আবারো নিজের কথা
১।
আমার বয়েস যেদিন ঊনিশ শেষ করে বিশে পড়লো, সেইদিনটা আমার মনে আছে। আমি ট্রেনে ছিলাম। ট্রেনে চেপে বাড়ি থেকে ঢাকা আসছিলাম। পুরা রাস্তা এসেছি পাগলের মতন লাফালাফি করতে করতে। ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা আমার একটা বিপদজনক শখ। সেই ট্রেনের কামড়ার দরজায় দাঁড়িয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করছিলাম। দুধের বাচ্চা থেকে শুরু করে থুত্থুড়ে বুড়ো সবাইকে "টা টা" দিতে দিতে এসেছি।
এরমাঝে একজন আমাকে না পারতে জিজ্ঞেসই করে ফেললো, "ভাই, সমস্যা কী আপনের?"
আমি বুক ফুলিয়ে উত্তর দিলাম, "আমি আমার টিন-এজ লাইফের শেষ দিন উপভোগ করছি!"
আজ আমার আরেকটি জীবন শেষ হলো বলে। কাল থেকে চাকুরী জীবন শুরু। প্রজাতন্ত্রের গর্বিত চাকর হতে আমি কাল যাচ্ছি। পেছনে ফেলে যাচ্ছি আমার সুখ-দুঃখে মেশানো বর্ণিল ছাত্রজীবনটাকে।
২।
আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, বা কারোর মনে যদি প্রশ্ন জাগে, এই সব কথা কেন আমি লিখছি, তাহলে আমি তাকে বলবো, আমি এই লেখা লিখছি, আজ থেকে দশ/ পনের বছর পর পড়ার জন্যে। জীবনের সব থেকে বড় এই টার্নিং পয়েন্টের মুখে দাঁড়িয়ে আমার মন কী বলছিলো তা নিশ্চয়ই একদিন আমার খুব জানতে ইচ্ছে হবে। আর লিখেছি যখন, মানুষ পড়ুক।
এইখানেও একটা আপত্তি আসতে পারে, "জীবনের সব চেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট এটা কীভাবে হলো?"
হলো, কোন না কোন ভাবে। আমি বলে বুঝাতে পারবো না। এই কথার মাহাত্ম্য বুঝতে হলে আমাকে গত বিশ বছর ধরে নিবিড়ভাবে জানতে হবে। যারা জানেন, তারা বুঝবেন এবং বুঝেনও । আর যারা জানেন না, তারা বুঝবেন না।
সে যাক, একটা কথা দিয়ে বিষয়টার গুরুত্ব একটু বোঝাতে পারবো আশা করি।
আমার আম্মা সবসময় বলতেন, "আমার ছেলেটা একটা ভালো জায়গায় সেটল হোক, আর আমার মেয়েটা একটা ভালো জায়গায় ভর্তি হোক, আমি আর কিছু চাই না। "
আমি যে জায়গায় এসেছি সে জায়গা নিয়ে আমার বাবা-মা খুশি। আমিও খুশি। আমি জীবনে যা কিছুই করি আমার বাবা-মা কে কষ্ট দিতে চাই নি, কিন্তু অনেক কষ্ট নানানভাবে দিয়ে ফেলেছি। এখন তাঁরা খুশী। কাজেই আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।
৩।
আমার আম্মার চাওয়াটা খুব অদ্ভুত ভাবে পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমরা দুই ভাই বোন দেশের দুই কোনায় চলে গিয়েছি, আরেক কোনায় আমাদের মা-বাবা পড়ে রয়েছেন। খালি বাড়িটাতে একাকিত্বের আহাজারি করে দিন কাটাচ্ছেন।
আজকের দিনটা আমি আমার বাবা-মা কে উৎসর্গ করলাম। আজ আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের একটা দিন। আমি অধিক সুখে পাথর। কিছুই করতে পাচ্ছি না।
শুভ কামনা থাকল তোমার জন্য > আনন্দ
ধন্যবাদ।।
নতুন জীবনে শুরুতে শুভ কামনা...
ধন্যবাদ শুভ ভাই।
শুভ কামনা
বিবাহের লেখা কবে পাবো?
ধন্যবাদ টুটুল ভাই।
বিয়ে'র লেখা পাইতে ম্যালা দেরী আছে ।
রেল ভাই এর বিয়ের দিন রেলে করে বরযাত্রী যামু
শুভ কামনা রইলো।
শুভকামনা রইলো।
বিবাহ কবে?
আর শোনেন, রেলগাড়ির চাক্কা যেন কেউ নিজের মনে করে বাড়িতে না নেয় দেইখেন কিন্তু
উক্কে, , দেখুম নে।
শুভকামনা অনেক!
অনেক ধন্যবাদ।
অসংখ্য শুভকামনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

শুভ কামনা থাকল তোমার জন্য > আনন্দ
ধন্যবাদ তানবীরাপ-পি
আপনার rta র ট্রেনিং তো শেষ হবার পালা? অভিনন্দন... নতুন জীবনের।
পরিচয় জানতে মুঞ্চায়।
নতুন করে পরিচয়ের আর কি দরকার?
পুরাতুনটাই রিভাইজ করতে চাচ্ছি। কারণ আমি নিক দেখে মানুষটা চিনতে পারছি না।
সব অধ্যায় রিভাইজ ক্করতে হয় না। সেটা সুখকর হয় না ।
ভাই কি রাগ করলেন নাকি? সরি। আপনা ভাইবা একটু মজা করছিলাম।। সরি।
মন্তব্য করুন