দুরন্ত পথিক'এর ব্লগ
ইতিহাসে প্রহসনের বিচার (১) - সক্রেটিস ।
খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ সালের দিকে সক্রেটিসের জন্ম, তিনি ছিলেন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক। এই মহান দার্শনিকের সম্পর্কে তথ্য লিখিতভাবে পাওয়া যায় কেবল মাত্র তাঁর শিষ্য প্লেটো এর রচনা থেকে। তৎকালীন শাসকদের কোপানলে পড়ে তাঁকে হেমলক বিষ পানে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। তাকে পশ্চিমা দর্শনের ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি এমন এক দার্শনিক চিন্তাধারা জন্ম দিয়েছেন যা দীর্ঘ ২০০০ বছর ধরে পশ্চিমা সংস্কৃতি, দর্শন ও সভ্যতাকে প্রভাবিত করেছে। সক্রেটিস ছিলেন এক মহান সাধারণ শিক্ষক, যিনি কেবল শিষ্য গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানে বিশ্বাসী ছিলেননা। তার কোন নির্দিষ্ট শিক্ষায়তন ছিলনা। যেখানেই যাকে পেতেন তাকেই মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর বোঝানোর চেষ্টা করতেন।
অনেকের ব্যক্তিগত ক্রোধ ছিল সক্রেটিসের উপর। অনেকের জ্ঞানের অহংকার সক্রেটিসের কাছে চুর্ন হয়েছিল। সক্রেটিস প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা করতেন
আমার কোন জ্ঞান নেই।--কিছুই না' আমি এই মাত্র জানি
গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও শহীদ নূর হোসেন
যে অধিকারের জন্য ৩০ লাক্ষ মানুষ শহীদ হতে হল, তার এক দশক পরেই জন্ম নিল বাংলার মাটিতে এক বিশ্ব বেহায়া স্বৈরাচার, মানুষের নুন্যতম গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে যখন বঞ্চিত হল, তখন এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গন আন্দোলন গড়ে তুললো,.....১০ই নভেম্বর ১৯৮৭..সকাল থেকেই গুলিস্তান, জিরু পয়েন্ট, পল্টন এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এসে জড়ো হতে লাগলো,..তরুন, কিশোর, বৃদ্ধ সকল বয়সী প্রতিবাদী মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠলো পুরো এলাকা...সে এক অভাবনীয় দৃশ্য। সবাই স্বৈরাচারী এরশাদের হাত থেকে মুক্তি চায়, চায় গনতন্ত্র...যেখানে মানুষের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে।
রক্তাক্ত কারাগার, ৩ নভেম্বর'৭৫
সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সংঘটিত হয়ে গেলো ২/৩ নভেম্বর রাতে রক্তাক্ত এক কুখ্যাত জেলহত্যাকান্ড। মুজিব খুনি মেজর ফারুকের বিশ্বস্ত রিসালাদার মোসলেমউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দলকে তারা(ফারুক,রশিদ,মোশতাক) পাঠান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। দলবল নিয়ে গভীর রাতে জেলে পৌছে আওয়ামীলীগ নেতাদের হত্যা করতে চাইলে জেলের আইজি, ডিআইজি এবং জেলার হতবম্ব হয়ে পড়েন। জেলে এই সময় ফোন আসে বঙ্গভবন থেকে। আরেক খুনি মেজর রশিদ এর আগেই আইজি প্রিজন নুরুজ্জামানকে জানিয়েছিলেন মোসলেমউদ্দিনের জেলে আসবার কথা।
ফোন করে মেজর রশিদ জিজ্ঞাসা করেনঃ- মোসলেমউদ্দিন কি পৌঁছেছে?
নুরুজ্জামান বলেন, জী পৌঁছেছেন কিন্তু আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
রশিদঃ আপনি প্রেসিডেন্টের(মোশতাক) সাথে কথা বলেন ।
মোশতাক ফোন ধরলে নুরুজ্জামান বলেন স্যার মোসলেমউদ্দিন সাহেব তো বন্দিদের গুলি করার কথা বলছেন।
মোশতাকঃ সে যা বলছে তাই হবে। ....এই বলে মোশতাক ফোন রেখে দেন।
কেন আমরা রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধী??
চুক্তি!!
২০১০ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রীয় এক সফরে ভারতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেখানে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সঞ্চালনের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ওই প্রস্তাবনার ভিত্তিতেই ২০১২ সালে বাংলাদেশের অধীন সুন্দরবনের নিকটবর্তী রামপালের দুটি ৬৬০ ইউনিট মিলে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি)-এর সঙ্গে ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি)-র চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল ২০১৩ ঢাকায় ভারতের সঙ্গে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
!!ভয়!!
সংগ্রামের ঐতিহ্যয়ের ১৭ই সেপ্টেম্বর, মহান শিক্ষা দিবস।
১৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৬২ সাল, পাকিস্তানি শাসন, শোষণ, শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লরাই করতে গিয়ে শহীদ হন মোস্তফা, ওয়াজিউল্লা, বাবুলসহ নাম না জানা অনেকেই। তাই আমরা তাদের স্মরণে পালন করি "শিক্ষা দিবস"