বিপ্রতীপ সম্পর্কের জ্যামিতি
*
দেয়াল ঘেঁষে নেমে আসে বোকাটে রোদ,
সাময়িক শ্যাওলার ভেলভেটে আয়েশী হামাগুড়ি দিয়ে।
দেয়ালের ওপাশে থাকা বিষণ্ণ গাছটিও জেনেছে বোকাটে নেমে আসা গান।
বোঝেনি তারা,
বোকাটে গানের সুরটা লেখা হয়েছে বিষণ্ণ গাছটাকে ভেবেই।
শ্যাওলা বেছে নিয়েছে আধো আলো আধো ছায়ার সম্পর্ক,
সে ভাবতে পারেনি উজ্জ্বল রোদ তাকে দিতে পারে বৃক্ষের স্বাধীনতা।
বিষণ্ণ গাছটিও রয়ে গেছে দেয়ালের ওইপাশে, যেখানে ছিটেফোঁটা রোদ উঁকি মারে অনভ্যাসে।
রোদের সাধ্য ছিলো দেয়ালটাকে ভেঙ্গে ফেলে
বিষণ্ণ গাছটাকে আলিঙ্গনের,
তার মনের অশ্রুগুলোকে এক নিঃশ্বাসে পান করার,
দু’জন মিলেমিশে জীবনের গানে মেতে ওঠার।
বোকা রোদ,
বরাবরের অনভস্ততায় বাঁধা পড়ে রইলো দেয়ালের কার্ণিশে,
আর লিখতে থাকলো বিপ্রতীপ সম্পর্কের সংখ্যাতত্ত্ব।
।
।
_________________________________________________________
*আলসেমীর জং কাটানোর চেষ্টা





দারুণ লিখেছো। ব্যাপক পছন্দ হৈছে।
ঘটনাটা কি বুঝতে পারছেন?
আলসেমীর জং কাটানো ভালো লাগছে।
দারুণ! খুউউব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ...
এই লাইন তিনটা অসাম।

ও ভাল কথা, আলসেমীর জং কি কাটসে?
আলসেমীর জং কাটছে একটু একটু করে...
এই লাইনটা সবচে ভালা হৈছে!
বোকা রোদের জইন্য সমবেদনা,
কিন্তু শেষ লাইনটা বুঝলাম না..
ফুটনোট ভালো লাগলো
আমি জং কাটাইতে চাই না।
বৃত্ত ভাই কিরামাছুইন?
এইটা ঠিক না।
আমি আছি বাইচা
আর আপনে যে বাইচা থাকতে থাকতে টায়ার্ড হয়ে পড়লেন, এইটা কি?

তাড়াতাড়ি বাইচা আছেন এইজন্য খুশি হন।
এই সিচুয়েশনে আশাহীনতার ভিত্রে বাইচা থাইকা খুশি হৈতে বলেন?
আপনি মিয়া একটা অপটিমিস্ট (গালি দেইনাই কিন্তু
)
এই সিচুয়েশনের ভিত্রেও বাইচা আছেন, এরচে' বেশি আর কি চান?

সেইটাই তো কইতেছি। বাইচা আছই দেইখাই টায়ার হইয়া গেসি। আর আপনে কইতেছেন পাট্টি করতে?
থাকেন আপনে টায়ার্ড হইয়া। আমি কতখানি বাইচা আছি এইটা চেক করন দর্কার। যে কারণে এখন শহরের বৃষ্টিভেজা অসামান্য রাস্তার ওপরে চূড়ান্ত স্পীড তুলে ঘুরেফিরে বেড়াতে হবে।
টা টা বাই বাই, আবার যেন দেখা পাই..
বাহ! এই না বৃত্ত ফর্মে ফিরছে!
আহা, আবার আবারো সে বুঝতে পারার বাউন্ডারির উপ্রে দিয়া পার হইয়া যাওয়া কবিতা লেখা শুরু করছে! 

কবিতা পইড়া যথারীতি কিচ্ছু বুঝিনাই!
ওহ আমি একা না, না বোঝার দলে, পরথমেতো আমি একা দেখে ভয়ে মনতব্যই করি নাই
হায়রে আমার কপাল
এত সুজা কবিতা তারপরেও??? 
সুপারুন জটিলুন

বৃত্তের আগের কোনো কবিতার লগে এই কবিতার কোনো মিল পাইলাম না। এই কবিতায় সে নিজেরে ভাঙছে পুরাপুরি। আর সেই কারনেই মনে হয় টায়ার্ড হইয়া পড়ছে...
ইনটেনশনালি নিজেরে ভাঙ্গার চেষ্টা করছিলাম, আপনার কমেন্টে মনে হইতেছে সফলও হইছি... ধৈন্যা...
আপ্নার কবিতা আমি প্রথম পড়লাম, মুগ্ধ হলাম!
ধৈন্যা...
বৃত্তর লেখা বুঝি বইলা আমার অবুঝ মনে একটা ভ্রান্ত-ধারণা-সঞ্জাত গৌরববোধ ছিলো। সুখের কথা হইলো - এই কবিতা পইড়া সেই ভ্রান্তি কাটলো, আর দুঃখের কথা - গৌরববোধটাও চুরমার হয়া গেল!
বোঝা-না-বোঝা নিয়া কিন্তু কিছু বলি নাই আমি; নিজের দুর্দশারে একটু চিহ্নিত করার চেষ্টা করলাম আর কি!
কবিতা-টা ভাল্লাগছে। কিন্তু এইটার পিছনের ঘটনাটা জানতে পারলে বোধহয় বোধগম্য হইতো পুরা ব্যাপারটা!
কে বলছে সহজবোধ্য ! আমার তো মাথামুথা মুড়াইয়া গেছে বুঝতে গিয়া !!
তয় সে মুহূর্তেই কবিতার মৃত্যু ঘটে, যে মুহূর্তে কবি তাঁর কাব্যের ব্যাখ্যা নিয়ে হাজির হন।
অতএব দোহাই, ভুলেও এ কাজ করতে যাবেন না ! নিন্দুকেরা অনেক কিছুই বলবে, হা হা হা !!
মন্তব্য করুন