হয়তো জরুরী নয় তবুও
কঠিন, তাত্বিক কিছু লেখার জন্য যে ধরনের একাডেমিক পড়াশোনা ও চিন্তা ভাবনার গভীরতার প্রয়োজন হয় তা আমার নেই। লেখালেখি, নাচ, নাটক এগুলো আমার বেঁচে থাকার রসদ, নিজেকে সান্ত্বনা দেয়া যে না আমি মরে যাইনি, বেঁচে আছি এখনো। তাই আমি এগুলো থেকে আনন্দ নেয়ার চেষ্টা করি। সারাদিনে অনেক ধরনের স্ট্রেন যায় যেগুলো এড়ানোর কোন রাস্তা নেই, তাই যেই ঝামেলাগুলো এড়ানো সম্ভব সেগুলো অন্তত এড়িয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করি। জীবন আমাকে শিখিয়েছে, একটা খারাপ সম্পর্ক মেনটেন করতে যতোটা এফোর্ড দিতে হয়, ভালো সম্পর্ক মেনটেন করতে ততোটা দিতে হয় না। তাই তাত্বিক কিছু নয়, কিছু উপলব্ধি লিখতে কেন যেন আজ ইচ্ছে করছে। ছোটভাইসম গৌতমকে অনেক বার বলেছিলাম নেদারল্যান্ডসের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে লিখবো। মেয়ের স্কুলকে খুব কাছে থেকে ফলো করেছি একটা সময়, নিজেদের স্কুল জীবনের সাথে পদে পদে তুলনা করেছি কিন্তু লিখবো লিখবো করে কয়েক বছর চলে গেছে লেখা হয়ে ওঠেনি। আসলে লিখে ফেলা খুবই দরকার ছিল মনে হয় এখন।
মেয়ের স্কুল থেকে বছরে তিন বার রেজাল্ট দেয়। এটা প্রাথমিক স্কুলের নিয়ম। প্রত্যেক সাধারণ প্যারেন্টস সময় পান দশ মিনিট আর যাদের বাচ্চাদের সমস্যা আছে তারা বেশি সময় কিংবা আলাদা এ্যাপয়ন্টমেন্টও পান। সমস্যা মানে, বেশি মারামারি করে, পড়ায় অমনোযোগী, স্কুলে দেরীতে আসে, বেশি কামাই করে অসুস্থ হওয়া ইত্যাদি। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য স্কুল আর প্যারেন্টসকে একসাথে কাজ করতে হয়। ফলাফল থাকে চারটা ভাগে ভাগ করা। সিলেবাসের পড়াশোনা, সিলেবাসের বাইরে কি জানে, সোশ্যাল ইমোশোনাল ডেভেলাপমেন্ট ও গ্রস মোটর স্কিলস। প্রতি বছর সরকার থেকে সিলেবাস, এক্সাম পেপার সব প্রত্যেক স্কুলকে দেয়া হয়, সেই এক্সামের ওপর ভিত্তি করে বাচ্চাদেরকে এ, বি, সি থেকে এফ পর্যন্ত গ্রেডিং দেয়া হয়। তারপর থাকে সিলেবাসের বাইরে কি জানে। বাচ্চাদের মেধানুযায়ী সিলেবাসের বাইরে অংক, গ্রামার ইত্যাদি দেয়ার নিয়ম আছে। সেটা দিয়ে তারা মাপে ডেভেলাপমেন্ট আর ইন্টারেষ্ট। কোন বাচ্চা বেশি আঁকতে ভালোবাসে, কেউ অঙ্ক করতে আবার কেউ বই পড়তে। আর একটা পার্ট হলো সোশ্যাল এন্ড ইমোশোনাল ডেভেলাপমেন্ট পার্ট। বাচ্চারা বন্ধুদের সাথে কিভাবে আচরন করে, কোন বন্ধু খেলতে গিয়ে পড়ে গেলে কিভাবে সাহায্য করে, নিজের অঙ্ক করা হয়ে গেলে অপেক্ষাকৃত দুর্বলকে সাহায্য করে কীনা সে সমস্ত টীচারকে নোট রাখতে হয় প্রতিটি বাচ্চা সম্পর্কে। গ্রস মোটর স্কিলসে থাকে বাচ্চা জিমে, খেলায়, শারীরিক ব্যাপারগুলোতে কেমন রেসপন্স করছে। এনাফ ফিট কীনা। শারীরিকভাবে ফিট না হলে সে ঠিকভাবে স্কুল এঞ্জয় করবে না তাই এটাও সমান গুরুত্বপূর্ন।
ছেলেবেলা থেকে শুনে এসেছি পশ্চিমে সব ফ্রী। সেক্স থেকে জীবন, যা ইচ্ছে তাই করা যায়। সাদা চোখে তাই দেখা যায় বটে। এখানে এডাল্টারী প্রমান করতে পারলে পার্টনারের বিরুদ্ধে, এনি থিং ক্লেম করতে পারে হিসাবের বাইরে। বিশ্বাস ভঙ্গ এখানে সবচেয়ে বড় শাস্তি। সম্পর্ক মানে সম্মান। আর সম্মান ভঙ্গের কোন ক্ষমা নেই। এখানে স্কুলের বাচ্চাদের কোন নির্ধারিত স্কুল ড্রেস নেই, বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা থেকে ফ্রীডম উপভোগ করার সুযোগ দেয়ার জন্যে কোন স্কুল ড্রেস সিষ্টেম রাখেনি তারা। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই প্রত্যেকের “ন্যাক” আর “স্বভাব” সম্বন্ধে কাগজে কলমে অফিসিয়ালি নোট রাখা হয়। কিছুদিন আগে অব্ধি অলিখিতভাবে মেয়েদেরকে ডাক্তারী পড়তে দেয়া হতো না। মেয়েদের নার্ভ দুর্বল এ কারণে। নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে এখনো আমরা নারী ডাক্তারদেরকে হা করে চেয়ে দেখি কারণ জানি ইনি অনেক ঘাটের জল খেয়ে এ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। ওনাকে আটকানো যায়নি, আটকাতে পারলে আটকে দিতো। এই নার্ভ সংক্রান্ত রিপোর্ট আসে স্কুল থেকে। ডাচ এডুকেশনে কোন ধরনের প্রাইভেটাইজেশন নাই বলে প্রাথমিক স্কুলের এই রিপোর্ট অনেক গুরুত্বপূর্ন। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ও শিক্ষকদের সেজন্য অনেক ট্রেইন্ডও হতে হয়। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে চার বছর বাচ্চাদের সাইকোলজি ও টিচিং এর ওপর আলাদা পড়াশোনা করতে হয়।
যখন আমি এখানে পড়তাম আমার কাছে এদের অনেক কিছুই হাস্যকর লাগতো। গ্র্যাজুয়েশন কোর্সের মধ্যে হাউ টু ট্রীট ক্লায়েন্ট ব্যাপার থাকতো। ব্যাপার হলো, কোন একটা সমস্যা সিলেক্ট করে দুজন করে পার্টনার করে দিতো। একবার আমি ক্লায়েন্ট হবো আর একবার আমার পার্টনার। আমরা একজন একজনকে ফোন করবো কিংবা অফিসে যেয়ে দুপক্ষ সেজে সেগুলো আলোচনা করবো। এগুলোর পরীক্ষাও হতো ভিডিও রেকর্ডিং সিস্টেমে। আমি বাসায় এসে বলতাম কি শ্যালো ব্যাপার স্যাপার এগুলো বলো। আমার স্বামী যিনি আমার খুব ভালো বন্ধুও অনেক সময় তিনি আমাকে বোঝাতেন। পড়া এক ব্যাপার আর পড়াটাকে ঠিক ভাবে ব্যবহার করা আলাদা ব্যাপার। আমাদের দেশে কেউ কেউ নিজ থেকে শিখে নেয় কি করে জীবনে সারভাইভ করতে হবে। আর এদেশে একজন যখন শিখে নিয়েছে তার বিদ্যাটা সবার সাথে শেয়ার করে কি করে প্র্যাক্টিক্যালি পড়াটাকে ব্যবহার করতে হবে কিন্তু তখনো আমি ঠিক করে বুঝিনি আসলে কি বোঝাতে চাইতো। আমি অবাক হতাম, একজন গ্র্যাজুয়েট কি করে একটা ফোন রিসিভ করতে জানবে না, এটা কি শিখানোর বিষয়? আজ জানি হ্যা এটাও একটা শিক্ষা, হাউ টু ট্রীট এ কল, বরং বিরাট শিক্ষা। বিরাট ডিগ্রী থাকলেই সামান্য কল হ্যান্ডল করা যায় না।
আমি ইন্টার্নী করতে ফিলিপ্সে ঢুকেছিলাম, ইন্টার্নী শেষ করার পর সেখানেই চাকরি হয়ে যায়। এদেশের সরকারের নিয়মানুযায়ী বছরে মিনিমাম ষাট ঘন্টা প্রত্যেক কর্মচারীকে আত্ম উন্নয়নের জন্য প্রত্যেক কোম্পানী কিছু ডেভেলাপমেন্ট কোর্স দিতে বাধ্য। সেটা একাডেমিক হতে পারে কিংবা কম্পিউটার এনি থিং। কিন্তু দিতে হবে। আর অনেক কোম্পানী দক্ষ কারিগর তৈরী করার জন্য নিজেই অনেক সেমিনার ট্রেনিং এর আয়োজন করেন। ফিলিপ্স এর মধ্যে অন্যতম। এদের ট্রেনিং তৈরী করার কায়দাও মজার। অনেকগুলো ফিলিপ্সের অফিস থেকে, বিভিন্ন দেশ থেকে, সেম র্যাঙ্কে কাজ করা লোকদের নিয়ে ট্রেনিং সেশনের আয়োজন করেন। কর্তৃপক্ষ ভাবেন যাদের সাথে সারাক্ষণ মেইল আর ফোন হয় তাদের মধ্যে কখনো সামনা সামনি দেখা হয়ে যাওয়া বিরাট ব্যাপার। ফোন বা মেইলে আমরা যে একটা মুখ কল্পনা করি সামনা সামনি বেশির ভাগ সময়ই সেই মুখ কল্পনার সাথে মিলে না। ফিলিপসের এই সেশনগুলোতে অনেক আঙ্কেট থাকতো। একই প্রশ্ন সামান্য একটু অদল বদল করে পাঁচ বার ছয় বার করা হতো। শুধুই মানসিকভাবে কর্মচারীদেরকে যাচাই বাছাই করা। কোম্পানী তাদের থেকে ভবিষ্যতে কতদূর কি আশা করতে পারে। কাকে ছেঁটে দিতে হবে, কে টিকে যাবে। একজন লোক কতবার ফাঁকি দিতে পারবে, নিজের মনোভাব একবার হলেও প্রকাশ হবে সেভাবেই আঙ্কেট সাজানো। কে লীড করতে পারবে, কে ডেস্কে ভালো করবে, কে ক্লায়েন্ট হ্যান্ডল করতে পারবে, কাকে কোথায় সরাতে হবে ঠিক করতো এই আঙ্কেট। ফিলিপ্সে অলিখিত নিয়ম আছে চল্লিশের আগে কাউকে গ্রুপ লিডিং দিতে দেয়া হয় না। একটা গ্রুপকে হ্যান্ডেল করতে যে মেন্টাল ট্র্যাঙ্কুলিটির প্রয়োজন তা নাকি চল্লিশের আগে একজন মানুষের আসে না। এ তথ্যও সব আঙ্কেট গবেষনা করে মনোবিদরা বের করেছেন।
একবার আমি ফিলিপ্স একাউন্টিং প্রিন্সিপালস কোর্সে ডাবলিন ছিলাম এক সপ্তাহ। সপ্তাহের শেষের দিকে এই অন্ধকার ঘরে বসে থেকে প্রজেক্টরে দেয়া প্রেজেন্টশন আমি আর নিতে পারছিলাম না। আমি কিছুই করিনি, রিভলবিং চেয়ার দেয়া হয়েছে সবাইকে। আমি চেয়ারটা অনেক ঘুরাচ্ছিলাম ডান পাশ আর বা পাশ। যথাসময়ে কোর্স শেষ হলে সনদ নিয়ে বাড়ি ফিরে আমি একথা ভুলেও গেছিলাম। কিন্তু বছরের শেষে ইভিলিওশন মীটিং হচ্ছিলো বসের সাথে। আমায় জিজ্ঞেস করলেন, কোর্স কেমন এঞ্জয় করেছি, আমি স্বভাবসুলভ মিথ্যে কথা বল্লাম, দারুন। বস বললো, তুমি শিওর। আমিও মাথা নেড়ে, এবস্যুলুট। তিনি তখন আমার কোর্স আচরনের রিভিউ দেখালেন যে আমি অমনোযোগী ছিলাম শেষটায়। এটা কোর্স কোর্ডিনেটর রিভলবিং চেয়ার মোচড়ানো থেকে বের করেছেন এবং আমার ধৈর্য্য সম্বন্ধে রিপোর্ট করেছেন আর আমি জানি, তিনি ভুল বলেননি।
এখন কথা হলো জীবন ভর এতো সোশ্যাল এন্ড ইমোশোন্যাল ডেভেলাপমেন্ট কোর্স করে কি কিছু শিখেছি? না শিখিনি, যা শিখেছি তা শিখেছি ঠেকে।
ফিলিপ্সে চাকরী হওয়ার পর ভাবলাম এখন ড্রাইভিং শিখি। আমার স্বপ্ন, চিন্তা আর পা তখন সাত আসমানে, আমি তখন রীতিমতো হাওয়ার উড়ি। জীবনে প্রথম নিজেকে খুঁজে পাওয়ার আনন্দে তখন আমি দিশেহারা। গাড়িতে চাবি দিয়ে এমন জোরে টান দেই যেন এরোপ্লেন। আমার ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর আমায় অনেকদিন সর্তক করেছেন। আমি মনে মনে ভাবি তখন, শালা বুড়া চুপ থাক। তুই বুঝিস কি? ত্রিশ টাকা আওয়ার নে আর পাশে বসে দেখ। অনেকবার বলার পরও আমার কোন পরিবর্তন না দেখে ডেনিস আমায় একদিন বললো, তানবীরা, গাড়ি কতো জোরে চালাও তার এক্সাম কিন্তু তোমার হবে না। চাবি ঘুরিয়ে, গিয়ার দিয়ে এক্সিলেটারে পা চাপলে গাড়ি চলবেই। এটা সব্বাই পারে। পরীক্ষা হবে নিয়ম মেনে, কতোটুকু নিরাপদভাবে তুমি গাড়ি চালাতে পারো। তুমি নিরাপদ কীনা, রাস্তায় অন্যরা তোমার থেকে নিরাপদ কীনা সে পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই তোমার লাইসেন্স পাওয়ার প্রশ্ন আসে। যাকে আমি অশিক্ষিত ড্রাইভার বলে অবজ্ঞা করতাম, সেই সন্ধ্যায় বলা তার এ কথাটা আজ দশ বছর বাদেও আমি রোজ মনে করি। জীবনের প্রত্যেক খাতায় এই হিসাব। একাউন্টেসী সবাই জানে। দুইএর সাথে দুই যোগ দিলে চার হবে। কিন্তু নিয়ম মেনে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে, ঠিকভাবে খাতা ম্যানিপুল্যাট করাকে বলে একাউন্টেসী। প্রত্যেকটা ফাঁকি হতে হবে নিয়ম মাফিক।
আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে মা কোমা থেকে ফেরৎ এলেন, পরে জানলাম অপারেশন করতে হবে, তাতে অপারেশন টেবল থেকে মা ফিরতেও পারেন নাও ফিরতে পারেন। কিন্তু অপারেশন এর কোন বিকল্প নেই। ভাই ইজিপ্টে এম এস করছেন। ঠিক হলো আমরাই যাবো মায়ের পাশে। মেয়ের স্কুল থেকে ফাইট দিয়ে গেলাম। প্রতিবার কেউ না কেউ প্লেনের দোর গোড়ায় থাকে বাড়ি নিয়ে যেতে। ভাই তার যথাসাধ্য ইন্সট্রাকশন দিয়ে রেখেছে দেশে, বোনের যাতে সমস্যা না হয়। প্লেনের দোর গোড়া থেকে এবার অনাত্মীয় কেউ যখন বাইরে পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে গেলেন, সেই প্রথম বার মনে হলো আমি বড় হয়ে গেছি কারণ আমি এখন একা। ছোট দুইবোন গাড়ি নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছে আর কেউ নিতে আসার নেই। মা হাসপাতালে, বাবা জ্বরে কাহিল, ভাই বাইরে। আমাদের বহুদিনের পুরনো ড্রাইভার সালাহউদ্দিন এসে আমার হাতের লাগেজটা নিতে নিতে বড্ড নরম গলায় বললো, বড় আপা আসেন। সেই বলার মধ্যে কী জানি একটা ছিলো। সেই আধো আলো আধো অন্ধকারে সালাহউদ্দিন কেমন চোখে জানি আমার দিকে তাকিয়েছিল। ওকি আমার ভিতরটা তখন পড়তে পারছিলো। দেখছিলো এর আগে প্রতিবার যখন আমি আসতাম এয়ারপোর্টেই উৎসব শুরু হতো। নিরাবরন নিরাভরন এই আগমন আমার আজ। একটা কাকতালীয় ব্যাপার ছিল, এতো বছরে কোনদিন আমার প্লেন সন্ধ্যাবেলায় থামেনি দেশে। শুধু সেই একবার মন খারাপ করা বিষন্ন সন্ধ্যায় আমার প্লেন ল্যান্ড করেছিল। প্রকৃতিও কি বুঝতে পেরেছিল কিছু?
প্রথম সেদিন আমার মনে হলো সালাহউদ্দিন শুধু ড্রাইভার না, যাকে নিয়ে আমরা আড়ালে হাসাহাসি করি। কি মডেলের মোবাইল ওর, কেমন ঘড়ি পরে, ড্রাইভার হলেও স্টাইল আছে সানগ্লাসের আর কাপড় চোপড়ের। এতো ফুটানি কোথা থেকে করে তেল চুরি করে বিক্রি করে কিনা, আমাদের আড়ালে গাড়ির এসি চালিয়ে সিডি বাজায় কিনা। সেদিন আমার প্রথম মনে হল সালাহউদ্দিন আসলে সেই ব্যক্তি যে আমাকে বউ বেশে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে দিনরাত আনা নেয়া করেছে, কলেজে ইউনিতে নিয়ে গেছে, সকল ঝামেলা বাঁচিয়ে। ও আর সেই ছেলেটি নয় যে গাড়ি চালানো শিখতে যেয়ে দিনরাত আমার বাবার বকা খেতো, গাড়ি এদিকে ওদিকে গুঁতো লাগিয়ে এনে ভয়ে ভয়ে থাকতো। আমাদের বাড়ি থাকতে থাকতে ও আমাদের সুখে দুঃখের একজন হয়ে গেছে যাকে এখন আমাদের দুঃখ কষ্ট ভাবায়। সেই প্রথম ওকে আমার ড্রাইভার সালাহউদ্দিন না মানুষ সালাহউদ্দিন মনে হয়েছিল।
মনে হয়েছিল, শুধু বাবা মা ভাইবোন নয়, যারা দিনরাত আমাদের পাশে থেকে আমাদেরকে দেখে শুনে যাচ্ছে তারাও আমাদেরই পরিবার। শুধু বেতন দেয়া আর কাজ করা নয়। মায়ের অসুখ উপলক্ষ্যে অনেকে বাড়িতে এসেছেন, হাসপাতালে এসেছেন দেখা করতে, আমার ভিতরটা তির তির করে কাঁপতো। অনেকেই হয়তো আমাদের থেকে অন্যদিকে অনেক কষ্টে ঝামেলায় আছেন। কিন্তু আমাদেরতো সব থেকেও সব কিছু নাই হয়ে গেলো। আমি বাড়ি এসেছি কি খাবো, কোথায় শোব কেউ দেখার নেই। কেউ নেই আর দিন রাত আমার বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করে। সেদিনে আফিয়া এসে যখন আমার বাবাকে নরম গলায় বললো, খালু বড় আপার জন্যে শুঁটকি মাছ এনে দেন, সাথে দিয়ে দিবো। তখন আমার মনে হলো, আফিয়া শুধু সে নয় যে সেজেগুজে সালাহউদ্দিন আর দারোয়ানের সাথে টাঙ্কি মারে বলে আমরা হাসি। সে আমার বোনের মতোই কেউ, যে আজ আমার মা বাড়ি নেই বলে, বাবার কাছে আমার জন্যে শুটকির আবদার করে দাঁড়িয়ে। মায়ের অসুখ আমাকে একটা জিনিস শিখালো, রোজ দিনের চেনা মুখগুলোকে মানুষ ভাবতে। তাদের পজিশন, শিক্ষা দীক্ষা ছেড়ে দিয়ে তারা যে মানুষ রক্ত মাংসের, আর সে জন্যই যে তাদেরকে আমাদের শ্রদ্ধা করা উচিৎ প্রথম বারের মতো সেটা আমি অনুভব করলাম।
মায়ের অসুস্থতার কারণে পুরো চেনা পৃথিবীটা এলোমেলো হয়ে গেলো। পরিচিত মুখগুলোও অপরিচিত হয়ে গেলো। কঠিন কঠিন বাক্য অবলীলায় লোকে বলতে লাগলো। আমাদের যে বুক পিঠ এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে কোন জায়গায় লাগে কথাগুলো, সেটা লোকে অনুভবই করতে পারে না। মা মৃত্যু শয্যায় ঐদিকে পারলে লোকে বাবার বিয়ের পাত্রী খুঁজে। তখন জীবনে প্রথম শিখলাম আসলে কোন কথাগুলো কখনো কাউকে বলতে হয় না। কেনো কথা বলার আগে মানুষের মনের কোথায় বাঁজবে সেটা ভাবা জরুরী। তার চোখে চোখ রাখা জরুরী। কেনো সোশ্যাল আর ইমোশোন্যাল ডেভেলাপমেন্ট জীবনে জরুরী। কেনো নাকের আগে চোখে দেখা জরুরী। সামান্য দুটো কথা যেকোন লোককে সারা জীবনের শত্রু তৈরী করতে পারে। ভুলে গেছি তোমার কঠিন কথা ভাব দেখাব কিন্তু ভুলবো না কখনো। কথা বলার আগে ভাবতে হয়, যে শুনবে তার কেমন লাগবে। নিজে কতো বড় তা জাহির করার আগে অন্যকে কেন ছোট ভাবছি তার কারণগুলো খাতায় গুছিয়ে লেখাও জরুরী। আরেকজনকে হার্ট করে ক্ষণিকের পাশবিক নোংরা আনন্দ কতোটুকু স্বাস্থ্যকর। কি দিচ্ছি আর কি পাচ্ছি তা জানাও জরুরী। ভালোবাসা ভালোবাসা আনবে নোংরামি আনবে শত্রুতা।
কিংবা হয়তো জরুরী নয় তবুও
তানবীরা
০৭.০২.১১
তানবীরাপু
অসাধারণ লেখা । আমার খুব ভালো লাগল । আপনার সব লেখারই আমি খুব ভক্ত । খুব মৌলিক আর ব্যবহারিক কিছু লেখা আমাকে শক্তি যোগায়, এতো সহজ করে আতো বিস্তবিক লেখা লেখেন কি করে ? আমি উল্টা পুল্টা মন্তব্য করি সব সময়, অন্যদের প্রতিক্রিয়া দেখতে খুব ভালো লাগে আর হাসি পায় ।
তবে এটা সত্য আপনার ৪৯ টা লেখা আমি মন দিয়ে পড়েছি আর মন জুড়ানো কিছু আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। ব্লগে আপনার লেখা আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় লেগেছে। আমি অতো ভালো পাঠক নই তবে লেখার প্রাণ টুকু আমি ঠিকই উপলব্ধি করি। আরও বেশী বেশী লেখা চাই ।
( আমার উল্টা পুল্টা মন্তব্য করবার স্বাধীনতা রাখা হোক)
আপনি সুপিরিয়র গ্রুপের লোক, ইনফিরিওর গ্রুপের লোকজনের কর্মকান্ড দেখে মজা পাবেন, সেটাইতো স্বাভাবিক তাই না?
বন্ধুত্ব করতে এলে অবশ্য বন্ধুত্ব পেতেন।
বাকিতো আপনার জন্যে মৌসুম আল্লাহর দরবারে আঁকুতি জানিয়েছে।
এই কথাটা কষ্ট দিল আমাকে । এমন করে ভাবছেন কেন সবাই ? একটা কিছু বললে সবাই এতো বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায় যা আমার কাছে উপভোগ্য এতে সুপিরিয়র বা ইনফিরিওরের কিছু নাই । এটা আমাদের অভ্যাস যে যাকে নেগেটিভ ভাবে গ্রহন করব তাকে সব সময় সে রকমই ভাবব। শা উদরাজী কিছুটা বুঝেছিলেন হয়তো যা বলতে চেয়েছি তা উপস্থাপনার সময় অন্য রকম লেগেছে । আমি আসলে এক্সট্রেমিস্ট নই, এমন করে সুপিরিয়র বললে কি আমার প্রতি ঠিক বিচার করা হলো ? সামাজিক বাস্তবতা থেকে যদি কিছু লিখে থাকি তবে তা কি বোঝায় যে আমি ঠিক ঐ অবস্থান থেকে নিজের সুপিরিয়রিটি থেকে লিখছি ? ব্লগেই আমি প্রথম পেলাম সুপিরিয়রিটি আর ইনফিরিয়রিটি বিষয়টি । আমার কি কোন লেখায় এমন কিছু বুঝা গেছে? আমি স্বল্প শিক্ষিত খেটে খাওয়া একজন মানুষ, কোন রকমে দিন গুনে জীবনপাত করে চলেছি, এই আমার মধ্যে সুপিরিয়র ইনফিরিয়র কিছু নাই । আপনাদের কষ্ট দিয়ে কিছু বললে তা আমার সীমাবদ্ধতা থেকে কিন্তু সুপিরিয়র বা ইনফিরিয়রের মতো কিছুর পরিচয় আমার মনের মধ্যে নাই । বন্ধুত্ব জিনিসটা এমন নয় যে কেবল পারফরমেন্স করে যেতে হবে, হ্যাঁ তা হয়তো করতে হবে কিন্তু আমি সেটাই পারিনি । তবে আপনার লেখা কিছু মানবিক আর সামাজিক বার্তা দিয়েছে আমাকে তাই ঢের বেশি আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করে ফেলেছিলাম , সুপিরিয়র হতে চাইনি ।
আল্লাহর দরবারে আঁকুতি জানানোর মতো কিছু হয়নি । চিলে কান নিয়ে গেল অবস্থা, বকুল কথা নিয়ে একটা কিছু বলেছি আর শুরু হয়ে গেল গ্রুপ ব্লগিং । ব্যবচ্ছেদঃ বকুল কথা, নামে একটা পোস্ট দিতে চেয়েছিলাম, দেয়া হলনা । এক জায়গায় হাজার রকমের মানুষ থাকবে, ভালো মন্দ লিখবে, উচিৎ অনুচিত বলবে কিন্তু আপনাদের মতো সিনিয়র আর জনপ্রিয় ব্লগাররা তাদের যদি ক্যটাগরাইজড করে সুপিরিয়র আখ্যা দেন তবে সেটা কি ঠিক হলো । আপনি তো আমাকে বলতে পারতেন " ভাই তোমার এই রকমের মন্তব্যের বা লেখার এই ধরণের প্রভাব আছে বা প্রকাশ ভঙ্গির পরিবর্তন এই কারণে সমিচীন নয়।" এখন বরং সুপিরিয়র ইনফিরিয়র বলে মনে একটা ক্ষত তৈরী করে দিলেন ।
আপনি আমাদেরকে নিয়ে রেট – ক্যাট খেলা দেখছেন বলে সগর্ব মন্তব্য জানালেন মন্তব্যের ঘরে আর আপনাকে আমার ভাই বলতে হবে? ভাইসুলভ মন্তব্য ছিল আপনার? আমার বন্ধুদেরকে নিয়ে আপনি খেলবেন আর আমি দুঃখ পাবো না? এটাও কিন্তু আমার মতে আপনার প্রচন্ড উদ্ধত মন্তব্য ছিল।
এতোগুলোবারতো আপনাকে সবাই আপনার আচরন নিয়ে বললো। জানেনতো, যার হয় না ন’য়ে তার হবে না নব্বইতে, এগুলো অনুভবের বিষয়, শেখার না। ইফ ইট হার্টস ইউ, ইট হার্টস আদার্স অলসো।
এবিতে, সব বন্ধুরা ব্লগিং করে। বন্ধুকে এসে অপমানজনক কথা বললে, অন্যেরা কিছু বলবে না, সেই আশা করেন নাকি আপনি? গ্রুপিং বলতে কি বুঝান? আপনার পক্ষে উদরাজী সাফাই গাইলে গ্রুপিং না, আমরা বন্ধুদের পাশে দাড়ালে গ্রুপিং?
এতো কঠিন করে বলার কিছু নাই কিন্তু । র্যাট ক্যাটের খেলা হবে কেন? আর কোন একটা পোস্টের মন্তব্যে ভাই করেই বলেছিলেন । হুমায়ন আজাদের একটা লেখায় রবীন্দ্র নাথের কবিতার সমালোচনা পড়েছিলাম সেখানে যা উল্লেখ ছিল তাতে রবীন্দ্রনাথ তাঁর জায়গা থেকে হারিয়ে যাননি ।আমার কিছু বলাতে কোন লেখায় তার মান হারাবে না। বকুল কথা নিয়ে আমি যা বলেছি তার জন্য অনেক আক্রমন করে কথা বলা হয়েছে , ক জন শুনতে চেয়েছে এমন কেন বলেছি? সবাই তো আক্রমনে কে কার থেকে ছাপিয়ে যেতে পারে তাই দেখিয়ে গেছে । একেই গ্রুপ ব্লগিং বলেছি । আমি যদি না বলি যে আমি এগুলো উপভোগ করেছি তবে তো আমাকেও ছাপিয়ে যাবার দৌড়ে নামতে হবে । এমন কিছুতো আমার ভাল লাগেনা ।
এর পরেও বলব সিনিয়র ব্লগার হিসেবে আপনার জায়গা থেকে এমন কড়া করে বললে আমার মতো নতুনদের কষ্টই হবে পথ চলতে ।আশা করি বুঝতে পারেছেন কেন বলেছি উল্টা পুল্টা বলে আনন্দ পাই । সব কিছুকে হাল্কা করবার আর কি বা ছিল এর চেয়ে ভালো !
সবাই সেম জায়গা থেকে আনন্দ পায় না। সবার আনন্দ আর আনন্দ এর উৎস আলাদা। ব্যাঙকে ঢিল মারা বাচ্চাদের জন্য আনন্দজনক কিন্তু ব্যাঙের জন্য নয়।
কি বলেছেন সেটা দোষের না, কিভাবে বলেছেন সেটা খেয়াল করুন। বলি আমরা সবাই সবাইকে। না বললে শিখবো কি করে? নুশেরা, নাজমুল ভাই প্রতিনিয়ত বানান নিয়ে বলছেন কেউ রাগ করছে না কারন ঐযে বলতে জানতে হয়। মীরকে সবাই লেখা আশানুরূপ হয়নি তাই নিয়ে বকলো কোন ইস্যু হয়নি। কারণ ......
আপনার কাছ থেকে বন্ধুত্ব আর গ্রুপ ব্লগিং এর আলাদা সংজ্ঞা জানতে হবে। রাজনীতিবিদদের মতো ব্যক্তি বিশেষে আপনার সংজ্ঞা বদলায়।
আপনাকে একবার কেনো দশবার ভাই বলতেও আমার আপত্তি নাই। ভাইয়ের আচরন করবেন, ভাইয়ের সম্মান পাবেন। সম্মান দিলেই পাওয়া যায়।
আর সিনিয়র সিটিজেনদের অভ্যাসই থাকে খিটিমিটি করা জানেনতো? উল্লাস - আনন্দ আপনারমতো তরুনদের বিষয়, আমার মতো প্রৌঢ়ার নয়। তাই কঠিন হয়ে যাই। সিনিয়র হিসেবে ক্ষমা করে দিয়েন।
আহমেদ মারজুক ভাই আপনার এই কথাটা অত্যন্ত আপত্তিকর। এটা অনেক বড় একটা অভিযোগ। এই ব্লগের কাউকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না, ফেইসবুক/ই-মেইলেও যোগাযোগ নেই। শুধু ব্লগেই কথা হয়। কিন্তু এই অল্প কয় দিনেই আমি সম্পর্কের উষ্ণতার আঁচ পাই।
এই ব্লগে লিখতে আসার আগে আমি মোটামোটি পুরানো সব পোস্ট পড়ে ফেলেছিলাম। তা থেকেই ব্লগের চরিত্র সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাই।
আপনি রাসেল ভাইয়ের পোস্টেও একটা মন্তব্য করেছেন -
আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাই ভ্রান্ত ধারণা থেকে কোন মন্তব্য না করতে।
অনুরোধ রাখবো
এটা আপনার বিনয়ী মনোভাব। কিন্তু কথাগুলো পুরোপুরি সত্য নয়। আপনার অনেক লেখা আমি পড়েছি। অনুবাদও পড়েছি। আমি অনেক আগে থেকেই আপনার লেখার গুনমুগ্ধ পাঠক। কোনোদিন মন্তব্য করা হয়নি তেমন। আপনার অনুবাদিত 'সৃষ্টিতত্বের গালগল্প বনাম বিবর্তন শিক্ষা' এবং 'বিজ্ঞান ও ইসলাম: অন্তিম সংঘাত' সহ এসিড ভয়ংঙ্কর এক অভিশাপ, আমরা করব জয়, অপেলার ঘরে ফেরা, বিমান আদি অন্ত দিগন্ত
উর্বশী অনন্ত ... দিনান্ত, দু:সহ এই জীবন, একাকী আমি, একদিন সন্ধ্যায়, এলোমেলো ভাবনাগুলো, ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে, আমি কিছুই বুঝিনা, কইতে নারি সই, কোন পথে যাচ্ছি আমরা, কথা আর কাজে,
মায়ের জন্য একদিন, মূল্যহীন জীবন, নারী দিবসের ব্যস্ততা, নারী দিবসের কথকতা, পাখি আমার, পলাশ ফুটেছে, একজন সাধারণ পাঠিকার অভিমত, রাতের শেষে রদ্দুর, শায়খ আব্দুর রহমান, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা,
সর্ব সমস্যার সমাধান, তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে, উৎস কোথায়, উৎসবে বর্ষবরণ ইত্যাদি।
আপনাকে পরে অনেক খুজেছি; কিন্তু পাইনি। যখন পেলাম- তখন আবার শুরু করলাম 'অহনা' পড়া। তারপর বিরামহীনভাবে পড়ি আপনার দেয়া পোষ্ট।
আমার পিতার মৃত্যুর পর, ঠিক এমনই হয়েছে।
আপনার এই লেখাটিতেও আমার মনপ্রাণ ছুয়ে গেলো। বিশেষ করে শেষ প্যারাটি পড়তে গিয়ে অনুভব করলাম আমার চোখে পানি। ভীষণ রকম আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলাম।
আপনার প্রতি রইল শুভ কামনা।
মাহফুজ, আপনি সে যুগের লেখার কথা বলছেন যে যুগে আমি বাংলা টাইপ করা শিখছি। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে, ব্লগার জীবন সার্থক আমার।
মাঝে মাঝে কাইন্ডলি জানাবেন যে লেখা পড়েন, আমরা যারা শুধু শুধুই আঁকিবুকি কাটি ব্লগের খাতায়, আমাদের ভালো লাগে জানতে যে আপনারা পড়েছেন।
অনেক অনেক শুভ কামনা।
আমারও ভালো লাগলো আমার মন্তব্যের জবাব পেয়ে। আর মনে হচ্ছে- জীবনটা বুঝি সার্থক আমার, জবাব পেয়ে।
এই মাহফুজ আমি না!
তবে এই মাহফুজের মন্তব্যের সাথে একমত!
মাহফুজভাই, ব্লগে স্বাগতম।
যাহ বাবা! পয়লা মন্তব্য করতে গিয়েও পারলাম না।
আপনার লেখা কীভাবে এত পরিণত হয় তার কিছুটা বুঝতে পেরেছি।
কি বুঝলেন
উঁহু, সবার সামনে বলা যাবে না।
আপু, লেখাটা খুবই ভাল লেগেছে। আমি খুব কম বয়সে থেকেই জীবনকে গভীরভাবে দেখার চেষ্টা করেছি, কিন্তু যা শিখেছি তা ৯০%ই যাদেরকে আমরা হেলাফেলা করি তাদের থেকে। ভাল থাকবেন।
হুমম কেউ শিখে দেখে আর কেউ শিখে ঠেকে। আমি দ্বিতীয় দলের লোক। বেড়াতে আসার কি হলো?
আশা করি ইনশাআল্লাহ এই সপ্তাহেই ভিসা পেয়ে যাব। পেলে ২৬ তারিখ উড়ব, আর মার্চের ৩ তারিখ ব্যাক করব ইনশাআল্লাহ। যেই টাউনে যাব সেটার নাম গুনিংজেন মনে হয়, এটা নাকি আমস্টারডামের কাছাকাছি। সময় পেলে আপনার আইন্দোভেনে (বানান ঠিক আছে?!) দরজায় নক করব একদিন, তবে আরো ৩জন এমেরিকান সাথে নিয়ে!

ডাচ উচ্চারন হবে খ্রোনিংগেন। খ্রোনিংগেন আমর্ষ্টাডাম থেকে ১৮৫ কিমি নর্থ। আর আমি ১২৫ কিমি সাউথ। এই টেকনাফ তেতুলিয়ার দূরত্ব অতিক্রম করে আসলে খুবই আনন্দিত হবো। একজন কেনো পাঁচজন বন্ধু নিয়ে আসেন, দুইটা ডাল ভাতইতো খাবেন
শহরের নাম উচ্চারণ করতেই তো দাঁত ভেঙে যাবে। আজকে ভিসা পাইছি, কিন্তু যে ডিসটেন্সের বর্ণনা দিলেন, সেটা ডিঙিয়ে যাওয়া মনে হয়না সম্ভব হবে। ওখানে শুনেছি ট্রেনযার্নি খুব ভাল হয়, উইকেন্ডে চলে আসতেও পারি।
আসলে খুশি হবো। যোগাযোগ করেন অন্তত। এঞ্জয় ইউর স্টে ইন হল্যান্ড।
খুব কাছ থেকে দেখে লেখাটি খুব কাছ থেকে দেখা বেশ কিছু দৃশ্যের সেলুলয়েড চালু করে দিল। শেষ প্যারাটা বাজলো একদম ভেতর বাড়ীতে।
হ্যান্ডশাম দাদা কেমন আছেন? ধনুর বোনের সাথে আবুল হোসেনের "পেমের" কি হলো?
পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিষয়। কিন্তু পুরটা পড়ার পর বোঝা গেল, না কম্প্যাক্ট একটা লেখা। ধন্যবাদ তানবীরা সকাল সকাল টপক্লাস একটা লেখা পড়ার সুযোগ দেয়ার জন্য।
মেজর, ইউ আর অল ওয়েজ সো সুইট
অসাধারণ লেখা, বন্ধু
তোমার দেখার চোখ, বোঝার মন আর লেখার হাতকে প্রণাম
বন্ধু, তুমি ভালো আছো?
পড়ে গেলাম....
জানলাম .........।।
আমি আর কী মন্তব্য করব ! আহমেদ মারজুক আর মাহফুজ সুন্দর ভাবে মতামত দিয়েছে । এর পরেও যা বলা যেত তা বলে ফেলেছে অন্য বন্ধুরা । আমি নুশেরার সাথে সুর মিলিয়ে তাই বলি 'অসাধারণ' !!
প্রনতি প্রনাম ভাই।
সিম্পলি অসাধারন।
অশেষ কৃতজ্ঞতা
লেখাটা খুব, খুব ভালো লেগেছে। .. এই টুকু বলতে লগিন করা।
সুহান, ভালো আছো?
মানুষকে মানুষ ভাবতে শেখাটা সবচে জরুরী । কতদিন কতজনকে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় অবহেলা করেছি । পরে লজ্জায় ঘুমাতে পারিনি । প্রমিজ করেছি , আর কখনও মানুষকে কষ্ট দেবনা । কিন্তু তারপরও হয়তো আবার সে ভুল করেছি ,, কত কিছু শেখার দরকার , কত কিছু শেখা বাকি এখনও !! আপু, তোমার লেখা নতুন করে ভাবতে শেখালো ।
লিজা,
মানুষ যখন বিনা কারণে কলার ঝাড়ে আমার খুব বিরক্ত লাগে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো গরীব দেশের মানুষ। আমরা খেতে পাই কিন্তু অন্যেরা পায় না, সেজন্যইতো যারা খেতে পাই তাদের লজ্জা পাওয়া উচিৎ।
মানুষের জন্মের ওপরতো কারো হাত নেই। আজ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি বলে তানবীরা হয়েছি, যদি বস্তির কারো ঘরে জন্মাতাম তাহলেতো যেতাম গার্মেন্টসে। গার্মেন্টসে যে মেয়েটি যাচ্ছে তাকে অবহেলা কি তাহলে কোন আর্স্পধায়? তাহলে পড়াশোনা করে কি শিখলাম? শিক্ষা মানে কি বড় চাকরী আর বড় বড় বাহামি?
অসাধারণ একটি লেখা।
ধন্যবাদ দিদিকে।
দিনে কত লেখাই তো পড়ি। সপ্তাহান্তে তার কতগুলো জঞ্জাল আর কতগুলো মণি হয়ে ধরা দেয়, হিসেব থাকে না। কিন্তু এই লেখাটা দরকার ছিলো। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
আমি সম্মানিত মীর
অসাধারণ তানবীরা। প্রথমে ভেবেছিলাম শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কিছু লিখছো। পুরাটা পড়ে একটা কথাই বলি, দেখার একটা চোখ আছে তোমার। গ্রেট, সিম্পলি গ্রেট
মাসুম ভাই, বিক্ষিপ্ত মনের ঝাঁঝ এটা। আপনারা আপন বলেই, আপনাদের কাছে জানাই।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বরাবরের মতো মুগ্ধ।
আমিও ছোট ভাই
খাইছে!!! ডাচদের হাতে পড়লে এরা তো আমারে মানুষ বানায়া ফেলত
.. পুরা আইনস্টাইন হয়া নাঝিল হইতাম.. সেইরকম ব্যাবস্হা...
জীবন লয়া আমার অরিজিনাল শিক্ষা শুরু হইল গতবছর থিকা... আজকাল খালি ভাবি আর ভাবি... ভাবতে ভাবতে যায় বেলা... কাজ-কাম ভাল্লাগে না... দেশে আড্ডা বেনিফিট স্কিমের আওতায় আড্ডাবাজ/ভাবুক দের পুনর্বাসন করা উচিত
... তাতে আমারো গতি হয় 
আর বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্হ টাও জোস.. যা বাবা চরে খা টাইপের অ্যটিচ্যুড লয়া ছাইড়া দিল সবারে... পুলাপান গরুর মত এদিক সেদিক ঘুরে... চরে খায়... মাঝে মাঝে বছর শেষে জাবর কাটে... শিক্ষকরা/অভিভাবকরা যোগ্যতায় ও কাজে রাখালর থিকা কম না... সেইরকম শিক্ষাব্যাবস্হা, সেইরকম গরু-কাটিং দেশ, সেইরকম গরুভরা দেশ... আমিও
হ, এদেশে আসলে মানুষ না হয়ে উপায় নেই।
আছেন কিরাম?
তুমি তাকে নদীর কাছে নিয়ে যেতে পারো
এমনকি নদী দেখে সে নিজেও ছুটে যেতে পারে
তবে সে নিজে থেকে না করলে, জোর করে তুমি তাকে জল পান করাতে পারবে না।।
তোমার লেখা পড়ে আমাদের বোধোদয় ঘটুক।
নদী নিঃস্বার্থভাবে কুল কুল করে বয়ে যায়। আমাদের দরকার হলে আমরা পানি পান করি নইলে ফিরেও চাই না। উই জাষ্ট টেক ইট ফর গ্রান্টেড। নদীর দুঃখ কষ্ট আমরা ইগনোর করি। নদীকে নদী ভাবতে চাই না। আমার কথা হলো, নদীর জায়গায় নিজেকে রাখো, নদীকে অনুভব করো। নদী হয়ে বয়ে যাওয়া কি এতো সোজা? ইফ ইট হার্টস ইউ, ইট হার্টস আদার্স অলসো।
১।
"বিশ্বাস ভঙ্গ এখানে সবচেয়ে বড় শাস্তি। সম্পর্ক মানে সম্মান। আর সম্মান ভঙ্গের কোন ক্ষমা নেই।" ভাল ব্যবস্থা। বিচার কার্যে নাকি আগে শিশু, বৃদ্ব, নারী এবং তার পর পুরুষ। দারুন মানবতা। এমনই হওয়া দরকার। বিশ্বাস ভঙ্গের শাস্তি কি?
২।
"মায়ের অসুস্থতার কারণে যখন পুরো চেনা পৃথিবীটা এলোমেলো হয়ে গেলো। পরিচিত মুখগুলোও অপরিচিত হয়ে গেলো। কঠিন কঠিন বাক্য অবলীলায় লোকে বলতে লাগলো। আমাদের যে বুক পিঠ এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে কোন জায়গায় লাগে কথাগুলো, সেটা লোকে অনুভবই করতে পারে না। মা মৃত্যু শয্যায় ঐদিকে পারলে লোকে বাবার বিয়ের পাত্রী খুঁজে। তখন জীবনে প্রথম শিখলাম আসলে কোন কথাগুলো কখনো কাউকে বলতে হয় না। কেনো কথা বলার আগে মানুষের মনের কোথায় বাঁজবে সেটা ভাবা জরুরী। তার চোখে চোখ রাখা জরুরী। কেনো সোশ্যাল আর ইমোশোন্যাল ডেভেলাপমেন্ট জীবনে জরুরী। কেনো নাঁকের আগে চোখে দেখা জরুরী। সামান্য দুটো কথা যেকোন লোককে সারা জীবনের শত্রু তৈরী করতে পারে। ভুলে গেছি তোমার কঠিন কথা ভাব দেখাব কিন্তু ভুলবো না কখনো। কথা বলার আগে ভাবতে হয়, যে শুনবে তার কেমন লাগবে। নিজে কতো বড় তা জাহির করার আগে অন্যকে কেন ছোট ভাবছি তার কারণ গুলো খাতায় গুছিয়ে লেখাও জরুরী। আরেকজনকে হার্ট করে ক্ষণিকের পাশবিক নোংরা আনন্দ কতোটুকু স্বাস্থ্যকর। কি দিচ্ছি আর কি পাচ্ছি তা জানাও জরুরী। ভালোবাসা ভালোবাসা আনবে নোংরামি আনবে শত্রুতা।"
এ যে পুরাই আমার শশুর বাড়ীর কথা। আমার শাশুড়ি মা ক্যান্সারে মারা যান। আমার ওয়াইফ উপরের কথা গুলোই বলে এবং ফাইনাল তাই হয়।
ভালোবাসা ভালোবাসা আনবে নোংরামি আনবে শত্রুতা - সহমত জানিয়ে গেলাম।
১. বিশ্বাস ভঙ্গের বহুরকম শাস্তি হয়। এটাতো ক্রিমিন্যাল কোর্ট না যে খুনের এই শাস্তি। কারো হয়তো বাড়ির ভাগ থেকে চির জীবনের অধিকার কেড়ে নেয়। টাকা পয়সার ভাগ নিয়েইতো বেশি লাগে। নর্মাল ডিভোর্সের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।
২. সহমত জেনে সম্মানিত হলাম।
একটা খুব ইমোশোন্যাল মন্তব্য দিতে ইচ্ছে করছে। আমরা যাদেরকে খুব ভালোবাসি তাদেরকে কখনোই জানানো হয় না, তোমাদেরকে ভালোবাসি, এটাই দুর্ভাগ্য আমাদের। তাদের সাথে ঝগড়া করে করেই কাটিয়ে দেই। আজকে জানাতে চাই কিছুটা।
আমাদের প্রবাসীদের কাছে বন্ধু আর পরিবারের গুরুত্ব কিন্তু একই সমান। পরিবার যতোটা দূরত্বে ঠিক ততোটাই দূরত্বে বন্ধুরাও থাকে। দাঁড়িয়ে আছি আমরা তোমাদের টেলিফোন, এস।এম।এস, ফেসবুক আর স্কাইপের ওপারে।
বন্ধুদের গুরুত্ব বরং আরো বেশি। মা’তো মা হন। রোজ সন্তানের গলার শব্দ না শুনতে পেলে ঘুমাতে পারেন না। কথা কিছু নেই কিন্তু তবু জানানো, আমরা সবাই ঠিক আছি।
কিন্তু যারা শুধুমাত্র মানুষ বলেই বুকে টেনে নিয়েছেন তাদের কথা ভুলি কিভাবে?
. হাজারো ব্যস্ততার মাঝে আজাইরা মেলের জবাবে যখন কেউ লিখে, আপা আপনার মেইলের জবাব দিয়েছিলাম? মন আর্দ্র হয় এ সম্মানে।
. দিনরাত হাজার বিরক্তিকর কাজের মাঝে আমার লেখার লাইন বাই লাইন বানান চেক করে ঠিক করে দেন, এ কৃতজ্ঞতা কোথায় রাখি?
. প্রত্যেক লেখার কোথায় কারেকশন লাগবে নোট করে রাখছে বন্ধু
. সিনেমার লিঙ্ক পাঠিয়ে দেয় ফেসবুকে
. মন খারাপ কেনো জিজ্ঞস করে ম্যাসেজ দিয়ে জানায়, আমি কিছু করতে পারলে জানাও। এ সম্মান এ ভালোবাসার কি যোগ্য আমি?
. আর একজন লিখবে, আপু আজ কেমন আছেন? মন ভালো হয়েছে
. পুরনো সব ছবি ঘেটে ঘটে মন্তব্য করে, মজা করে জানায়, আমি তাদের চিন্তায় আছি। ভুলে নাই আমাকে।
. একজন সমস্ত পরিশ্রম দিয়ে টরেন্ট থেকে ফিল্ম ডাউনলোড শিখিয়েছে, রাত জেগে। এরা পরিবারের থেকে কম কাছের কি করে হয়?
তারা সবাই জানেন অন্তর থেকে ধন্যবাদ দেয়া ছাড়া তাদের জন্য আমি কিছুই করতে পারবো না। তবুও এই এক বুক ভালোবাসার জন্য আজীবনের কৃতজ্ঞতা জানাই সবাইকে।
সত্যিই তো ! কেন পারিনা প্রকাশ করতে ?
তানবীরা, বোন আমার, বন্ধু আমার, তুমি যেমন করে আজ তোমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে সবাইকে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছ, তা আমরা ক'জনে পারি ? আমাদের প্রকাশ ক্ষমতা এত সীমিত, আমাদের ভাষার উপরে দখল এত কম, সর্বোপরি আমরা যে পরিবেশে বসবাস করি তা এতই প্রতিকূল যে মনের কথাটা আমরা ঠিকভাবে সঠিক সময়ে বলতেও পারিনা ।
অত্যন্ত দূর্বল চিত্তের মানুষ আমি একজন, তোমার লেখাটা আমাকে অশ্রুসজল করল ।
'একজন সমস্ত পরিশ্রম দিয়ে টরেন্ট থেকে ফিল্ম ডাউনলোড শিখিয়েছে, রাত জেগে। এরা পরিবারের থেকে কম কাছের কি করে হয়?'
লেখাটা অনেক ভাল লাগল।
ইয়াল্লা, দিলাম কি স্মাইলি আর আইল কি!
স্মাইলি যাই আসুক, সে যে জানছে আমার কথা তাইই যথেষ্ঠ

চুম্মা দিছিলাম, আইলো 'সেক্সি' নামক এক উদ্ভট বস্তু! এই জিনিষ সেক্সি ক্যামনে!
শর্মি মাইন্ড খাইবো কইলাম
অনেকদিন পরে আরেকটা ব্লগকে প্রিয় পোস্টে তুলে রাখলাম যাতে বারবার পড়া যায়। স্যালুট আপনার দেখার চোখকে।
এমন অসাধারণ একটা লেখার জন্য দিদিকে এক পৃথিবী ভালোবাসা!
আপনি হারিয়ে যাননি দাদা?
দাদার জন্য টিস্যু
আর একগ্লাস ভূতের আমের শরবত
এই না হইলে দিদি! ভূতের আমের সরবত দিলটা চাঙ্গা করি দিলু যেনু
আমি কি দেই গো বুবু আপনেরে? এই লন দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না সেই জিনিস দিলাম এক পৃথিবী! সাধারন জ্ঞানে ভোনটি কিরাম কনদি, কী দিলাম?
স্নেহ দাদা? আর্শীবাদ?
আবার জিগায়!
অসাধারণ লেখা আপু

জীবনটা অনেকটুকুই দেখার বাকি আছে আমার । এই লেখাটার দু'একটা কথা হলেও , সেই জীবনে দেখতে চাই , এই লেখাটার দু' একটা উপলব্ধি অনুভব করতে চাই
এই লেখায় কোন ভালো উপলব্ধি নাই দাদা, এসব দুঃখ কষ্ট যেনো আপনাদের কোনভাবেই না ছোঁয় সেটাই আমার প্রার্থনা
স্যালুট।
)]
[আর কিছু কওয়ার নাই। সেইদিন আপনে আমারে লিফট দিছিলেন, তার জন্যেও কৃতজ্ঞতা!!
লাষ্ট বাট নট দি লিষ্ট, যারা এ লেখাটা পড়ে ফেসবুকে আমাকে ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন তাদের প্রতি রইলো আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা
মন্তব্য করুন