জল দহনের গপ্পো
আবার আকাশের গায়ে গায়ে গোমড়া মুখো মেঘেদের দল। আবারো বৃষ্টি এলো। বাতাস ভেজা ভেজা, সোঁদা মাটির গন্ধ মেখে তুমিও গোড়ালি ডুবিয়ে দিলে জলের ঢেউয়ে। চুপ করে সে ছবিটি দেখতে দেখতে টের পেলাম সমুদ্র ফুঁসে উঠছে দূরে কোথাও। ঝাউপাতার আড়ালে তোমার আনত অভিমানী মুখে রাগের জ্যামিতিক ছায়া। ওই মুখে আমি ঠোঁট ছুঁইয়ে দিতেই তুমি বলে উঠলে- ‘না’।
তোমার ওই একটি ‘না’ শব্দে কিরকম ১৪৪ ধারা জারি করা ন্যারেশনে আমি হঠাৎ থম্কে গেলাম। চুপকথায় ভর করে আমি তোমার গায়ে আলোর খেলা দেখতে দেখতে আনমনা হলাম। একদিন একটা আলোমাখা বিকেলে আমি কাশবনে হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে। ঘুড়ির নাটাই ছিল হাতে কিন্তু ঘুড়িটি কোথায় যেন হারিয়ে গেছে তখন আমারই মত। শেষ বিকেলের লালচে নরম রোদে তখন তুমি এলে, প্রবল নৈশব্দের মাঝে তোমার পায়েল থেকে শব্দ উঠে এসেছিল- ঝুম, ঝুম, ঝুম। আর আমার চোখ দুটো প্রবল বিস্ময়ে দেখেছিলো নরম ঘাসে মুখ ডুবিয়ে আছে দুটো নরম পায়ের পায়েল। এই তো এখন, এখনো জানলা থেকে চৌখুপি আলো এসে পড়েছে তোমার পায়ে, কতটুকু আলো আর, তাতেই যেন চাঁদের নরম আলো তোমার পা ধুয়ে দিচ্ছে বলে মনে হয়। ভীতু পায়রাদের ডানা ঝাপটানোর শব্দে হাওয়ার মৃদুকম্পনে আর একটিবার তবে তোমায় দেখি,তুমি বরং দেখো মেঘ ছোঁয়া জলের অনন্ত দহন।
অনেক ধন্যবাদ।
হৃদয়ের খুব কাছ থেকে গেলো। কিভাবে লিখেন এমন কিছু?
অপূর্ব
আপনার যে ভালো লেগেছে এতেই উৎসাহ বোধ করছি।
ভালো থাকবেন।
চমৎকার ছন্দময় এই লেখাগুলোকে ভাল না বেসে পারা যায়না।
শুভকামনা।
ভালো থাকবেন নাজনীন।
অনে..........ক সুন্দর...!!!!!!!!!
এ্যা....ত...................তো.........ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
কবিতা পড়লাম না গপ্পো বুঝতে পারলাম না। তবে অদ্ভূত মায়াময় প্রতিটি ছত্র, চমৎকার লাগলো মেঘ!
শিরোণামের Vটা সম্ভবত টাইপো। সম্ভব হলে ঠিক করে দিয়েন।
মামুন ভাই কোনটা টাইপো হইছে? আমি বাংলা সাহিত্যে বিশারদ একটা, লিখতে গেলেই ভুল। জলের দহন- দহন তো ঠিক আছে, তাইলে জলের এইখানে কিছু হবে কি?
হেল্প...
ঢাকার ওয়েদার বদলাচ্ছো... হুট করে সূর্যটা ক্যামন যেন একটু ম্রিয়মান... এতো শীতের আগমন... আজকাল চুপি চুপি উকি দিয়ে যায় শীতের আমেজ... ভোরে উঠতে পারলে এটা টের পাওয়া যায়... এই চেঞ্জটা আমি খুবি উপভোগ করি...
আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো ... আমরাও আরেকটা ঋতুকে ধরতে যাচ্ছি
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
টুটুল ভাই দারুণভাবে আবহওয়া পরিবর্তনের বিষয়টি ধরসে। ভাল্লাগলো। তারে ধইন্যা।
ঠিক কয়টা কীবোর্ড ভাঙলে এরাম লেখার জন্ম হতে পারে কনদি মেঘ!
ওদের সাথে মিতালি হোক আর এরকম সুন্দর গুচ্ছ গুচ্ছ শব্দেরা ফুল ফোটাক কবিতার আদলে.....ভালো থাকা হোক।
প্রশ্নটা আপনাকে, আর উত্তরে পুষ্টিলাভের লক্ষ্য বাতিঘর
অদ্ভূতসুন্দর লিখেন আপনি! আরো লেখুন, আশ্চর্যসুন্দর মেলদল পাঠিয়ে দিলাম আপনার উদ্দেশ্যে
এতসুন্দর করে মন্তব্য যে লিখে, সে আবার আমাকে বলে তাই না!
অনেক ধন্যবাদ পোস্ট পড়া আর মন্তব্যের জন্য।
চমৎকার লেখা ।
ধন্যবাদ বিমা।
কবিতা পড়ছি লাগলো, ... আলতো, নরম পালকের মতো নরম, মায়ামাখা একটা কবিতা...
দারুন!...
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দারুণ লিখেছেন মেঘদি'। খুব ভালো লাগলো।
আমি তো আরও বলি আমার মীর ভাইটা গেলো কই রে!!
কালকে একটু ছিলাম না। আজকে ব্লগে এসে দেখি, এত এত পোস্ট। খুব ভালো লাগলো। আর আপনার এই পোস্টটা পড়ে তো পুরাই খুশী হয়ে গেলাম। এত চমৎকার করে লিখেন আপনি, মুগ্ধ হয়ে পড়তে হয়। আপু ভালো থাকেন এবং শুভেচ্ছা নিরন্তর গ্রহণ করেন।
ভাইরা সবসময় আপুদের সবকিছু ভাল দেখে, এইটাই হইল কথা।
বাহহহ
ধন্যবাদ।
কি সুন্দর!!!!
ধন্যবাদ।
বাহ .....
:\ :\ :\
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন