আমরাবন্ধু ব্লগের নীতিমালা, ডুয়েলিঙ-পোস্ট এবং একজন সাধারণ ব্লগার
আমরাবন্ধু ব্লগের মডারেটর (বা মডারেটরবৃন্দ) কিছুদিন আগে জানিয়েছেন যে তারা নীতিমালার প্রয়োগ করবেন কঠোরভাবে। যদি-ও পূর্বের নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন হয়েছে এবং অনেকে জানেন না বা নজর দেন নি, সেটা মুখ্য নয়- সেই প্রয়োগকে কেন্দ্র করে ব্লগার মানুষ, ব্লগার হিমালয় এবং ব্লগার রোবটের কিছু পোস্ট প্রথমপাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে ডুয়েলিঙ পোস্ট সম্পর্কিত নীতিমালার আওতায়।
এই পোস্টটির অবতারণার কারণ নীতিমালা সম্পর্কিত বিষয়ে নিজের কিছু ভাবনা, জিজ্ঞাসা ও পরামর্শ সম্পর্কে আলোকপাত করা।
১. নীতিমালার গ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে "'আমরা বন্ধু' তে শুধু নতুন লেখাই প্রকাশিত হবে। পুরনো লেখা রিপোস্ট করা যাবে না। অন্য কোনো কম্যুনিটি ব্লগে প্রকাশিত লেখা এবিতে প্রকাশ নিষিদ্ধ। এবিতে প্রকাশিত কোন লেখা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অন্য কোনো কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশ করা যাবে না। ব্যক্তিগত ব্লগ এবং পত্রিকা এই নিয়মের আওতার বাইরে।"
এখানে কিছু বিষয়ে ভুল ধারণা করা হয়েছে; বোধ করি। কমিউনিটি ব্লগিঙের সাথে এই জবরদস্তি প্রয়োগ মানানসই নয়। কারণ, আমরাবন্ধু প্রথম থেকে বলেকয়ে ব্লগিঙ সাইট, লেখক সম্প্রদায়ের পাঠস্থান নয়। অনেকে ধারণা করছেন যে নীতিমালার এই অংশটি আরেক বাঙলা সাইট সচলায়তনের নীতিমালার অন্ধ অনুকরণ। বাঙলা ব্লগিঙে সচলায়তন তার স্থান অধিকারে নিয়ে নিয়েছে, আমরা-ও আরেকটি সচলায়তন চাই না- বরং আমরাবন্ধু হিসেবে নতুন ব্লগিঙ সাইট আশা করি। আমরাবন্ধুতে এই নীতিমালার উপস্থিতি মানে হলো এটি লেখকদের (ব্লগারদের নয়) পাঠস্থান, এবং কর্তৃপক্ষের উচিত এই ব্যাপারে স্পষ্ট ঘোষণা দেয়া।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ থেকে বলতে পারি যে আন্তর্জাল মানে নিজের মতো করে প্রকাশের স্বাধীনতা, অন্তত ব্যক্তি কোন সাইটের কাছে দায়বদ্ধ নয়- বরং তার নিজের কাজের জন্য দায়বদ্ধ। ডুয়েলিঙ পোস্ট করা হয় বা করি সেসব পোস্ট 'সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক' এরকম হয়। তাছাড়া ব্যস্ততা, ব্লগার বা পাঠকদের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ার কারণে অনেকে বিভিন্ন জায়গায় ব্লগিঙ করেন এবং অনেক সময় ডুয়েলিঙ পোস্ট করেন। এটাকে নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে, গলাটিপে বন্ধ করা যাবে না।
কী হবে এভাবে চলতে থাকলে?
একটি নতুন ব্লগের অগ্রগতির জন্য দরকার সহযোগিতা, ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করা। কিন্তু নীতিমালা এই খড়গের কারণে, আমি মনে করি, আমরাবন্ধু আশানুরূপ অগ্রগতি দেখাতে পারছে না। অনেক জনসংযোগ, পূর্ব ইতিহাস (পূর্বে আমরাবন্ধু গুগল গ্রুপ ও বিভিন্ন ভাবে ছিলো) থাকার পরে-ও প্রথমপাতায় ভালো পোস্টের অভাব। ধুঁকে ধুঁকে অনেক সময় ব্যপ্তিতে পোস্ট আসছে; অথচ বিপরীত চিত্রই আশার ছিলো। পারছে না, কারণ আমরাবন্ধু নতুন ব্যবহারকারী বা নিবন্ধনকারীদের কাছে সুখকর স্থান নয়। আর নতুন বন্ধু না থাকলে অচিরেই এর অবস্থা আশংকাজনক হবে। মনে রাখা দরকার যে এখানে যারা ব্লগিঙ করছেন তারা অভিজ্ঞ ব্লগার- অন্যত্র ব্লগিঙ করেছেন, পুরানো ব্লগারদের সবসময় পাওয়া যাবে না- নতুনদের আকৃষ্ট করতে না পারলে এবং ব্যবহাকারীদের (মনে রাখুন ব্যবহারকারীরাই একটি সাইটের মূল উপাদান) স্বস্তিতে না রাখলে সবকিছু তথৈবচ।
"ছ. অন্য কোনো কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক এখানে কপি করে দেওয়া যাবে না। তবে কোনো আলোচনার প্রয়োজন হলে, রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কপি পেস্ট পোস্ট সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে অনুবাদ দেওয়া যাবে।"
এই নীতির বক্তব্য সুস্পষ্ট নয়; আন্তর্জালের বিরাট সুবিধা হচ্ছে লিঙ্ক দিতে পারা, লেখার মাঝে সংযোগ সৃষ্টি করা। তাই অন্য কমিউনিটি ব্লগের লিঙ্ক আসতে পারে- সেজন্য আলোচনা, রেফারেন্স ইত্যাদি কিছুর প্রয়োজন নাও হতে পারে। আমরাবন্ধু কি চাচ্ছে শুধু পরষ্পররের পিঠ চাপড়ানোকে উৎসাহিত করতে? কেবল নিজেদের ব্লগের লিঙ্ক দেয়া যাবে?
"জ. বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিরেকে ২৪ ঘন্টায় ২টার বেশি পোস্ট দেওয়া যাবে না।"
এই অংশটুকু-ও ব্লগিঙের সাথে যায় না। ২৪ ঘণ্টায় অনেক সময় আশানুরূপ পোস্ট আসে না, আর বিরতি নিয়ে যে কেউ একাধিক পোস্ট করতে পারে, যদি না অন্যদের ক্ষতি সাধন করা হয়।
আমরাবন্ধুর নীতিমালায় লেখার কপিরাইট সম্পর্কে বক্তব্য নেই। আমার লেখা কপিরাইট কি কর্তৃপক্ষ রাখবেন? যতদূর জানি সেটা হওয়ার নয়, কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কিছু যুক্ত করতে পারেন।
নীতিমালা সম্পর্কিত এই কথাগুলো বলার কারণ আমরাবন্ধুর অবস্থান আমার কাছে সুস্পষ্ট নয়। লেখক সম্প্রদায়ের পাঠস্থান (যেমন সচলায়তন) হলে অনেক নীতিই ঠিক আছে, কিন্তু যতদূর জানি (এবং সেকারণে নিবন্ধিত হয়েছিলাম) এটি একটি ব্লগিঙ সাইট।
[এই পোস্টটি নিছক ব্যক্তিগত ভাবনা, জিজ্ঞাসা]
কপিরাইট প্রসঙ্গে আমি অনেকবার বলেছি, কিন্তু কেউ এটা নিয়ে আর কোনো কথা বলেনি।
এই প্রসংগে একমত না। ২৪ ঘন্টায় একটা পোস্টের পক্ষে আমি। তা নাহয়তো ফ্লাডিং হয়ে যায়। হয়তো বলবেন এখন ইউজার কম, প্রথম পাতা খালি থাকে। কিন্তু ভবিষ্যতের শুরু এখানেই করতে হবে। ডূয়েল পোস্টের ব্যাপারটা শুরুতে নীতিমালায় কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকলে আজকের পরিস্থিতি হয়তো সৃষ্টি হতো না।
শুধু একটা লিঙ্ক দিয়ে একটা পোস্ট বিরক্তির উদ্রেক করে, যেমন করে দু-তিন লাইনের অর্থহীন পোস্ট। আমি এই ধারার পক্ষে।
ডুয়েল পোস্টের ব্যাপারে আর কিছু বলবো না।
তবে খুব দুঃখের সাথে অন্য প্রসংগে কয়েকটা কথা বলি। আমার কিছু বন্ধু বান্ধবকে এই ব্লগের কথা বলেছিলাম। ভেবেছিলাম, নতুন ব্লগ--নতুন ব্লগার এলে ভাল হয়; ওরাও হয়তো আগ্রহ পেয়ে হালকাপাতলা লেখালেখি শুরু করবে। তাদের মধ্যে একজন নির্বিকার কয়েকদিন আগে রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করলো। এমনিতেও লেখালেখি ততোটা করে না ও, কমেন্ট ব্লগার বলা যায়। সে যেহেতু আমরাবন্ধুতে আমার রেফারেন্স দিয়েছে, আমি আশা করেছিলাম কর্তৃপক্ষ একবার হলেও আমাকে জিজ্ঞেস করবে ওর ব্যাপারে। কিন্তু কেউ এই ব্যাপারে আমার সাথে যোগাযোগও করে নাই। রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করার দুইদিন পরে যখন ও আমাকে এ কথা বললো, আমার নিজের কাছে খারাপ লাগলো। ও যেহেতু লেখালেখি তেমন একটা করে নাই, সুতরাং ওকে দিয়ে আমরাবন্ধুর লেখালেখিতে খুব একটা ফায়দা হবে না হয়তো। তাই ওর আবেদন ইগনোর করতেই পারে আমরাবন্ধু।
তবে আমি যদি আগে জানতাম আমরাবন্ধু শুধু লেখকদের জন্য, তাহলে ওকে রেজিস্টার করতে বলতাম না। ভবিষ্যতেও কোন বন্ধুকে দাওয়াত দিয়ে অপমানিত হতে বলবো না।
ভাঙা, নির্বিকার প্রসঙ্গে যেইটুকু জানতে পারলাম উনি এখনো মডারেশন প্যানেলে আছেন। সদস্য যাচাই বাছাইয়ে কিন্তু ১৫ দিনের সময়ের কথা রেজি:'র সময় বলে দেয়া হয়। নির্বিকার এর মাত্র ৫ দিন চলতাছে। ইতিমধ্যে কিউতে অনেক রিকোয়েস্ট জমা হ্ওয়াতে এবার মনে হয় একটু দেরী হচ্ছে। বিষয়টি তোমার বন্ধুকে বুঝিয়ে বলার জন্য অনুরোধ করেছে।
তাহলে তো কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো আরো আগে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করা। বাই ডিফল্ট কপিরাইট অবশ্য লেখক/ব্লগারের।
ফ্লাডিঙ ভিন্ন বিষয়। ফ্লাডিঙ কী সে ব্যাপারে আপনি আমার চে' ভালো জ্ঞান রাখেন। তবে ধরেন, আমি একটা কবিতা পোস্ট করলাম বিকালে, পরেরদিন সকালে অন্য কিছু (যেমন আড্ডা পোস্ট, গল্প)- সেটা অ্যালাউ করা উচিত বলে মনে করি।
এইরকম পোস্ট আমি দেখি নি, আর সেটা নিশ্চয় পোস্ট না। সেক্ষেত্রে নীতিমালা বলবৎ থাকবে। যেমন ধরেন আমি আপনার একটা গল্প পড়ে বললাম যে এই ঘরনার একটা লেখা আমি-ও লিখছি কিংবা আমার গল্পটা পড়ে একটু মন্তব্য করবেন; এটা আলোচনা না, রেফারেন্স-ও না; বরং ব্লগীয় মিথষ্ক্রিয়া।
আমার মতে ডুয়েলিঙ পোস্টের ব্যাপারে শুচিবায়ু হওয়াটা অন্তরায় বটে। যত যাইহোক এটা ব্লগ সাইট, লেখক সমিতির পাঠস্থান না।
আপনার বন্ধুর ব্যাপারটার মতো অবস্থা পোস্টে আলোকপাত করেছি। নতুন ব্লগার সৃষ্টি করতে না পারলে লাভ নাই। সামুর মডারেশন খারাপ, ছাগুঘেঁষা- কিন্তু এইসবরের মাঝে-ও নতুন হাজার হাজার ব্লগার সৃষ্টি করছে; এটাই মূলশক্তি। ব্যবহারকারী ছাড়া পয়দা নাই।
=============
দৌড়ানির উপর আছি। রাতে এসে পরবর্তী মন্তব্যের জবাব দিবো। শুভেচ্ছা।
আশরাফ ভাই,
আমরা বন্ধু একটি নবীন সাইট। এখন আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি নতুন ব্লগ সাইটে মানুষ কেন আসবে? তখন উত্তর হতে পারে সাইটের মৌলিকতা ও পোষ্টের সৃজনশীলতার জন্যই আসবে। যখন এখানে সম্পূর্ণ মৌলিক লেখা আসতে থাকবে তখন বিভিন্ন ফোরামের ব্লগার যারা আশেপাশের পরিমণ্ডল সম্বন্ধে সচেতন তারা দৈনিক এইখানে একবার ঢু মারতে বাধ্য হবে। একটা ব্লগিং সাইট যতোবেশী মৌলিক ততোবেশী সমৃদ্ধ। দ্বিতীয়ত লেখা শুধু মৌলিক হলেই চলবেনা লেখার মেরিট থাকা চাই যা অপরকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা রাখে। (মেরিট জিনিসটা অনেক কিছুর উপর ডিপেন্ড করে)
ডুয়েল পোষ্ট দুই রকমের।
১) পুরোনো কোন লেখা রিপোষ্ট করা
২) নতুন কোন লেখা একই সাথে একাধিক পরিমণ্ডলে পাবলিশ করা।
১) পুরোনো কোন লেখা রিপোষ্টঃ
)
রিপোষ্ট করার ক্ষেত্রে কঠোর হওয়াই ভালো মনে করি। নয়তো এই সাইটটা হয়ে যাবে অন্য কোন সাইটের লেখার বেকাপ রাখার সাইট। যেটা কখনোই কাম্য নয়।
১.ক) যদি লেখক একান্তই মনে করেন আগের পোষ্ট তাকে পাবলিশ করতেই হবে, সেক্ষেত্রে লেখক আগের লেখাটাকে পালিশ/বার্নিশ করে হাল নাগাদ করে নিতে পারেন, তাহলে সেই লেখাটা আর পুরোনো লেখা থাকবে না, হয়ে হয়ে উঠবে নতুন লেখা। (বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে লেখার মতো আর কি
১.খ) সমসাময়িক কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে যদি বিবেচ্য হয় আগের লেখাটা যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে এবং বর্তমান সময়ের কোন ঘটনার প্রতিকার হতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে মডারেটরদের নমনীয় হবার আহ্বান জানাই। তবে তার জন্য লেখককে অবশ্যই অকাট্য যুক্তি পোষ্টের নিচে পেশ করতে হবে।
*** উপরোক্ত দুটি শর্ত না মানলে ডুয়েল পোষ্টের ব্যাপারে খড়্গ নীতি সর্মথন করি।
২) একই সাথে একাধিক পরিমণ্ডলে পাবলিশ করাঃ
) এইটাকে কঠোর ভাবে নিরুৎসাহিত করা উচিত। কারণ এই ধরনের ব্লগাররা নিজেদের এলিট শ্রেনীর মনে করেন, কিংবা কালেম কবি বা লেখক মনে করেন। এরা কোন আড্ডায় অংশ নেননা, কারও পোষ্টে ভুলেও কমেন্ট করেন না, মাঝে মাঝে নিজের পোষ্টে ধন্যবাদ জাতিয় দুই একটা শব্দ উচ্চারণ করে মনে করেন খুব দয়া করে ফেললাম। এইগুলান হচ্ছে স্বমেহকের গুষ্ঠি। এই ধরণের পোষ্টকে কিক মারার পক্ষে আমি সহমত জানাই।
অনেকেই গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ লিখে একই সাথে সব কয়টা ব্লগ সাইটে ধিরিম করে পাব্লিশ করে দেয়। (আমার নিজেরো এই বাতিক আছে
২.ক) কোন লেখা যদি জনগুরুত্বপূর্ণ হয় এবং আজকেই সবাই না জানলে দেশ ও জাতি বিরাট ক্ষতির সম্মুখিন হবার সম্ভাবনা আছে, কিংবা সময়ের প্রেক্ষিতে অন্তর্জালে সকল ক্ষেত্রে জানানোর মত জোরালো বক্তব্য দাবী রাখে তবে সেই লেখা একাধিক পরিমণ্ডলে ছাপার ক্ষেত্রে মডারেটর নমনীয়তা পোষন করতে পারেন। তবে এখানেও লেখককে অবশ্যই অকাট্য যুক্তি পোষ্টের নিচে পেশ করতে হবে।
লিঙ্কের ব্যাপারে কইতে গেলে শুধু মাত্র অন্য সাইটের একটা লিঙ্ককে এইখানে দেয়ার জন্য লোন পোষ্ট আসলে সেই পোষ্টতো উষ্ঠার উপ্রে থাকবেই প্লাস পোষ্টারকে(ব্লগার নয়)
সাত দিনের জন্য লগিন ব্যান করার পক্ষে আছি। কারন এটা এডভেরটাইজের যায়গা না। তবে কোন তর্কের খাতিরে বা তর্ক জমে উথলে বা কোন প্রয়োজনে রেফারেন্স হিসেবে লিঙ্ক দেয়াটা দোষের মনে করিনা। অন্য কোন ব্লগ সাইটে দেখছি অনেকেই একটা পোষ্টে কমেন্ট করে নিজের একটা পোষ্টের লিঙ্ক সেইখানে ধরায়া দেন আর তার পোষ্ট পড়ার জন্য ও কমেন্ট করার জন্য দাওয়াত দিয়ে আসেন। আমরা বন্ধুতে যদিও তেমন কিছু চোখে পড়ে নাই তবে তেমনটা ঘটলে কঠোর হাতে দমন করার আহ্বান থাকবে। ছেবলামি প্রশ্রয় দেয়া ঠিক না।
পরিশেষে বলি, ব্লগারদের যেমন ব্লগের ব্যাপারে কেয়ার নেয়া উচিত তেমন ব্লগেরও উচিত তার ব্লগারদের কেয়ার নেয়া। ব্লগিং হোক জয়েন্ট ভেঞ্চারের মত।
মডারেটরকেও মনে রাখতে হবে যে একজন স্ট্রাইকার যেই দলেই খেলুক না কেন সে একজন স্ট্রাইকার, আর স্ট্রাইকার মানেই ভাল খেলোয়ার। আপনার দলের স্ট্রাইকারদের বিগড়ে না দিয়ে তাদের ধরে রাখার দায়িত্ব একান্তই আপনার কাঁধে।
সো, ব্লগিং হোক দায়িত্বশীল, সাইট স্লোগানের মতো হাতে হাত রেখে নিঃশঙ্ক হওয়া।(বানান ভুল ক্ষম ক্ষম)
ডিস্ক্লেইমারঃ উপরের কথাগুলো একান্তই ব্যাক্তিগত ভাবনা, কাউকে আঘাত দেয়া কিংবা কাউকে খুশী করার নিমিত্তে নয়।
আশরাফের পোস্টটা পড়েছি অনেক আগেই। কিন্তু গুছায়ে জবাব দিতে পারছিলাম না। কাজ করছি, ব্যস্ত। তাই গুছিয়ে ভাবতেও পারতেছিলাম না আসলে।
কাজীর মন্তব্যটা পড়ে মনে হলো এটাই মনের কথা। এতো সুন্দর করে গুছায়া লিখতে পারতাম না।
কাজীর সঙ্গে একমত, সহমত, পূর্ণমত।
সাথে একটু যোগ করি, কপিরাইটের বিষয়টা নিয়ে কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত। আমি কপিরাইট এবং দায় লেখকের কান্ধেই রাখতে আগ্রহী।
আরো একটু যোগ করি, তা হলো ২৪ ঘন্টার মেয়াদ সম্পর্কিত। ২৪ ঘন্টায় ২টা পোস্ট এলাউ করছে কর্তৃপক্ষ। আমার মতে এটা কমায়া ১টা করে দেওয়া উচিত।
কাজীর সাথে একমত। মোটামুটি সবটা বলা হয়েছে।
এই কথাটা হয়নাই। ঐ এলিট লেখকদেরকে স্প্যামার করার জন্য কিন্তু অন্যদেরও ও ভালো না লাগতে পারে। খুব স্বাভাবিক, যদি
আমার মনে হয় যে এইখানে একটা লেখা দেওনের কারেনে অন্য ব্লগের বন্ধুদের সাথে একই লেখা শেয়ার করতে পারুম না,
তখন এমনিতেই সংকুচিত হওয়া যাইতে পারে।
ধরেন যারা নবীন লেখক, লেখক হিসেবে উঠতি, তারা কি এই অবলিগেশনের ভিতরে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে?
কিংবা একটা আজাইরা পোষ্টই হোক...যে লেখে, তার কাছে ভালোই তো মনে হয় না? সেও শেয়ার করতে না পারলে ভালো লাগবে?
ভালো না ভালো না...সত্যই ভালো না।
আপনের জাজমেন্টাল অংশটা বাদে বাকীসবের লগে আমার সহমত আছে, তয় মডারেটররা কি বিবেচনায় নমনীয় হইবেন সেই প্রসেস নিয়া আমার সংশয় রইয়া গেলো। যদি নীতিমালায় এইরম সংশয়ী বিষয় থাকে তাইলে তার অপারেশন কখনোই প্রশ্নহীন হয় না।
কমিউনিটি ব্লগে ব্লগারগো মতামত অনেক গুরুত্বপূর্ণ হওয়াটা জরুরী। তারাই ঠিক করতে পারে কোন বিষয় জরুরী, কোন বিষয় জরুরী না। কিন্তু কোন প্রসেসে ব্লগারগো ইনভল্ভ করা হইবো সেইটা আমার কাছে একটু ধোঁয়াটে ঠেকে...
কাজী ভাইয়ের সাথে সহমত
সোহেল কাজী ভাই, আপনার প্রত্যেকটা কথার সাথে পুরোপুরি একমত।
"আমরা বন্ধু একটি নবীন সাইট। এখন আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি নতুন ব্লগ সাইটে মানুষ কেন আসবে? তখন উত্তর হতে পারে সাইটের মৌলিকতা ও পোষ্টের সৃজনশীলতার জন্যই আসবে। যখন এখানে সম্পূর্ণ মৌলিক লেখা আসতে থাকবে তখন বিভিন্ন ফোরামের ব্লগার যারা আশেপাশের পরিমণ্ডল সম্বন্ধে সচেতন তারা দৈনিক এইখানে একবার ঢু মারতে বাধ্য হবে। একটা ব্লগিং সাইট যতোবেশী মৌলিক ততোবেশী সমৃদ্ধ। দ্বিতীয়ত লেখা শুধু মৌলিক হলেই চলবেনা লেখার মেরিট থাকা চাই যা অপরকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা রাখে। (মেরিট জিনিসটা অনেক কিছুর উপর ডিপেন্ড করে)".....এই অংশটুকু প্রকৃত অর্থেই যথার্থ বলেছেন।
নীতিমালা সম্পিকর্ত পোস্ট গুলি পড়লাম। সোহেল কাজীর সাথে পুরাই একমত।
ব্যক্তিগতভাবে ডুয়্যাল পোস্টিঙ আমি অপছন্দ করি না। এই কথা আমি কই বহুতদিন আগের থেইকাই। সচলায়তন নামের রাইটার্স কমিউনিটিতেও যখন এই বিষয়ে আলোচনা উঠছিলো, আমি তার বিরোধীতা করছি। সব কর্তৃপক্ষ'ই এক ভাষায় কথা কয় এই নীতি'র ব্যাপারে। তারা কয় উদাহরণ দেখান কোন কমিউনিটি ব্লগে এইটা অনুমোদিত আছে। আমার তখন খালি একটা কথাই মাথায় আসে, কমিউনিটি ব্লগ কনসেপ্টটা কোত্থেইকা আসছে? কমিউনিটি আসলে কি? আমি কইতাছি আমি আমরা বন্ধু কমিউনিটিতে আছি, আর ঘুরতাছি এইদিক সেইদিক আরো বহু কমিউনিটিতে, এইটা কি সম্ভব?
আমি নিজের বেলায় কইতে পারি, আমরা বন্ধু ব্লগ বাদে আমি আর কোন কমিউনিটিতে নাই। এখন অন্য কমিউনিটিতে যদি একটা ভালো লেখা একজন ব্লগার মারফত প্রকাশিত হয় তাইলে সেইটা আমি পড়তে পারুম না!? কমিউনিটি'র জটিলতায় তাইলে আমার পাঠাভ্যাস সীমিত হইবো অন্যগো চাইতে?
একটা কমিউনিটি ব্লগ ডুয়্যাল পোস্টিঙের বিষয়টারে নিষিদ্ধ করে কোন যুক্তিতে? তারা কয় ব্লগীয় স্বতন্ত্রতার কথা। তারা কয় যদি একই লেখা প্রকাশিত থাকে সবখানে তাইলে পাঠকেরা কয় জায়গায় যাইবো? একটা নতুন কমিউনিটির তাইলে প্রয়োজনটা কি? এইটারে আমার যুক্তির চাইতে আবেগের কথা মনে হইছে বেশি। কারণ কি? একটা কমিউনিটি ব্লগের বৈশিষ্ঠ্য কি তার স্বাতন্ত্রে নির্ভর করে? নাকি কমিউনিটির একাত্মতায়?
আসলেই একটা নতুন কমিউনিটি ব্লগের প্রয়োজন তৈরী হয় ক্যান? বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বিষয়টারে বিশ্লেষণ করতে গিয়া আমার মনে হয় শুরুতে সচলায়তন কিম্বা তার কিছুকাল পরে আমার ব্লগের প্রয়োজন ছিলো। সামহো্য়্যার ইনের পরিবেশ যখন বিষময় হইয়া উঠতেছিলো তখন সচলায়তনের মতোন একটা কমিউনিটি গইড়া উঠতেই পারে। কিন্তু সচলায়তন কমিউনিটির মডারেটরগো আচরণই কয় তারা সামহোয়্যার ইনের আমেজ কিম্বা মায়া কোনটাই ছাইড়া যাইতে পারে না। সামহোয়্যার ইনে প্রকাশিত পোস্ট তাই মানসম্পন্ন হইলেও তারা সচলায়তনে সেই পোস্টের উপস্থিতি দেখতে চান না। কারণটা কি হইতে পারে? খুব সহজ তাগো দাবী হয় ঐ কমিউনিটিতে থাকো নাইলে আমাগোটায় আসো। একটা কমিউনিটির এই দাবী আমার কাছে যৌক্তিক না ঠেকলেও একটা অবস্থান মনে হয়। কিন্তু এই অবস্থান কি ইন্ডিকেট করে? এই অবস্থান ইন্ডিকেট করে যে তারা স্বতন্ত্র কমিউনিটি হইতে চায়। সচলায়তন সেই অর্থে স্বতন্ত্রও থাকে। তারা নিজেগোরে ব্লগার্স কমিউনিটি কয়নাই এইসব ক্ষেত্রে কখনো। তারা লেখক। এখন ডুয়্যাল পোস্ট না বইলা তারা ঐটারে লেখা হিসাবেই দেখে। ব্লগ রচনার যেই প্রাত্যহিকতা তার বাইরে তারা বিষয়টারে দেখে। সচলায়তনের নীতিমালা নির্ধারনের এই জায়গাটা তাই কিছুটা হইলেও যৌক্তিক হইয়া ওঠে। আর আমার ব্লগ ঠিক সচলায়তনের বিপরীতে নো মডারেশন পলিসিতে যায়। যেইটা এখন কার্য্যকর না অকার্য্যকরী প্রমাণিত হইছে সেই বিতর্কে না গিয়া কইতে পারি তাগো শুরুটা আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় লাগে নাই।
আমরা বন্ধু'র যাত্রা শুরু হইছে সামহোয়্যার ইন যখন অসহনীয় হওনের মাত্রা ছাড়াইয়া গেছে তখন। আমার ব্লগের নো মডারেশন পলিসি যখন পরিবেশরে অনিয়ন্ত্রিত বানাইয়া ফেলছে তখন। যেই কারনে আমরা বন্ধুর নীতিমালাটা একটা জরুরী বিষয়। কিন্তু ডুয়্যাল পোস্টিঙ কি কখনো সামহোয়্যার ইন বা আমার ব্লগের পরিবেশ অসহনীয় হওনের কারণ? ডুয়্যাল পোস্টিঙের বিষয়টা কি ঐ দুই ব্লগের জনপ্রিয়তা বা মানুষের অংশগ্রহণের আগ্রহ কমাইয়া দিছে? আমার কাছে তো তা মনে হয় না...
আমি নিজে আমরা বন্ধু'র কমিউনিটিতে থাকা একজন মানুষ মনে করি নিজেরে। তাই সেই কমিউনিটি ফিল থেইকা অন্য কোথাও যাই না। কিন্তু কেউ যদি সেই কমিউনিটি বোধটারে একইরম ভাবে না দেখে তারে কি আমরা জোর করতে পারি? আমি মনে করি, পারি না। জোর কইরা কখনো জোড় বাঁধন যায় না। এইটা একটা ধারাবাহিকতার প্রশ্ন। একটা কমিউনিটির সকলে যদি একটা নিয়ম তৈরী করে সেইটা আমি মাইনা নিমু হয়তো, কিন্তু প্রশ্নহীন মাইনা নেওনটা আমার ধাতে নাই। যদি একজন লোকও এইটারে ঠিক মনে না করে তাইলে আমি আবারো সেই প্রশ্ন করুম।
পরিবেশ সংরক্ষণের লেইগা, নিজেগো সংহতির লেইগা অনেক নিয়ম করতে হয়। কিন্তু এই নিয়মের আওতা আসলে কতোদূর বিস্তৃত করতে হইবো সেইটা কর্তৃপক্ষের ভাবনার প্রয়োজন আছে।
যেহেতু এই নিয়মের পক্ষের এখনো অনেক লোক আছে, তাই আলোচনার পরিসরটা খোলা রাখাই ভালো। আমি মনে করি হার্ড লাইনার এলিটিস্ট দৃষ্টিভঙ্গী কিম্বা আচরণ কখনো যূথবদ্ধতার জন্য সহায়ক হইত পারে না।
ভাস্করদা,
আপনার মন্তব্যটা খুব খেয়াল কইরা পড়লাম। বার বার পড়লাম।
আপনি কালকে রাতে বলছিলেন এখানে দেওয়া যুক্তি নিয়া আলাপ করতে।
কিন্তু আমি মন্তব্যটা বার বার পইড়াও যুক্তি খুঁইজা পাইলাম না।
মন্তব্যের পরতে পরতে দেখলাম একজন বর্ষীয়ান, সেলিব্রেটি এবং অভিজাত ব্লগাররে।
অন্য অন্য ব্লগসাইটগুলা কেন সমস্যায় নিপতীত হইছে, তার আলোক বিশ্লেষণ কইরা যিনি ঠিক কইরা দিতে চাইতেছেন 'আমরা বন্ধু' ব্লগের আচরণ মানদণ্ড।
এই জায়গাটা ঠিক বুঝলাম না। আমি যতদূর জানি আমরা বন্ধু ব্লগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার পরিকল্পনাটা অনেক আগেরই। এই সাইটটা অন্তত ৫ বছর আগের কেনা। রনি ভালো বলতে পারবে। এর আগে বহুবারই এটাকে ব্লগ বানায়া ফেলনের আলোচনা হইছে, কিন্তু সময় সুযোগের অভাবে হয়া উঠে নাই। এইবেলা হইছে।
এর সঙ্গে সামহোয়্যার ইনের অসহনীয় তাপমাত্রার কী সাযুজ্য? বুঝলাম না...
ব্যক্তিগতভাবে ডুয়্যাল পোস্টিঙ আমি অপছন্দ করি না। এই কথা আমি কই বহুতদিন আগের থেইকাই। সচলায়তন নামের রাইটার্স কমিউনিটিতেও যখন এই বিষয়ে আলোচনা উঠছিলো, আমি তার বিরোধীতা করছি। সব কর্তৃপক্ষ'ই এক ভাষায় কথা কয় এই নীতি'র ব্যাপারে। তারা কয় উদাহরণ দেখান কোন কমিউনিটি ব্লগে এইটা অনুমোদিত আছে। আমার তখন খালি একটা কথাই মাথায় আসে, কমিউনিটি ব্লগ কনসেপ্টটা কোত্থেইকা আসছে? কমিউনিটি আসলে কি? আমি কইতাছি আমি আমরা বন্ধু কমিউনিটিতে আছি, আর ঘুরতাছি এইদিক সেইদিক আরো বহু কমিউনিটিতে, এইটা কি সম্ভব?
আমি নিজের বেলায় কইতে পারি, আমরা বন্ধু ব্লগ বাদে আমি আর কোন কমিউনিটিতে নাই। এখন অন্য কমিউনিটিতে যদি একটা ভালো লেখা একজন ব্লগার মারফত প্রকাশিত হয় তাইলে সেইটা আমি পড়তে পারুম না!? কমিউনিটি'র জটিলতায় তাইলে আমার পাঠাভ্যাস সীমিত হইবো অন্যগো চাইতে?
একটা কমিউনিটি ব্লগ ডুয়্যাল পোস্টিঙের বিষয়টারে নিষিদ্ধ করে কোন যুক্তিতে? তারা কয় ব্লগীয় স্বতন্ত্রতার কথা। তারা কয় যদি একই লেখা প্রকাশিত থাকে সবখানে তাইলে পাঠকেরা কয় জায়গায় যাইবো? একটা নতুন কমিউনিটির তাইলে প্রয়োজনটা কি? এইটারে আমার যুক্তির চাইতে আবেগের কথা মনে হইছে বেশি। কারণ কি? একটা কমিউনিটি ব্লগের বৈশিষ্ঠ্য কি তার স্বাতন্ত্রে নির্ভর করে? নাকি কমিউনিটির একাত্মতায়?
আসলেই একটা নতুন কমিউনিটি ব্লগের প্রয়োজন তৈরী হয় ক্যান? বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বিষয়টারে বিশ্লেষণ করতে গিয়া আমার মনে হয় শুরুতে সচলায়তন কিম্বা তার কিছুকাল পরে আমার ব্লগের প্রয়োজন ছিলো। সামহো্য়্যার ইনের পরিবেশ যখন বিষময় হইয়া উঠতেছিলো তখন সচলায়তনের মতোন একটা কমিউনিটি গইড়া উঠতেই পারে। কিন্তু সচলায়তন কমিউনিটির মডারেটরগো আচরণই কয় তারা সামহোয়্যার ইনের আমেজ কিম্বা মায়া কোনটাই ছাইড়া যাইতে পারে না। সামহোয়্যার ইনে প্রকাশিত পোস্ট তাই মানসম্পন্ন হইলেও তারা সচলায়তনে সেই পোস্টের উপস্থিতি দেখতে চান না। কারণটা কি হইতে পারে? খুব সহজ তাগো দাবী হয় ঐ কমিউনিটিতে থাকো নাইলে আমাগোটায় আসো। একটা কমিউনিটির এই দাবী আমার কাছে যৌক্তিক না ঠেকলেও একটা অবস্থান মনে হয়। কিন্তু এই অবস্থান কি ইন্ডিকেট করে? এই অবস্থান ইন্ডিকেট করে যে তারা স্বতন্ত্র কমিউনিটি হইতে চায়। সচলায়তন সেই অর্থে স্বতন্ত্রও থাকে। তারা নিজেগোরে ব্লগার্স কমিউনিটি কয়নাই এইসব ক্ষেত্রে কখনো। তারা লেখক। এখন ডুয়্যাল পোস্ট না বইলা তারা ঐটারে লেখা হিসাবেই দেখে। ব্লগ রচনার যেই প্রাত্যহিকতা তার বাইরে তারা বিষয়টারে দেখে। সচলায়তনের নীতিমালা নির্ধারনের এই জায়গাটা তাই কিছুটা হইলেও যৌক্তিক হইয়া ওঠে। আর আমার ব্লগ ঠিক সচলায়তনের বিপরীতে নো মডারেশন পলিসিতে যায়। যেইটা এখন কার্য্যকর না অকার্য্যকরী প্রমাণিত হইছে সেই বিতর্কে না গিয়া কইতে পারি তাগো শুরুটা আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় লাগে নাই।
আমরা বন্ধু'র যাত্রা শুরু হইছে সামহোয়্যার ইন যখন অসহনীয় হওনের মাত্রা ছাড়াইয়া গেছে তখন। আমার ব্লগের নো মডারেশন পলিসি যখন পরিবেশরে অনিয়ন্ত্রিত বানাইয়া ফেলছে তখন। যেই কারনে আমরা বন্ধুর নীতিমালাটা একটা জরুরী বিষয়। কিন্তু ডুয়্যাল পোস্টিঙ কি কখনো সামহোয়্যার ইন বা আমার ব্লগের পরিবেশ অসহনীয় হওনের কারণ? ডুয়্যাল পোস্টিঙের বিষয়টা কি ঐ দুই ব্লগের জনপ্রিয়তা বা মানুষের অংশগ্রহণের আগ্রহ কমাইয়া দিছে? আমার কাছে তো তা মনে হয় না...
আমি নিজে আমরা বন্ধু'র কমিউনিটিতে থাকা একজন মানুষ মনে করি নিজেরে। তাই সেই কমিউনিটি ফিল থেইকা অন্য কোথাও যাই না। কিন্তু কেউ যদি সেই কমিউনিটি বোধটারে একইরম ভাবে না দেখে তারে কি আমরা জোর করতে পারি? আমি মনে করি, পারি না। জোর কইরা কখনো জোড় বাঁধন যায় না। এইটা একটা ধারাবাহিকতার প্রশ্ন। একটা কমিউনিটির সকলে যদি একটা নিয়ম তৈরী করে সেইটা আমি মাইনা নিমু হয়তো, কিন্তু প্রশ্নহীন মাইনা নেওনটা আমার ধাতে নাই। যদি একজন লোকও এইটারে ঠিক মনে না করে তাইলে আমি আবারো সেই প্রশ্ন করুম।
পরিবেশ সংরক্ষণের লেইগা, নিজেগো সংহতির লেইগা অনেক নিয়ম করতে হয়। কিন্তু এই নিয়মের আওতা আসলে কতোদূর বিস্তৃত করতে হইবো সেইটা কর্তৃপক্ষের ভাবনার প্রয়োজন আছে।
যেহেতু এই নিয়মের পক্ষের এখনো অনেক লোক আছে, তাই আলোচনার পরিসরটা খোলা রাখাই ভালো। আমি মনে করি হার্ড লাইনার এলিটিস্ট দৃষ্টিভঙ্গী কিম্বা আচরণ কখনো যূথবদ্ধতার জন্য সহায়ক হইতে পারে না।
কাজী সাহেবের বক্তব্যের সাথে একমত।
এর পর আর কিছু বলার নাই ।
আমার এক পোস্টে মডারেটর অবশ্য বলসে সব সদস্যের মতামত নিয়া নাকি ডুয়াল পোস্টিং (ঐখানে অবশ্য ডুয়েল পোস্টিং বলসেন) সংক্রানত নীতিমালা নেয়া হয়। আমি মনে হয় সবার মধ্যে পড়িনা।
বস... ১০ জন ভোটারের মধ্যে যদি ৮ জন প্রার্থীকে ভোট দেয় আর ২ জন অন্য প্রার্থীকে ভোট দেয় ... তাইলে কি উনি শুধু ৮জনের নির্বাচিত প্রতিনীধি? নাকি সকলের নির্বাচিত প্রতিনিধী?
সোহেল কাজীর সাথে আমিও একমত।
@ সোহেল কাজী
এটা নবীন সাইট বলেই আগে থেকে সব ঠিকঠাক করে নেয়া উচিত। মৌলিক লেখা হলেই বা ওজনদার লেখা হলেই হিট বাড়বে কিংবা পাঠপ্রিয়তা বাড়বে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ব্লগ হচ্ছে মিথষ্ক্রিয়ার স্থান, এভাবেই এটি বোদ্ধা হয়ে উঠে। আর মৌলিকতা বা ওজনদার লেখার জন্য খাঁটি জার্নাল কিংবা লেখকমঞ্চ আছে- কিন্তু সেসবে ব্লগীয় রেশ নাই। পার্থক্য এখানেই।
এখন কেউই কোনো সাইটকে ব্যাকাপ হিসেবে ব্যবহার করে না, আমার মনে হয়, বোকারা করতে পারে। পুরানো পোস্ট রিপোস্ট হতে পারে, সব পাঠক পোস্টটি নাও পড়ে থাকতে পারে, কিংবা নতুন ব্লগারদের জন্য আগ্রহপূর্ণ কিছু হতে পারে বৈকি। কারো চোখে লাগলে স্কিম করতে পারে।
এটা সব ধরনের পোস্টের জন্য সম্ভব না। বিশেষ করে সাহিত্যের পোস্ট। আর ডুয়েলিঙ পোস্ট হয় অ্যালাউ করা উচিত (সাইটের স্বার্থেই- নতুন ব্লগারদের আকৃষ্ট করতে) না হয় পুরোপুরি বাদ দেয়া উচিত। ত্যানাপ্যাচানো জিনিস খারাপ। ডুয়েলিঙ পোস্ট করতে না দেয়া বা অন্য ধরনের খবরদারি ব্লগীঙের সাথে যায় না- কারণ ব্লগীঙ হচ্ছে "যেমন ইচ্ছে লেখার কবিতার খাতা"র মতো। এখানে ব্লগার সম্পাদককে আশা করেন না, পাঠককে আশা করেন।
আপনার এই লাইনগুলো আপত্তিকর। ব্লগীঙে এলিটিজমের স্থান নেই- আর আপনি যদি সব জায়গায় এলিটিজমের ভূত দেখেন সেটা আপনার নিজস্ব সীমাবদ্ধতা। আর সবার প্রকৃতি এক না, অন্যের পোস্টে মন্তব্য করতেই হবে এমন বাধ্যবাদকতা নেই-ও। সে আপনাকে দাম না দিলে আপনি-ও তাকে দাম না দিতে পারেন- কিন্তু তাকে অমূল্য কিছু বলে উড়িয়ে দিতে পারেন না।
ব্লগে এমন কোন পোস্ট লেখা হয় না যে সেটা না পাঠ করলে দেশ ও জাতির ক্ষতি হবে। দেশ ও জাতি বিশাল জিনিস। এখানে বড়জোর আপনার আমার ক্ষতি হতে পারে। আর নমনীয়তা পোষণ করলে সবখানে করা উচিত। হয় হ্যাঁ, নয়তো না- হ্যাঁনা কোন শব্দ না।
আপনি ভুল উপলব্ধি করেছেন। আমি বিজ্ঞাপন নিয়ে কথা বলছি না। ব্লগে আমি-ও বিজ্ঞাপন দেখতে আগ্রহী নই। কিন্তু কেউ যদি আমাকে একটি ভালো লেখা লিংক দেয় (পরিস্থিতি বিচারে) তবে আমি পেতে আগ্রহী। আপত্তি এখানেই- অন্য ব্লগের লিংক দেয়া যাবে না এরকম মধ্যযুগীয় সামন্তপনা আশা করার মতো নয়।
আপনার আসল কথা শেষে বলেছেন। স্ট্রাইকার না বিগড়ালেই মঙ্গল। শেষে কোচ খেলেন না, খেলোয়াড়ই খেলাটা খেলেন।
================
আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। ভালো লাগলো।
====================================================
@ ভাস্কর
আপনার উপলব্ধি যথেষ্ট ভাবনার বিষয়। কারণ বলেকয়ে কমিউনিটি ব্লগ হয়ে এরকম সংকীর্ণতা আশা করার নয়। ব্লগ আর লেখকদের পাঠস্থান এক জিনিস নয়। আবার সাধারণ ব্লগিঙ এবং কমিউনিটি ব্লগীঙ একই জিনিস নয়। আমরাবন্ধু একই সাথে কমিউনিটির সাধারণ ব্লগিঙের স্থান।
বাঙালির স্বভাব অনুযায়ী আসলে বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগীঙ সাইটের নামে আমরা অসংখ্য সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করছি, করছি গোষ্ঠীপনা। অথচ এরকম হওয়ার কথা ছিলো না।
আমার বক্তব্য-ও এটাই। সচলায়তন তার স্থানে অনন্য। তারা বলেকয়ে লেখক সমিতির মতো। আর আমরাবন্ধু বলেকয়ে কমিউনিটি ব্লগীঙ সাইট হয়ে সেইরকম রীতি অনুসরণ করবে কেন? আমার লেখক সত্তা জানান দেয়ার জন্য ম্যাগ আছে, সচলায়তন আছে- অনলাইন ম্যাগাজিন আছে; কিন্তু পুরানো নতুন ব্লগার মিলিয়ে একটা ভালো ব্লগীঙ সাইট নাই। আমরাবন্ধু সেরকম কিছু হতে পারতো। কিন্তু....
জ্বি, সেটাই। আমার মনে হচ্ছে আমরাবন্ধু কিছু ব্যাপারে অন্যদের অন্ধ অনুকরণ করছে। জনপ্রিয়তার কাঙাল হলে এরজন্য উপাদান রাখতে হয়, থাকতে হয়।
ব্লগীঙের সাথে স্বাধীনতার যথেষ্ট সংযোগ আছে। এই কারণেই মডারেশন, হেনতেনের বিপরীতে এত কথা হয় বিভিন্ন ব্লগে। এখানে যারা ব্লগীঙ করেন তারা পোড়খাওয়া ব্লগার, আশা করি আগের ইতিহাস ভুলে যায় নি। আর আমরাবন্ধুর এই নীতি কমিউনিটি বানায় নি, বরং কর্তৃপক্ষ বানিয়ে কমিউনিটির উপর নির্বিশেষে বলবত করতে চাচ্ছে। সংশয়ের বিষয় এখানেই।
আর কিছু বলার নাই।
===============
আলোচনার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভেচ্ছা।
আমার কাছে আমরা বন্ধু অন্ধ অনুকরণ করতেছে বইলা মনে হইতাছে না। আমার কাছে বরং মনে হইছে আমরা বন্ধু কর্তৃপক্ষ স্বতন্ত্র হইতে চায় তাগো প্রথম পাতা নিয়া...
আমার তথাকথিত মৈলিক পোস্টে ব্ৃত্তবন্দীর কমেন্ট টা খুব ইমপরট্যান্্ট। পড়ে দেখতে পারো।
২৪ ঘন্টায় দুইটির বেশি পোস্ট না দেয়াই ঠিক আছে, তবে এটি যেন একটি না করে দেয়া হয় ।
ডুয়েল পোস্টিং এর বিপরীতে ।
কতৃপক্ষকে ভাঙ্গার কমেন্টের দিকে নজর দিতে অনুরোধ করছি । কোন বন্ধুকে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে পারব না?!!
ব্লগের নীতিমালা থাকা উচিত এবং কঠোরভাবেই তা পালন করা উচিত । আমরা বন্ধু ঠিক আছে, মাঝে মাঝেই আমাদের ভুল হতে পারে , কাউ কে না কাউকে নীতিমালার ব্যাপারটা দেখিয়ে তো দিতে হবেই ।
এখন পর্যন্ত যা দেখেছি (আশা করছি সামনেও দেখব) আমরা বন্ধুর পরিবেশ চমৎকার । বিশেষ করে এক ব্লগার এর সাথে সহ ব্লগার এর । বন্ধুর মত । এটি যেন বজায় থাকে ।
আমরা সবাই বন্ধু হয়ে থাকতে চাই ।
ভালো লেখা পড়তে ও লিখতে চাই
এত ভারি ভারি কমেন্টের ভীড়ে আমার কমেন্টখান কেউ দেখবো কিনা চিন্তা না কৈরাই কমেন্টাইতেছি।
ঘটনা হৈলো রোবোটাংকেলের যেই পোস্টখান পৈলা পেঝৈতে সরায়া দেওয়া হৈছে সেই পোস্টটা এবি'র কয়জন ব্লগার আগে পর্ছিলো?
আমি যদ্দুর জানি বাফ্রা, টুটুলভাই আর স্বপ্নজয় কমেন্টাইছিলো ঐ পোস্টে, গত বছর জুনে। আমি পর্ছি বাট কমেন্টাইনাই। এই খানে যদি রোবোটাংকেল ব্যাপার্ডি কৈয়া না দিতো তৈলে কয়জন বুঝতার্তো এডি পুরান?
এখন জিনিস্টা আম্রা এইভাবে কি দেক্তারিনা যে এই লেখাডির সাথে যেই স্মৃতিডি জড়ায়া রৈছে সেইটারে এবি'র মানুষগুলান্রে কাছের লোক ভাইবাই রোবোটাংকেল তাদেরও এই স্মৃতির লগে জড়াইতে চাইছে? বা চাইছে এই ব্যাপারডি আরো লোকে জানুক?
কেজানে উল্টাপুল্টা অনেক কিছুই কয়া ফালাইলাম। ভালো থাইকেন সবাই' "
- কাউয়ার কমেনট্
এইটাতো আপনে আপনার ব্লগে প্রকাশ করে নীড়পাতায় ওই পোস্টের স্মৃতীচারণ করতে পারতেন লিংকু সহ
... প্রতিদিনই মানুষ অভিজ্ঞ হয় ... ১ বছর পর আপনার আরো পরিপক্ক দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে পারতাম এবং লিংকু ধরে পুরানা পোস্টটাও পড়ে আসতে পারতাম 
সোহেল কাজীর সাথে একমত।
সোহেল কাজীর সাথে সম্পূর্ণ একমত। একদম মনের কথা।
পরিশেষে বলি, ব্লগারদের যেমন ব্লগের ব্যাপারে কেয়ার নেয়া উচিত তেমন ব্লগেরও উচিত তার ব্লগারদের কেয়ার নেয়া। ব্লগিং হোক জয়েন্ট ভেঞ্চারের মত।
সোহেল কাজীর সাথে ৩০৩% একমত পোষন করে কমেন্ট করছি।
আম্মায় বাত....
অনেক দিন পর বেশ ওজনদার লেখা পড়লাম
এবঙ অনেক এলেমদার লেখা থুক্কু যেহেতু এটা ব্লগিঙ সেহেতু এটা পোস্ট হবে ;)।
জবরদস্তি শব্দটা আপত্তিকর মনে হচ্ছে। আমার বন্ধুকে কাউকে জোর করে আনা হয় নাই ও জোর করে কুইনাইন গেলানোর মতো করে নীতিমালা গেলানো হয়নি যে এখানে জবরদস্তি শব্দটার প্রয়োগ ঘটাতে হবে। চটি লেখক সম্প্রদায় হোক আর দলিল লেখক সমিতি হোক আর ব্লগিঙ সাইট হোক সবগুলোতেই একটা লিখিত বা অলিখিত নীতিমালা থাকে যা সবাইকে মানতে বা সম্মান করে অনুরোধ করা হয়। আমরা বন্ধুও এর ব্যতিক্রম নয়। এ নীতিমালা মেনেই আমরা এ ব্লগে লিখছি। আমি যেটাতে আলোকপাত করছি " নীতিমালা মানবো কি মানবো না ! " যদি কোনো নীতিলামায় অসংগতি থাকে তবে সেটা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে যা এই পোস্টে এসেছে।
আর গলাচীপা লেখক সমিতি বা লেখক সম্প্রদায়ের নীতিমালায় জবরদস্তি থাকতে পারে কিন্তু কমিউনিটি ব্লগ এর ক্ষেত্রে থাকতে পারবে না ! এ যেনো বাঁশের ফুল হতে পারবে না কিন্তু কাঁশের ফুল হতে পারবে এমনটি।
আপনে নিরূৎসাহীত করার কথা বলেছেন, কিন্তু গলাচিপতে না করেছেন। যখন নিরুৎসাহীত করার পরও সেই নিরুৎসাহীত করাকে দূর্বলতা মনে করে তখন গলাচিপার সাথে সাথে বিচি চীপারও দরকার হয়। আমার বন্ধুর নীতিমালায় ডুয়াল পোস্টিং এর ব্যপারে যা বলা হয়েছে তা প্রথম থেকেই ছিলো ও এ ব্যপারে সব বন্ধুকেই অনুরোধ করা হয়েছিলো। অনেকে সেটায় সম্মান করেছিলেন, কেউ করেন নাই। এবং এটা কখন থেকে প্রয়োগ করা হবে সেটার ব্যপারেও বলা হয়েছিলো। এখানে জবরদস্তি বা গলাচিপা জাতিয় কিছু আসে নাই।
চলবে...
@ মাহবুব
১০০% এর উপরে সমর্থন করা যায় না, অন্তত গাণিতিক দিক থেকে, তবে আপনার ৩০৩% সমর্থন দেখে বুঝছি আপনি "ধরো গামছা, থাকো ঝুলে" টাইপ আছেন।
তীর্যক প্রশংসার জন্য ধন্যু। তবে অন্ধ প্রশংসায় মুগ্ধ না হয়ে বলি এটা ওজনদার লেখা না, সেরকম ভাবলে আপনি কোনটা কী রকম পোস্ট তার পার্থক্য নির্ণয় করতে পারছেন না।
আপনি 'ঙ'তে আলোকপাত করে একটু ভাব নিতে চাইলেন মনে হয়। শুনেন, আধুনিক ভাষা রীতি অনুসারে বিদেশী শব্দ, মিশ্র শব্দ, এবং তদ্ভব শব্দের ক্ষেত্রে ং এবং ঙ এর মাঝে যেকোন একটি ব্যবহার করা যাবে। ভাষিক বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলতে চাইলে আমি আরেকটা পোস্ট দিতে পারি, সবসময় এই বিষয়ে আগ্রহবোধ করি, আপাত আলোচনায় থাকেন।
জবরদস্তি শব্দে আমার আপত্তি নেই। আমার কাছে ব্যাপারটা সেরকম মনে হচ্ছে। একটি কমিউনিটি ব্লগে নীতিমালার আপত্তিকর প্রয়োগ হচ্ছে বলেই। এই পোস্ট আলোচনার জন্য এসেছে। নীতিমালা থাকলেই সেটা শুদ্ধ হবে এমন নয়, সামুতে-ও মডারেশন নিয়ে নীতিমালা আছে- কিন্তু অবস্থা তো জানেনই।
না কমিউনিটি ব্লগে থাকবে না। কারণ কমিউনিটি ব্লগ সবাইকে প্রতিনিধিত্ব করবে, অন্তত সে প্রয়াস থাকবে। বাঁশফুল দেখতে সুন্দর হলে-ও এর আগমন ইঁদুরের উপদ্রব বাড়ায়, কৃষিকাজ ব্যাহত করে; তার চে' কাশফুল দেখতে দেখতে বিকেলটা দিব্যি কাটিয়ে দেয়া যায়।
ডুয়েল পোস্ট হতে পারে। কেউ যদি ২-৩টা ভালো পোস্টের পাশাপাশি কালেভদ্রে একটা ডুয়েল পোস্ট দেয় সেটাতে সংকীর্ণমননের চর্চা করা উচিত নয় বলে বোধ করি।
জনাব আশ রাফ, অঙক আমি ভালোভাবেই জানি। মজা বুঝতে না পারলে আমি কি করতে পারি
৩০৩% এজন্য বলা, মজা !! ওকে মাইট ?
যাই হোক, আপনে কইবার চান যে , "নীতিমালার প্রয়োগে শক্ত হওয়া যাবো না। ঐটা কাজিপাড়া লেখক ফোরামে প্রয়োগ করা গেলে কমিউনিটি ব্লগে করন যাইবো না !! "
আর ডয়ুাল পোস্টিং এর ক্ষেত্রেই সেই একই বাত " কালে ভদ্রে ডুয়াল পোস্টিং করন যাইবো "। তাইলে দুইটা ভালো কথা ফাঁকে কাউরে গালী দিয়া কওন যাইবো " তোমার ভগ্নীর সহিত আমি উপগত হই " । এই ক্ষেত্রেও কি নীতিমালার প্রয়োগ সংকীর্নমনা হইবে , তাই না ভাইডি
!!??
হে হে, আপনি কি আমার মজা বুঝেন না? আমি-ও মজা করে আপনারে গাণিতিক বিষয়গুলো মনে করায় দিছি।
এবার বুঝলাম আপনার কোথায় লাগছে। গলাধাক্কা খেলে একটা লেখকসংঘের ব্লগ অকৃতজ্ঞের মতো "কাজিপাড়া লেখক ফোরাম" হয়ে যেতে পারে, আমার কাছে না। আপনি কি চান এই ব্লগটাকে আমি-ও একটা নাম দিই? আলোচনা করে ভাষা ঠিক রেখে, আপনি এককাজ করেন- একটা ব্যাকরণ বই কিনুন আর একটা বাঙলা অভিধান- তারপর দেখেন অংক শব্দটা কীভাবে লিখে।
নীতিমালার কঠোর প্রয়োগ করা যাবে না সেটা বলি নি, বলেছি নীতিমালায় বিরোধপূর্ণ নীতি আছে- সেটাকে সংশোধন করতে হবে। আর এটা কমিউনিটি ব্লগ, কমিউনিটি ব্লগের সংজ্ঞা নিশ্চয় জানেন?
আপনার উদাহরণ, ভাষা শুনেই আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না; রাবিশ। কিসের সাথে কিসের মিল করেন আপনি? ডুয়েলিঙ পোস্ট আপনার কাছে "বোনের সাথে উপগত হওয়া মনে হয়?" আর এখানে সেসব পোস্ট আগে হয় সেসব কী? "কুকুরের সাথে উপগত হওয়া?"
মাহবুব, আপনার যদি আলোচনা করার তাকে তবে যুক্তিতে আসেন, কুযুক্তি টানবেন না। আপনি যেসব পন্থা ব্যবহার করছেন তা হলো মননের বিকৃতি; যুক্তিবিদ্যার ভাষা এটাকে বলে Adhominem এবং Red Herring।
উপরের কমেন্ট চোখে পরে নাই বলে উত্তর দেয়া হয় নাই। অনেক ভদ্র করে কথা বলা হয়েছে আর না। আমি কোনো ব্লগ বা ফোরামেই নাই যে আবালচোদের মতো আগ বাড়িয়ে গলাধাক্কার কথা তুলতে হবে। হ সচলায়তনের প্রতি আমার বিদ্বেষ আছে তয় সেইটা অন্য কারনে, ওরা আমারে লয় নাই ওগো ব্লগে; এই জন্য। এই বিদ্বেষ আমি লুকাই না।
শুনেন আপনের মতো অযোনীসম্ভুতের কাছে ব্যকরনতো দূরের কথা বাংলা শেখার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নাই।
আপনের মতো ইতর প্রকৃতি লোকের সাথে যুক্তি দিলেই সেইটা অপযুক্তি বা কুযুক্তি হয়ে যায়। চরম আত্মকেন্দ্রীক একটা আত্মম্ভরী লোক যে শুধু নিজের কথাই ভাবে, নিজের যুক্তিকে নিজের মতো পেতে চায় ও অন্যের কথাকে Adhominem এবং Red Herring বলে উড়িয়ে দিতে চায় তাদের সাথে কথা বলতেই রুচিতে বাঁধে আমার।
অন্য ফোরামে নীতিমালা মানতে বাধে না কিন্তু এই ব্লগে নীতিমালা নিয়ে যুক্তি চোদাইতে আসছেন। আপনের মতো হোগা ভাড়া দেয়া সুশীল চোদার টাইম নাই। রাবিশ একটা মানুষ আপনে।
আর শুনেন, নীতি মালা মানতে পারলে থাকবেন নাইলে ফাক অফ।
আপনার উপরের মন্তব্যটি এখনো বহাল তবিয়তে আছে দেখে ধারণা করছি যে কর্তৃপক্ষ এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকে উৎসাহিত করে কিংবা ব্যবস্থা নেয় না।
================
মাহবুব, হিজড়াদের মতো গালিগালাজ, মনের বিকৃতকামকে আরো কতো তুলে ধরবেন? আপনি কি কোনদিন শিষ্টাচার শিখেন নি? জানেন না যে এটা আপনার বাড়ির ড্রয়িঙ-রুম না যে আপনি চাইলেই আপনার বিষমকাম এবং পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা করতে পারবেন না?
মনে রাখেন এটা ব্লগ, কর্তৃপক্ষের সাথে আপনার দহরম-মহরম থাকতে পারে, চিপায় চিপায় যোগাযোগ থাকতে পারে, আমি পাত্তা দিই না। আপনি এখানে একজন ব্লগার, আমার মতো। তাই কথা সাবধানে বললে ভালোলাগে।
হা হা, আপনার মতো পারভার্টের যে সচলায়তনে স্থান হবে না এটা তো অনুমেয়।
আপনার মন্তব্যগুলো পড়ার সময় একটা বিষয় উপলব্ধি করলাম। আপনি যৌনতাঘেষা কথা বলতে ভালোবাসেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "একা এবং কয়েকজন" উপন্যাসে পড়েছিলাম যে একটা নির্দিষ্ট বয়ঃসীমার পরে কিছু কিছু ব্যক্তির কাম যৌনাঙ্গে না থেকে মুখে চলে আসে, ফলে তারা আদিরসাত্নক বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসে, কথায়-অকথায় নিজের লাম্পট্যকে তুলে ধরে। আপনার সাথে খুব মিল খুঁজে পাচ্ছি।
আপনি গালিগালাজ করতে পারেন। সমস্যা নাই, হেলাল হাফিজের একটা কবিতার দুইটা লাইন তুলে ধরলাম আপনার জন্য:
"রাইত হইলে অমুক ভবনে বেশ আগাগোনা কানাকানি
আমিও গ্রামের পোলা চুতমারনি গাইল দিতে জানি"
(হেলাল হাফিজ/ যার জায়গা যেখানে)
আপনি তো গালি আর যৌনতা নিয়ে কথা বলেই কুল পাচ্ছেন না, আপনি আবার কি যুক্তি দিবেন? আপনার কুযুক্তিগুলো ধরায়ে দিলে আমি যদি আত্মকেন্দ্রিক, আত্মগম্ভীর কিংবা সুশীল হই তবে তাই। আপনি যে এইসব শব্দের সঠিক অর্থ জানেন না সেটা বোঝা যায়।
যেখানে যা বলার দরকার তাই বলি। আমি সামুতে মডারেশনের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য পোস্ট দিয়েছি। আমার কাছে সাইটগুলো একেকটি প্ল্যাটফর্ম, আমি দায়খত দিয়ে লেখালেখি করি না।
আপনার "ফাক অফ" শুনে একটা প্রবচন মনে পড়লো, "বাংলা কুত্তা আংরেজি খ্যাউয়ায়।"
আপনার যদি বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকে, আশা করি, আপনি আপনার কুরুচিপূর্ণ মুখ বন্ধ রাখবেন।
পারভার্ট কাকে কয় আশরাফ ?? দুই পাতা আংরেজী শিইখাই দেখি পাবলিকরে আংরেজী শিখানো শুরু করলেন !! আগে শব্দের অর্থ জাইনেন তারপর অন্যকে সেইটা শিখাইতে আইসেন।
আপনের জন্য একটা গিফট ( ডটু রাসেলের স্ট্যাটাস ) মহান পবিত্র সঙ্গসদের
চাতালে ভাসমান পতিতাদের চুইদ্যা ফেনা তুইল্যা ফেললো, মাননীয় এমপি সাহেবেরা
ভেট হিসাবে অষ্টাদশী কন্যা চেয়ে মাতম করলো, কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু সংসদে
গালি দেওয়া যায় না, তাতে সংসদের পবিত্রতা নষ্ট হয়। বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করতে
হবে এমনটাই রীতি।
এইসব সুশীলতা আমাকে আনন্দ দেয়। গালি বিষয়ে স্পর্শ্বকাতর মানুষদের কি গালি শুনলেই অর্গাজম হয়!!!
যাই হোক আপনের ভাব ভঙ্গি দেইখা মনে হচ্ছে আরেক ফ্রয়েডজী এসে পরেচে
যেই হালায় কাউয়া কইলে কুকিল বুঝে।
আপনার মতো সারমেয় প্রকৃতির আত্মমভরী আত্মকেন্দ্রীক কূপমন্ডুকের ব্লগে আর আসার রুচি নাই। আপনের ব্লগ ও আচরন দেইখা এইটাই মনে হইলো " বেশ্যাও এক সময় সতি আছিলো"
ভালো থাইকেন।
মাহবুব, জীবনে অনেক বেহায়া দেখছি, আপনার মতো নির্লজ্জ দেখি নি। বলার পরে-ও আপনি আপনার কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বন্ধ করেন নি। তবে আপনি আসলেই আজব চিড়িয়া, ব্লগে আগেই আপনার সাথে বাতচিত হলে মেলা বিনোদন পাওয়া যেতো।
আভিধানিকভাবে পারভার্ট শব্দটির অনেক অর্থ আছে। আপনার কাছে কয়েকটি পেশ করলাম:
১. যে ব্যক্তি অন্যদের ভুলপথে চালিত করে
২. বিকৃতবুদ্ধি বা বিকৃতচেতনাধারী লোক
৩. বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ব্যক্তি
আপনাকে আমার দ্বিতীয়টি মনে হয়। (তৃতীয়টি-ও হতে পারেন, যেহেতু লক্ষণে বোঝা যায়, আপনার যৌনতাঘেষা ("বোনের সাথে উপগত হওয়া") কথায়)।
রাসেল ভাই'র যে স্ট্যাটাস কোট করলেন তার বিপরীতে একটা কথা বলি- মৌলবাদীরাই নিজের মতো করে অর্থ বুঝে নেয় এবং ব্যবহার করে।
হা হা। এটা ঠিক যে, যে পরিবেশে বা চেতনা নিয়ে বড় হচ্ছি তাতে গালাগালি আলোচনার প্রধান হাতিয়ার না; আপনার হতে পারে- আমি কুকুরের লেজ সোজা করার পন্থা আসলেই জানি না। হে হে, কয়লা ধুলে যেমন ময়লা যায় না, কিংবা গাধা পিটিয়ে হালচাষের গরু বানানো যায় না, তেমনি পারভার্ট মাহবুবের কথায় ঠিকই অর্গাজম বা এই ঘরানার শব্দ এসে পড়ে।
অই যে বললাম আজব চিড়িয়া! জ্ঞান নিয়ে কথা বললে-ও দোষ, মজা করলে-ও দোষ, বানান নিয়ে কথা বললে-ও দোষ, নীতিমালা নিয়ে কথা বললে তো দোষই। আসলেই, আমি আপনার মতো বিকৃতযৌনতা নিয়ে ফ্যান্টাসিতে আক্রান্ত না।
জ্বি, বেশ্যারা এক সময় সতী থাকে, সত্যি বলতে কী, সতীপনা একটা আপেক্ষিক বিষয়। যেমন আপনার কাছে আপনার সারমেয় আচরণ মানুষের মতো মনে হচ্ছে এবং আমাকে রাগান্বিত করে কথা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশ্যাদের সতীত্ব নষ্ট করে আপনারই মতো পুরুষরাই, মধ্যযুগীয় বর্বররাই।
মাহবুব, উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে আমাকে প্রতিমন্তব্য করতে বাধ্য কইরেন না। আমার-ও মুখ আছে, মনে রাইখেন।
অন্যরে ভালো রাইখেন, আপনি-ও তাহলে ভালো থাকবেন।
আমার বন্ধু নবিন একটা ব্লগিং সাইট যা একটি নিজস্ব চরিত্র তৈড়ি করতে চাচ্ছে। কাউকে অনুসরন না করেই সেই চাওয়া। নতুন ব্লগ হিসেবে এটার সম্পর্কে এত দ্রূত কোনো কথা বলা শিশুসুলভ মনে হচ্ছে। একটা বছর যাক, তখন দেখা যাবে এ ব্লগের অবস্থান কোথায় যায়। গতকাল কাঁঠাল বিচি মাটিতে পুতে আজই কাঁঠাল পাতা খেতে চাওয়া
!! যাই হোক, বৈচিত্রময় লেখা আসছে না, ভালো লেখার অভাব !! আপনেতো ওজনদার লেখক, তথাকথিত এলুম খেলুম জাতীয় লেখা না লিখে সাহিত্যা ছাড়া লেখেনই না ! তাহলে আপনি লিখছেন না কেনো ? তাহলে এই আকালের বাজারে আমরা ভালো মন্দ দুটো খেতে পড়তে পারতাম।
ভালো লেখা আসছে না বলে মূলত যারা লিখছে তাদের প্রকান্তরে অপমান ও হেয় করলেন।
সময়ে দেখবেন আমরা বন্ধু কোথায় যায়। এটা কোনো সুশীল বৈঠকখানা হবে না, এটা কোনো গাবতলির হাট হবে না, এটা কোনো গুলিস্তান হকার্স মার্কেট হবে না। এটা হবে একটা ব্লগ যেখানে সবাই নিজের কথা নিজের মতো করে বলবে। সাহিত্য হবে, আড্ডা হবে, এক্টিভিটিস্ট আসবে এখান থেকে যারা অপরবাস্তবে গলাবাজী না করে বাস্তবের মাঠে নামবে।
শিশুদের নিয়েই বেশি কথা বলা হোক, ঘুমিয়ে আছে জাতির পিতা সব শিশুর অন্তরে।
প্রথমত এখানে এসে আপনার আলোচনা গোত্তা খেয়েছে। বিষয়টা সামগ্রিক দিক থেকে সরে গিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে চলে এসেছে।
আমি আপনার চোখে ওজনদার লেখক হতে পারি, কিন্তু আমাকে সবসময় লিখতে হবে এমন কোন মানে নেই, আপনি লিখছেন না কেন? আমি প্রায় ব্লগে ঢুঁ মারি। অন্তত আপনার লেখা চোখে দেখি না; ক্যাচাল পোস্ট বা এরকম পোস্টে একটা মন্তব্য করে প্যাঁচ লাগিয়ে চলে যায়, প্রায়ই।
এই পোস্ট যখন দিই তখন প্রথমপাতার শেষ পোস্টটি ছিলো ২২ তারিখের, চারদিন আগে। একটা কমিউনিটি ব্লগের প্রথমপাতার অবস্থা এরকম হলে অপমান আমারো লাগে পাঠক হিসেবে।
উদ্দেশ্যটা মহৎ, সেকারণেই এখানে নিবন্ধিত হয়েছিলাম। কিন্তু এর সফল প্রয়োগ দেখছি না বলেই বিভিন্ন কথা বলতে হচ্ছে বিবিধ প্রযত্নে।
আপনে এই পোস্ট করেছিলেন ২৫ তারিখ। এর আগে আরো ৯ টি পোস্ট হয়েছিলো ( ২২ তারিখের পর )। আর আপনি বলছেন
চোখের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে আপনার।
আপনারেতো আমার লেখকই মনে হয় না , সেখানে ওজনদার দূরের প্রশ্ন।
আর আমি ? আমিতো অগবগা ব্লগার। হালকা লেখার চেস্টা করি যেইটারে গূরত্ব আমি নিজেও দেই না। কামলা খাইটা লেখার সময় নাই আমার। আর ক্যাচাইল্লা পোস্টে বলতে যদি আপনে এই পোস্টকেও কন তাইলে তো বলা যায় আপনে ক্যাচাইল্লা পোস্টের জনক
আমার চোখে এমনিতেই চশমা আছে, নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যাই; তবে এবার আপনার লাগবে। আমি যখন এই পোস্টটি দিই তখন প্রথমপাতার শেষ পোস্টটি ছিলো শওকত মাসুমের "আমি তারে ভুলতে পারিলাম না" যা ২২ এপ্রিলে প্রকাশিত। এবার অংকটা আপনিই করেন। ফলাফল মিললে ডাক্তারের কাছে যান, না মিললে মনোবিজ্ঞানীর কাছে।
আমাকে আপনার একবার লেখক মনে হয়, একবার মনে হয় না সেটা আপনার দ্বিব্যক্তিত্বের নমুনা হতে পারে- আমি আগ্রহী নই।
কামলা সবাই দেয়, আমি-ও দিই; সেটা লেখা না দেওয়ার অজুহাত হতে পারে না। কেউ পেশাদারী ব্লগিঙ করে না, অন্তত বাঙলা ব্লগিঙে। আপনার কথা বলেছিলাম মাঝে মাঝে উদয় হয়ে প্যাঁচ লাগানো মন্তব্য করে ক্যাচাল লাগিয়ে যান- সেটাই। আপনি আসলেই ধুরন্ধর লোক।
এজন্যই বিশেষ প্রয়োজন বলা হয়েছে। সাধারন অবস্থা নয়। সকাল - দূপূর- বিকেল- সন্ধ্যা- রাত এ একই ব্লগার লেখা দিয়ে প্রথম পাতায় শুধু তারই লেখা দিয়ে ভরে ফেল্লো এটা যেমন সুন্দর দেখায় না, তেমন সুন্দর দেখায় না মুডের উঠা নামায় একবার কবিতা আরেকবার গল্প দিয়ে ১ম পাতা জুড়ে থাকা। এতে অন্য ব্লগারদের সাথে একরম বৈষম্য করা হয়।
সেটা ফ্লাডিঙ হয়, ফ্লাডিঙের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া হোক; তবে সেটাকে বন্ধ করতে গিয়ে ভুল নীতিমালা করে ব্লগারদের লেখা রোধ না করলেই হয়।
কপিরাইটের ব্যপারে আপনার সাথে একমত।
সোহেল কাজীর সাথে একমত
আশরাফ, আপনি বলেছেন
প্রথম থেকে কিন্তু নিরুৎসাহই করা হচ্ছিলো, গলা টিপে বন্ধ করা হয় নাই। কিন্তু আমরা যেহেতু প্রত্যেকেই খুব ভদ্রলোক, তাই নিরুৎসাহে আমরা আরো উৎসাহ পাইছি।
আপনার কাছে একটা প্রশ্ন করি, আপনি এপর্যন্ত কয়টা পোস্ট এবিতে প্রথম দিছেন? [অনুরোধ করি, এলুম খেলুম গেলুম টাইপ পোস্ট গনায় ধরবেন না]
আমার মতে কর্তৃপক্ষ প্রথমেই গলা টিপে ধরতে চায় নাই। সহনীয়ই রাখতে চাইছিলো, কিন্তু ডুয়াল পোস্টের প্রবণতা তাতে বাড়ছেই। আর এই অবস্থায় কর্তৃপক্ষরে কঠোর হইতেই হবে।
২৪ ঘন্টায় কয়টা পোস্ট দিতে চান? এই নিয়ম তুলে দিলে আর যদি ডুয়াল পোস্ট এলাউ করা হয়, তাইলে আমি অন্য ব্লগের শখানেক লেখা একের পর এক কপি করে এখানে খালি পোস্ট করতে থাকবো। এবির নীড়পাতা আমি একাই দখল করবো। দেখি কে আমারে ঠেকায়।
উপরে মাহবুব সুমনকে বলেছিলাম যে আলোচনা অনেকক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, একটু সর্তক হওয়া উচিত। যাইহোক, আপনার কৌতূহলের বিপরীতে বলছি- এই পোস্টটির আগে আমি এখানে ৭ টি পোস্ট দিয়েছিলাম সর্বমোট। তিনটি পোস্ট এলুম/খেলুম টাইপ (এসব পোস্টকে আমি চুটুল লেখা বলি, ব্লগাচ্ছন্ন লেখা বলি)। তিনটি পোস্ট এখানেই প্রথম পোস্ট করি (মৌলিক, আনকোরা)। এবং একটি ডুয়েল পোস্ট। খারাপ না, পাস মার্ক আছে।
এখন আপনি বলেন, আপনি ভালো ভালো পোস্টগুলো শুধু সচলায়তনে দেন কেনো? আলোচনা কিংবা পুস্তক-রিভিউ পোস্টগুলো এখানে করেন না কেন? আড্ডা পোস্টে বা ব্লগাচ্ছন্ন পোস্ট আপনিই বেশি দিয়েছেন বলে বোধ করি। আড্ডা পোস্ট দেয়া খারাপ না, সামুতে আমার একটা বিভাগই আছে আড্ডা পোস্ট নিয়ে (একটু আড্ডাপ্রিয় লোক আরকি, সহমনা কাউকে পেলে); এইসব পোস্টকে আমি ব্লগের অংশ হিসেবে দেখি। আমার বাঙালি চরিত্র।
আমি এমনিতেই একটিই দিই। তবে তিনটি মানানসই হয় মনে করি। ৮ ঘণ্টার সময় ব্যবধানে।
আপনি ভুল অনুবাদ করেছেন। অইটাকে ফ্লাডিঙ বলে, ডুয়েল পোস্ট না। ফ্লাডিঙ করলে নীতিমালা অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
আমি ভালো পোস্টগুলো সচলায়তনে দেই আর খারাপ পোস্টগুলা এখানে দেই এই সিদ্ধান্তে আপনি কীভাবে আসলেন? আমার লেখা ভালো হোক মন্দ হোক সচলায়তনেও আছে, এখানেও আছে। আপনার কাছে অনুরোধ থাকলো আমার সচলায়তন আর এখানকার মোট দশটা দশটা বিশটা লেখা নিয়া আপনি আলোচনা করেন, কোনটা কেন খারাপ আর কোনটা কেন ভালো?
আমি কোন পোস্ট কোথায় দিবো সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, কিন্তু কুমিরছানা আমি সব ব্লগে দেখায়া ফায়দা নেই না।
এখন নিয়ম আছে ২৪ ঘন্টায় দুইটা পোস্ট। কিন্তু আপনার মনে হইছে তিনটা পোস্ট দিলে ভালো হয়, আর এই নিজস্ব পছন্দটারে আপনে ব্লগের কান্ধে চাপাইতে চাইতেছেন। কেন?
যতদূর মনে পড়ে ডুয়াল পোস্টিংয়ের বিরোধীতা করতেছেন ব্লগারের স্বাধীনতা প্রশ্নেই। ব্লগার যেখানে খুশি যেমনে খুশি লিখবে কর্তৃপক্ষ বাধা দেওনের কে? এই তো?
তাইলে আমি যদি একলগে বিশটা লেখা লেখি, সেইটা আমার স্বাধীনতা। কর্তৃপক্ষরে কেন কাইড়া নিতে বলতেছেন?
এইতো সঠিকভাবে কথা বলছেন, আপনি কোথায় কী করম পোস্ট করবেন সেটা নিয়ে আমি ব্যক্তিগত চর্চা করতে পারি না, তেমনি আপনি আমাকে এখানে কয়টা কী রকম পোস্ট করেছি সেরকম জিজ্ঞাসার অধিকার রাখেন না; আপনি কর্তৃপক্ষ নন, অন্তত আপনার নিককে আমি কর্তৃপক্ষ হিসেবে জানি না।
ঠিক তেমনি আমি কোথায় কেমন পোস্ট এবং কীভাবে করবো সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা আপনার চোখে কুমিরছানা দেখানো মনে হলে-ও আমার জন্য সেটি নিজের লেখা সম্পর্কে পাঠ-প্রতিক্রিয়ার জানার সুবর্ণ সুযোগ।
আমি চাপিয়ে দিতে চাচ্ছি না। নিচে সোহেল কাজী বলেছেন কিছু প্রস্তাবনা করতে। আমি এটা প্রস্তাবনা করেছি। আপনার ইচ্ছে হলে বিপরীত যুক্তি দেন।
একদিন বা একসাথে বিশটা লেখা দেয়া ফ্লাডিঙ, ডুয়েলিঙ পোস্ট না। আপনি মনে হয় শব্দ দু'টোর অর্থ অনুধাবন করতে পারছেন না। আমরা এখানে স্প্যামিঙ কিংবা ফ্লাডিঙকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি না, বরং এগুলো রোধ করার কথা বলে ডুয়েলড পোস্টকে-ও বোরকা পরানোর বিরোধিতা করছি। আমার মতে পরিমিত ভাবে হলে-ও (সেটা কোটা ভিত্তিক হতে পারে, কিংবা অন্যকোন ভালো পন্থায়) ডুয়েলিঙ পোস্ট অনুমোদন করা- ব্লগের স্বার্থে, নতুন ব্লগারদের স্বার্থে।
নিজের মতের পক্ষে গেলেই সঠিক, বিপক্ষে গেলেই বেঠিক... হা হা হা... ভালো কইছেন...
আপনি কয়টা কীরকম পোস্ট করেছেন সেই প্রশ্ন করি নাই। ভালো মন্দ পোস্ট জাতিয় বিচারসভা আপনি খুলছেন।
আমি প্রশ্ন করছি এখানে কয়টা লেখা আপনি মৌলিক দিয়েছেন? যেহেতু এখানে নীতিমালা আছে, সেটা ভঙ্গ কেউ করলে সেই প্রশ্ন আমি করতেই পারি, এর জন্য কর্তৃপক্ষ হতে হয় না। আপনি নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসতে পারলে আমি কেন আপনার নীতিমালা ভঙ্গ বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারবো না?
আপনি ডুয়াল পোস্ট করাটারে লেখকের অধিকার বিবেচনা করলে আমি ফ্লাডিংরেও আমার অধিকার মনে করতে পারি। সেটা আমার ব্যাপার। নাকি আপনি এটা বলতে চান যে আপনি যা মনে করবেন তাই ঠিক, আর আমি যা মনে করবো তা বেঠিক?
এখানে বক্তব্য সুস্পস্ঠ। যদি সেটা আপনার বোধোগম্য না হয় সেটা আপনার সীমাবদ্ধতা।
লিংক কোথায় দেয়া যাবে বা কোথায় দেয়া যাবে না সেটার ব্যপারে একটা দিক নির্দেশনা দেবার জন্যই এটা বলা হয়েছে।
শুধু লিংক দিয়ে একটা পোস্ট দেবার প্রবনতা যেটা অন্য ব্লগে দেখা যায় সেটা বন্ধ করার জন্যই এটা করা হয়েছে। এখানে পিঠ চাপড়ানো বা চুলকানীর কোনো কারন নেই। পিঠ চুলাকনোর জন্য হাতল পাওয়া যায়, সেটা দ্বারাই কাজ চালানো যায়
আর কোথায় বলা হয়েছে শুধু নিজের ব্লগের লিংক দেয়া যাবে ?
শুধু লিঙ্ক ভর্তি লেখা কোন পোস্ট না, সেটা স্প্যামিঙ। সেটার জন্য লিঙ্ক শেয়ার করার ব্যবস্থাটা চিপায় ফেলে দেয়া হয়েছে।
সবার তো হাতল থাকে না, তখন পাশের লোককে কতল করে একটু চুলকে দেয়ার জন্য। এখানে সেরকম যেনো না হয়।
ব্লগারের স্বাধীনতার কথা খুব বলা হইতেছে। কর্তৃপক্ষ আইন করলে সেটা ব্লগারের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
ব্লগারের স্বাধীনতা কী?
ব্লগ দুই রকম, পার্সোনাল ব্লগ আর কম্যুনিটি ব্লগ। কম্যুনিটি ব্লগেও দুইটা ক্ষেত্র, একটা লেখকের নিজের ব্লগ, আরেকটা কম্যুনিটি ব্লগের মুলপাতা।
কম্যুনিটি ব্লগে ব্লগারের নিজস্ব পাতাটা ব্লগারের, কিন্তু যেটা মূলপাতা সেটা তো তার ইচ্ছায় চলবে না। সব সদস্যদের এখানে সমান অধিকার। এই সমান অধিকার এবং সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতেই একটা নীতিমালা প্রয়োজন। যেটা মেনে সবাইকে চলতে হবে।
কোনো কর্তৃপক্ষ থাকবে না, নীতিমালা থাকবে না, আমি যা খুশি তাই করতে হলে কম্যুনিটি ব্লগ না, নিজের ব্লগে করাই ভালো।
কম্যুনিটি ব্লগের একটা নীতিমালা থাকবে, সেই নীতিমালা কীভাবে তৈরি হবে? অবশ্যই সদস্যদের মতামতের প্রতিফলনই হবে। এই পোস্টেই দেখেন, মন্তব্যগুলো গুনে দেখেন, বেশিরভাগই ডুয়াল পোস্টের বিরুদ্ধে মত দিছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের প্রতি আপনার অশ্রদ্ধাটা দৃষ্টিকটু
আমার মনে হয় না এই পোস্টের মতামত দিয়া ডুয়্যাল পোস্ট বিষয়ে ব্লগারগো সিদ্ধান্ত বিষয়ে কোন অনুধাবন সম্ভব। ঐটা নিয়া আলাদা পোল'এর সিদ্ধান্ত নেয়া যাইতে পারে...
কেন?
এখানে তো সিদ্ধান্তের ভালোই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।
ভাষ্করদা সম্ভবত সিদ্ধান্তটা দেখতে চাইতেছেন না... অথবা ইচ্ছা করেই দেখতে চান না। আলাদা পোলে কি রেজাল্ট ভিন্ন আসবে? এই পোস্টে এইটা তো পরিষ্কার যে, আপনি, আশরাফ এবং রোবট ছাড়া আর কেউ ডুয়েল পোস্টিংয়ের পক্ষে না।
পোল দিলেও সেটা যে আপনি মানবেন সেইটা সেই গ্যারান্টি আপনিও দিতে পারবেন না ... কারণ আপনি কখনোই প্রশ্নহীনতা পছন্দ করেন না। রেজাল্ট যাই আসুক সেখানেও আপনি সংশয়ী থাকবেন। প্রশ্ন তুলবেন।
এবিতে শুরুতেই ডুয়েলে পোস্টিংয়ের ফয়সালা হইছে। কয়দিন পর পর এরম পোস্টাইয়া আলোচনার কিছু নাই। ঘোষণা দিয়ে নীতিমালা কার্যকর করাও শুরু হ্ইছে। মডুর পোস্ট অনেক দিন লটকাইয়া রাখা ছিল।
ঘোষণা যেহেতু দেয়া হইছে ভালো মন্দ যাই হোক সেটা আমাদের সকলের মান্য করেই চলা উচিত। আমি তাই চলতে চাই। সময়েই বলে দিবে মডারেশন টীমের সিদ্ধান্ত ভুল/সঠিক ছিল।
আমি কি করুম সেই ব্যাপারে আপনেরা দেখি ভালোই ভবিষ্যদ্বানী চালাইতেছেন। যেই পোস্টে সিদ্ধান্ত হইছে ডুয়্যাল পোস্টের ব্যাপারে, সেই পোস্টটার উল্লেখ করেন, দেইখা আসি কয়জন ডুয়্যাল পোস্টের বিষয়টারে সমর্থন করছিলো। আমি কয়েকটা কমেন্ট করছিলাম কেবল, যেই কমেন্ট কাঁকনের বিরোধীতা থামাইয়া দিছিলো যদ্দূর মনে পড়ে। আমি সেইখানে কইছিলাম নিয়ম যদি সবার জন্য প্রযোজ্য হয় তাইলে আমি তারে নিয়ম বইলা মানতে রাজী আছি। তার মানে এই না যে সেই বিষয়ে কোন বিরোধীতাসূচক কথা উঠলে আমি চুপ কইরা শুনুম। আমি সেই বিরোধীতার পক্ষে থাইকা অবশ্যই আমার অপছন্দের বিষয়টারে নিয়া যুক্তি করুম। কারণ আমি নিয়ম হিসাবে মানছি মানে এই না যে আমি ডুয়্যাল পোস্টিং নিষিদ্ধ করনের ব্যাপারটারে যৌক্তিক মনে করি...সমাজের এইরম অনেক নিয়মই আছে যেইগুলিরে আমি মানতে চাই না, কিন্তু যেহেতু চতুর্পাশ্বের অনেক চাপ থাকে তাই সেইসব প্রকাশ্যে কওয়া হয় না বা আপাতঃ নীরব থাকা হয়। যথাযথ পরিবেশে অবশ্যই আমি আমার অবস্থান স্পষ্ট করুম। যেরম ধরেন আমি ধর্মে বিশ্বাস করি না এইটা কি আমি চায়ের দোকানে গিয়া চিল্লাইয়া কইতে পারুম এই সমাজে? কিন্তু যখন যথাযথ পরিবেশ তৈরী হইবো তখন আমি মসজিদে গিয়াও কমু যে আমি ঈশ্বর বিশ্বাস করি না...
হা হা। তাহলে সংখ্যালঘুদের কী হবে? তারা কি জলে ভাসা পদ্ম হবে?
উপরে ভাস্করদা' যেমন বললেন আসে একটা জরিপ চালানো হোক, ভোট দিয়ে সবাই মতামত দিক ডুয়েল পোস্ট অনুমদিত হবে কিনা। ব্যস।
সংখ্যাগরিষ্ঠর যুক্তি এবং মতামতকে অস্বীকার করে নিজের কুযুক্তি চাপায়া দেওনের অপচেষ্টা করলে তার জলে ভাসতেই হবে, পদ্ম হোক বা খড়কুটো হোক।
এইটা পইড়া গড়াগড়ি দিয়া হাসলাম।
আপনারাই বলতেছেন প্রশ্নহীন সিদ্ধান্ত মানি না। তর্ক এবং আলোচনার পক্ষে আপনারা। এখানে তর্ক চলছে, আলোচনা চলছে। আপনার কথা শুনে আমার যদি মনে হয় আমার যুক্তি ভুল, আমি আপনার যুক্তি মেনে নেবো।
কিন্তু আপনার এবং ভাস্করদার উপরোক্ত মন্তব্য পড়ে দেখা যাইতেছে আপনারা এখন আর তর্ক বা আলোচনা চালায়া যাইতে চাইতেছেন না। প্রশ্নহীন ভোটাভুটিমূলক সিদ্ধান্তের দিকে আগাইতে চাইতেছেন!
যুক্তি না দিতে পারলে স্বীকার করেন, এইভাবে পিঠটান দিয়েন না, হাস্যকর লাগে।
আরেকজনের সিদ্ধান্তের দায় আমার উপর না চাপাইলেই খুশী হমু। আমি ঐ মন্তব্য করছি একেবারে শুরুর দিকে যখন আপনি এই পোস্টের অধিকাংশ মন্তব্যের থেইকা একটা সিদ্ধান্ত টানছিলেন, পরে যেইটারে আমি পয়েন্ট তুইলা দিয়া এখনো বলতে চেষ্টা করতেছি যে আপনের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিলো না।
আপনি এবং টুটুল এখন পর্যন্ত সোহেল কাজীর বক্তব্যে ডুয়্যাল পোস্টের বিষয়ে ব্লগীয় অবস্থানরে ঠিক বলা হইছে বইলা দাবী করতেছেন আর আমি স্পষ্ট দেখতে পাইতেছি সেইখানে সংস্কারের কথা বলা হইতেছে। সেই বিষয়ে আলোচনা না কইরা আমার উপরে আপনেরা একের পর এক সিদ্ধান্ত চাপাইতেছেন, যেইসব আমার কাছে আদৌ তর্ক মনে হইতেছে না, ব্যক্তিগত আক্রমণই মনে হইতেছে কেবল।
বস, ভুল বুঝেন ক্যান?
আরেকজনের সিদ্ধান্ত চাপাইলাম কই? এই মন্তব্যটা তো আপনারই করা। এই পোস্টেই।
আপনি আলোচনা শুরুর ডাক দিয়া আপনিই শুরুতে ভোটাভুটির ডাক দিলেন ক্যান? আমি এখনো আলোচনার পথেই আছি।
আপনি একটা জিনিস স্পষ্ট দেখতে পাইতেছেন, আমি আরেকটা জিনিস দেখতে পাইতেছি। এইটার সমাধান কী বস? হয় আপনে নয়তো আমি, যে কোনো একজন ভুল আরেকজন সঠিক। আলাপ চলতেছে, দেখা যাক কে ঠিক হয় কে বেঠিক হয়। সেই আলোচনা চলতেছে।
আপনার উপর কী কী সিদ্ধান্ত চাপানো হইছে? এইটাও আমি জানতে আগ্রহী। আমার জানামতে আপনার উপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপাই নাই আমি। আপনার মন্তব্য ধরেই আলাপ চলতেছে। চলবে।
আপনার মন্তব্যরে ভুল ব্যাখ্যা যদি করে থাকি কোথাও, সেইটা আমার অজ্ঞতা হইতে পারে, আপনি ধরায়া দেন, আমি দুঃখপ্রকাশ করতে রাজী। বক্তব্য প্রত্যাহার করতে রাজী।
কিন্তু আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনার প্রতি কোনো ব্যক্তিগত আক্রমণ আমি করি নাই। যদি অজ্ঞতা এবং অসাবধানে করে ফেলি, তাহলে ধরায়া দেন, আমি তৎক্ষণাত তার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাবো।
কিন্তু আমার বক্তব্যরে ভুল বুঝে ব্যক্তিআক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত করে আলোচনার ইতি টানবেন না। অনুরোধ
আপনে কি দেখতে পাইতেছেন সেইটা কইলেই তো হয়। আমিতো আমার দ্রষ্টব্য কইয়া রাখছি বহুত আগেই। সোহেল কাজীর বক্তব্যের কোন জায়গায় প্রশ্নহীন আনুগত্য দেখছেন সেইটা এখনো আপনের কিম্বা টুটুলের কোন বক্তব্যে আমি দেখি নাই।
আমি প্যাচাইতেছি বা যেই কথা এক বাক্যে কওন যায় সেইটারে হুদাই দীর্ঘ করতেছি। আমি কোন কিছু মাইনা নিমুনা, এমনকি আমি পোল হইলেও সেইটার বিরোধীতা করুম। এই টাইপ কথাবার্তা আমারে ট্যাগিং করনের চেষ্টাই মনে হইছে আমার কাছে।
আমি ভোটাভুটির কথাটা আপনের এই ব্লগে করা একটা কমেন্টের প্রেক্ষিতেই করছিলাম। আর আলোচনার ডাক আমি তার আগে দেয়ার পরেও এখনো তার কোন জবাব পাই নাই। আপনেরা কেবল আমার আর আপনেগো দেখনের ভঙ্গী যে আলাদা সেইটা নিয়া কইতেছেন, এইটা গ্রামীণ ফোন তৃতীয় মাত্রার স্টাইল হইতে পারে, তর্ক বা আলোচনার না।
আমি আসলে প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত হয়া, তার জবাব দিতে গিয়া কাজীর মন্তব্যটা থেকে কোট করার সময় পাচ্ছিলাম না। ঠিকাছে, সব বাদ্দিয়া আগে তাইলে সেটাই করি। তারপর আবার প্রশ্নোত্তর পর্বে আসি।
এইখানে আপনের যেই বক্তব্য ছিলো অধিকাংশ জন ডুয়্যাল পোস্ট নিয়া কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মাইনা নিছে সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবক্তব্য হিসাবে আমি বলছিলাম ব্লগে পোল খুইলা বাস্তব অবস্থা যাচাই করা দরকার। এখন আপনে দেখলাম আশরাফ মাহমুদ এবং আমারে এক পক্ষ বানাইয়া তর্ক বিরোধী বইলা চিহ্নিত করনের চেষ্টা করতেছেন। পদ্ধতিটা ভালো লাগে নাই।
ঠিক একই প্রবণতা আপনি এই পোস্টেই আপনার করা বিভিন্ন মন্তব্যে খুঁইজা পাইবেন বস। আপনি টুটুল ভাই এবং আমারে 'আপনেরা' বইলা এক পক্ষে ফালায়া দিছেন কতেক জায়গায়। আমারো সেই পদ্ধতিটা ভালো লাগে নাই।
তবে আলোচনাটা বিষয়ের কেন্দ্রে রাখতে আগ্রহী আমি। তাই এই নিয়া তর্ক বাড়াইতে চাই না। আমি এখন থেকে আপনি এবং আশরাফ বা অন্য যে কেউ আলাদাভাবেই আলোচনা করবো।
ধন্যবাদ
@ নজরুল ইসলাম
সংখ্যাগরিষ্ঠরা প্রায়শ সংখ্যা ও অন্যান্য ক্ষমতাবলে নিজের যুক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার মনোভাব দেখা যায়, এবং অন্যপক্ষের যুক্তিকে কুযুক্তি হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চলে।
ডুয়েলিঙ পোস্ট কেন অনুমোদন দেয়া দরকার সে বিষয়ে আমি পোস্ট ও মন্তব্যে, ভাস্কর মন্তব্যে, এমনকি সোহেল কাজী পরিস্থিতি সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়ার কথা বলেছেন। এখন আপনি চোখ বন্ধ করে দেখতে চাইলে আমি (বা আমরা) আপনাকে কিছু দেখাতে পারবো না।
তর্ক বা আলোচনাকে বিভিন্ন শাখাপ্রশাখা করে লাগামহীন করে ফেলা হচ্ছে। এই ক্ষণে হুমায়ুন আজাদের একটা উক্তি মনে পড়লো, "বাঙালি আন্দোলন করতে করতে একসময় ভুলে যায় তারা কী নিয়ে আন্দোলন করছে।" যেমন এই পোস্টের মূল ফোকাস ডুয়েলিঙ পোস্ট। এখানে ডুয়েলিঙ পোস্টের উপকারিতা, অপকারিতা, ব্লগ ও ব্লগারদের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয়ে কথা হোক, কিন্তু সচলায়তন, হেনতেন ডেকে এনে আলোচনার মোড়ই ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
ফলশ্রুতি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস রেখে জরিপ বা ভোটাভুটি করতে চাওয়া অহেতুক কিছু নয়।
এইটা কম্যুনিটি ব্লগ, বেশিরভাগ ব্লগার যে সিদ্ধান্তে একমত হবেন সেটাই প্রতিষ্ঠিত হবে। এখন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে দুনিয়ার সবাই ভুল, আপনি একাই জ্ঞানী, তাইলে উনারা কেবল আপনার কথাই শুনবে, আমরা সবাই যতোই ফাল পারি।
সোহেল কাজীর মন্তব্যটারে আমি কীভাবে বিশ্লেষণ করছি, তা সর্বনিম্নে দেওয়া হইছে। সেখানে তা নিয়া সেখানেই কথা বলি। ডুয়াল পোস্টের বিরোধীতা কেন আমি করি, সেটা আগে বলছি, আর বলার ইচ্ছা নাই। আপনি একটা প্রস্তাব দিছেন, আমি তার বিরোধীতা করছি, আমার অবস্থান সম্ভবত এখানেই পরিষ্কার।
একই কথা আমি আপনাকেও বলছি। আপনি চোখ বন্ধ করে দেখতে চাইলে আমিও কিছুই দেখাতে পারবো না আপনাকে। চোখ খুলুন, অনুরোধ।
সচলায়তন বা অন্য হেনতেন প্রসঙ্গ আমি ডেকে আনিনি, অন্য কেউ এনেছেন। অনুরোধ থাকবে যিনি এনেছেন, তাকেঁ এই অভিযোগ জানান। অন্যের অভিযোগ আমার কাধেঁ চাপানোর নিন্দা জানাচ্ছি।
গণতন্ত্রে বিশ্বাস আমার আছে, কিন্তু আপনার কতোটা আছে তা নিয়া আমার সন্দেহ আছে। সংখ্যাগরিষ্ঠর মতামত বিষয়ে আপনার সংখ্যালঘু মন্তব্য দ্রষ্টব্য
আশরাফ ভাই আর সোহেল কাজী ভাই দুইজনের কথার কিছু জিনিষ মিলাইয়া ভালা লাগছে। আমি নিজে ২৪ ঘন্টায়তো দূরে থাক। মাসে একটা-দুইটার বেশি পোষ্ট হয়তো কখনৈ দিতে পারুম না। তাই এইটা নিয়া কিছু কইতে ডরাইতাছি। তবে আমার মনে হয় এইটারে এইভাবে নিয়ম না কইরা ব্লগারদের উপর ছাইড়া দেয়া যাইতে পারে। যেমন বলি, ভাস্কর দা একসাথে দুইটা সিরিজ লেখতেছিলেন। একটা ডায়রী, আরেকটা রাঙ্গামাটির উপরে লেখা। এখন সিরিজটা এমন ছিল যে প্রতিদিনই দুইটা সিরিজের একটা কইরা পর্ব দেয়া লাগে। যদি আসলেই ব্লগের এই নিয়ম মানা হয় তাইলে হিসাব মতে দেখা যাবে ভাস্করদার একটা সিরিজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আরেকটা শুরু হবে না। কিংবা একদিন এক সিরিজ অন্যদিন অন্য সিরিজ কইরা অল্টার করা লাগতো। কিন্ত একজন পাঠক হিসাবে আমি দুইটাই একসাথে পড়তে চাহি একদিনেই। কিংবা কাঁকনের সিরিয়াস (ইদানিং তার সিরিয়াস পোষ্টের ব্যাপারে সিরিয়াস্নেস দেখা যাইতেছে) পোষ্টের সাথে একি দিনে আড্ডা পোষ্টও আমি সমান ভাবে এনজয় করমু। এই সব ক্ষেত্রে আসলে মডারেটরদের চিন্তা ভাবনাটা ক্লিয়ার হওয়া দরকার।
এইবার আসি পুরান লেখা নিয়া কথা। এই ব্লগের এমন অনেক লেখক আছেন যারা আগে লিখতেন অন্য অনেক কমিউনিটি ব্লগে। কিন্ত যখন তারা লিখতেন তখন তাদের লেখা পড়ার সৌভাগ্য আমার হয় নাই। এখনো আমি প্রায় সামুতে নাম দিয়া সার্চ দিই। পুরান লেখা খুঁজি। কিছু পাই, কিছু পাই না। তারা যদি তাদের পুরান লেখাগুলা এইখানে শেয়ার করে আমি খুব খুব আনন্দিত হমু, আর আগ্রহ নিয়া সব লেখা পড়মু। এখন মডারেটররা আমারে বুঝাইয়া কউক এইটাতে তাগো আপত্তি কোথায়?
আইচ্ছা এখন একটা কথা কই। আমি কইতাছি না এই নিয়মের ব্যাপারটা পুরাই ব্লগাদের উপর ছাইড়া দেয়া হোক। আমরা বন্ধুর এই নিয়ম কানুন শুইনা কিন্ত আমি একটুও বিরক্ত হই নাই। বরং খুব সাবধানে মাইনা চলার চেষ্টা করছি (যদিও আমার একটা পোষ্ট ৪৮ ঘন্টা নিয়মে ধরা খাইছে আমার অজ্ঞতার কারনে ) । কারন আমার কাছে একদম খারাপ কিছু মনে হয় নাই। তবে এই ব্যাপার গুলাতে আমি যেই পয়েন্ট কইছি এইগুলা কিন্ত আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর আমার ধারনা মডারেটরদের ব্যাপারটা এমন না যে রুল কইরা শেষ। তারা রুল ঠিক ঠাক মতন সবাই মানতেছে কিনা সেইটা পর্যবেক্ষন করেন। তাইলে এখন যদি তাদের মনে হয় যে কেউ ফ্লাডিং করার কারনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অনেক গুলা পোষ্ট দিছেন তাইলে তারে কারন দর্শাও নোটিস ধরায় দিলেই হয়। অপ্রাসঙ্গিক হইলে উপযুক্ত কারন সহ ঐ পোষ্ট হাপিত্যস করার মধ্যেও কোনো সমস্যা দেখি না।
এইখানে মাত্র ১৪/১৫জন কমেন্ট করছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশ সহমত জানাইছে সোহেল কাজীর কমেন্টে...যেই কমেন্টে নীতিমালার পরিবর্তন সূচক বক্তব্য আছে, তারে দিয়া আপনে সিদ্ধান্তে পৌছাইতে চান যে, ডুয়্যাল পোস্ট অপছন্দ করে এই কমিউনিটি ব্লগের বেশিরভাগ মানুষ?
ডুয়্যাল পোস্ট পছন্দ করে এই কমিউনিটি ব্লগের বেশিরভাগ মানুষ- এইটা মনে হইছে?
এইটা ফ্যালাসি করলেন বস।
আমার মনে হইছে সবাই নীতিমালায় ডুয়্যাল পোস্ট বিষয়ে মডারেটরগো বিকল্প ভাবনার কথা কইছে। সেইটা সরাসরি ডুয়্যাল পোস্ট পছন্দ অপছন্দের বিষয় না। কারণ সোহেল কাজী নিজে ডুয়্যাল পোস্ট বিষয়ে কিছু ভালো কথা কইছে, অনেক বিষয়ে ডুয়্যাল পোস্টের প্রয়োজনীয়তার কথাও সে কইছে।
আবার সে ডুয়্যাল পোস্টদাতাগো চরিত্র নিয়াও কথা কইছে...যেইটা আমার কাছে খুব জেনারেল কমেন্ট মনে হইছে। তার ঐ যুক্তি শুইনা আমার মনে হইছে যেই ডুয়্যাল পোস্ট দাতা সবার পোস্টে কমেন্ট করে যার এলিটিস্ট দৃষ্টিভঙ্গী নাই তার বিষয়ে তার বিকল্প ভাবনা থাকতেও পারে। সুতরাং এই কমেন্ট থেইকা ব্লগারগো কোন সিদ্ধান্ত টাননের মতোন জায়গায় যাওন যায় না।
কাজীর মন্তব্যটা মনে হয় আপনে খালি শেষটুক পড়ছেন বস... পয়লা থেকা আরেকবার পড়বেন? আমার মনে হয় আপনের মনে হওয়াটা বদলাইলেও বদলাইতে পারে।
কারণ আমি দেখলাম কাজী পুরা মন্তব্যটাই করলো ডুয়াল পোস্ট বিরোধীতা কইরা। ডুয়াল পোস্টদাতাগো চরিত্র চিত্রণ কইরা যে বিকল্প ভাবনার প্রস্তাব করলো, সেইটা মূল প্রস্তাব না।
ভাস্কর'দা,
একটু ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে মনে হয়।
চরিত্রের নিয়া আমার যুক্তিটা বলি।
এবিতেও কয়েকটা পোষ্ট দেখছি, যেই পোষ্টগুলা অন্যন্য ব্লগের প্রথম পাতায় জ্বলজ্বল করছে সেখানে লেখকের কিঞ্চিত একটিভিটিজ আছে হয়তো। কিন্তু এবিতে সেই ব্লগারের পোষ্ট দেয়া ছাড়া কোন এক্টিভিটিজ নাই।
এখানে এবির লস কি?
হ্যা লস অবশ্যই আছে। প্রথম পাতায় একটা পোষ্ট পড়ে আছে অথচ সেই পোষ্টে তেমন রেস্পন্স নাই কালে ভদ্রে দু এক জন মন্তব্য করছে। কিংবা মন্তব্য ছাড়াই পোষ্টটা আস্তে আস্তে অন্য পাতায় চলে গেছে। ব্যাপারটা ক্যামন দৃষ্টি কটু লাগেনা?
কেন তেমনটা হচ্ছে সেটা বুঝাতেই ব্লগার এক্টিভিটিজ এর কথা বলছি।
আপনি আমার থেকে অনেক পুরানা ব্লগার হিসাবে আপনি জানেন একটা ব্লগের প্রথম পাতা সেই ব্লগের চরিত্র নির্ধারণে কতোটা গুরুত্বপূর্ন।
এমন খালী পোষ্ট প্রথম পেইজে থাকলে সেটা বেমানান ও কিছুটা দৃষ্টি কটু লাগে। বাইরের কেউ নতুন আসলে তারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে পোষ্ট সাহিত্য মানে অনন্য তারপরো কেউ রেস্পন্স করছে না কেন।
আমি যদ্দুর দেখেছি, ব্লগারদের ইন্টারেকশ একটি ব্লগকে গতিশীল করে। একটা লোক ব্লগের কারো সাথে ইন্টারেকশনের প্রয়োজন মনে করে না এবং ক্লান্তি হীন ভাবে তার সব পোষ্টের কপি এখানে রেখে যাচ্ছেন কিন্তু রেস্পন্স তেমন নাই, ফলে ব্যাপারটা প্রথম পাতায় এফেক্ট ফেলছে। সেটা টলারেট করা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয় না। এটাই সংক্ষেপে বলতে চেয়েছি সেই পয়েন্টে।
সেই পোষ্টা যদি ডুয়েল পোষ্ট না হয়ে মৌলিক পোষ্ট হয় তবে হয়তো কতৃপক্ষ মৌলকতার খাতিরে টলারেট করতেও পারে কিন্তু একটা ডুয়েল পোষ্টের জন্য প্রথম পাতায় এফেক্ট ফেলানোটা আমার কাছে বেমানান লাগে।
বক্তব্যে কাউকে আঘাত করলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
দেখননা এই ডুয়েল পোষ্ট ইস্যুতে আজ সারাদিন কোন পোষ্ট কিন্তু পড়েনি, আসলে ব্লগারদের ইন্টারেকশনের উপরই একটা ব্লগ চলে। ক্যাচাল করলে অনেক ধরণের ক্যাচালই করা যায়। তবে আমি দেখেছি প্রতিটা ক্যাচালে কিছু ব্লগার মনক্ষুণ্য হয়, অনেকেই ব্লগিং এ উতসাহ হারিয়ে ফেলেন। নতুন ব্লগে এই সব বিষয় নিয়ে কেচাল আসলে মানায়না তেমন।
কতৃপক্ষ ও ব্লগার উভয়েই ভুল করবে, ভুল করতে করতে শিখবে এবং নীতিমালা বদল হতে হতে এক সময় স্থায়ী একটা নীতিমালা দাঁড়াবে এইটাই নিয়ম। শুরুতেই জোরালো প্রতিকৃয়া দেখানোর কিছু নাই।
(ভাইরে এইগুলাও ব্যাক্তিগত অভিমত, আমার অভিমত সবার সাথে মিলবে তেমনটা অবশ্যই নয় যেহেতু সবারই চিন্তাচেতনা ইউনিক)
আমি আপনের কমেন্টের ঐ বিশেষ অংশ নিয়া বিরধীতাসূচক কোন বক্তব্য দেই নাই...বলছি কমেন্টটারে আমার একটু জেনারালাইজ্ড কমেন্ট মনে হইছে। হয়তো এমন লোক আসলেই আছে। কিন্তু যখন বিষয়টারে জেনারালাইজ্ড করবেন তখন যারা ঐরম এলিটিস্ট অ্যাটিচ্যূডে থাকে না তারাও এর আওতাধীন হইয়া পড়ে।
আর আমিও মনে করি নীতিমালা কোন ধ্রূব কোন বিষয় না। এইটা একসময় পাল্টাইতে পারে, যদি নীতিমালা যাগো লেইগা তৈরী হয় তারা এর পরিবর্তন চায়। নীতিমালা এইরম হইলে আমি ব্লগিং করুম ঐরম হইলে আমি ব্লগিং করুম না এই টাইপ কথা বার্তার চাইতে নীতিমালা নিয়া আলোচনা (আপনার অর্থে যদি সেইটা ক্যাচাল হয় তবুও...) আমার কাছে জরুরী মনে হয়। কর্তৃপক্ষীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে, আমার উপলব্ধি ভুল হইতেই পারে...কিন্তু তাই বইলা আলোচনা হইতে পারবো না, আলোচনা হইলেই সেইটা সিঁদুইরা মেঘ...এইরম ভাবলে আসলে তারে মানবিক কোন আচরণ মনে হয় না। যদি এইটারে কেউ বাড়তি টেনশন মনে করে সেইটা দূর্বলতা...দূর্বলতা কোনসময় কাঙ্খিত না।
প্রতিক্রিয়া জোরালো নাকি জোড়ালো সেইটা আমার বিবেচ্য মনে হয় না। আমার মনে হয় ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া না থাকলে সেইটা পৃথিবীর নিয়ম ভঙ্গ করে। সেই নীতিমালায় আমি বিশ্বাস রাখি...
আমার-ও তার বক্তব্যকে জেনারালাইজড মনে হয়েছে।
বাধ্য হয়ে পুরোটুকু কোর্ট করলাম। তারা যদি বুঝতে পারে আরকি।
এই বাক্যটা আপনি এবং ভাস্করদা আমাদেরকে বোঝাইতে চাইতেছেন। আমি আন্তরিক ভাবেই তা বুঝতেই চাইতেছি। এজন্যই আলোচনা করতেছি, তর্ক করতেছি। চেষ্টা করতেছি বুঝতে।
কিন্তু দেখা যাইতেছে আপনারাই এই আলোচনা আর বা ক্যাচালের পরিবর্তে পোল খুইলা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য চাপ দিতেছেন। কেন? এইটা কি স্ববিরোধীতা?
আলোচনায় দু'পক্ষই নিজেদের যৌক্তিক মনে করছেন। হতেই পারে দু'পক্ষই সঠিক। কিন্তু এই আলোচনা অনেকদিন টেনে নেয়া যাবে, একসময় চুপ হয়ে যাবে। মাঝখানে কোন সিদ্ধান্ত আসবে না, আমি এইরকম ভবিষ্যহীন আলোচনায় বিশ্বাসী না।
তাই আলোচনার পাশাপাশি নিরপেক্ষ ভোটাভুটি হলে খারাপ কী? এখানে স্ববিরোধীতা আসছে কীভাবে? বরং আলোচনা বেগবান হবে।
বাহ্,
এ তো বড় রঙ্গ দেখি...
নীতিমালা নিয়া আপনি প্রশ্ন তুলবেন, বিশাল পোস্ট লিখে ফেলতে পারবেন। কিন্তু সেইটা নিয়া কেউ আলোচনা করতে গেলেই আপনার মনে হবে ভবিষ্যহীন আলোচনা? যেটায় আপনি বিশ্বাসী না?
এইটা হাস্যকর।
আর এইটা অতি হাস্যকর।
১। যদি আলোচনার পথ বাদ দিয়ে প্রশ্নহীন ভোটাভুটিতেই যাবেন, তাহলে কেন এতো আলোচনা করলেন? কেন নিজের বিরুদ্ধ মত পেলেই সেটাকে ভবিষ্যহীন আলোচনা মনে হবে?
২। ভোটাভুটি তো একেবারেই সিদ্ধান্তমূলক। এর পর আপনি আলোচনা বেগবান হওয়ার রাস্তা কোথায় খুঁজে পেলেন?
আমারতো আপনের অবস্থানটা তর্কের মনে হইতাছে না। আপনের একটা সংখ্যাগরিষ্ঠের অবস্থান দেখানো মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যরে আপনে ইস্যূ বানাইতে চাইতেছেন। কিন্তু এর মধ্যে আমার সুনির্দিষ্ট বক্তব্য ওয়ালা কোন মন্তব্যের জবাব দিতেছেন না। সোহেল কাজীর বক্তব্য নিয়া আমার বক্তব্যের প্রতিবাদে সোহেল কাজী নিজেও কিছু কন নাই (ঐ বক্তব্য নিয়া তর্ক শুরু হওনের পর আমার তার লগে দুইটা মন্তব্যে যোগাযোগ হইছে), কিন্তু আমি কোন জায়গায় ভুল বুঝতেছি এই বিষয়ে আপনেগো কোন জবাব আমি দেখি নাই এখনো।
আর আশরাফ মাহমুদ আমারে বেশ কয়েক জায়গায় quote করলেও আমি তার অধিকাংশ বক্তব্যের লগেই একমত না। সুতরাং তার লগে আমারে এক কইরা ট্যাগিঙের ধরণটাও ঠিক মনে হইতাছে না। সে শুরুতেই সচলায়তনের অন্ধ অনুকরণে আমরা বন্ধু ডুয়্যাল পোস্টিং নিষিদ্ধ করছে বইলা যেই বক্তব্য দিছে শুরুতে আমি সেইটার বিরোধীতা কইরা মন্তব্যও করছি।
আমার অবস্থানটা তর্কেরই। এখন সেইটা আপনার মনে না হইলে আমার কী করার থাকতে পারে? এই পোস্টের মন্তব্যগুলা দেখেন, আপনি একের পর এক আপনার কী মনে হইতেছে আর কী মনে হইতেছে না, সেটা আপনি বলতেছেন। এখানে তো আমরা মন বিনিময় করতে বসি নাই বস... আপনার মনে হওয়া না হওয়ায় কী এসে যায় বস?
আমি এটাকে ইস্যু মনে করতেছি বলেই ইস্যু ভাবছি। বানাচ্ছি না। আপনার সুনির্দিষ্ট বক্তব্য ওয়ালা মন্তব্যের জবাব বোধকরি এখন পেয়েছেন নিচে? এটা আগেই দিতাম, প্রশ্নে জেরবার আমি সময় পাচ্ছিলাম না।
আপনেগো বলতে আপনি কাগো বুঝাইলেন? আপনিই একটু আগে আপনার সাথে কেন আশরাফরে জুটাইলাম তা নিয়া প্রশ্ন তুললেন, এখন আমার কথার জবাবে আপনাগো নামক বহুবচন যোগ করতেছেন। কেন?
আশরাফ মাহমুদের সঙ্গে আপনাকে জড়াবো না, এই কথা পূর্বের কোনো একটা মন্তব্যের ঘরে বলেছি।
আপনেরা কইতে আমি টুটুল আর আপনেরেই বুঝাইতেছি। ব্যক্তিগত ভাবে আপনেগো চিনি আর দুইজনের একটা মন্তব্য বিনিময়ও আছে আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য নিয়া। কিন্তু আশরাফ মাহমুদের লগে আমার কোথাও সহমত সূচক বাক্য আমি কইছি বা তার লগে আমার কোন সম্পর্ক নাই সেইটা আপনেরা ভালোই জানেন।
আপনে যেইটারে ডুয়্যাল পোস্টিঙের বিরুদ্ধ বাক্য মনে করলেন সোহেল কাজী নিজে সেইটারে ডুয়্যাল পোস্টিঙের বিষয়ে বলা না বইলা দাবী করলো। এমন কি সে বিশুদ্ধ নীতিমালা বিষয়েও তার মনোভাব জানাইলো। এখনো ক'ন যে সে ডুয়্যাল পোস্টিঙের বিরুদ্ধে নীতিমালার বচনে সে সমর্থন দিছে তার বক্তব্যে?
@ রাকিব ভাই,
আপনার যুক্তিগুলো ভালো লাগলো, ভালো লাগলো নির্দেশনা। সহমত জানাচ্ছি।
এই জায়গাগুলু পইড়া আমি কাজীর বক্তব্য বুঝনের চেষ্টা করছি...কমেন্টের শেষ কিম্বা শুরু পইড়া আমি কোন কথা কই নাই।
এই কমেন্টস পইড়া কি আপানার মনে হইছে যে কাজী ডুয়েল পোস্টিংয় এলা্উ করার কথা কইছে?
এই কমেন্ট পইড়া আমার মনে হইছে সোহেল কাজী ডুয়্যাল পোস্ট বিষয়ে নীতিমালায় যা বলা হইছে তার সংস্কার চাইছে। সে বিকল্পগুলিও বলার চেষ্টা করছে তার ভাষায়। যেইটা অন্ততঃ প্রশ্নাতীত ভাবে নীতিমালায় ডুয়্যাল পোস্ট বিষয়ে যেইভাবে বলা হইছে তারে সমর্থন করে না।
সুতরাং এই কমেন্টের সহমত হইলে নীতিমালায় ডুয়্যাল পোস্ট বিষয়ে কর্তৃপক্ষীয় যেই বক্তব্য দেওয়া হইছে তার সমর্থন করা হয় না।
আমারতো মনে হইছে পা্ব্লিক ডুয়েল পোস্ট এবিতে দেখতে চায় না
এখন কি কৈবেন?
আমি উপরে কোন পয়েন্টগুলি বিষয়ে কি মনে হ্ইছে সেইটা বিস্তারিতই লিখছি...আপনে খালি একটা এক কথার বক্তব্য দিলেতো হইবো না...আমি যা বুঝছি সেইটার বিপরীতে আপনের বক্তব্যগুলি কইতে হইবো...
বস আপনে সারা দুনিয়া পেচাইয়া যেইটা লেখেন ওইটা চাইলে এক কথায়ও বলা যায়। এখন আপনার অভ্যাস যদি হয় অল্প কথায় বলতে না পারা... সেইটা লৈয়া আমার কিছু বলার নাই। আপনে চাইলেও এইটার উত্তর ২০ লাইনেও দিলে অর্থ বদলাইয়া যাইব না।
টুটুল ভাই, একটা জরিপ কিংবা ভোটাভুটি কিছু বানানো হোক, উপরে ভাস্করদা' যেমন বললেন। ব্যবহারকারীরাই ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত নিক ডুয়েল পোস্ট অনুমোদিত হবে কিনা।
আশরাফ ভাই ... এই পোস্টটা খেয়াল করেন... আপনি ... ভাষ্করদা আর রোবট নানা ছাড়া আরা কারো নীতিমালার ডুয়েল বিষয়ক ধারা নিয়া আপত্তি নাই। এর পরেও ভোটাভুটি চান?
আপনে যেইটা করতেছেন এইটারে যুক্তি কওয়া যায় না। এইটারে ব্যক্তিগত আক্রমণ কওয়া হয়। আপনে আমারে যুক্তি দিযা বুঝান যে সোহেল কাজী ডুয়্যাল পোস্টিঙরে সাদা চোখে বিরোধীতা করছে...
আমি স্পষ্ট দেখতে পাইতেছি সে নীতিমালায় ডুয়্যাল পোস্ট বিষয়ে যেই বক্তব্য আছে তার সংস্কার চাইতেছে। সে মডারেটরগো বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে নমনীয় হইতে কইতেছে। সে পুরানা পোস্টরে একটু মডিফাই কইরা রিপোস্ট করনের বিষয়ের কথা বলতেছে, সে প্রয়োজনীয় পোস্টের ডুয়্যাল পোস্টিঙ রীতিমতো সমর্থন করতেছে...কেবল তার যুক্তিগুলি লেইখা দেওনের অনুরোধ করছে সে, যেই ব্লগার করবো তারে। এই বক্তব্য কইলে যদি প্যাচানো হয় তাইলে আমার কিছু কওনের নাই।
আপনেরা আমার চাইতে অনেক ভালো এবং বেশী বুঝেন। এই জ্ঞানের লগে প্রশ্নহীন বন্ধুত্ব পাতান যায়। তর্ক তো দূরের কথা সুশীল আলোচনাও সম্ভব না বুঝতে পারি। এই আচরণরে আমার এলিট সচলায়তন কর্তৃপক্ষের মতোন লাগে এইটা কওয়া ছাড়া আর কিছু কওনের নাই আমার।
কুল বস... চেতলেন ক্যান?
আপনের কাছ থেকে এইটা আশা করি নাই। আপনি প্রশ্ন চান, তর্ক চান। কিন্তু আবার আপনিই উপরের মতো সিদ্ধান্তমূলক কথা বইলা ফেলেন তর্কের মাঝখানে। এইটা কেন?
আর আপনার সচলায়তন ভীতিটা 'ঘরপোড়া গরু সিঁদুইরা মেঘ দেখলে ডরায়' এর মতো হয়া যাইতেছে... যত্রতত্র সচলের ভূত দেখাটা স্বাস্থ্যকর না বস... মাথা ঠাণ্ডা করেন, আমরা এবি নিয়া আলাপ করি আসেন।
আপনেরা সোহেল কাজীর বক্তব্য কোন এক কারণে বুঝতেছেন আর আমি যেহেতু সেইটা দেখতেছি না সেইটারে আমার নিজের না বোঝার চাইতে আপনেগো বেশী বোঁঝাই মনে হইছে বস।
এইখানে আমি তর্ক করতে চাইতেছি কিন্তু টুটুল আর শুরুতে আপনে যেই কয়েকটা মন্তব্য করছেন সেইটারে আমার ফ্যালাসী আর ব্যক্তিগত আক্রমণই মনে হইছে। আর এই আচরণের বিষয়গুলিরে আমার অভিজ্ঞতা থেইকা সচলায়তনীয় এলিটিজমই লাগে এইটারে ভূত দেখা কয় না। আচরণের মিল খুঁইজা পাওয়া কয়। ব্লগ জগতে এই আচরণের অন্য কোন উদাহরণ থাকলে তারেই উল্লেখ করতাম। যদি আমার কম বা প্যাচাইয়া বুঝনের কারণে এইখান থেইকা সইরা যাইতে হয় তাইলে দ্বিতীয় উদাহরণটাও তৈরী হইবো। তখন হয়তো আর কেবল সচলায়তনীয় ভূত না, সচলায়তন এবং আমরা বন্ধুর ভূত দেখুম...কি কন?
পয়লায় কই বস..।
আমার কোন মন্তব্য কেন ফ্যালাসী আর ব্যক্তিগত আক্রমণ মনে হইছে? এইটা আমি জানতে আগ্রহী। আমার যেহেতু এরকম কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না, বা এখনো নাই। তাই আমি এইটা না জানা পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
সোহেল কাজী একটা মন্তব্য করছে। সেইটার আমি বা অন্য কেউ কেউ একরকম ব্যাখ্যা করছে, আপনি বা আরো কেউ কেউ অন্যরকম ব্যাখ্যা করছে।
এইটা করতেই পারে। এইটাতে আমি দোষের কিছু দেখি না। এইটা নিয়া আমরা তর্ক করতে পারি, আলোচনা করতে পারি, কিন্তু তার বদলে আপনি সিদ্ধান্তমূলক বক্তব্য দিয়া দিতেছেন। খিয়াল কইরা।
একটা দুইটা মিল থাকলেই সচলায়তন বা তার ছোটভাই হয়ে গেলো, এইটা তো আমার চরম ভ্রান্ত ধারণা মনে হইছে বস...
আমরা বন্ধু ডুয়াল পোস্ট দেখতে চায় না, এইটা জানাইছে বইলা এইটা সচলায়তনের মতো এলিট হয়ে গেলো কেন?
ডুয়াল পোস্ট এলাউ করলে সেইটা কি তাইলে সামু বা আমুর মতো হয়ে যাইতো?
আমরা বন্ধুতে দেখেন, অনেক কিছুর সাথেই মিল পাবেন সামুর, আমুর বা অন্য ব্লগের, চেহারাতেও মিল পাবেন অন্য ব্লগের। কিন্তু সেইটা নিয়া কথা নাই, সচলায়তনের সাথে দুটো মিল পেলেই কেন এলিটিজমের পাতায় বাতাস লাগে?
এইটারেই আমি সচলায়তনের ভূত দেখা বলছি।
সোহেল কাজীর বক্তব্য কোন মন্তব্যে ডুয়্যাল পোস্ট করা নিয়া ব্লগ কর্তৃপক্ষের সরাসরি সমর্থন সূচক যুক্তিতে গেছে সেইটা আপনি দেখান। আমি যেইটা ব্যখ্যা করছি সেইটা লেইখা দিছি, কোন পয়েন্টে সেইটা আপনের ভুল মনে হইতেছে সেইটা কন। হুদাই অপ্রাসঙ্গিকভাবে আপনের ব্যখ্যা আমার ব্যখ্যা এই যুক্তিতে থাইকেন না। যুক্তিতে কখনো আপেক্ষিকতা আসে না, যুদ্ধের বেলায় আসে।
সচলায়তনের ছোট ভাই বইলা কোন বক্তব্যও আমি দেই নাই। যুক্তিরে অপ্রাসঙ্গিকভাবে এড়ানোটারে আমার অভিজ্ঞতা থেইকা সচলায়তনের এলিটিজমের লগে সাযূজ্য পূর্ণ মনে হইছে। আমরা বন্ধুর ডুয়্যাল পোস্ট বন্ধ করনের সিদ্ধান্তের সাথে সচলায়তনের এলিটিজমের কোন মিল আমি কোথাও দেখাই নাই বা দেখিও নাই। আমি আলোচনার ধরণে আমার উপরে প্যাচানো আর কোন কিছু না মাইনা নেওয়ার যেই অপবাদ দেওয়া হইতেছে সেইটার সাথে সচলায়তন কর্তৃপক্ষের আচরণের মিল পাইতেছি। তারাও আমারে কইছিলো আমি তাগো লগে আপোষ (conform) করি না বিধায় তারা আমারে মডারেশনের খড়গ তলে ফালাইছিলো। আমরা বন্ধু'র বন্ধুরা দয়াপরবশতঃ আমারে খড়গটা দেখায় নাই কিন্তু আপোষনামাটা মেইলা দিতে চাইতেছে বইলাই আমার মনে হইতেছে। আশরাফ মাহমুদের বক্তব্য নিয়া অনেকের দেখলাম সন্দেহসূচক ধারণা আছে, আমার উপর সেই একই ধারণা চাপাইতে চাওয়াটা মনে হয়না খুব যুক্তিযুক্ত আচরণ হইবো। পাল্লাটা মনে হয় এখনো আলাদাই আছে।
এই পোস্টে ঢুকনের পর উপরে থেকে প্রশ্নের জবাব দেওয়া শুরু করছি। এখনো নানাবিধ প্রশ্নের জবাবই দিয়ে যাচ্ছি। কোন কোন সূচক যুক্তিতে গেছে সেইটা আমিও দেখাইতেই আগ্রহী। কিন্তু এখনো ফুরসত পাইতেছি না। একটু খাড়ান, প্রশ্নগুলার জবাব দিয়া লই।
যুক্তিরে অপ্রাসঙ্গিকভাবে কোথায় এড়াইছি আমি? দেখান
অভিজ্ঞতা বিষয়টা ব্যক্তিগত। একই কাজে দুইজন ব্যক্তির অভিজ্ঞতা ভিন্ন হবে। আপনের লঞ্চডুবির অভিজ্ঞতা দিয়া আপনি অবশ্যই বলতে পারেন না পৃথিবীর সব লঞ্চই ডুইবা যাইবো।
আর সেই অভিজ্ঞতা দিয়া আপনে সবকিছুরে জাজ করতে পারেন না। অথচ আপনে তাই করতেছেন।
তারা কী বলছিলো না বলছিলো, সেই আলোচনা এখানে টেনে আনাটাই আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক লাগছে। আপনার ভাষাতেই এইটা "যুক্তিরে অপ্রাসঙ্গিকভাবে এড়ানো"।
আপোষের প্রশ্নটা এখানে কেন আসতেছে? এই পোস্টের কোন মন্তব্যে কে আপনেরে আপোষ প্রস্তাব দিলো? যদি না দিয়া থাকে তাইলে এই প্রসঙ্গ তুললেন? এইটা আমার কাছে অবান্তর মনে হইলো।
আপনে আমার কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়া আমি যেইগুলি অভিজ্ঞতাপ্রসূত মন্তব্য করছি সেইগুলিরে নিয়া কথা কইয়া আসলে বিষয়টারে অপ্রাসঙ্গিক করনের চেষ্টাই চালাইলেন আবার। সোহেল কাজী বিষয়ে আপনের মন্তব্যই পারে এই আলোচনারে থামাইতে। সোহেল কাজী প্রশ্নাতীতভাবে ডুয়্যাল পোস্টিং বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অবস্থানের পক্ষে আছেন, কোন বিকল্প প্রস্তাব উনি দেখান নাই এই জায়গাটাই আমারে পরিষ্কার করেন। যেই প্রশ্নটা আমি প্রথমে করছি সেই বিষয় থেইকা শুরু করেন। মাঝখানে পোলিঙের বিষয়টাও আনতে পারেন আমারে এক জায়গায় ধরতে পারবেন এই খাতিরে।
আমি যেই বিষয়টা নিয়া মূলতঃ কথা কইতে চাইতেছি সেইটা নিয়া কথা কইয়া সচলায়তন বিষয়ে আপনের কথা কওনের অত্যাগ্রহ আমার কাছে সচলায়তনের আচরণই মনে হয়। মূল আলোচনা থেইকা দৃষ্টি সরানের একটা কৌশল বটে এইটা। আমারে নিয়া করা টুটুলের কমেন্ট দুইটা দেইখা তারপর এই বিষয়ে কথা কইতে আসেন। টুটুলের বক্তব্যের নির্যাসে সেই আপোষ না করনের ইঙ্গিতটাই পাই আমি অন্য কোন অর্থ হইলে আমারে বুঝাইয়া দিয়েন...
উপরে আপনে যেই বিষয়গুলি নিয়া কথা কইতে গিয়া প্রশ্নের উত্তর দেয়া বলতে চাইছেন। ঐগুলিতে কোন প্রশ্ন নাই, সেইটা যেইকোন মানুষই বুঝতে পারবো। আমার করা প্রশ্নতে আসেন। সোহেল কাজীর বক্তব্যে ডুয়্যাল পোস্টিং নিষিদ্ধের কর্তৃপক্ষীয় সিদ্ধান্তের প্রতি প্রশ্নহীন সমর্থন কোন জায়গায় আছে সেইটা দেখান...ঐটা আমার প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছাড়া প্রশ্ন ছিলো।
ভাস্কর'দা, প্রথম কমেন্টের প্রস্তাবনায় ব্লগারদের রিপোষ্ট ও একই সাথে একাধিক ব্লগে পোষ্ট না দিতে বলছি।
]
বিপরীতে, সমসাময়িক জনগুরুত্বপূর্ণ পোষ্টের ক্ষেত্রে অকাট্য যুক্তির শর্তে সেটাকে কনসিডার করার আহ্বান জানাইছি। (মাসে কিংবা দুই মাসে এমন পোষ্ট একটাও আসে কিনা সন্দেহ) এজন্য হয়তো নীতিমালায় এক লাইন এড হতে পারে।
[এখানে কোন কনফ্লিক্টতো দেখতেছিনা, যাষ্ট নিজের অভিমত ব্যাক্ত করছিলাম
নীতিমালায় কোনকিছু যুক্ত করা মানেই বর্তমান নীতিমালায় আপনে পরিবর্তন আনতে কইতেছেন। আমি সেই জায়গাটার কথাই কইতে চাই।
আপনের কমেন্ট পাইয়া অন্ততঃ মনে হইতেছে আমি পুরাপুরি ভুল কই নাই। আপনে ডুয়্যাল পোস্ট বিষয়ে বর্তমান নীতিমালায় ঘোষিত বক্তব্যের কিছু অংশের পরিবর্তন চাইছেন। মাসে কি দুইমাসে কি আসে সেইটা কি নীতিমালার বিবেচ্য হয় নাকি?
না হয় আমি ধইরা নিলাম আপনে কন নাই যে রিপোস্টে কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন কইরা পোস্ট করতে। আমি ধইরা নিলাম আপনে কন নাই যে মডারেটরগো সমসাময়িক কোনো বিষয়ে নমনীয় হইতে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনে হয়তো কইতে চান নাই মডারেটরগো নমনীয় হওনের বিষয়টা।
আমি ধইরা নিলাম আপনে কন নাই যে মডারেটরগো সমসাময়িক কোনো বিষয়ে নমনীয় হইতে।
এই খানে মডারেটরের নমনীয়তা প্রস্তাব করছি, ধরেন মেহেদী হাসান খানের স্বচলের পোষ্টটা যদি এইখানে দিতো তবে মডারেটর এইখানে হাত দিতে পারেনা, জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এইটা।
কোট করতে গিয়া পুরা কমেন্ট আসে নাই
[না হয় আমি ধইরা নিলাম আপনে কন নাই যে রিপোস্টে কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন কইরা পোস্ট করতে]
ভাস্কর'দা, এইটার সাথেতো মডারেটরের কোন সম্পর্ক নাই। এইটা ব্লগারের এক্সট্রা যোগ্যতা। আমার একটা পুরানা পোষ্ট যদি আমি মূল বক্তব্য এক রাইখ্যা রিপোষ্ট এড়াইতে ভাষার দক্ষতায় হালনাগাদ করতে পারি তবে মডারেটর এইখানে অবশ্যই হাত দিতে পারবে না। কারণ এইটা কপি পেষ্ট পোষ্ট না।
[আমি ধইরা নিলাম আপনে কন নাই যে মডারেটরগো সমসাময়িক কোনো বিষয়ে নমনীয় হইতে।]
এই খানে মডারেটরের নমনীয়তা প্রস্তাব করছি, ধরেন মেহেদী হাসান খানের স্বচলের পোষ্টটা যদি এইখানে দিতো তবে মডারেটর এইখানে হাত দিতে পারেনা, জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এইটা।
আমি ধরেন একটা গল্প রিপোস্ট করতে চাই। তাইলে কি গল্পের আর চরিত্রসমূহের নাম পরিবর্তন করলেই অনেক্ষানি পরিবর্তীত হয় না? ঐ গল্প হয়তো কইয়া না দিলে অনেকে বুঝতেই পারবো না। তখন কি পরিস্থিতি তৈরী হইবো?
গল্প রিফাইন কইরা রিপোষ্ট করার মনে হয় উপায় নাই বস
[পরিবর্তন্টা স্মৃতি কথার বেলায় খাটানো যায়।]
শেষ কথা কই বস? এখন আমরা যেই কথাগুলা বলতেছি সেটা যাষ্ট আমরা নিজের অবস্থানে থাকার জন্য কইতেছি।
কে জানি কইছিলো " পৃথিবীতে নাই কোন বিশুদ্ধ চাকুরী"
তেমনই, পৃথিবীতে নাই কোন বিশুদ্ধ নীতিমালা।
এইটা আপনের মনের কথা হইলে আমি যেই জায়গাটা ধইরা কথা শুরু করছিলাম সেইটা মনে হয় অনেক্ষানিই যৌক্তিক হয়। কারণ নীতিমালা বিশুদ্ধ হয় কি না সেইটার চাইতে বড় বিবেচনা হওয়া প্রয়োজন নীতিমালা আমরা বিশুদ্ধ করতে চাই? নাকি আমরা কেবল নিজেগো অহমিকা বা স্বতন্ত্র অবস্থান ধইরা রাখতে চাই?
বিশুদ্ধ হওয়ার চাইতে বিশুদ্ধ হওনের তাগীদটা জরুরী...যেইটা আসে অন্যের বক্তব্যের যুক্তি ধরার মধ্য দিয়া। ব্যক্তিগত আক্রমণ কিম্বা নিজেরে সঠিক প্রমাণের তাগাদা থেইকা তা কখনোই আসতে পারে না।
আর সমসাময়িক কিম্বা জনগুরুত্ব সম্পন্ন যেই ধরনের পোস্টটি করতে চান তার জন্য নীতিমালায় পরিবর্তন করতে হইবো।
হ্যা, এইখানেই আমার প্রস্তাবনাটা ছিলো। বাকিটা মডারেটরদের বিবেচনা।
আর ব্যাক্তিগত আক্রমন এড়িয়ে চলার যথা সাধ্য চেষ্ঠা করি।
আমার প্রথম কমেন্টের এগেইনস্টে লেখকের বক্তব্য পড়ে দেখেন টোন কোথায় ছিলো, আমি জবাব দেয়ার তাগিদ অনুভব করি নাই।
আমরা আমরাইতো, আজকে একটু গরম কালকে একটু নরম এভাবেই বন্দুত্ব হয়। শত হইলেও আমরা বন্ধু সাইটে ব্লগিং করছি
আপনের স্পিরিট আমি সমর্থন করি বইলা প্রথমেই একবার সহমত জানাইছিলাম। আবারো আপনেরে ধন্যবাদ এই মাঝ রাইতেও আপনের বক্তব্য পরিষ্কার কইরা দেওনের জন্য।
আমি মডারেটরগো কাছে নীতিমালায় এই সংশোধনের জন্য আহ্বান জানাই। আর যারা আমার বক্তব্যের এই সংস্কারবাদী উপলব্ধি নিয়া এতোক্ষণ তর্কে ছিলেন তাগোরেও ধন্যবাদ জানাই...স্পিরিটটাই মুখ্য...
ভাস্কর'দা, আসেন আমরা একটু পোষ্টের ব্যাপারে আলাপ করি। দেখি পোষ্টে কি বলা হইছে।
১) লেখক আশরাফ মাহমুদ ডুয়েল পোষ্ট নিয়ে বলেছেন
কিভাবে নিরুৎসাহিত করবেন সেটার কোন প্রস্তাবনা নাই। ( সুতরাং বক্তব্য কোন দায় প্রদর্শন করে না, শুধুই বিরুধিতা করার জন্যই লেখা।)
২) লিঙ্ক নিয়ে আমি যা বুঝেছি তা হলো শুধু অন্য ব্লগের যেকোন পোষ্টের লিঙ্ক এখানে দিতে কোন পোষ্ট দেয়া যাবে না, যেহেতু পরের অংশেই বলা আছে রেফারেন্স হিসেবে ব্যাবহার করা যাবে।
পোষ্টের লেখক বলেছেঃ
এইধরনের বক্তব্য কোথাও পাই নাই, সো লেখকের বক্তব্য আবারো ঘোলাটে লাগছে।
৩) "জ. বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিরেকে ২৪ ঘন্টায় ২টার বেশি পোস্ট দেওয়া যাবে না।"
এই বিষয়ে লেখক কি বুঝেছেন জানি না তবে নীতিমালা অনুযায়ী ২টার বেশী পোষ্ট আসতে পারে প্রয়োজনে, মানে ২টার বেশী পোষ্ট সমর্থন করে।
কিন্তু লেখক বলেছেনঃ
এইখানে লেখক যে নীতিমালা বুঝেন নাই এইটা মুনয় লেখক নিজেও জানেন না।
৪) কপিরাইট বিষয়ে;
একটা পোষ্টের কপিরাইট যে লেখকের এইটা কাউরে বইলা দিতে হয় জানিয়া আশ্চর্য্য হইলাম। আমার জানামতে "আমরা বন্ধু" ব্লগ কখনো এই ধরণের কথা বলে নাই যে পোষ্টের কপিরাইট ব্লগের।
শুধু এই অংশটা মনে হইছে উনি জানতে চাইছেন।
এখন আমি যখন জাজমেন্টের চেয়ারে বসব তখন এই পোষ্টের মটিভ কি বলে মনে করব?
ওয়েল, আপনে নিজে জজের চেয়ারে বসেন, এবং এই পোষ্টের মটিভের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত দেন।
কপিরাইট বাদে বাকী অংশ নিয়া সমালোচনা করনের অধিকার আপনের আছে বইলা আমি মনে করি। তয় উদ্দেশ্যটা আমরা প্রধান বিবেচ্য না করি। উদ্দেশ্য প্রধান বিবেচ্য হইলে নিজেরাও আলোচনায় যাইতে পারুম না কোন বিষয়ে, কারণ যদি কোন অহেতুক উদ্দেশ্য থাইকাও থাকে সেইটা কোথাও লেখা নাই এইখানে।
কপিরাইট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণাই থাকা উচিত বইলা আমি মনে করি। যদিও তথ্যরে উন্মুক্ত করনের বিষয়ে আমরা একমত হই, অভ্র ওপেন সোর্স বইলা আমরা তার পক্ষে আমরা আন্দোলন সংগ্রামের চিন্তা করি...কিন্তু লেখালেখির কপিরাইট নিয়া মানব সমাজ বেশ চিন্তিত বইলাই অনুভূত হয় আমার কাছে। মানে বিজয় টাকা দিয়া বেঁচেন বইলা জব্বার সাহেব আমাগো কাছে খারাপ হন...কিন্তু নিজের লেখা আমাগো কাছ থেইকা কিনতে হইলে টাকা বা সম্মতি লাগবোই। এই সম্মতি অসম্মতির রাজনীতি আমার কাছে অবোধ্য লাগে। আমি পুরাপুরি ওপেন সোর্সের মানুষ, যেইদিন থেইকা ইউনিকোডে অভ্যস্ত হইছি সেইদিন থেইকা বিজয় আনইন্সটল করা আমার ডেস্কটপে। আমার লেখার কপিরাইট যদি আমরা বন্ধু নিতে চায় তাইলেও আমার কোন বাঁধা নাই বা বাঁধা দেওনের আগ্রহ বোধ করি না। কারণ আমরা বন্ধুতে আমি এমন কিছু লিখতে চাই না যাতে আমার ভালো লাগার চাইতে রুটি রুজির প্রয়োজন বেশি জড়িত থাকে। রুটি রুজির লেইগা যেইসব লেখা তারে আমি আমরা বন্ধু সাইটে তুলুম'ই না।
তবুও মানুষের এই ব্যক্তিগত অধিকার লেইখা রাখাটাই বাঞ্ছনীয় লাগে।
ভাস্কর'দা, এবিতে কপিরাইট নিয়া আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই ।
নীতিমালা একটা সার্বজনীন বিষয়, যখন আমরা নীতিমালা নিয়া প্রশ্ন তুলব কিংবা আলোচনা করব তখন চারটা জিনিষ জরুরী
১) আগের নীতিমালা কেন খারাপ বা আলোচিত হচ্ছে।
২) আগের নীতিমালা চলতে থাকলে বভিষ্যত কুফল কি?
৩) আগের নীতিমালার কুফল রোধে নতুন প্রস্তাবনা
৪) নতুন প্রস্তাবনার সুফল কি সে বিষয়ে নিজের যুক্তি প্রদর্শন।
তবেই একটা আলোচনা থেকে কোন সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া সম্ভব, অন্যথায় মাসব্যাপী কিংবা বর্ষব্যাপী আলোচনা চলতে পারে কিন্তু কোন আউটপুট আসবে না। কি হবে? ব্লগারদের মধ্যে তর্ক চলতে চলতে এক সময় পরোষ্পর বিদ্বেষি একাধিক গ্রুপ তৈরী হবে। (অভিজ্ঞতার আলোকে বললাম)
পোষ্টে কোন প্রস্তাবনা নাই, আলোচোনায়ও পাই নাই

কাজেই এই পোষ্টের ভবিষ্যত নিয়া সন্দিহান হইতেই পারি
এই পোস্টের কোন বিষয় নিয়া আমিও কোন মন্তব্য করি নাই। আমার প্রথম মন্তব্য আপনের কমেন্ট কেন্দ্র কইরা ছিলো যদ্দূর মনে পড়ে। দ্বিতীয়টাও তাই।
@ সোহেল কাজী
এই ব্যাপারে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। একটা কোটা ভিত্তিক ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এতো শতাংশ মৌলিক লেখা হবে, এতো শতাংশ ডুয়েল পোস্ট অনুমোদন করা হবে।
এটা ব্যক্তিগত উপলব্ধি। অন্য কমিউনিটি ব্লগের (তারা বলে নাই যে শুধু লিঙ্ক- বরং কমিউনিটি ব্লগ; মানে আমরাই আমরা) লিঙ্ক দেয়ার ব্যাপার কড়াকড়ি। এটাকে পিঠ চুলকানি মনে হচ্ছে।
এখানে হালকা সমর্থন করা হলে-ও সঠিক দিকনির্দেশনা নেই। বিশেষ প্রয়োজনটা কী কী, কীরকম পোস্ট হলে ২টার বেশি পোস্ট আসবে সে ব্যাপারগুলো পরিষ্কার করা হয় নি। অর্থাৎ নীতিমালা দুর্বোধ্য- আলোচনার অবকাশ আছে।
সর্বক্ষেত্রে এই পন্থা না। যেমন ধরেন কিছুদিন আগে আমি একটা বই প্রকাশের অনুমতি চেয়েছিলাম, বইয়ের লেখক আমাকে অনুমতি দিলে-ও প্রকাশক দেয় নি; কারণ তারা বাঙলাতে বইটি অনুবাদের ফলে যথেষ্ট ব্যবসায়িক লাভ পাচ্ছে না। দেখেন, এখানে লেখাটা লেখকই লিখলে-ও কপিরাইট কিন্তু দুইজনের। সুতারাং, বিষয় নিয়ে সন্দেহ থাকে।
এই পোস্টটার মূল ফোকাস ডুয়েলিঙ পোস্ট। আমার মতে কোটা ভিত্তিক কিংবা পরিমিতভাবে ডুয়েলিঙ-পোস্ট অনুমোদন করা যেতে পারে।
অবস্থা তো দেখছি ছেড়ে মা কেঁদে বাঁচি টাইপ।
মূল সমস্যা হলো ডুয়েলিঙ পোস্ট। সমাধান
১. অনুমোদন দেয়া (ঢালাও ভাবে)। যেমন অন্যান্য কমিউনিটি ব্লগে আছে, সামু, আমার ব্লগ, চতুর্মাত্রিক।
২. সীমিত আকারে অনুমোদন। কোটা ভিত্তিক হতে পারে (সপ্তাহে এতোটি করতে পারবে), কিংবা পোস্টের ধরন অনুসারে সংখ্যা ভিত্তিক (যেমন সাহিত্যের পোস্ট এতোটি, সাম্প্রতিক বিষয়ে এতোটি। কিংবা পাঁচটি মৌলিক পোস্ট দিলে ২-৩টি ডুয়েল পোস্ট দিতে পারবে। একসময় সাইট জমে গেলে দেখবেন সবাই এখানেই পোস্ট করবে, কারণ ব্লগাররা তো এখানেই। কেউ আরো ভালো দিকে আলোকপাত করতে পারেন।
৩. যেমন নিষিদ্ধ আছে তেমনি থাকা। কী হতে পারে?
অ. কিছু দিন পর পর এই পোস্টের মতো পোস্টের অবতারণা হবে।
আ. ব্যক্তিগত দ্বন্ধ বাড়বে আলোচনা করতে গিয়ে (আমাদের বাঙালি স্বভাব যেমন)।
ই. অনেক ভালো লেখা মিস হবে।
ঈ. নতুন ব্লগারদের বিকাশের জন্য অন্তরায়। অন্তত যারা একেবারে আনকোরা ব্লগার। এটা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
উ. বাঙলা ব্লগীঙে এলিটিজমের চর্চা বেড়ে যাওয়া।
===============================
আমরা বন্ধুর বর্তমান অবস্থা আমার সচলায়তনের অনুকরণ মনে হচ্ছে। এটা নিছক ব্যক্তিগত উপলব্ধি। সচলায়তন অনেক সমৃদ্ধ, তাদের নিজস্ব স্থান তৈরী হয়ে গেছে। আমরা বন্ধু তাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু তার জন্য তাদের মতো করে চলাই উত্তম। সচলায়তন লেখকসংঘের ব্লগ- আর আমরাবন্ধু ব্লগারদের ব্লগ। এমনো হতে পারে যে সচলায়তনকে ছাপিয়ে যাওয়ার জন্যই এমন নীতি। কিন্তু এখানে সবাই তো লেখক না, অনেকে ব্লগার- ব্যক্তিগত আবেগে লিখে। আজকে ডুয়েলিঙ পোস্ট বন্ধ করা হলো, কালকে লেখার মানের কথা তুলে ধরে আড্ডা পোস্ট বন্ধ হবে, পরের দিন ছড়ার পোস্ট বন্ধ হবে। বিন্ধু থেকে সিন্ধু।
================================
এখানে আমি ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা বলছি। দায়ভার আমার, ভুল আমার-ও হতে পারে। এরজন্য আমাকে বা আমার সাথে অন্য কাউকে জড়িয়ে প্রতিপক্ষ বানানো ভুল জিনিস।
================================
ডুয়াল পোস্ট বিষয়ক প্রস্তাবনায় আমার একটাই প্রস্তাব- আমি ডুয়াল পোস্টের বিরোধী। সামুতেই যদি সব লেখা পড়ে ফেলতে পারি তাহলে এবিতে কেন আসবো আমি পড়তে? তাহলে তো বাংলা ভাষায় একটা ব্লগ থাকলেই হয়।
একেকটা ব্লগের চেহারা ভিন্ন, আচরণ ভিন্ন, রুচি ভিন্ন। সেই রুচির ভিন্নতাই দেখা যায় নীড়পাতায়। তাই আলাদা আলাদা ব্লগের নীড়পাতা স্বতন্ত্রই রাখার পক্ষে আমি।
সচলায়তন ট্যাগিংটার ব্যাপারে আপত্তি জানালাম। আপনাকে যদি বলি আপনার আচরণ গরুর মতো, আপনার সেটা ভালো লাগবে? এধরনের ট্যাগিং ছাড়া তর্ক করুন। নয়তো নিজেকেও ট্যাগই বহন করতে হবে।
সামুতে সব লেখা হয় না, কিছু থাকে সচলে কিছু এখানে কিছু অন্যত্র। তারচে' বড় কথা হলো ব্লগারদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়া। ফলে সবাই কমবেশি অন্য ব্লগিঙসাইটে যায়।
আর একটা লেখা এক জায়গায় পড়লে আরেক জায়গায় পড়া-ও যায়। উদাহরণ দিই, আমি বনলতা সেনের উপর একটা লেখা দিয়েছিলাম, সচলে। খুব পরিচিত একজন মন্তব্য করেছিলো ভাললাগা সম্পর্কে। পরে সামুতে পোস্টটিতে দিলে তিনি আবার মন্তব্য করেন এবং একটি তথ্যগত ভুল ধরিয়ে দেন, তার সাথে একটু আলোচনা-ও হয়; পরে তিনি পোস্টটি প্রিয়তে নেন। এখানে লক্ষণীয় যে সচলে সে দায়সারা মন্তব্য করেছে; সামু তার জন্য স্বস্তিদায়ক বলে (যেহেতু তার নিক আছে) সে বিস্তারিত মন্তব্য করেছে।
অনেক সময় পোস্ট এখানে না পড়া হলে-ও অন্যত্র পড়া হয়। এইটাই ডুয়েলিঙ পোস্টের বড় ব্যাপার। আমি হিমালয়ের যে গল্পটি প্রথমপাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিলো সেটা পড়ছিলাম, কিচেনে গিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে এসে দেখি পোস্ট নেই; পরে অন্যত্র পড়েছি। এখন পোস্টটি এখানে থাকলে একটা আলোচনা হতো।
অনেক ব্লগার আছেন কেবল এখানেই ব্লগিঙ করেন। তাদের মতামত-ও জানা যায় ডুয়েলিঙ পোস্টের কারণে। ডুয়েলিঙ পোস্ট বাতিল করে আমরা আমাদের ব্লগীয় পরিচিতিকে সংকীর্ণ করে ফেলছি। গড়ে তুলছি মনোপলি ভাবধারা, ক্ষমতায়ন।
এই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় কাজী সোহেলের প্রথম মন্তব্য থেকে উদ্ধৃতি:
এখানে কি কাজীর ডুয়াল পোস্ট বিরোধী মত স্পষ্ট নয়?
আর কতো স্পষ্টভাবে বললে মনে হবে যে কাজী ডুয়াল এবং রিপোস্টের বিরোধীতা করছে?
এখানেও ডুয়াল পোস্টের বিরোধীতাই। একান্তই প্রয়োজন মনে করলে লেখককে লেখা সংস্কার করে অন্তত দিতে বলছে, তবু ডুয়াল পোস্ট না...
এটা তো বিশেষ পরিস্থিতির বেলায় প্রযোজ্য। মূল প্রস্তাবনায় না।
খুব খিয়াল কইরা... ডুয়েল পোস্টের শুধু বিরোধীতা না, একেবারে খড়্গ নীতি সমর্থন করছে কাজী সোহেল। এতো স্পষ্ট, তবু বুঝতে পারছেন না!
ডুয়াল পোস্ট বিষয়ে আরো স্পষ্ট বিরোধীতা সম্ভব!
এটাও কেবল বিশেষ পরিস্থিতির ক্ষেত্রেই।
এবার কি বুঝাতে পারলাম?
শুরুতেই একটা খন্ডিত বক্তব্য কইলেন। মূল বক্তব্য ছিলো,
মানলাম সে যা কইছে এইখানে সেইটা ডুয়্যাল পোস্ট নিরুৎসাহিত করতেই কইছে। সে পোস্টের মৌলিকত্বের পাশাপাশি যেইটা কইছে সেইটা হইলো মেরিট বিবেচনার কথা, এখন মেরিট বিবেচনায় যদি ডুয়্যাল পোস্টিং হয় তাইলে তার বক্তব্য জানাটা জরুরী। রোবটের বক্তব্য ছিলো এইটা...নীতিমালার এই জায়গাটা নিয়া মূল তর্কের শুরু হইছিলো।
এই বক্তব্য যদি সঠিক হয় তাইলে রিপোস্ট কইরা দেয়া পোস্ট জায়েজ হয়। সেইটা হয়তো ডুয়্যাল পোস্টিঙের নীতিমালার লগে মিলে, কিন্তু আমি কদ্দূর পালিশ করুম, কয়টা বক্তব্য ভার্নিশ করুম সেইটা কি নীতিমালায় উল্লেখ করার প্রয়োজন পড়েনা?
এইটা যদি অনুমোদিত হয় তাইলে অবশ্যই ডুয়্যাল পোস্টিং নিয়া নীতিমালার ধারাটারে পাল্টাইতে হইবো। কারণ মানুষের একটা পোস্ট সমসাময়িক বিষয় হওয়া সত্ত্বেও প্রথম পাতা থেইকা সরানো হইছে কয়দিন আগে কেবল নীতিমালায় এই বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য না থাকনে।
শর্ত মানলে খিয়াল কইরেন যে সে ডুয়্যাল পোস্টিঙের বিরোধীতা করে নাই...
এইখানেও আপনে খন্ডিত বক্তব্য উল্লেখ করলেন...উনি একটা সুনির্দিষ্ট চরিত্রের মানুষের কথাই কইছেন এইখানে। পরে আমার সাথে আরেক মন্তব্যে উনি এই চরিত্রের ব্লগারগো স্পষ্ট উল্লেখও করছেন। কিন্তু এই চরিত্রের বিপরীত ধরনের ব্লগার হইলে কি হইবো সেইটা উনি কন নাই...ধইরা নিলাম তবু এইটা উনার লেখার সীমাবদ্ধতা।
এই বক্তব্যেও উনি স্পষ্টতঃ নীতিমালা সংষ্কারের কথাই কইলেন। নীতিমালায় না থাকলে আপনি এইটারে কোন ব্যখ্যা দিয়া ডুয়্যাল পোস্টিং হয় নাই বইলা দাবী করবেন?
আমি শুরুতেই কইছি সোহেল কাজী ডুয়্যাল পোস্টিং বিষয়ে নীতিমালা সংস্কারের কথা কইছেন কোন জায়গাতে আপনের মনে হয় সেইটা উনি কন নাই?
ভাস্কর'দা, উপ্রে একটা কমেন্ট দিছি খেয়াল কইরেন।
আমরা বন্ধু একটি নবীন সাইট। এখন আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি নতুন ব্লগ সাইটে মানুষ কেন আসবে? তখন উত্তর হতে পারে সাইটের মৌলিকতা ও পোষ্টের সৃজনশীলতার জন্যই আসবে। যখন এখানে সম্পূর্ণ মৌলিক লেখা আসতে থাকবে তখন বিভিন্ন ফোরামের ব্লগার যারা আশেপাশের পরিমণ্ডল সম্বন্ধে সচেতন তারা দৈনিক এইখানে একবার ঢু মারতে বাধ্য হবে। একটা ব্লগিং সাইট যতোবেশী মৌলিক ততোবেশী সমৃদ্ধ। দ্বিতীয়ত লেখা শুধু মৌলিক হলেই চলবেনা লেখার মেরিট থাকা চাই যা অপরকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা রাখে।
এইখানে ডুয়েল পোষ্টের ব্যাপার নাই বস, মানুষ নতুন সাইটে কেন আসবে সেটা বলছি
উপরের করা কমেন্টে মনে হয় আমার বক্তব্য আর ক্লিয়ার কাট হইছে।
আপনার এই মন্তব্য পড়ার প্রয়োজন বোধ করলাম না। কারণ সোহেল কাজী কী বলতে চাইছে তা বোধহয় আমার আপনার চেয়ে সে নিজেই ভালো জানে। নিচে সোহেল কাজীর মন্তব্যটা পড়েন।
তারপরেও যদি আপনি সোহেল কাজীর মন্তব্যের কান্ধে আপনার ধারণার জোয়াল তুলে দিতে চান, তাহলে হয়তো কিছু বলার থাকবে না।
সোহেল কাজী কি কইতে চাইছেন সেইটা মনে হয় ভালো কইরা পইড়া আসাটা জরুরী আপনের...তার শেষ কথা হইলো,
আমরা নিশ্চয়ই নিজেগো অহমিকা রাখনের লেইগা সোহেল কাজীরে সত্য প্রমাণ করতে চাই না? কি কন?
ঠিক একই কথা আমি আপনারে শুরুতেই বলছি, এখনো বলতেছি। একটু ভালো কইরা পইড়া আসেন আপনে, এইটা অতীব জরুরী।
শেষটুক না, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন...
আমার বক্তব্য ছিলো,
আর সোহেল কাজীর জবাব,
এইখানে কোথায় নীতিমালায় উল্লেখিত নীতির সংস্কারের প্রস্তাবটা নাই সেইটা আমারে বুঝাইয়া দিতে হইবো। মনে হয় সোহেল কাজীর বক্তব্যের পর আমার আর কিছু বলার নাই...
ভাস্করদা,
উপরে মন্তব্যের ছড়াছড়ি... জবাব দিয়ে কুলাতে পারছি না। অনেক মন্তব্য চোখের আড়ালেও থেকে যাচ্ছে। এদিকে সকাল হয় হয়। আমি আমার ভাবনার একটা সারাংশ টানি। শুরু থেকে।
আমার মনে হইছে সোহেল কাজী প্রথম মন্তব্যে সরাসরি ডুয়াল পোস্ট বিষয়ে নীতিমালার কঠোর বাস্তবায়নের পক্ষেই মত দিছে। [কোথায় কোথায় সেটা আছে, তা আগে একটা মন্তব্যে জানাইছি]
তারপর কিছু বিকল্প প্রস্তাব দিছে, যা জরুরী পরিস্থিতির জন্য প্রযোজ্য। আপনি এই আপতকালটারেই নীতিমালার সংস্কার প্রস্তাব বিবেচনা করতেছেন। এইখানেই আমার দ্বিমত।
জরুরী অবস্থায় আবার নিয়ম কী? আপতকালে কোনো আইনই প্রযোজ্য না, থাকে না কোনোকালে। ব্যাঙ্কে যান, নানারকম নিয়ম... লাইন ধরে দাড়িয়েঁ আছে সবাই, অথবা বসে আছে। এটা হলো নিয়ম।
কিন্তু এখন সেখানে আগুন লাগলে কী হবে? এই নিয়ম থাকবে? ঐ জরুরী পরিস্থিতিতে কী করতে হবে সেটা নিয়মের বহিতে লিখা আছে? সেটা অবস্থা অনুযায়ীই ব্যবস্থা হবে।
যদি জরুরী কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন সেটার ব্যবস্থা নিশ্চয়ই তৈরি হবে। কিন্তু সেটা নীতিমালায় অন্তর্ভূক্ত করাটা প্রয়োজনীয় না। জরুরী অবস্থার দোহাই দিয়ে নীতিমালায় ডুয়াল পোস্টিং জায়েজ না হোক। এই কামনা করি।
আর যেহেতু কাজীর সংস্কার প্রস্তাব জরুরী অবস্থা কেন্দ্রীক, তাই নীতিমালা অক্ষত রাখার পক্ষে আমার অবস্থান পুনর্বার ব্যক্ত করলাম।
সোহেল কাজীর বক্তব্যে দুইটা জরুরী অবস্থার কথা বলা হইছে। একটা হইলো সমসাময়িক আরেকটা জনগুরুত্বপূর্ণ, আমি উদাহরণ দিয়াই দেখাইলাম মানুষের একটা পোস্ট যেইটা সমসাময়িক ছিলো...তার একটা অনুরোধও ছিলো সেই পোস্টের নীচে। সেই পোস্ট বর্তমান নীতিমালায় প্রথম পাতা থেইকা সরাইয়া দেওয়া হইছে।
আমি মনে করি সোহেল কাজীর বক্তব্যে নতুন ব্লগারগো আকর্ষণের তরে কেবল ডুয়্যাল পোস্টিঙের বিরুদ্ধে মাজেজা তৈরী হইছে।
আমি এখনো মনে করি, আমার প্রথম মন্তব্যে এইটা বলছিলামও, একটা কমিউনিটি ব্লগ কেবল ডুয়্যাল পোস্টিং বন্ধ কইরা দাঁড়ায় না। ডুয়্যাল পোস্টিং একটা ব্লগ জনপ্রিয় হওনের লেইগা কোন ফ্যাক্টরই না। যুক্তির এই জায়গাটা কেউই আপনেরা ধরনের চেষ্টা করেন নাই। যখন আমি নিজের অবস্থান একটু ছাড় দিয়া সোহেল কাজীর বক্তব্য বিষয়ে কইছি যে তার বক্তব্যে সহমত হওয়া মানে ডুয়্যাল পোস্টিঙের পক্ষে যাওয়া না। তখন মূলতঃ আলোচনায় আসছেন। কারণ আমি দেখাইছি যে ডুয়্যাল পোস্টিঙের ব্যাপারে তার বিকল্প অবস্থানও আছে। তার মানে আপৎকালে ক্রমাগত ডুয়্যাল পোস্টিং শুরু হইলে কর্তৃপক্ষ কি পদক্ষেপ নিবো? কমিউনিটি ব্লগে এইসব জায়গা পরিষ্কার থাকতে হয়। নমনীয়তা মানে কি? কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কারা তৈরী করবো কোন উদ্দেশ্যে তৈরী করবো এই বিষয়গুলি অনেক ভেইগ। আমারই ধরেন ডুয়্যাল পোস্টিঙের ব্যাপারে ভিন্ন অবস্থান আছে...এই পোস্টে দেখলাম আমি ছাড়াও রোবট, শাওন৩৫০৪, আহমেদ রাকিব, আশরাফ মাহমুদ এই পাঁচজন কর্তৃপক্ষীয় এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছে। যারা মতামত দিছে তাগো প্রায় এক তৃতীয়াংশ সংখ্যাটা। এর বাইরেও অনেকেই আছে এই অবস্থানে। সুতরাং বিষয়টারে সুনির্দিষ্ট আলোচনার টেবিলেই চড়ানের প্রয়োজন পড়ে। আগের বার উন্নয়ন কর্মীর এক পোস্টে আলোচনা কইরা এইরম একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত টাননটা ভালো দেখায় না।
আর আমার যদ্দূর মনে পড়ে ঐ পোস্টের আগেই কর্তৃপক্ষীয় ঐ সিদ্ধান্ত নেয়া হইছিলো। যেইটা কারো মতামতের ভিত্তিতে তৈরী হয় নাই। যারা শুরু করছিলো তাগো মধ্যে হয়তো কেউ কেউ এইটা চাইছিলো...কিন্তু যৌক্তিকতার নিরীখটা কি সেই বিষয়ে আমি নিজে এখনো কনভিন্সড না।
এই পোস্টে এই বিষয়টা অসমাধিতই রইলো, কারণ আমার প্রথম কমেন্ট এখনো জবাব শূন্য'ই আছে...
এইখানে তো কোনো যুক্তিই পাইলাম না, আপনার সিদ্ধান্ত জানলাম কেবল। যুক্তিটা কোথায়?
কথা হান্ড্রেড পার্সেন্ট সত্য। আপনি আগাগোড়া খেয়াল করে দেখেন, মূল পোস্ট নিয়া আমি কথা কই নাই। অন্য কারো মন্তব্য নিয়া কথা কই নাই। এমনকী এই পোস্ট বিষয়ে আপনার মন্তব্য নিয়াও না।
আমি সোহেল কাজীর মন্তব্যে সহমত ঘোষণা করছি। এবং এই মন্তব্য নিয়াই আগাগোড়া তর্ক করে গেছি।
আমি তো আপনার পয়লা মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়াই জানাই নাই। আপনার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া না জানানোটারে নিশ্চয়ই আমার অপরাধ বিবেচনা করবেন না?
আপতকালে কী হবে, সেই বিষয়ক মতামত অন্য প্রশ্নের জবাবে দিছি, একটু কষ্ট করে দেখে নেন। আপতকাল ছাড়া বাকী জায়গারে আমার কাছে অপরিষ্কার মনে হয় নাই। নমনীয় হওয়ার দরকার দেখতেছি না কর্তৃপক্ষের। তাই এর মানেও খুঁজতে আগ্রহী না
আলোচনাই তো চলতেছে... আমি আলোচনা চালায়া যাওনের পক্ষে... চলুক আলোচনা।
আপনার পয়লা কমেন্ট কী লিখছিলেন এখন মনে করতে পারতেছি না, এই মুহূর্তে পড়তেও ইচ্ছা করতেছে না সেটা। আমরা আজকে রাতে সোহেল কাজীর মন্তব্য নিয়ে আলাপ করলাম। সারারাত আলাপ শেষে আপনে জানাইলেন আপনের মন্তব্যের জবাব না দিলে এই আলোচনা অসমাধিতই থাকবো।
বস... এই কথাটা শুরুতেই কইতেন, তাইলে কাজীর মন্তব্যর গুল্লি মাইরা খালি আপনের মন্তব্য নিয়াই আলাপ করতাম।
এই বিফল রজনী আমি কোন প্রাতে ফেলি?
ঠিকাছে বস... আপনার সাথে আলোচনা করতে ভালো লাগে। অনেক কিছু শিখি। আজকে আপনার পয়লা মন্তব্য পড়ে আর নতুন করে আলোচনার শক্তি নাই। সারাদিন একটু দুধকলা খেয়ে নেই, আগামী রাত আবার আলোচনায় কাটুক। আমিন।
খালি একটাই অনুরোধ, আগামী সমস্তটা রাত আলোচনার শেষে ভোরবেলা নতুন করে বইলেন না যে 'অমুকটা নিয়া জবাব পাই নাই, তাই এই বিষয়টা অসমাধিতই রইলো'।
ভালো থাইকেন বস...
আমি তো আপনার পয়লা মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়াই জানাই নাই। আপনার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া না জানানোটারে নিশ্চয়ই আমার অপরাধ বিবেচনা করবেন না?
বুঝতেই পারছেন যে তর্কে কোন দিকে যাইবো। আর তাই আমার বারবার কইতে চাওয়া বিষয়টারে এড়াইতে তর্ক এইভাবে করতেছেন। আমার প্রথম মন্তব্য যেহেতু যুক্তির জায়গা থেইকা করা সেইটারে না ধইরা অন্য জায়গার খাবলা খাবলা কথা নিয়া কিছু বলতে চাওয়ার চেষ্টা করতেছেন ক্যানো বুঝতেছি না। আর আমার মূল মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া না জানাইয়া ঐ মন্তব্যের তস্য ধারাবাহিকতায় ভিন্ন সময়ে করা মন্তব্যের বক্তব্য ধইরা তর্ক করাটা একটা বাজে কৌশল।
আমি প্রথমে যেই মন্তব্য করছি সেই মন্তব্য পড়ার প্রয়োজনটাও আপনের নাই...এর লেইগাই আগে একবার কইছি টুটুলের মন্তব্য বিবেচনায় এইবার আপনেরে কইলাম, যে আপনে এবং এই ব্লগের অনেক কর্তৃপক্ষীয় স্বরে কথা বলা মানুষেরা আমার চাইতে ভালো বুঝেন, আপনেগো কাছে আমার বলা কথারে যেহেতু অহেতুক লাগে সেহেতু ঐ মন্তব্য পইড়া মন্তব্য করতে না চাওয়াটাই স্বাভাবিক।
আপনের এবং আরো অনেকের এই কর্তৃপক্ষীয় স্বরের জায়গায়, যুক্তি না কইরা অন্যের মতামত না নিয়া নীতিমালা বানাইয়া ভালো থাকেন। আমি বুঝতে পারি এই জায়গাটাও আমার না। আপনের এবং আরো অনেকের স্বরে আমি ঘরপোড়া গরু আসলেই বহুদূর দেখি। আমার আর অন্য কোন ঘরে গিয়া পুড়নের বা লোক হাসানের আগ্রহ নাই।
ভালো থাইকেন...
সারারাতই আলোচনা হইছে সোহেল কাজীর মন্তব্য নিয়া। কাজীর মন্তব্য বুঝতে হলে আপনার আগের করা মন্তব্য পড়তে হবে কেন?
আপনার মন্তব্য নিয়ে আজকে আলোচনা চলবে, সেটা তো কইলামই আপনেরে। তবে এখন না বস, একটু রুটি রুজি কইরা লই। রাইতে আবার শুরু হোক।
আবারো বলতেছি, আপনার মন্তব্য নিয়া কোনো কথা হয় নাই। কাজীর মন্তব্যে বেশিরভাগ লোকে সহমত পোষণ করছে, আপনি কাজীর বক্তব্যরে একরকম ব্যাখ্যা করছেন আমি করছি অন্যরকম ভাবে। সেটা নিয়া আলাপ চলছে। এখানে কোথাও খাবলা দেওয়া হয় নাই।
নাকি আপনে কইতে চান আপনি আপনার মূল মন্তব্যেই ঠিক কথা কইছেন, বাকী মন্তব্যগুলাতে আপনার কোনো দায়িত্ব নাই?
আমি এই পোস্টের নিরীখে আমার প্রতিটা মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য, তস্যমন্তব্যের দায় নিবো। কারন এগুলার সবই আমার নিজের কথা।
প্রতিপক্ষের কৌশলরে বাজে বইলা রায় দেওয়াটা আপনার একটা বাজে প্রবণতা। একধরণের বাজে কৌশলও বটে।
আমার সবগুলো মন্তব্যর মধ্য থেকে কোনটা আপনার কাছে কর্তৃপক্ষীয় স্বর মনে হইছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবী করছি।
এখানে আমি সম্ভবত তৃতীয় বা চতুর্থবারের মতো অনুরোধ করছি, আমার বক্তব্যের জবাব আমারেই দেন। অন্য কারো সাথে গুলাবেন না। আপনি আশরাফের দায় কাধেঁ নিতে রাজী না, তাহলে আমার কাধেঁ বার বার অনুরোধ করার পরও কেন অন্যের দায় চাপাচ্ছেন?
শেষবারের মতো প্রবলভাবে আপত্তি জানাচ্ছি।
আমার সাথে তর্ক চলছে আপনার, সেখানে কেন আপনি বার বার কর্তৃপক্ষকে টেনে আনছেন? কেন আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা করছেন? আমার সাথে আলাপ করেন, কর্তৃপক্ষরে কিছু বলতে চাইলে তাগোরে কন।
"যুক্তি না কইরা অন্যের মতামত না নিয়া" বলতে আপনি কী বুঝাইলেন? তাইলে সারারাত কী কথা হইলো?
আপনের মতামত মানলেই সেটা অন্যের মতামত মানা হবে, তাতে যে আমার মতামত জলে যাচ্ছে? নাকি দুনিয়ার সবাইরে আপনার মতাদর্শে বিশ্বাসী হতে হবে?
সোহেল কাজী যে এই বাক্যে ডুয়্যাল পোস্ট নিয়া কিছু কইতে চান নাই, সেইটা নিশ্চয়ই আমার আর আপনেগো জোর কইরা বুঝাইতে হইবো না আশা করি?
আপনি আবারো 'আপনাগো' শব্দটা কেন ব্যবহার করলেন জানতে চাই। সিরিয়াসলি জানতে চাই। আপনি নিজে আপনারে আশরাফ বা অন্য কারো সাথে মিলাইতে নিষেধ করছেন, সেই প্রেক্ষিতে আমি আপনেরে মাইনা বহু আগে ঘোষণা দিছি আমি যখন আপনার মন্তব্যের জবাব দিবো, তখন আপনার সঙ্গেই কথা বলবো। আপনাকে কোনো দলে ফেলবো না।
অথচ আপনি নিজে আমারে কোনো এক অদৃশ্য কারো সাথে মিলায়া 'আপনাগো' ডাকতেছেন... এইটা প্রবল ভাবে আপত্তিকর বস...
আপনেগো কইতে আমি টুটুলরেও একই জবাব দিতেছি। সে যদিও এখন জাইগা নাই কিন্তু তার কমেন্টের প্রেক্ষিতেই আমার এই আলোচনার শুরু হইছিলো। আমি কোন অদৃশ্য মানবের সাথে আপনেরে মিলাইতেছিনা। যদি না আপনে টুটুলরে এই মুহুর্তের অনুপস্থিতির লেইগা অদৃশ্য মানব কইতে চান। আর যদি সেইটাতেও আমার ভুল বোঝা থাকে তাইলে আপনেগো গুলি একটু কষ্ট কইরা আপনেরে
পইড়া নিবেন, আশা করি এইটুক দাবী আমি সম্পর্কের খাতিরে করতে পারি...
আর আশরাফ মাহমুদের লগে আমার যোগাযোগ কদ্দূর সেইটাও স্পষ্ট...তার লগে আমারে ট্যাগ করা আর টুটুলের লগে আপনেরে ট্যাগ করা যে এক অর্থ বহন করে না সেইটাও আশা করি বুঝবেন।
না, শেষ বিচারে হয়তো আমি টুটুল ভাইয়ের দায় নাও নিতে পারি। অথবা আমি যে এই সারারাত ধরে বকবক করলাম, তার দায় টুটুল ভাই নাও নিতে পারে তাই না? আমার অনুরোধ থাকবে আপনি আমাকে কিছু বললে আমাকেই বলুন।
আমি অনেক আগেই আপনাকে এবং আশরাফকে আলাদা করে ফেলেছি।
সম্পর্কের খাতিরটাও এখান থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধই করবো আপনাকে।
এখানে একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা চলতেছে। সেটা তার মতো করে চলুক, আপনি যুক্তি দেন, আমি যুক্তি দেই। আপনার যুক্তি সঠিক মনে হলে আমি মেনে নিবো। এই মানসিকতা নিয়েই আমি আলোচনায় বসেছিলাম, এখনো একই জায়গায় আছি।
এই আলোচনায় কোনো কিছুই আমার আপনার ব্যক্তিগত না। আমি মনে করি এখানে যা খুশি তাই হোক, সেটা আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের বাইরেই হবে। একটা ব্লগ, তার নীতিমালা, তা নিয়া আলোচনা... এসবের ভীড়ে আপনার আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে না জড়াই।
[মানলাম সে যা কইছে এইখানে সেইটা ডুয়্যাল পোস্ট নিরুৎসাহিত করতেই কইছে। সে পোস্টের মৌলিকত্বের পাশাপাশি যেইটা কইছে সেইটা হইলো মেরিট বিবেচনার কথা,
। রোবটের বক্তব্য ছিলো এইটা...নীতিমালার এই জায়গাটা নিয়া মূল তর্কের শুরু হইছিলো]
ভাস্কর'দা, আপনে যখন মেরিটের সাথে ডুয়েল পোষ্টের স্বম্পর্ক করছেন এবং মেরিটের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইছেন সুস্পষ্ট, তখন মেরিটের অংশটা বোল্ড করছিলাম।
আমার কথাটা আবার বুঝেন,
আমরা বন্ধু একটি নবীন সাইট। এখন আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি নতুন ব্লগ সাইটে মানুষ কেন আসবে?
তখন উত্তর হতে পারে সাইটের মৌলিকতা ও পোষ্টের সৃজনশীলতার জন্যই আসবে। মৌলিকতা আর সৃজনশীলতা আলাদা জিনিস। (মৌলিকতা ডুয়েল পোশটের সাথে যায়, আর সৃজনশীলতা মেরিটের সাথে যায়
[যখন এখানে সম্পূর্ণ মৌলিক লেখা আসতে থাকবে তখন বিভিন্ন ফোরামের ব্লগার যারা আশেপাশের পরিমণ্ডল সম্বন্ধে সচেতন তারা দৈনিক এইখানে একবার ঢু মারতে বাধ্য হবে। একটা ব্লগিং সাইট যতোবেশী মৌলিক ততোবেশী সমৃদ্ধ। ] {এইখানে প্রথমত আসছে}
দ্বিতীয়ত লেখা শুধু মৌলিক হলেই চলবেনা লেখার মেরিট থাকা চাই যা অপরকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা রাখে। (মেরিট জিনিসটা অনেক কিছুর উপর ডিপেন্ড করে)
এইখানে দ্বিতিয়ত আসছে, একটু খেয়াল কইরা।
এখান থেকে আপনি দ্বিতিয়তটা প্রথমটার সাথে গুলায়া ফালায়া ফেললেতো চলবে না বস। দ্বিতিয়তটা একটা আলাদা স্টেপ রিপ্রেজেন্ট করে যা প্রশ্নের সাথে রিলেটেড
[আমার কেঞ্জানি মনে হইতাছে হুদাই বাহাস করতেছি, যাক গেলারীতে রিটান করলাম, দেখি আপনেরা কদ্দুর আলাপ করতে পারেন]
আপনে যা বুঝাইতে চাইছেন সেইটা বুঝাইলে আমার বুঝতে কোন সমস্যা নাই। আপনে ডুয়্যাল পোস্ট বিষয়টারে ব্লগারগো আমরা বন্ধু থেইকা নিরুৎসাহিত করবো বইলা কইতে চান এইটা আমি আগেও মানছি। মাইনাই রোবটের বক্তব্যের বিষয়ে কইছি। কারণ মূল তর্কের সূত্রপাত ঐ আলোচনা থেইকাই।
আমি কিন্তু আপনেরে শূরুতে এই বক্তব্যের বেলায় ভুল বুঝলেও পরে নজরুলের উল্লেখের পরে আমার সিদ্ধান্ত পাল্টাইছি।
কিন্তু রোবটের বক্তব্য নিয়া আলোচনার সুযোগটাও আমি রাখতে চাই। কারণ যদি ডুয়্যাল পোস্টিং অথচ মেরিট সম্পন্ন পোস্ট হয় তাইলে পাঠকের বা নতুন ব্লগারের আমরা বন্ধু সাইটে বিচরণের বেলায় কি সিদ্ধান্ত হইবো সেই বিষয়ে আমি এখনো পরিষ্কার না। কারণ আমি অন্য কোন ব্লগে যাই না। এই ব্লগে যদি কোন ভালো মেরিট সম্পন্ন পোস্ট আসে যেইটা অন্য ব্লগেও দেওয়া হইছে সেইটা প্রথম পাতায় না আসলে আমি মিস করতেও পারি। কারণ সব ব্লগারের ব্যক্তিগত পাতা দেখনের স্কোপতো আর সবসময় আসে না...
আমরা যেহেতু সারারাত সোহেল কাজীর মন্তব্য ধরেই তর্ক করলাম। এবং ভাস্করদা এই বাক্যটা কোট করলেন... তাহলে এটা ধরেই বলি...
পৃথিবীতে যদি কোন বিশুদ্ধ নীতিমালা না থাকে, তাইলে তো এবিরটাও বিশুদ্ধ হবে না। যতোই সংস্কার করেন, বিশুদ্ধ হবে না। তাইলে সংস্কার প্রস্তাব আসতেছে কেন?
আমরা যদি অশুদ্ধ নীতিমালারেই শীরোধার্য করি, তাইলে অশুদ্ধই থাকুক। বার বার বদলায়ে অশুদ্ধ করার দরকার কী?
সকালে পুরা পোস্ট পৈড়া মনে হইলো হুদাই এক জায়গায় জিনিসটা ঘুরতাছে।
কে কি বলতে চান সেইটার সারমর্ম দেন।
-- আমি ডুয়াল পোস্টের পুরা বিরুদ্ধে
ব্লগের বয়স একটু বাড়লে বোধহয় এরকম একটা বিতর্ক হয়।
রীতিনীতি নিয়ে কথা বলা আমার পোষায় না। আমি কখনো কোন ব্লগের নীতিমালা পড়ে দেখি নি। ফ্রী ল্যান্সার কাকস্য ব্লগারদের কোন রীতিমালা বা নীতিমালার দরকারও নাই। তাই ওটা নিয়ে কোন কথা নেই।
বেশীরভাগ ব্লগার নীতিমালা না পড়েই ব্লগায়। এডমিনের সতর্কবানী পেলে বুঝে যায় ভুল পথে যাচ্ছে। তখন রাস্তা ঠিক করে নেয়।
উদাহরন দেই। সচলে দেয়া আমার প্রথম লেখাটি ছিল একটি ডুয়েল পোষ্ট। লেখাটা ছাপিয়েছিল ওরা। কিন্তু মডুরাম সতর্ক করেছে পরবর্তীতে যেন নতুন লেখা দেই। বুঝে গেলাম কি করনীয়। এরপর থেকে যে কোন ব্লগে নীতি না পড়লেও রীতিটা বুঝে নিয়ে লেখা পোষ্টানোর চেষ্টা করি। আর কিছু দেখি না।
হক মওলার দুইন্যাতে এত কিছু ভাবার টাইম কই?
সহমত , আশরাফ মাহমুদ
আমি ডুয়েল পোষ্টিংয়ের পক্ষে
এবি যদি তা’ না চায়
ইটস ওকে ।
আপনার স্পিরিটরে সালাম।
ধন্যবাদ @ হাসান রায়হান ।
ওফ পাবলিক এতো প্যাচাল পারতে পারে!!!
শেষ পর্যন্ত কী পাইলাম এই প্যাচালে?
কেউ একজন সারমর্মটা আপলোড করলেই হয় কমেন্টে
সমাপনী মন্তব্য:
এখানে যারা ব্লগিঙ করছেন কিংবা যারা সাইটটি চালাচ্ছেন তারা অন্যত্র ব্লগিঙ করেছেন- বিশেষ করে সামহয়্যার-ইন-ব্লগে। সেখানকার সমস্যা ছিলো অস্বচ্ছ মডারেশন- আরো গভীরে গিয়ে বললে বলা চলে মডারেশনে পক্ষপাতিত্ব, গৃহপালিত ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া এবং সাধারণ ব্লগারদের বক্তব্যকে মূল্য না দেয়া।
এখানে-ও সাধারণ ব্লগারদের মূল্য দেয়া হচ্ছে না।
বুঝতে পারছি, লংকায় যে যায় সেই রাবন। সবচে' বিস্মিত হচ্ছি সেইসব ব্লগারদের গ্যালারীতে বসে মজা দেখা- যারা একদিন অন্যত্র কর্তৃপক্ষের ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, সাধারণ ব্লগারদের পাশে দাঁড়াতেন। প্ল্যাটফর্ম পাল্টে গেলেই মানুষ পাল্টে যায়? হায়!
এই ব্লগে যতদিন পর্যন্ত ডুয়েল পোস্ট অ্যালাউ করা হবে না ততদিন পর্যন্ত আমি কোন পোস্ট দিবো না, এটা আমার নিরব প্রতিবাদ। যেমনটি অন্য অনেক ব্লগার অন্য ব্লগসাইটগুলোতে করছেন।
আপনারা, যারা খুব হিট চান, তারা মৌলিক এবং মেরিটঅলা পোস্ট দিয়ে প্রথমপাতাকে স্বতন্ত্র রাখুন- বিকশিত করুন এলিটিজম- সাধারণ ব্লগারদের গলাটিপে ধরা। বিকল্প অনেক আছে, সবাইকে একদিন খুঁজে নিতে হয়।
"আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ বসে অপেক্ষা করবার অবসর আছে।
জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক; আমি প্রয়োজন বোধ করি না"
খুদাপেজ।
আবার ফিরা আইলে তখন আবার নতুন কইরা স্বাগতম জানামু কথা দিলাম ।
আশরাফ, আপনার সমাপণী কমেন্ট দেখে লগ ইন করতে বাধ্য হলাম...
আপনি বলেছেন ''এখানেও সাধারণ ব্লগারদের মূল্য দেয়া হচ্ছে না'' ... এবি সাধারণ ব্লগারদের মূল্য দিচ্ছে কি না (তাদের ইচ্ছা/ প্ল্যান ) তা তারাই জানে তাই এ ব্যাপারে কোন কথা বলছি না...
আমার সমস্যা অন্য জায়গায়- আপনি লিখেছেন ''সবচে' বিস্মিত হচ্ছি সেইসব ব্লগারদের গ্যালারীতে বসে মজা দেখা- যারা একদিন অন্যত্র কর্তৃপক্ষের ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, সাধারণ ব্লগারদের পাশে দাঁড়াতেন। প্ল্যাটফর্ম পাল্টে গেলেই মানুষ পাল্টে যায়? হায়!''
- সামুতে আমিও কয়েকদিন গলা ফাটাইছিলাম তাই এই কথাটা আমার গায়ে লাগছে। না আশরাফ আমি গ্যালারিতে বসে মজা দেখছি না... ডুয়াল পোস্ট নিয়া এবি'র যেই নীতি তাতে আমার সুবিধা না হলেও আসুবিধাও হচ্ছে না... এছাড়া আমার ডুয়াল পোস্ট দেয়ার দরকার ও পরেনা... তাই এবি'র এই স্ট্যান্স নিয়ে আমার আপত্তি ও নেই। সো চুপচাপ আছি.. এখানে মজা দেখার বিষয়টি স্রেফ আপনার অনুমান।
তাছাড়া সামুতে মডারেশন হেনতেন নিয়া যদি কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে কি টাকে বাকি সব ব্লগেও প্রতিবাদে নামতে হবে (বিশেষত যেখানে সে পার্সোনালি কোন সমস্যাই দেখতে পাচ্ছে না)?? সামুর মডারেশন নিয়া আামার সমস্যা ছিল আমি প্রতিবাদ করেছি; এবি'র ডুয়াল পোস্টিং বিষয়ে আমার আপত্তি নাই তবু আমাকে কথা বলতে হবে এর বিপক্ষে?? সামুতে বলেছি বলে এবিতেও বলতে হবে এমন লজিকের আগামাথা খুজে পেলাম না
...
যেদিন এবি'র মডারেশনে সমস্যা খুজে পাবো প্রতিবাদ করব এইতো... আপনি এখন পেয়েছেন তাই এখন প্রতিবাদ করছেন... এইতো শেষ... আপনার সাথে গলা মেলাচ্ছি না এটাকে মজা দেখা বললে তো সমস্যা রে ভাই। কই আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হওয়া সত্বেও তো আমি একবারো বলিনি যে আপনার এই পোস্ট বা প্রতিবাদ ''স্রেফ জল ঘোলা করার ইচ্ছা থেকে প্রসূত''। বলিনি কারণ আমি জানি আপনার কাছে প্রয়োজন মনে হয়েছে , আপনার কাছে ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ তাই আপনি পোস্ট লিখে, কমেন্ট করে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। টাহলে আপনি কেন আমাকে ট্যাগ করছেন??!!!
আজকাল কোন কিছু তাই অপ্রয়োজনীয় মনে হইলে চুপ থাকি। এহেন আচরণরে কোন ধর্মপূত্র যুধিষ্ঠির যদি মজা দেখা বলেন এবং এইটার প্রেক্ষিতে আমারে জাজ করেন তবে আমি বলব যুধিষ্ঠির আপনার যুদ্ব আপনিই লড়েন, আমাকে আশা করলে বাশ খাবেন। আপনি একসাথে দশ জায়গায় নেচে বেড়াবেন, আর সেই নাচের মন্চ তৈরীতে আমি সাহায্য করুম সেই আশা ভুল। আমার একজায়গায় নাচলেই চলে - ''জীবনে বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা'' আমি সামান্যতেই পায়া যাই... তার জন্য এখানে ওখানে দশ জায়গায় যাওয়া লাগেনা... তাই আমি চুপ।
দয়া করে এত দ্রুত জাজ করবেন না... এইটা খুব-ই বিরক্তিকর এবং আউটরেইজাস... কই থিকা কে আইসা ফট করে বলে ফেলে মজা দেখতাছি...
আপনি মজা দেখছেন শব্দগুচ্ছে মনক্ষুণ হলে আমি দুঃখিত। অনেকে নিস্পৃহ বা নির্লিপ্ততা অবলম্বন করছেন, আপনি মনে হয় সে দলে; যাইহোক, আমার ভুল ছিলো শব্দচয়নে।
যুক্তি তো তাই বলে। আপনি একটি অন্যায় ঢাকায় হলে প্রতিবাদ করবেন না, কিন্তু চট্রগ্রামে হলে প্রতিবাদ করবেন তা তো না। একজন সাধারণ ব্লগারের (যে নতুন, বেশি লিখতে জানে না, পরিচিতি নেই) দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টা দেখুন। অনৈতিক মনে হবে, আমার মনে হচ্ছে; তাই প্রতিবাদ করেছি। অন্যায় প্রতিবাদ সবাই করুক তাই চাই।
এই পোস্টটি "'স্রেফ জল ঘোলা করার ইচ্ছা থেকে প্রসূত''' থেকে প্রসূত না হলে-ও ঘোলা জল থেকে প্রসূত বটে। কর্তৃপক্ষ আমার কোনো লেখা সরায় নি, ডুয়েলিঙ পোস্ট না করলে-ও আমি নিয়মিত ব্লগিঙ করতে পারবো যেহেতু আমি নিয়মিত লিখি; কিন্তু যারা ন'মাসে ছ'মাসে লিখে, কিন্তু ব্লগে সক্রিয় তাদের কথা ভাবুন। রোবট, হিমালয় এদের প্রতি কর্তৃপক্ষীয় আচরণের অহেতুক চর্চা ভালো লাগে নি বলে পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আশা ছিলো আলোচনা হবে, সবাই মতামত জানিয়ে একটা সিদ্ধান্ত আসবে। কিন্তু দেখেন, আমাকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে কয়েকজন ব্যাপারটাকে ব্যক্তিগত ব্যাপার বানিয়েছি উপরে।
অর্থাৎ, আপনি নিজে সমস্যা না খুঁজে পেলে প্রতিবাদ করবেন না? মানে আপনার ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস না পড়লে অস্তিত্ব স্বীকার করবেন না? একটা তো সুবিধাবাদী পক্ষ নেয়া হলো ভাইয়া। আপনি প্রতিবাদ না করেন, একটু ভাবুন, এইটুকু চাওয়া।
আমি দশ জায়গায় যাই, সময় ও সুযোগ মিলে বলে; আপনার হয় না আপনি যান না। এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি নাচ জানলে দশ জায়গায় নাচবো, নাচের স্থান ভালো হওয়া চাই। কিন্তু ভালো জায়গার আমন্ত্রণ দিয়ে বাঁকা উঠোন দেখালে খারাপই লাগবে। কমিউনিটি ব্লগীঙের নাম লেখকসংঘের পাঠস্থানের চর্চা হবে কেনো? কমিউনিটি ব্লগ তো সবারই, নিজের মতো লিখবে।
[আমি আর মন্তব্য করতে চাচ্ছি না, আমাকে বাধ্য না করলে। ভালো থাকুন, মাঝে মাঝে দেখা হবে এইতো]
নিস্পৃহ/নির্লিপ্ত বরং ভালো শোনাচ্ছে আগেরটার চেয়ে... থ্যংকিউ।
''অর্থাৎ, আপনি নিজে সমস্যা না খুঁজে পেলে প্রতিবাদ করবেন না? মানে আপনার ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস না পড়লে অস্তিত্ব স্বীকার করবেন না? একটা তো সুবিধাবাদী পক্ষ নেয়া হলো ভাইয়া।''
হ্যা, আমি সমস্যা না খুজে পেলে প্রতিবাদ করবো না। তবে এই কথার মানে কি এই যে আমার ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস না পড়লে অস্তিত্ব অস্বীকার করব???!!!! ঘাড়ের ব্র্যান্ডের কোন স্পেসিফিকেশন (আমার ঘাড়, এই ক্ষেত্রে) আমি দিছি বইলা তো মনে পড়েনা। এক বাক্য থেকে আরেক বাক্যের এই জাম্প টা কি বেশী হয়া গেল না??? মিসইন্টারপ্রিট করার চূড়ান্ত হয়া গেল না? সো আপনার বোঝার সুবিধার্থে সোজা কথাটা আরো সোজা কইরা বলি (খানিক আংরেজি মিশায়া
)
ঘটনা আমার সাথে ঘটুক বা যার সাথে ঘটুক আমার কাছেও যদি অ্যপিল করে ব্যাপারটা; আমি যদি একমত পোষণ করি, আই উইল বি দেয়ার।
থ্যংকিউ। ভালো থাকবেন।
আমিও সম্ভবত কমেন্ট করছি না যদি না বাধ্য করা হয়
... কারণ বিবিধ... আলস্য, পেজ লোড হতে সময় নেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি
"অন্যায় প্রতিবাদ সবাই করুক তাই চাই। " বাক্যটি 'অন্যায়ের প্রতিবাদ সবাই করুক তাই চাই' হবে।
বাফড়ারে ঝাঁঝা
আপনারা চার পাঁচজন মাত্র নীতিমালা সংশোধনের প্রস্তাব করেছেন। অনেকে সমর্থন জানিয়েছে। আর অনেকে এই বিতর্কে অংশ নেয় নাই। আমি ধরে নিচ্ছি তারা নীতিমালায় আপত্তিকর কিছু দেখেনি বলেই প্রতিবাদে যোগ দেয় নাই।
এখন আপনি বলেন আপনারা সেই চার পাঁচজনই এখানে ব্লগার? আমরা তাইলে কী? আমার জানামতে এবিতে প্রায় দু'শ ব্লগার আছে, এখন কর্তৃপক্ষ কার কথায় চলবে? আপনাদের জনা চারেকের নাকি বাকী সবার?
আপনি যদি মনে করেন আপনারা কয়েকজন ছাড়া বাকী সবাই এবিতে তুচ্ছ। তাহলে কিছু বলার নাই।
খুদাপেজ
বাফড়া আর নজরুল অনেক কিছুই বলে দিয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে আরও কিছু বলার প্রয়োজন দেখছি না। খালি একটা কথাই রিপিট করি...........।
নীতিমালা মেনে থাকলে স্বাগতম আর না হলে
খুদাপেজ।
খুদাপেস! দোয়া করি, আপনার এই নীরব প্রতিবাদ বহাল থাকবে, ভুইলা গেলে আমি আবার মনে করায় দিমুনে
এক ব্লগে গিয়া আরেক ব্লগের কথা কইলেন, ভালো লাগল না, এইখানে খুদাপেস দিয়াই দেখি সচলে পোস্ট দিলেন।
ডুয়াল পোস্টিং চাই না, কোনদিন দরকার পড়ে নাই, পড়বেও না।
হ, আমি কোনো প্ল্যাটফর্মের জন্য দায়খস্ত দিই নাই। যেটা দরকার মনে করছি সেটা বলছি। আপনার বলার কিছু থাকলে বলেন, না বলতে পারলে অন্যের বলায় বাধা দিয়েন না।
সচলে পোস্ট দেয়াতে আপনার জ্বলতেছে নাকি? না, সচলে পোস্ট দিছি পরে। এর আগে সামুতে দিছি, চতুরমাত্রিকে দিছি, আজকে সময় আছে বইলা দিতেছি। আর আমি কোনখানে পোস্ট দিমু সেটা নিশ্চয় আপনি নির্ধারণ করে দিবেন না, তাই না?
খুদাপেজ
আমি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ডুয়েল পোস্টিং এর পক্ষের লোক। কিন্তু আমরাবন্ধুতে এটা নীতিবিরুদ্ধ, সেটা স্পষ্ট করে নীতিমালায় বলা আছে। স্বাভাবিকভাবেই এটা মেনে নিয়েই আমি লেখার চেষ্টা করি। সুতরাং নীতির প্রয়োগ হলে এটা নিয়ে আমার কোন সমস্যা নাই। বরঞ্চ নীতি থাকার পরও প্রয়োগ না করাই অসাধুতা।
আশরাফ, আপনের সাথে এই পোস্টে মিলে নাই বলেই পোস্ট দেয়া বন্ধ- এইটা শিশুসুলভ লাগলো। হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই আমরা একমত হবো। আপনার নতুন নতুন লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন, এই কামনা রইলো। শুভেচ্ছা।
এই বিষয়টা এতো জনের এতো সময়, চিন্তা ও শ্রম ব্যয়ের উপযুক্ত ছিলো কিনা বুঝতে পারছি না।
বাফড়ার প্রথম মন্তব্যে আমার নিজের অনেক কথা চলে এসেছে, পুনরাবৃত্তি করলাম না। আশরাফ, তোমার লেখা পছন্দ করি, অনেক সুন্দর সময় কেটেছে এখানে আমাদের। প্রস্থানের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে, এমন আশা রাখি।
এই পোষ্টে এই একটা কমেন্টের সাথে পুরাপুরি সহমত প্রকাশ করলাম। এই বিষয় নিয়া এত সময় না দিয়া নতুন একটা পোষ্ট লেখার পেছনে দিলে অনেক বেশি ভালো হইত।
ভয় পাইছি
একসময় কোন কোন ব্লগে ডুয়্যাল পোস্টিং-এর ব্যাপারে এতোটা কড়াকড়ি ছিলো না বলে সেখানে নির্দ্বিধায় ডুয়্যাল পোস্টিং দিয়েছি। পরে যখন ডুয়্যাল পোস্টিং-এর ব্যাপারে আপত্তি ঘনিভূত হতে লাগলো, আমরাও সেখানে তা করা থেকে বিরত হতে লাগলাম। আবার কিছু ব্লগ শুরু থেকেই ডুয়্যাল পোস্টিং বিরোধী, সেখানে তা করিনি। ইদানিং দুয়েকটা ব্লগ বাদ দিলে প্রায় সব ব্লগগুলোতেই ডুয়্যাল পোস্টিংকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আমি এটাকে ইতিবাচক মনে করছি। কেননা তাতে করে একটা লাভ হবে, পাঠক হিসেবে ঘুরে ঘুরে যেই ব্লগেই যাই না কেন, অন্তত এ ধারণাটা কার্যকরি থাকবে যে, ওখানে যা পাবো সবই আনকোড়া, মৌলিক। এতে করে ব্লগ নতুন বা পুরনো, সম্ভ্রান্ত বা সাধারণ যাই হোক, ব্লগগুলোর নিজস্বতা অক্ষুণ্ন থাকবে। ফলে পাঠক হিসেবে সুনির্দিষ্ট ব্লগ-কুণো না হয়ে সব ব্লগেই গুঁতো দেয়ার অভ্যাসটা গড়ে উঠবে আমাদের। এতে কি কোন ক্ষতি বৃদ্ধি হবে ? মনে হয় না। ভ্রমণের চমৎকারিত্ব আর জানার বিস্তৃতি প্রসারিত হবার সম্ভাবনাই তো বেশি দেখছি।
ব্লগার হিসেবে প্রতিদিন আমাদেরকে প্রতিটা ব্লগে লিখতে হবে এমন কথা নেই। কিন্তু পাঠক হিসেবে প্রতিটা ব্লগে নতুন নতুন আবিষ্কারের তৃপ্তি থেকে বঞ্চিত হবো না। তাই আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, সবগুলো ব্লগেই ডুয়্যাল পোস্টিং রদ করে দেয়া উচিত। কথাটা খুব তীব্র শোনালেও অদূরবর্তী ফলাফল খুব খারাপ হবে না বলেই বিশ্বাস। আমরা যারা ভাবি, এতো সময় কই একাধিক ব্লগে ঢু-মারার, তাদের সাথে আমার দ্বিমত হলো, শুধুই তো ক্লিকের ব্যাপার ! আর একজন পাঠক নিশ্চয়ই ব্লগস্ফিয়ারে প্রতিদিনের সবগুলো পোস্ট পড়ে ফেলার মতো ইলাস্টিক সময় ধারণ করেন না !
প্রতিটা ব্লগেরই স্বাতন্ত্র্য ও আলাদা গুরুত্ব থাকা উচিত। এখানে এই পোস্টে এতক্ষণ ধরে মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হয়েছে বিতকর্টা হয়েছে কেবল লেখক-ব্লগার হিসেবে, পাঠক-ব্লগার হিসেবে নয়। সত্যি কথা বলতে কি, এখানে পাঠককে কোনো গুরুত্বই দেয়া হয় নি। আমি একজন ব্লগার যদি একই লেখা সব ব্লগেই পোস্ট করতে থাকি, পাঠকের কী দায় পড়েছে এ ব্লগ থেকে সে ব্লগ ঘুরে ঘুরে তার পছন্দের লেখাটা খুঁজার ? আল্টিমেটলি আমরা নিজেরাই পাঠকের কাছে ব্লগগুলোর বৈচিত্র্য নষ্ট করে গুরুত্ব কমিয়ে দিয়ে একধরনের বিরক্তিই উৎপাদন করবো।
আশা করি ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না কেউ, এই পোস্টে ঢুকে সবগুলো মন্তব্য পড়া শেষ করে পাঠক হিসেবে আমার উপলব্ধি হলো, অনেকটুকু অমূ্ল্য সময় অযথা ধ্বংস করে ফেললাম আমি। কেননা আমি তো অবারিত সময়ের ধারক নই ! এই সময়টুকু আর ফিরে পাবো না আমি। হয়তো অনেককটা ভালো জিনিস থেকে আজ বঞ্চিত হয়ে গেলাম অন্য কোথাও উঁকি দিতে পারলাম না বলে। আমার ধারণা, নির্মোহ পাঠকদেরও একই উপলব্ধি হবে।
নিজের দিকে গভীর দৃষ্টিতে ফিরে দেখা ভালো, তবে অতি-আত্মকেন্দ্রিকতা মনে হয় কোন সুফল বয়ে আনে না। আসুন না, ব্লগগুলোর প্রতিটাকে নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য তৈরিতে সহায়তা করি সবাই মিলে। লেখক যেমন দরকার, পাঠকের দরকার আরো বেশি। সবাই শুধু আমার লেখাই পড়বে, এই ভ্রান্ত ধারণাটা বর্জন করি।
কোন বিতর্ক তৈরির জন্য এ মন্তব্য করিনি। শুধু আমার মনোভাব প্রকাশ করলাম। এর সাথে একমত বা দ্বিমত পোষণ যে কেউ করতেই পারেন। তাই এর পুনঃমন্তব্য নিয়ে আবার আসবো এ সম্ভাবনা অতি নগন্য।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সবাইকে।
এইখানে তো আমি যা বলতে পারতাম তার সবি বলা হয়েগেছে তবুও ক্যাচালেরপ্রতি আমার ভালোবাসারেশ্রদ্ধাজানানোর জন্যই একটা মন্তব্য করি :
১)"ডুয়েল পোস্টিং নিয়া আমার আপত্তি অনাপত্তি কিছুই নাই; এবিতে ডুয়েল পোস্টিং এর ব্যাপারে নীতিমালা আছে আমি সেইটারে রেসপেক্ট কইরাই ব্লগাইতে চাই, প্রথম দিকে নীতিমালার প্রয়োগ ছিলো না তখন আমি বলছিলাম হয় নীতিমালা শক্তভাবে প্রয়োগ করা হোক অথবা নীতিমালার ঐ ধারা তুইলা দেয়া হোক । নীতিমালার প্রয়োগ কেআমি সাধুবাদ জানাই, মডারেটরদের ধন্যবাদ দেরিতে হইলেও নীতিমালা প্রয়োগ করার জন্য। রোবট নানা দেখলাম সব পোস্ট ডিলিট করে চলে গেসে কেন গেসে আমি জানি না তবে সম্ভবত ডুয়েলপোস্টিং জনিত সমস্যায় , হিমালয়ও সেই কারণেই চলেগেসে এবং মানুষ রে দেখলাম ব্যাপারটা স্পোর্টিংলী নিতে। আমার মানুষ এর প্রতিক্রীয়াটাই ভালো লাগসে। ব্যাটিং না দিলে খেলুমনা মার্কা মনোবৃত্তি থেকে আমাদের সবার ই বের হয়ে আসা উচিৎ। ২৪ ঘন্টায় দু'টা পোস্ট এর নীতি মালা থাকাউচিৎ যদি একজন ব্লগারে ঘন্টায় ৪/৫ টা পোস্ট দিয়া প্রথম পাতা সচল রাখারাখে তাইলে প্রথম পাতা অচল থাকাই ভালো। আর যত গুরুত্বপূর্ণই হোক ১ লাইনের লিংক পোস্ট চাই না, এই লিংক পোস্টের যণ্ত্রনায় সামুতে প্রথমপাতায় পোস্টি থাকেনা একেক সময়। বারবার সচলায়তনের সাথে তুলনাটা খুবি বিরক্তিকর লাগলো। এবি সচলায়তনের ছোট ভাই হইলে কইতে হয় লিচুও পাকলে কাঠাল হইবো আর ট্যাংরা মাছ ও বড় হইয়া বোয়াল মাছ হয়।
কপিরাইটের ব্যাপারে নীতিমালায় স্বচ্ছএকটা ধারাযুক্ত করা উচিৎ।
২।
আশরাফ মাহমুদ | এপ্রিল ২৮, ২০১০ - ২:৫৮ পূর্বাহ্ন
"" সামুর মডারেশন নিয়া আামার সমস্যা ছিল আমি প্রতিবাদ করেছি; এবি'র ডুয়াল পোস্টিং বিষয়ে আমার আপত্তি নাই তবু আমাকে কথা বলতে হবে এর বিপক্ষে?? সামুতে বলেছি বলে এবিতেও বলতে হবে এমন লজিকের আগামাথা খুজে পেলাম না
যুক্তি তো তাই বলে। আপনি একটি অন্যায় ঢাকায় হলে প্রতিবাদ করবেন না, কিন্তু চট্রগ্রামে হলে প্রতিবাদ করবেন তা তো না। ""
আশরাফ কোনকিছু তোমার পছন্দ না হইলেই সেইটা অন্যায় হয়ে যায় না। ডুয়েল পোস্টিং বন্ধকরার মধ্যে আমি তো কোন অন্যায় দেখতেসি না। নীতিমালা অনুযায়ীই পোস্ট প্রথমপাতা থেকে সরানো হইছে এইখানে অন্যায় টা কী। আর ঢাকা-চট্টগ্রামের উদাহরণ বরং তোমার বেলায় দেয়া যায় -- সচলে ডুয়েল পোস্টিং, ২৪ ঘন্টায় একটা পোস্ট এর নিয়মে তোমার কোন আপত্তি নাই অথচ এবিতে এগুলা মানবানা। এইটা কি স্ববিরোধিতা না?
@নজরুল ইসলাম
""নজরুল ইসলাম | এপ্রিল ২৬, ২০১০ - ৫:০৬ পূর্বাহ্ন
কে জানি কইছিলো " পৃথিবীতে নাই কোন বিশুদ্ধ চাকুরী"
তেমনই, পৃথিবীতে নাই কোন বিশুদ্ধ নীতিমালা।
আমরা যেহেতু সারারাত সোহেল কাজীর মন্তব্য ধরেই তর্ক করলাম। এবং ভাস্করদা এই বাক্যটা কোট করলেন... তাহলে এটা ধরেই বলি...
পৃথিবীতে যদি কোন বিশুদ্ধ নীতিমালা না থাকে, তাইলে তো এবিরটাও বিশুদ্ধ হবে না। যতোই সংস্কার করেন, বিশুদ্ধ হবে না। তাইলে সংস্কার প্রস্তাব আসতেছে কেন?
আমরা যদি অশুদ্ধ নীতিমালারেই শীরোধার্য করি, তাইলে অশুদ্ধই থাকুক। বার বার বদলায়ে অশুদ্ধ করার দরকার কী?""
------- ধর্মগ্রণ্থ ছাড়া আরসবি পরিবর্তন করা যায়; আইণ-কানুন পরিবর্তন হয়, সংবিধানও পরিবর্তন হয় , ১০০% বিশুদ্ধ করতে না পারলেও পূর্বাপেক্ষা আরো বিশুদ্ধ করার চেষ্টা মানুষ করে , সময়োপযোগী পরিবর্তন আনে। এবির নীতমালা তো স্বর্গীয় কিছু না যে দরকার পরলেপরিবর্তন করাযাইবো না বা এটা নিয়া কথাবলা যাইবো না। আপনার মন্তব্যটা খুবি হাস্যকর লাগলো।
কর্তৃপক্ষ নীতিমালা বানাতে পারে, নীতিমালা বানালে সেটার প্রয়োগ করাই উচিত। কিন্তু কী নীতিমালা এবং সেটা কার জন্য বানাচ্ছে কিংবা কীভাবে প্রয়োগ হবে তা বিবেচ্য। বিরোধটা এখানেই। ব্যাখ্যা করছি:
একটা দূর গিয়ে এছাড়া উপায় থাকে না। এই কারণে সামুর মডারেশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেই ব্লগাররা বিভিন্ন ব্লগে ছড়িয়ে পড়েছে, নতুন নতুন ব্লগ সৃষ্টি করছে। এটা প্রতিবাদ, নিরব প্রতিবাদ।
আশা করি ফ্লাডিং কাকে বলে সেসম্পর্কে তোমার ভালো ধারণা আছে, কয়েক ঘণ্টায় ৪-৫টা পোস্ট দেয়াকে ফ্লাডিং বলে। সেটা আর প্রথম পাতা সচল রাখা বলে না। অনেক সময় "differences in degrees make differences of kind" আমি ফ্লাডিঙকে সমর্থন করি না, তবে দিনে ৩ টা পোস্ট দেয়া দোষের মনে করি না ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে।
আবার-ও কুযুক্তি ইকুইভোকেইশনের প্রয়োগ (Equivocation), অর্থাৎ একটা শব্দের অর্থকে পাল্টে ফেলে তর্ক করা। একটা লিংক দিয়ে পোস্ট দেয়ার কথা নীতিমালায় ইঙ্গিত করে নি, বলেছে "অন্য কোনো কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক" (নীতিমালা: অনুচ্ছেদ ছ)। মানে বুঝেছো তো? তারা চাচ্ছে সবকিছু আমরা বন্ধু কেন্দ্রিক হোক, লিঙ্ক ধরে অন্য ব্লগে গিয়ে যেনো সে ব্লগের হিট না বাড়ায়।
একটা লিংক ও বক্তব্যহীন পোস্টকে বলে স্পামিং, এটা কারো কাম্য নয়। কিন্তু সেটা দোহাই দিয়ে পিঠচুলকানীর চর্চা না হওয়ায় ভালো।
তুলনা অবশ্যম্ভাবী। কারণ তাদের নীতিমালা শব্দ বা বাক্যের বিন্যাস পাল্টে সচলায়তনের কপি-পেস্ট। তুলনা না করতে চাইলে-ও চলে আসে।
আমার পছন্দ হয় নি একারণে অন্যায় বলি নি। আমি কখনো ন্যায় অন্যায় বলি-ও না। বলি নৈতিক অনৈতিক ইত্যাদি। ডুয়েলিঙ পোস্ট নিষিদ্ধ করে তারা নতুন ব্লগারদের গলা টিপে ধরছে, এলিটিজমের চর্চা করতে চাচ্ছে ইত্যাদি। এই কারণেই প্রতিবাদ করা।
খুব ভালো পয়েন্ট, আমার প্রতিবাদ করা এই কারণেই। সচলায়তন একটি লেখকসংঘের ব্লগ, সেটা জন্মলগ্ন থেকেই। অর্থাৎ, কেউ যদি নিজেকে লেখক মনে করে এবং প্রগতিশীল হয় সে স্বাগতম "আসো আমরা সহমনা, একই সাথে লেখালেখি ব্লগিঙ করি" - ভাবটা এরকম। অন্যদিকে আমরাবন্ধু একটি কমিউনিটি ব্লগ। মানে বুঝছো তো? কমিউনিটি ব্লগ ধারণ করবে কমিউনিটির সকলের কণ্ঠস্বর- অন্তত সে চেষ্টা করবে, সেখানে সচলায়তন একটি সুনির্দিষ্ট নীতির সীমিত মানুষের জায়গা। কিন্তু আমরান্ধু এখন হিপোক্রেটের মতো কাজ করছে বা করতে চাচ্ছে। তারা বলছে এটা কমিউনিটি ব্লগ কিন্তু আচরণ করছে ঘরকেন্দ্রিক।
আমি সচলায়তনে লিখি একজন লেখক-ব্লগার হিসেবেই, কিন্তু আমরাবন্ধুতে লেখার সময় আমার শ্রদ্ধা বা নজর রাখতে হয় কমিউনিটির অনেক লোকের যাদের সাথে হয়তো আমার মনন-জ্ঞান-পরিমিতিবোধ কোন কিছুর সাথেই মিল নেই। এখন তুমিই বলো কে স্ববিরোধী? আমি, নাকি মুখে আমরাবন্ধু ব্লগ?
আমি আসলেই আর এইসব ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না, না ডুয়েলিঙ পোস্ট নিয়ে না আমার চলে যাওয়া নিয়ে। ডুয়েলিঙ পোস্ট অ্যালাউ করলে নিয়মিত পোস্ট দিবো, এখন হয়তো মাঝে মাঝে মন্তব্য করবো- এইতো। আমাকে না খোঁচালেই ভালো লাগে।
কথা হবে, যোগাযোগ থাকবে- হয়তো এখানেই নয়; এইটুকুই। শুভবিদায়।
শুভ বিদায়
অনেক আলোচনা হয়েছে দেখলাম। নতুন করে কিছু বলার নেই। তবুও
১. তীব্র ভালোবাসা থেকে জন্মে তীব্র অভিমান। রাগ কমলেই আবার একটা চনমনে লেখা ছেড়ে দিও, অপেক্ষায় থাকবো।
২. তিক্ত আলোচনা সুদীর্ঘ না হওয়াই শ্রেয়
৩. ছেড়ে দেয়া মানেই হেরে যাওয়া না। জীবন হার জিতের খেলাও নয়
৪. সবকিছু ধরে রেখো না, আমরা বন্ধুরাই
ভালো থেকো
নীতিমালা রে নীতিমালা। সবখানে এই নীতিমালা। বিশ্বে এমন কোন দেশ কি আছে যেখানে কোন নীতিমালা ছাড়া মানুষ শুধুই মানুষের জন্য উত্তম সহাবস্থান মেনে চলে?
আসলেই একটু ভাব আইসে গেছে মনে হয়। তবুও কই, ভার্চুয়াল কমিউনিটিও মানুষ নীতিমালা ছাড়া বানাইতে পারলো না? মানুষ পারবেটা কি?
এই মৃত পোস্টটিও কত জোরে জোরে চেঁচিয়ে বলছে নীতিমালা নয়, সহযোগিতা চাই। সবার প্রতি সবার সহযোগিতা। সেইটা কেউ শুনতে পায় না কেন?
মন্তব্য করুন