ইচ্ছেকথা: সে আমার পাশে ছিল শস্যের পতনে
=================================
২১
পাহাড়ী হলো বাঙালির উগ্র জাতীয়তাবাদের কাছে জীবন বিসর্জন দেয়া মানুষ।
২২
সকালে উঠে পান্তাভাত খাই; সহজলভ্য, ঝামেলা কম। গাড়ি ধরতে না পারলে দিনের কাজ অন্ধপাখি। বৈশাখে তাই সকালে নাস্তা করি না। কাটখোট্টা গাড়িচালক কাঞ্জি আর পাকা মরিচের স্বাদ জানলে চাকরী ছেড়ে দিত। বেচারা।
সংস্কৃতি খাদ্যাভ্যাস তৈরী করে? না প্রকৃতি? মানে পরিবেশই। খাদ্যাভ্যাস সংস্কৃতির একটি উপাদান।
২৩
রঙধনু ছুঁয়ে বসে আছি জলের কলসের ধারে। ময়না। ঠোঁট ছোট ছোট। তলানির জল লাগে না ঠোঁটে। মাঠের সরিষা এখানে রোদের রঙ।
২৪
এক লোককে চিনি। দিঘি, পুকুর এরকম বদ্ধ জলাশয়ে স্নান পছন্দ করে না। স্নান করা চলে নদী, সমুদ্দুরে। জলের স্লেটে লিখে দিতে হয় স্নানের অক্ষর- জন্মদাগ দিয়ে। স্নানগুলো জমিয়ে রাখা যায় আস্বাদ নিয়ে। স্নান করবো করবো ভাবটাই চমকপ্রদ।
লোকটি আমার ছায়া।
২৫
সূর্য দেয় দৃক। চোখ টানে, টানে। ধলা আলো ভাতের রঙ। কৃষি কাজ জানি না। পিয়াল বন বুনে দিতাম তবে। পিয়াল বনে আলো নামে আলতো করে, বেড়ার ফাঁকে ফাঁকে রোদ আসে জোনাকির কারুকাজ।
২৬
আমাদের সংসারের চারটি খুঁটি আর একটি ছাদ। কোন দেয়াল নেই। চারটি খুঁটি হলো সহমর্মিতা, সহযোগিতা, ভক্তি এবং যৌনতা। ছাদটি হলো বিশ্বাস। একটি বা দুটি খাম্বা ভেঙে গেলে, হারিয়ে গেলে-ও ঘর টিকে যায়। ছাদ উড়ে গেলে ঘর বর্ষায় পদ্মা।
২৭
মেয়েটির মাঝে আগুন আছে। আগুনের সঠিক ব্যবহার সবাই জানে না, স্বভাবে নেই; সহজাতে আছে। স্বভাব আয়ত্ত করতে হয়। জবাফুল মেয়েটির জমজ।
জবাফুল আগুনের ব্যবহার জানে।
২৮
আয়নায় তাকালে নিজেকে চিনতে ইচ্ছে করে। মানুষ নিজেকে চিনে গেলে ফুরিয়ে যায়। আমি ফুরিয়ে যেতে চাই না। আয়নায় আমি চিরকাল জন্মান্ধ।
২৯
আমি এখনো বনের মাঝে সন্ধ্যাকলি গাওয়া পাখিটির নাম জানি না। পাখিটির গায়ে সাতটি রঙ অমরাবতী।
৩০
আমি অনেক আগেই হয়তো নষ্ট হয়ে গেছি। সমাজ মানুষকে নষ্ট করে দেয়, সমাজই মানুষকে ধুতুরা ও দুধের স্বাদ যোগান দেয়। আমি সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছি, চাচ্ছি। আমার কলমে কালির স্রোত।
বিতর্কিত লিখবো না, পণ আছে। চেষ্টা দেই রাখতে। বিতর্কিত লিখতে ইচ্ছে করলে অনেক আগেই কয়েক প্রস্থ 'প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার' লিখে ফেলতে পারতাম। কাব্যঢঙে গালিবাজি আমি-ও জানি। খাস বাঙাল পোলা।
৩১
মিথসূত্র মতে পৃথিবীর আদি বিতর্কিত সত্তা হলো শয়তান। মিথসমূহে সত্য ও জ্ঞান থাকে বৈকি।
৩২
সে আমার পাশে ছিল শস্যের পতনে। স্বাক্ষর ভুলে আমরা একেকটা কাগজে মাছরাঙা এঁকে দিয়েছিলিম।
সরিষার খোঁপায় রসের আস্বাদ নিয়ে আমি মৌচুষি। আমাদের কাগজ ছিল সবুজ ধানক্ষেত। তার খোঁপার রঙ ছিল পাকা ধানের শিষ।
কৃষকেরা বউদের কাজ বাড়াবে বলে ধান কাটতে আসে। রেখে যায় নারা, আমরা জামাকাপড় খুলে ঝুলে থাকি। হেমন্ত শেষেই এখন শীত ঝরে না; শীতের পোয়াবারো। কৃষকেরা কলিকালে গোলা ভরায় না, টেউটিনের বাজার-দর জানতে চায় ব্যথিত স্বরে; মহাজনসকল ব্যাংকের নিয়মিত খরিদ্দার।
কৃষকের কষ্ট দেখে আমরা টেউটিন নিয়ে আসি রাশি রাশি। শস্যের ক্ষেতে তুলে দিই বর্ষালি-নিরোধক ঘর।
শস্যের পতনে আমরা কৃষকের শত্তুর। কেবল তার খোঁপায় এখনো মধু চাক ভাঙা।
[২১ নং'টি সাম্প্রতিক লেখা। অন্যগুলোর রচনাকাল ১৫/১২/২০০৯]
আরে এখানে-ও দেখি মহাভারত পূর্ণজন্ম নিতাছে।
২১ থিকা শুরু হইলো কেন বুঝিনাই, আগের বিশখান কই গেলো
আগের বিশখানা অন্য ব্লগে প্রকাশিত।
যেখানা দিলাম সেগুলো নিয়ে মন্তব্য কইরা ধন্য করেন। আমিন।
সত্যি বলতে কি এরকম লেখায়, শব্দচয়নে এমন মায়াবুনোট থাকে যে সরসরিয়ে তরতরিয়ে পড়ে যাওয়া যায়, অর্থ বুঝলাম কিনা সে ভাবনা আসে না।
[একুশ সংখ্যাটা আজ দিনের শুরুতেই মাথায় ঢুকে গেছে, পত্রিকার শুরুতেই ২১জনের লাশ...]
২৬ নম্বরটা মাথায় ঘুরছে- আমার তো মনে হয় সবচেয়ে বড় খুঁটিটার নাম হবে বিশ্বাস; ছাদটা হবে সম্পর্ক।
কী আর বলব। পত্রিকা পড়ি না সব খারাপ সংবাদ দেখা লাগে বলে।
ছাদটা হলো বিশ্বাস। কারণ, কয়েকটা খুঁটি না থাকলে-ও চলে, বিশ্বাস না থাকলে কিছু হয় না। ঝড় বৃষ্টি কড়ারোদ সব ঘরে এসে জমে; সম্পর্ক হলো সবগুলো খুঁটির সম্বন্বয়। বলেছি সংসার; সংসারের প্রথম শর্তেই সম্পর্ক আসে। এই হলো আমার মতামত।
খুঁটি বা ছাদের জিনিসপত্তরের রদবদল হতে পারে, ঘর ঠিক থাকলেই হলো।
...ধুর আপু, ২ জায়গায় আপনে আমার ভাগের কমেন্ট মার্লেন...কি সুন্দর একটা কমেন্ট বাইর কর্ছিলাম...এখন আবার পোষ্ট টা পুরাটা পড়তে হৈবো...
সুন্দুর মন্তব্যটা কষ্ট কইরা আবার লেখেন। বিলাইরে বিস্কুট বিতরণ করুম।
নাহ, অঘুম অবস্থায় পৈড়া লাভ হৈলো না, কালকা দিনে কমেন্টামু নে আবার...
তয় পান্তা আমি খাইনা, আর কঞ্জির গন্ধই আমি সহ করতে পারিনা....
অপেক্ষায় রইলাম।
পান্তা না খেলে আপনে খাঁটি বাঙালি না।
kichui to bujhlam na.....

হা হা। এই আর নতুন কি। এগুলো হচ্ছে ইচ্ছেকথা; এক অংশের সাথে অন্য অংশের মিল নেই। হয়ত প্রবচন হতে পারে, পারে জীবনের বিভিন্ন বিষয়কে অন্য আঙ্গিকে বন্দী করার প্রয়াস।
নারু ভাই, আপনারে দেখে অনেক ভালো লাগল।
আপনাদেরকে এখানে সবাইকে দেখেও ভাল্লাগতাছে ভাই। ভাল থাকবেন অনেক।
মনে হয় বুঝছি!
ভরসা পাইলাম।
নুশেরা আপুকে পান্ডাপা নামে ডাকতে হবে । দ্যাটস রুল
হা হা প গে! পান্ডাপা নাম কে রাখছে? আপনি? তারিফ করলাম।
অর্পু, আসেন আপনাদের মতো কমরেডদের সাথে নিয়ে কানু গ্রুপের ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিই। আনুকা গ্রুপ হবে।
পান্ডাপা নামকরণ এককভাবে আমার করা । তারিফের জন্য ধন্যবাদ ।
তয় এইটা বুঝলাম না , আনুকা গ্রুপের জন্য আমি কেন সংগ্রামে নামবো ? এনুকা হইলে কথা ছিলো । আজিব প্রস্তাব
চুক্তিতে আসেন। পান্ডাপা নামকরণ স্বার্থক করা হবে। আপনি আনুকা গ্রুপে আসবেন। রাজি।
আচ্ছা যান, আপনারে সহ গ্রুপের নয়া নাম দিলাম আনুএকা। একটু কাব্যিক হইছে না?
তখন তো পাব্লিক গান গাইবো, আনু কেন একা/ ছ্যাকা খাইয়া ব্যাকা? :-"
তীব্র ধিক্কার জানাই।
ইয়ে, পেন্সিল, গোপনে যোগাযোগ করেন; আপনার জন্য একখানা পদ খালি রাখিয়াছি।
হ, গ্রুপের নতুন নাম ভানুএকা
খামোশ। বসতে দিলে শুতে চায় লোকজন। ভাগেন। না হলে ভাঙা পেন্সিল আরো ভাইঙা দিমু কইলাম।
অনেকগুলারই অর্থ বুঝি নাই...তবে যেটা মাথায় সেটা হইলো জবাফুল কেম্নে আগুনের ব্যবহার জানে?
উপমা ভাঙলে তো লেখার মজা নাই। আপনে ভাবেন। কারো চোখে কেউ হঠাৎ জবাফুল কেন তিমি মাছ-ও হইয়া যেতে পারে বিশেষ সময়ে।
আমি রং পর্যন্ত বুঝছি, আর চিন্তা কইরা কূল পাইতাছি না
কতো রকমের আগুন আছে। জ্ঞানের আগুন, পিরিতের আগুন, রূপের আগুন।
দারুন লাগলো...
বৃত্তকবিরে ধন্যু।
২৮,২৬,২৭,২৮ অনেক বেশি ভাবায়। দারুন শব্দবুনোট। একটা ঘোরের মধ্যে নিয়ে যায়। চমৎকার লাগলো।
২৪,২৬,২৭,২৮
রাকিব ভাই, উৎসাহ পেলাম।
ওরে কত কথা লিখেরে !!!!
পিয়াল মানে কি?
আর আয়নার ব্যাপারে একমত। আমি নিজেই চুল আচড়াই আয়না ছাড়া। আয়নায় নিজেকে দেখা যায়। রোজ রোজ দেখতে দেখতে নিজেকে চেনা হয়ে যায়। নিজেরে চিনে ফেললে মজাটাই তো আর থাকলো না।
লেখা উমদা।
পিয়াল হলো এক ধরনের ফুল। সাদাচে-হলুদ রঙা হয়ে থাকে সাধারণত। আমি তো চুল আঁচড়াই না!
পিয়াল তো ফল হিসেবেই বেশী পরিচিত। মেরুন রঙের, অনেকটা চেরি যেমন হয়, দুই হাতের তালুর মধ্যে ঘষে ঘষে নরম করে পাকানো হয়। ছোটবেলায় দেখতাম শলার কাঠিতে গেঁথে বিক্রি করতো নুনমরিচ মাখিয়ে........
প্রাইমারি স্কুলে পাঠ্য একটা কবিতায় ছিলো- পিয়াল পেয়ারা গাছে/ ছায়া করে রহিয়াছে--- এইরকম কিছু
আরে পিয়াল আর পেয়ালা যে একই জিনিস এতদিনে-ও জানতাম না! পিয়ালফুল দেখি বাসার কাছে একটা ফুলের দোকানে (দেশে থাকতে); পছন্দ হয়েছিল বলে নাম জেনে নিয়েছিলাম।
আর পেয়ালা (আমাদের অইদিকে পেয়ালা বলে, চলমান বাঙলায় কী বলে সেটা জানতাম না) নিয়ে কত স্মৃতি। গ্রামে যদি বেড়াতে যেতাম তবে তো ভোজনপর্ব হতোই। আহা কী সব দিন ছিল....
ওই চাটগাঁইয়্যা নওজোয়ান, পিয়াল হলো ফইনল
পড়তে ভালই লাগল।
কিন্তু অনেক কিছুই মাথার উপর দিয়া গেল!
স্বাগতম অভিকবি!!
ছন্নছাড়াকে ধন্যু।
অদ্ভুত সুন্দর সবগুলোই।
২১ নং সিকোয়েল নিয়ে কথা, যা গত কয়েকদিনের প্রেক্ষাপটে লেখা বলে অনুমেয়।
পাহাড়ী হলো বাঙালির উগ্র জাতীয়তাবাদের কাছে জীবন বিসর্জন দেয়া মানুষ।
বাঙালিকে এতোখানি কড়া কথা বলা কি যুক্তিসঙ্গত হলো, বস? দেখুন, পাহাড়ের ঘটনায় বাঙালি মিডিয়ার ৯০%-এর অধিক মানুষ পাহাড়িদের পক্ষে কথা বলছেন। বাঙালিরা উগ্র জাতীয়তাবাদী হলে বোধ হয় আপনার কলমেও বাঙালি জাতীয়তাবাদের পক্ষে কথা বের হতো। বাঙালি-পাহাড়ি ঘটনায় সর্বদাই পাকিস্তানিদের টেনে আনা হয়, বাঙালিরা নাকি পাকিস্তানিদের মতো আচরণ করছেন। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে জানি, ৭১-এ পশ্চিম পাকিস্তানে বাঙালিদের জন্য সমবেদনা, সহমর্মিতা ও সহমত প্রকাশের জন্য একটা পশুপক্ষীও ছিল না, আমরা এখন যেমন পাহাড়ে একটা কিছু ঘটলেই ওখানকার নির্যাতিত বাঙালিদের খোঁজখবর না নিয়ে পাহাড়িদের জন্য মায়াকান্না করতে করতে চোখ দিয়ে খুন বের করে ফেলি।
বাঙালিরা অনেক সংবেদনশীল জাতি; ভীতুরা আর অসহায়রা মনে হয় এতোখানি সংবেদনশীল হয়। আমাদের হাবভাব ও কাজকর্মে আমরা প্রমাণ করে ছাড়ি, আমাদের মত বিচিত্র স্বভাবের জাতি পৃথিবীতে আর নেই।
ভালো থাকুন বস।
ফারিহান ভাই, আমি 'উগ্র' শব্দটি ব্যবহার করেছি বিশেষণ হিসেবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে (দু'পক্ষ থেকেই)। তবে আমি কখনো বাঙালিদের পাকিস্তানিদের সাথে তুলনা করি না। তুলনাই হয় না; যারা করে তারা 'উগ্রতা'ই দেখায় বিষয়টির প্রতি।
আমি পাহাড়ী কিংবা সমতলী বলতে নিজে লজ্জা বোধ করি। ওদের কাছে এই দেশটা নিজের দেশ, আমার কাছে আমার। আমরা একই দেশের নাগরিক। তবে ভাষাগত, সংস্কৃতিগত কিছু পার্থক্য আছে। সেটাকে দমন করা উচিত নয়। কেউ যদি এই প্রবাসে আমাকে বলে যে আজ থেকে ইংরেজ কিংবা ফরাসি হয়ে যেতে হবে আমি বিপদে পড়ে যাব। একই অনুভূতি তাদের জন্য।
তবে 'পাহাড়ী'রা শুধু চট্টগ্রাম বা সংলগ্ন স্থানে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। বাঙালিরা-ও। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে দুই পক্ষই সে অধিকার রাখে।
আমার মনে হচ্ছে এই বিষয়ে দু'দিক থেকে নমনীয় হওয়া উচিত, আলোচনায় আসা যাক। তবে কখনোই দেশের স্বার্বভৌমত্ব নষ্ট করা উচিত নয়।
(আমাকে 'বস' না ডেকে নাম ধরে ডাকেন, আগে তাই ডাকতেন। বয়েস এবং অভিজ্ঞতায় আপনার অনুজ)।
২৮.
আয়নায় তাকালে নিজেকে চিনতে ইচ্ছে করে। মানুষ নিজেকে চিনে গেলে ফুরিয়ে যায়। আমি ফুরিয়ে যেতে চাই না। আয়নায় আমি চিরকাল জন্মান্ধ।
*******************************
চিনে গেলে জেনে গেলে সবকিছুই ফুরিয়ে যায়। বিস্ময়ের অবসানে সব সুন্দরই ভস্ম।
আপনার চমৎকার শব্দচয়ন আবারো মুগ্ধ করলো।
আপনার মন্তব্য সবসময়ই মুগ্ধ করুক, নীড়ভাইয়া।
আমি অনেক আগেই হয়তো নষ্ট হয়ে গেছি। সমাজ মানুষকে নষ্ট করে দেয়, সমাজই
মানুষকে ধুতুরা ও দুধের স্বাদ যোগান দেয়। আমি সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছি,
চাচ্ছি। আমার কলমে কালির স্রোত।
-------------

আপনাকে এখানে দেখে ভালো লাগল।
হুমম
ভালো লাগলো।
ছাব্বিশ নম্বরটা অসাধারণ
তানুদি বললেই অসাধারণ।
মন্তব্য করুন