মুভি ব্লগ: আনথিংকেবল ও আরো দুই ছবি
সন্ত্রাসবাদি হামলা নিয়ে হলিউডি মুভিগুলো আজকাল আর দেখি না, বলা যায় দেখতে চাই না। এসব মুভির বক্তব্য কি হবে সেটি না দেখেই বলা যায়। হার্ট লকার অস্কার পাওয়ার পর এখন শুরু হয়েছে ইরাকে মার্কিন সেনাদের বীরত্ব আর পায়ে পায়ে বিপদে থাকা নিয়ে ছবি। আর তাই কিনেও বর্ণ সিরিজের নির্মাতাদের তৈরি মুভি গ্রীনজোন এখনও দেখা হয়নি।
আমি যেখান থেকে মুভি কিনি তারা বলতে গেলে জোড় করেই মুভিটা ধরিয়ে দিলো হাতে। আর আমিও নিয়ে আসলাম। মুভি কভারের পিছনে গল্পের ছোট প্লটটা বাসায় এসে পড়লাম। দেখি সেই টেরোরিস্ট বিষয়ক ঘটনা। এক মুসলিম টেরোরিস্ট তিনটা বোমা বসিয়ে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দিয়েছে-এটাই ছবির মূল থিম। তাই সপ্তাহ খানেক পড়ে রইলো মুভিটা। কিন্তু গত শুক্রবার খানিটা সময় পাওয়ায় দেখেই ফেললাম ছবিটা।
আনথিংকেবল-মুভিটার নাম। আসলেই অচিন্তনীয় একটা মুভি। এতোটা ভয়াবহ ছবি আমি খুব বেশি দেখেছি বলে মনে পড়েছে না। বলা যায় এই মুভি আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছে ভিতর থেকেই।
আমরা যাকে ঠিক মনে করি, তা কতণ পর্যন্ত ঠিক থাকে? যাকে সত্য বলে মানি, তাকে কতণ পর্যন্ত মানবো?

স্টিভেন আর্থার ইয়াঙ্গার বা ইউসুফ, একজন খাঁটি আমেরিকান। সে তিনটা নিউকিয়ার বোমা বসিয়েছে মার্কিন তিনটি শহরে। দাবি না মানলে এগুলো ফাঁটবে। সময় মাত্র তিনদিন। ইউসুফ আবার নিজেই ধরা দিয়েছে। সুতরাং কাজটা সহজ। কথা বের করতে হবে। সব সংস্থাকে নিয়ে টিম গঠন হয়। এফবিআই এজেন্ট ব্রডি, দলের একমাত্র নারী সদস্য। হামফ্রি, যার আরেক নাম এইচ, একজন বিশেষ ব্যক্তি। সে টর্চার বিশেষজ্ঞ। শুরু হয় টর্চার।
মার্কিণ দেশটি নিজেদের সভ্য দাবী করে। ফলে দৈহিক টর্চার আইনসিদ্ধ না। এজেন্ট ব্রডি মনে করে দৈহিক টর্চারের ফলে সত্যি কথাটা বের করা যায় না। এইচ আবার সে মতে বিশ্বাসী না। এইচ তারপরেও ব্রডিকে সঙ্গে নেয়। তারপর শুরু হয় টর্চার। প্রথম সুযোগেই কাস্তে দিয়ে আঙুল কেটে নেয় এইচ। সভ্য মার্কিনীরা আতকে উঠে। কিন্তু কথা তো বের করতে হবে। শুরুতে যা বেআইনী মনে হয়েছিল, আস্তে আস্তে সেগুলোই স্বাভাবিক মনে হতে থাকে। কিন্তু, প্রস্তুত হয়েই আছে ইউসুফ। কথা বের করতে পারে না এইচ। ইউসুফ শুরুতেই বলে দেয় তার কাছে বোমা আছে কি নেই সেই প্রমান যেন কেউ না চায়।
তীব্র টর্চারের এক পর্যায়ে কথা বলা শুরু করে ইউসুফ। জানায় কোথায় বোমা আছে। সেই বোমা উদ্ধার করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। বরং পরিকল্পনা অনুসারে বোমা ফাটে এক শপিং মলে, মারা যায় ৫৩ সাধারণ মানুষ। এজেন্ট ব্রডি এবার নিজেই চেপে ধরে চাকু। ইউসুফ কেবল ঠান্ডা মাথায় বলে, বলেছিলাম না, আমার কাছে প্রমান চাইবা না। কিন্তু সেজন্য ৩ জন সাধারণ মানুষকে মারা হলো কেনো-প্রশ্ন করলে ইউসুফ বলে তোমরা প্রতিদিন এরকম তো মারছো।
দুইটি দাবী জানায় ইউসুফ। যেমন, যেসব মুসলিম দেশে পুতুল সরকার আছে তাদের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে হবে এবং সব মুসলিম দেশ থেকে মার্কিণ সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।
একজন টেরোরিস্টের কারণে মার্কিণ পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের দাবি মানার কোনো কারণ নেই। ফলে আবার শুরু হয় টর্চার। এবার নিয়ে আসে ইউসুফের স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়েকে। ইউসুফের সামনে গলা কেটে মেরে ফেলা হয় তার স্ত্রীকে। কথা বলে না ইউসুফ। এরপর ছেলে মেয়ের পালা।
বাচ্চাদের গায়ে হাত তোলা যায় না বলে যারা এইচকে চর-লাথি মারে, একটু পর তারাই আবার বাচ্চা দুটোকে হাজির করে টর্চার রুমে। সুতরাং কোনো সত্যি বা সঠিকই শেষ পর্যন্ত সঠিক থাকে না।
শেষ পর্যন্ত আর গল্পটা না বলি। বেল বলি দুর্বলচিত্তরা ছবিটা দেইখেন না। আর বাকিদের দেখা কর্তব্য বলেই মনে করি।
এবার বোনাস দুটো ছবির রেফান্সে দেই। মার্কিণ পররাষ্ট্রনীতির ফল হিসেবে মুভি দুটোকে দেখা যেতে পারে।
আজামি: এটি ইসরাইল ও জার্মানির যৌথ ছবি। এর পরিচালক দুজন। একজন প্যালেস্টাইন আরেকজন ইসরাইলি ইহুদি। তেল আবিবে বসবাসকারী আরব ও খ্রিশ্চানদের জীবন যাত্রার ছবি। খানিকটা ডকুমেন্টারি ভাব আছে ছবিটায়। তবে এক নিশ্বাসে দেখা যায়। ছোট ছোট ৫টি ঘটনা এক জায়গায় আনা হয়েছে।

এবারের অস্কারে সেরা বিদেশী ভাষার ছবি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিল।
কিভাবে এখানকার মানুষ টিকে আছে সেটি দেখার জন্য এই মুভিটা দেখা উচিৎ।
পারাডাইস নাউ: ২০০৫ সালের ছবি। প্যালেষ্টাইনি মুভি এটি। এটিও সেরা বিদেশি ভাষার ছবি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিল। আর এর বিষয়বস্তু নিয়ে মহা হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল ইসরাইলীরা। এর ফলে নাকি সুইসাইড বোমাকে গ্লোরিফাই করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ছবিটি পুরস্কার জেতেনি।
সাইদ ও খালিদ। দুই যুবক। ঢুকবে তেল আবিবে। সুইসাইড বোমা নিয়ে ঢুকবে। সব প্রস্তুতি নেয়। নিজেদের বক্তব্য ভিডিও করে। তারপর গায়ে বোমা বেধে রওয়ানা দেয়। কিন্তু সাইদ ঢুকতে পারে, খালিদ পারে না। একা একা সাইদ ঘুরে বেড়ায়। সারা শরীরে তার বোমা।
শেষ দৃশ্যটা তো অসাধারণ।

পুরো ছবিতে একটি যুদ্ধের দৃশ্য নেই বলা চলে। কিন্তু সারা ছবি জুড়ে যুদ্ধের ভয়াবহতা ছড়িয়ে আছে। অসাধারণ একটা মুভি।





আনথিংকেবল দেখলাম মাসুম ভাই...ভায়োলেন্স না দেখাইয়াও যে ভায়োলেন্ট ছবি বানান যায় এইটা প্রমাণ করছেন ডিরেক্টর। ভায়োলেন্সের দর্শন নিয়া ছবি বানাইছেন গ্রেগর জর্ডান, কিন্তু সেইটা ডিল করতে উচ্চকিত রক্তারক্তি করেন নাই বললেই চলে...আমার ভালো লাগছে বেশ।
তবে এই সেন্সিটিভ বিষয়ে পলিটিক্যালি প্রায় কারেক্ট একটা ছবি দেখলাম অনেকদিন পর...ধন্যবাদ আপনের সাজেশ্চনের জন্য।
এই মুভি গুলা দেখা হয় নাই। তবে ভায়োলেন্স ছাড়া ভায়োলেন্ট মুভির কথা শুনেই রোড টু পারডিশন এর কথা মনে পড়ল। গ্যাংস্টার মুভি কোনো একশন সিকোয়েন্স ছাড়া। অসাধারন একটা মুভি। যাই হোক, এইগুলাও দেখতে হবে।
রোড টু পারডিশন-সেরম একটা ছবি
হুম। পলিটিক্যালি প্রায় কারেক্ট একটা মুভি।
আজামি আর প্যারাডাইস নাউ দেখছি।
আজকা ভাষ্করদা'র বাসায় গিয়া আনথিংকেবল এর ডিভিডি দেখলাম, আপনের পুস্ট আগে ছাড়লে ডিভিডিটা নিয়া আসতাম ... আফসুস ভুলে মিসটেক হইয়া গেছে।
তবে আজকে রাইতে ডাউনলোড দিয়া ঘুমামু।
কাহিনী কী? ভাস্করদার বাসায় কেন?
আনথিঙ্কেবল আর প্যারাডাইজ নাউ দুইটাই দেখছি। গ্রীন জোন দেখা উচিৎ। ইরাকে উইপন অফ ম্যাস ডেসট্রাকশন নিয়ে যে কনস্পিরেসি সেটার উপরে মুভি।
গ্রীণ জোন দেখা শুরু করছি।
প্যারাডাইস নাউ ছাড়া কোনটিই দেখি নি। তাড়াতাড়ি দেখে ফেলতে হবে।
মাসুম ভাইয়ের মুভিপোস্ট! সাজায় রাখার জিনিস।
বাকি দুইটাও দেখে ফেলেন।
পলিটিক্যাল কন্সপিরেসী'র উপরে দাঁড়ানো গ্রীন জোন সিনেমাটা দেইখা ফেলেন মাসুম ভাই। ইরাকে আক্রমণের মার্কিনি চক্রান্তের অন্ততঃ এই সম্ভাবনাময় দিকটা জানা থাকা ভালো। সাংবাদিক হিসাবে রাজীব চন্দ্রসেকারানের বইটাও পইড়া ফেলতে পারেন...একটা নন ফিকশনের উপর দাঁড়ানো ফিকশন দেখনের মাজাটাই আলাদা..চিন্তার খোরাক তৈরী করে অনেক।
আজই খানিকটা দেকলাম। কাল ছুটি আছে। শেষ করে ফেলবো।
পোস্ট পড়লাম রাত ১।৪৫ শে আর শেষ করলাম রাত ৪ টায়।আনথিঙ্কেবল আসলেই একটা আনথিঙ্কেবল সিনেমা।
মাসুম ভাইরে ধন্যবাদ।
বাহ, এরকম দর্শকই তো চাই।
এখন প্যারাডাইস নাও দেখতেছি।

সেদিন সচলায়তনে সিরাতের পোষ্ট পড়ে আনথিঙ্কেবল ছবিটা দেখলাম। অসাধারণ একটা ছবি। পরিচালক এখানে আমাদের মোরালিটির লিমিট পয়েন্টটা ধরিয়ে দিতে চেয়েছেন।
অন্য দুই ছবি দেখা হয় নাই। তবে আশা করছি শিগ্রই দেখে ফেলব। ধন্যবাদ।
দেখেন। ভাল লাগবে।
আনথিংকেবল আর গ্রীনজোনটা দেখেছি, আমারো বিশেষ ভালো লাগেনি, কারণটা একই। পরিণতি জানা। তবে গ্রীনজোনের ম্যাট ডেমনের আমি আবার ভক্ত.. হা হা হা।
থ্যান্কস বস।
বর্ণ সিরিজের পাঙ্খা আমি।
আজকাল আমেরিকা বাদে দুনিয়ার সব ছবি ভাল্লাগে
আমিও আজকাল নন-হলিউডি মুভির দিকে বেশি ঝুঁকছি
তিনটাই অসাধারণ। বস পিটার কাস্টার্সের পোস্টটায় একটু ক্লিকাইয়েন
পড়ছি। টাসকিও খাইছি।
আপনারা ছবি দেখার সময় পান কখন! তার পর আবার আড্ডা মারেন!
আনথিংকেবল!
মুভিটাতে এথিকসের লিমিটেশনের যে দিকটা তুলে ধরছে সেটা চমৎকার ... আরো ভালো লাগছে স্যামুয়েল জ্যাকসনের অভিনয়
তবে মুভির যে ইনার টোন, সেটা আল কায়েদাকে সরাসরি সমর্থন দেয় ... যে দুটো এজেন্ডা ইউসুফের এই মুভিতে, একই এজেন্ডা বিন লাদেন ঘোষনা করছিলো সেপ্টেম্বর ইলেভেন এ্যাটাকেরও বেশ আগে ...
যতই ফ্রিডম অভ স্পিচ বলুক, আমেরিকাতেও এই মুভি ২০০১~২০০৫ সময়ে তৈরী করা সম্ভব হতোনা... তাও আমি বাহবা দেই যে দশ বছরের মাথায় এমন মুভি আমেরিকান সরকার এ্যালাউ করেছে
তার মানে কী? আমেরিকানরা এখন এটাকে প্রচ্ছন্ন ভাবে হলেও সমর্থন করতে চাচ্ছে? মানে মার্কিণ পররাষ্ট্রনীতির দুর্বলতা নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছে?
এহ, ভালো ভালো সিনেমা দেখতে দেখতে হয়রান, এখন একটা চিক ফ্লিক টাইপ দেখতে মন্চাইতাছে----
বাংলায় যারে বলে মিষ্টি প্রেমের ছবি...
কোরিয়ান মাই স্যাসি গার্ল দেখেন।
আনথিংকেবল নামাইতে দিলাম।
কত কিছু যে জীবনে দেখা হবে না!
দেখছেন?
জ্বি দেখলাম।
ভালো লেগেছে।
যুদ্ধে সব জায়েজ।
আনথিংকেবল দেখার সাহস কররাম না। গল্প শুনেই আর দেখার সাহস নাই। প্যারাডাইস নাউ আজ দেখবো।মাসুম ভাইরে ৫ কেজি ধইন্যা। নিজ খরচে কিনে নিয়েন।
ফুপ্পি যেহেতু আপ্নে ভয় পান তাই প্যারাডাইসের লাস্ট সীনে যখন দেখবেন সাঈদ একটা বাসে উইঠা বসছে, যেই বাসে সবাই আর্মির ড্রেস পরা; তখন আর বাকী দুই-তিন মিনিট না দেইখা অফ কৈরা দিয়েন।
কেন ওইটাতে কি আছে? সবাই খালি ভয় দেখায় কেন? পারফিউম দেখতে বসছিলাম সেদিন। ৫ মিনিটও দেখতে পারিনি।পিসি অফ করারও সাহস পাইলাম না, পায়ে লাথি দিয়ে পাওয়ার অফ করে দিছি। আর রাতে ঘুমাতে পারি নাই। কি ভয়ংকর!
ফুপ্পি ডাক শুনতে খুউপ চুইট লাগতেছে। ডাকতে থাকেন। রাসেল আশরাফ বদরে এক্টা গিফট দিয়েন। এত সুন্দর এক্টা ডাক খুঁজে বাইর করছে।
এত ভয় পাইলে চলে?ফুপারে সামাল দিবেন কেমনে?
পারফিউমের ভয়ের কিছু নাই।
মীরদা@আমার গিফট লাগবো না।আপনে খালি আমাদের আরোও ভাই বেরাদর খুইজা বের করেন।

বেশি কিছু নাই গো ফুপ্পি। কিন্তু আপ্নে তো পারফিউম'ই দেখনের সাহস কর্তে পারেন্নাই। তাইলে আর ক্যামনে কি? আপ্নে টয় স্টুরি পার্ট থ্রী দেইখা ফালান। অ্যানিমেশন পুলা-পানের জিনিস বইলা মনে কৈরেন্না ফান কর্তাছি। সিরিয়াসলি কইলাম ভাল্লাগবে। ভয়ও পাইবেন না।
রাসেল, প্রথম দিন তো আপনিও পারফিউম দেখতে পারেননি ভয়ে। মাইনষেরে বলতে সবারই ভাল্লাগে। কি আর করা। আর ফুপা কি ভয়ংকর হবে নাকি?দোয়া কইরেন হেতে যেনো লুক ভালু হয়।
। কিছু আর কইলাম না। এই পোষ্টও বর্জন করবো।
মীর,
জয়িতা আপু জয়িতা আপু খ্যাপেন ক্যান, আপ্নে না ভালো। পোস্ট বর্জন কৈরেন্না, আপনারে পিলিজ লাগে
আমার বুল হইচে। ফুপ্পির জায়গায় আপু লেইখালচি

আমি কি আর জানতাম আপনে পুরা ভীতুর ডিম।যেমনে লাথি দিয়ে পিসি বন্ধ করছেন বলে গল্প শুনাইছেন তাই আমিও ভাবছি কি নাকি?
ফুপা তো নিরীহ টাইপেরই হবে।তয় বিদেশ থাকা পুলাপান।তার সাথে একটু হ্যাডম না নিলে তো চলবে না।
পোস্ট বর্জন কইরা যান কই??????????ফুপায় কি ফোন দিবো????????
আজব তো! পুরা মিথ্যুক। আপনি বলছেণ দেখে ভয় পাইছেন। তাই আর দেখেন নাই।এখন আমার দুষ দেন?
বিদেশে থাকে কুন উল্লুক? হেতে কেডা? চিনেন? কইয়েন তো ফুন দিতে। যদিও কালকেই ফুন নং বদলাবো।
রাসেল ভাইডি, আপনার কি মনে নাই; যেই আপ্নে কৈছিলেন যে মাসুম ভাইয়ের কারণে আপ্নে ইংলিশ সিনেমা দেখা শুরু করছেন, লগে লগে ফুপ্পি কি কৈছিলো??
হুম।খালি ভাতিজারাই তো মিথ্যুক।আর ফুপিরা আধোয়া তেতুঁলের বিচী গাল থেকে ফেলায়লে চকচকে ঝকঝকে.।।
যামুগা। খুদাপেজ।
তবে রাসেল কিন্তু আমার কাছে শুনেই পারফিউম দেখছে, দি রিডার দেখছে। খালি মিছা কথা কয়।
আমি কখন কইছি আমি আপনের কথায় দেখি নাই।তয় এই সিনেমা গুলার নাম বলার সময় আপনে মাসুম ভাইয়ের রেফারেন্স দিছেন।তাই দেখছি।
আপনি তো কইছেন যে মাসুম ভাই এর কাছে শুনে ইংলিশ মুভি দেখা শুরু করছেন। ঘটনা তো মিথ্যা।
শুরু তো করলেন আমার কাছে শুনে। আমি কত উৎসাহ দিলাম!
হাহাহাহাহহাহাহা।
চিন্ড্রেন অব হেভেন টা আগে দেখো।
আমি দুর্বল চিত্ত।
ইদানিং দৌড়ের উপরে আছি। মুভি দেখার সময় পাইতেছি না। দেখলেও ফালতু টাইপ হালকা কমেডি দেখতেছি, নো সিরিয়াস, ট্রাজেডি, ভায়োলেন্স। এইরকম অস্থির টাইমে ব্ল্যাক কমেডি টাইপ মুভি রিফ্রেসমেন্টের কাজ করে
প্রিয়তে রেখে দিলাম। সময় পেলেই দেখে ফেলবো সেই আশায়। আর সময় কবে পাবো কে জানে
মন্তব্য করুন