সুখ বেচি
মধ্যবিত্ত মানসিকতা বা মিডলক্লাস সেন্টিমেন্ট
বিষয়টা আমার ভালো লাগে।
খুব সাজানো গোছানো, পরিপাটি সংসারে একটু
একটু করে অর্জিত আনন্দগুলো কমই থাকে
সাধারণত;
রোজ ৫০-৬০ টাকা জমিয়ে ফেরিওয়ালার কাছ
থেকে কেনা সস্তা চায়ের কাপে যে জুটি সন্ধ্যার
চা পর্বে নিজেদের ছোট্ট ছোট্ট সুখ খুঁজে নেয়,
প্রায় মধ্যরাত পেরোনো একাকী ডিনারে দামি
রেস্তোরাঁর চেক-ইন ছাড়া আপনি সে সুখের
কাছাকাছিও কখনও যেতে পারবেন না।
কাঁচঘেরা শো-রুমের ফার্নিচার দেখে দীর্ঘশ্বাস
লুকোনো বেকার ছেলেটা যখন ছোট্ট চাকরির
সামান্য বেতনে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের
মতো বাসায় নতুন একটা আলমারি নিয়ে আসে,
চোখের কোণে চিকচিক করা জলে তার প্রিয়তমার
সুখটুকু একান্তই মধ্যবিত্তের!
হাইক্লাস এপার্টমেন্টের এলুমিনিয়াম কোটেড
গ্লাসের জানালায় সে সুখ ধাক্কা খেয়ে ফিরে
যায়!
যে বাচ্চাটা মোমবাতি নেভানো, কেক-কাটা
জন্মদিন ব্যাপারটা শুধু স্বপ্নেই দেখে এসেছে; এক
দিনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবার মতো আচমকাই সে
সৌভাগ্য যদি তার অচ্ছ্যুত কপালে জোটে, তার
সেই বাঁধভাঙ্গা আনন্দ তারই স্কুলে পড়া বড়লোকের
আদুরে বাচ্চাটা বুঝতেই পারবেনা কোনওদিন!
একটা কথা অনেকেই বলেন, অভাব দরজা দিয়ে
আসলে ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায়। হয়তো
সত্যি কথা।
তবে, যে মানুষটা দারিদ্র্যের ঝড়ো বাতাসে
আপনার
হাতটা বিনা সংকোচে শক্ত করে ধরে
রেখেছিলো,
তাঁর কাঁধটা আপনি নিশ্চিন্তে আপনার কঠিনতম
সময়ের আশ্রয়স্থল সারা জীবনের জন্য ভাবতে
পারেন...!
মন্তব্য করুন