জাতীয় ব্যাপার স্যাপার
১.
অনেক বড় কোম্পানি হয়ে গেছে তারা। লাভজনক তো বটেই। ১৫ বছরে অনেক বিনিয়োগ করেছে। সব মিলিয়ে যৌথ বিনিয়োগের এই কোম্পানি বাংলাদেশের প্রথম সারির কোম্পানি এখন।
কিন্তু এখন বিপাকে পড়েছে। লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে নবায়ন করতে হবে। ঝামেলাটা এখানেই। নতুন যে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে তা দেখে জটিল সংকটের আভাস পাচ্ছে তারা। এরপর শুরু হলো দৌঁড়াদৌড়ি। কিন্তু কার কাছে গেলে সমাধান হবে সেটি জানা যাচ্ছে না। চলছে কেবল দৌঁড়াদৌঁড়ি। চলুক..........
২.
তাকে বললাম, মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বললেন, লাভ নেই। দেখা করেছি, কাজ হবে না।
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি তো সাংবাদিক, অনেক খবর রাখেন। বলেন তো মন্ত্রীর ছেলে-মেয়েরা এখন কোথায়?
আমি বললাম, আপনিই বলেন।
তিনি হাসলেন, বললেন-কলম্বো।
-কলম্বো কেন?
-খেলা দেখতে।
আমি জানতে চাইলাম, তাতে সমস্যা কোথায়?
আবার তিনি হাসলেন, বললেন মুক্তিযোদ্ধা এই মন্ত্রীর ছেলেমেয়েরা গেছে পাকিস্তানের খেলা দেখতে। তারা আবার আফ্রিদীর ভক্ত।
আমি বললাম-ও।
তিনি আবার হাসলেন। বললেন, ওমুক কোম্পানি পুরো ট্রিপের স্পন্সর। ছেলেমেয়ের সখ বলে কথা।
৩.
‘তিনি’ কোনো পদে নেই। অথচ মতা ‘তাঁর’ কাছে। দেখা করার সুযোগ মিললো আবার ভিন দেশে। কোম্পানি বড় দেখে একটা দল ঠিক করলো, তারা ভিন দেশে যাবে। গেলো। দেখা মিললো, কথা হলো দেড় মিনিটের মতো। কারণ? কারণ তার সঙ্গে ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির লোকজন।
৪.
শুরুতে লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল বিনা পয়সায়। অথচ সব দেশে কেবল লাইসেন্স বিক্রি করেই মোটা অংকের অর্থ পেয়েছে। এরপর মধ্যপ্রাচ্যের এক যুবরাজের কোম্পানি আসতে চাইলো। বললো, তাদের লাইসেন্স দিলে তারা পর্যটন ও হোটেল সহ নানা খাতে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশকে ডলারে ভাসিয়ে দেবে। মধ্যপ্রাচ্যের যুবরাজের দায়িত্ব নেলো আমাদের ছোট যুবরাজ। তারা লাইসেন্স পেলো, তবে দিতে হলো ৫০ মিলিয়ন ডলার।
সরকার বদল হলো। দুষ্ট তত্বাবধায়ক সরকার জানালো, লাইসেন্স পাইয়ে দিতে এদেশের যুবরাজ এন্ড গং নিয়েছে আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার।
সেই কোম্পানি আর এদেশে নেই। বিক্রি হয়ে গেল। সেই ছোট যুবরাজও এখন নেই। কিন্তু তাতে কী? যুবরাজের কি অভাব?
৫.
এক সাবেক ব্যবসায়ী কাম পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গল্প বলি তাহলে। তিনি গেছেন জাপান। সেই হোটেলেই উঠেছেন এক বিদেশি, নাক চ্যাপ্টা। নাক চ্যাপ্টা আবার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেন, আরও বিনিয়োগ করার আকাঙ্খা। একই হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখে ভাবলেন একটু কথা বলি। নিদেনপে সকালের নাস্তার টেবিলে হলেও আধা ঘন্টা সময় চাইলেন। কিন্তু আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনেক ব্যস্ত। আবার হয়তো নাস্তা খেতে পছন্দ করেন চুপচাপ। তাই আর সময় দিতে পারলেন না।
সেই নাক চ্যাপ্টাকে কয়েকমাসের মধ্যে ভিয়েতনাম রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গেলো তাদের দেশে। বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানানো হল। তিনি অনেক বিনিয়োগও করলেন।
৬.
তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, সময়ের মধ্যে দিতে পারবেন তো। তিনি বললেন, অবশ্যই। ৩১ তারিখই দেওয়া হবে। সাংবাদিকসুলভ দৃষ্টিতে আবার জানতে চাইলাম, কি পাইলেন?
তিনি হাসলেন। বললেন, অনেক কিছু।
আবারও তাকালাম। তিনি বললেন, এমন কিছু নাম পেয়েছি যা ভাবতেও পারবেন না। আবার বললেন, আসল সত্য কি জানেন?।
জানতে চাইলাম। বললেন, চোরের আসলে কোনো দল নেই। আওয়ামী বলেন আর বিএনপি, চোর আসলে চোরই। খালি দল বদলালে চোরের সর্দার পালটায়, কিন্তু সঙ্গীসাথী সব ঠিক থাকে।
আমি এবার জানতে চাইলাম, নতুন চোর-ডাকাত কেউ নাই?
তিনি আবার হাসলেন। বললেন, দুটা নাম বলি, শোনেন খালি। এরা সব কিছু ঠিকঠাক করার দায়িত্বে ছিলেন, কিন্তু এরাই প্লেসমেন্টের শেয়ার নিয়েছেন দুই হাতে।
আমি নাম দুটো শুনলাম। শুনে আমার ‘ইমাম’ নিয়ে টানাটানি।
সরি, বানান ভুল হয়েছে। ইমাম না, হবে ইমান।
খাইছে আমারে ! এই সব কী শুনাইলেন দুলাভাই ??
আমিও শুনতাছি
সব শালাই বাইনচোদ খালি দোষ হয় এর্শাদের
কেবল ধরণ পালটায়
চার্টাড প্লেনের গল্প বলছিলাম..
আবার বলেন
যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবন।
কথা সত্য
আমরা খালি ভোট দিয়া সর্দার বদলাইয়া দেই। ভাবি সবাই খাক, একজন খাইব কেন সারাজীবন! এসব পড়লে, দেখলে, শুনলে হতাশ, রাগ, দুঃখ লাগে।
এতো দেখেও তো কিছু শিখলেন না
লেখা নিয়া আর কী কমু?
আমি আন্তজার্তিক ব্যাপার স্যাপার নিয়ে ডিল করি তাই এই জাতীয় বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।

"ইমাম" শব্দ দিয়ে কিছু বুঝাতে চাইলে বলি, আপনার ইমাম আমার বাংলাদেশ ব্যাংকে জব করা বন্ধুকে ফাঁসাইছে। তার দোষ সে এক চোরার কাহিনী আপনাদের পত্রিকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল গোপনে। আপনার ইমাম সেই ফাইল দিয়ে চোরের সাথে বুঝাপড়ায় গেছে, তারপর আমার বন্ধুরে ট্রান্সফার করা হইছে! কাহিনীটা পিঁয়াজ ব্যবসা নিয়ে।
ফেবু'তে শেয়ার করলাম।
কবেকার ঘটনা?
কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এসব গুমর ফাঁক করে দেয়ারও সুযোগ নেই।
ইমাম সাহেবের নামটা সরাসরি কইলে বিষয়টা ভালো হইতো...কারণ অনেকেই হয়তো অন্ধকারে থাকবো এইটা নিয়া। আমি ধারণা করতেছি এইটা খালেদ ইমাম...যিনি এইবার শেয়ার বাজারে দুর্নীতির তদন্ত কমিটির একজন ছিলেন...
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন মনে হয় মোর্শেদ খান।
তয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীটাকে চিনলাম না...
খালেদ ইমাম বলতে কেউ নাই।
আমি আসলে কাউরেই চিনি নাই। গাধী যে, এর জন্য
টুটুল কয়জনারে চিনায়া দিলো।
বড় শয়তানগুলা সব!! এনাদের কিছুই হয় না । আরাম আয়েশেই সারাজীবন পার করে দেবে । যত বিপদ সব চুনোপুটির ঘারে ।
শর্ষের মধ্যে ভুতে ভরা। দেখেন্না, বিবি কত কথা বলে, কিন্তু কি দেখি তা আর কি বলি
(মন বড় কষ্ট নিয়া আছি)
এটা বিশ্বব্যাপী সত্যিই
১। সিটিসেল
২। ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী
৩। মি।স্টার প্রিন্স-------- প্রতিদ্ধন্ধী কম্পানি "ভালবাশার তানে কাসে আনে"
৪। ওয়ারিদ অ্যান্ড মিস্টার এক্স প্রিন্স
৫। মুরশেদ কুলি খান.------- নাক ছেপটা কার হেইটা জানিন।।
৬। এস ই সি এর চেয়ারম্যান অ্যান্ড এ মেম্বার.
ভুল হলে মাফ কইরা দিয়েন.।।।
মন্তব্য করুন