতরাং সামনেও এ নিয়ে লেখা আসবে। এই ৫টি মুভির ক্ষেত্রে বলা যায়, মরে যাওয়ার আগে দেখে নিন।
১. স্প্রিং, সামার, ফল, উইনটার.........অ্যান্ড স্প্রিং-কোরিয়ার সিনেমা, পরিচালক কিম কি-দুক। ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটা দেখে আমি অভিভূত। কেন এর আগে দেখলাম না সেটা নিয়ে চরম আফসুস হল। কিম কি-দুকের ছবিতে সবসময় সংলাপ কম থাকে। এটিও ব্যতিক্রম না। সংলাপ কম, হাতে গোনা কয়েকটি চরিত্র আর একটাই লোকেশন। এই ছবি আমার মাথা থেকে নামবে না। আমি এতোটাই মুগ্ধ যে, আমি খুঁজে খুঁজে দুটো ডিভিডি কিনেছি।
লেকের মধ্যে একটা বাসা। সেখানে থাকে একজন বয়স্ক বৌদ্ধ ভিক্ষু, আরেকটি ছোট ছেলে। সেও দীক্ষা নিচ্ছে। সরল অর্থে বলা যায়, ভিক্ষুদের জীবনের ৫ অধ্যায় দেখানো হয়েছে ছবিটি। কিন্তু আদতে এটি মানুষেরই জীবনচক্র, ৫ ঋতুর মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। আবার একটা মানুষের খুশী, রাগ, দু:খ ও আনন্দের এক একটি অধ্যায় পুরো সিনেমা জুড়ে।
আমি কাহিনী বলতে চাচ্ছি না। তাতে দেখার মজা কমতে পারে। তবে এই সিনেমা না দেখা অন্যায়ের মধ্যে পড়ে।
২. ইন দি মুড ফর লাভ-আমার এখন চলছে ওং কার-ওয়াই সপ্তাহ। আমার একটা পোস্টে ভাস্কর দা এই পরিচালকের ছবির কথা বলেছিল। তারপর থেকে খুঁজছিলাম। ওং কার-ওয়াইকে বলা হয় জীবিত পরিচালকেদের মধ্যে সেরাদের একজন। পর পর তার তিনটা দেখলাম। চুংকিং এক্সপ্রেস, ডেজ অব বিয়িং ওয়াইল্ড ও ইন দি মুড ফর লাভ। এর মধ্যে ডেজ অব বিয়িং ওয়াইল্ড ও মুড ফর লাভ ট্রিলোজির প্রথম দুটি। পরেরটি ২০৪৬। নেক্সট এটাই দেখবো।
আমার কাছে ওং কার-ওয়াইয়ের সেরা ছবি ইন দি মুড ফর লাভ।
হংকং-এর ছবি। ওরা দুজন বিবাহিত। একই দিনে একই ফ্ল্যাটে পাশাপাশি থাকতে এসেছে। এর মধ্যে ছেলেটি, চৌ মো-ওয়ান সাংবাদিক আর মেয়েটি, সু লি-জেন একটি শিপিং কোম্পানির সেক্রেটারি। চৌ-এর স্ত্রীও কাজ করে, নাইট শিফট-এ। লি-জেনের স্বামী প্রায়ই থাকে জাপানে। চৌ এর স্ত্রী ও লি-জেনের স্বামীর মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর এ নিয়ে কথা বলতে বলতে এবং একাকী থাকা এই দুজনের মধ্যে গড়ে উঠে আরেক সম্পর্ক।
সিনেমাটা দেখে মনে হয় কিছুই ঘটছে না। এরপর কী ঘটবে সেই উৎকন্ঠায় পার হয় পুরোটা সময়। ওং কার-ওয়াই বিখ্যাত তার স্টাইলের জন্য। আর আছে মিউজিক। অসাধারণ।
আমি মহা মহা এবং মহামুগ্ধ।
৩. দি বারবারিয়ান ইনভেশনস: ফ্রেঞ্চ-কানাডিয়ান ছবি। ২০০৪ সালে বিদেশি ভাষায় সেরা অস্কার পাওয়া ছবি। এটিও আমার কাছে অনেকদিন ধরে ছিল। দেখবো দেখবো করে দেখা হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত দেখেই ফেললাম।
বাবার অসুস্থ্যতার খবর পেয়ে লন্ডন থেকে চলে এসেছে ছেলে সেবাস্টিন। বাবা ও মার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তারপরেও সবাই চলে এসেছে। মারা যাচ্ছে রেমি (বাবা)। শেষ সময়টা আনন্দে রাখার জন্য ছেলে বাবার পুরোনো বন্ধুদের সবাইকে জড়ো করে। শুরু হয় নতুন এক অধ্যায়। মরে যাওয়ার আগে সবার হাসি-খুশী মুখ দেখার বিরল সৌভাগ্য হয় রেমির। শেষে সবাই মিলে নেয় এক অসাধারণ সিদ্ধান্ত। কী সেটা আর না বলি।
৪. দি লাইভস অফ আদার্স: পুর্ব জার্মানির ঘটনা। জার্মানির সিক্রেট পুলিশের ক্যাপ্টেন গার্ড ওয়েসলার মূল চরিত্র। তার দায়িত্ব পরে নাট্যকার জর্জ ড্রেইম্যানের উপর নজর রাখার। পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে এই ছিল অভিযোগ। দ্রুতই ওয়েসলার বুঝতে পারে গোয়েন্দাগিরির রহস্য। ড্রেইম্যানের বান্ধবী ও অভিনেত্রী মারিয়ার উপর চোখ পড়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রীর। মারিয়াকে পেতেই এই নজরদারি।
ওয়েসলারের কাজ গোপন ক্যামেরায় সর্বক্ষণ নজর রাখা ও যা দেখছে তা লিখে রাখা। আস্তে আস্তে ওয়েসলার নিজেই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যায়।
ছবিটার পটভূমি রাজনীতি। এর শেষ হয় বার্লিন ওয়াল ভেঙ্গে ফেলার পর। এর মধ্যে ঘটে যায় নানা ঘটনা। অসাধারণ এক ছবি। এটিও ২০০৭ সালে বিদেশী ভাষার সেরা ছবির অস্কার পেয়েছিল। জার্মানির ছবি এটি।
৫. সিনেমা প্যারাডিসো- এই ছবিটা অবশ্য অনেক আগেই দেখা। আমার ধারণা অধিকাংশ মুভিপ্রেমীরা দেখেও ফেলেছেন। যারা এখনো দেখেননি, তারা কেন দেরী করছেন। এই ছবিটা না দেখে মরে যাওয়া ঠিক হবে না।
ইতালির এই ছবিটি ১৯৮৯ সালে সেরা বিদেশি ভাষার ছবির অস্কার পেয়েছিল। এক সিনেমা পাগল মানুষের ছবি। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত আছে নানা ঘটনা।
ইতালির নামকরা পরিচালক সালবাতোর ডি ভিটা ১৯৮০ সালের একটি দিনে রোমের নিজের বাসায় ফেরার পর জানতে পারে তার মা ফোন করেছিলেন। জানাতে বলেছেন যে, আলফ্রেডো মারা গেছে। তারপরই সিসিলির ৩০ বছর আগের ঘটনার মধ্যে চলে যায় সিনেমা।
কেবল অসাধারণ বললে পুরোটা বলা যাবে না সিনেমাটা নিয়ে।
এক মাসের ছুটি নেব ভাবছি। তারপর আপনের লিষ্টি ধইরা সব ছবি দেখুম...
খালি লিস্ট দেখি আর দেখতে মন চায় কিন্তু দেখা আর হয় না। এই জীবনে সব আর দেখা হবে না বুঝলাম। তবু লিস্ট জমাই।
বউ পড়া কি মাসুম ভাই??
বিয়া করলে বুঝবেন। এখন বুইঝা কাম নাই
আপনে তো জানেনই আমারে খুব সল্প নোটিশে দেশে যেতে হতে পারে।তাই আগে থেকেই জেনে রাখলাম।
কুন চিন্তা নাই। আমি তো আছিই
বউ কি বই এর মত পড়ে নাকি? (কি জানি কইতে গিয়া গিলে ফেল্লাম।)
রায়হান ভাই কুথায়?
পড়ি তো।
রাসেলরে বুঝায়া বলেন। আমি নিজে জানতে চাই নাই।রাসেল আমারে এই পোষ্টে ডেকে নিয়ে আসছে আপনাকে এইটা বলার জন্য।
আমি ভাবলাম তুমিই জানতে আসছো। তাত্ত্বিক না ..........?
মিছা কথা কওনের জন্য আপনার আম খাওন বন।
আম খাওন বন, এই ডর দেখান কেন? আম খাওয়ার ব্যবস্থা করেন জলদি। সবাই মিলে এক ঝুড়ি খাব। বেশী ত চাই নাই।
মাত্র এক ঝুড়ি?
এইসপ পোস্টের পর স্টারে বসা উচিত
আমার দুস্ত ভালু।
হ, খাওয়াও।
আমি কেনারই সুযোগ পাইনা। খালি কাগজে কলমে লিস্টই বানাইতেছি...কিনলে আবার দেখার সুযোগ হয়ে উঠেনা।
তবে ধীর গতিতে হলেও দেখবো ভালো ভালো ছবি...
দেখেন, ভাল লাগবে।
আমি মুভিসংক্রান্ত পোষ্ট গুলি খুব বিশ্বাস নিয়ে ফলো করি। আপনেরগুলো আরও। ঈমানে কৈ, এখনও ধরা খাই নাই।
পারলে কোরিয়ান ছবি দেইখেন আরও বেশি। জাষ্ট এম্যাজিং। ২০০৭ থেকে দেখা শুরু করছি, এখনও সুযোগ পেলে নেটে খুজে পেলে দেখি।
আমি আবার নেটকানা। ছবি নামাইতে পারি না। দোকানই ভরসা। কোরিয়ার ছবি খুব বেশি পাই না। অল্প দেখলেও তাতেই মহামুগ্ধ।
বিদেশি ভাষার ছবি মানে যার বেশিরভাগ আসলে ইউরোপিয়ান দেখতে দেখতেই আসলে সিনেমা দেখতে শিখছি। হলিউডি ছবির মজা পাওয়ার আগ পর্যন্ত বেশ রিজিড থাকাতে ইউরোপিয়ান ছবিরেই একমাত্র সিনেমা প্রকৌশল হিসাবে ভাবতাম। তাই এই প্রথম আপনের তালিকার প্রায় সব ছবি দেখা বইলা মিলাইতে পারলাম। কেবল বারবারিয়ান ইনভেশনটা বাদে বাকীগুলি কমন। যার মধ্যে লাইভ্স অফ আদার্স ছবিটা বাদে বাকীগুলিরে ক্লাসিক হিসাবে মানি, ক্লামিক মানে কাল্ট ক্লাসিক বুঝাইতে চাইছি...
পুরোটাই একমত। ২০৪৬ দেখা শুরু করছি।
"In The Mood for Love" ভয়ানক ভালো। তবে ওয়াং-কার ওয়াই এর "Chungking Express" না দেখেও মরে যাওয়া ঠিক হবেনা, মাসুম ভাই।
চুংকিং এক্সপ্রেসও ভালো। তবে ইন দ্য মুড ফর লাভের কাছে কিছুই না
একমত হইলাম না মাসুম ভাই। চুংকিং এক্সপ্রেস অসাধারন মানবিক সম্পর্কের ছবি, ইন দ্যা মুড ফর লাভ ও তাই। তবে দুইটার আবেদন দুইরকম।
মুড ফর লাভই সেরা। তালগাছটা আমারই
চাংকিং এক্সপ্রেস আর ইন দ্য মুড ফর লাভ দুইটারে সমান সমান ভাল পাই। মন উদাস থাকলে ইন দ্য মুড ফর লাভ, আর মন খুশ খুশ থাকলে চাংকিং এক্সপ্রেস। টনি লাং এর প্রেমে পড়ছি চাংকিং এক্সপ্রেস দেইখা আর তারে ভালবাইসা ফেলছি ইন দ্য মুড ফর লাভ দেইখা । আর ম্যাগি চ্যাং-এর প্রেমেও হাবুডুবু ইন দ্য মুড ফর লাভ দেইখা। আর ওং কার ওয়াইরেও ভালবাসি। তাই কোনটারে কোনটার থেইকা ভাল পাই আসলে বলা মুশকিল
ইন দ্য মুড ফর লাভ বেশি ভালো
শিক্ষামূলক লেখা। থ্যাংকস মাসুম।
কিছু কিছু দেখি যদিও, সত্যি সত্যি যদি সবগুলো দেখতে পারতাম... আহ, জীবন কত পূর্ণ হতো!
আহা, এখনো জীবনে কথা সিনেমা দেখা বাকি।
আ্যানাদার ওয়ান থাউজেন্ড
হ, তাইতো কইলো।
আলফ্রেডো, আলফ্রেডো।
চমৎকার একটা মুভি প্যারাদিসো।
আমার খুব প্রিয়।
বাকিগুলো দেখা হয় নাই
বাকিগুলোও দেখে ফেলেন। ভাল লাগবে
ডাচেদের একটা বিখ্যাত সিনেমা আছে Turks Fruit
সিনেমাটা আমি আগেও খুঁজছি, পাই নাই। এইটা নাকি ডাচবাসীদের দেখা ফরজ?
বাপরে!!
বস প্রিয়তে নিলাম, দেইখা ফেলবো।
কেমন লাগলো কইয়েন।
আমার সিডি গুলো ভাড়া দিবেন? সত্যি বলতি ফেরৎ দেব। দয়া করে দিবেন বলেন?
দেবো। (বহু কষ্টে কইলাম)
'স্প্রিং, সামার, ফল, উইনটার.........অ্যান্ড স্প্রিং' এইটা দেখছিলাম ২০০৮ সালে ! কী যে ভাল লাগছিলো দেখে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । কিন্তু ওঁর আর সিনেমা দেখা হয়ে উঠেনি । মানে আমি যে শহরে থাকি সেইখানে এইসব পাওয়া দুষ্কর ! ড্রিম , ব্রেথ , টাইম , দ্যা বো , থ্রি আয়রন , দ্যা কোস্ট গার্ড ইত্যাদি সিনেমার স্রষ্টা এই কিম কি ডাক । এইগুলা না দেখা পর্যন্ত মনে শান্তি আসবে না ।
আপ্নের লেখা বাকি সিনেমাগুলা দেখি হয় নাই ! আপ্নে এই লেখা দিয়া আমার সিনেমার ক্ষুধা জাগাইয়া দিলেন । শীগগির ই ঢাকায় দৌড়ান দিতে হইব সিনেমার লাইগা । ধন্যবাদ ক্ষিধে জাগানোর জন্য । এই লন . . .
কিম দুকের সিনেমাগুলো একটা একটা কইরা দেখতে হবে। ধন্যবাদ
ওহ আরেকটা আছে Ogen Hakken Echte Liefde
এমনিতে ডাচদের সিনেমাগুলো কেমন হয়? ইন্ডাষ্ট্রিটা কতো বড়ো?
ডাচদের ফ্লিম ইন্ডাষ্ট্রি ততো বড় না। ফ্লিম ইন্টারেষ্টেড লোকেরা হলিউডে পাড়ি জমায়। তবে ওদের বিখ্যাত বেশির ভাগ সিনেমাই শরীর বেইসড। বেসিক ইন্সটিক্ট এর ডিরেক্টর ডাচ। ফিতনা'র কথাতো শুনেছেন নিশ্চয়।
Antonia's Line নামের একটা ডাচ মুভি দেখছিলাম। সিনেমাটা ১৯৯৫ সালে অস্কার জিতছিলো। এইটাও অনেকটা শরীর নির্ভর সিনেমা।
এন্তোনিয়া নামের এক গ্রামের মহিলার গল্প, তার মেয়ের গল্প, তার নাতনীর গল্প। ভালো লাগছিলো মুভিটা।
Character (1997) নামে আরেকটা ডাচ সিনেমা ১৯৯৭ সালে অস্কার জিতে নেয়। এইটা আমার দেখা ডাচ মুভিগুলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগছে।
পিতৃপরিচয়হীন এক দরিদ্র যুবকের গল্প। অনেক কষ্ট করে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সেই সময় জানতে পারে শহরের অন্যতম প্রভাবশালী মানুষটি তার বাবা, তার মা এক সময় এ্ই লোকের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। বেশ নাটকিয়তা আছে সিনেমাটাতে।
একই পরিচালকের, সহকারী পরিচালক হিসেবে তৈরী করা আরেকটা সিনেমা Winter in Wartime, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গল্প, এইটা নামাইছি অনেক আগে এখনো দেখা হয় নাই।
The Assault (1986) নামের আরেকটা ডাচ সিনেমা অস্কার নিছিলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গল্প নিয়ে। আমার কালেকশনে আছে এখনো দেখা হয় নাই।
Turkish Delight (1973) , Twin Sisters (2002), Zus & zo (2001), Village by the River (1958) আরো কয়েকটা ডাচ সিনেমা অস্কারে নমিনেশন পাইছিলো।
Turkish Delight দেখলাম, বাপরে। বেসিক ইন্সটিংক্ট এর পরিচালকের ছবি। নেট ঘাইটা দেখলাম এইটারে সেরা ডাচ সিনেমা বলা হয়।
আবারও বলি, বাপরে
টুটুল ভাইর কমেন্টকে পিছলায় গেলেন বলে মাইনাস। মুভি পোস্টে কমেন্ট করলে কি কি উপহার মিলবে এইটা লেখার ফুটনোটে জুড়ে দেন নইলে কমেন্ট করুম না
কিছু কইলা?
১ আর ২ বাদে বাকি সবগুলা দেখা ছিলো। আপনের রিকমেন্ডে ১,২ নামাইছি। ১ ইতিমধ্যে দেইখা ফেলছি.... আরো একবার দেখবো ভাবতাছি।
আপনে কি 'Raise the Red Lantern (1991) ' দেখছিলেন ?
১ নং টা কেমন লাগলো সেইটা বলো। চীনা এই ছবিটা দেখি নাই।
ঘোরের মধ্যে ছিলাম। কয়েকটা মাত্র ডায়লগ , কয়েকটা মাত্র চরিত্র আর একটা মাত্র লোকেশন....... কিভাবে সম্ভব এমন সিনেমা বানানো !!!
তবে সিনেমার মূল গল্পটা সিনেমাটা শেষ হবার পরে বুঝছি। অসাধারন
ছবিগুলো দেখব ।
আপনি কি সামুতে লিখতেন?
মাসুম ভাইকে করা প্রশ্নটার জবাবটা দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না।
- জ্বী । সামু খোয়াড়ে রুপান্তরীত হবার আগে মাসুম ভাইয়ের মত অনেক অধমই সেখানে লিখতো।
মাসুম ভাই, স্প্রিং সামার ফল উইন্টার এ্যাণ্ড স্প্রিং ছবিটা দেখলাম। দেখে আপনার মতই অনুভূতি হল প্রথমে, কেন ছবিটা আরও আগে দেখলাম না, বিরাট আফসোস।
বাকিগুলো দেখেন। ভাল লাগবে
শুধুমাত্র প্রথমটা দেখছি
বাকিগুলো পাওয়া যায়।
পোস্টে মাসুম ভাই উল্লেখ করেছেন সিনেমা দেখায় উনার কোন গাইড ছিল না। কৃতজ্ঞতার সঙ্গে জানাচ্ছি আমি (এবং হয়তো আরো কয়েকজন) মাসুম ভাইকে পেয়েছি ভালো সিনেমা দেখার গাইড হিসাবে।
লো-স্পিড এর ইন্টারনেট থেকে ছবি নামানো কতটা কষ্টকর টের পেলাম গত তিন সপ্তাহ ধরে। তারপরও স্প্রিং, সামার...., ইন দি মুড ফর লাভ, দি লাইভস অফ আদার্স আর সিনেমা প্যারাডিসো নামালাম। দি বারবারিয়ান ইন্টারভেনশন নামাবো আশা করছি।
সিনেমা প্যারাডিসো দিয়ে শুরু। শিশু টোটোর সিনেমার প্রতি আগ্রহ, কিশোর টোটোর ভালোবাসা, আলফ্রেডোর আগলে রাখা, শেষে বিখ্যাত পরিচালকে পরিণত হওয়া, আবার হারানো ভালবাসার দেখা পাওয়া- ভালো লাগলো। নস্টালজিয়াতে আক্রান্ত করে সহজেই। যারা নেট থেকে নামাবেন সিনেমা প্যারাডিসো: নিউ ভার্সনটা নামাবেন। এর আরো দুইটা ভার্সন আছে ১২৩ মিনিট আর ১৫৫ মিনিটের, নিউ ভার্সনটা ১৭৩ মিনিটের।
স্প্রিং, সামার.... আর কিছু নয় শুধু নিঃসঙ্গ নিসর্গের সৌন্দর্যের জন্যই দেখা যায়। এ ছবি না দেখে মরাটা মনে হয় উচিত হবে না। এটাকে এক নম্বরে রাখাটা (জানি না রাখাটা মাসুম ভাইয়ের ইচ্ছাকৃত কিনা) পুরোপুরি জাস্টিফাইড। অলরেডি দু'বার দেখেছি। আরো একবার দেখবো।
ইন দি মুড অফ লাভ বিষণ্ণ করলো। ছবির শেষে মন্দিরের দেয়ালে গোপন কথাটা গেঁথে রাখার বিষয়টা ভালো লাগলো। আমার মনের গোপন দেয়ালে কত কথাই যে গেঁথে রাখি!!
তবে যে ছবি থেকে পাওয়ার আশা কম ছিল তাই দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। দি লাইভস অফ আদার্স এর ওয়াইসলার (জার্মান উচ্চারণ ভাইসলার হবে মনে হয়) এর ত্যাগটা অনেক বেশি মনে হয়েছে। ছবিতে যখন সে ড্রেম্যান এর ব্যাপারে তথ্য গোপন করছিল, প্রথমে মনে হয়েছিল হয়তো অভিনেত্রীর জন্যই করছে এসব। কিন্তু সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়ে ড্রেম্যানকে বাঁচিয়ে দেয়াটা এবং ছবির শেষদিকে যখন ড্রেম্যান বিষয়টা ধরতে পারে তার প্রতিক্রিয়া দুটোই আশাবাদ জাগানিয়া। HGW XX/7 এর প্রতি নিজের বই (Sonata for a Good Man) উৎসর্গটা ফেসলেস সিস্টেমের যে অংশটা একদিন মানবিক হয়ে গিয়েছিল তার প্রতি হয়তো একধরনের শ্রদ্ধার্ঘ। উইকি থেকে পরিচালকের একটা উদ্ধৃতি দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না, "More than anything else, The Lives of Others is a human drama about the ability of human beings to do the right thing, no matter how far they have gone down the wrong path"। ধন্যবাদ মাসুম ভাই।
ভালো কথা Turks Fruit নামিয়েছি!! আজ রাতে দেখবো।
Turks Fruit আমার ভাল লাগে নাই।
সচেতন ভাবেই আমি এক নম্বর ঐ ছবিটা রেখেছি।
Turks Fruit কিভাবে শতাব্দীর সেরা ডাচ ছবি হল বুঝলাম না। আমারও তেমন কিছু মনে হয় নাই।
৫ নাম্বারটা দেখছি। বাকি গুলা নামাবো। কোরিয়ান মুভি গুলা ভাললাগটেছে
কোরিয়ান ছবি আসলেই দারুণ।
পঞ্চমটা ছাড়া একটাও দেখি নাই। আসলে বিদেশী ভাষা হলেই দেখব কী দেখব না দ্বন্দ্বে পড়ে যাই। যাই হোক অন্য চারটাও দেখে ফেলব। Thanks for recommendations.
-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;
চমৎকার একটি তালিকা আমার সাথে মিলে গেলো বিশেষ করে কিম কি দুক , অং কার ওয়াই ভীষণ প্রিয়
মন্তব্য করুন