রাজনীতি নিয়ে সিনেমা-২: দুনিয়া কাঁপানো সত্য ঘটনা পর্ব
এবারের পর্বটিও সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি সিনেমা নিয়ে। তালিকার ৯টি ছবির ঘটনা পুরোপুরিই সত্য। একটিতে ভিন্ন একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে যেহেতু কেনেডি হত্যা রহস্য উদ্ধার হয়নি, তাই তালিকায় স্থান পেলো সিনেমাটি। যেসব ঘটনা বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ধরণের ধাক্কা দিয়েছিল, সে সব ঘটনার ছবি নিয়েই এই আয়োজন।
১.জেড: রাজনীতি নিয়ে ছবি করার ক্ষেত্রে গ্রীক পরিচালক কস্তা গরভাস সম্ভবত পরিচালকদের মধ্যে প্রথম সারিতেই থাকবেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি জেড। মূলত একটি হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ছবিটি।
গ্রেগরিস ল্যামব্রাকিস নামের গ্রীক রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী প্রকাশ্যে গুপ্ত ঘাতকের হাতে খুন হয়েছিলেন ১৯৬৩ সালে। চরম ডানপন্থী দুজন কর্মী খুন করলেও তাদের পেছনে ছিল পুলিশ বাহিনীসহ আরও অনেকে। এই খুন গ্রীসের রাজনীতিতে বড় ধরণের সংকট তৈরি করেছিল। তদন্ত শুরু হলে বের হয়ে আসে একের পর এক সত্য ঘটনা। ফলে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল সে সময়ের সরকার। নির্বাচনের তারিখও দেওয়া হয়েছিল। ল্যামব্রাকিসের বামপন্থী দল যখন নির্বাচনের জয়লাভ করবে বলে সবাই নিশ্চিত ছিল সে সময় গ্রীক সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। বলা হয় এর পেছনে মার্কিন হাত ছিল।
জেড একটি ক্লাসিক ছবি হিসেবে বিবেচিত। মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৯ সালে।
২. অল দি প্রেসিডেন্টস ম্যান: বিখ্যাত ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে ছবি। এর ফলে শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। আর ঘটনাটি উদঘাটন করেছিল দুই সাংবাদিক, যারা ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন।
১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দল ও প্রশাসনের কয়েকজন মিলে ওয়াশিংটন ডিসির ওয়াটারগেটে ডেমোক্রাটদের সদর দপ্তরে আড়িপাতার যন্ত্র বসিয়েছিল। ওয়াশিংটন পোস্টের দুই সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড এবং কার্ল বার্নস্টেইন এই ঘটনার পেছনে কারা ছিলেন তা ফাঁস করে দিয়েছিলেন। আর তাদের খবরের উৎস ছিল ডিপথ্রোট নামের একজন সোর্স। রবার্ট রেডফোর্ড ও ডাস্টিন হফম্যান এই সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
৩. ফ্রস্ট/নিক্সন: নিক্সন পদত্যাগ করে চুপচাপ আছেন। ১৯৭৭ সাল। ডেভিড ফ্রস্ট তখন বিখ্যাত কেউ না। ঠিক করলেন নিক্সনের একটা সাক্ষাৎকার নিতে হবে। নিক্সন তখন একপ্রকার নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। গ্লানিময় জীবন। দেশের মানুষ পছন্দ করে না। ইতিহাসের অন্যতম সেরা কেলেঙ্কারির জন্মদাতা সে। এই নিক্সন রাজী হলেন ফ্রস্টটে সাক্ষাৎকার দিতে। তবে এ জন্য দর হাকলেন ৬ লাখ ডলার। শর্ত হচ্ছে ৪টা পর্ব হবে চার বিষয়ে। ওয়াটারগেট, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, অভ্যন্তরীণ নীতি ও ব্যক্তি নিক্সন। এর মধ্যে ওয়াটারগেট কোনো ভাবেই মোট সাক্ষাৎকারের ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
নিক্সন ভাবলেন এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তিনি আবার নিজের ইমেজ উদ্ধার করবেন। ফ্রস্ট তার সাথে কথায় পারবে না বলেই সবার ধারণা। বিষয়টি সহজ ভাবে নিলো না আমেরিকানরাও। তারা মনে করে, যে লোকটির জেলে থাকা উচিৎ সেই লোককে ধনী করে দিচ্ছে ফ্রস্ট। ফ্রস্টের তখন জীবন-মরণ সমস্যা।
শুরু হলো মনস্তাত্বিক খেলা। সাক্ষাৎকারে সুবিধা করতে পারছে না ফ্রস্ট। নিক্সন বলা যায় দাঁড়াতেই দিলো না ফ্রস্টকে। ফ্রস্ট শিবিরে চরম হতাশা। বাকি আছে ওয়াটারগেট পর্ব। শুরু হলো আসল খেলা।
১৯৭৭ সালে এই চার পর্বের সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দেখা সাক্ষাৎকারের রেকর্ড এটি। এ থেকে ফ্রস্টের আয় হয়েছিল ১০ লাখ ডলার।
৪. চার্লি উইলসন ওয়ার: আফগান মুজাহেদিন পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে যথেষ্ট পরিমাণ যন্ত্রণা দিলেও তাদের বেড়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রেরই। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে প্রতিহত করার জন্য আফগান মুজাদেহিনদের অস্ত্র দেওয়াসহ সব ধরণের সহায়তা করেছিল মার্কিনীরা।
আফগান মুজাদেহীনদের সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবহারের ধারণা এসেছিল মার্কিণ কংগ্রেসম্যান চার্লি উইলসনের মাথা থেকে। আর সঙ্গে তো সিআইএ ছিলোই।
মাইক নিকোলস এর এই ছবিটি ২০০৭ সালের। অভিনয়ে টম হ্যাঙ্কস, জুলিয়া রবার্টস ও ফিলিপ সিমুর হফম্যান।
৫. দি পেন্টাগন পেপার্স: ভিয়েতনাম যুদ্ধের অন্যতম রূপকার ছিলেন রবার্ট ম্যাকনামারা। ১৯৬৭ সালে ম্যাকনামারা ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সে সময়ে তিনি ভিয়েতনাম-মার্কিন সম্পর্ক ও যুদ্ধ নিয়ে একটি ভিয়েতনাম স্টাডি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিলেন। অত্যন্ত গোপনে এটি করা হয়েছিল। এমনকি সেসময়ের প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসনও তা জানতেন না। এই স্টাডি গ্রুপ ৭ হাজার পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিল, যার ৪ হাজার পৃষ্ঠাই ছিল কেবল গোপন দলিল। রিপোর্টে দেখানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে একের পর এক মিথ্যা কথা বলে ভিয়েতনামে যুদ্ধ শুরু করেছিল। মার্কিন সরকার কেবল দেশের মানুষকেই মিথ্যা বলেনি, কংগ্রেসকেও মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল। এই রিপোর্টটিরই নাম পেন্টাগন পেপার্স।
এই রিপোর্টটি ফাঁস হয়ে যায়। ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়েছিল নিউইয়র্ক টাইমস-এ। ড্যানিয়েল এলসবার্গ নামের একজন মিলিটারি এনালিস্ট এটি ফাঁস করে দিয়েছিলেন। সে সময়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে নিক্সন সরকার মামলাও করেছিল পত্রিকা ও এলসবার্গের বিরুদ্ধে। সেটি নিয়েই ছবি দি পেন্টাগন পেপার্স, ২০০৩ সালের এই ছবিটিও চমৎকার।
৬. থার্টিন ডেজ: ১৯৬২ সালে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় লেগেই গিয়েছিল। কিউবার মিসাইল সংকট নিয়ে এই যুদ্ধ লাগার উপক্রম হয়েছিল। কিউবার ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে উৎক্ষাৎ করার একের পর এক চেষ্টা বিফলে যাওয়ায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আশঙ্কা ছিল কিউবা আক্রমন করে দখল নেওয়ার। যুক্তরাষ্ট্রকে ঠেকানোর জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় অনেকগুলো মিসাইল স্থাপন করেছিল। এসব মিসাইল দিয়ে মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় অংশ ধংস করা সম্ভব ছিল। এই মিসাইল স্থাপন নিয়ে শুরু হয় সংকট।
জে এফ কেনেডি তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর নিকিতা ক্রুশ্চেভ সোভিয়েত প্রিমিয়ার। মজার ব্যাপার হচ্ছে দুদেশের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল এবিসি নিউজের এক সাংবাদিক জন এ স্কালির মাধ্যমে। পরে ঠিক হয় যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন মিসাইল সরিয়ে নেবে আর যুক্তরাষ্ট্র কখনোই কিউবা আক্রমন করবে না।
পুরো ঘটনাটি ১৩ দিনের। আর সিনেমাটা সেই ১৩ দিন নিয়েই। ২০০০ সালের এই ছবিটির মূল অভিনেতা কেভিন কষ্টনার।
৭. ফেয়ার গেম: জোসেফ সি উইলসন বিভিন্ন দেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ইরাক আক্রমণ করার ঠিক পরের ঘটনা। জর্জ বুশ ২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিক বক্তৃতা দিয়ে জানালেন যে, ইরাক ম্যাস ডিসট্রাকশন বোমা তৈরি করেছে ইরাক এবং ব্যবহার হচ্ছে ইউরানিয়ামস।
এই বক্তৃতা দেওয়ার পর পরই জোসেফ উইলসন নিউ ইয়র্ক টাইমস এ লেখা পাঠান। সেখানে তিনি বলেন যে, জর্জ বুশের দাবি সত্য নয়। শুরু হয় নতুন সংকট। উইলসনের স্ত্রী ভ্যালরি প্লাম একজন সিআইএ এজেন্ট। এতে শুরু হয় নতুন ধরণের সংকট। হোয়াইট হাইজের সঙ্গে এক অসম যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন তারা।
ভ্যালরি প্লাম সেই ঘটনা নিয়ে একটি বই লিখেছেন। নাম-ফেয়ার গেম: মাই লাইফ এস এ স্পাই, মাই বিট্রেয়াল বাই দ্য হোয়াইট হাউজ। সেই বই নিয়ে সিনেমা, ফেয়ার গেম।
২০১০ সালের ছবি। শেন পেন আর নোয়ামি ওয়াটস ছবিটার মূল্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলা যায়।
৮. জেএফকে: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেএফ কেনেডি আততায়ীর হাতে খুন হন ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর। এজন্য দায়ী করা হয়েছিল লি হার্ভে অসওয়াল্ডকে। কেন কেনেডিকে খুন করা হয়েছিল সে রহস্য আজও আবিস্কার হয়নি।
পরিচালক অলিভার স্টোনের সবচেয়ে আলোচিত ছবি জেএফকে। এখানে দেখানো হয়েছে কেন মারা হলো কেনেডিকে। একজন আইনজীবী জিম গ্যারিসন (কেভিন কষ্টনার) খুঁজে খুঁজে বের করেন এর রহস্য। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে যে কেনেডিকে খুন করা হয়েছিল সেটিই বলা হয়েছে ছবিটিতে। এমনকি এ জন্য পরবর্তী সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জনসনকেও দায়ী করা হয়েছে।
১৯৯১ সালে মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই চরম বিতর্ক শুরু হয়েছিল জেএফকে নিয়ে। অসংখ্য লেখালেখি হয় ছবিটি নিয়ে।
৯. রেডস: জন রীডের দুনিয়া কাঁপানো ১০দিন পড়েন নাই এমন পড়ুয়া পাওয়া মুশকিল। জন রীড মার্কিন সাংবাদিক। তিনি রুশ বিপ্লব ঘটার সেই ১০ দিনের বর্ণনা দিয়েছিলেন এই বইটিতে। ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর বলশেভিকদের নেতৃত্বে রাশিয়ার শ্রমিক শ্রেনী ক্ষমতা দখল করেছিল। এর আগে জারের পতনের পর মেনশেভিকরা ক্ষমতায় ছিল।
জন রীড সেই সময়ের বিপ্লবের মহাকাব্যিক বর্ণনা দিয়েছিলেন বইটিতে।
সেই বই নিয়েই ছবি রেডস। ১৯৮১ সালে মুক্তিপাওয়া ওয়ারেন বেটির এই ছবি এরই মধ্যে ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়েছে।
১০. ক্রাই ফ্রিডম: ১৯৭০ সাল। দনি আফ্রিকা কখন বর্ণবাদি সাদাদের দখলে। সংগ্রাম করছে কালোরা। সাংবাদিক ডোনাল্ড উডস (কেভিন ক্লেইন) তখন দক্ষিণ আফ্রিকায়। বন্ধুত্ব হয় কালোদের আন্দোলনের নেতা স্টেভ বিকোর (ডেনজেল ওয়াশিংটন) সাথে। পুলিশের হাতে মারা যায় স্টিভ বিকো। এ নিয়ে অনুসন্ধান ও লিখতে গিয়ে ঝামেলায় পরে উডস। ফলে এক পর্যায়ে বাঁচতে পালিয়ে যেতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। সেই পালিয়ে যাওয়া নিয়ে ছবি।
গান্ধি ছবির পরিচালক স্যার রিচার্ড এটেনবরোর এই ছবিটি ১৯৮৭ সালের।
একটিও দেখিনি । এবারে দেখব। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
দেখেন। ভাল লাগবে আশাকরি।
মুভিগুলো দেখি নি। দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন পড়েছি। গল্পগুলো এত আগ্রহউদ্দীপক, দেখার ইচ্ছে জন্মালো, কত কত মুভি না দেখা রয়ে যাচ্ছে........আল পাচিনোর পুরো সিরিজ ফেলে রাখা
আল পাচিনো ধরো। গড ফাদার শেষ করো। ডগডে আফটারনুন দেখা।
আহ্ আমার প্রিয় মাইকেল করলিওনি...
নির্বাচিত এবং বিষয়ভিত্তিক সিনেমা দেখার সুযোগ তৈরির জন্য মাসুম ভাইকে অনেক ধন্যবাদ। অন্তত চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর দেখা যাবে (যদি .... )।
অ.ট. কিছু শব্দের যুক্তাক্ষর ঠিক থাকছে না।
এতোদিন অপেক্ষা করবেন? ততদিন তো আরও নতুন নতুন মুভি আসবে।
যুক্তাক্ষর ঠিক করে দিলাম। ধন্যবাদ।
না, মাসুম ভাই, এত অপেক্ষা করা যাবে না। খুব শিগগরই দেখা শুরু করবো। অনেক ধন্যবাদ।
খালি ফেয়ার গেম দেখছি। দেখার সময় মনে পড়ছে যে সি.আই.এ এজেন্টের পরিচয় ফাঁসের এরকম ঘটনা সত্যি সত্যি ঘটছিলো।
সত্য ঘটনা। সবচেয়ে সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে মুভি এটাই।
নামগুলো মনে রাখলাম।
এই তালিকার ফ্রস্ট/নিক্সন দেখেছি। এবং কেন দেখেছি সেটা আপনে জানেন
অ.ট.: অনেক বেশি
কী অনেক বেশী?
আপ্নেই তো সেদিন জানতে চাইলেন
যুদ্ধের পরে প্রেমের সিনেমার লিষ্টটা দিয়েনতো ভাইডি।
সামুতে একবার দিছিলাম তো বাজি।
আমিতো সামুতে জীপনেও ঢুকি নাই। এখানে আবার দ্যান, প্রব্লেম কিতা?
একটাও দেখি নাই
দ্রুত দেখেন
বাকীর খাতা ভরে গেলো।কবে যে দেখবো এই সিনেমাগুলো।
নজরুল ভাই টরেন্ট লিঙ্ক দেন।
আমারও অনেক সিনেমা জমে গেছে। কবে যে দেখবো!
একটাও দেখি নাই । লাদেনের কুনু সিনেমা নাই? দেখতাম চাই। আর ইয়ে মানে তাতাপুর সাথে একমত হলাম, উনারে ভালোবাসি তো তাই। তাতাপুর প্রস্তাবটা গুরুত্বের সাথে নিয়েন।
কেবল ৩ টা দেখেছি । এই টাইপের মুভিগুলো আমার টপমোস্ট চয়েস , কৃতজ্ঞতা মাসুম ভাই
একটাও দেখা হয়নি। কী কপাল !
বই দেখা শরিয়তে নিষেধ আছে
বই দেখতে মানা নেই জদি ভালো বই হয়
মন্তব্য করুন