নপুংসকদের দেশে একজন মিজানুর রহমান
এ প্রশ্নটার উত্তর ডাক্তারেরাই ভালো দিতে পারবে। বাংলাদেশে কি ভাইরাস জ্বর সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশী হয়? আমার মনে হয় ভাইরাস জ্বর বেশী না কম তারচেয়েও বড় কথা আমাদের সব কিছুতে এর প্রভাব ও মিল। ভাইরাস জ্বর যেমন হটাত আসে আবার যায় আমাদের অনুভুতিও তেমনি আসে আর যায়।ফেব্রূয়ারী এলে আমরা বাংলাপ্রেমী হই। আগস্ট এলে বংগবন্ধুর জন্য চোখের জল ফেলি বা কেউ হ্যাপি বার্থ ডে টু ঈউ বলে গান গাই। ঘন্টা যেতে না যেতেই সে আবেগ ফুরুত করে উড়াল দেয়। ছোটবেলায় আমি যখন সিলেটে আমাকে অনিমেষ ভাই নামের এক শাবিপ্রবির ভাইয়া পড়াত। ভাইয়া পড়া না পাড়লে মাঝে মাঝে খুব বকত আর বলত “এই জিনিসটাকেই ভয়। পড়া না শিখে বকা খাওয়াটা তোর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।” আমি বলি যেকোন ঘটনা শুনে কিছুদিন ফালাফালি করা নিউজ ছাপা তারপর এক শুণ্য দশা যেন কই কিছু কি হয়েছিল? শর্টটার্ম মেমরী লস এ জাতিকে আমি আরো অনেকের মত আরেকটি বিশেষণ দিলাম “নপুংসক”।
গন্ডায় গন্ডায় বাচচা জন্ম দেয়া এ জাতির কেউ যদি এই বাচচা জন্মদানকেই তাদের পুরুষত্বের সূচক ভেবে কলার ঝাকান তবে বলি এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য যে তারপরো আমরা নপুংসক। আমরা না পারি আমাদের বোনকে বলতে যে “যা ঘরে বসে আসিস কেন বাইরে হেটে ফ্রেশ হয়ে আয়” কারণ বাইরে যে চারদিক শুকনা মৌসুমেও পঙ্কিল কাদায় ছেয়ে থাকে কখন ওর শরীর মনে কিসের ছিটা লাগে না পারি বলতে “আয় আমার সাথে বাইরে হাটবি” কারন শ্বাপদের সামনে নিজের অসহায় আত্মসমর্পনের নিজের চোখে দেখলে যে নিজেকে আসলেই......। আমাকে আমার বোনকে বলতে হয় এখন বাইরে যেতে হবেনা টিভি দেখ। যে বয়সে তার হেসে খেলে বেড়ানোর কথা খোলা হাওয়ায় চুল ওড়ানোর কথা আমরা নেকাবের আড়ালে অন্ধকারে লুকিয়ে রেখে ওকে নিরাপদ করি। আমরা নপুংসক না বলুন।
আমাদের এই নপুংসক সমাজের মাঝেও মাঝে মাঝে কেউ এমন কিছু কাজ করে যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমারাই একাত্তরে যুদ্ধে নেমছিলাম। যেমন মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমান বাংলার একমাত্র কলেজ শিক্ষক নন। আর যে ঘটনার বলী তিনি হলেন যে ঘটনার প্রতিবাদ তিনি করেছিলেন তাও বাংলার আর কোথাও ঘটেনা এমন নয়। কিন্তু নপুংসকদের দেশে মিজানুর রহমান যে একজন ছিলেন। আমি আমার কোন ছাত্রীকে আমার সামনে অপমানিত হতে দেখলে বা লাঞ্ছিত হতে দেখলে বা কেউ তার ওড়না ধরে টানলে দৌড়ে ঘরে যাব আর বুক ফুলিয়ে ঘরের বৌ, বোন বা মাকে বলব তোমারা ওমুক রাস্তার ওমুক ছেলের সাথে লাগতে যেওনা খুব খারাপ কি না কি করে বসে? কিন্তু বোকা মিজানুর রহমান – ছাত্রীদের অপমানিত হতে দেখে সে প্রতিবাদ করেছিল। তাও এমন কোন সিনেমাটিক ভাবে নয়, শুধুমাত্র কিছু কথা আর প্রিন্সিপালকে অবহিত করেছিলেন। তাতেই কি ক্ষোভ- একেবারে বুকের উপর মোটরবাইক তুলে এভাবে মানুষকে মেরে ফেলা। নপুংসক আর অসুরে এ দেশটা ভরে গেছে।
ইভ-টিজিং আমাদের খুব পরিচিত শব্দ। আমরা চারপাশে দাড়ালে আর এক বার চোখ ঘুরালে দেখব কিভাবে আমাদের আদরের বোনগুলা রাস্তায় মরমে মরমে মরছে। দেখব তাদের চোখে নিজেদের প্রতি অভিশাপ কেন মেয়ে হয়ে জন্ম নিল? এই সেদিন এক দৃশ্য দেখলাম হালিশহর বিশ্বরোডের মোড়ে । একদল ছেলে বাইকে করে যাওয়ার সময় হুট করে এক মেয়ের ওড়না টেনে নিয়ে রাস্তার ওপাড়ে ফেলে আসল। আসে পাশের মানুষের সে কি হাসি। একজন তো শুধু হেসেই থামলেন না বলে ফেললেন “বাজি পুয়াইনতে ই কি দেখাইল।বউত জারগুয়া হইয়ে।।” মানে যে কাজ করলে জুতা দিয়ে বাড়ি দেয়া দরকার তাতে মেলল উলটা পুরস্কার। আমার এক বন্ধু গিয়ে ওদেরকে একটা ঝাড়ি দিলে বলে “আপনে চিল্লান কেন? আপনার বৌ লাগে”। বলেন আমরা নপুংসক না?
আমি যখন ফার্স্ট ইয়ারে তখন খুব সাহসী ছিলাম। একবার এক ক্লাসমেটকে অপমানিত হতে দেখে দৌড়ে গিয়েছিলাম।অনেক তর্কের পর জানোয়ারগুলা বিদায় নিলে এক মধ্যবয়সী লোক আমাকে বলে “আপনাদের রক্ত গরম না হলে এসব আজেরা কাজে যাইতেন না। মেয়েকে টিজ করেসে এটা তার ব্যাপার।” আমার এক বন্ধু বলেছিল “আংকেল আপনার মেয়ে হলে আপনি কি করতেন?” তার জবাব আমার মেয়ে পর্দা করে চলে তাকে কেউ এমন বলেনা। এসব মানুষের সাথে কথা বললে গা রিরি করে। আমি সেদিন আমাদের সে ক্লাসমেটকে দেখেছিলাম। সে এমন কিছু পড়েনি যা খুব বেমানান। আতপৌরে বাঙালী মেয়েরা যা পড়ে তাই। নপুংসক না হলে এর মাঝে বাজে কিছু খুজে পাওয়া অসম্ভব।
আজকাল এই ব্যাপারটা খুব বাড়ছে । রাস্তাঘাটে মেয়েরা মানসিকভাবে ধর্ষিত হচ্ছে আর দোষ মেয়েদের ই। কারণ তারা ইসলামী কায়দায় পোশাক পড়েনাই তাই ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে কিছু ভুল করে। আর সেই ভুলের মাশুল মেয়েটা দিয়ে যায় সারাটা জীবন দিয়ে। কালো ঢোলা জামায় থাকলেই যে সব ঠিক হয়ে যাবে ভাবতে পারছিনা বলে দুঃখিত। কারণ যেসকল মেয়েরা ইভ টিজিং্যের শিকার তাদের প্রায় সবাই স্কুল কলেজে যাবার পথে এবং স্কুল বা কলেজ ইউনিফর্ম পড়া অবস্থাতেই হচ্ছে। সুতরাং বোরখা কোন সমাধান না। তাছাড়া ইসলামে তো নিজের চোখ ও মুখরেও সংযত রাখতে বলছে তাই না। এইটা করলেঈ তো হয়। কিন্তু নপুংসক এই সমাজ তা করবেনা। কারণ এ ছাড়া যে নকল পুরুষত্বের দাপট দেখানোর সূযোগ কম।
আবার অনেকেই বলেন ইভ টিজিং নাকি বেশীরভাগ ই করে রিক্সাওয়ালা বা অশিক্ষিতেরা। সত্যি তাই? এসব কথা যারা বলে তাদের আমার প্রশ্ন-
১। বাংলাদেশের বিপুল প্রতিভাধর নাট্য পরিচালক ফারূকী। সে কি অশিক্ষিত না রিক্সাওয়ালা। তার প্রতি নাটকেরঈ তো মূল থিম কত সফল ভাবে ইভ টিজিং করা যায়। আর মেয়েরা আজ কাল পড়ালেখা শিখে কত খারাপ হইসে । খালি প্রতারণা করে। এসব নাটকের জনপ্রিয়তাও আকাশ্চুম্বী।
২। যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বা প্রাইভেটে যান। সেখানকার অবস্থা দেখেন। শিক্ষিত সমাজের ইভ টিজিং দেখতে পাবেন।
আসলে আমাদের সমাজে আমরা সব সময় মেয়েদের এমন ভাবে বেধে রেখেছি যেন তারা মানুষ নন। শৈশব থেকেই অনেক ছেলের পরিবার ই মেয়েদের সাথে মেশা বা স্বাভাবিক কথা বলাকে বাধা দিয়ে থাকে। যেন মেয়েরা নিষিদ্ধ কিছু। আর নিষিদ্ধের প্রতি মানুষের আকর্ষন তো সর্বদাই বেশী থাকে। তাই সে ছেলে যখন বড় হয় তখন হামলে পড়ে ...। আর এই সুযোগটাকে ব্যবহার করে আমাদের নপ্পুংসক সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসীরা। ছোট মনে হতে পারে কিন্তূ এটা কিন্তু একটা ভাইটাল কারণ। আর কিছু লিখতে ইচ্ছে করছেনা।।
রাগ হচ্ছে মিজানুর রহমান সাহেবের প্রতি। খুব রাগ হচ্ছে। কি করলেন তিনি। নিজে মরলেন। বৌটাকে বিধবা করলেন। পত্রিকা আর মিডিয়ার কাটতি বাড়ালেন। পারতেন না তিনি সব সয়ে আমাদের মত নপুংসক হয়ে বেচে থাকতে। নপুংসক এই দেশে নপুংসক হয়ে থাকতে না পারা এই মানুষটার জন্য আমরা আর কিছু না পারি অন্তত নিষ্কলুশ ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা কি দিতে পারিনা।
এমন অবক্ষয়ের জন্য বাবা-মাদের দায়ী করছি আমি। প্রথম যেদিন ছেলেটার নামে অভিযোগ আসে সেদিনই যদি আচ্ছামত ধোলাই দেওয়া যেতো, কিন্তু তা না করে মা-চাচি-খালারা বলেন, ছেলেরা এক-আধটু এমন করেই। কিন্তু ছেলে যখন পুরোপুরি বখাটে হয়ে যাচ্ছে তাতেও তাদের হুশ ফিরছে না। স্নেহ তাদের এমনই অন্ধ করে রাখে। তার উপর কোনো মেয়ে যদি ঘরে জানায় রাস্তায় এমন হয়েছে। মা বলেন, থাক কিছু বলার দরকার নেই। মান-ইজ্জত যাবে।
আমার দুঃখ যে, আমার মেয়ে নেই। তাহলে তাকে আমি সব-ধরনের মারপিট শিখাতাম। দেখতাম আমার মেয়েটাকে কোন মায়ের দুলাল টিজ করে হজম করতে পারে।
আমার মনে হয় এখনই সময় মেয়েদের স্বনির্ভর হওয়ার। তারা নিজেদের যদি নিজেরা রক্ষা করতে না পারে, দল বেঁধে যদি ছেলে না পেটাতে পারে, তাহলে তাদের অবলা হয়েই থাকতে হবে। বাবা-মা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন-সমাজ-রাষ্ট্র কোনোটাই আজ কাজের না। কে কি বললো তা না দেখে মেয়দের হাত-পা শক্ত করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো পথ আমি দেখি না।
জুলি ভাই, ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।
ভাই রাসেল, বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে লেখাটা ঠিকমতো পড়তে পারলাম না। অসুস্থ লাগে, বড় দিশেহারা লাগে। মিজানের কন্যার জন্য এই দেশ এই পৃথিবী কী চেহারা নিয়ে অপেক্ষা করছে ভাবতে পারি না।
মিজান এবং চাঁপারাণী শান্তিতে থাকুন।
আশফাকুরকে রাসেল বলে ফেলেছি। কতোটা বিক্ষিপ্ত হলে এটা সম্ভব
দুঃখ দুর হল তবে আশফাক বললেই চলবে।
নুশেরা আপু, প্রথমে একটা ব্যক্তিগত কারণে দুক্কু পেলাম। কারণ আমি রাসেল না। আমি আশফাক।
(
( । সে যাই হোক বিক্ষিপ্ত হয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার খারাপ লাগে কিছু করতে না পারার অক্ষমতার কারণে। মিজানুর রহমানের আদর্শ আমাদের যদি একটু ছুঁত! আজ আরো দুঃখ পেলাম এক ব্লগীয় বিখ্যাতের লেখা পড়ে। তার লেখা পড়ে মনে হল যে মেয়েদের বিছানায় আত্মসমর্পন করলেই ইভ টজিং বন্ধ হবে। কি বিকৃত মানুষের রুচি দেখেন?
http://doctor.amarblog.com/posts/119375
সামুব্লগে ইভ টিজিং নিয়ে ব্লগেরই কুখ্যাত ইভটিজারের পোস্ট স্টিকি করে রাখা হয়েছিলো দিনের পর দিন। এই হলো বাস্তবতা। সহ্য করার ক্ষমতা বোধহয় গণ্ডারের মতো হ্ওয়া চাই।
লিঙ্কের পোস্ট দেখলাম না; ইচ্ছাকৃতভাবেই। সবার বোধোদয় হোক, এটুকু্ই আশা।
==================================
নাম বিভ্রাট নিয়ে অত্যন্ত দুঃখিত
সামু / আমু ঘুরে এলাম। অসুস্থ ছিলাম আরো বেশি লাগছে এখন। এতোগুলো মানুষ মারা যাচ্ছে আর সেটা ফান?
http://www.somewhereinblog.net/blog/Mohapagol/29265130
আমরা যারা বাংলাদেশে বড় হয়েছি তারা পরিমানের তারতম্য থাকতে পারে কিন্তু হুজুর, মাষ্টার, রকের ধারের বখাটে, গাওছিয়ার বখাটে দ্বারা উত্যক্ত হইনি না হতেই পারে না। শুধু এখন ভাবি তাও ভাগ্যবতী ছিলাম, আত্মহত্যা করতেতো হয়নি।
আমার ভাই আর আমি পিঠাপিঠি ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে, মার্কেটে, অনেক সময় বিকেলে হাটতে সংসদ ভবন যেতাম। আমি রাস্তায় অনেক সময় ভয় পেতাম বলে ভাইয়ের হাত ধরে রাখতাম। এক সময় দেখলাম ভাই জোর করে হাত ছাড়িয়ে আমাকে ধমক দেয়, সোজা হয়ে হাট, ভয় পাস কেনো। পরে খেয়াল করলাম, আশপাশের কমেন্টসের কারনে ভাই হাত ধরতে চায় না বোনের
তানবিরাপু আজ থেকে দু বছর আগে যখন সাম্যের বাণী বিকাতাম আর ভ্যানগার্ড হাতে নিয়ে বিকোতাম তখন এক আপু বলেছিল মেটামরফেসিসের কথা। মানুষ থেকে পোকায় বিবর্তন। আমাদের সমাজে এখন এমন এক অবস্থা যে সব মানুষ মেটামরফেসিসের চক্রে পড়ে তেলাপোকা হয়ে যাচ্ছে। পোকা হয়ে বেচে আছি কেন জানিনা । বেঁচে থাকাটা অনেক জরুরী বলে ? আর লিংকের কথা নাই বললাম
ব্লগটা পড়লাম এই বলদটার নাম আরেকজনের কাছে শুনছিলান, এখন পড়ে বুঝতে পারলাম যে এর লেখা পড়ে সময় নষ্ট না করলেও চলবে।
জুলিয়ান ভাইয়ের সাথে আমিও একমত।দোষ আসলে গোড়াতেই।যেই ছেলে গুলো এই কাজ গুলো করে বেরাচ্ছে আগে তাদের বাবা-মাকে ধরে শাস্তি দেয়া উচিত।তারপরে ছেলেগুলোকে।
কঠিন ভাবে সহমত।
http://doctor.amarblog.com/posts/119375 সবাই এ পোস্ট টাতে ১বার ঘুরে আসেন। বিকৃত রুচির এসব মানুষও সর্বাধিক পঠিত ব্লগার আর মশাও এক পাখি।
"রাগ হচ্ছে মিজানুর রহমান সাহেবের প্রতি। খুব রাগ হচ্ছে। কি করলেন তিনি। নিজে মরলেন। বৌটাকে বিধবা করলেন। 'মেয়েকে এতিম বানালেন ।' পত্রিকা আর মিডিয়ার কাটতি বাড়ালেন। পারতেন না তিনি সব সয়ে আমাদের মত নপুংসক হয়ে বেচে থাকতে। নপুংসক এই দেশে নপুংসক হয়ে থাকতে না পারা এই মানুষটার জন্য আমরা আর কিছু না পারি অন্তত নিষ্কলুশ ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা কি দিতে পারিনা।" -- হ্যাঁ, পারি বৈ কি ? কয়েকদিন খুব হৈচৈ করতে পারি । তারপর কি হবে, কি করবো, তার জবাব তো লেখার শুরুতেই দেওয়া আছে । আমরা যে নপুংসক ! --
পড়বার সময় মন আমারও বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠল । পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম আশফাক কি পরিমান বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে এটি লিখেছেন । নুশেরার মন্তব্যে এই 'বিক্ষিপ্ত' শব্দটি দেখে আমি কোন নতুন শব্দ দিয়ে আমার মনের অবস্থা বুঝাব তা ভাবছিলাম । শেষ পর্যন্ত এ শব্দ ছাড়া আর কিছুই মাথায় এলো না । আশফাকও যে অত্যন্ত বিক্ষিপ্ত মনে এটি লিখেছেন তা এর প্রতিটি ছত্রে পরিষ্কার । বানান, শব্দ চয়ন, বাক্য গঠন সব কিছুতেই বিক্ষিপ্ততার ছাপ অত্যন্ত সুস্পষ্ট ।
আমরা শুধু বলতে পারি, আমরা শুধু ভাবতে পারি যে, আমরা অক্ষম -- আমাদের দ্বারা কিছুই করা সম্ভব নয় । আমরা মিজানুরের মত সাহসী হবার মত বোকামী কিছুতেই করতে যাব না ! আর তা হলেই আমরা অনন্তকাল বেঁচে থাকব ! আমরা কী বোকা ?
"এখনই সময় মেয়েদের স্বনির্ভর হওয়ার । তারা নিজেদের যদি নিজেরা রক্ষা করতে না পারে, দল বেঁধে যদি ছেলে না পেটাতে পারে (ও মাস্তানী ঘুচিয়ে দিতে না পারে ), তাহলে তাদের অবলা হয়েই থাকতে হবে । বাবা-মা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন-সমাজ-রাষ্ট্র কোনোটাই আজ কাজের না । কে কি বললো তা না দেখে মেয়েদের হাত-পা শক্ত করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো পথ আমি দেখি না ।" জুলিয়ান সিদ্দিকীর এ মন্তব্য মেয়েরা পছন্দ ও মেনে নিলে সমাধান একটা মিলতে পারে ।
আসলেই খুব ছাড়াছাড়া ভাবে লিখেছি। অবশ্য আমার কোন লেখাই গোছানো হয়না। আমি যা মনে আসে তাই লিখি। আপনি সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ। আসলেই জুলিয়ান ভাই যা বলেছেন তা না করলে উপায় নেই। ভাল থাকবেন নাজমুল সাহেব।
রাগ করেন নি জেনে খুশি হলাম ।
রাগ করার কি কোন কারণ আছে?
। আমরা বন্ধু না

এমনকি, ঘরে বৈসা এইসব কথা বলতেও পারি আমরা, কিন্তু মিজানুর রহমানের পাশে দাড়াইতে পারিনা।
হায় রে ইভটিজিং! প্রতিনিয়ত এর ভেতর দিয়ে পথ হাঁটছি।
আর মিজানুর? বলার মত ভাষা নাই। মর্মান্তিক।
ধিক আসিফ, রনির মতো পশুদের।
ছক্কা মেরে দিলেন ভাইয়া। ব্লগে আর পত্র-পত্রিকায় দেখি বুদ্ধিবিক্রেতারা বখাটেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও একহাত দেখে নিচ্ছেন, ভাবখানা এমন যেন বাংলাদেশে মেয়েরা অন্তর্বাস পড়ে রাস্তায় চলাচল করে(গুলশান-বনানী-ধানমন্ডীতে অনেক মেয়ে পশ্চিমা পোশাক পড়ে ঘুরে বেড়ায়, তাদেরকে তো উত্যক্ত হতে দেখিনি)। কোন এক অদ্ভুত কারণে মেয়েদের হিজাব করার উপদেশ দিলেও উনারা ছেলেদের হিজাব করার উপদেশ দেন না। মেয়েদের জন্যই মনে হয় দুনিয়ার যতসব ধর্মীয় বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে, ছেলেরা মগজের বদলে পুংলিঙ্গ দিয়ে চিন্তা করলে কোন সমস্যা নেই! আজকাল আবার দেখি ব্লগে কেউ কেউ সুযোগ পেলেই "এডাম টিজিং" এর অভিজ্ঞতা নিয়ে চটি লিখে ফেলেন। শিশুকালে উনারা নাকি বড় আপুদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিলেন, নির্যাতিত হয়ে কিছুটা সুখও অবশ্য পেয়েছিলেন, কিন্তু এই নির্যাতনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করলে পুরুষত্ব বাতিল হয়ে যেতে পারে বিধায় উনারা ইভ টিজিংয়ের যুগে ব্লগে প্রকাশ করার জন্য সেসব কাহিনী চেপে গিয়েছিলেন। নারী কর্তৃক পুরুষ ধর্ষিত হওয়াটা অসম্ভব কিছু না(যদিও এক্ষেত্রে অধিকাংশ ভুক্তভোগী pre-pubescent বালক), কিন্তু সেসব ঘটনা আর এসব চটি লেখকদের "অভিজ্ঞতা" এক পাল্লায় মাপা যায় না।
আমি বখাটেপনার জন্য বাবা-মাদের দোষ দিতে রাজি না। যে ছেলে বাবা-মার হাতে মার খেয়ে সিধা হয়ে যাবে, সে ছেলে আর যাই হোক, বখাটে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এসব বখাটেদের রাজনৈতিক দাপট থাকে, পুলিশের পক্ষে নীরব দর্শক হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। মাইওপিয়ায় ভোগা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চোখ রাঙানিও হেলাফেলা করার মত না। সব দোষ বাবা-মার ঘাড়ে চাপানোটা আমার কাছে অতি সরলীকরণ মনে হয়।
আইজুদ্দিনের লেখা আমি প্রায় নিয়মিত পড়ি বলে তাঁর মানসিকতা সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা রাখি। আমার মনে হয় আপনি তাঁর পোষ্টটা ভুল বুঝেছেন, তিনি মোটেই মেয়েদেরকে বিছানায় আত্মসমর্পণ করার কথা বলেননি। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে যৌনতা নিয়ে বাঙ্গালী সমাজের মাত্রাতিরিক্ত রক্ষণশীলতাও ছেলেদের এই ঔদ্ধত্যের জন্য দায়ী, তিনি কিন্তু একে ইভ টিজিংয়ের একমাত্র কারণ বলেননি। কুসংস্কৃত উপস্থাপনার কারণে অনেকেই লেখাটাকে ভুলভাবে পড়েছেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে আইজুদ্দিনের বক্তব্যটা খুব একটা ভুল না। সহশিক্ষায় অভ্যস্ত ইংরেজি মাধ্যমের ছেলেমেয়েরা নর-নারী সম্পর্কের ব্যাপারে অন্যসব ছেলেমেয়েদের চেয়ে অনেক পরিপক্ব। আমি একসময় একটা ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে পড়েছিলাম, সেখানে গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড সংস্কৃতির পাশাপাশি ছেলে-মেয়ের সুস্থ স্বাভাবিক বন্ধুত্ব দেখার সৌভাগ্যও হয়েছিল। আমাদের দেশের অভিভাবকদের একটা বিশ্বাস আছে যে ছেলেমেয়ে কো-এডুকেশনে পড়লেই "বখে" যাবে। ভিকারুন্নিসার সামনে যেসব ছেলেরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে, তারা কিন্তু কোন ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় থেকে আসেনি।
ইভ টিজিং - পারিবারিক ও রাজনৈতিক অবক্ষয়ের ফল ।
আমাদের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা নিয়ে শান্তিতে থাকুন মিজানুর রহমান।
ইভ টিজিং-একমাত্র পারিবারিক অবক্ষয়ের ফল।
খোঁজ নিয়ে দেখুন- যে ছেলেটা টিজ করে, তার বাবাও এককালে টিজ করত, হয়ত এখনো করে।
স্যরি সিরাজি ভাই মানতে পারলাম না। এইটা ঠিক না। আমি এমন অনেককেই দেখেছি যারা অনেক ভালো মানুষ কিন্তু ছেলে বখাটে। ওমন হলে তো যে দেশ মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করসে তাদের এই পরিণতি হওয়ার কথা না।
Ai kothata mante parlam na, ekebare-e mante parlam na, ekjoner kormer daay tar babaR opor chapia deoa kakhono-e thik na.
ভাই আশফাকুর র, আপনি হয়তো কথাটি হতাশা থেকে বলেছেন,প্রচন্ড আবেগ থেকে বলেছেন,কিন্তু...এই দেশ নপুংসকদের নয়। মুক্তযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশ কখনো সন্ত্রাসীদের হতে পারেনা,নপুংসকদের হতে পারেনা, দেশ আসলে নষ্ট রাজনীতির শিকার।বর্তমানে যেখানে যতো অপকর্ম হচ্ছে, প্রায় সবই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়। মানুষ কিন্তু ঠিকই জাগবে।দেয়ালে পিট ঠেকে গেলে কিভাবে ফুঁসে উঠতে হয়,আতীতে ফুলবাড়ী,শিবগন্জ এবং সম্প্রতি রূগগন্জের সাহসী মানুষেরা তা দেখিয়ে দিয়েছে। সো... প্লীজ,ডোন্ট কল দেম কাওয়ার্ড।
হেডিংটা পড়েই প্লাস দিলাম।
আমি আশাবাদী, একদিন ভালোরা ফিরে আসবে।
হেডিংটা পড়েই প্লাস দিলাম।
আমি আশাবাদী, একদিন ভালোরা ফিরে আসবে।
ধন্যবাদ শাহাদাত ভাই। ইন্ডিয়া সফর সুন্দর কাটুক।
আরও মন্তব্য - আরও বক্তব্য । তার মধ্য দিয়ে একটা না একটা সমাধান বের হয়ে আসবে । এ বিষয়ে সকল বন্ধুকে নিজস্ব মতামত দেবার অনুরোধ । বিষয়টিকে আর ছোট করে দেখার অবকাশ নেই । দেয়াল আর দূরে নয় ।
মন্তব্য করুন