প্যাচাল : কিছু ভালো লাগেনা…..
ইদানিং কিছুই ভালো লাগেছ না। কিছুদিন ধরে আমাদের মিরপুর-বাঙলা কলেজ-কল্যাণপুর এলাকার রাস্তায় তুমুল কাটাকাটি-খুড়াখুিড় চলেছ, সকােল বাসা থেকে ফিটফাট হয়ে বের হলাম অফিসের উদ্দেশে বাসস্ট্যান্ড এ পৌছাতেই দেখি ধূলা-বালি দিয়া চমৎকার গোসল দিয়া ফেলছি, অথচ গত ১৫ দিন ধরে বাসায় পানি নাই, প্রতিদিন আমার জন্য বরাদ্দকৃত ২ মগ পানি দিয়া গোসল করতেছি। 
।অফিস এ থাকা অবস্থায় বা বাসায় ফেরার পর মা-বৌ এর চিল্লা-চিিল্ল,হাউ-কাউ এর ঠেলায় ২/৩ দিন পরপর ওয়াসা অফিসের পানির ট্রলির ড্রাইভার কে পানির দামের অতিরিক্ত টিপস্ দিয়ে, ভাই-সোনা ডেকে এক ট্রলি পানি এনে জমায়ে রেখে টুকটুক করে কাজ চলছে। তাও সবসময় পাওয়া যায় না,পানির জন্য হাহাকার লেগেই আছে। এদিকে বাসায় ২ মাস এর ছোট্ট শিশু সহ আরোও ৩ থেকে ১২ বছরের ৪ টা ভাতিজা-ভাতিঝি, বয়স্ক মা-বাবা।
আপনারাই কন আর কত ভালো লাগবো?
কইলামতো পানির কথা, বিদ্যুৎ এর কথা আর কি কমু ভাই রাত-বিরাত আমার ছোট্ট পোলা কান্দে তার লগে আমার বউ কান্দে লগে লগে আমিও কান্দি ( , আর আমাগো আইপিএস এক কোনায় অাজ্ঞান হইয়া পইড়া থাকে। রাতে বউ পোলারে বাতাস করে আমি বউরে বাতাস করি। গলা শুকায়ে আসে পানি খাই, কুল কুল কইরা ঘামের সাথে পানি বাইর হইয়া যায় ।হাত টনটন করে। আর ভালো লাগেনা।।
দুই দিন আগে অফিস থেকে বাসায় গেছি মা একটা কাগজ হাতে ধরাইয়া দিলো, দেখি সিটি কপোরেশন থেইকা নোটিশ দিছে, আমরা নাকি গত ২ বছর ধইরা সিটি কপোরেশন এর কর দেইনা।অথচ আমাদের সব কাগজপত্র ঠিক আছে। নোটিশে লিখা ৭ দিনের মইধে কর দিতে হইবো না হইলে মামলা, এখন সব কাগজপত্র নিয়া দৌড়াও সিটি কপোরেশন অপিস। নিজেই নিজের গালে থাপ্পর মাইরা কইলাম “লেও ঠ্যালা সামলাও”। সিটি কপোরেশন অপিস গেলে অফিস মিস হবার সম্ভাবনা, বসের ব্যাজার মুখ, এসব চিন্তা কইরা আর কিছুই ভালো লাগেনা।
গত শুত্রুবার বউ বাজার করতে পাঠাইলো, লগে লম্বা লিস্টি। বাজারে ঢুইকা প্রথমে গেলাম মাছের বাজারে দেখলাম বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড়, পোনা মাছসহ বিশাল আকৃতির রুই-কাতলা মূখ হা কইরা খাবি খাইতাছে, বউ কইছিল একটা রুই মাছ কিনতে আর তাতেই দরদাম করতে গিয়া নিজের মুখ হা হইয়া গেল, কোনরকমে রুই মাছের বদলে একটা নলা মাছ কিনা খাবি খাইতে খাইতে মাছের বাজার থিকা বাইর হইয়া আইলাম। তরকারীর বাজারে গেলাম দাম বেশী হইলেও বেশী কইরা ব্যাগ ভইরা শাক-সবজী কিনলাম।বাজারের আগুনে, আগুন হইয়া বাসায় ফিরা বউরে ঝাড়ি দিয়া কইলাম মাছ-মাংস খাওয়া কমাও বেশি কইরা সবজী খাও, বউ মূখ ভেংচী দিয়া কইলো “ দুপুরে খাবার সময় কথাটা মনে রেখ” :মাইর:। নিজেরে গালি দিয়া কইলাম ““লেও ঠ্যালা”। 
সকালে বাসা থিকা প্রতিদিন ৮ টায় বাইর হই বাসায় ফিরি রাইত ৯ টায়। অর্থাৎ ১২ ঘন্টার ৫ ঘন্টাই কাটাই রাস্তায়, অর্থাৎ জীবনের মূল্যবান কিছু অংশ শ্যাষ। ট্রাফিক জ্যাম খাইয়া ফেলাইলো জীবনের ৫ ঘন্টা।বাসায় ফিরা আর কিছুক্ষন রেস্ট লই, খাই, পোলারে কোলে লইয়া কিচুক্ষন ঝাকাঝাকি(শুধু এইটা করতে ভালো লাগে)করি তারপর পরদিন একই রুটিন। আর ভালো লাগেনা।
আরোও কত্ত কিছু আছে, চিন্তা করলেই শইল আগুন এর লাহান গরম হইয়া যাইতাছে……. আর প্যাচাল পাড়তে ভালো লাগতাছেনা।
| 
| 
| 
নিজের সম্পর্কে
একজন সাধারন মানুষ, সবর্দাই শান্তি খুজে ফিরি। কখনো পাই কখনো পাই না। মাঝে মাঝে নিজেকে অচেনা লাগে। বিষন্ন-বিবর্ণ মনে হয় ।। অল্পেই খুশি। অল্পেই আনন্দ।। প্রকৃতি ভালো লাগে। পাহাড় প্রচন্ড টানে। সমুদ্র খারাপ লাগে না।।
- হঠাৎ শ্রীমংগল - আরাফাত শান্ত
- কাব্য কহন-০১ - উচ্ছল
- কাব্য কহন-০২ - উচ্ছল
- হাম হাম জলপ্রপাত, শ্রীমঙ্গল - উচ্ছল
- ভ্রমন: বান্দরবন-থানচী-েমাদক - উচ্ছল
- প্যাচাল : কিছু ভালো লাগেনা….. - উচ্ছল
- কাব্য কহন - উচ্ছল
- ভ্রমন: িসলেট-ভোলাগঞ্জ-মাধবকুন্ড - উচ্ছল
- লগ ইন করতে পারছি না...... - উচ্ছল
- একটি স্বপ্নের মিত্যু - নাজমুল হুদা
যদিও মজা করে লিখেছেন, কিন্তু এ এক বিপুল মানবিক বিপর্যয়ের বর্ণনা। এরকম ঘটনা এখন শহর জুড়ে। নিজেরটা আর বললাম না..
কামাল ভাই অধিক কষ্টে আছি তাই প্রথমে সিরিয়াসলি লিখতে গিয়া পরে দুঃখের কথা মজা করে লিখলাম। আপনি ঠিক বলছেন এ এক বিপুল মানবিক বিপর্যয়।
কিছু বলার নাই।
আহারে!!
সব পাপ করে যত রাজনীতিবিদগুলা
আর
সব গজব পড়ে আমাগো উপরে!
িঠক কইছেন ভাই ।
আহারে, আপনের দুঃখে চোক্ষে পানি আইসা গেলো, আবার গরমে সেই পানি চোক্ষেতেই শুকাইয়া গেলো
দেশে ফোন করলেই শুনে দেশের এই হাল এর কথা, তারপরও দেশে যাইতে মন চায়।
ভাইরে েদশ বইলা কথা। যত খারাপ হোক/লাগুক নিজের দেশ বইলা কথা।
অনেক যন্ত্রনা আছে, অনেক অসুবিধা কিন্তু যেই একটা শান্তি, একটা নিজের পরিবেশের অনুভূতি, তাতে যেই ভালো লাগা আছে, তা দুনিয়ার কোনখানেই পাবো না!
আমি এই সব ঝামেলার দেশেই থাকতে চাই, কোত্থাও যেতে চাই না।
আপনে দেখি বানিজ্যমন্ত্রীর মত বাণী দেন! মন্ত্রী হইপেন!
আফা এইটা কি কইলেন?!!
দুঃখের কথা মজা করে লিখছেন কিন্তু এহেন অবস্হা শুনে দেশে যাইতে ডর লাগে
কবি বলেছেন "মেঘ দেখে করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে।"
আফামনি দেশ দেশই! তা যতই খারাপ । ভালো থাকবেন।
কবীর সুমন সাহেব গান গায়া গেছে" ভালো থাকবেনা মানে কি? থাকতেই হবে ভালো!"
তাই ভালো থাকতেই হবে অন্তত থাকার ভানটা করতে হবে!
আপনের এই প্রকাশভঙ্গিটা পছন্দ করসি। আপনার মতো করেই বলি,
আমাদের সবার অবস্থা যে কেরোসিন, সেটা এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কেবল কেরোসিনেরও বাজারে দাম আছে, কিন্তু আমাদের নাই। এই হইলো পার্থক্য।
ভাইরে অবস্থা দিন কে দিন কেরোসিন এর চাইতেও খারাপ হইতেছে ।
--- একদম ঠিক কথা।
তবে কেরোসিনের সঙ্গে মামুলি বঙ্গবাসীর তুলনা করাটা আসলে ভুল।
আমাদের এই প্রতিদিনের ঘষটে ঘষটে চলার বিবরণ। ভালো লাগেনা, তবুও চলতে হয় এভাবেই।
হুমমম....
তবুও বেচে আছেন। সাগর-রুনির কথা মনে করেন। হুহ
হা আপু ঠিক কথা।
মন্তব্য করুন