ইউজার লগইন

অকিঞ্চনের বৃথা আস্ফালন'এর ব্লগ

দিনকাল

কেউ বাম, কেউ ডান, কেউবা আবার চিনাবাদাম
তবু কেন ঠোঁটের আগায় প্রাণটার আজ বিধিবাম
মাছে মাংসে ফরমালিন রোগীর ফলে বিষ
গণের কথা না ভাবলেও তাদের নীতিই ফিট।
কেউ বলে শহীদ জিয়া কেউ দেয় মুজিবীয় সালাম
ভাবখানা ধরে বলে দেশের তারা কেনা গোলাম।
একাত্তরের খুনি বাঁচাতে দেশ করে দেয় কেউ অচল
আমজনতা যুদ্ধ করে, আয়ের চাকা রাখতে সচল
ধর্ম নিয়ে ধর্ষ করে পার পেয়ে যায় সকল
ধর্ম পোষাক গায়ে দিলেই অপরাধী সফল।

কী যে হল দেশটার ভাই ঘুমাতে পারে না হরিদাশ পাল
ডাবের পানিতে ঘুমের ওষুধ, তরমুজেতে রঙ লাল।
ভেজাল মোরা খেয়েই যাচ্ছি বেড়ে যাচ্ছে ডাক্‌তারের বিল
একটু খানি বিষ্টি হলেই নগর মোদের চলনবিল।
নিত্য নতুন যানজটের দ্বিগুন সময় দিচ্ছি দাম
হাইওয়েতে মার্সিডিজ ঠেলাগাড়ির নতুন নাম।
ট্রেনে বগি ফাঁকা নেই তবুও তো লোকশান
হপ্তাখানেক আগে এলে তবেই পাবে টিকেটখান।
কত মানুষ মিডেল ইস্‌টে যায় আসে দিনে রাতে
বলাকাটার গলা কাটা ছাড়ে বিমান বড্‌ড লেটে।
একটুসখানি ফ্লাইওভার উড়ার আগে ধ্বসে পড়ে
বেকারী মালিক রাস্তা বানায় বড়সর ঘুষের জোরে।

বাড়িওয়ালা নয় তো ভাই নব্য নতুন ইয়াহিয়া

প্রকৃতিশোভা

প্রকৃতিশোভা

নগরের কাঁচ দালানের বুকে উদীয়মান সূর্য
চেয়ে থাকে যুবতীর আপেল পীণের মত।
সে সুন্দর অথচ ধরা যায় না
হীরের মত তার শোভা ধাঁধায়।

টিয়ের মত এক টুনটুনি ছোটাছুটি করে
লাল লাল ঠোঁটে কারুকলা নিয়ে
তার বিজাতীয় পেখমের চারুকলায় স্ববর্ণীয় তুলি
সে জলে মিশে রঙের মত, দুধে আলতা গায়।

প্রকৃতি তুই বরফগলা নদী হলি, শীতের হু হু বাতাস হলি
ঠোঁটের কাছে মরুর শ্বাস হলি
অমন সুঢৌল অঙ্গ নিয়ে মন মাতালি
কে দিয়েছে এমন আবেশী নূপুর তোর পায়?

সাগরপারের কাঁচপাথরের সবুজ হলি, বকের দুটি ডানা নিলি
শাপলাফুলের পরাগ খেলি কালোজলের দিঘী হলি।
কঁচি লাউয়ের পায়ে পায়ে স্বরলীপির খেলায়
পাগল হওয়ার মৌসুম হল স্বপন আশার মায়ায়।

গাঢ় সবুজ পাহাড়ের তন্বী ভাঁজে ভাঁজে
লুকিয়ে থাকা রহস্য গোকুল গন্ধ আনে;
তার স্রোতের মত মেরুদন্ড দিয়ে উষ্ণপ্রস্রবণের জোয়ার
মনে হয় দু'দন্ড শীতলতায় ঘুমিয়ে পড়ি গাছের আবছায়।

তার নাভিমূলে এঁকে যায় বিশ্বকর্মা নিখুঁত পেয়ালা
উপত্যকার 'পরে যেন এক মাদকের গুমট জলা।

মেঘ কাব্য - ২

শ্বেত শঙ্খের মত নীল চোখের মেঘ এল
পয়োধর অঙ্গে সোনারাঙ্গা সকালের স্বর্গছাপ
মেঘ ছিড়ে মেঘ ভেসে যায় অজানায়
ঘাসের শরীর বেয়ে শিশিরের টুপটাপ।
এলো চুল দুলে দুলে, বকের পাখনা উর্দ্ধে তুলে
বেঁধে ফেলে সোনালী আঁশের মেঘকেশদাম-
সহসা উত্থিত হল বক্ষের সূর্য মধ্যগগনে
সে কী তেজ- কোন শিল্পীর তুলি দিতে পারে নাই তার দাম।

মেঘ আছে ধিয়ানে দাঁড়িয়ে যেন রূপকথার
গ্রীসের ক্যারিয়াটিড সকল দায় নিয়ে নির্ভার।
কী আছে মেঘের মনে, যাবে সে কোন পথে
কি দিয়ে তাকে রাখা যাবে- পায়রার শীতল বাতাসে।
বেশ তো ছিল মেঘ সকালের সোনা রোদে সোনালি ঝিলিক
কেন তারে ছুঁয়ে দিলি রূপালী ইলিশ
ঝর ঝর কালো মেঘে নীল সাদা বৃষ্টি
নাগর কালিয়ার ভালবাসায় মেঘ করবে শুভদৃষ্টি।
মেঘ কাব্য - ২

ব্লগারদের আন্দোলন - ব্লগারদের কাদা ছুড়াছুড়ি : তবুও শাহবাগ জেগে থাকবে

আজকের যে কাদা ছুড়াছুড়ি চলতেছে তার প্রধান দায় আইজুর(দুই বা ততোধীক ব্যক্তির নিক. সে-ই শাহবাগ নিয়ে কাদা ছুড়াছুড়ি শুরু করেছে প্রথম--

শাহবাগ মাঠা কর্মসূচি, ইমরান ব্লকার না, পাঞ্জাবি পড়ে, হাস্যকর কর্মসূচী দেয়, সাহস থাকলে শিবিরের মিছিল মোকাবেলা করেন, পুলিশ প্রহরায় এইসব মাঠা কর্মসূচি সবাই পারে, আওয়ামী মিডিয়া সেলের নিয়ন্ত্রক, আমি শাহবাগকে দুর্বল নেতৃত্বছাড়া করতে চাইছি, তিন ভাঁড়ে ডিসিশান দেয়, ইমরান আর কন্ডম একই কথা, পাঞ্জাবির হিসাব দেও, সাভার ট্রাজেডিতে প্রজন্ম চত্ত্বর এত মাতামাতি করছে কেন, সব শেষে সাভার ট্রাজেডিতে টাকার হিসাব চাওয়া।

একটা আন্দোলনকে দুর্বল করতে হলে মুখপাত্রকে হেয় করতে হয়। এইটা শাখামৃগের ভাল জানা আছে। বার বার বলা হচ্ছিল ইমরান হল মাইক। সবাই মিলে ডিসিশান নেয়ার পর একটা মাইক দিয়ে প্রচার করতে হয়। একজনকে মাইক হিসেবে মেনে নিতেই হবে। তাই ইমরান ওখানে। যারা শাহবাগ আন্দোলন সংশ্লিষ্ট তারাই এই ডিসিশান নিছে যে ইমরানই মুখপাত্র হবে।

মাতৃ বন্দনা

MotherAndChildPlaying.jpg
মা মাই, মা আর কেউ না
কখনো তুমি দূর্গা, কখনো কালি মা
কখনো জগদম্বা, জগৎধাত্রী মহামায়া
এক অঙ্গে এত রূপ, পড়ে না কালিমা।

মা তুমি মাই আর কেউ না
অবাক দেবতারা ভাবে তুমি দেবী নাকি ঈশ্বর
দিয়ে দেয় সকল শস্ত্র বান তূন শর;
দুই হাত দশ করে বহাও স্নেহের নহর।

মা তোমার হবে না তুলনা
নানা সৃষ্টি সৃজনেও ঈশ্বরের পূর্ণ হলনা লীলা
আপনি সাঁজলেন মাতা রূপে, বর্ষেন কৃপা
কবি-ঋষি করলেন কীর্তন ঈশ্বরের মহিমা।

মা একজনই, নয় বহু
জল হাওয়ার মিশ্রণে মাটির গুণে মা
কোমলে কঠিনে ভালবাসা স্নেহে অনন্য
ভাব দর্শণে সর্বজীবে এক অভিন্ন।

মায়ের তুলনা মা
সব দিকে থেকে যদি কালো হয়ে উঠা বিষাক্ত ফেনা
ফনা তুলে ঘূর্ণীবাত্যার মাতম জাগায়
যদি সারা পৃথিবী বঞ্চনার গ্লানী হতাশার চাঁদ ডুবায়,
একটি মন্দিরের দরোজা খোলা কান্না জানাবার।

মায়ের মহিমা শেষ হবে না
মা না হলে নির্দয় পৃথিবী ধ্বংস হত থাকত না স্রষ্টার মহিমা
মা হয়ে সৃষ্টি করলে, মা হয়ে সৃষ্টি রক্ষা করলে

আমরা চলিব পশ্চাতে ফেলি পঁচা অতীত

যে সব লোকেরা মতিঝিলে হাজার হাজার লাশ পড়েছে বলে কান্না করছে তারা ভুল বলছে না। আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের চেতনার গুমট কালো কালো লাশ পড়ে আছে রাস্তাঘাটে। এই লাশের সংখ্যা গুনে গুনে তাদের স্বস্তি, কিন্তু আমাদের অস্বস্তি এই এত্তগুলো জিন্দা লাশ জাতি কী করে বয়ে নিয়ে যাবে! মহাকালের কোন কৃষ্ণগহ্বরে ঠাঁই হবে এই সব লাশপ্রিয় চলন্ত লাশদের! যেখানে একটা মৃত্যুও অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক সেখানে তারা লাশের রাজনীতি করার জন্য কওমি মাদ্রাসার নাবালক বাচ্চাদের মিছিলে সওয়ার হয়ে বিশৃঙ্খলা শুরু করে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

গ্লানি আমায় ক্ষমা করো প্রভু

গ্লানি আমায় ক্ষমা করো প্রভু
কর্মক্ষেত্রে মারা পড়ি কভু।
. . . এই যে মাতার কত আশা
. . . রুজি করে খাওয়াবে ছোড়া
. . . এই মেয়েটা চালাতে সংসার গেল মারা
. . . সেই দীনতা ক্ষমা করো
. . . . . . ক্ষমা করো প্রভু।
এই বেদনা ক্ষমা করো প্রভু
ভাতের দিকে তাকাই যদি কভু।
. . . ক্ষুধার জ্বালায় রুজির তাড়ায়
. . . যায় যদি গার্মেন্টস পাড়ায়
. . . সেই দীনতা ক্ষমা করো
. . . . . . ক্ষমা করো প্রভু।

glani amay kxoma koro.jpg
পরষ্পর বিপরীত দুই তথ্য
[২য় ছবিটি তুলেছেনঃ তসলিমা আকতার]

ঘুমন্ত কুম্ভকর্ণ আবার জেগে উঠেছে

আমি ফটিকছড়ির ভূজপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই গ্রামের মেঠো ধুলাই আমার কবিতার অঙ্গ। তার ঝির ঝিরে হাওয়া আমার গ্রীষ্মের প্রাণ। এখানের শীতের কুয়াশা গাঢ়, খেজুর গাছ থেকে রস পড়ে নিয়ম মেনে, ফুল ফুটে বসন্তে, ভ্রমর গায় গুঞ্জরনে। এখানের বর্ষায় হাঁটু জল হয় না, মাঝে মাঝে বান ঢাকে পুকুর-বিলে একাকার হয়। শাপলা কুড়াবার জন্য ঠিক অন্য এলাকার মতই আমাদের গ্রামেও বাচ্চারা উলঙ্গ হয়ে ডুব দেয় পুকুরে। নবান্নের হাসি ফুটে গৃহবধুর মুখে, ধানের মরা খর ছড়িয়ে পড়ে পথে পথে। এমন রূপসী গ্রাম বাংলার সবখানেই, আমাদের গ্রামটা কি একটু বেশীই?

যখন কেউ বলে জামায়াত মাত্র চার পার্সেন্ট, আমি অবাক হয়ে যাই। তারা চার পার্সেন্ট হতে পারে কিন্তু তাদের সাপোর্টার আমাদের গ্রামের প্রায় সব লোক। তারা বিএনপিতে ভোট দেয় আর ধর্মগোঁড়ামি নিয়ে জামায়াতকেই পছন্দ করে। সেই ছেলে বেলা থেকেই শিবিরের মারামারি কাটাকাটির কথা শুনে আসছি। মাঝখানে ১০-১২ বছর চুপ-চাপ ছিল এলাকাটা। কিন্তু সাম্প্রতিক হেফাজতের কল্যাণে ঘুমন্ত কুম্ভকর্ণ আবার জেগে উঠেছে।

স্বর্গপতন

একটা দুইটা করে দশটা বৃষ্টির ফোঁটা
শুষে নেয় দশ বিশ করে নব্বইটা মরুর কণা।
একটা দুইটা কান্নার শব্দ মাটিতে না পড়ে
যায় হারিয়ে দৈরথের ডামাডোলে।
. . . . তারা আশ্বাসে পাশে থাকে!

টাকার থলের দামে যৌনতা বেচে
. . . . . . . . . . . . জীবন বাঁচে
মায়ের দামে একাত্তোর বেচে
. . . . . . . . . . . . বেশ্যা সাঁজে।

প্রশংসা সকল সানির দ্বারে
আমার অনুভুতি সকাল বিকাল মরে।
চেতনার মরুভূমিতে বেড়ে ওঠা বিছে
চেপে ধরেছে মুখের স্বাধীনতা।
. . . . আজ তাদের চোখে গান্ধারীর পট্টি!
sorrgo-poton.jpg

মানুষ ও অন্যান্য

এদেশে বসবাস করে
মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, সংখ্যালঘু আর উপজাতি।
মানুষের সংখ্যা বাড়ছে
বাকিদের সংখ্যা দ্রুত হারে কমছে, মূল্য হ্রাস প্রোডাক্টের মত।
জনশক্তি বাড়ার কারণে
বড় বড় লেকচারার ও সচেতন লোকের পরিমাণ বাড়ছে।
শক্তি পরিমাপের বিষয়
শক্তির প্রমাণ দেখাতে মল্লযুদ্ধের ব্যবস্থা করা হয় ঘোষণা দিয়ে।
শরীরে রক্ত টগবগ
হাত নিশপিশ, কসরত হয় ছুড়িকাচির ব্যবহারে।
গাছপালা কমে গেছে
ইদানিং তাই গাড়িঘোড়া পোড়ানো হয়, এমনকি মানুষও।
লাঠির জোর পরীক্ষায়
মাটির তৈরি সংখ্যালঘু এক ঘায়ে ভাংতে হবে, নইলে ফেল।
মূর্তি ভাঙার কারণ আছে-
এমনিতেই সংখ্যালঘু কমে গেছে, শরীরের তাগোদ কম
যদি এক ঘায়ে অক্কা যায়,
বাকিদের তাদের চিড়িয়াখানায় পুষতে হবে, খরচ বাড়বে।
সার্কাস খুব মজার
গুটি কয়েক মানুষ জ্বালাও পোড়াও করে বাকিরা সার্কাস দেখে।
ছাগল একটি জনপ্রিয় ক্যরেক্টার
না না পশু হতে যাবে কেন? এরা মানুষ দুই পায়ে খাড়ায়
ম্যা ম্যা করে ল্যাদায়;
কাগজের ডকুমেন্টে প্রমাণ নেই, মোবাইলের ভিডিও লাগবে।
এক প্রকার অনুভুতি আছে
যা কেবল মানুষের থাকবে অন্য করো থাকা কবিরা গুণা।
ধর্মগ্যালভানাইজড চশমা আছে

কালতান্ডবে বাংলাদেশের জন্ম ও মিথ্যাচারঃ ২৫শে মার্চ থেকে ২৬ শে মার্চ

২৫শে মার্চ।

বঙ্গবন্ধুর সাথে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার আলোচনা ছিল একটি শঠতা , সময়ক্ষেপন মাত্র।ইয়াহিয়ার ঢাকা ত্যগের সাথে সাথে শুরু হয় ঘুমন্ত নিরস্র জনতার উপর পাকিস্থানী সামরিক বাহিনীর পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ । বিশ্বের ইতিহাসের এই নিষ্টুর হত্যাকান্ডের নাম ''অপারেশন সার্চলাইট।'' এই ব্লুপ্রিন্ট বাস্তবায়ন করতে ঢাকায় ডেকে আনা হয় ''বেলুচিস্তানের কসাই '' খ্যাত জেনারেল টিক্কা খান কে ।

ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনা ভেস্তে গেলে কি পরিস্থিতি হতে পারে তা আঁচ করেছিলেন এবং তাঁর লিখিত দু'টি ঘোষনার পাশাপাশি নিজের কণ্ঠে একটি মেসেজ তৈরী করেছিলেন যা কিনা ২৫শে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী সামরিক জান্তার হত্যাজজ্ঞ শুরু হওয়ার পর একটি হ্যান্ডি ট্রান্সমিটারের সাহায্যে প্রচার করা হয়।
1-59947fa622.jpg

বাংলার মুখ

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটা জন্মের সময় থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দুরা নির্যাতন, হত্যা, লুন্ঠন, জ্বালাও পোড়াও, ধর্ষণের শিকার হয়ে এসেছে। ১৯৭১এ এই দেশে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৩৭%, স্বাধীনতার ৪১ বছর পর তা এসে দ্বাড়িয়েছে ৯% এ। দেশ স্বাধীন হল সেক্যুলার দেশ কল্পনায়। সেটা কল্পনাই রয়ে গেল। যাঁরা স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁদের সরিয়ে দেয়া হল ষড়যন্ত্র করে। ৭১এর বিরুদ্ধ বিল্পবের লোকেরা ক্ষমতায় পৌছে গেল। তাদের স্বপ্নে মুসলিম রাষ্ট্রের পতাকা। কিন্তু তারা দেখেনা তাদের মুসলিম রাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থা। হিন্দু তথা সংখ্যালঘুদের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য এরা দায়ী।
Bangladesh_religions.png

আলোর যাত্রীরা থামবে না

619486_2055608_lz.jpgহতাশাবাদীর জিকির
হবে না হবে না ফল
আমরা বলি দেখ গ্লাসে
আরো অর্ধেক আছে জল।

নিরাশকারীর ফিকির
অনবরত উস্কে দেয়া ভয়
বলি তোমাতে নেই প্রয়োজন
আমরা করব জয়।

স্বাপদের গরম শ্বাস ঘারে
বর্ণচোরা গিরগিটি দৌঁড়ে
পথে যখন এঁকেছি পায়ের চিহ্ন
ভেবোনা মোরা যাব সরে।

বিভীষণ নামে একজন ছিল
ঘরের কথা পরকে বলে দিল
যে করে মিথ্যাচার সত্য গোপন
সে আদম বিভীষণের অধম।

ঈর্ষা এসিডসম করে জ্বালাতন
গলায় সম্ভাবনার দেহ ,
লড়ে যায় ঠোঁটে নিয়ে প্রাণ
আলোর দিশা পাবে বলে কেহ।
184365_10200568285997771_1010421689_n.jpg

একদিন নিমন্ত্রনের দিনে, একদিন না চাইতেই পাওয়ার দিনে...

নিমন্ত্রণ খেতে গেলাম। গৃহস্থ ম্যাডাম বললেন, "ঠিক আছে? আরো লাগবে? লাগলে আরো দিব। কি দিব নাকি আরো?"

আমার তো পেটের অবস্থা খারাপ, বহু কষ্টে বললাম, "না ম্যাডাম, এমনিতেই বায়ুর ঊর্ধচাপ তার উপর এত এত সুস্বাদু খাবারের চাপ সহ্য করা দায়। যদি বেঁচে যায় কিছু তবে প্যাকেট করে দেন। ছুটির দিনে খাওয়া যাবে।"

হাসলে ম্যাডামকে বড় করুণাময়ী মাতৃদেবী মনে হয়। দাঁতের মাঝখানে রোনালদোর মত সামান্য ফাঁক আছে। কোমল স্বরে বললেন, "এখনই তো বাবা খাওয়ার সময়। আরো নাও আরো নাও" এই বলেই একরকম জোর করেই পাতে ঢেলে দিলেন।

মায়ের কাছ থেকে শুনেছি খাবার নষ্ট করা ঠিক না। গরিব মানুষ, তাই নষ্ট করা সাঁজেও না। নিজেকেই গলাধকরণ করতে হল। পেট ভর্তি, নড়া চড়া করার উপায় নেই। ম্যাডামকে তাই একটু জিরোনোর আর্জি জানালাম। ম্যাডাম বললেন, "আমার ছেলে দুইটা তো বিদেশে। তুমি ওদের রুমে বিশ্রাম নিতে পার। সাবধান ওখানে কিন্তু পার্থ আছে। ও কথা বলার সময় কেবল শুনে যাবে।" ভাবলাম এ আর এমন কী! শুনে গেলাম আর কি, এই ভেবে গেলাম বিশ্রাম নিতে।

বেওয়ারিশ ছবি

525282_537179362993358_516274696_n.jpg

তার এক পাশ রাঙিয়ে দিল ভোরের সূর্য
চিরল চুল উড়ন্ত
ক্যানভাসে আঁকা ঠোঁট করে দিল বিমূর্ত।
এদিকে ফিরোনা ভিন দেশী
আমি রঙতুলিতে আঁকি
তিলোত্তমা।

টিমটিমে এক কুপি ছিল
চোখে চোখে ঘর্ষণে সেটা
দাবানল।
ডাকপিয়ন এসে খবর দিল
তাজমহলে আগুন।
বেওয়ারিশ চিত্রকরের লাশ যমুনায়
সম্পাদকের হতাশা- নাম ঠিকানা না জানায়।

বহুদিন পরে আবার দুটি চোখ
চিত্রকরের ছবি দেখে কোন মেট্রো রেলে
বিমর্ষ হয়ে চোখ ঢাকে
দর্শকের হতাশা- সে নাম ঠিকানা জানে না।

picture courtesy: Pavel Guzenko.-- Contemporary abstract painting.