হটল্যান্ড থেকে ফ্রিজল্যান্ড ৩ : বোলসওয়ার্ডে
হোটেলের গাড়ি দিয়েই এয়ারপোর্টে পৌছে দেয়ার কথা। সময় হয়ে আসলে রেডি হয়ে নীচে লবিতে এসে বসলাম। একটা স্মার্ট তরুন ও শাড়ি পরা ভদ্রমহিলা বসা ছিল। আলাপে জানা গেল ছেলেটি পাকিস্তানের। সুইডেন যাচ্ছে অফিসের কাজে। সুদর্শন সাবলীল কিছুটা ড্যামকেয়ার ভাবভংগী। মহিলা কেরালার। একা যাচ্ছে আমেরিকায় মেয়ের কাছে। এই প্রথম বিদেশ যাত্রা তাই চোখ ও মুখে ভয়ের ছাপ। ইংরেজিতে নিজেকে দুর্বল ভাবেন। বলেন, মাইন পুওর ইংলিশ। আমি মনে মনে বলি মাইন পুওর ইংলিশ অলসো। উপমহাদেশের তিন দেশের মানুষের মধ্যে আলাপ জমে উঠে। এর মধ্যে পাকিস্তানি খোঁচা দেয়ার জন্য হয়ত আমাদের বন্যার কথা জিজ্ঞাস করে। বলি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের কাছে নতুন কিছুনা। এই সবের বিপক্ষে ফাইট করতে করতে দেশের মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেছে। ওকে জিজ্ঞাস করি ওদের গণতন্ত্রের কী অবস্থা। জেনারেল মোশারফকে কি সরাতে পারবে। বিব্রত হয়ে পাকিস্তানি কিছু একটা বলে।
রাতের ঝলমল রাস্তাঘাট পেরিয়ে এয়ারপোর্টে পৌছার পর পাকিস্তানি যুবক আরবি লেখা পড়ে আমাকে ও ভারতীয় মহিলাকে দেখিয়ে দেয় আমদের কাউন্টার কোন দিকে। ধন্যবাদ দিয়ে তিনজন তিন কাউন্টারে যাই। এইবার এয়ারলাইন কেএলএম। লাইনে আমি বাদে সবাই ইউরোপিয়। আমার ঠিক সামনেই পঞ্চাশোর্ধ যুগল। মহিলা একটু পর পর কিস মি বলে আহ্বান করে সংগীকে চুমু দিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ করছে। অন্য কাউন্টারে সেই ভারতীয় মহিলা ভাষার সমস্যার জন্য বোঝাতে পারছেনা, বিমানের লোক অন্য ভারতীয় কর্মকর্তা ডেকে নিয়ে আসে সাহায্যের জন্য। মহিলার জন্য মায়া হয়। তবে সব জায়গায় ভারতীয় প্রচুর, সাহায্য পেয়ে যাবেন নিশ্চয়ই।
দুবাই ইমিগ্রেশনের লোক পাসপোর্ট উল্টায় পাল্টায় চাপ দিয়ে ইত্যাদি নানা পর্যবেক্ষণে কিছু একটা বের করার চেষ্টা করে। মনে হয় অথেনটিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হবার জন্যে। তারপর ছেড়ে দেয়। বিমানে ঘুমানোর চেষ্টা করি। আধা ঘুমে আধা জেগে থাকি। এক সময় হল্যান্ডের স্কিপল বন্দরে বিমান নামে। এক আরবীয় দম্পত্তি নিউ বর্ণ জমজ বাচ্চা নিয়ে মহা ঝামেলায়। একটু পর পর দুইটাই একসাথে কেঁদে উনাদের বিব্রতকর অবস্থা ফেলে। শেষে নামার সময় দেখলাম দুই বিমান বালা দুইজনকে কোলে নিয়ে কান্না থামাচ্ছে। একদল যুব পর্যটক। তাদের একটা ছেলে একটা মেয়েকে শুধায় ঘুমাতে পারছিলা? মেয়েটা জবাব দেয়, য়্যু নো আই ক্যান্ট স্লীপ উইদাউট সোডা।
ডাচ ইমিগ্রেশন পুলিশ কোনো ঝামেলা করে না। খালি জিজ্ঞাস করল কোথায় থাকব। মালপত্তর সংগ্রহ করে দরজা পার হই। কোম্পানির মালিক কেইস থাকার কথা আমাকে নিয়ে যাবার জন্য। যদিও ওকে দেখি নাই আগে। এদিক ওদিক দেখে সামনের দিকে আগাই। একেবারে শেষ গেটের কাছে এসে কাউকে দেখিনা। এক আফ্রিকান কে দেখি গালে হাত দিয়ে বসে আছে। আমর বুক শুকিয়ে যায় দেখে। যদি কেউ না আসে নিতে! আবার পেছনে মূল এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার মুখে এসে দাঁড়াই। তখনই একজন এসে বলে আর ইউ রাইয়্যান? ওহ, ধরে প্রান আসল। কেইস আমাকে পাশেই কফি শপে নিয়ে যায়। আমি বলি তুমি এইখানে ছিলা আগে ডাকলা না ক্যান, আমি শেষ মাথা পর্যন্ত ঘুরে আসলাম। সে বলে আমি ভাবলাম আসাদের( আমার কলিগ বাংলাদেশ থেকে বছরখানেক আগে সেখানে গিয়েছিল) মত বের হয়ে দাঁড়ায়ে এদিক ঐদিক তাকিয়ে খুঁজতে থাকবে। না তুমি বের হয়েই সোজা হেঁটে গেলে।
এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠতে গিয়েই বুঝলাম শীতের অবস্থা। মাইনাস থ্রি তাপমাত্রায় কাপতে কাপতে গাড়িতে উঠি। আমাদের গন্তব্য বোলস্ওয়ার্ড। আমাস্টারডাম থেকে একশ বিশ কিলোমিটারের মত। কেইস সকালে উঠে ড্রাইভ করে এতদূর এসেছে। গাড়ি ছুটছে তীব্র গতিতে। জন বিরল রাস্তা। বলা উচিৎ প্রান বিরল। আগে ছবিতে দেখা উইন্ডমিল দেখতে পাই মাঝে মাঝে।কয়েকশ বছরের পুরান উইন্ডমিলও আছে। কেইস বলে, রাতে তোমার এয়ারপোর্টে যেতে অসুবিধা হয় নাই তো। আমি বলি, না কোনো সমস্যা হয় নাই। খালি রাস্তায় ড্রাইভার একশ কি.মি তে গাড়ি চালিয়ে অল্প সময়েই পৌছে দেয়। কেইস মুচকি হাসে। স্পিডমিটারে তাকিয়ে দেখি একশ চল্লিশ। পরে জেনেছি অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোয় বেশ কয়েকবার টিকিট খেয়েছে কেইস।
কেইসের বাসা হল গ্রামের খামার বাড়ি। আশে পাশে বাড়ি ঘর নাই। অনেক দূরে দুই একটা দেখা যায়। বাড়িটার কাঠের তৈরি সব। কেইসের বউ সিসকা, তিন মেয়ে মিচকা, সিমকা, টিনা ও ছেলে কর্ণওয়ালিস রেডি হয়ে বসে ছিল। পরিচয় পর্ব শেষ হলে কেইস বলে তুমি শুয়ে রেস্ট নাও। আমরা সিসকার বাবার বাসায় বেড়াতে যাই বিকালে আসব। দোতালায় ঘুমানোর জন্য একটা রুম দেখিয়ে ওরা চলে যায়। পুরা বাড়িতে কেউ নেই। জানালা খুলে বাইরে তাকাই। শুনশান নিশ্চুপ চারিদিক। প্রচন্ড ঠান্ডা, জানালা বন্ধ করে দিতে হয়। আশ্চর্য রুমে ঘোড়ার পোস্টারে ভরা। নানা রকমের নানা ভংগীমার ঘোড়ার ছবি। অবাক হয়ে দেখতে দেখতে দীর্ঘ ভ্রমনে ক্লান্ত আমি ঘুমিয়ে যাই।
ঘুম থেকে উঠে বাড়িটা ঘুরে দেখি। গোয়াল ঘরে বিশাল বিশাল সব ঘোড়া। ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাই। এক সময় ওরা ফিরে আসে। কেইস তার ঘোড়া দেখায়। তার দশ টা আরেক বন্ধুর দশটা মোট বিশটা লালন পালন করে। ভোর সকালে উঠে ঘাসের গাইট উপর থেকে নামিয়ে খেতে দেয়। এই ঘাস আবার গরমের দিনে মাঠ থেকে কেটে এনে জড়ো করে রেখেছে। জিজ্ঞেস করি ঘোড়া পাল কেন? কেইসের উত্তর, ফর প্লেজার। শুধু ঘোড়া না কুকুর, ছাগল, ছোট একটা পনি ঘোড়া ও শ দুয়েক ভেড়া আছে। ভেড়াগুলো কই জানতে চাইলে জানায় মাঠেই থাকে।
খাবার সময় বাচ্চাদের সাথে আলাপ জমে। ভাষা কিছুটা সমস্যা হলেও বেশ আন্তরিক ছিল আলোচনা। বড় মেয়ে মিচকা মার কাছ থেকে ট্রানসলেট করে বলে আই হ্যাভ এ গোট। জানায় সে ঐটার টেক কেয়ার করে। আমি বলি আমিও ছোটবেলায় একটা ছাগলের টেককেয়ার করতাম। টিনা তার পোষা একটা প্রানি দেখায়। তুলার মত তুলতুলে ছোট সুন্দর একটা জীব। সুন্দর খেলনার মত ঘর। কেইস আমার জন্য খিচুড়ি রান্না করে চাউল সিদ্ধ করে তার মধ্যে হলুদ রংয়ের একটা মসলা দিল। খেতে ভালোই লাগল, সাথে ডিম ভাজা। খাওয়া দাওয়া শেষ হলে মালপত্তর নিয়ে শহরে একটা মোটেলে নিয়ে যায়। যেটার একটা রুম ভাড়া করা আছে আমার জন্য। মালকিনের নাম এলি। তার সাথে পরিচয় হলে ঘরের চাবি গেটের চাবি বুঝিয়ে দেন। কেইস রুম পর্যন্ত এসে কিছুক্ষণ বসে। পরদিন সকালে এসে অফিসে নিয়ে যাবে বলে চলে যায়।
চলবে - -
ছবি: উইকিপিডিয়া
খালি সোডা? ওরা মনে হয় গরীব খুবি।
..আমিও একই কাজ কর্তাম
মেয়ের নাম মিচকা?? নাম নিয়ে হাসাহাসি করা ঠিক কি না, সে ব্যপারে নিশ্চিত নই বলে হাসি চেপে গেলুম।
আমারো হাসি আসছিলো।

মিচকা এখন বড় হয়ে গেছে। ড্রামা নিয়া লেখাপড়া করে। নীচের ছবিটা গত বছর ওরা বাংলাদেশে আসছিলো তখন তোলা। মা সিসকা মেয়ে মিচকা।
বাহ্ উত্তম মুখশ্রী।
গুড ছবি। কিপিটাপ।
ছবিতো উইকিপিডিয়ার
সিসকা আর মিসকা নামের বাহার আছে বেশ

পুরো লেখাটায় কেইসদের বাড়িতে রাত্রি যাপনের বর্ণনা দারুণ হয়েছে, দৃশ্যকল্প তৈরী হয়, সুন্দর লেখা। চলুক রায়হান ভাই।
আমার কাছে তো পুরোটাই একই রকম লাগলো। পড়ছি, আর যেন বিষয়টা চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
তবে রায়হান ভাই দুইচার্টা টাইপো ইচ্ছা করে রেখে দেয়, মেসবাহ ভাইএর জন্য।
এই অংশটা কেমন না? কেমন যেন অলৌকিক একটা দৃশ্য তৈরী হচ্ছে...এবং এর পরের প্যারায়,
এখানেও। পুরো লেখায় এক টোন এখানে একদম ভিন্ন। আমার দারুণ লাগছে। এরম দৃশ্যকল্প তৈরীর ব্যাপারটা আমি পারি না
আরে আমিও তো পারি না।

রায়হান ভাই পার্সে, এইজন্য তারে লুক্ষ-কোটি
আপ্নে পারেন্না


কয় কি
আপ্নে তো দৃশ্যকল্প তৈরীর মাষ্টার
শোনেন মানুষের অপপ্রচারে কান দেয়া ঠিক না। কারণ বন্ধুরা একটু পক্ষপাতিত্ব করেই।
তবে নিরপেক্ষভাবে একটা কথা বলা যায়, আপনের নিচের তিনটা লাইনের কথা মনে আছে?
তোমার কাছে গিয়ে
ফিরে এসেছিলাম
কারণ হৃদয়ে সংশয়,
আমার ছিল হৃদয় শুধু
অন্য কিছু নয়।
এই লাইনগুলো বেঁচে থাকবে আজীবন। আসলে মানুষ একটা কাজ করে ফেলে অথচ জানতে পারে না, কি অসামান্য কাজ করা হয়ে গেছে! পরে একসময় সে বা অন্যরা বিষয়টা টের পায়।
মেসবাহ ভাই আজকে ব্লগে ঢুকতে পারছেনা।
এইটা কি প্রব্লেম? আপ্নে এইটা সমাধান করেন্না ক্যান?
এইটা রাহয়ান ভাইয়ের ষড়যন্ত্র

যাতে ভুল না ধর্তারে
ষড়যন্ত্র করে জনাব য়াযাদ'কে (আমার ভাই, তোমার ভাই) আটকে রাখা যাবে না। জেলের তালা ভেঙ্গে তাকে বের করে নিয়ে আসা হপে। সেইজন্য একটা জনমতও গঠন করা দরকার। কিন্তু এখন একটা ন্যাপ না নিলেই নয়। সো গুড্ডুবাই ব্রিব। আবার যেকোন এক সময় আইসে লগিন কৈরাম।
উখিঝ... আফাথথ গুড্ডুভাই
ষড়যন্ত্রকারীর কালো হাত
ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও...
থ্যান্কু লীনা
রাইয়্যান ভাইয়ের ছাগু প্রেম সেই চুডু কাল তেকে
স্বাভাবিক... নাইলে কাচ্চি রান্না কি ভাবে করপে?
ভাইস্তা সুমন, তুমি হালায় খালি ছাগুটাই দেখলা।
এই পর্ব দিতে এত দেরি হইল কেন? তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন
লেখা কেমন হইছে এটা তো লীনা আপু সহ অন্যরা বলছেই 
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
একটা জিনিস জানতে ইচ্ছা করে, ওরা কি আমাদের মত ইংরিজি না জানাকে ভীষণ লজ্জার কিছু মনে করে?
। মিচকা নামটা একটু হাস্যকর লাগ্লো । আমরা বলিনা? মিচকা শয়তান!! কিন্তু মেয়েটা দারুণ কিউট । এখন মনে হচ্ছে, নামে কি বা আসে যায়
।
এই সিরিজের আগের দুই পর্ব চোখে পড়েনি আগে । কিন্তু এখন একবারে পড়ে গেলাম
অবশ্যই না। তবে ওদের মাতৃভাষার সাথে একটা দুইটা বিদেশি ভাষা শিখতে হয়। যাদের সাথে কথা হয়েছে সবাই মোটামুটি ভালোই ইংরেজি জানে। এত ছোট একটা দেশ! আশে পাশের বড় বড় অর্থনীতির দেশ যেমন জার্মান, ফ্রান্স বা ইংল্যান্ডের সাথে তাল দিয়ে চলে। তাই অনেকে কয়েকটা ভাষা জানে। যেমন আমার হোটেলের মালিক এলিকে দেখেছি জার্মান ক্লায়েন্টের সাথে জার্মান ভাষায় কথা বলছে আবার আমার সাথে ইংরেজিতে।
ক্যান জর্মনের সঙ্গে তার ভাষায় কথা বললে, আপনের সঙ্গে বাংলায় বললো না ক্যান?
পাকিস্তানীটার সাথে খোঁচাখুচিটা আমার মনপুত হইছে।
আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে আমি সেখানেই বিচরন করছি।
টিনা ও কর্ণওয়ালিস পরিচিত দুই শতকের দুই নাম। কিন্তু মিচকা সিসকা বা সিরকা হাস্যকর। ওই কথায় আছে না এক দেশের বুলি অন্য দেশের গালি। খুব ভাল লাগলো ভ্রমন কাহিনী।
ধন্যবাদ আকিদা।
মাইয়াডারে মিচকা শয়তান বানানোর লাইগা মুনে হয় হের বাপ-মা মিচকা নাম রাখছে
সেই তো হটল্যান্ড/ ফ্রিজল্যান্ড গেলেন, আরো আগে গেলেন না। !!!
বলো যে পপির ঠিকানা নিয়া গেলাম না কেনো
কুন কিছু সেন্সর কইরেন না

কী সেন্সর করুম, আপনার মত লাইফ কাটাইছি।
রায়হান ভাই, আপনি শিওর নাম নিয়ে? প্রোনাউসেন প্রব্লেম নাতো? ইংরেজিতে জায়গাটার নামসহ অন্য নামগুলো লিখে দেয়া যায়?
আমাদের মতো যেহেতু ওদের দেশের বাইরে যেয়ে কামলা দিয়ে খাওয়ার চিন্তা নাই, তাই ওদের ইংরেজির প্রতি এতো মোহ নেই। তবে রায়হান ভাই ঠিক বলেছেন, তিনটে ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ ওদের শিখতে হয়
পরের পর্বের অপেক্ষায়
Bolsward (West Frisian: Boalsert) is a city in Súdwest Fryslân in the province of Friesland, the Netherlands.
Cees - কেইস , অনেক পরে জানছি এইটা নাকি কর্নওয়ালিসের সংক্ষিপ্ত
Tine - টিনা
Wytske - সিসকা (সম্ভবত)
অন্যদের গুলি বলতে পারছিনা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ববি।
আমিতো টেকনাফে আপনে দেখি পুরা তেতুলিয়াতে আসছিলেন?
লেখার জন্যও ধন্যবাদ মেজর
সিনেমায় দেখা ফার্ম হাউস থেকে ঘুরাইয়া আনলেন যেন, ঘোড়ার আস্তাবল, উইন্ডমিল! প্লেনের কাহিনী এত্তো ছুটো কেন!
থ্যান্কিউ জেবীন। বড় লেখতারিনা। তুমি যখন বলছ ট্রাই দিবো।
মন্তব্য করুন