পিকনিক রঙ্গ
১. সেরা ধরা খাওয়া......
সবাই বাসে বসে আছে। কিন্তু বাস আর ছাড়ে না। মেসবাহ ভাই বাস ছাড়তে কিছুতেই রাজী হচ্ছেন না। সবাই অস্থির, কিন্তু মেসবাই অনড়। কাহিনী কী? কাহিনী হচ্ছে একটা ফোন। মেসবাহ ভাইয়ের হলুদ ফোনে একটা ফোন আসে, আর মেসবাহ ভাই গাড়ি ছাড়তে না করে।
বিষয় হচ্ছে একজন আসছে, তাকে পিকনিকে নিয়ে যেতে হবে। সে আসলো ৪০ মিনিট পর। সাথে ফুল ফ্যামিলি। আসলো গাড়িতেই।
এসেই বলে, আপনাদের বাসরে তাহলে আমরা ফলো করি........
২. আবারও সেরা ধরা খাওয়া.......
রায়হান ভাইয়ের একটা মন্তব্য.......আপনার এই কালেকশনটা ভাল হয় নাই।
এর ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।
৩. সেরা জামাই.....
সবাই ঘুরে বেড়ালো, বউ তাস খেললো, তিনি ভাল করে খেতেও পারলেন না, কিন্তু ছেলেকে খাওয়াতে হলো...
তার দুঃখে চক্ষে পানি চইলা আসছিলো। আমার একার না, অনেকেরই।
বিশ্বাস করেন আমার চক্ষে এখনও পানি
৪. সেরা বাফড়া.......
পিকনিকে বাফড়ার পারফরমেন্স সুপার। আই লাভ বাফড়া।
৫. সেরা ঝাড়ি......
বাসে সিগারেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা রায়হান ভাই দিক....
৬. সেরা হুমকি......
সাহাবুদ্দিন উদরাজী থুক্কু সাহাদাত উদরাজী শেষ সময়ে জানালো সে পিকনিকে যাবে না। এই কথা শোনা মাত্রই রায়হান ভাই চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো-এই বাস থামাও। আমি যাবো না।
উদরাজী বিহীন পিকনিক কেমনে হয় এই ভাবনায় রায়হান ভাইয়ের এই হুমকি....
৭. সেরা মিস..........
যদি উদরাজী যাইতো......তাহলে এই দৃশ্যটা থাকতোই। রায়হান ভাই আর টুটুল দৌঁড়াচ্ছে আর পিছনে পিছনে উদরাজী। রায়হান ভাই ও টুটুলের হাত গালে, যাতে কেউ..........
থাক আর বললাম না।
৮. সেরা সুইট লুল............
ঋহান। নাজ লুলদানি সাপ্লাই দিতে দিতে টায়ার্ড হইয়া গেছিল।
৯. সেরা লুল.....
দুপুর বেলায় একজনরে কইলাম চলেন তো ওইদিকে যাই...সে কইলো-নারী ছাড়া যাইতে ভালো লাগে না...
১০. সেরা চিপায় যাওয়া.....
পিকনিক স্পটটা ভাল। খোলা মেলা, আবার চিপাও আছে। হঠাৎ দেখি মেসবাহ ভাই নাই। কিছুক্ষণ পর আসলো। রায়হান ভাই জিগাইলো কৈ গেছিলেন। মেসবাহ ভাই কই ......... (একটা ছেলের নাম কইছিল, ঈমানে কইলাম, আমি নিজে শুনছি) ডাকছিল......
১১. সেরা ভঙ্গি.......
জেবীন-ভাঙতি নাই
১২. সেরা গান.........বাসের মধ্যে
তুমি দিও নাগো বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া
আমি বন্ধ ঘরে অন্ধকারে যাব মরিয়া ।
তুমি ভয় কেন পাও প্রান সজনী আমায় দেখিয়া
তোমায় প্রেম সোহাগে রাখব আমার বুকে জরাইয়া ।
তুমি দিও নাগো বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া
আমি বন্ধ ঘরে অন্ধ কারে যাব মরিয়া ।
আচল ধরে টান দিওনা লাজে মরে যাই
প্রথম রাতে আমি তোমার কাসছ ক্ষমা চাই ।
সুখের পরশ দেব তোমায় থেকোনা দূরে
শান্তি খুজে পাবে আমার প্রেমের আদরে ।
আমি চাইনা তোমার প্রেমের আদর দাওনা ছারিয়া
সব কিছু জোর করে নিওনা কাড়িয়া ।
এই রাত আর কোনোদিনও আসবেনা ফিরে
একটু পরেই রাত পোহাবে থেকো না দূরে ।
আমার বুক কাঁপে দুরু দুরু মনে লাগে ভয়
জানি না তো আজ নিশিতে কি জানি কি হয় ।
আমার ইচ্ছা করে ময়ুর পংখি নায়ে চরিয়া
আমি তোমায় নিয়া প্রেম যমুনায় যাব ভাসিয়া
ঘরের বাত্তি নিভাইয়া ।
আমার অনেক কথা বলার আছে তোমার সাথে
মনের কথা বলব সবই এইনা বাসর রাতে ।
তুমি যতোই কর ছলা কলা শুনবনা আর আমি
ভুলে কেন যাও গো তুমি আমি তোমার স্বামী ।
আগে মনের সাথে মনটা আমি নেব মিলাইয়া
দুটি মনে যদি হয় মিল কয় তারে বিয়া
বন্ধু কয় তারে বিয়া ঘরের বাত্তি নিভাইয়া ।
সবাই আপডেট বা নতুন কিছু যোগ করতে পারেন.......
১৩. সেরা উদীয়মান লুল
বাপ্পী। শেষ বেলায় বিমারে ডিফিট দিয়া সেই বাজীমাত করছে।
১৪. সেরা ডায়লগ
শরীরে হাত দেন ক্যান... ।
এইটাও বাপ্পির ।
রায়হান ভাই কি তাইলে পিকনিকে বেশী ফাপরে আছিলো নাকি?
কমেন্ট করার আগে দেখি কোন কমেন্ট নাই, কমেন্ট করার পরে দেহি জয়িতা ফার্স্ট, ক্যামতে? হায়রে....কোন ক্ষেত্রেই জীবনে ফার্স্ট অইতে পারলামনা !
রায়হান ভাইরে জিগাও
পিকনিকের সেরা লেখা, পুরা শান শওকত সহ মাসুমীয় স্টাইল।

আমি তো মাসুম
এই গান্টা আপনিও তাইলে মুখস্ত করলেন?
গানটা সুপার। ডুয়েট তো আরও সুপার
রায়হান ভাই আর টুটুল ভাই গালে হাত দিয়ে দৌড়াইতো ক্যান? কেউ কি চুমা দেয়ার ট্রাই নিতো নাকি?
রায়হান ভাই স্মৃতি রোমন্থন করুক
ল্যাব এইড, লিফট......কতো স্মৃতি..................
এক সিগারেটখোরের ঝাড়ি খাইয়াই রায়হান ভাই কাইত... তাও যদি আমার মতো মাসুম কেউ (অধূমপায়ী) ঝাড়িটা দিতো...
খোরগুলিরে কইলাম আমি খাই না কিন্তু গাধা গুলি ধুয়া দেইখাই চিল্লাচিল্লি শুরু করছে। বিখাউজ পোলাপাইন আমার পিছন থিকা বিড়ি টাইনা আমার মাথার পাশ দিয়া ধুমা ছাড়ছে।
আমি তো ঝারি দেইনাই! বাস-এ বাচ্চাকাচ্চা ছিল তাই মানা করছিলাম খাইতে...এইটা তো আমার মনেও ছিলনা, ফিরা আইসা একজন কইলো তখন বুঝলাম এইটাও একটা ঘটনা! আর এইটা বাচ্চাওলা বাসের মধ্যে বিড়ি টানা সবাইরে উদ্দেশ্য কইরা বলা হইছিল, আপনেরে শুধু না। মিয়া বাচ্চাকাচ্চা না থাকলে তো আমিও একটা ধরাইতাম..
পরে দুইজনে একসাথে বিড়ি ধরাইলেন না কেন?
কোন পরে?
পিকনিক স্পটে। আপনি কী মনে করছিলেন?
হাহা, না আমি কমেন্টটা ভুল বুঝছিলাম প্রথমে, আমি ভাবছি দুইজন বলতে আপনে আমারে আর তাযিনরে বুঝাইছেন...আমি আসলে ঐখানকার অর্ধেকের বেশি মানুষরে চিনিনা, ধীরে ধীরে পরিচয় পাইছি, আর যেহেতু বাসের ঘটনা মাথায়-ই ছিলনা...সো মনেও ছিলনা কারে কি কইছি :প....আমার স্মৃতিশক্তি নিয়া আমি নিজেই একটু শংকিত হইয়া গেলাম :প
গানটা আগেও শুনছি অছলিল লাগছিল। কিন্তু পিকনিকের পরে আইজকাও শুনলাম, অত উচ্চ মার্গীয় এবং উপাদেয় রসাত্মক গান । গীতিকার এবং শিল্পীদ্বয় জাতীয় পুরুস্কার পাওয়ার যোগ্য।
গানটা আগেও শুনছি অছলিল লাগছিল। কিন্তু পিকনিকের পরে আইজকাও শুনলাম, অতি উচ্চ মার্গীয় এবং উপাদেয় রসাত্মক গান । গীতিকার এবং শিল্পীদ্বয় জাতীয় পুরুস্কার পাওয়ার যোগ্য।
এইটা এবির জাতীয় পিকনিক সংগীত, আর এবির জাতীয় কমিতা হইল গুলনাহারনামা
হাইলাইটসগুলো পড়ে

গানটা দারুন। পিকনিকের কোন ভিডিও থাকলে আরো মজা হত।
বাসর ঘরে বাত্তি নিভানির গানটা গতবারও হিট আছিলো।
এইবার ডুয়েট হওয়াতে বাম্পার হিট করছে।
এবার বিমার সহশিল্পী কে আছিলো?
একবার ছেলে ও মেয়ে আলাদা করে দিতে চাইছিলাম। পরে ভাবলাম থাক........
মনে রেখো আমিও ছিলাম........
গুরু শিষ্য
এইটা এমন হইলো কেন?
১৩. সেরা উদীয়মান লুল
বাপ্পী। শেষ বেলায় বিমারে ডিফিট দিয়া সেই বাজীমাত করছে।
১৪. সেরা ডায়লগ
শরীরে হাত দেন ক্যান... ।
এইটাও বাপ্পির ।
(খেক খেক খেক..)
শরীরে হাত দেন ক্যান ...........হাহাহাহা।
বাপ্পী এই ডায়লগ দিয়াই বিমারে কাইত করে ফেলছে। বাপ্পী রকস্।
আমি সকলের দোয়া প্রার্থী!
কাজ হইছে?
দোয়াগো!
গানের সেরা এক্সপ্রেশন

ওরে ও রিক্সাওলা... আমার বাড়ির সামনে কলিংবেল ক্যান বাজাও
সালমার গানটারে এবি সঙ্গীত করা হোক
একমত!
গানটা সম্ভবত বিউটির।
এইটা সালমা।
বুঝতাসি না, আইজকা হঠাৎ কৈরা চাঙ্গা চাঙ্গা লাগতেসে।
-হ, আমারু আমারু।
গুরু, এ ছবিটা আপনি তোলেন নাই! কিন্তু কি করে আপনি পোষ্ট করলেন। আপনার বিরুদ্দে মামলা হওয়া দরকার! আপনার তোলা ছবি চাই, নাকি ব্যাটারী চার্জ ছিল না!
আপনার জামাটা একদম পিকনিক ফিট! ভাবী না আপনার পছন্দ! শীতে মনে হয় কাবু হয়ে গেছেন! মাসুমীয় জ্যাকেট নেন নাই!
৬. সেরা হুমকি......
সাহাবুদ্দিন উদরাজী থুক্কু সাহাদাত উদরাজী শেষ সময়ে জানালো সে পিকনিকে যাবে না। এই কথা শোনা মাত্রই রায়হান ভাই চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো-এই বাস থামাও। আমি যাবো না।
উদরাজী বিহীন পিকনিক কেমনে হয় এই ভাবনায় রায়হান ভাইয়ের এই হুমকি....
এই না হল আমার গুরু! গুরুকে সালাম বারে বার!
৭. সেরা মিস..........
যদি উদরাজী যাইতো......তাহলে এই দৃশ্যটা থাকতোই। রায়হান ভাই আর টুটুল দৌঁড়াচ্ছে আর পিছনে পিছনে উদরাজী। রায়হান ভাই ও টুটুলের হাত গালে, যাতে কেউ..........
থাক আর বললাম না।
মিস্ টা আমিও মেনে নিতে পারছি না। সবই কোপাল। আমার দেয়া চাঁদাটা ফেরত দেয়ার কোন ব্যবস্থা করা যায় কি! ৪নং রোডে চটপটি খাইতাম!
আপনি শুধু শুধু ওনাদের ভয় দেখাচ্ছেন!
কাকা, মাসুম ভাইরে নিয়া লেখা পোস্ট টা কবে ছাড়বেন?
কাকার সাহস নাই।
মাসুম ভাইকে আমি এমুহুর্তে সব চেয়ে বেশী ভয় পাই। আগে আমার ভয় কাটুক।
আরে আম্রা আছিতো আপনার সাথে। খালি রস্ময়গুপ্ত কেটাগরির না হইলেই হইল। দিয়া ফালান।
পোস্ট দেন। অপেক্ষায় আছি।
আপনি গেলেন না। আমাদের কোপালটাই খারাপ
আপনি শুধু শুধু ওনাদের ভয় দেখাচ্ছেন!
ওনারা আসলেই আপনারে ভয় পায় উদরাজী ভায়া......
১৫. সেরা ফটোগ্রাফার..
গুরু হাসান রায়হান
(যিনি অনেক ছবি তুলেছেন, কিন্তু পিকনিকের দেড় দিন পার হয়ে গেলেও এখনো কোন ছবি পোষ্ট করেন নাই!)
খেক খেক!!!
সেরা পোস্ট হইতে যাইতেছে!!!
খালী দেখতাছি
Rocking লেখা

কিন্তু, আমার বাবা'টার লুল পরা যে কবে বন্ধ হবে
সেরা পিকনিক পুষ্ট!
সুপার্ব পোস্ট। ৩২ আর ৪৭ নাম্বার কমেন্টের ছবিদু্ইটাও ভালো লাগছে
অনেক হলো দেরী । তবু বলি, একেবারে না-বলার চেয়ে বলা নিশ্চয়ই ভাল । পিকনিকে যাবার পথে চলতি বাসে নুশেরার পাঠানো চকলেটের স্বাদ আমাদের পথচলার কষ্ট কমিয়েছিল অনেকটাই । চকলেটের জন্য এবং তার চেয়ে বেশী আমাদেরকে মনে করবার জন্য নুশেরাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
[ অঃটঃ - ৩২ নম্বরে আমি আছি বলেই হয়তো ছবিটা ভাল লেগেছে ।]
ছবির কী ভালো সেইটা তো কইলা না...
ছবির কী ভালো ?
এহেম এহেম
দুই ছবিতে দুইজনকে খুব ভাল দেখাচ্ছে, কোন্ দুইজন বলা যাবে না, ওস্তাদের বারণ আছে
আরেকটা বিষয় অচিন্দার নজর ফাঁকি দিল কেম্নে বুঝতার্তাছিনা। তালিমঘরের পঞ্চকন্যার রিপ্লেইসমেন্ট হিসাবে হুদাভাই অথবা অচিন্দা নিজে... কেম্নে কী!

চিটাগং-এর লুকজনের নজর কুনদিকে?
তালিমঘরের পঞ্চকন্যার ব্যাপারটা বুঝি নাই । একটু বিস্তারিত জানালে উপভোগ্য হতো ।
বাহ্| এই পোষ্ট টাও ভালো হয়েছে
আহা, কি পিকনিক ছিলো সেইটা
শান্তি মতোন ঢং-ঢাং করাতেও ঝামেলা বদপোলাপান পচাঁনি দিছিলো খালি!
মন্তব্য করুন