সৃজনশীল কথাবার্তা
১.
আমার একটা মাত্র বউ। সেই বউ আবার একটা স্কুলে পড়ায়। এবারের ঈদের ছুটিতে দেখলাম বান্ডিল বান্ডিল পরীক্ষার খাতা নিয়া বইসা থাকে। গম্ভীর হইয়া খাতা দেখে আর নাম্বার দেয়। মাঝে মইধ্যে দেখি ফিক কইরা হাসি দেয়। কেন দেয়? তারে জিগাইলাম। সে আমারে কয়টা খাতা দেখাইলো। আমিও ফিক কইরা হাইসা দিলাম।
এবার রেডি হন, ফিক কইরা হাসেন।
২.
একটা প্রশ্ন ছিল-স্বর্গ আর নরক কী?
ক্লাশ ফাইভের এক ছেলে লিখছে
স্বর্গ=আরাম আর আরাম
নরক=মাইর আর মাইর
৩.
আরেকটা প্রশ্ন ছিল অল্পপ্রাণ বার মহাপ্রাণ কাকে বলে?
ক্লাশ ফাইভের আরেক ছেলে লিখছে-
অল্পপ্রাণ হলো যার অনেক টাকা আছে কিন্তু কাউকে দেয় না।
আর মহাপ্রাণ হলো যার অল্প টাকা থাকলেও অন্যকে দেয়।
৪.
ক্লাশ সিক্সের খাতা। সৃজনশীল প্রশ্ন আর উত্তরের একটা অংশ আছে। প্রশ্নটা হইলো-বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কী? এক ছেলে লিখেছে
আমি যদি আমার বাবার বাবা বা দাদার আমলে চলে যাই, তাহলে আমি দেখতে পাবো যে প্রথমে আমার দাদা ছোট ছিল। তারপর আমার দাদা বড় হল এবং বিবাহ করলো। তারপর আমার দাদা-দাদীর মাধ্যমে হলেন আমার বাবা। আমার বাবা তারপর বড় হলেন এবং বিবাহ করেন। তারপর বাবা ও মায়ের মধ্যে হলাম আমি। এটাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারন।


মহাসৃজনশীল ছেলে তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
সৃজনশীল দুইজনকে এই পোস্ট উৎসর্গ করলাম। আমার বাজি তানবীরা ও মীর





্বাহ, পোলাপান খাতাতে অনেক জ্ঞানের কথা থাকে!
দেখেন ১ম প্রশ্নে আপ্নে কত্তো সহজে জানলেন যে স্বর্গনরক কি, পুরা এককথায় প্রকাশ করছে!
আবার ২য় প্রশ্নে কি কঠিন জিনিষ জানাইছে সে, (আসলে মানেটা যেন কি?
) আর শেষেরজনতো সৃজনশীলতার বিরাট নমুনা দিছে ছেলে! আসলেই কি জটিল উত্তর দিছে! পছন্দ হইছে
ভাবী ওরে শূন্য দিলো কেন?!!!

কতদিন পরে বান্ধবীরে পাইলাম ব্লগে। আহারে! মন পুড়ে গো!
হ! .।.। আমি যখন আসি কেউ থাকে না, আবার সবাই যখন থাকে তখন আসিনা! কালকের আড্ডা পোষ্ট মজার লাগছে!
ম্যালাদিন সবাই মিলে উরাধুরা কমেন্টের আড্ডা হয় না! 
হুমমম। হঠাৎ সবাই কেমন পানসে, আইলসা হয়ে গেছে। কয়েকদিন আগেও অফিসে বসে ব্লগে পোষ্ট, কমেন্ট পড়ে মুখে ওড়না চাপা দিয়া হাসতাম। ঝিমাইতাছে লুকজন।
অফিসে বসে ব্লগে পোষ্ট!!
ফাকিবাজি আরকি.।.।.।
আমিও তারে শূন্য দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ করছিলাম।
শেষেরটা ম্রাত্নক। এই পোলারে শূণ্য দেওয়ায় তীব্র ধিক্কার জানাইলাম। সে তো সত্যি কথা কইছে, সত্যি কথার ভাত নাই।
আপনে তো অল্পপ্রাণ, ঈদে সালামি দেন নাই।
আসলেই অল্পপ্রানের কি দারুন উদাহরন দিছে পোলায়!.।.। আর, আজকাল্কার বড়োভাইরা সালামি দেয় না নাকি! কি কলিকাল আইলো!
কেউ তো সালামি দিলো না রে আফা!অল্পপ্রাণ বুঝছো!
সালাম না কইরাই সেলামি? তোমরা তো তাইলে অল্পপ্রাণী
মাসুম ভাইয়ের পুস্ট!!
আপনে কবে পুস্ট দিবেন? নাকি খালি কমেনটাইবেন?
অপেক্ষায় থাকুন
থাকলাম
মাসুম ভাই ও ভাবী দুইজনেই হাসির ব্যাপারে অল্পপ্রাণ বুঝা গেলো।

এমন উত্তর পড়ে দুই জনেই ফিক করে হাসলেন!!! আমার তো
ব্যাপক উত্তর লিখছে ছেলে। শুন্য দেয়া ঠিক হয় নাই। ব্লগের সবার দাবী, ভাবীরে বলেন নম্বর দিতে
অল্পপ্রাণের জেন্ডার চেঞ্জ হলে কী হই জানেন তো্?
অল্পপ্রাণ=অল্পপ্রাণী
মহাপ্রাণ=মহাপ্রাণী
সিক্সের পোলাডা'তো ফাডাফাডি উত্তর লিখছে ।
শূন্য দেওয়া ঠিক হয়নাই
শেয়ার দিতে মন চাইতেছে ..... শেয়ার দিলাম.
কুথা থেকে আসলেন? এরম ফাঁকিবাজ কেন আপনে? ব্লগে দেখি না কেন? রোজ হাজিরা দিবেন, নাইলে নাম কাটা যাবে।
ই'আল্লাহ ....... এইডি কি কয় ? আমারে কিছু কইলেন ছায়া'পা ?
আমিতো ব্লগের রেগুলার ভিজিটর । । একজন অতিথি থাকলেও ওইটা আমি 
এহ্ আইছে সোনারচান মিছা কথা কইতে। একজন ভিজিটর ও আপনে হইলে আমরা কি? এসপ কথায় চলপে না। হাজিরা দিতে হবে। বুঝছেন?
আইছে ব্লগের মহিলা চৌকিদার!!!!!!

এই'যে আফা হাজিরা দিয়া গেলাম ........... আমি কইলাম মিছা কইনাই
ফাঁকিবাজ ইষ্টুডেন্ট। ইসকুলের দনজায় ফুচকি দিয়া চলে যায়। নাম কাটা যাবে।
আমি'তো এই একটা ইস্কুলেই আসি ......... নাম কাইট্টা দিলে যামু কই ?
ঠিকাছে আপনেরে অবজার্ভেশনে রাখা হইলো। পাশ করতে পারলে তো ভালোই।
ঠিকাছে ........থেঙ্কিউ .......
খাতায় নাম ঠিক রাখতে লেখা দেন
এইতো দিলেন ভেজালে ফালায়া ............।
সবতে লেখলে পড়বো কে ? আপ্নেরা লেখবেন, আমরা পড়মু
চিন্তা ভাবনা যে শুরু হয়ছে সেটা কম কিসে
হাসতে হাসতে শেষ 

দারুন মজার পুস্ট
জনসংখ্যার ব্যপারটা তো ঠিকই। ফুল মার্কস চাই
চিন্তা ভাবনা শুরু করার উৎসটা জানতে মন চাইছিল
মজা পাইলাম
মজা পাইলাম
শেষের সৃজনশীল উত্তরে আর একটু খানি লিখলেই ফুল মার্ক্স পাইতো বেচারা। যেরোম:- আমার বাবারা ছিলেন ৮ ভাইবোন, আর আম্রা চাচাতো ফুফাতো মিলায়া ৭২ জন

আর আপনার? নিজের পারফরমেন্স তো জঘন্য দেখতাছি
ইয়ে মানে আমি আগের ঐ কমেন্টটা দেই নাই। আমার নিক হ্যাক হইছিলো
আমার আম্মুও স্কুলের টিচার। খাতা যখন দেখেন, মাঝে মাঝে এমন সব খাতা আসে যেগুলো আম্মু জোড়ে জোড়ে পড়েন আর আমরা হেসে কুটি কুটি হই।
ক্লাস নাইন, টেনের মেয়েরা যখন মোঘল সম্রাজ্য বা সিরাজউদ্দৌলা বানায় বানায় লেখে সেটা একটা দেখার মতোন ব্যাপার হয়। 
কী লেখে?
ভাগ্যিস লগাইছিলাম আজকে। এমন মহৎপ্রান বিখ্যাত ব্যাক্তি যে আমাকে সৃজনশীল পোষ্ট উৎসর্গ করছে, এই খোঁজ আমাকে কেউ দেয় নাই ক্যান?
ধন্যবাদ ধন্যবাদ ধন্যবাদ ভাইয়া
খবর কী এখন?
ভাবী দেখি পাষাণী।এই পোলারে নাম্বার দেয় নাই। ফুল মার্কস দেয়ার তীব্র দাবী জানায় গেলাম।
অফটপিকঃ মাসুম ভাই মুভি নিয়া পোস্ট দেন।
কাজের চাপে মুভি দেখা কমে গেছে যে
১. হাসতে হাসতে শেষ।
২. (সিরিয়াস) বাইরের দেশে যেভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়, তাতে তিনজনই কিছু না কিছু মার্কস পেতো। প্রথমজন পুরোপুরিই ঠিক- ভাষাগতভাবে সে বিষযটি ফুটিয়ে তুলতে পারে নি মাত্র।
দ্বিতীয়জন যে উত্তর দিয়েছে সেটি এসেছে তার সামাজিক ইন্টার্যাকশন থেকে। এই উত্তরও ঠিক- তবে সে হয়তো ফুল মার্কস পাবে না।
তৃতীয়জন সেন্সটা ধরতে পেরেছে তবে সে গুছিয়ে লেখার মতো অবস্থায় যায় নি। এ অবস্থায় অনেক দেশে তাকে মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসা করা হতো এবং আমার ধারণা মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বিষয়টা আরো খুলে বলতে পারতো যে- এভাবে একের পর এক জন্ম দেবার ফলেই জনসংখ্যা বাড়ছে।
৩. সিস্টেমের কারণে ভাবী কোনো নম্বর দিতে পারবেন না জানি; কিন্তু ভাবীকে বলেন মৌখিকভাবে তাদের প্রশংসা করতে। বানিয়ে লেখার চিন্তাটাই অনেকের থাকে না; তারা কিছু না লিখেই খাতা জমা দিয়ে দেয়। সে দিক দিয়ে তারা মৌখিক প্রশংসার যোগ্য। শিক্ষক চাইলে তার এই ক্ষমতাটা বিকশিত করতে পারেন।
৪. মজার পোস্টে অমজার কথাবার্তা বলে ফেললাম। কেউ মাইন্ড খাইলে বদলা হিসেবে আমারে পিজা হাটে একটা পিজা খাওয়ায়া দিয়েন।
তোমার মন্তব্যটাই আমি করতে যাচ্ছিলাম দাদা! নাম্বার না দেওয়া যাক, অন্তত বাচ্চাগুলাকে মৌখিক বাহবা দেয়া ভালো। যে হারে মুখস্ত বিদ্যার হার বাড়ছে তাতে প্রশ্নের উত্ত্র না পড়া থাকলেও সেটা উত্তর দেবার মতো সৃজনশীলতা কিছুটা বাহবার দাবীদার!
মাসুম ভাই! জোশ পুস্ট!
ঐ স্কুলের খাতায় শিক্ষার্থীর নাম থাকে না। কোড নং দেওয়া থাকে। সুতরাং চাইলেই বাহবা দেওয়া যাবে না।
আসলে আমাদের পড়াশোনার সিস্টেমেই গলদ।
সবাইরে ফুল মার্ক দেয়ার দাবী জানাইলাম। স্পেশালি জনসংখ্যা বৃদ্ধির তত্ত্ব উপস্থাপককে।
আপনে তো আর বাড়াইলেন না জনসংখ্যা
োনেক মোজা পেলাম।
উৎসর্গ করার ব্যাপারটা কখনোই ভালো লাগে না। কেউ পাবে, কেউ পাবে না, তা হবে না তা হবে না। হিংসিত এবং রাগান্বিত।
লেখা পড়ে অবশ্য বিপুল আনন্দ পেলাম।
এই কমেন্টটা আপনারে উৎসর্গ করলাম
আরএ িক মজার েপাস্টের..... মাসুম ভাই ভাবীর কাছ থেেক আ েরাও িকছু সৃজনশীল েলখা িনয়ে আসেন...
বেপোক লুল!!!
http://www.amrabondhu.com/sites/all/modules/smileys/packs/Roving/bigsmile.png
থ্যাংকিউ ব্রো
মাসুম্ভাই রকস
আমি একবার একটা খাতা দেখেছিলাম ।প্রশ্ন ছিল লবন কত প্রকার?
একজন লিখছে, লবন বিভিন্ন প্রকার। যেমন- পদ্মা লবন, মোল্লা লবন, এসি আই লবন সহ আরো কত কি ।
স্কুলে পড়ার সময় 'শব্দ কাহাকে বলে' এই প্রশ্নের উত্তরে একজন লিখছিল 'আমরা প্রতিদিন হাটতে চলতে চারপাশে নানান ধরনের শব্দ শুনতে পাই, তাকেই শব্দ বলে, উদাহরন: টিফিন পিরিয়ডের ঘন্টা'। পাষাণ হৃদয় ম্যাডাম আবার সেইটা ভরা ক্লাসে পইরা শুনাইছিল, বেচারি মাইয়াটার জীবন বরবাদ হইয়া গেছিল এরপর। স্কুলপড়ুয়া পোলাপাইন চরম নিষ্ঠুর প্রকৃতির হয়, যদ্দুর মনে পড়ে পাস কইরা বাইর হবার আগ পর্যন্ত ওরে 'ঘন্টা বেগম' ডাকা হইত।
সৃজনশীল পোলাপাইনের তো দেখি অভাব নাই
জোসস ..
হাহহাহাহাহাহাহাআ। মজা পেলাম
চরম মজা পাইলাম।
চরম মজা পাইলাম।

ব্যাপক
আমি তখন প্রাইমারির কোন এক ক্লাসে.।।
একটা প্রশ্ন আসছিল ধর্ম পরীক্ষায়, আমরা পশ্চিম দিকে মুখ করে নামাজ পড়ি কেন?
আমি লিখেছিলাম, বেহেশ্ত পাওয়ার জন্য.।.।
আরাম আর আরাম
চ্রম
স্টুডেন্ট এর সৃজনশীলতাকে সম্মান করা উচিত ছিল, শূন্য দেয়া একদম ঠিক হয় নাই। ভাবীকে নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে পূণঃ বিবেচনা করার দাবী জানাইলাম 
এই দাবী তো আমিও করছিলাম
তখন আমি চট্টগামে। ভাবী আমাকে ক্লাস থ্রী-র এক ছাত্রের খাতা দেখতে দিলেনঃ
বিজ্ঞানের খাতা।
প্রশ্ন ছিলোঃ কেচোঁ আমাদের কি কাজে লাগে?
ছাত্র কিন্তু কেচোঁ যে “প্রাকৃতিক লাঙল” তা জানে না।
নিজের ইন্টুইসন থেকে লিখলোঃ
কেচোঁ আমাদের দুইটি উপকারে আসেঃ
১। কেচোঁ কুরায় (হাস/মুরগী) খায়।
২। কেচোঁ দিয়া বরি (বরশী) বায়।
আমি তাকে দশে দশ দিলাম।
আমিও ১০ দিলাম
পোষ্টে পাস মার্ক দিলাম।
ভাবীকে সর্বান্তকরণে সমর্থন দিলাম। মাইরধইর-শাস্তি আমি অপছন্দ করি নইলে জিরোর সাথে ২বার কান ধরে উঠ-বস করানোর কথা বলতাম।
সৃজনশীল লোকদের দিয়া ভরে গেল দেশ ।
মন্তব্য করুন