হঠাৎ বৃষ্টি
অনেক দিন থেকে ইচ্ছা ঝুম বৃষ্টিতে ভিজবো। আমি ভুলেই গেছি কবে বৃষ্টিতে ভিজেছি। আগে সকাল সন্ধ্যা যখনই বৃষ্টি হতো নেমে পড়তাম উঠোনে কিম্বা দৌড়ে যেতাম ছাদে। মায়ের কাছে কতোই বকা খেতাম সেই জন্য।
কাল অফিস থেকে বের হতে দেরী হলো। একটা মেইল করে ছুটে বের হলাম, তারপর যথারীতি বাসের টিকেট কেটে লাইনে দাঁড়ানো আর বাস ভ্রমন। বৃষ্টি শুরু হতেই উদ্বিগ্ন মোবাইল, ওপাশে ততোধিক উদ্বিগ্ন একজনের কন্ঠস্বর। তাকে আশ্বস্ত করে আয়েশ করে বসি। প্রতিদিনের এই বাস ভ্রমন আমার ভীষন পছন্দ। এক তরুন ভিক্ষুক নিজের দুর্দশার কাহিনী বলে কোমলমতি বাসযাত্রীদের কাছ থেকে কিছু আয় করলো। বিনা পুঁজির ব্যাবসা। নিজেকে বিএনপি বস্তির অধিবাসী একজন অসুস্থ রিক্সাওয়ালা এবং ঘরপোড়া পরিচয় দিলেও সে যে একজন মাদকাসক্ত তা না বললেও বুঝতে কষ্ট হলো না আমার। একজন ফেরিওয়ালা উঠলেন ছোট চার্জার লাইটের ক্যানভাস করতে করতে। এরকমই একটা জিনিষ মনে মনে খুঁজছিলাম। তার আগেরদিন আমার কন্যা মোমবাতি দিয়ে খেলতে গিয়ে তার নিজের চুলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। আমি ক্যানভাসে প্রলোভিত হয়ে প্রায় দ্বিগুন দামে চাজার্র লাইটটি কিনে নিলাম।
বাস স্টপেজে নামতেই বৃষ্টির কবলে পড়লাম। শুরুতে বিরক্ত, ফুটওভার দিয়ে রাস্তা পার হলাম অনেকটা ছাতা মাথায় দিয়ে চলার মতো (আল্লাহর রহমতে এখন ফুটওভারে ছাদ আছে)। প্রতিদিনের মতো হাটা শুরু করলাম। সন্ধ্যাবেলায় হটাৎ বৃষ্টিতে রাস্তা একেবারেই ফাঁকা, বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা আমাকে পিছনের দিনগুলির কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিল। অসম্ভব ভালোলাগা নিয়ে ঝবজবে ভিজে ঘরে ফিরলেও অনেক্ষণ তার রেশ চলছিল। গরম চা সেই ভাললাগাকে আরো দ্বিগুন বাড়িয়ে দিল। শুধু নতুন কেনা স্যান্ডেল আর প্রয়োজনীয় জিনিষ ভর্তি ব্যাগটা করুন চোখে তাকিয়ে রইল তার মালিকের দিকে।
বৃষ্টিটা জোশ ছিলো। ভিজলাম্ ভালো লাগলো।বৃষ্টির সাথে আমার সবসময়ের মিতালী।
বৃষ্টিতে আম কুড়ানোর সেই দিনগুলি যদি আবার ফিরে আসতো!!
বৃষ্টি আগে ভাল্লাগতো, যখন মোবাইল ছিল না। এখন বৃষ্টি হইলে বিরক্ত লাগে, মোবাইলটারে আছাড় মারতে মঞ্চায়
মোবাইল্যার জন্য একটা পেরাস্টিক ব্যাগ রাকবেন সাথে। বৃষ্টি নামলেই...ভিজতে কোন বাধা নাই।
এইরম ব্লগ পোস্ট পড়নের মজাটাই আলাদা...
এইটা বক বক টাইপ পোস্ট।
ভাস্করদার সাথে একমত।
কেমন আছেন সুবর্ণা? অনেকদিন পর দেখলাম। কন্যাকে আদর।
আনেক খারাপ সময় যাচ্ছে নুশেরা আপু। জোর করে ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। দোয়া করেন কঠিন সময়টা যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়।
বৃষ্টি বহুত পছন্দ হইলেও কালকে ভিজতে চাই নাই...কাজ আমারে জোর কইরা ভিজাইলো।
মানুষ যেমন বৃস্টিতে ভিজতে চায়, বৃষ্টিও তেমন মানুষকে ভিজাতে মজা পায়।
কালকের বৃষ্টির সময় আমরা ( আমি, রায়হান ভাই, টুটুল, নাজ, জয়িতা, বিমা, ভাস্কর, মাসুম ভাই, নজরুল, লীনা দিলরুবা...) কোথায় ছিলাম বলবো না....
আমি আর নাজ আড়ংয়ে ছিলাম
কি কন?বিমা আর আমি ত সারা বিকাল সন্ধ্যা রিকসায় ঘুড়লাম। বৃষ্টিতে ভিজলাম।জোশ, রোমান্টিক।আর কইতাম না। বিমা যে বৃষ্টিতে গান শুনাইছে এইটা কমু না।আপনি আমগো কই পাইলেন?
মেসবাহ ভাই ট্রিক্স কৈরা বাইর কর্তে চাইছে তুমি আর বিমা কৈ আছিলা
বৃষ্টিতে ভিজনের পর এট্টু ঝিমানী মতন আইছিলো, তখন খোয়াব দেকছিরে বইন...
আপনের সত্রই বয়স হইচে বুঝলাম। প্রলাপ বকতাছেন কেন?
বিমা আর আমি কই ছিলাম এইডা ত ফোন করলেই কইতাম। ট্রিক্স করনের কাম কি?
জয়তা বিমা, টুটুল ভাই ভাবি কই ছির জানা গেল। বাকীরা ফাস করুক কে কুথায় ছিলেন। আমি কিন্ত একা ছিলাম না, আমার সাথে বৃষ্টি ছিল।
"ছেলেটির নাম মেঘ" ... এরম কিছু?
মেঘ তো ফোনে ছিল, সে সারাক্ষণ ফোনেই থাকে।
মেঘ তো ফোনে ছিল, সে সারাক্ষণ ফোনেই থাকে।
লেদারের জুতা


মোবাইল
মানে ব্যাগ
এগোর জ্বালায় ঠিক মত ভেজন যায় না
আফসুস.......
এসবের মায়া করলে তো আর ভেজন যায় না।
আমি ছেলাম ধানমন্ডি
একা নাকি বৃষ্টিও ছিল সাথে?
বৃষ্টি ছেলো, শিল ছেলো, হিমু মোটর সাইকেল ছেলো...আরো কত কী ছেলো
যাক অনেকেই ছিলো, শুধু বৃষ্টি থাকলে চিন্তার কারন ছিলো।
কত্তদিন বৃষ্টির লগে কুলাকুলি হয়না ......
দিন আসতেছে কুলাকুলির, কিন্ত এইটা কোন বৃষ্টি???
বৃষ্টির আবার রকম আছে নাকি ?
আমি তো বৃষ্টি নামে অনেককে চিনি, আপনি চিনেন না?
রুবেল প্রকৃতিকে চিনে
এই
আমনে জানলে কেমনে
সেইটা আবার কোনজন?
বহুদিন বৃষ্টিতে ভিজি না। মনচায়।
আফসুস ......
আপনের অফিস কই? আর বাসাই বা কই? এই বাস ভ্রমন প্রতিদিন আয়েশ কইরা করেন? শুইনা অবাক হইলাম ক্ষানিকটা। যাই হোক, সব কিছু এঞ্জয় করতে পারা বিরল ব্যাপার। এবং অতি অবশ্যই খুব ভালো ব্যাপার। আর বৃষ্টিটা জোস ছিল। বেশি বেশি জোস।
গাবতলী টু বাড্ডা একটা বাস আছে, যার প্রায় পুরা যাত্রাটাই আমি ভ্রমন করি। যখন এইটা ছাড়া ঘরে ফেরার উপায় নাই তখন , এন্জয় করাই তো ভালো।
বৃষ্টিটা চরম ছিলো, সাথে যদিও হালকা শিলা পড়ছিলো...সময়মত ইলেকট্রিসিটিও গ্যাছলো...
বৃষ্টি ভেজা বর্ণনা চরম লাগলো....
বাসায় ফিরার পর কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। মেয়ের ডায়রী খুলে দেখি পরদিন পরীক্ষা..
হিংসিত বোধ করতেসি
কেউ বৃষ্টতে ভিজছে শুনলে আমারও হিংসা লাগে।
আপু কেমন আছেন ?
চলতে হয়, তাই চলে যাচ্ছে...
শুক্রবারেই বৃষ্টি হইলে ভিজতে মন চায় , অন্য সময় দেখতে ভালো লাগে , কাজ ফেলায়ে জানালার কাছে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখার মজাই আলাদা।
এর আগে একদিন হঠাৎই ঝড় হলো, অফিস ছিলাম তখন , মনে হলো রাত হয়ে গেছে। ঘুর্ণির মতো বাতাসের সাথে শুকনা পাতা, রাস্তায় পড়ে থাকা কাগজ উড়ছিল। আমরা মন্ত্র মুগ্ধের মতো জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম।
আমার বৃষ্টি অনেক পছন্দ। বৃষ্টি হলেই বাচচাদের নিয়ে ছাদে চলে যাই ভিজতে। বাচচারা বৃষ্টিতে ভিজতে পছন্দ করে।
একদিন আমরা বৃষ্টিতে ফটোসশন করেছিলাম, মনে আছে? চৌদ্দ বছর আগের ঘটনা সেটা।
বৃষ্টিতে ক্যাঁথা গায়ে দিয়া ঘুমানির মজাই আলাদা।
যারা পানি দেখে ভয় পায়, তারা বৃষ্টি হলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমায়...
এই বচ্ছর অল্রেডি দুই দিনই বৃষ্টিতে ভিজছি । ইনশাআল্লাহ আরো ভিজুম
অফিস থেকে ফেরার সময় ভিজলে সমস্যা নাই। যাওয়ার সময় ভিজলে খবর আছে।
বন্যেরা বনে সুন্দর বৃষ্টিরা বাংলাদেশে
বৃষ্টির সময় গ্রামে থাকলে সবচেয়ে মজা।
বৃষ্টিতে ভিজার নেশা আমার এখনো যায় নাই। আমি ব্যাঙ প্রজাতির। বৃষ্টি হইলেই ভিজি। গতকাল যদিও অনিচ্ছায় ভিজছি। তবে অপেক্ষায় আছি বৃষ্টির, ভিজবো। তবে আগে যে বৃষ্টি নামলেই ফুটবল খেলতে নামতাম বা আম গাছ খালি করতে। সেই দিনগুলার জন্য কেবলই দীর্ঘশ্বাস
ঝড়ের দিনে আম কুড়ানো, শীল পড়া আম খেতে কতোই না মজা ছিল..
বৃষ্টি মানেই নষ্টালজিয়া,
বৃষ্টি মানেই পুরোনো দিন ফিরে পাওয়া।
আহারে বৃষ্টি ...
বৃষ্টিতে স্নান করার মজাই আলাদা!
মুকুল ভাই আর কতোদিন একা থাকবেন, আপনারে দেখলেই মায়া লাগে...
আমি ভিজতে চাই নাই। আমারে ভিজায়া দিছিলো। বেয়াদপ বৃষ্টি।
কালকের বৃষ্টিটা আসলেই ভালো ছিল..
হেহে! বৃষ্টিতে ভিজছিলাম
ভালু বৃষ্টি
এই রেশ চিরস্থায়ী হোক
ছোটকালে বৃষ্টিতে ভেজার কথা মনে পড়লো.............
এখন ভিজলে সর্দি-জ্বর এক সাথে নামে
মনে হয় পৃথিবীর অযোগ্য হয়ে উঠছি
পোস্টে +++
পোস্ট চাই।
ইশশশ তোমার শহরে বৃষ্টি যাছে বয়ে , এই এতোদূরে বসে আমি ব্যাকুল হয়ে ডাকছি বৃষ্টি আসুক ঝেপে । যদিও বৃষ্টি হলেই মনটা খ্রাপ হয়ে যা্য়, কিন্তু একজনের বৃষ্টি খুপ পিয় ....তাই আমিও বলি , 'আমি বৃষ্টি চাই, আমি বৃষ্টি চাই বার বার, সুখে যন্ত্রণায় এঠিকানায় বাঁচবার'
লেখা চাই সুবর্ণা। নতুন লেখা।
মন্তব্য করুন