প্রিয়তমেষু
পুরোনো বইয়ের পাতার
ভাঁজে উঁইপোকাকে ফাঁকি দিয়ে
বেঁচে থাকা একটা-দু'টো কালচে হলুদ কাগজে কিছু
বাক্সবন্দি স্মৃতিরা আনন্দেই দিন কাটাচ্ছিলো।
আচমকাই আমার অবাঞ্ছিত আগমনে তাদের
বিরক্তির যথেষ্ট কারণ ছিল।
তবু নির্লজ্জের মতো বেশ কিছুক্ষণ সেই অনাঘ্রাত
বুনোফুলের ঘ্রাণ নিতে ঐ কয়েকটা পাতায় ঠায়
দাঁড়িয়ে থাকা, অযৌক্তিক মনে হলো না আমার
কেন জানি।
আমি বরাবরই স্বার্থপরের দলে ছিলাম। সম্প্রদান
কারকের ব্যাকরণ বোঝার
বাড়াবাড়িতে যাইনি বলেই হয়তো ভালোবাসার
ভাষ্কর্যে দেবার মতো যথেষ্ট সম্মানজনক নৈবেদ্য
ছিলো না আমার কাছে।
প্রাপ্তিযোগ বলতে যা কিছু ছিল, তার আস্ফালন
নেহায়েতই ঐ অচল আধুলির মতো! ভিক্ষুকের কাছেও
মূল্যছাড় চলে তার!
আমার তবু অতোটুকুনই যক্ষের ধন, ওতেই আমার
সবটা অহংকার!
প্রিয়তমেষু,
তুমি আমার কাছে শীতের রাতের উষ্ণতার
মতো তীব্র আকাঙ্খিত ছিলে না কখনোই!
তোমাকে সবসময়ই চেয়েছি খুব অপ্রয়োজনে,
বাহিরের সর্বনিম্ন তাপমানের মতো...
প্রগাঢ় শীতল অন্ধকারের মতো.......
আমার অদৃশ্য হয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট ঐ
নির্লিপ্ততা !
ভালো থেকো...!
প্রিয়তমেষু,
আকাশ দুচোখ দিয়ে আমি যতদূর দেখি ততদূর আমার
সীমানা,
আমি স্বপ্ন আঁকবো,
স্বপ্ন ভাংবো, স্বপ্ন দেখেই
কাটিয়ে দেবো আগামী দশহাজার দশ দিবস-
রজনী যেমনটা কাটিয়েছি গত দশহাজার বছর।
ভাল্লাগছে।
কিন্তু শুরু হইতে না হইতেই শেষ করে দেওয়ায় মাইনাস!
ওকে দাদা, এর পরের বার সলিড এ+
মন্তব্য করুন