কালবেলার সেই মাধবীলতা
মাধবীলতার কথা মনে আছে? সেই যে অনিমেষের মাধবীলতা।
একটা সময় গভীর প্রেমে পড়েছিলাম মাধবীলতার। মাধবীলতা যদিও আমার প্রথম প্রেম ছিল না। প্রথম প্রেম ছিল মেমসাহেব। জীবনে একজন মেমসাহেব থাকবে, তার প্রেরণায় আমি বিরাট কিছু হয়ে যাবো তাও যে ভাবিনি তা নয়। কিন্তু মেমসাহেবের মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হতো। এদিক থেকে নিমাই ভট্টাচার্য বেশ নিষ্ঠুর। এরপরে প্রেমে পড়েছিলাম সুনন্দার। চলতি পথে কোনো এক সুনন্দার সাথে হঠাৎ দেখা হওয়ার কথা খুব ভাবতাম। কিন্তু চারুদত্ত আধারকারের বঞ্চনার জন্য সুনন্দা কতটা দায়ী সে বিতর্ক এখনো আমার মনে রয়ে গেছে। এর পর প্রেমে পড়ি মাধবীলতার। আহা! মাধবীলতা।
সমরেশ মজুমদার আমার পছন্দের লেখক নন। তাঁর উত্তরাধিকার ও কালবেলা ছাড়া আর কোনো উপন্যাসই আমার ঠিক মনে রাখার মতো মনে হয় না। কিন্তু উত্তরাধিকার, কালবেলা ও কালপুরুষ বই তিনটি আমি সবসময় শেলফের সামনে রাখতেই আগ্রহী।
বই তিনটি আমার এখন পর্যন্ত দুবার পড়া। আরও হয়তো পড়বো। কিন্তু এবার আর পড়া নয়, দেখা। কালবেলা সিনেমাটার কথা বলছি। কালবেলা নিয়ে সিনেমা আর সেটা যদি হয় গৌতম ঘোষের পরিচালনায়, তাহলে তো বিশেষ মনোযোগ পেতেই পারে।
একটা পড়া উপন্যাস, যার প্রতিটি পৃষ্ঠা প্রায় মুখস্ত. সেই গল্প নিয়ে সিনেমা করা সহজ নয়। আমি এমনিতেই গৌতম ঘোষে মুগ্ধ। সেই পার থেকে শুরু করে সর্বশেষ মনের মানুষ-সব সিনেমাই আমার অনেক পছন্দের। বিশেষ করে দেখা নামের ছবিটা কিছুতেই ভুলবার নয়।
কালবেলায়ও আমি মুগ্ধ। খুব সহজ সরল ভঙ্গিতে সিনেমাটা তৈরি। সম্ভবত এই সহজ সরল ভঙ্গিটা তিনি আরও জোরালো ভাবে প্রয়োগ করেছিলেন মনের মানুষ সিনেমাটায়।
সিনেমাটা নিয়ে আমি বেশি কথা না বলে আনন্দবাজারে ছাপা হওয়া আলোচনাটা তুলে ধরি-
সেরা সময়, জঘন্য সময়। জঘন্য সময়ও কি? কথাটা নকশাল পিরিয়ডে আমাদের কলেজ ইউনিভার্সিটির সময়টাকেও বর্ণনা করে। শুধু একটু ব্যতিক্রম: ’৬৭ থেকে ’৭১-এর শেষ অবধি, অদ্ভুত সময়টাকে আমরা বরাবর ‘বেস্ট অব টাইমস’ই ভেবেছি, গভীর সন্ধেতে প্রেসিডেন্সিতে তারক সেনের ‘কিং লিয়র’ পড়ানো শেষে এলাকা জুড়ে বোমাবাজি এড়িয়ে এড়িয়ে বাড়ি ফেরার সময়ও এই কালবেলাকে ‘ওয়ার্স্ট’ বা জঘন্য ঠেকেনি। কারণ তখনও তো সেই দুপুরের স্মৃতি ভর করে আছে আমাদের। কলেজ ষ্ট্রিট কফি হাউসে এক দিব্যোন্মাদ কবি বিনয় মজুমদার টেবিলে এসে দিকশূন্য চাউনিতে বলছেন, ‘‘একটা কফি খাব।’’ ও দিকে কয়েক টেবিল দূরে নকশাল নেতা কাকা (অসীম চট্টোপাধ্যায়), চারু মজুমদারের লাইনের সঙ্গে ওঁর লাইনের ফারাক বোঝাচ্ছেন সদ্য কলেজে ঢোকা যুবকযুবতীদের, যাদের মধ্যে রূপীয়সী নৃত্যশিল্পী ও বিজ্ঞানছাত্রী লালী হাজির, আর ওরা হাঁঁ করে ওঁর কথা গিলছে। আর তারই ফাঁকে নেতাজির বাড়ির ছেলে অমিত বাথরুমের পাইপ বেয়ে চম্পট দিচ্ছে, বিপক্ষের ছেলেরা ওর রক্ত খাবে। আর এত সব বড় ঘটনার একটা জমাটি ব্যাকগ্রাউণ্ড মিউজিকও তো থাকতে হবে— যা হল দমাদ্দম বোমার কেত্তন আর পুলিশের গুলির আখর। সবাই পালাই পালাই করছে আর সঙ্গিনী বললে, ‘‘সে কী কাটলেটটা ফেলে যাবে? বিনয়দার কফিও তো আসেনি।’’
সমরেশ মজুমদারের বহু প্রশংসিত ট্রিলজি উপন্যাসের মধ্যখণ্ড অবলম্বনে গৌতম ঘোষের ‘কালবেলা’ ছবি ওঁর ও আমাদের মতো নকশাল, কলেজ ষ্ট্রিট, কফি হাউস প্রজন্মের কাছে স্মৃতির ভেতর স্মৃতির মধ্যে স্মৃতি। আমাদের চিরদিনের রমাপদ চৌধুরীর উপন্যাসের নাম ধরে বলতে হয় ‘এখনই’। ট্রাম পুড়ছে, সোডার বোতলের বৃষ্টিপাত হচ্ছে, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সনেটগুচ্ছ নিয়ে মিনিবুক বার করে সংস্কৃত কলেজের রেলিংয়ের সামনে বেচতে বসেছেন— এ সবই যেন এক মায়াময় বাতাবরণ, যা ঘিরে রেখেছে অজস্র টুকরো টুকরো প্রেমের প্রথম কদম ফুলকে। পাশের টেবিল থেকে সদ্য প্রেমে পড়া যুবতীর অনুযোগ ভেসে আসে যুবকের প্রতি—‘‘রোজ যে বোমাগুলি ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে কলেজ করতে আসি তা কি এই শুনতে যে মন কেমন করা একটা আদিখ্যেতা?’’ বাড়ি ফেরা আর হয় না। সন্ধে গড়িয়ে রাত নেমে গেলে শাঁখারিটোলায় মন্দির বাড়ির চাতালে বসে বাংলা মদ আর বন্ধুদের আড্ডায় একটি ছেলেকে আরও অন্য, অন্য স্বপ্নের কথা বলতে শুনি। ও চার পাশের রাজনীতি, প্রেম কিংবা বিপ্লব, আহার-অনাহার, শোক-দুঃখ-মৃত্যু নিয়ে ছবি করতে চায়। ও তথ্যচিত্র করতে চায়। কাহিনিচিত্র তো একটু একটু করে বড় হচ্ছেই মনের মধ্যে, সময়ে প্রকাশ্য। আন্দোলনের আগুন তখনও সে ভাবে নেভেনি, যখন ছেলেটি ‘হাংরি অটাম’ বলে একটি ছবি করে বসেছে। ক্রমে ‘দখল’ এবং এক সময় ‘পার’। কিন্তু এতটা কাল ধরে যে সময়ের জলজ্যান্ত চরিত্র ও নিজে, সেই সময়ের একটা স্মৃতিকথার অপেক্ষায় ছিলাম ওর বন্ধু, আমরা।
গৌতম ঘোষ কথা রেখেছেন, ‘কালবেলা’ করে, আর আমরা একে শুধু প্রেম আর রাজনীতির ছবি, শুধু অনিমেষ ও মাধবীলতার ছবি বলে থেমে যেতে চাইব না, এ বাস্তবিক অর্থে এক যুগের আত্মকথা। আর এক সমরেশের (বসু) কাহিনি অবলম্বনে ওঁর ‘পার’ দেখে ওঁকে সত্যজিৎ থেকে তরুণ মজুমদার জমানার পরের পর্বের অগ্রগণ্য চলচ্চিত্রকার বলে চিনেছিলাম, আর ‘কালবেলা’ দেখে ওঁকে সেই সময়কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে।
ছবিতে সময় ধরতে পর্দায়ও কিছুটা সময়ের দরকার হয়। ‘কালবেলা’ও সময় নিয়েছে দু’ ঘণ্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট। তাতেও যে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার দশ এপিসোড টেলিসিরিয়াল থেকে সম্পাদনা করে দাঁড় করানো ছবিটাকে অহেতুক লম্বা মনে হয়নি, তার কারণও ওই সময়। মোটামুটি ’৬৮-’৬৯ থেকে ’৭৭-’৭৮ সালের মধ্যে কলেজপাড়া, রাজনীতি ও জনজীবনের বেশ কিছু পর্বান্তর ধরার চেষ্টা আছে, স্বচ্ছ কারিকুরিহীন, ন্যারেটিভে এই ছবিতে। উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়তে আসা যুবক অনিমেষের পড়াশোনা থেকে রাজনীতি, ক্রমে রাজনীতি থেকে রাজনীতি, রাজনীতি থেকে প্রেম, বন্দিদশা, নৈরাজ্য এবং শেষে বিশ্বাসে ফেরা— এই হল ‘কালবেলা’র বেলা-অবেলার বৃত্তান্ত। উপন্যাসের অজস্র সাবপ্লট থেকে ছেঁকে বেছে যে কাহিনি পর্দায় রাখা হয়েছে তা অনবদ্য। মূলত টিভির জন্য তোলা বলে ক্লোজ ও মিডশটে ঘন-ঘনিষ্ঠ বড় করে তোলা হয়েছে নানা পরিস্থিতি। আবার এই অন্তরঙ্গতার সুন্দর ভারসাম্য কলেজ ও ইউনিভার্সিটি, মিছিল, ষ্ট্রিট ফাইট ময়দান ও গঙ্গাবক্ষের খোলা দৃশ্য। টিভির লম্বা কাজ বলেই হয়তো একটা নাটকীয় ওঠাপড়া মাঝেমাঝেই কাজ করেছে ছবির ছন্দে। কিন্তু এই ওঠাপড়া নিয়েই তো নকশাল আন্দোলনকালের ছাত্রজীবন, এই ওঠাপড়া আঁকবাঁক নিয়েই সমরেশের যুগনিষ্ঠ উপন্যাস। এই ওঠাপড়ার জন্যই হয়তো ছবিটাকে ঠিক দম এঁটে দেখতে হয় না; মেসবাড়ি, থানা, ক্লাসরুম, জেল সেল, গলির অন্ধকার থেকে খোলা দৃশ্যের বাতায়নীকরণ খুব সুন্দর বাতাস খেলানোর কাজ করে।
তবে কাহিনির সব চেয়ে সুন্দর হাওয়া বদল হয় অনিমেষ ও মাধবীলতার প্রেমে। হাওয়ার ঝলক আসে নায়কের মেসের সঙ্গীর কবিতা বলা আর লেখায়। কী করে, কী করেই যে শহরে বাংলা সাহিত্য পড়তে আসা যুবা বামপন্থী রাজনীতিতে ঢুকে পড়ে, ক্রমে সে-রাজনীতিও পরিত্যাগ করে উগ্রপন্থী হয়, তত্ত্ব থেকে তত্ত্বে সরে সরে গিয়ে, তা ছবি করে দেখানো খুব সহজ কাজ নয়। এক ধরনের সরলীকরণ এসেই যায়, আর যা না এলে ছবিকে জনগ্রাহ্য করা, সেন্সরের কাঁচি থেকে বাঁচানো সম্ভব না। ‘কালবেলা’-কে কলকাতার ইতিকথা ও অপরূপ একটা প্রেমের ছবি করে সেই উত্তরণ ঘটেছে।
‘কালবেলা’র প্রেম সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে অনিমেষ চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও মাধবীলতা চরিত্রে পাওলি দামের আশ্চর্য এবং প্রায়-নিখুঁত অভিনয়। বহু দিন পর এত ভাল অভিনয় দেখলাম বাংলা ছবির নায়ক-নায়িকা ভূমিকায়। আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কথা কী বলব! ১৯৫৮ সালের অপু পঞ্চাশ বছর পর অনির দাদু হয়ে সীমিত কিছু সিকোয়েন্সে এত সুন্দর একটা চরিত্র রোপণ করে গেলেন যা সহসা মনে পড়িয়ে দিল মৃণাল সেনের ‘পদাতিক’ ছবিতে অনুরূপ ভূমিকায় বিজন ভট্টাচার্যকে। বাবার চরিত্রে সন্তু মুখোপাধ্যায়, সুভাষদা’র রোলে শান্তিলাল, নীলার ভূমিকায় আনন্দী আর বিশেষ করে কবিচরিত্রে রুদ্রনীলকে দিয়ে দারুণ কাজ করানো গেছে। রুদ্রনীলের চরিত্রটা বড় মনকাড়া, কিন্তু কবি থেকে ওঁর বিপ্লবী হওয়া দেখানোর জন্য আরও কিছু দৃশ্যের দরকার ছিল।
বাংলা ছবিতে এত সুন্দর গানও শুনলাম বহু দিন পর। রেকর্ডে কে এল সায়গলের গলায়, নিজের গলায় আটপৌরে ভাবে পাওলির। গৌতমের ছবিতে চিত্রগ্রহণ বরাবরই সুন্দর, এই ছবিতে ক্যামেরার কাজেও অদ্ভুত সংযম দেখলাম। যা ছবিকে আরও সুন্দর করেছে। গৌতমের পরিচালনার গুণপনার কথায় একটা কথাই শুধু বলার বাকি— উনি এ ছবির নিছকই পরিচালক নন, আক্ষরিক অর্থে এর auteur, অর্থাৎ সর্বময়। এ ছবি ওঁর ‘কলকাতা ৭১’ও।
আমি বাংলা ছবির ভক্ত। বিশেষ করে ইদানীংকার কোলকাতার সিনেমাগুলো আমাকে মুগ্ধ করে রেখেছে। সত্যজিৎ বা মৃনাল সেনের প্রতি পুরানো প্রেম তো আছেই।
কালবেলা না দেখে কেউ থাকতে পারবেন?
না, কালবেলা না দেখে থাকা উচিত নয়
ভাবতেই ভালো লাগছে কাল বাদে পরশু ''কালবেলা'' দেখবো।
থ্যাঙ্কু মাসুম ভাই।
================================
সেদিন একটা বাংলা সিনেমা দেখলামঃ আমাদের কিং খানের
- The Great Chair.
সেই রকম সিনেমা।
অকে দেখবোনে।
দেখবো
এমেরিকায় কেমনে দেখমু?! মাধবীলতা পছন্দের চরিত্র, আমার বন্ধু তার প্রেমে পড়ে গিয়েছিল আমার আগেই তাই আমি পড়তে পারিনি।
এইখানে একটা ক্লিক দেন নারু দা
আপনেরে
আরো কিছু নেন।
আশা করি দেখবো।
দেখে স্বপ্নভঙ্গ হইলে কিন্তু আপ্নের খপর আছে মাসুম ভাই!
সাধারণতঃ পছন্দের উপন্যাসগুলির উপর বানানো সিনেমাগুলি দেখি না। তয় মাসুম ভাইয়ের রিভিউ পইড়া দেখার ক্ষীন আশা তৈরী হইতেছে...
akjon madhobilota r opekhhay to kete gelo jibon. jantrik jibone madhobilota ke vulte boshe chilam. dhonnobad mone koriye deyar jonno.
সমরেশ মজুমদার এককালে আমার হিরো ছিলেন, কালবেলা, কালপুরুষ, অনিরছেলেবেলা এর পরে ওনি আরো একটা পর্ব যোগ করেছেন এই সিরিজে। আর আছে গর্ভধারিনী আর সাতকাহন। সাতকাহন এখনো আমার প্রিয় বইয়ের একটি। তবে এর বাদে সমরেশ যাতা। কিছুই আর নেই। আমিও খারাপ। এক শংকর, বানী বসু, আশাপূর্না ছাড়া এখনো কেউ আমার পার্মানেন্ট পছন্দের নেই। বাকিরা আছেন আবার নেই
পোষ্ট প্রিয়তে রাখলাম। অবসর মুহূর্তে ফ্লিম সাজেশনের কাজে লাগবে
উপন্যাস থেকে বানানো সিনেমাগুলো আশাভঙ্গের কারণ হতে পারে। আপনি যখন বলছেন, এইটা দেখতে পারি!
কালবেলা যখন পড়েছি পড়া শুরু করে শেষ না করে বইটা রাখতে পারিনি। এমন নেশার মত আজকাল আর খুব একটা পড়া হয় না।
মুভিটা দেখতে হবে।এ সপ্তাহেই ইনশাল্লাহ।
অনেক দিন যাবৎ অনেক মুভি দেখবো দেখবো করে দেখা হয়না। এই সেমিষ্টার ব্রেক এ আর না হলে "কালবেলা" আর "অটোগ্রাফ" মুভি দুটো দেখবোই। দুটোই আপনার রিভিউ পড়ে
কালবেলা দেখার জন্য উদগ্রীব হলাম। মাধবীলতা বিষয়ে নিজস্ব গল্প আছে। কমেন্টে দিলাম না।
মনে হয় না। কালবেলা এতবার পড়া যে চলচিত্রায়ন আর গল্পে কী অসঙ্গতি, তা খুঁজতেও হয়তো দেখা হবে।
শতক।
মাসুম ভাই, এই মূহূর্তে আপনের ঠিক কয়টা পোস্ট ড্রাফটে আছে একটু বলেন।
কাহিনী কী? মাত্র একটা, আমিই ড্রাফট করছিলাম। আর বড়দের জোকস ড্রাফট করেও পরে আমার পাতায় রেখে দিছি।
আমার অসম্ভব প্রিয় চরিত্র একটি - মাধবীলতা।
কালবেলা-কালপুরুষ প্রায় ৫/৬ বার পড়েছি। সিনেমাটা দেখতে হবে ।
কালবেলা সিনেমাটা নামিয়ে রেখেছিলাম আগেই, কিন্তু দেখা হয় নাই এতদিন। অবশেষে সিনেমাটা কালকে দেখার সময় হলো, আর কালকেই বামেদের পতন
এখন সিনেমা দেখা পরবর্তী কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেলাম
~
দেখলাম আর হতাশ হৈলাম।
গৌতম ঘোষ আর আমরার চাষী আঙকেল এক টাইপ। বিখ্যাত সাহিত্য নিয়া ছবি বানান, তবে সেইটা স্রেফ কাহিনী বৈলা যাওয়া হয়। গভীরতা থাকেনা। ভাবখানা দর্শক তো উপন্যাসটা পড়ছেই, সো সব বুঝবো।
মন্তব্য করুন