একটা শিক্ষামূলক পোস্ট
১.
রাজার ছেলে ও ধোপার ছেলে একসাথে লেখাপড়া করে। বড় হয়ে রাজার ছেলে রাজা হলো, আর ধোপার ছেলে ধোপা। ধোপা প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে গাধার পিঠে কাপড় নিয়ে রাজপ্রসাদে যায়, কেউ দেখার আগেই ফিরে আসে।
একদিন রাজা যাবে শিকারে। প্রধানমন্ত্রী জ্যোতিষীকে দিয়ে দিন গননা করে ভাল একটা তারিখ বের করলেন। খুব ভোরে রওয়ানা দিয়েছেন রাজা। সামনেই পড়ে গেল ধোপা। মন্ত্রীরা হায় হায় করে উঠলেন, ধোপার মুখ দেখা নাকি অপয়া। কিন্তু ছোটবেলার বন্ধু বলে কথা। রাজা কথা বললেন। শিকারে যাবে শুনে ধোপা মানা করলো রাজাকে, দিনটা নাকি খারাপ। তেড়ে আসলের মন্ত্রী ও জ্যোতিষী। তাদের গননায় দিনটা সবচয়ে অপয়া।
রাজা গেলেন শিকারে। মাঝপথে শুরু হলো ঝড়। কোনো রকম বেঁচে গেলেন রাজা। মন্ত্রীদের উপর প্রচন্ড ক্ষেপে গেলেন। ঢেকে আনলেন সেই ধোপাকে। জড়িয়ে ধরে বললেন, বন্ধু তুমি আমার প্রধানমন্ত্রী হও। কারণ তুমিই ঠিক কথা বলেছিলে। ধোপা তখন বললো, রাজা মশাই, আমার একটা কথা আছে। সেটা হল, প্রতিদিন ভোরে উঠে আমি আমার গাধার লেজের দিকে তাকাই। যখন দেখি লেজ নরম তখন বুঝি দিনটা ভালই যাবে, ঝড় বৃষ্টি হবে না। কিন্তু সেদিন দেখলাম লেজটা শক্ত হয়ে আছে, তখনই বুঝেছিলাম দিনটা ভাল যাবে না। সুতরাং মন্ত্রী বানালে আমার গাধাটাকেই বানান।
শিক্ষা: এই গল্পের শিক্ষা হচ্ছে-সেই থেকে গাধারাই মন্ত্রী হচ্ছে।
পাদটিকা: এক মন্ত্রীনির কথা শুনে তারাপদ রায়ের এই গল্পটা আবার মনে পড়লো।
২.
ছেলেটা আর্ট স্কুলে একটা ছবি আঁকলো। ছবিটা দেখেই আর্টের শিক জোড়ে একটা চড় মারলেন। ছেলেটা চীৎকার করে কান্না শুরু করলো। কান্না শুনে চলে আসলো হেড মাস্টার। ছবিটা তিনি দেখলেন। সাথে সাথে টিসি দিয়ে দিলেন ছেলেটাকে। বাসায় যেয়ে বললো ছবি আঁকার কারণে এই অবস্থা। বাবা-মা ছবিটা দেখলো এবং ত্যাজ্যপুত্র করে দিল সাথে সাথেই।
রাস্তায় একা ঘুরতে ঘুরতে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ। সব শুনে ছবিটা দেখতে চাইলো। দেখেই হাজতে ঢুকিয়ে পরেরদিন চালান করে দিল কোর্টে। মামলা উঠলো কোর্টে। আলামত হিসেবে উপস্থিত করা হলো ছবিটি। বিচারক ছবিটা দেখেই ২০ বছরের জেল দিয়ে দিলেন।
২০ বছর পর জেল থেকে মুক্তি পেলো ছেলেটি। ছবিটি এখনও তার হাতে। হঠাৎ দেখলো রাস্তার ওপারে একটা চার্চ। ভাবলো পাদ্রিকে ছবিটা দেখিয়ে এর প্রতিকার চাইতে হবে। সে কথা ভেবে রাস্তা পার হতে হাঁটা শুরু করা মাত্রই উল্টা দিক থেকে একটা ট্রাক এসে পিষে ফেললো ছেলেটিকে।
শিক্ষা: রাস্তা পার হওয়ার সময় দুই দিক দেখে পার হতে হয়
পাদটিকা: যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আজ আদালত রুল দিছে।
৩.
ডালিম কুমার ভালবাসে কাজলরেখাকে। বিয়েও ঠিকঠাক। একদিন ডালিমকুমার গেলো কাজলরেখার বাসায়। গিয়ে দেখে কাজলরেখার বোন তাজেল ছাড়া আর কেউ বাসায় নেই।
তাজেল বললো সে ডালিম কুমারের জন্যই অপোয় আছে। তাজেল জানালো, সেও ডালিমকুমারতে ভালবাসে এবং কাজল রেখার চেয়ে সেও কোনো অংশে কম নয়।
ডালিমকুমার আতকে উঠলো। জোর প্রতিবাদ করে বললো, এটা কিছুতেই হতে পারে না। সে কাজল রেখাকেই চায়। তাজেল বললো, বিয়ে না হোক, তারা তো অন্য কিছুও করতে পারে এবং তার কোনো আপত্তি নাই। এবারো ডালিমকুমার ছি ছি করে উঠলো।
তাতেও দমলো না তাজেল। ডালিমকুমার অবাক হয়ে দেখলো তাজেল একে একে সব পোশাক খুলে ফেলছে। এবার ডালিম কুমার ছিটকে বের হয়ে আসলো বাসা থেকে। বের হয়ে দেখে তার পার্ক করা গাড়িটার পেছনেই আরেকটা গাড়ি এবং তাতে বসে আছে,কাজলরেখাসহ তার হবু শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ সবাই। তার হবু শ্বশুর বললো, তোমার সাথেই আমার মেয়ের বিয়ে হবে। আমরা আসলে তোমাকে পরীক্ষা করছিলাম। তুমি পাশ করেছো।
শিক্ষা- কনডম সর্বদা গাড়িতে রাখতে হয়।
৪.
বয়স যখন ১৮ থেকে ২১, মেয়েরা তখন আফ্রিকার মতো। সে তখন অর্ধেক আবিস্কৃত, অর্ধেক বন্য
বয়স যখন ২২ থেকে ৩০, মেয়েরা তখন আমেরিকার মতো। সে তখন সম্পূর্ণ আবিস্কৃত ও বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই পরিপূর্ণ
বয়স যখন ৩০ থেকে ৩৫, মেয়েরা তখন যেন ভারত ও জাপানের মতো। অত্যন্ত উত্তেজিত, জ্ঞানী এবং সুন্দর।
বয়স যখন ৩৫ থেকে ৪০, মেয়েরা তখন ফ্রান্সের মতো। যেন যুদ্ধের পর সে অর্ধেক ধ্বংসপ্রাপ্ত কিন্তু এখনো যথেষ্ট আকাঙ্খিত।
বয়স যখন ৪০ থেকে ৫০, মেয়েরা যেন জার্মানির মতো। যুদ্ধে সে হেরে গেছে কিন্তু এখনো আশা ছাড়েনি।
বয়স যখন ৫০ থেকে ৬০, মেয়েরা তখন রাশিয়ার মতো। অনেক বেশি ছড়ানো, শান্ত কিন্তু সেখানে কেউ যেতেই চায় না।
বয়স যখন ৬০ থেকে ৭০, মেয়েরা তখন ঠিক যেন ইংল্যান্ড। অত্যন্ত গৌরবময় অতীত আছে তার, কিন্তু কোনো ভবিষ্যত নেই।
৭০ এর পর থেকে মেয়েরা সাইবেরিয়ার মতো হয়ে যায়। সবাই জানে সে কোথায়, কিন্তু কেউ যায় না, ভুল করেও না।
শিক্ষা: এইটায় তো লাইনে লাইনে শিক্ষা





শিক্ষামূলক পুষ্টের ৪ নম্বরটা উমদা হইছে
মনে থাকবো
কোনটা চাই?
এইরররে ... কোনটা চাই, তাতো চিন্তা করিনাই
বস, ৪ নম্বরটা বাকীডির ক্যাটাগরীর সাথে যেনো কেমন হৈয়া গেছে, আগেরটিতে তো চমকের উপর শিক্ষা আর শিক্ষার উপর চমক....২ আর ৩ নম্বর পৈড়া শেষ করার সাথে সাথে মনে হৈলো মাথায় ঠাস কৈরা বাড়ি দিলো কেউ একটা....চরমের উপ্রে চরম....
মানলাম। শেষেরটা ঠিক যায় না।
জ্ঞ্যানু পুস্ট
হো
দুই নম্বরটা বাদে বাকি জোকস গুলো আগে নেটে পড়েছিলাম। ঈশপের গল্পের মতো মাসুমের গল্পের একটা সিরিজ চালু হতে পারে ঃ)
সবগুলাই সংগ্রহ করা। চালু হইতে পারে হয়তো
শিক্ষা পাইলাম। অতি জ্ঞানী পোস্ট।
কোনটা দিয়া কি শিক্ষা পাইলেন। ঝাতিরে জানান
৩ নাম্বারটার অ্যাপ্লাই করুম ক্যাম্নে? গাড়ী তো নাই।
বৌ ই তো নাই
দৌড় দিয়া ফার্মেসী যাইবেন। এখন থেকেই দৌড় প্রাকটিস করেন।
জ্ঞান প্রদান দেখি ধাপে ধাপে বাড়ছে!!
জ্ঞানী পোষ্ট!
৩ নম্বর
মানে তিন নম্বরটাই সবচেয়ে বেশি জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছে।
এই জ্ঞান কি আপনার এখনো দরকার?
এবির শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা পদে আপনার চেয়ে উপযুক্ত লোক আর নাই
আরে না। আমি বহুৎ অজ্ঞানী
শিক্ষা- কনডম সর্বদা গাড়িতে রাখতে হয়।
যাগো গাড়ী নাই...........????
তাগো হলুদ রং-এর মটোর সাইকেল আছে
৩ নম্বরতো পুরা লাইভ শো
মিলছে?
হাঃহাঃহাঃ এক আর দুই আগে শুনিনি। ৩ আগে দেখেছি চার আগে পড়েছি
একটা তো তারাপদ রায়ের বহু বিখ্যাত গল্প
ভালা
~
আপনারে ধইন্যা
আচ্ছা ২ এর ছবিটাতে কি আঁকা আছিল?
আমি কেমনে কমু? এইটাতো আসলে একটা জোক
মামুন ম. আজিজ | ফেব্রুয়ারী ৯, ২০১০ - ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
আচ্ছা ২ এর ছবিটাতে কি আঁকা আছিল?
শওকত মাসুম | ফেব্রুয়ারী ৯, ২০১০ - ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
আমি কেমনে কমু? এইটাতো আসলে একটা জোক
পুরাটাই চরম। তয় শেষেরটা বেশী ভাল্লাগছে। আর উপরে যেইটা দিলাম সেইটা তো ক্রিম অন দ্য পাই নাকি আইসিং অন দ্য কেক বুঝতাছি না
বিয়াফক গিয়ান অর্জিত হইলো।
আপনারে ধইন্যা
১ নং পড়ছি আগে।বাকীগুলা পড়লাম, জানলাম, বুঝলাম।জ্ঞান নিলাম।
জ্ঞান কাজে লাগুক
আম্মা প্রায়ই সতর্ক করত এই কয়া যে ''একদিন তোর শিক্ষা হইব''... আইজকা আমার শিক্ষা হইছে...
.... 
হাহাহাহহাাহহাহা
প্রথমটা সবচে জটিল হইছে

শেষেরটা শিক্ষামূলক। বুঝলাম আমি বিজ্ঞানসম্মতভাবে আম্রিকায় আছি
দুইন্যাতে এত শিক্ষা, আমার ছুডু মাথাত ত আর ধরে না ...
মন্তব্য করুন