প্রসঙ্গঃ বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধের পেছনের কারণ
গতকাল(২৯-৫-২০১০) সন্ধ্যার পর থেকেই যে ফেসবুক বন্ধ আছে সরকারী নির্দেশে, এরইমধ্যে তা সবাই জেনে গেছেন ব্লগ বা অন্যান্য নিউজ মিডিয়ার মাধ্যমে। আমার এই লেখাটি আসলে নিছক ফেসবুক বন্ধের প্রতিবাদ নয়, এই সিদ্ধান্তের পেছনে সরকারের কি ধরণের মানসিকতা কাজ করেছে তা অনুসন্ধান করার একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।
অফিস থেকে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পর স্বভাববশতঃ ল্যাপটপ অন করে ব্লগ এবং ফেসবুকে ঢুকলাম। সব ব্লগে ঢুকতে পারলেও ফেসবুকে বারবার চেষ্টা করার পরও ঢুকতে পারছিলামনা। প্রথমে ভেবেছিলাম নেটের কোন সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে। কিন্তু কয়েকটি ব্রাউজারে ফেসবুক ওপেন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এবং পরে বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে আসলে সরকারের ওপর মহলের নির্দেশে এই সাইটটি বন্ধ করা হয়েছে।
কেউ যদি মনে করে থাকেন ফেসবুকে আসক্ত অন্যান্য বহু বাংলাদেশীর মত আমার মনেও হায়হায় রব উঠেছে এই সাইটে ঢুকতে না পেরে, তাহলে বিনয়ের সাথে বলতে হচ্ছে, তিনি/তাঁরা ভুল ভাবছেন। ফেসবুকে আমার আসক্তি তেমন একটা নেই। সারাদিন অফিসের কাজের ভীড়ে ফেসবুকে ঢোকার তেমন একটা সময় পাইনা। আর বাসায় এসেও ক্লান্ত শরীরে বেশীক্ষণ ফেসবুক বা ব্লগে পরে থাকার কোন তাড়না আমার ভেতরে কাজ করেনা। ফেসবুকে টানা বেশ কয়েক সপ্তাহ না ঢুকলেও আমার কিছু যায় আসেনা। তাই এই সাইট ব্লক হওয়ার ঘোষণা আমার মনে বিশেষ কোন রেখাপাত করেনা। তারপরও এই সাইট বন্ধ করার আগে গত কয়েকদিনের এ সংক্রান্ত বেশ কিছু ঘটনাবলী সচেতন মহলকে এ নিয়ে ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য, বিশেষ করে গতকাল সন্ধ্যায় ফেসবুক ব্লক হওয়ার পর থেকে।
আমরা অনেকেই জানি ফেসবুকে ইসলামবিরোধী বেশকিছু গ্রুপ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে ব্যঙ্গ করে কিছু কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে বেশকিছুদিন ধরে। তারই প্রতিবাদে বাংলাদেশের উগ্র ইসলামপন্থী কিছু রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচী পালন করে আসছে। তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা সরকারকে ২৭শে জুন পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছে, তাদের দাবী ২৭শে জুনের মধ্যে বাংলাদেশে ফেসবুক নিষিদ্ধ করা নাহলে ২৮শে জুন তারা হরতাল পালন করবে। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু খবর গত কয়েকদিনের পত্রিকা খুললেই দেখা যাচ্ছিল। এরই মাঝে ধরনী ভেদ করে হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন রডিন নামের এক যুবকের আবির্ভাব হল, যে নাকি প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর ছবির ক্যারিকেচার করে ফেসবুকে প্রকাশ করেছে। র্যা ব কথিত এই যুবকের সাইবার ক্রাইম এর আরো প্রমাণ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। তার গ্রেফতারের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সারাদেশে ফেসবুক বন্ধের আদেশ জারী হল। আদেশ জারী হতে যত দেরী, পালন করতে বেশী দেরী নেই এক্ষেত্রে। এর আগেও বিভিন্ন মিডিয়ার মুখ বন্ধ করে দিতে সরকার যে বিশেষভাবে তৎপর, সেটা তারা গত কিছুদিনের কর্মকান্ডেই দেখিয়েছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং এদেশীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানীর ওপর খড়গ চালিয়ে।
এই পরিস্থিতিতে আমার একটাই প্রশ্ন বারবার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, কোথাকার কোন যুবকের কথিত দুই নেত্রীর ছবি ক্যারিকেচার -এর দায়েই সারাদেশে ফেসবুক বন্ধ হয়ে গেল, নাকি এর পেছনে কোন রহস্য আছে? আমি নিয়মিত ইসলামের অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করি, কিন্তু তাই বলে আমি গোঁড়া মুসলিম নই যে, ধর্মীয় গোঁড়ামি কারণে আমি আমার বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে চলতে পারিনা। ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে ব্যঙ্গ করাটা আমি কোন অবস্থাতেই সমর্থন করিনা, এটা অবশ্যই ঘৃণ্য , নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ। কিন্তু তাই বলে পুরো ফেসবুকটাই নিষিদ্ধ করে দিতে হবে, এমন গোঁড়ামি আমার মধ্যে কাজ করেনা। এক্ষেত্রে ছোটবেলার একটি পুরানো প্রবাদের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে, পানিকে যে রঙের পাত্রে রাখা হবে পানি সেই রঙ-ই ধারণ করবে, পানি কোন রং ধারণ করলো, এক্ষেত্রে পানির কোন দায়বদ্ধতা নেই বা এর কারণে পানিকে দোষ দেয়া কোনভাবেই সুস্থচিন্তার পরিচয় নয়। ফেসবুকটাও ঠিক সেই পানির মত, ফেসবুককে কে কিভাবে ব্যবহার করছে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার, তাই বলে ফেসবুকে যে শুধু অশ্লীল ও মন্দ কাজ হচ্ছে, সেটা তো ঠিক নয়। ফেসবুকে ইসলামের অবমাননার কারণে অন্যভাবে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া যেত, কিন্তু তাই বলে এটা বন্ধের দাবী তোলা কি উগ্র মানসিকতার পরিচায়ক নয়? সবচেয়ে ভয়ংকর কথা হল, মাত্র একজন যুবকের কারণে সারাদেশে এমন জনপ্রিয় একটি যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে, এটি কোন অবস্থাতেই বিশ্বাসযোগ্য হতে পারেনা, অন্ততঃ আমার দৃষ্টিতে। সচেতন মহল এই দিকটাতে মনোনিবেশ করলে তারা আশা করি এর পেছনের কারণটা ধরতে পারবেনা। উগ্র ইসলামী গোষ্ঠীর দাবীর কাছে মাথানত করেই যে আজকে বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ করা হলোনা, শুধুমাত্র দুই নেত্রীর কিছু ক্যারিকেচার প্রকাশের দায়েই সারাদেশের মানুষকে এই যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হল – এটি কি কোনভাবে বিশ্বাসযোগ্য? তথ্যপ্রযুক্তির এই অবাধ বিচরণের যুগে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আজ আমার এই প্রশ্ন রইল, সাথে এই প্রশ্নটাও করতে চাই যে যদি উগ্র ইসলামী শক্তির কাছে মাথা নত করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তাহলে একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশ হিসেবে সামান্য একটি গোষ্ঠীর কাছে আমাদের সরকার মাথা নত করল, এটা কতটা সমর্থনযোগ্য?
লেখাটি সমসাময়িক ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় একইসাথে দুটি ব্লগে প্রকাশ করলাম।
এখন আমি যদি প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধীদলের চৌদ্দগুষ্টীরে নিয়া ছবি আর মন্তব্য ফেইসবুকে দেই, তাইলে তারা কি কর্বো আমার এক্টু জান্তে মঞ্চায়
তখন আপনারে পুরা জিন্দেগীর জন্য আইপিসহ ব্যান কর্বো
আমাদের হরিনগুলো মাথা ঝোপে ঢুকিয়ে রাখতে ওস্তাদ, তারা ভাবে তারা চোখে কিছু দেখে না মানে সবাই অন্ধ। স্টুপিড সব।
কি আর বলবো......
একমত ... আমারও ধারনা, সরকার ধর্মীয় কারণেই ফেসবুক বন্ধ করছে ... সরকারের উপর পয়গম্বরবাদ ভর করছে ... "পাকিস্তানের চেয়ে ধর্মপালনে আমরা পিছাইয়া থাকবো? হতেই পারেনা!" -- এই মনে হয় তাদের মনোভাব
হাসিনার ক্যারিকেচার একটা ধোঁয়া তৈরী করছে শুধু
একেবারে আমার মনের কথা বলেছেন.....
বেআক্কেলের দেশে আমাদের বসবাস! আসল কারন ভিন্ন!
সেই ভিন্ন কারণটাই জানার ইচ্ছা.....
গতকাল রাতে টেলিভিশেনের ক্রলে ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়ার খবরটি প্রথম জানতে পারি। আশ্বর্য হয়ে ভাবি হঠাৎ আবার ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়ার কি ঘটনা ঘটলো। আজ সকালে পত্রিকায় কে নাকি দুই নেত্রির ছবি কাটাছেড়া ফেসবুকে দিয়েছে। কিছু দিন আগে পাকিস্তানে ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছিল। আপনার লেখাটি ভেবে দেখার যথেষ্ট উপাদান রয়েছে।
ধন্যবাদ মেসবাহ ভাই। আসলে ঠিকই বলেছেন, কিছুদিন আগে পাকিস্তানে ফেসবুক বন্ধ হওয়া, বাংলাদেশে কিছু ইসলামী মৌলবাদী দলের ফেসবুকের বিরুদ্ধে হম্বিতম্বি করা এবং সর্বশেষে রডিন নাটক মঞ্চস্থ করে সারা দেশে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া - এ সবকিছুর মধ্যে একটি নিগাঢ় যোগসূত্র যে আছে, তা অনেকটাই পরিষ্কার।
নাঈম, উপরের মন্তব্যটি আমার নয়...।
ঠিকআছে।
বাংলাদেশ একটি আবুলের দেশ। এটি আরো একবার প্রমান করলো। ফেসবুক বাংলাদেশের কতজন মানুষ ব্যবহার করে? ৯৯% মানুষ জানেও না ফেসবুক জিনিসটা কি।
১। বাংলাদেশের দেশের মধ্যে যে কয়জন ফেসবুক ব্যবহার করে তাদের মধ্যে কতজন ফেসবুক অপব্যবহার করে?
২। খালেদা হাসিনা কিংবা যে কাউকে বেইজ্জতী করতে চাইলে যে কোন দেশ থেকে কি করা যায় না? সেগুলো বন্ধ করার উপায় কি। নাকি বিদেশীরা দেখলে কোন সমস্যা নাই। সারা দুনিয়ায় খোলা ফেসবুক, আর আমি বাংলাদেশ থেকে বন্ধ করে উঠপাখির মতো বালিতে মুখ গুজে আত্মতৃপ্তি অর্জন করলাম। বাহ একটা কাজ করেছি বটে।
শোনা কথা। তুরষ্কে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার সমাধির চারপাশে নাকি মাত্র দেড়ফুট করে দেয়াল তোলা। যে কেউ ঢুকে যেতে পারে টপকিয়ে। কিন্তু প্রবেশদ্বারে বিশাল দরোজায় আধমনী ওজনের বিশাল এক তালা। এটা নাকি হোজ্জার শেষ রসিকতা। হোজ্জা বলে গেছেন, আমাদের জীবনটাই এরকম। আমরা জীবনের চতুর্দিক অরক্ষিত রেখে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দেই।
সব সম্ভবের দেশের নাম বাংলাদেশ।
হাস্যকর !
মেযবাহ যায়াদ এর নামে মন্তব্য আমার ছিল। ভুল বশত নাম পরিবর্তন করা হয়নি। দু:খিত। মেযবাহ ভাই।
বিলাই নিজে চোখ বন্ধ কইরা রাখলে মনে করে যে আর কেউ তারে দেখতে পারতেছেনা। আমাগো সরকারেরও সেই বিলাইয়ের মতো অবস্হা হইছে। নিজের চোখ বন্ধ কইরা ভাবতেছে আর কেউ তারে দেখতেছেনা।
যাই হোক, আমার মতে এইটা দুই নেত্রীর ছবি ক্যারিকেচারের কারনেই হইছে। যদিও সরকার এইটারে একটা ধর্মীয় লেবাছ পরাই দিছেন। যে কোন কিছুকেই ধর্মীয় লেবাছ পরাইলে তা পাক-পবিত্র হইয়া পড়ে। চিরাচরিত সরল অন্ক।
নাইম ভাই কইলেন প্রতিবাদের আরো অনেক পন্থা আছিলো। কয়েকটা পন্থা নিয়া আলোচনার দাবী রইলো। যেহেতু পোষ্টের মালিক আপনে, আপনার কাছ থাইকা ফেইসবুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কিছু পন্থা আশা করতেছি।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- কে ব্যাঙ্গ করে কার্টুন প্রকাশের প্রতিবাদে কিছু এদেশের কিছু ইসলামিক দলের আগামী ২৮শে জুন হরতাল আহবানের ব্যাপারে আশা করি আপনি অবগত আছেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে, এমন কর্মকান্ড তা সে কার্টুনই হোক বা অন্যকিছু, সেগুলো বন্ধ করা বা ব্লক করা সম্ভব। আমি আইটি সংশ্লিষ্ট লোক না বলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছিনা। বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গীবাদ যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গত এক দশকে এবং সরকারের উচ্চমহল থেকে জঙ্গীদের যেভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয়েছে, তারপর এই রডিন নাটক মঞ্চস্থ করে জনগণের চোখে ধুলো দেয়ার প্রচেষ্টার পর কারো বুঝতে বাকী থাকার কথা নয় যে, ইসলামী উগ্রপন্থী গ্রুপের কাছে মাথা নত করেই সরকার ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছে, অন্ততঃ আমার মত সাধারণ মানুষের মাথায় এটা ছাড়া আর কিছু আসছেনা। বিশেষজ্ঞরা হয়তঃ আরও ভাল বলতে পারবেন।
নাইম ভাই, কিছু মনে কইরেন না। আমার জানামতে অনেকেই সামহোয়ারইনব্লগ ছাইড়া বিভিন্ন দিকে চইলা আসছেন কারন তারা রাজাকারপন্থী শুয়োরগুলার সাথে একই ব্লগে থাকতে চান না। সামু রাজাকারপন্থীদের অনেকাংশেই পৃষ্টপোষকতা করে বইলা তারা জোর দাবী জানান। সেই মতানুযায়ী কওয়া যায় ফেইসবুকে রাসুলুল্লাহ (সা:) তথা ইসলাম রে নিয়া ব্যন্গ রসিকতা করা হয় বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে। তাইলে প্রত্যেকটা সাচ্চা মুসলমানের উচিত ফেইসবুক বয়কট করা। কারন, বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজনের লগে যোগাযোগের থাইকা আমার মতে ধর্ম অনেক বড়ো। আমরা রাজাকারের লগে একই ব্লগে থাকবোনা বইলা ব্লগ ছাইড়া দেই, কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা:) রে ব্যন্গ করে যেইখানে সেইটার লাইগা কান্নাকাটি করি। ব্যাপারটা ঠিক খাপ খাইলোনা। আমার আপত্তিটা এইখানেই। ঐ গ্রুপগুলার বিরুদ্ধে তো কম পদক্ষেপ নেয়া হয়নাই। গ্রুপ তো বন্ধ হয় নাই বরং নিত্য নতুনভাবে জন্ম হইতেছে।
আরেকটা আপত্তিজনক কথা কইলেন ঐ "ইসলামী জন্গীবাদ"। জন্গী মনোভাবাপন্নো কিছুই ইসলামী হইতে পারেনা। ইসলামী লেবাস পইরা দুই একটা হাদিস কিতাব কইলেই ইসলামী হইয়া গেল? এইটা জন্গীবাদ হইতে পারে, বাট ইট কান্ট বি সো কোল্ড ইসলামী। ইসলাম আর জন্গীবাদের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব।
ফেইসবুকের কোন পার্টিকুলার গ্রুপের লিংক বন্ধ করা যাবে কিনা তাতে ঘোর সন্দেহ আছে। পত্রিকায় খবর পড়ছিলাম যে চেষ্টা চলছে পার্টিকুলার কিছু লিংক আমাদের দেশে বন্ধ করার জন্য। শুধু আমাদের দেশে বন্ধ কইরা কি লাভ? সারা দুনিয়া তো দেখবো? বিলাই কাহিনী হইয়া গেলো না? আসলে থাকলে হয় সবকিছু থাকবো, নাইলে কিছুই থাকবোনা।
আর ফেইসবুক তো সাময়িক বন্ধ। কিন্তু সারাদেশে যেভাবে কান্নাকাটি চলছে মনে হচ্ছে ইউজারদের নিকট আত্মীয় কেউ মারা গেছেন। রীতিমতো বিরক্তিকর।
সামহোয়্যারইন ছেড়ে এসেছি বেশ অনেকদিন হয়ে গেছে। নানা কারণে ঐ ব্লগ ছেড়েছি, সেগুলো এখানে আর না-ই বা বললাম। ফেসবুকেও যে আসক্তের মত পড়ে থাকতাম, তাও কিন্তু না, সারাদিনের কর্মব্যস্ত সময়ের মাঝে এমনিতেই ফেসবুকে থাকার সময় তেমন একটা পেতামনা, তাই এখন যে ওটা নেই তাতে আমার কোন সমস্যা হচ্ছেনা। ফেসবুকে যেতাম শুধু কাছের গুটিকয়েক বন্ধুর সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হত তাই। আমি মোটেও ফেসবুকের জন্য কান্নাকাটি বা সেধরণের কোন অভিব্যক্তি ব্যক্ত করিনি। কেউ ফেসবুকে থাকলেই তা ইসলাম বিরোধী হয়ে যাবে, এরকম হাস্যকর যুক্তি আমার মাঝে নাই। সুতরাং ফেসবুকের সাথে ধর্মকে টেনে আনাটাকে আমার কাছে খুবই হাস্যকর মনে হয় সবসময়ই। ইসলাম ধর্মকে ব্যাঙ্গ করে যেসমস্ত কর্মকান্ড ফেসবুকে হত, তার কোনটাতেই আমি ধারেকাছেও যেতামনা। সরকার যে যুক্তিতে ফেসবুকটা বন্ধ করে দিল, আমি শুধুমাত্র সেটারই প্রতিবাদ করেছি, আর কিছু নয়। এটা বন্ধ হয়ে গেছে বলে এর জন্য মায়াকান্না বা হা-হুতাশ করার সময় বা ইচ্ছা কোনটাই আমার নেই। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
মন্তব্য করুন