বাড়ির কাছে আর্শিনগর
এক
মুকুলের বৌভাতে মাইজদী গিয়ে একটা ভুল ভাঙলো। সৈয়দ ওয়ালিউল্লার লাল সালু থেকে ধারণা ছিল শস্যের চেয়ে টুপি বেশি ওখানে। সেরকম চোখে পড়লনা। সাধারণ দশটা মফস্বল শহরের মতই। তবে যে বৃষ্টি পড়ছিল, লোকজন বাইরে ছিল কম। তত্ত্ব পুরাপুরি যাচাই করা যায় নাই।
দুই
এখনকার হরতাল আমার জন্য ভালো। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে। গাড়ি বাস পাওয়া যায়। তাড়াতাড়ি অফিসে যাওয়া যায়। কিন্তু দুইদিন হরতাল থাকলে একদিন অফিসে যাই না। ক্যামেরা নিয়ে বের হই। সেদিন গেলাম বছিলা।
আকাশটা এত সুন্দর ছিল! নীল আকাশে সাদা মেঘ। ছবি তুলে তারপর তুরাগ নদীতে নৌকায় ঘোরা ছিল খুবই আনন্দদায়ক। এবং এর পর কাছেই বন্ধুর বাসায় সেইরকম ভোজন। বায়ান্ন ব্যঞ্জনের খাবার খেয়ে আমরা সত্যিই ছিলাম পরিতৃপ্ত। ধন্যবাদ বন্ধু। সাথে মাসুম ভাইকেও অনেক ধন্যবাদ। কারণ তার উছিলায় ভোজন ভাগ্য খোলে আমাদের।
তিন
মুকুলের বৌভাত থেকে ফেরার পথে সায়দাবাদের জ্যাম এভয়েড করার জন্য শীতলক্ষ্যার উপর তৈরি নতুন সেতু দিয়া ড্রাইভার গাড়ি চালিয়ে আনে। তখনই আমার মাথায় আসে জিনিসটা। বাসা থেকে এত কাছে শীতলক্ষ্যা নদী! খুব কম সময়ে ঘুরতে যাওয়ার এত সুন্দর জায়গা!
গতকাল হরতালের ছুটিতে বাসায় ছিলাম সকালে। বিকালে ক্যামেরা নিয়ে চলে যাই সেখানে। মাত্র পঁচিশ মিনিটের দূরত্ব।
নদীর এ পাড়ে বাওয়ানী পাটকল। বড় বড় নৌকা বোঝাই পাট আসে পাটকলের জন্য।
সেতুর উপর থেকে শীতলক্ষ্যা
নদীতে নৌকায় বেড়ানো
সেতুর উপর থেকে সূর্যাস্ত দেখা চমৎকার অভিজ্ঞতা। মন ভালো হয়ে যায়। সন্ধ্যা লগ্নে সেতুর উপর কুলকুল ঠান্ডা হাওয়ার আবেশ ছড়ানো ভালোলাগা নিয়ে বাসার দিকে ফিরি। বাসাতো কাছেই।
লাইক দিলাম দুইটা। ইচ্ছা ছিলো আরো প্রচুর দেয়ার।
বসিলা গেলেন কিন্তু খপর দিলেন্না। অথচ আমি যে জায়গাটা ভালো পাই, সেইটা আপ্নে জানেন।
আরে এইটা কে ? মরহুম মীর নাকি ?
আরে মীররে দেখা যায়
... খবর কি? আছেন কিরম?
ম্যালা দিন কিছু লেখেন্না... একটু হাত ঝাড়া দেন
আরে টুটুল ভাই, প্রিয় বন্ধুদের একজন। কেমন আছেন বলেন
ধন্যবাদ মীর। একদিন যাবোনে তোমারে নিয়া ছবি তুলতে।
ওক্কে বস্
স্বাগতম মীর! পা খুলে লিখতে বসে যান! কারন ম্যালা ঘুরাফিরা করছেন, ফাকিঁ মারছেন এইবার জোশ লাগাইয়া লেখা দেন!
জেবীন আপু আপনার খবর কি? কেমন আছেন আর কোথায় আছেন? সবসময় ভালো থাকেন। শুভেচ্ছা রইলো।
ছবিতে একশোটা লাইক
আপনারে হাজারটা
পাইছি মাহামান্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররে।
আর্শীনগর

আকশটা
ব্যাঞ্জনের
খুলে
যায়গা
ধন্যবাদ।
আরে এদেখি শ্রীযুক্ত বিণয় কুমার স্যান্নাল
মাহামান্য বানামে ভুল ধরে নাই। রবীঠাকুর রক্স।
মেসবাহভাই, আপ্নে "সায়েদাবাদ" বানানটা ঠিক না করে কাজটা কি ঠিক করছেন! একটা কাজ করতে নামছেন, বানান শুদ্ধিকরনের তাতেও গাফিলতি! বেরি ব্যাড!
ছবিগুলো অনেক সুন্দর হইসে।
থ্যান্কু পিচ্চি
ছবিগুলা দেইখা উদাস হইলাম।

নীলাকাশটা খুব্বি দারুন আসছে! আর শেষের সূর্যাস্তটা পর্যন্ত যেন একদিনের পরপর ছবি! ভাল্লাগছে!
থেন্কু
আছো করাম ইদানিং?
আকাশটা সেদিন এত্ত বেশী সুন্দর ছিলো কারণ আমি গেছিলাম যে!

মীরের কাছ থেকে শুনেই বছিলা গেলাম কিন্তু মীর যেভাবে ডুব দিলো আমরা মনে কষ্ট পেয়েছিলাম। একটা মানুষ হঠাৎ হাওয়া হয়ে হয়ে গেলো, তার খোঁজ নেওয়ার উপায় নেই এটা কেমন কথা!
আগে মীরের বিচার চাই। তারপর অন্য কথা।
মুরগীর রান খাইলেন তিনটা, ভাগেও পাই নাই রায়হান ভাই। আর আমি কী করলাম। থ্যাংকস বন্ধুরে।
এইরকম সুন্দর সুন্দর জায়গায় যাইতে মন্চায়
যান।
দারুন! ছবি দেখছি সাথে মীর ভাইকে দেখে আমি তো.....
হ্যাঁ আগে বিচার, পরে অন্য কথা।
দারুন ছবি। নীল রংটা এত পরিষ্কার কিভাবে এল? অসম্ভব ভাল লাগছে ছবি দেখে।
আমারো ভালো লাগল আপনাদের ভালো লাগছে দেখে। ঐদিন আকাশটা নীল ছিল খুব। আমার খুবই প্রিয় নিলাকাশ। আকাশের ছবি তুলেছিলাম অনেক।
আকাশ আমার প্রিয় , আর নীল আকাশ তো কথাই নেই। আমার বাসা থেকে হাইওয়ে তে উঠতে সময় লাগে পাঁচ মিনিট। তাই দিগন্তে মেশা অবারিত আকাশটা সব সময়ই আমার সাথে ছুটে চলে। ছবিও তুলি, তোলার পর আর তা নীল থাকে না। নীল করবার জন্য পিকাসার সাহায্য নিতে হয়। তবে ঘন নীল আকাশ খুবই বিরল। ধন্যবাদ।
আকাশের ছবিটা এতো সুন্দর, এতো সুন্দর, এতো সুন্দর যে...খুব সুন্দর।
কমেন্টটাও কী সুন্দর!
গুরু, আপনার ছবি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম।
ধন্যবাদ ওস্তাদ।
বছিলা ব্রিজের উপর থেকে চলেন একদিন সূর্যাস্ত দেখি। কবে যাবেন বলেন।
ছবিগুলা কি ঝকঝকে সুন্দর!! নদীর ছবি মনে হয় সবসময় সুন্দর হয় । সারাজীবন কত যে নদী আর খাল দেখেছি । কখনোই বিতৃষ্ণা জাগে নাই । আমার কোনদিন ক্ষমতা হলে আপনাদেরকে আমার নানুবাড়ি নিয়ে যাবো । ছবি তুলতে তুলতে নির্ঘাত টায়ার্ড হয়ে যাবেন ।
আনন্দের সাথে।
আপনের উদ্যমের কাছে হারবো সবাই...
স্যাল্যুট রায়হান ভাই!
শরম দিয়েন না
বছিলা সেদিন আসলেই দারূণ আছিলো...
তোমার ছবি দেও না কেন?
আপনের ছবি তোলার হাত ভালো। চর্চা করতে থাকুন। নিয়মিত অনুশীলন করলে বড় হয়ে চমৎকার ছবি তুলতে পারবেন।

দোয়া করি বড় ভাই বড় হয়ে ভালো ফটুগ্রাফার হইতারে যেন ।
নোয়াখালীর পুরা বিপরীত চিত্র দেখি। আমার বিয়ের সময় রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হইছে নোয়াখালীতে। মেইন রোড ছাড়া প্রায় পুরা শহর ডুবে ছিলো।
আর এদিকে শীতলক্ষ্যার আকাশ কি নীল!
সবগুলাই সুন্দর তবে ১,৪,৫,৬ এই চারটা ছবি একদম ফাটাফাটি।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয়।
দুই লম্বরটা ঠিক হয় নাই ক্যা মেজর, জাহাজ কাইত হইয়া রইছে ক্যা
ইনটেনশনালি ক্যাপ্ট
শুভ জনম দিন। ভালো থাইকো অনেক।
এত সুন্দর নীলাকাশ দেইখা পাখি হইতে মন্চায় ।
মন্তব্য করুন