সূর্যরাঙ্গা পরানপুর
আমার এক বন্ধু আছেন নিউ ইয়র্কে থাকেন-- স্বভাবে মধ্যবিত্ত, অভাবে গল্পকার, কিভাবে কিভাবে যেন ফিল্ম পরিচালকও। সবচেয়ে বড় পরিচয় তার, সে হইলো ব্যাপক আড্ডাবাজ। আগে প্রায় দেখা সাক্ষাত হইতো এখন দূরে থাকি বিধায় ফোনে কথা হয় মাঝেসাঝে। উনি সুযোগ পাইলে পচানি দিতে ছাড়েন না আমাকে, "শুনেন শুনেন... কেবল তো আইসেন, ৫ বছর কাটুক ঢাকার নামটাও মুখে নিবেন না। কি নাই এই শহরে। ঢাকার জন্য কান্দেন ক্যান। আপনি হইবেন বিশ্বনাগরিক, ঢাকা ঢাকা করলে চলবো?"
আমি ঘাঁড় গুজে বসে থাকি। একমত হইতে পারিনা। মাঝেমাঝে রেটরিক্যাল প্রশ্ন করি "তার মানে আপনি বলতে চান ঢাকায় থাকলে বিশ্বনাগরিক হওয়া যাবেনা?" আরেক দফা শুরু হয় লেকচার। ডাউনটাউন ম্যানহাটনের কোন এক ছোট বারের উদ্দাম সঙ্গীত ছাপিয়ে আমার মনে ঘুরতে থাকে প্রিয় বন্ধুর মুখ, হলের ছাদে বসে সারারাত গান, নীলক্ষেতের পুরানো বইয়ের গলির চেনা দোকানদারের সাথে দর কষাকষির চরম উত্তেজনা, বা মোল্লার টংয়ে হটাত ভালবাসার কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবশ বিকাল।
এদিকে ননস্টপ বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন বন্ধু আমার।
আমি তাকিয়ে থাকি উনার দিকে। এতকিছুর মধ্যেও কেন ভুলেননা ময়লা, নোংরা, যানজটের শহর ঢাকাকে। কেন উনার মুখে শুধু ঢাকারই গল্প? এই শহরই তো তাকে আশির দশকের শেষে খ্যাতি দিয়েছিলো কিছুদিনের জন্য, এখানেই তিনি পেয়েছিলেন গল্প লেখার অনুপ্রেরণা, এখানেই খুঁজে নিয়েছিলেন ভবিষ্যতের সঙ্গীকে। এটা কি সেই শহরকে ত্যাগ করার অপরাধবোধ?
তবে কি উনিও আমার মতই হোমসিক?
(লেখাটির শিরোনাম সমগীতের গান পথের পরান থেকে ধার করা। )
আমার এক বন্ধু আছেন নিউ ইয়র্কে থাকেন। স্বভাবে মধ্যবিত্ত, অভাবে গল্পকার, কিভাবে কিভাবে যেন ফিল্ম পরিচালকও। এই লাইনটা পড়তে ভালো লাগলো। আপনি শব্দ নিয়ে সুন্দর খেলতে পারেন।
ধন্যবাদ!
আপনের বন্ধু'র অবস্থা কি? শেষবার সে ঢাকা আইসা মহা বিলা খাইছে...
ও, এইজন্যই মনেহয় এত তিরিক্ষি আছেন।
আর উনার মনে হয় ঢাকা ছাড়াও আছে গাও গেরামের চিন্তা...
বরিশাইল্যা বলে কথা!
স্বভাবে মধ্যবিত্ত, অভাবে গল্পকার, কিভাবে কিভাবে যেন ফিল্ম পরিচালক ও। খুব মজা পেলাম। নতুন কথা শুনলাম। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
হোম সিকনেস থাকুক।
থাকবে। এই রোগের ওষুধ মোটেও সহজলভ্য না।
ধন্যবাদ জয়িতা!
ভালো লাগলো
ধন্যবাদ।
কাহিনী পুরা মিললো কেমনে???

আ্য়-হায়! এ তো সাড়ে সর্বনাশ!!
আমি বিদেশে থাকলে হোমসিক হই আর দেশে থাকলে এ্যাব্রডসিক। একুশ শতকের সমস্যা।
বিশাল সমস্যা!
বন্ধু-বান্ধব আশেপাশে থাকলে আমি কোনটাই হইতামনা বলে ধারনা। এরা এমুন বাটপার, কি আর বলব আপনাকে।
আমি একলা থাকতেই পছন্দ করি, কিন্তু পারি না। সেটা যেখানেই হোক।
বিষয়টা একা থাকার না। একা থাকা আর একাকিত্বে ভোগা ভিন্ন।
আমি আমোদ-ফূর্তির মানুষ, একা থাকতে ভালো লাগেনা।
আমার ঢাকা ভাল লাগেনা! তবে চট্টগ্রাম ব্যাপকস, তাই ভুলতে পারি না।
ঢাকা শহর হিসাবে খুব উচ্চমানের না সেটা পাগলেও জানে। নিউ ইয়র্কের মত শহরের তুলনায় তো খুবই সাদামাটা। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, হাঁটার রাস্তা, পার্ক, বাচ্চাদের খেলার জায়গা-- আধুনিক শহরের এরকম অনেক আবশ্যক উপাদান তো একেবারে অনুপস্থিত এই শহরে।
তবে শহরের সাথে জড়িত আবেগের অভাব নাই আমাদের। সে কারণেই এই লেখা।
আশির দশকের খ্যাতিমান লোকজন আপনের বন্ধু??
তাইলে তো প্রচুর মাথা চুলকাইতে হয়
হু, এরম আরো আছে।
ষাটের দশকের বিখ্যাত লোকও বন্ধু আছে। মাথা চুলকাইতে থাকেন।
কি আর করা! >)
আপনেরে যে এত সুন্দর একটা গান দিলাম, কিছুই বললেন না।
এদেশের যে কি হপে? আমি নিরাশ। নিউ ইয়র্কেই কাটামু বাকী জীবন।
ওহ্ গানটা তখনই ডাউনলোডাইসি এবং শুনসি। সেজন্য যে চার কেজি ধইন্যাপাতা দেবো, সেটা মনেই ছিলো না বস্


ইয়ে এক্টা কথা উইথ সংকোচ, ম্যানহাটনের ন্যূয়র্ক সেন্ট্রাল জু'তে আমার কিছু বন্ধু থাকেন। অ্যালেক্স, মার্টি, গ্লোরিয়া আর মেলমিন। একটু তাদেরকে আমার খবর যদি কষ্ট করে পৌছে দিতেন, খুব খুশি হইতাম। শুধু আমি ভালো আছি বললেই চলবে। অবশ্য বেশি ট্রাবল হয়ে গেলে নাহয় বাদ দিন।
আর ওই গানটা কি আপনের বিশেষ পছন্দের? আমারা একটা বিশেষ পছন্দের গান শুনুন। আগেও নিশ্চিত শুনেছেন, কিন্তু আবার শুনুন।
গানটা ভালো, আগে শুনিনি। কান্ট্রিগান খুব পছন্দের ছিল একসময়। জানেন আমি যেখানে থাকি তার পাশের রাস্তায় একটা বাড়ী আছে, উপরে লেখা -- Garth Brooks and Sandy Brooks lived here. যতবার বাড়িটার পাশ দিয়ে যাই, অদ্ভুদ একটা অনুভূতি হয়। এর গান কি শোনাই না শুনসি স্কুল-কলেজে থাকতে!
আর আগামীবার নিউ ইয়র্কে গেলে মাদাগাস্কার ফ্যামিলিরে আপনার শুভেচ্ছা পৌছানো হইবে।
এই চমৎকার গানটার জন্য আপনারে কেমনে ধন্যবাদ দিই বুঝতে পারতেসি না। অবশ্য বন্ধু নাম নাই থাকলে, এটা আগে না শোনার জন্য হয়তো আপনার মাথায় একটা বাড়ি দিতো। সে আবার প্রচুর গান শোনে আর মুভি দেখে আর বই পড়ে। কি আজব কিসিমের মানুষ চিন্তা করেন!
যাইহোক, আপ্নে দেশে আসলে খবর দিয়েন। চোখের সামনে নদী থেকে ইলিশ মাছ ধরে, ভেজে খাওয়ানো হপে।
আর আপনে থাকেন কোথায়? সেখানে এখন কয়টা বাজে?
নামনাই একটা যা-তা। ওরে পাইলে গনধোলাই দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এমন ভাব যেন ও ছাড়া আর কেউ গান শুনেনা। যত্তসব!
দেশে আসার কোন সম্ভাবনা নাই অদূর ভবিষ্যতে। তবে আপনার দাওয়াত কবুল হইলো। আসামাত্রই ইলিশ মাছ খাইতে যাওয়া হপে, নামনাই'রেও সঙ্গে নিয়া যাব।
আর আমি একটা বাজে জায়গায় থাকি, সময় বিকাল ৪ টা।
নাম নাই কেঠা? ওরে নিয়া যাবি ক্যান? আমি কি দোষ করলাম! যাউগ্গা, কুটনামি বাদ দিয়া গান শোন দুইজন মিল্লা
দুস্ত, দ্যাখ কি একটা নামনাই নামের একটা লোক ব্যাপক ভাব নিতেসে! এরে শায়েস্তা করা দরকার।
আর্রে আপনের সঙ্গে এমনকি তার গানের চয়েসেও অনেক মিল আছে। সেও একবার আমারে স্টার্সএর গান শুনতে দিসিলো জানেন

চারজনও যাওয়া যাবে, নোপ্রব্স্
আরে কি চারজন, চারজন?
৩ জন হইলে এক রিকশায় যাওয়া যাবে। নাইলে হুদাই বেশী খরচ।
আরে কি বলে, উনারা দুইজনই তো ভালো। কাউকে রেখে গেলে নিশ্চই কষ্ট পাবে।
চিন্তা কর/করেন! এই কপিক্যাট কোত্থেকে আইলো! চল/চলেন তিনজন মিল্লা ঐটারে পিটাই।
পিটাপিটি করা যাবে না। সে আমার বন্ধু।
ওহ, তাইলে তো লোক ভাল মনে হয়।
ভালো কেমনে হয়?
মারতেই হপে। পালাইতে পারবেনা।
না থাক, স্টারস শুনে যখন, মাফ কইরা দেয়া যায়। ছবি তুলছিলাম কয়টা আপলোড করার জন্য, জীবন শেষ হইয়া গেল চাইরটা ছবি আপলোড করতে। এখন পোষ্ট করতে গিয়া দেখি আসেনা :@
আমার ছবিগুলো কিরাম হৈসে? বিশেষজ্ঞ মতামত দ্যান।
বিশেষঅজ্ঞ আবার কিসে হইলাম? ছবি ভাল পাইছি, বেশি ভাল পাইছি বিড়াল আর ঐ সিন্ডারেলার বাসাটার ছবি। ঐ বাসার আশেপাশে আমি থাকি
আপনে তো অত্যন্ত ধনী প্রকৃতির মানুষ দেখা যায়। বাবাহ্

আপনের বন্ধু কৈ গেল? ছবি ভালো পাইসেন জেনে খুশি হলাম। চিয়ার্স
ভাল কইরা পড়েন কি লিখছি, ঐ বাসায় আমি থাকিনা, ঐটার আশেপাশে থাকি। একটা আস্তানায়। রুমের ছবি দিতে চাইছিলাম পারতেছিনা
চিয়ার্স 
ঐটার চেয়েও ভালো জায়গায় থাকেন!! আরো বাবাহ্।

ছবি দেয়া কঠিন কিছু না। আমরা দুইজনই তো কতগুলো দিলাম।
কোক খাইতে চিয়ার্স
হ সিন্ডারেলার প্যালেসে থাকলে নিশ্চই হাপায়ে যাইতাম, তাই ওর চে ভাল জায়গায় থাকি
ওইটা কোক না, ওইটা ভাল্লুক!
ওহ্ আপনে এত গুন্ডাটাইপ কেন? শী ইজ আ গুড গার্ল।
ইয়েস, আই য়্যাম আ গুড গার্ল
থ্যাঙ্কস, মীর। মৌসুম মাঝারি, ঐ নামনাইটা বেতমিজ একদম!
পিছিয়ে আছেন ১১ ঘন্টা। এইবার আমাকে দাওয়াত দেন। আমি এসে আপনারে গ্রীনবো'তে একদিন ঘুরাইতে নিয়ে যাইতে পারি। ওইখানে আমার একটা শ্রীম্পবোট কিনে বিজনেস্ করার ইচ্ছা আছে।
আপনেরে যদি বলি একটা লাইভ ছবি দিতে, তাইলেতো দিবেন না। কি আর করা। আমিই কয়েকটা দিই। দেখেন এবং জানান কেমন লাগলো।
৩ নং ছবি'তে যে বাসাটা তার ঠিক উল্টো পাশের বাসায় আমার শৈশব, কৈশোর মিলে মোট ১৭ বছর কেটেছে। ১৯৮৯ এ আমরা ঐ বাসায় উঠি। ২০০৬ সালে আবুল খায়ের লিটু, তারেক জিয়া'র সাহায্য নিয়ে ঐ বাসাটা দখল করে নেয়। সে-ও এক বিরাট কাহিনী। এখন অবশ্য বাসাটি নেই। আজ ওখানে "হাতির ঝিল" প্রকল্পের কাজ চলছে।
ঐখানে, ঐখানের আসে-পাশের মাঠে-রাস্তায় আমার এবং আমার ভাই-বোনের কত স্স্মৃতি যে চাপা পড়ে আছে!
হাতির ঝিল যদি ঠিকমত হয় তাহলে কিন্তু খারাপ না। ঢাকা শহরে ওয়াটার-বডি খুবই দরকার। লিটু'র বাড়ি/ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাইতে তা বহুগুন ভালো হবে।
এ প্রসঙ্গে বলি, রাজশাহী শহরের প্রধান ডাকঘর যেটা, সেটা আমার আদি নানাবাড়ি, স্বাধীনতার পর সরকার নামমাত্র মূল্যে কিনে নেয়। আমার নানা সারাজীবন দুঃখ করসেন, আমার কিন্তু খারাপ লাগেনা। সবার কাজে যদি আসে, খারাপ কি? স্মৃতি ঠাকে মানুষের মনে। বাড়ি-ঘর, দালান-কোঠা তেমন ব্যাপার না।
আপনি মন খারাপ করেন না।
মন খারাপ তো এজন্য হয়না যে, আজ ওখানে "হাতির ঝিল" প্রকল্পের কাজ চলছে। মন খারাপ হয় পুরনো দিনের স্মৃতি মনে করে

কত কত কত কত মধুর স্মৃতি।
আজ বুঝি কত মায়াময়, কত সুন্দর দিন ছিলো সেগুলো। তখন যে কেন বুঝিনি!
কোম্পানির নাম কি রাখবেন ঠিক করসেন? আমার মনেহয় "বাবা-গাম্প শ্রিম্প" রাখলে যুতসই হইবো।
তা প্রথম ছবিটা কোথায় তোলা বললেন না তো।
আরে! মজা তো!!
৩ নম্বর ছবিটা নিকেতনের সামনের বাড়িটা না?
৬ নম্বরটা ফ্লাইওভার, আর রেললাইনটা মনেহয় নাখালপাড়ার ভিতরে।
দাঁড়ান আমি দৌড় দিয়ে ২ টা ছবি তুলে আনি।
৩ নম্বর্টা গুলশানের ছবি। সম্ভবত আপনি যেটার কথা বললেন সেটাই হবে। ওদিক দিয়ে যাওয়ার সময় সবসময়ই এই বাড়িটার দিকে চোখ চলে যায়।
৬ তেজগাঁও-বিজয় স্মরণী লিংক রোড, রাংগস্ ভবন ভেঙ্গে যেটা বানাইসে। রেললাইন ওটার ওপর থেকেই তোলা।
১ কোথায় বলতে পারেন?
না বলতে পারছিনা। কোথায়?
আমার বারান্দা
অবশ্য দুইটা দিতে চাইসিলেন।
আরেকটা আপলোড হইলো না তো, কি করবো?
আমিও
এব্রোড-সিকনেস কাটানো যায়। হোমসিকনেস বেশী খারাপ, বুকে চেপে থাকে পাত্থর হয়ে।
টেবিলের একটা কোনা
জানালার একটা কোনা
বিছানার একটা কোনা

গুলশান ২ এর একটা কোনা

ছবিগুলা একটু ঝাপসা হইসে নাকি রে?
ধুর, তোরে আবার মিস করতেসি। ভাল্লাগেনা।
ঝাপসা কারন রুমের মধ্যে আলো ছিলনা, হাই আইএসও দিলাম। তারউপর এইখানে আপলোড করছি ৪ মেগার ছবিরে ৫০০ কিলোবাইট বানাইয়া। কেমনে অ-ঝাপসা হবে বল
তোরেও মিস করতেছি, তুহির বাচ্চার জন্মদিন আজকে, কি ভাল হইত তুই থাকলে, দুইজন মিললা যাইতাম।
বাচ্চার জন্মদিন একটা মহাবিরক্তিকর ব্যাপার। একে তো বাপ-মায়ের আদিখ্যেতা দেখতে দেখতে জান খারাপ হয়ে যায়। এর উপ্রে আছে খালা-মামা-চাচা-ফুপুরা-- সূর্যের চাইতে বালি গরম-- বাবু-বাবু করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে।
থাকলেও যাইতামনা মনেহয়। তুই যা। আমার হয়ে শুভেচ্ছা দিয়া দিস।
তোর পোলার জন্মদিনে আমিও যামুনা যা। তুহির পোলার জন্মদিনে আমারে একলা পাঠাবার শাস্তি। পোলাপাইন আমার দুই চোক্ষের বিষ। তোর-ই বাচ্চাকাচ্চা প্রেম আছে বইলা জানতাম
আমার পোলা? তার আবার জন্মদিন? তোর কল্পনা শক্তির এহেন উন্নয়ন ঘটসে দেখে আমি খুবই প্রীত হইলাম। আমার বাচ্চা-কাচ্চা প্রেম আছে, তবে বাচ্চা-কাচ্চার মা/বাপের আদিখ্যেতার প্রতি কোন প্রেম নাই। জন্মদিনের আজাইরা অনুষ্ঠানটাগুলার প্রতি আছে শুধু বিরক্তি। এগুলা শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের জন্য রাখা দরকার।
শর্মীকে একটা ধন্যবাদ দেয়া হয় নাই এই অসাধারণ গানটার জন্য
ধন্যবাদ
বন্ধু গো আমার...
শুনতে কি পাও তুমি?
ডাকছি তোমায়
এ বুকে
বন্ধু গো আমার / আকাশের মেঘে উড়ালি পাখায় / উড়ে উড়ে ডাকছি তোমায় / ঝিরি ঝিরি বট পাতার ছায়ায় / বাউরি পাখি ডাকল তোমায় / বন্ধু এসো... / বন্ধু এসো গলায় গলায় / পথের পরাণ মিলাব তোমায় / বন্ধু গো আমার শুনতে কি পাও তুমি / ডাকছি তোমায় এ বুকে ... বন্ধুগো আমার...
অদ্ভুত সুন্দর একটা গান
অনেক ধন্যবাদ টুটুল ভাই। এই গানটা কি যে ভালো লাগে, বার বার শুনেও পুরানো হয়না। খুব মেধাবী কিছু তরুন শিল্পীরা মিলে সমগীত গড়েছেন। অসাধারন গান গান উনারা! আমার মতে এই মূহুর্তে সমগীত বাংলাদেশের অন্যতম মেধাবী গানের দল। আমার প্রিয় লাইনগুলো কিন্তু শেষের অংশটিতে -
"একা একা খুব একলা কালে
তুমি আমি মিলে আমরা হলে
জ্বলতে পারি পথের সুরে
সূর্যরাঙ্গা পরানপুরে।
ডাকছি তোমায় আপন সুরে
ধুলায় ধুলায় বেলা বয়ে যায়।"
এমপি থ্রি লিঙ্ক নাই??
এমপিথ্রি আছে আমার কাছে, লিঙ্ক তো নাই।
টুটুল ভাইরে এক বস্তা ধন্যবাদ।গানটার এমপিথ্রি লিঙ্ক দেয়ার জন্য।
দেশী ভাই, ব্যাপক না গানটা?
মনে হয়, তাই হবে। সুন্দর লিখেছেন
ধন্যবাদ রিশাদ।
এখানে ২ ধরনের মানুষ আছে-- একদল বলেন দেশের সব ভালো, আরেকদল বলেন সবই খারাপ। দুইটার কোনটাই আমার ঠিক মনে ধরেনা।
প্রথম দলকে নিয়েও লেখার ইচ্ছা থাকলো।
হায় হায় এটাও মিলে গেছে।

হায় হায়, এখন কি হবে?
আপনিই হাল্কার উপ্রে লিখে ফেলেন তাইলে উনাদের নিয়ে।
হালকার উপর ঝাপসা হছে না গো বহিন।
মাথা আইজ পুরা আউলা হইয়ে গ্যালছে।কতক আগে আগে বিরাট বাঁশডলা খ্যায়েছি।
কি বুলছেন এগলা? রাজসাহীর ছাওয়ালেক বাঁশ-ডলা দিয়্যাছে কে?
আর বুলেন না আছে এক মামুর বোঠাঁ।সালা আমার শুপারম্যান।

ঐ মামুর ব্যাঠ্যাদের কথা আর কি বলব!
পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম
নিউ ইয়র্কের বাসায় চাকচিক্য? আরে তাইলে আপনার আত্মীয়তো ব্যাপক বড়লোক। আত্মীয়স্বজন/ পারিবারিক এনভায়রনমেন্ট থেকে আমিও দূরে থাকতেই পছন্দ করি।
যারা গানটা পছন্দ করেছেন, তাদের জন্য সমগীতের আরেকটা গান!
এটাও জোস্
থ্যাংকিউ ভেরী মাচ।

কি অবস্থা? নতুন পোস্ট কৈ?
১ নম্বর্টা আইবিএ লনে তোলা। আরো কয়েকটা ছবি দেয়ার ইচ্ছা হচ্ছে কিন্তু সুযোগ পাইতেসি না।
ইফ টুমরো নেভার কামস্ গানটা প্রতিদিনই শুনছি। চমৎকার লাগছে।
আরেকটা গানের লিঙ্ক আছে, আপনার নতুন একটা লেখার কমেন্টে।
ছবিটাতে ফ্লোরের নকশা দেখে মনে হচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হবে। আর নতুন লেখা আসবে কিছুদিনের মধ্যে।
সেইটা যখন দিসেন তখনই পাইসি। বন্ধু-বান্ধবদেরকে সবসময় থ্যাংকস্ দেয়া লাগে বলে মনে করি না।
পুরোনো একটা ছোট্ট গান শোনেন আবারো। কিছুদিন শব্দটাকে কিছুক্ষণ-এ কনভার্ট করতে হবে।
আরে! খুব প্রিয় গান আমার! এটা মনেহয় না বললেও চলবে, কারন গানটি সবারই পছন্দের তালিকার উপরের দিকে থাকে বলে জানি। ধন্যবাদ! এই গানটার জোয়ান বায়েজ'এর ভার্সনটাও খুব চমৎকার। কিছুদিনকে কিছুক্ষনে কনভার্ট করতে পারলে তো খুব ভালো হত। প্রিয় ঢাকায় উপস্থিত হয়ে যেতাম কিছুক্ষনের মধ্যে।
একটা বিষয় নিয়ে মনটা ভারী, দেখি ওটা নিয়েই লিখে ফেলবো আজ রাতে।
ভালো থাকুন।
এইটা শোন তোরা দুইজন।
ফেসবুকে আমরা বন্ধু গ্রুপে এই পোস্টের লিংক দেয়া হইসে। সেইখানে পোস্টের ছবি হিসেবে দেয়া হইসে আপনের জানালার কোনার ছবিটা।
ব্যাপক গান। থ্যাঙ্কস দোস্ত।
সত্যিই তো --What the fuck was I thinking?
আপনার লেখার স্টাইলটা খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ একলব্যের পুনর্জন্ম!
আপনের খবর কি? নববর্ষের শুভেচ্ছা। নতুন পোস্ট দেন।
শুভেচ্ছা থাকলো আপনার জন্যও।
পোস্ট আসবে খুব তাড়াতাড়ি।
আমার মনে হয় আমি বিশ্বের যে কোন প্রান্তে থাকতে পারব যদি সে শহরে আমার বন্ধু থাকে। যে শহরে দেশে আমার বন্ধু নাই সেখানে আমার আত্মা নাই.....
একদম একমত।
একটা ছবি দেখেন এবং বলেন এটা কোন্ ডিপার্টমেন্টের ছবি। একটা হিন্ট দেই, কার্জনের গভীরে যেতে হবে।

আমি ব্যানানা-বিল্ডিংয়ের লোক, কার্জন হল-টলরে কি আর পাত্তা দেই, বলেন?আপনিই বরং বলে দ্যান।
পুরা বিসিএসের প্রশ্ন দিছে আরেকজন। মাল্টিপল চয়েস কই? টিক মার্ক দিতাম।
হা হা, আসলেই। মাল্টি চাই!
ভাবসিলাম আপনেরা যেহেতু ভার্সিটিতে পড়সেন, সেহেতু জায়গাটা চিনবেন।
ভার্সিটিতে পড়লেই যে কার্জন হলের গভীরে প্রবেশ করতে হবে, এইটা তো জানা ছিলনা। আমরা কলাভবন, টিএসসি, চারুকলা, ফুলার রোড ও রোকেয়া হলের বাইরে ভার্সিটি কাউন্টাই না।
এখন বলে দ্যান, কোন ডিপার্টমেন্ট এইটা?
ঘটনাতো কিছুই বুঝতেসি না। আমার বন্ধুরাতো বলতো এর বাইরেও নাকি বিশাল একটা ভার্সিটি আছে ওইখানে। ১০৬ বছরের পুরোনো বড় বড় বিল্ডিং আছে। একটা নাকি গভীর শুকনো দিঘী আছে। সেই দিঘীটা প্রতিদিন রাত তিনটার সময় জীবন্ত হয়ে ওঠে। একটা নাকি মিউজিয়াম আছে মাটির নিচে। আরো নাকি অনেক কিছু আছে। এগুলা কিছু আপনেরা দেখেন নাই?
জামাই হল দেখসেন?
কার্জন হলে যাইতাম না বেশি। তবে পছন্দ ছিল আমার জায়গাটা খুব। পুকুরটার পারে অনেক চরম রোদ্দুরের দুপুর কাটাইছি। সুমী নামে একটা বন্ধু ছিল ও পড়ত প্রানীবিদ্যায়, ওর ডিপার্টমেন্ট ছিল পুকুরপারটাতে। কিন্তু ঐ এক ডিপার্টমেন্ট ছাড়া কার্জন হলের অন্য কোন ডিপার্টমেন্টের নাম জানিনা। আর হ্যা, অগ্রনী ব্যাংকের কথা ক্যামনে ভুলি, যার পাশে ডক্টর মুহম্মদ শহিদুল্লাহ-র জংলা কবর।
এপি'র পিছনে একটা একতলা দালান ছিলো। ওইটার দুইতলা কনস্ট্রাকশনের সময় আমরা দখলে নিলাম। একপাশে বাঁশের সিঁড়ি তৈরী হইলো। দিনের বেলা মিস্ত্রীরা চলাচল করতো। আমরা মোটামুটি সন্ধ্যার দিকে বন্দুক-টন্দুক নিয়ে রওনা দিতাম। অন্ধকার নামলেই জ্বলে উঠতো আগুন। এরপর যখন বসা থেকে উঠে প্যান্ট ঝাড়া দিতাম ততক্ষণে পুরো শহর ঘুমিয়ে পড়েছে। ওয়াইল্ড সময় ছিলো একটা। আমি অবশ্য কার্জন হলে পড়তাম না।
আহা আপনেরে ঐসময় চিনতে ইচ্ছা করতেছে। তবে তার জন্য মনে হয় কয়েকবছর আগে জন্ম নিতে হইতো আপনার। আপনি কি ম দিয়ে একটা লোকের নামে নাম ঐ বিল্ডিং-এর ছাত্র?
, ঐটার নাম আমার কখনোই মনে থাকেনা 
ইহ্ আসচে একজন হিসাব করতে। আপনের বয়স কত আমি জানি না মনে করসেন?
মুকাররম বিল্ডিংএও পড়তাম্না।
এ্যানেক্সে পড়তেন।
..আমার বয়স জানলে তো ভালই, আরো ভাল কইরা জানেন কয় বছর আগে আপনের জন্মাইতে হইত আমার সাথে পড়তে 
আপনারে মাল্টিপল চয়েস্ দিলেও পারতেন্না। তিনবারে পারেন নাই। আমি কিন্তু একবারেই বলসিলাম, সবাইরে নিজের মতো ইংরেজির স্টুডেন্ট মনে করেন ক্যান?
আর আমি তো এখনো জন্মায়-ই নাই। আমার সঙ্গে হিসাব করেন কেনু?
আমি ইংরেজীর স্টুডেন্ট এইটাতো আমি নিজেই বলছি মনে হয়, হাহ্! আর কই সবাইরে ইংরেজীর ছাত্র মনে করলাম, ইংরেজী ডিপার্টমেন্ট কি এ্যানেক্স বিল্ডিং-এ নাকি?
এ্যনেক্স-এর কথা তো বললামই- হয় নাই। যতক্ষণ না নিজের কাছাকাছি নিয়ে আসবেন, ততক্ষণ হবে না। কাম-কাজ না থাকলে বিকালে ক্যমেরা নিয়ে পার্কে যায়েন। টিএসসি'র গেট দিয়ে ঢুকতেই একটা ছবি পাবেন।
বিকালে তো ঘুমাবো ভাবছিলাম
কিসের ছবি পাবো? আপনার ডিপার্টমেন্টের? টিএসসি-র গেইটের পাশে! 
টিএসসি'র গেটের (পার্কের) পাশে যেসব ডিপার্টমেন্ট, সেগুলোয় পড়ার মতো সৌভাগ্য আজ পর্যন্ত কারো হয় নাই। এতবড় ইউটোপিয়া কভার করার নজির নাই। দিনের প্যাচাল দারুণ হচ্ছে বস্ সিরিয়াসলি...
মোকারম ভবন। নাম শুনলেই মনে হয় দৌড় দেই একটা।
দৌড়ে কি ভবনের ছাদে উঠে যেতে চান?
ছাদে কি আছে?
লাফ দেয়ার সুব্যবস্থা
আরেকটা দিলাম। একটা এখনো বলতে পারে নাই।

আরে এইটা কি ঐযে নেসক্যাফে না কি জানি নাম ছিলো ঐ জায়গাটা? ঐটা না পরে বন্ধ করে দিছিলো শুনছিলাম? ঐখানেও বেশি যাওয়া হয়নাই, চার পাঁচবার হবে সর্বসাকুল্যে। নাকি সোহরাওয়ার্দির মধ্যে এইটা? মানে মিয়া এইটা তো যেকোনো জায়গা হইতে পারে, প্লাস্টিকের লাল চেয়ার আর মোজোর ছাতা!
এইটা মনেহয় শহীদ মিনারের পাশে। হইসে?
জায়গাটা পার্কের ভেতরে। এইবার পেরেছেন।
আগেরটা কোন ডিপার্টমেন্ট বললেন না তো!
মৃত্তিকা পানি ও প্রিবেশ বিজ্ঞানের এক্সটেনশন বিল্ডিং।
শুভ সকাল। অবশ্য আপনের ওখানে মনে হয় রাত শুরু হচ্ছে। কি মজা!
হু, রাত পৌনে একটা।
আপনাকে শুভ সকাল।
রাত পৌনে একটার ইমো হয় নাই। এটা দিতে হবে


আপনাকে শুভ রাত্রি, সুইট ড্রীম্স
এখানে দেখি সব কান মলা খাওয়া পাবলিকের গোলটেবিল বসছে।

আর বইলেন না, আমরা কানমলা খাওয়া পাট্টি একসাথ হইতে পারলেই হইল, প্যাচাল আর থামাইতে পারিনা। বুঝেননা, এম্নি এম্নি তো আর কানমলা খাইনাই সারাজীবন
।
দেশীভাই, আপনি কোন পার্টি?
আমি আপনাদের চাইতেও নীচের গ্রেডের কানমলা খাওয়া পার্টি।

মাঝে মাঝে আমার মধ্যেও এমনটা কাজ করে। ঢাকাকে ইচ্ছে মত গাল দেই। কেন ঢাকা যাবো না, সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করি কিন্তু ক্ষনিক পর অবাক হয়ে দেখি যত গল্প করছি সব ঢাকাকে নিয়েই। প্রিয় নগরী ঢাকা। বিশ্বনাগরিক হয়েও আমাদের নাড়ির টান ওখানেই। ছোট্ট লেখা, কিন্তু ছূঁয়ে গেলো।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন