রায়েহাত শুভ'এর ব্লগ
স্ক্রিবলস...
২৫০৯১৩
সাদাকালো আকাশের অশ্রু মেখে বিষণ্ণ হয় কাশদল...
২৭০৯১৩
বৃষ্টি থেমে এলে স্থবির নগর
কাদা মাখা পথে বিহ্বল ইঁদুরের পাল...
২৮০৯১৩
ফুলার রোডে সন্ধ্যা নামে...
রঙীন অন্ধকার...
চোখের কোনের অশ্রু আর এলোমেলো কথামালা
বার বার হারিয়ে যেতে থাকে রিকশার ঘন্টায়...
তুই...
ভালো থাকিস রঙীন অন্ধকার রাতে
ঘুমন্ত বালিশের আদরে...
০৪১০১৩
শহর ভরা মেঘের গুঁড়ো,
আকাশ ভরা মেঘ
দুপুর জুড়ে সাঁঝের মায়া,
অবাক দিনের শেষ..
০৯১০১৩
ভুলে যাবার চেষ্টা আসলে তোমারই স্মৃতিচারণ..
১২১০১৩
অনিবার্য সকাল হেঁটে আসে,
মৃদুপায়ে;
আধা জোছনার নাগরিক পথ ধরে...
১৯১০১৩
রাত কিভাবে কালো হয়?
২০১০১৩
পাঁচিল ভাবলেই তোমার চোখ।
মেলে ধরা হাতের পাতায় লালচে আলো।
এসফল্ট, কালো ধোঁয়া আর ধুলো ওড়া বাতাসের পটভুমিতে দৃঢ় সংবদ্ধ চিবুক।
পাঁচিল ভাবলেই পায়ে দলে যাওয়া রোদ।
ড্রেনে পড়ে থাকা শুকনো পাতা।
ওভারব্রীজের জলাকীর্ণ সিঁড়িতে খানিকটা চাঁদ।
পাঁচিল ভাবলেই আমার অস্থিরতা এবং ভুল।
২৩১০১৩
দেয়ালে দেয়ালে ছায়া দিয়ে আঁকা গল্পগুলো সব পাখি হয়ে যায় কৃষ্ণপক্ষের রাতে...
২৪১০১৩
ঘোর
স্পর্শঘোর...
তোমাকে কখনো শাড়িতে দেখিনি আমি, শুধু ছবি ছাড়া। কতোবার ভেবেছি বলব একদিন শাড়ি পরতে, বুকের দুরুদুরু ছন্দ ছাপিয়ে ঠোঁট পর্যন্ত পৌঁছুতে পারেনি শব্দ গুলো। একদিন আসইনা ... পেয়াজখসী আঁচল জড়ানো তোমাকে দেখি প্রাণ ভরে। হয়তো সেদিন ভুলকরে ছুঁয়ে দেবো তোমার হাত কিংবা শাড়ির আঁচল। স্পর্শঘোর জমা হবে স্মৃতির একান্ত সিন্দুকে...
শব্দঘোর...
তোমার আঁচলে আঁকা স্পর্শঘোর ছবি হয়ে গেলে, বসে থাকি নীরবে। ছবিটায় শব্দ ছোঁয়ালেই হয়ে উঠবে কবিতা, আর তুমি কবিতাটা একবার পড়লেই হয়ে যাবে গান। কিছু কিছু গান, কেন জানি বসে যায় বুকের ভেতর। রোদ গলে পড়া দুপুরে সেই গান শুনলেই বৃষ্টি নামে মনের নিকোনো উঠোনে। ঝিলিমিলি সেই উঠোনে তোমার উচ্চারিত শব্দগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরে। শব্দঘোরে ডুবে যায় চরাচর...
সময়ঘোর...
টু হেপ্পি বাড্ডেস...
টু দিমু নাকি দিমুনা, ভাবতে ভাবতে মনে হইলো দিয়াই ফেলাই। তার আগে ছুট্টু
একটা ভাষণ নাকি অন্য কিছু দেই...
ওয়ান
বহুত বহুত কাল আগের কথা। টিকাটুলির মোড়ের সিনামা হলটায় তখন পর্যন্ত কোনো এয়ার কন্ডিশন লাগেনাই, ঢাকার টাউন তখনো ইস্মাট হইয়া পারেনাই। সেই প্রাচীন যুগে আমাদের এক বড়ভাই জন্ম নিলেন। তো বড়ভাইরে এখন রিস্কাওলারাও আংকেল বলে। উনার হাতের ল্যান্ডস্কেপ ছবি বড়ই উপাদেয়। ইদানীং উনি ডকুমেন্টারী ছবি তুলার দিকে ঝুঁকেছেন। আমাদের মাশাল্লা যেটুকু ভাত ভুত হবার সম্ভাবিলিটি আছিলো সেগুলো মাইরা দেবার তালে উনি আছেন। যাই হউক... লোকটারে আমার হুদাকামেই বহুত পছন্দ। সেই বড়ভাই, অধুনা আংকেলেরে বিশাল একটা হেপ্পি বাড্ডে জানাই গেলাম এই পোস্টের মাধ্যমে।
হেপ্পি বাড্ডে রায়হান ভাই...
টু
ডুবে যেতে থাকা স্বপ্নেরা
লেখালেখির সাথে প্রায় আড়িই হয়ে গেছে ইদানীং, কেন জানিনা। তারপরেও হঠাত হঠাত মাথার পোকাগুলো নড়েচড়ে ওঠে। একটা দু'টো শব্দ একটা দু'টো লাইন মাথার ভিতর খেলা করে।
এরকমই কিছু লাইন সাজিয়ে ফেললাম অনেক অনেক দিন পর। সেটাকে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছিনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শালিকের চোখের কাজল মরে এলে;
পাখিগুলো সব ফুল হয়ে যায়।
কোমল শরীর নিয়ে ফুটে ওঠে অদ্ভুত সন্ধ্যায়,
বৃষ্টির ঘ্রাণ আর ভেজা ঠোঁটের ঘ্রাণ একাকার হয়ে যায়।
হাতের তালুতে আঁকা ভাগ্যরেখায় কাটাকুটি খেলার সাথী হয় অব্যক্ত যন্ত্রণা,
ডাইলিউটেড চোখের মণিতে ডুবে যেতে যেতে স্বপ্নেরা দপ করে জ্বলে ওঠে,
খুঁজে ফেরে খড়কুটো আর একটি নিশ্চিন্ত কাঁধ,
যেখানে অশ্রুরা নদী হয় পাহাড়ের কোল ঘেঁষে নামা ঝর্ণার ছায়া মেখে...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পলেস্তারায় জমে থাকা নাকফুলের শোকগাথা...
ভাঙাচোরা টিফিন ক্যারিয়ার,
মানুষ,
চোখের জল
সবাই মিলেছে এক মোহনায়...
প্রেয়সীর বুকে মাথা রেখে
নিশ্চিত নিশ্চিন্ত মৃত্যুর ভয়াবহতা
কিংবা
নুপুর পড়া একটা পায়ের আহাজারী...
দানবের দল
পাঁচতারা হোটেলে লিখে রাখে নিহতের তালিকা
এবং ক্ষতিপূরণ।
আর
খসে পড়া বিবিধ পলেস্তারায় জমে থাকে নাকফুলের শোকগাথা।
__________________________________________________________
অক্ষমের সামান্য উৎসর্গঃ- সাভারে রানা প্লাজা ধ্বসে আহত, নিহত এবং নিখোঁজ সকল ভাইবোন।
__________________________________________________________
দুইটি পেজ সর্বান্তকরণে চেষ্টা করে যাচ্ছে সাভারের ঘটনায় নিহত, আহত, নিখোঁজ মানুষগুলো এবং তাদের পরিবারের একটি সম্পূর্ণ তালিকা তৈরী করার। আসুন আমরা তাদের সাধ্যমত সাহায্য করি...
ন'টা সতেরোর বাসে
একটা ভীড় ভীড় সকাল ছড়িয়ে ছিলো সারাটা বাস জুড়ে।
দেরী হয়ে যাচ্ছে বলে হালকা খিটিমিটি,
দু' টাকার পত্রিকায় পাতা ওল্টানোর খসখস,
পায়ে পাড়া পড়ায় বিরক্তি,
সবকিছুই ছিলো ঠিকঠাক,
অন্য দিনের মতোই।
আলতোভাবে চোখে লেগে থাকা ঘুমের গন্ধটাও যাবো যাবো করছিলো।
তুমি নেমে গেলে বাস থেকে,
একটানে সবটা সকাল কেড়ে নিয়ে ভীড় থেকে
ন'টা সতেরোর বাসে
অকাল দুপুর ছুটে এলো হুড়মুড়,
হঠাৎই বড় বেশী রোবটিক সবকিছু।
এক স্টপেজ পরেই নামতে হবে প্রতিদিনের অফিস।
শুধু ন'টা সতেরোর বাস,
একটা সকালকে আলাদা করে দিলো অনেকগুলো বছর থেকে...
সময় ও অস্থিরতার শব্দ
বিষণ্ণ কবিয়াল
আয়নাগ্রন্থে লিখে চলে অস্থিরতার গান।
মেঘের ছায়া পড়ে
দ্রোহের প্রতিবিম্ব তীব্র গতিতে ছুটে যায়
আঙ্গুলের তেলতেলে রেখারা জমে পাতায় পাতায়
ঘেমে ওঠা হাতের স্পর্শ জেগে থাকে ফুটনোটে এবং মার্জিনের এখানে সেখানে।
অবসন্ন কবি
বই পোড়া ছাইয়ের মাঝে খুঁজে পায় রক্তের দাগ
অশ্রুর ছাপ
অস্থিরতার শব্দ বাঁধা পড়ে দোতারার তারে
জনতার পদশব্দে।
চন্দ্রাহত তরুণ
মাতাল জোছনায় ফিরে ফিরে চায় আকাশে
যেখানে রিক্ত পাতা আর শাখারা ঘিরে রাখে সুগোল যুবতী চাঁদ
নগরের সুউচ্চ অট্টালিকার দল জেলখানা হয়ে জানালায় চোখ রাখে।
আয়নায় প্রতিধ্বনিত হয় সময় ও অস্থিরতার শব্দাবলী...
শিরোনামহীন...
আমার ছিলো ইচ্ছে ঘুমের দেশ
আনন্দেরই ঝলমলে লাল ডানা
তোমার ছিলো ঘুমের সাথে আড়ি
অশ্রু জমাট দিঘীর জলে নামা
আনন্দ আর ঘুমের বিনিময়ে
তোমার সাথে আমার জানাশোনা
প্রহরগুলো কাটছিলো সব ভালোই
সুর্য এবং চাঁদের যুগল আলোয়
এরই মাঝে কালো মেঘের ভেলা
সেই পুরোনো অশ্রু ছোঁয়া খেলা
হারিয়ে যাওয়ার একটু খানিক আগে
সীমারেখা আঁকলে কালো দাগে
তাকিয়ে আছি তোমার পথের পানে
হঠাৎ যদি ফেরো আমার টানে
অলস সময় সিগারেটের ধোঁয়ায়
মদির হয়ে খুঁজতে থাকে তোমায়
আসবেনা আর সত্য করেই জানি
কিন্তু সেটা কেমন করে মানি
অপেক্ষা আর প্রতীক্ষাতে রাত
তোমার হাতে অন্য কারোর হাত
২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০১৩
সকাল থেকে বসে ছিলাম দুরুদুরু বুকে। ৫ই ফেব্রুয়ারী কি আবার ফিরে আসছে আমাদের বাংলায়? আবার কি ফুঁসে উঠবে সবাই? নাকি হতাশা নিয়ে ফিরে যাবো ঘরে, পরাজিত কুকুরের মত মাথা নীচু করে...
সময় কাটে, বুকের ধুক ধুক শব্দ বাড়তেই থাকে। এমন অপেক্ষা করি নি কখনো। যদিও সকল লজিকাল পথ গিয়ে একটা পথেই মিলছিলো, তবুও চিরদিনের পেসিমিস্ট মন মাথা চাড়া দেয়। যদি কোনো কম্প্রোমাইজ করা হয়, যদি আমাদের আবেগ নিয়ে আবার খেলা হয়...
বাসায় টিকতে না পেরে ছুটে যাই অফিসে, একটা দু'টো ছোট কাজ সেরে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি ফেসবুকে। একটু পরে পরেই রিফ্রেশ দেই পেজ, অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘতর হ'তে থাকে। অস্থিরতা বেড়েই চলে...
অফিসও অসহ্য লাগতে থাকে। শাহবাগ হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে। অফিস থেকে শাহবাগে চলে যাই। শাহবাগ যেতে যেত মনে পড়ে ৫ তারিখের কথা। সে সময়ের হতাশা, তার পরে সেই হতাশা থেকে আশার সঞ্চার। তবুও মনের আশঙ্কা কমে না। যদি কোন খেলা চলে...
শাহবাগে গিয়ে একে একে দেখা হয় অনেকের সাথেই। সবাই শংকিত, সবার মনেই কি হয় কি হয় ভাব...
থাবা বাবা
ব্লগার থাবা বাবা (আহমেদ রাজীব হায়দার) পেশায় একজন আর্কিটেক্ট ছিলেন। শাহবাগ মুভমেন্টের সাথে জড়িত ছিলেন। ১২ তারিখেও তার সাথে আমার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে।
কিছুক্ষণ আগেই জানতে পারলাম, তাকে নৃশংস ভাবে জবাই করে মেরে ফেলা হয়েছে। মীরপুরের কালসিতে তার লাশ পাওয়া গেছে।
অন্য ব্লগ সুত্রে জানতে পারলাম, সোনার বাংলাদেশ নামের এক ছাগু ব্লগে তাকে নিয়ে লেখা হয়েছিলো গত ৪ দিন আগে। এরপরে, আজকে আন্দোলনের টাইম বেঁধে দেবার পর এই সংবাদ...
রেস্ট ইন পিস থাবা...
গত মঙ্গলবার থেকে আজ...
গত মঙ্গলবার বাসায় ছিলাম, ভেবেছিলাম কসাই কাদেরের ফাঁসির রায় শুনে আনন্দিত চিত্তে অফিসে যাবো, সেখান থেকে বইমেলা, এটাসেটা আরো অনেক কিছু...
প্রতিবাদে উত্তাল শাহবাগ ০৫/০২/২০১৩
সকালে অফিসে যাইনাই, ভাবছিলাম মিরপুরের কসাই রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়টা টিভিতে শুনেই একবারে বের হবো। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো... কিচ্ছু বুঝতে পারলাম না... সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আম্মুর সাথে খানিক্ষণ তর্কও করলাম, ফাঁসি ছাড়া অন্য কোনো রায় কেন হবে না সেইটা নিয়া... কিন্তু যখন রায় শুনলাম, তখন হতাশা-ক্ষোভ-রাগ সবগুলা একবারে ঝাঁপায়া পড়ল...
ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখতেছিলাম ফেসবুকে, এর ভিতরেই হঠাত দেখলাম আজকেই এই হঠকারী রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ। কিছু না ভাইবাই রওনা দিলাম।
জমায়েত দেখে শুধু একটা শব্দই মুখে আসছে
অভূতপূর্ব
সবাই যতটা স্বতস্ফুর্ত ভাবে যোগ দিছে এই সমাবেশে...
আর বেশী কিছু না বইলা কিছু ছবি শেয়ার করি...
ঘুরে এলুম বইমেলা ২০১৩
সবার আগে বইলা রাখি, আমি আসলে ঐরকম কোনো পড়ুয়া না। আমার বইমেলায় যাবার প্রধান কারণ হইতেসে মানুষজন দেখা। মানুষজনের আনন্দ, কষ্ট, বিষণ্ণতা, উচ্ছাস এগুলা বুঝার চেষ্টা করা। আর কিছু লেখকের সান্নিধ্য পাওয়া। এইজন্যেই আমার লেখায় বইপত্রে খোঁজ খবরের থিকা মানুষজনের কথা বেশী বেশী থাকবো...
সারাদিন ভাবসি যে আইজকাও বইমেলায় যামুনা, কিন্তু হঠাত ৪টার দিকে মনে হইলো- কি আছে জীবনে, যাইগা এইবারের বইমেলায় পয়লা চক্কর দিয়াই আসি। দিলাম দৌড়। গতবছরেও মেলার দ্বিতীয় দিন যেই লাইন আর ভীড় দেখসিলাম, সেইটা এইবার আর দেখলামনা। আর ফুটপাথের সাইডে যেই দোকান গুলা থাকে সেগুলাও পাইলাম না। কেরম জানি ন্যাড়া ন্যাড়া লাগতেছিলো। যাই হোক, ঢুইকা পড়লাম মেলার ভিতর। ঢুইকাই দৌড়, গত তিনবছর ধইরা বইমেলায় আমাদের যেইটা স্থায়ী ঠিকানা, মানে লিটলম্যাগ চত্ত্বরে। গিয়া দেখি ফাঁকা ফাঁকা। পরিচিত লোকজন তো নাইই, অপরিচিত লোকজনও কম।
আত্মমগ্ন কথামালা ২০
*
আসলে কিছুই লেখার নেই।
ছিলোনা কখনোই।
তবু এলোমেলো লিখে রাখি অবিন্যস্ত অনুভুতি গুলো।
হয়তো দিনশেষে, নিজেকেই বোঝার ইচ্ছায়...
৩১১৩
যদিও সীমানা জানা,
তবু মাঝেমাঝেই শখ জাগে অতিক্রমের...
৬১১৩
মাইগ্রেটরি প্রজাপতি এবং ফুল বিষয়ক আলোচনা...
৭১১৩
এখানে রিক্ত মাঠ পড়ে আছে।
সোনালী ফসলের ছোঁয়া ভুলে, অবিন্যস্ত কুয়াশায় ঢাকা।
একাকী ফিঙে,
কালো শরীরে ঢেউ তুলে ভেসে যাবার পথে
একটু কি সময় দেবে অতীতের কথা ভেবে...
৮১১৩
ইউনিকর্নের দেহাবশেষ
চিরসবুজ ঘাসের দেশে বয়ে আনে রক্ত ও ঘামের স্মৃতি...
১২১১৩
বিগত সকাল গুলো উত্তর মুখী।
বিগত নারীর ঠোঁটে দারুচিনি সুঘ্রাণ।
চুল বেয়ে নেমে আসা জোছনা ও কুয়াশার মসৃণ রেশম ছোঁয়া
হাতে মেখে নিতে নিতে
সহসাই হারিয়ে যায় সৃতিগন্ধ রোদ, মেঘ এবং অন্যান্য...
হাবিজাবি
ক্যালেন্ডার দেখতাম ছোট বেলায়। বইয়ে মলাট দেবার জন্য "চায়না" নামের একটা ম্যাগাজিন ছিলো। দারুণ দারুণ সব ছবিতে ভরা। ভালো লাগতো খুব। দুইহাতের আঙুল দিয়ে ভিউফাইন্ডারের মত বানিয়ে ক্লিক ক্লিক শব্দ করতাম। ছবিতোলার প্রতি ভালোবাসাটা বোধহয় ঐ সময়েই ভিতরে ঢুকে গিয়েছিলো। [সময়কাল ক্লাস ফোর ফাইভ সিক্স]
যা হোক, বড় হইতে থাকলাম। খালাতো ভাই এসেলার দিয়া ছবি তুলতো, তার কম্পোজিশনগুলো দেখে ইন্সপায়ার্ড হইতাম। নিজের ক্যামেরা ছিলোনা, ভাইয়ার ক্যামেরা ধরার সাহস পাইতাম না। এমনকি জিজ্ঞেস করবো ধরতে দিবে কি না, সেই সাহসও পাইতাম না। [সময়কাল ক্লাস নাইন টেন]
ঢাকায় আসার পর মুশফিকুল আলম পিয়াল ভাইয়ের সাথে পরিচয়। আমার একটু ডিস্ট্যান্ট মামাতো ভাই। উনার বিভিন্ন শখের ভেতর একটা ছিলো ফটোগ্রাফী। এবং যেই সময়ে উনার সাথে পরিচয়, তার কিছুদিন আগে উনি সার্ক ফটোগ্রাফার অফ দ্যা ইয়ার বা এরকম কোনো এওয়ার্ড পাইছেন। ফটোগ্রাফির প্রতি ভালোবাসাটা আবারো মাথাচাড়া দিয়া উঠলো উনারে দেইখা। উনি নিজের ছবি দেখাইতেন, আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখতাম। [সময়কাল '৯৮-'০২]