রায়েহাত শুভ'এর ব্লগ
আত্মমগ্ন কথামালা- ১০
নিজেরে নিয়া বড়ই ত্যাক্ত আছি।
পরিবেশ পরিস্থিতি গ্রহনযোগ্যতা স্পেশালি গ্রহনযোগ্যতা না বুইঝাই কাজ ঘটায়া ফেলি। পরে সেইটার ফলাফল দেইখা মাথা যায় আউলায়া।
যাহ শালা, আইজকা থিকা কোনোখানে কুনু কিছু কইবার আগে নিজের গ্রহনযোগ্যতা লইয়া ভাবতে হইবো। এই ভাবনাটা সবার আগে মাস্ট। সবচাইতে ভালো হয় কুনু কথা ইত্যাদি না কইয়া চুপচাপ থাকা। সেইটাই কর্মু (আশারাখি কর্তে পার্মু) আগামী সময় গুলাতে।
এক্কেবারে চুপ, বোবার মত নিশ্চুপ, কব্বরের মতো নিশ্চুপ।
আত্মমগ্ন কথামালা ৯
মানুষ কি তার কামনা বাসনার উর্ধ্বে আদৌ যাইতে পারে?
আমার মনে হয় না। যতভাবেই চেষ্টা করা হউকনা কেন, মাইনষের ভিত্রে সুপ্তভাবে কামনা আর বাসনা নামের দুই ভাই কিংবা বইন (লিঙ্গভেদে!) বইসাই থাকে। সুযোগ পাইলেই চেহারা দেখায়া দেয়।
কাইল দুফুর বেলা সুন্দর একটা টাইম পাস করলাম অত্যন্ত পছন্দের কিছু মানুষগো লগে। শুধু দুঃখ থাইকা গেলো, পুরাটা টাইম পাস না করতে পারায়। ডিউটি কলড। কি আর করা।
সন্ধ্যার পর সেমি রাইতের দিকে আরো কিসু পছন্দের মাইনষের সাথে টাইম পাস করার সুযোগ হইলো। কিন্তু রাইত ঘনায়, টাইম দৌড়ায়। ভাল্লাগেনা।
রাস্তার সাইডে বইসা আড্ডাইতেছি আর হু হু কইরা বইয়া যাওয়া বাতাসের ছোঁয়া মাখতেছি এই টাইমে হঠাৎ কইরা মন খারাপ হইয়া গেলো। হুদাই। সেই জিনিস মাথার ভিত্রে এখনো বইসা বইসা টুংটাং কইরা একতারা বাজাইয়া যাইতেসে। এই মনখারাপের চাপেই কোনদিন জানি মইরা ফুটুস হইয়া থাকমু। বেল বেল বেল।
২- শিরোনামহীন
ভীতি
ডুবে যাবার ভয়ে মৃতপ্রায় বেড়ালের কথা কেউ ভাবেনি ঝড় ওঠার আগে।
যখন তীব্র টর্ণেডো তার সশব্দ আলিঙ্গনে জড়িয়ে নিলো নৌকার পাল, কাতর আর্তনাদে মাতোয়ারা হলো অসুর প্রকৃতি। তখনো কেউ শোনেনি বিষাদগান। নৃত্য সুধার উন্মত্ততা যখন তুঙ্গে, তখনই কেবল মানুষ আর বেড়ালের কান্নার সুর একই অনুরণন তুলেছিলো।
বিষাদ
সেই উচ্ছল দু'টি চোখে ভর করেছে রাজ্যের বিষাদ। সমাপ্তির শুরুতেই জীবনের গানে বিষণ্ণতার ছোঁয়া। নিতান্ত কৈশোর ধুয়ে গেছে লাল শাড়িতে ভর করা ঝড়ে।
দূরাগত যুবকের অচেনা স্পর্শ ধারাপাত হয়ে শরীরে শরীরে ছড়িয়ে যাবার অপেক্ষায়।
মৃত্যু
বাস্তবতার অপেক্ষামরণের পর, বেঁচে ফিরবার স্বপ্নেরাও মরে যায় কামজ পীড়ণে। দিনভর জেগে থাকার শুরু হয় মৃত্যুর ভেতর দিয়ে। সুখের কিংবা দুঃখের।
শিরোনামহীন
.......................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................
আত্মমগ্ন কথামালা- ৮
কোনো কিছু ভুইলা থাকার সবচাইতে ভালো উপায় হইলো নিজেরে ব্যস্ত কইরা ফেলা। মাথার ভিতর গাদা খানিক উলটা পালটা চিন্তা ভাবনা দৌড়াইতেছে বেশ কিছুদিন ধইরা। তার উপর কালকে বাংলাদেশের হাইরা যাওন। যতই ভাব ধইরা এই সেই ইত্যাদি বলতেছি, হাল্কা হাল্কা মন খারাপের ভাবটা যাইতেছে না। সো, সারাদিন নিজের অগোছালো ঘরটারে (কি কায়দা! নেট জগত এইভাবে ঘিরা ধরছে বুঝি নাই। এইখানে ঘর লিখতে গিয়া পয়লা লিখে ফেলছি ব্লগ ) আরো অগোছালো কর্লাম
তারপর সেইটারে নাম দিলাম ঘর গুছানি। প্রত্যেকবার ঘর গুছাইলে প্রায় আট-দশ কেজি ধুলা বাইর হয়। আর হাজার খানেক পুরানা স্মৃতিমাখা জিনিস খুইজা পাই। তখন গুছানি থামাইয়া স্মৃতি রোমন্থনে নামি। ভালাই লাগে। ফাইনালি ঘর থাকে আধা-গুছানি আধা-লন্ডভন্ড
আম্মু দেয় ঝাড়ি
সেই ঝাড়ি খাইয়া দৌড়ের উপ্রে বাকি কাজ সারি। ফলাফল?
ভুলে থাকা কালো বেড়ালের লোম কিংবা না পেয়েই হারাবার গল্প
"তার" একটা ভুলে থাকা কালো বেড়াল আছে। যার বসবাস তার মনের অনেক ভেতরের একটা রোদক্লান্ত ব্যালকনিতে। বেড়ালটা বারবার ভুলে যায়, "সে" যে তাকে ভুলে থাকতে চায়। তাই আড়মোড়া ভেঙে সে উঠে আসতে চায় রোদক্লান্ত ব্যালকনি থেকে। তার অস্থির ছটফটানিতে রোদের দেয়ালে কোনো ছায়া পড়ে না। শুধু বাঁকা হয়ে পড়ে থাকা দৃষ্টিকে পাশ কাটিয়ে কিছু বেড়ালের লোম ভেসে যায় এদিক সেদিক।
আলফেসানীর হাত ফস্কে পড়ে গিয়েছে অনেকখানি রঙ মাখা সময়। এই হারিয়ে ফেলা সময় গুলোকে সে রাখতে চেয়েছিলো নিজস্ব বাগানের ঘাসপাখিলতাপশুফুলে। বোঝেনি, নিজস্ব যে বাগানের ছবি সে এঁকেছিল, সেই ছবিটাতে বাস্তবতার তুলির আঁচড় দেবার কথা যে শিল্পীর সে আর তুলি হাতে নিতে অনিচ্ছুক। অনেক আগে শিল্পীর তুলির রঙ কেড়ে নিয়েছিলো যে তরুণ, তার কাছেই বাঁধা আছে শিল্পীর রঙীন রেখা গুলোও।
ভাবনার ডানায় ভেসে
নীলচে ভাবনা গুলো ভাসে এলোমেলো বাতাসে
ধোঁয়াশা সীমানায়।
জানবেনা কেউ কোনোদিন, ধুসর মেঘের উড়ুক্কপনার কারণ
হলদে ঘাসের বিরহ সংবাদে গড়িয়ে যাওয়া অশ্রু উপহার।
উড়তে থাকা পুরোনো খবরের কাগজে
সংবাদের দায় একান্ত নিজস্ব সুখানুভুতির বিশ্লেষ।
ছিন্ন করতে করতেও, আবার গড়বার প্রচেষ্টায় সম্মোহনী ভাবনার অনুবাদে
তোমার অতৃপ্তি থাকতেই পারে;
তবুও, চিলতে বারান্দায়
ঘর বোনা চড়ুইয়ের গানে যেটুকু মাধুর্য্য থাকে,
তাতে ভর করেই ছুড়ে দেই তীব্র মন্ত্রপুত তীর।
লক্ষ্যভেদের আশঙ্কা কিংবা ইচ্ছা ছাড়াই...
আত্মমগ্ন কথামালা- ৭
সবকিছুতেই কেমন জানি অস্থিরতার ছাপ পইড়া গেছে। কিছুই ঠিকঠাক মতো হইতেছে না।
কাঁচের দেয়ালে সাজানো দৃশ্যাবলী
নয়টা নিতান্ত অবহেলা মিলেমিশে ঝগড়া করছিলো দরজার ওপাশে।
লক্ষী বেড়ালছানার মতো পায়েপায়ে হেঁটে এলো একরাশ ধ্বনি ও শব্দ
ধানমন্ডির লেকে ভেসে বেড়ানো টুকরো চাঁদের আলোরাও
ভীড় জমালো জানালার গ্রীলঘেঁষে।
স্তুপমেঘে রঙতুলির আঁচড় শেষে চোখ ফেরালেন উদাস শিল্পী,
জন্ম নিয়েছে ছবি, একই সাথে মৃত্যু নীল শিল্পীসত্ত্বা।
।।চুপ।।
বলতেই ভেঙে পড়লো আয়নায় সাজানো প্রতিফলন
একঝাঁক রোদের প্রজাপতি ডানা মেলে উড়ে গেলো বৃষ্টির হাত ধরে
ছায়ামাখা বিষাদ গানে মুখরিত হ'লো বনজ কিশোরের চোখ...
চিন্তার মৃত্যুচিন্তা
ভাবনারা নেমে এলে, কংক্রীটের পথটা নদী হয়ে যায়
উথাল পাথাল ঢেউ।
ছলোছলো জল
চোখে নিয়ে জেগে ওঠে সূর্যমুখী সাগর
সুদূরের অপেক্ষায় থাকা সাম্পান ছুঁয়ে বেড়ানো সুনির্দিষ্ট কুকুর
খুঁজে পায় কাঁকড়ার খোলস আর মরে যাওয়া স্টারফিশ।
গ্রাফিটি জুড়ে আনন্দ আঁকা হয় মানুষগুলোর
রাংতায় গড়িয়ে আসা ধোঁয়াময়তা, ছড়িয়ে পড়ে ওদিকে।
টুপটাপ শব্দে চেতনা, চিন্তা ও ভাবনা এলোমেলো ছড়িয়ে পড়ে মাটি লেপা মেঝেতে।
মাঝরাতে মৃত্যুর শব্দ, শাঁ শাঁ দেখা দিয়েই মিলিয়ে যায়
ধরা হয়ে ওঠেনা, ছোঁয়া হয়ে ওঠেনা,
মৃত্যু নিজেই মরে যায় মৃতদের রাজ্যে...
একাকীত্ব এবং মুখোশ পড়া দুঃখ বিষয়ক
ধুয়ে ফেলি রক্তাভ পাপ, সবুজাভ পূণ্য।
এলোমেলো পদচিহ্ন পড়েছিলো যেই কার্ণিশে, একাকী;
সেখানে ধীরে ধীরে জমে উঠেছে শৈবাল কোরাস,
অশান্ত চড়ুইয়ের দল প্রতিদিন মেতেছে ঐকিক নিয়মের পাটিগণিতে।
সামাজিক বোধের জল থৈথৈ পুকুর
উপচে গেছে অসামাজিক সান্ধ্য আইনের পেয়ালাতে।
ঘুমন্ত নারীর স্বপ্ন
ছড়িয়ে পড়েছে বিচ্ছিন্ন পংক্তিমালায়
বইমেলার ধুলার আভরণ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে
জড়িয়ে নিয়েছে নির্ভরতার সীসার দেয়াল, বিভ্রান্ত আচরণ।
রঞ্জন রশ্মি ভেদ করে গেলো
প্রথমতঃ কাপড়
তারপরে একে একে
ত্বক
পেশী
অস্থি
মজ্জা।
নিখুঁত ছবি ভেসে উঠলো সীসার দেয়াল ভেদ করে
অদৃশ্য অক্ষিগোলকের স্নায়ু তন্ত্রী জুড়ে।
বসন্তের উদাস হাওয়াসুলভ চপলতায় মসৃণ, ভেসে এলো কাগজের প্লেন
সুখে ও যাপিত জীবনের অন্দর মহল পেরিয়ে।
দুঃখেরা অস্থির, ছটফটিয়ে উঠলো ছদ্ম সিন্দুকের আলিঙ্গনে, হাসির মুখোশ পরে।
শিরোনামহীন এলোমেলো
ঘুড়িটা হঠাৎ কাগজের প্লেন হয়ে গেলো
সুতো কেটে। উড়ে যেতে যেতে
চকিত স্বপ্ন দেখে নিলো পর্বত ও বনভুমি পেরুবার।
দেখতে দেখতে কাগজ বদল হলো ইস্পাতে
ঝুপ করে বেড়ে যাওয়া ভর নিয়ে নেমে এলো নদীর বুকে।
একা প্লেনটা।
নৌকা হয়ে তরতর
কেটে গেলো কালো,লাল ও নীল পানি।
মেঘের ছায়া পড়া চোখে হয়ে গেলো অশ্রুকণা।
গাঢ় হলুদ অশ্রু, নেমে এলো মেটে শরীর বেয়ে।
ছড়ানো বীজেরা, নতুন পাতার জীবন নিয়ে
এলোমেলো উড়িয়ে দিলো পতঙ্গের সুখ।
আত্মমগ্ন কথামালা- ৬
নিজেরে কোনোদিনই এক্সপ্রেসিভ রোমান্টিক হিসাবে ভাবি নাই। রোমান্টিকতা কেমনে দেখাইতে হয় সেইটাও জানি না। তয় মাঝে মাঝে নিজের একটা আচরণের পর যখন আরেকজনের আচরণ ব্যাকফায়ার করে তখন বুঝি আসলে কি করা উচিত আছিলো। কিন্তু তখন আর সেইটা শুধরানির কোনো উপায় নাই। মইধ্যে দিয়া চেহারা, মন ইত্যাদি ভেচকাইয়া যায়। এই টাইপের রোমান্টিকতার অসুখ ছুইড়া ফালায়া রাখছিলাম বহুতদিন ধইরাই। কিন্তু, কিছুদিন হইলো সেই রোগ আবার ফেরত আসছে। নিজেরে নিয়া কিছু উচ্চাশা তৈরী হইছিলো, সেইটা পুরাই ধুলিস্মাৎ হইয়া গেছে। একসপ্তা হইয়া যাইতেছে এই গ্লুমি ভাবটা কাটতেছে না। যারে লইয়া এই ভাব চক্কর, সেও ভীষণ ভাবে চুপচাপ হইয়া আছে। এইটা আরো বেশী প্রদাহ দিতেছে...
সেদিন ভাস্করদার লিংক থিকা পটা'র গাওয়া কলঙ্কিনী রাধা গানটা নামাইছি। এত সুন্দর ভাবে কেমনে মানুষ গান গায়, খালি শুনতেই ইচ্ছা হইতেছে। লগে জাগরনে যায় বিভাবরী...
বিষণ্ণতায় ঘেরা কতিপয়...
১.
কুয়োর গভীর থেকে উঠে আসা প্রতিধ্বনি;
টেনে আনে কুয়াশা জমা মেঘলা দুপুর,
জোনাকীর বিচলিত ওড়াওড়ি...
২.
ভোকাট্টা ঘুড়ির ভালোবাসা ছড়িয়ে থাকে
নাটাই জড়ানো হলদে সুতোর দঙ্গলে...
৩.
বর্ণহীন।
তবুও অশ্রুজল খেলা করে,
রঙধনু নিয়ে
রক্তের স্তিমিত চলন শিরা ও ধমনী জুড়ে...
৪.
দারুচিনিগন্ধী বাতাস ছুঁয়েছে আমের মুকুল।
বসন্ত, অস্থির বসন্ত...
টগবগিয়ে ছুটে গেছে সময়ের ঘোড়াতে,
আষাঢ়ের রাজপ্রাসাদে।
৫.
ছায়া ফেলছে ছায়াশরীর ছায়াময় ছায়াপথে
অপসৃয়মাণ অবয়বে রুপালি ঝিলিক
মুছে ফেলার প্রচেষ্টা সর্বান্তকরণ...
৬.
আগুনের ফুলকিরা ছড়িয়ে যায় নয়দিকেই
ছাই আর কয়লা রয়ে যায় বর্তমানের আনাচে কানাচে।
৭.
স্বপ্নেরা সব স্বপ্ন জমায়
স্বপ্ন খাওয়া স্বপ্নজুড়ে
শুকনো পাতা মেলছে ডানা
শেষ বিকেলের আঁধার ঘিরে।
৮.
বিবিধ অনুভূতির ধারাপাতে ভরা মনের শ্লেট,
মুছে ফেলার চেষ্টায় এক জীবন পার হয়ে যায় অকারণেই...
৯.
শিরোনামহীন (এক্সপেরিমেন্টাল)
আমি কখনও বোগেনভিলিয়ার ছবি তুলি নাই। কেউ কেউ ভালোবেসে তুলতে পারে বোগেনভিলিয়ার ছবি। না, কোনো ঘৃণা নেই ফুলটার প্রতি। কেমন গালভরা নাম। বাগানবিলাস। খুব কাছে থেকে দেখতেও ভালো লাগে, ঐ পর্যন্তই। গাছটাতে আবার কাঁটাও আছে। দুর থেকে তাকিয়ে ঝোপাঝোপা ফুলের রঙগুলোও খারাপ লাগে না দেখতে। গাঢ় বেগুনী-লালচে বেগুনী- মৃদু বেগুনী- সাদা।
________________________________________________________
________________________________________________________
একটা এক্সপেরিমেন্ট করবার চেষ্টা করলাম।
প্রতিটা বাক্য ধরে লেখাটা শুরু থেকে শুরু করা বা শেষ থেকে শুরু করা, একান্তই পাঠকের ইচ্ছা।