ফেইসবুক স্টেটাসমালা ৪
এক.
ভালো ছিলে কৃষকায় মেঘ, সংবিগ্ন তাড়ায় উড়ে
যাবে দূরবর্তী দেয়ালের আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত
হাজারো কাহিনী মেলে রাখা বিপন্ন পলেস্তারায়।
তবুও নিয়তি জেনো, বেতার বার্তার মতো ঠিক
ছুঁয়ে দেবে আঁধারের পাখিকূল - অসহায় মোহে।
দুই.
শহরের পথে পড়ে থাকা রোদকণা
ধীরে কুয়াশায় বিলীন হবার কালে
আমি দাঁড়াবো সেখানে; লাল শার্ট,
ক্ষয়ে যাওয়া জিন। সিগারেট জ্বেলে
দিলেই আমার ম্লান বলিরেখাগুলো
আপনার চোখে পড়বে...বয়সের ভার;
তিন.
কার বা কাদের সহযোগিতায় বাচ্চু রাজাকার পালিয়ে গেলো সেইটার তদন্ত আর বিচার জরুরী এখন। পুলিশী নজরদারীর পরেও কিভাবে একজন যুদ্ধাপরাধী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে তার জবাব সরকারকেই দিতে হবে...
চার.
আহারে দেবদূত! তুমিও ভূতের ভয়ে ভয়ে
রয়ে গেছো পূত পবিত্র শরীর
অবদমনে দমনে ক্ষয়ে গেছে
তোমার মনন, প্রাণ ও মন বিষণ্ন...
পাঁচ.
কুয়াশায় দৃষ্টি সীমানা ঘোলাটে হয়ে আসে;
তবু তারে আরামদায়ক মনে হয়...
কুয়াশায় আড়াল হয়ে যায় জাগতিক নানা রূপ,
তবু সে যেনো নতুন রূপের সূচনা...
ছয়.
১৯৯৭ সালে প্রথম যখন আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে "ধর্ষণ" শব্দের ব্যবহার করে শ্লোগান তুলছিলাম তখন দেশের অনেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিরা ধর্ষণকারীদের বিচার দাবীর পাশাপাশি ধর্ষণ শব্দের শ্লীলতা বিষয়ক বিচার বিশ্লেষণও করতে শুরু করছিলেন। আজকে প্রচারমাধ্যমে আর মানুষের সচেতনতায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রকাশ দেখে বু্ঝতে পারি সম্মিলিত মানুষের বিক্ষোভে ভাষা-সংস্কৃতি-মূল্যবোধ-রুচীর দেয়ালও ভেঙে যায় অনায়াশে।
সাত.
খুলে দেখো পথ, ঠিক কোথাও গিয়েছে বেঁকে
তবু কতো যূগ ধরে নানা গাড়ি আসে আর যায়;
আঙুলের ভাঁজ যেমন কখনো সমান্তরাল ছিলো না
তবু কতো প্রেম, কতো ক্ষোভ, কতো অভিমান উছলায়।
আট.
কোন পাখিটার পায়ের ফাঁকে গুজে দিয়েছো তোমার ডাক?
অস্থিরতায় সময় কাটে পাখিদের মাঝে আনাড়ি ওড়াউড়িতে...
নয়.
তোমার সাথেই ফেরার রুটিন ছিলো রেল গাড়িটার
যদিও রেলগাড়িটা আধ ঘণ্টা ডিলেইড ছিলো জানি;
তোমার টাইম টেবিলের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে ছিলো
সেটাই কখনো জানা হয়ে উঠেনি আমার কিম্বা আমাদের।
চমৎকার সব স্টেটাস মালা
হুমম.....
আঙুলের ভাঁজ যেমন কখনো সমান্তরাল ছিলো না
তবু কতো প্রেম, কতো ক্ষোভ, কতো অভিমান উছলায়।
আহা!
তিন এর সাথে পুরোপুরি একমত।
কবিতার সাথে বাকী স্ট্যাটাসগুলো ঠিক যাচ্ছেনা।
আপনার কবিতার ঢং বদলেছে অনেক। আমার মতে, যে-কোনো নিরীক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ। এবং বিবর্তনও। তবে মনে করি, আপনার আগের কিছু কবিতা যথার্থ কবিতা হয়ে উঠেছিল।
মানে আমার এখনকার কোনো কবিতা যথার্থ কবিতা হয়ে উঠছে না বলতেছেন?
আগেরগুলোকে আমি কবিতা বলবো। আপনার মনে আছে কি না জানি না, সামুতে পোস্ট করা আপনার কয়েকটি কবিতায় আমি মুগ্ধ ছিলাম, কমেন্টও ছিলো সেখানে। এখন সূক্ষ ব্যাঞ্জনার অভাব আছে, এইটা ঠিক।
আপনাকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে আমি সূক্ষ ব্যঞ্জনার বিষয়টা বুঝতে পারলাম না।
সাত নম্বরটা খুবই আবেগপ্রবণ / ভাবপ্রবণ (রোমান্টিক)
আট নম্বরটা মিষ্টি
মন্তব্য করুন