ইউজার লগইন

উচ্ছল'এর ব্লগ

হঠাৎ শ্রীমংগল

সাজ্জাদ ভাই বলল, চল শ্রীমংগল যাই । কোন কথা নাই ব্যাগ গুছিয়ে তৈরী হয়ে নিলাম। ৩ জুন ভোর ছয়টায় গাড়ী ধরতে হবে। তাই ভোর পাচটায় সাজ্জাদ ভাই এর ফোন গাড়ী নিয়ে আসতেছি বাসা থেকে বের হও। কোথায় থাকবো , কোথায় যাবো কিছুই জানি না, সাজ্জাদ ভাই বলল যে রাস্তায় যেতে যেতে বিস্তারিত বলবো।

রাস্তার বিড়ম্বনা-
সকাল ৬ টায় সায়দাবাদ থেকে হানিফ এর বাস শ্রীমংগল এর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলো এবং রাস্তার জ্যাম এর কারনে ফ্লাই ওভার পার হতে ৮ টা ও ভুলতা পার হতে ৯:৩০ বেজে গেল অতপর শমশেরনগর গিয়ে গাড়ীর চাকা পাংচার হল, সময় তখন দুপুর ১২:৩০ টা। চাকা ঠিক করে দুপুর ২ টার দিকে শ্রীমংগল এবং সেখান হতে সিএনজি নিয়ে আমাদের গন্তব্য শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ২৩ কি.মি দুরে শহরস্থী বাজার (পাচাউন) এর কাছে ক্যাপ্টেনস হাউজে ।

আথিতিয়তা গ্রহন-

কাব্য কহন-০২

গত কয়েক মাস গেছে খুবই ব্যস্ততার ভিতর দিয়ে। তবে ব্লগে আসতে চেষ্টা করেছি নিয়মিত সময়-সুযোগ পেলেই। চাকুরীর বদন্যতায় জীবনটা একটি চক্রে আবদ্ধ হয়ে আছে, বাসা-অফিস-বাসা। তবে এর িভতরেও রয়েছে বিবিধ ব্যস্ততা, যখন অফিস এ থাকি কাজ করি, সহকর্মীদের সাথে কাজের ফাঁকে আলাপ-আলোচনা, নেট এ বিচরণ ইত্যাদি আর যখন রাতে বাসায় ফিরি তখন গৃহস্থালী কাজের ফাঁকে প্ুত্রকে (কাব্য) সময় দিতে দিতে ঘুমানোর সময় চলে আসে । ছুটির দিন গুলোতে কিছুটা সময় পাওয়া গেলেও তা দেখতে দেখতে চলে যায়। গত মাসের ছুটির দিনগুলোর কিছুটা সময় শাহাবাগে কাটানোর চেষ্টা করেছি এবং চেষ্টা সফল হয়েছি। Smile অনেক দিন ঢাকার বাইরে যাবার জন্য সময় বের করার চেষ্টা করছি, সম্ভব হচ্ছে না Sad ।এভাবেই চলছে জীবন। অনেক দিন কিছু লেখা হয় না। তাই এই আবোল-তাবোল লেখা।

কাব্য কহন-০১

দেখতে দেখতে গতকাল কাব্যর বয়স আট মাস পূর্ণ হলো Big smile । সময় কিভাবে চলে যাচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। অফিসে ব্যস্ততা, বাসায় গেলেও ব্যস্ত আসলে যত দিন যাচ্ছে ব্যস্ততা হুহু করে বাড়ছে। আগে সময়-সুযোগ পেলেই ব্যাকপ্যাক নিয়ে বের হয়ে পড়তাম আর এখন ব্যাকপ্যাক সযত্নে তোলা থাকে Sad । সময়ের সাথে সাথে মনে হয় জীবনের ধারা এবং গতি পরিবর্তিত হয়। ইচ্ছা বদলায়, অভ্যাস বদলায়, চিন্তা-চেতনা-উপলব্ধির পরিবর্তন হয়। যাহ্ কি বকবক শুরু করলাম, কাব্যর কথা বলতে গিয়ে অন্য প্রসংগে চলে যাচ্ছিলাম। কাব্য এখন অনেক কিছু করতে পারে আবার অনেক িকছুই করতে পারে না Laughing out loud । সময়ের অভাবে কাব্যর পারা না পারার গল্প করতে পারছি না যা হোক কাব্যর গত ঈদ এ তোলা কিছু ছবি দিলাম Smile
P7280025.JPG
কাব্য এবং পৃথা
P7280041.JPG
অনুভূতির প্রকাশ, মা খেলতে দিবে না তাই বিরক্ত। Smile

প্যাচাল : কিছু ভালো লাগেনা…..

ইদানিং কিছুই ভালো লাগেছ না। কিছুদিন ধরে আমাদের মিরপুর-বাঙলা কলেজ-কল্যাণপুর এলাকার রাস্তায় তুমুল কাটাকাটি-খুড়াখুিড় চলেছ, সকােল বাসা থেকে ফিটফাট হয়ে বের হলাম অফিসের উদ্দেশে বাসস্ট্যান্ড এ পৌছাতেই দেখি ধূলা-বালি দিয়া চমৎকার গোসল দিয়া ফেলছি, অথচ গত ১৫ দিন ধরে বাসায় পানি নাই, প্রতিদিন আমার জন্য বরাদ্দকৃত ২ মগ পানি দিয়া গোসল করতেছি। Sad ।অফিস এ থাকা অবস্থায় বা বাসায় ফেরার পর মা-বৌ এর চিল্লা-চিিল্ল,হাউ-কাউ এর ঠেলায় ২/৩ দিন পরপর ওয়াসা অফিসের পানির ট্রলির ড্রাইভার কে পানির দামের অতিরিক্ত টিপস্ দিয়ে, ভাই-সোনা ডেকে এক ট্রলি পানি এনে জমায়ে রেখে টুকটুক করে কাজ চলছে। তাও সবসময় পাওয়া যায় না,পানির জন্য হাহাকার লেগেই আছে। এদিকে বাসায় ২ মাস এর ছোট্ট শিশু সহ আরোও ৩ থেকে ১২ বছরের ৪ টা ভাতিজা-ভাতিঝি, বয়স্ক মা-বাবা।
আপনারাই কন আর কত ভালো লাগবো?

কাব্য কহন

২৯ জানুয়ারী,২০১২ , সকাল ১০:০০ বাংলােদশ মেিডকেল কলেজ হাসপাতাল এর ৪র্থ তলার ওটি’র সামনে অস্থির পায়চারী, ব্লাড দেবার জন্য েডানার এবং স্বজনদের অপেক্ষা, কিছুক্ষণ পরই আমার ভাবীর কোলে দেখলাম আমাদের ছোট্ট বাবুটাকে। নিজেকে কেমন যেন বোকা বোকা লাগছিল ……… সামনের ছোট্ট শিশুটি আমাদের!!

হাম হাম জলপ্রপাত, শ্রীমঙ্গল

গত ০৫/১০/২০১১ ইং তারিখে টুটুল ভাই বান্দরবন-থানচি-রেমাক্রীর ভ্রমন কাহিনী পড়ে প্রশ্ন করেছিলেন "হাম হাম" দেকছেন? উত্তরে বলেছিলাম " অপেক্ষা করেন বস"। ০৬ অক্টাবর, ২০১১ ইং তারিখ পূজার বন্ধ, আর কোন কথা নাই বোচকা-বুচকী বাধা শুরু হয়ে গেল, এবার লক্ষ্য শ্রীমংগল এর রাজকান্দী রিজার্ভ ফরেস্ট এর "হাম হাম জলপ্রপাত"। প্রথমেই বাধা ট্রেন এ সবার টিকিট নাই, কি করা ২ ভাগে ভাগ হয়ে গেলাম একদল ট্রেন অপর দল বাস। ৭ তারিখ ভোরে সবাই একত্র হয়ে সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবার নিয়ে নিলাম। চাদের (জিপ) গাড়ী নিয়ে আমাদের গাইড শুভ সময় মতো হাজির। যাহোক সকাল ৯ টার ভিতর আমরা চাম্পারায় চা বাগান পৌছে গেলাম। এরপর ছবিতে দেখুন Laughing out loud Laughing out loud

১) প্রাকৃতিক ফ্রেম, শুরু হয়ে গেল ফ্রেম বন্দী হয়ে ছবি তোলা, ছবিতে ফ্রেম বন্দী ইকবাল
DSC00801_82.JPG

ভ্রমন: বান্দরবন-থানচী-েমাদক

গত বছরের জুলাই মাস বর্ষাকাল,মাথার িভতর বিিভন্ন আইডিয়া িকলবিল করছে। আর তাতেই শুরু হয়ে গেল ইমেইল-ফেসবুক এ কথা চালাচালি। অবশেষে িঠক হলো বান্দরবন এর থানচী হয়ে েমাদক যাওয়া হবে । পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা থেকে বাসে বান্দরবন, বান্দরবন হতে চাদের গাড়ী েযাগে থানচি। রাতে থানিচ েরস্ট হাউজে থাকা অত:পর সকালে ইঞ্জিন বোটে েমাদকের পথে যাত্রা শুরু, অবশ্য বিডিআর যেতে দিতে চাচ্ছিল না এবং আরোও বললো যে ৪/৫ দিন আগে নৌকা ডুবে ।২ জন মারা গেছে। পথে তিন্দুর বড় পাথর দেখলাম অবশ্য ভালো মতো দেখা গেল না কারন পানি অনেক বেশী িছল, এছাড়া সবাইকে মাঝে মাঝে নৌকা থেকে নেমে হেটে যেতে হচ্ছিল ও কয়েক জায়গায় রশি বেধেঁ নৌকাকে টেনে নিয়ে যেতে হয়েছে। যাহোক েস্রাতের বিপরীতে চলতে চলতে সন্ধ্যার পরপর আমরা রেমাক্রী পৌছালাম। অত:পর রেমাক্রি বাজারে রাতের খাওয়া এবং রেস্ট হাউজে রাত্রী যাপন। পরদিন সকালে নৌকায় ছোট মোদক হয়ে দুপুর নাগাদ বড় মোদক পৌঁ

ভ্রমন: িসলেট-ভোলাগঞ্জ-মাধবকুন্ড

শহরের ইট-কাঠ-পাথর আর ভােলা লাগছিল না ।ফলে আমােদর "এক্সপ্লোরার ক্লাব অব বাংলাদেশ" এর শােহদ কামাল ভাই যখন প্রস্তাব িদলেন েয িসলেটের হজরত শাহ্জালাল (র:) এর মাজার িজয়ারত এর পাশাপািশ েভালাগঞ্জ এবং মাধব কুন্ড দেখতে যােবন, তখন িনজকে আর আটকে রাখতে পারলামনা। েবাচকা- বুচকী বেধে গতমােসর েকান একদিন রওনা দিেয় িদলাম। আমাদের ক্লাবের েডভীড সিলেটে চাকুরী করে ফলে সে আমাদের সাথে েযাগ দিতে এক মূহুত্ত দেরী করলোনা । আমাদের দেশটা যে কত সুন্দর বলে শেষ করা যাবে না বা আমার পক্ষে সেভাবে বর্ননা করা সম্ভবও নয়। তাই নিচে অানাড়ী হাতে েতালা কিছু ছবির মাধ্যমে প্রকাশের চেষ্টা মাত্র।

১। হজরত শাহ্জালাল (র:) এর মাজার, সকাল বেলা লোকজন আসতে শুরু করছে--
DSC02651_131.JPG
২।মাজার এর পাশে বড় বড় পাতিল, িক রান্না হয় ?

লগ ইন করতে পারছি না......

গত প্রায় ২ মাস http://www.amrabondhu.com/ তে লগ ইন করতে পারছি না । মন খারাপ । সবাই কত কিছু লেখা-লেখি করে ফেলল, পড়তে পারলাম না। ভাই মোডু সমস্যা কি আমার, নাকি অন্য কোন সমস্যা হইসে.....?? আজ ক্যাফে থেকে অনেক কষ্টে ঢুকতে পারলাম।
জানিনা আবার কবে লগ ইন করতে পারব।
আশা করি ব্লগ এর সবাই ভাল আছেন । শুভেচ্ছা সবাইকে।

একটি স্বপ্নের মিত্যু

আমি একটি ছোট্ট শিশু যে কিনা ভুমিষ্ঠ হবার আগেই হারিয়ে যাই এই পৃথিবীর বুক থেকে। আচ্ছা আমার কি হয়েছিল? কি কারণে আমি এই পৃথিবীর বুকে আসতে পারলাম না? কেন আমার মায়ের-বাবার আদর, দাদা-দাদী,নানা-নানী, চাচা-চাচীদের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হলাম? আমার না আসার অনেক গুলো কারন বল্রো ডাক্তার, ভেজাল খাদ্য, দুষিত আবহাওয়া, আমার মায়ের অজ্ঞতা, আমার নিজের কোন সমস্যা থাকা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু, কেউ বলতে পারলো না সঠিক কারন। যাকগে সে কথা, আপাত আমার কোন কষ্ট নাই, কেউ যদি বলে, কেমন আছি? উত্তর হবে জানি না। কেউ যদি বলে, কোথায় আছি? উত্তর হবে বলবো না। ধুর কি বলছি এসব, আবোল-তাবোল। আচ্ছা আমার মা-বাবা কেমন আছে?...................