শিরোনামহীন
মাঝে মাঝে মনে হয় কেন জন্ম নিলাম এই পৃথিবীতে, জীবনে তো কিছুই অর্জন করতে পারলামনা। খুব হতাশ হয়ে যাই মাঝে মাঝে, জীবন চলার পথে প্রতি বাঁকে বাঁকে এত ঝড়-ঝঞ্চা পার হয়ে আর সামনে এগুবার পথ খুঁজে না পেয়ে যখন খুব অসহায় মনে হয় নিজেকে, তখন ভাবি আমার মত অকর্মণ্য, ব্যর্থ একজন মানুষের দুনিয়াতে জন্মগ্রহণ না করলে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত?জন্ম,মৃত্যু সব সৃষ্টিকর্তার হাতে – কথাটি সত্যি হলেও মাঝে মাঝে ভাবি ব্যর্থ এই জীবনে যত দিন যাচ্ছে, ততই একটা মাকাল ফলে পরিণত হচ্ছি।
জীবনের ঝড়-ঝঞ্চার নির্দিষ্ট কোন দিক নেই, যেকোন দিক থেকেই যেকোন অবস্থাতেই জীবনে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ যন্ত্রণা, যা আসলেই সহ্য করার মত নয়। যেকোন মানুষের কাছ থেকেই আপনি কষ্ট পেতে পারেন, তার কথা-বার্তায়, আচার-আচরণের কারণে সেটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আপনাকে এতই আঘাত করতে পারে যে, যেটা সামলে ওঠা অনেকসময় আপনার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। সেই আঘাত যদি হয় আপনার কাছের কোন মানুষ বা আপনার সবচেয়ে নিকটাত্মীয়ের কেউ, তখন সেই অনুভূতিটা বলে বোঝানোর মত নয়, ঐ সময় আপনার মনে হবে, কেন আপনি পৃথিবীতে এলেন, দুঃসহ যন্ত্রণার এইসব ভার বহন করার জন্যই কি? আপনার জীবনটা তো অন্যভাবেও গড়ে উঠতে পারত, সুন্দর, সাবলীলভাবে। মানছি যে জীবন চলার পথে অনেক ঝড় বয়ে যায়, সেইসব ঝড় সামলে সামনে এগুনোর নামই হচ্ছে জীবন-সংগ্রাম। প্রতিটি মানুষকেই কম-বেশী এমন ঝড় সামলাতে হয়, কিন্তু এই অমোঘ সত্য মাঝে মাঝে মেনে নেয়াটাও কঠিন হয়ে পড়ে। সবকিছু নিয়তির উপর ছেড়ে দিয়েও তখন নির্ভার থাকা যায়না।
খুব যখন মন খারাপ হয়, তখন একেবারে নির্জন জায়গায় একাকী থাকতে ইচ্ছে হয়, তখন সঙ্গী হিসেবে কোন মানুষকে ভাবতে ইচ্ছে হয়না, শুধু মনের পছন্দের গান শুনতে ইচ্ছে হয়। এই ইচ্ছেটা অন্য সবার হয় কিনা আমার জানা নেই, কিন্তু আমার এই অভ্যাসটা আছে। মন খুব খারাপ থাকলে একা একা থাকতে ইচ্ছে হয়, হাল্কা ধরণের গান শুনতে ইচ্ছে হয় মিউজিক প্লেয়ার কানে লাগিয়ে। এই লেখাটা লেখার সময়ও সেইরকম কিছু গানই শুনছি। গান শোনার সময় জাগতিক সব ভাবনা কিছুটা গৌণ মনে হয়, কিছুক্ষণের জন্য কল্পনার জগতে হারিয়ে গিয়ে যদি ভাল থাকা যায় সেটাই বা খারাপ কি?
আমাদের জীবনটা যদি এমন হত খুব ভাল হত, গান শুনে শুনে ভাবনার জগতে থাকা যেত সবসময়, তাহলে জীবন চলার পথে এত ঝড়-ঝঞ্চা কখনোই আমাদের স্পর্শ করতোনা। ফ্যান্টাসির জগতে যদি সত্যিকার অর্থেই যাওয়া যেত, তবেই হয়ত মানুষের সত্যিকার মুক্তি ঘটত।
আমার লেখার মধ্যে একটা অস্থিরতা খুব কাজ করে, গুছিয়ে কখনো লিখতে পারিনা। ধীরেসুস্থে, সময় নিয়ে কোন লেখা আমাকে দিয়ে হয়না। এই লেখাটাও সেইরকম গোছেরই কিছু একটা হয়েছে, কারও ভাল না লাগলে নিজ গুণে ক্ষমা করে দিয়েন।
মানুষের মুক্তি কি আছে?
বিষাদলোকের লেখা ভালো লাগলো।
হুমমম......আসলেই মুক্তি নাই..........
বিষণ্ণতা আসলে কেবলই নিজের।
লেখা ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ।
ভালো কাটুক সামনের দিনগুলো এই কামনাই করি!
নতুন বিয়ের পরে নতুন বউয়ের সাথে ঝগড়ায় একটু অস্থিরতা কাজ করে বটে, তবে ব্যাপার না বস। সময়ে নতুন পুরাতন হবে অস্থিরতাও কেটে যাবে
মন্তব্য করুন