একটি ছেলে মায়ার বাধন ভেঙ্গে একা .....
নদীর সচ্ছ পানিতে ওপাড়ের ছায়া পরেছে। ঐ তো কিছু তাল গাছ দেখা যাচ্ছে পানিতে। মেঘের ছুটো ছুটি ধরা পরে যাচ্ছে। উচু পার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে অনেকে সারাদিনের জমিতে কাজ শেষে। কয়েকজন তাদের একমাত্র আয়ের উৎস গরুগুলো কে নদীর পানিতে নামাচ্ছে। সারাদিনের লাঙ্গল কাধে কাজ করে ক্লান্ত প্রানী গুলোকে ঠান্ডা করে ঘরে ফিরবে।
এখন ইচ্ছে করছে পানিতে ঝাপ দেই। নিজের মত কিছুক্ষণ সাঁতার কেটে বেড়াই।
চাইলেই সব করা যায় না কেন!
পায়ের কাছ দিয়ে একটা কাঁকড়া যাচ্ছে। দুষ্টু মাথার বুদ্ধিতে ঢিল দিতে
মুহূর্তেই গর্তে উধাও।
ধুর সব সিগারেট শেষ। ইচ্ছে করছে। আর সময় কাটছে না যেন। সৈকতকে ডেকে এখন নেয়া যাবে না। লিমা আর সৈকত ব্যস্ত নিজেদের নিয়ে। ঐ তো একটু দূরে দুইজন বসে গল্প করছে। আসে পাশের সব কিছুই তাদের কাছে এখন অচেনা কিছুই ধরা পরছে না। কি যে এত গল্প ওদের! কত কথা থাকতে পারে দু’জন মানুষের!
সৈকত ক্লাসমেট আর একই সাথে রুমমেট। অনেক ভাল বন্ধু হয়ে গেছে। তাই তার সব কাজেই সাথে থাকতে হয়। এই যেমন লিমাকে সাথে নিয়ে নদীর পাড়ে আসবে, সৈকতের সাথে আসতে হয়। প্রায় প্রতিদিন। বসে থাকতে হয় ওদের একা রেখে দূরে। ফেরার পথে সৈকত চা নাস্তা খাওয়াবে আর সাথে সিগারেট তো আছেই। এই জন্যই আসতে খারাপ লাগে না।
এই মুহূর্তে কেউ একজন পাশে থাকলে দারুণ হত। এভাবেই গল্প করা যেত। উমমম কি হত! ভাবি পাশে একটা মেয়ে বসে আছে খিল খিল করে হাসছে শুধু। লাল শাড়ি আর তার সাথে লাল টিপ দেয়া কপালে, লাল কাচের চুড়ি হাতে। লম্বা চুল গুলো উড়ছে কানের পাশে। দু'হাত নেড়ে নেড়ে একটানা কথা বলেই যাচ্ছে। হাত নাড়ার সাথে কাচের রিনিঝিনি শব্দ কানে আসছে। মেয়েটার চোখে মুখে দুষ্টুমির ছায়া। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়েই থাকতে হয় শুধু। এখন খুব মনে হচ্ছে একটা সিগারেট দরকার।
“এই হাসান, উঠে আয়। যাবার সময় হয়েছে”
ধ্যান ভেঙ্গে মুহুর্তেই পুরো দৃশ্যটা উধাও হয়ে গেল চোখের সামনে থেকে। লাল শাড়ি পরা দুষ্টু হাসি মাখা মেয়েটার মায়া কাটিয়ে নদীর পাড়ে রেখে যেতে হবে হাসানকে …. বাস্তব দুনিয়ায়, মানুষের ভিড়ে, পরিবারের মাঝে, বন্ধুদের কাছে।
ক্রমশ…..
[উৎসর্গঃ যে মানুষটার কাছ থেকে গল্পটা শুনেছিলাম। তোমাকে কিছুই দিতে পারি নি তোমার নতুন দিনে। তাই আজ এই লেখাটা তোমাকেই দিলাম। আমি হয়ত আমার ভাষায় কখনই প্রকাশ করতে পারব না পুরোপুরি একজন কে। তাও আমার চেষ্টা। আমি যেমনটা দেখেছিলাম তেমনই কাউকে আঁকতে চেষ্টা করব।]
// mizan added for auto increasing write panel
<!-- comment section ends -->
ইশ, কি যে সুন্দর একটা লেখা! চলুক।
:">
চলুক
দারুণ!! চলুক।
তাই?
খাইছে!
লেখা চলুক।
এহেম এহেম.. কিছুর কি গন্ধ পাইলাম নাকি??
আমার ঠান্ডা লাগছে। আজকাল কোনো গন্ধ পাই না।
সুপ্তির লেখা চলুক।
লেখা চলুক।
চলুক কৈলাম
এইবেলা ব্লগে একটা সিরিয়াল এর গ্যাজেট লাগাইতে হবে। কোন কোন সিরিয়াল রানিং আছে, কোন কোন সিরিয়াল শেষ হইয়া গেছে, আর কোন কোন সিরিয়াল শুরু কইরাও শেষ করে নাই, শীর্ষ সিরিয়ালখেলাপী ব্লগার এর লিস্টিও দেখান যাইতে পারে।
চলুক...
বাহ...., আরেকজনের হয়ে কথা বলাটাও অনেক সুন্দর হৈছেতো...চলুক...
হুমম..
মন্তব্য করুন