ভুলে থাকা কালো বেড়ালের লোম কিংবা না পেয়েই হারাবার গল্প
"তার" একটা ভুলে থাকা কালো বেড়াল আছে। যার বসবাস তার মনের অনেক ভেতরের একটা রোদক্লান্ত ব্যালকনিতে। বেড়ালটা বারবার ভুলে যায়, "সে" যে তাকে ভুলে থাকতে চায়। তাই আড়মোড়া ভেঙে সে উঠে আসতে চায় রোদক্লান্ত ব্যালকনি থেকে। তার অস্থির ছটফটানিতে রোদের দেয়ালে কোনো ছায়া পড়ে না। শুধু বাঁকা হয়ে পড়ে থাকা দৃষ্টিকে পাশ কাটিয়ে কিছু বেড়ালের লোম ভেসে যায় এদিক সেদিক।
আলফেসানীর হাত ফস্কে পড়ে গিয়েছে অনেকখানি রঙ মাখা সময়। এই হারিয়ে ফেলা সময় গুলোকে সে রাখতে চেয়েছিলো নিজস্ব বাগানের ঘাসপাখিলতাপশুফুলে। বোঝেনি, নিজস্ব যে বাগানের ছবি সে এঁকেছিল, সেই ছবিটাতে বাস্তবতার তুলির আঁচড় দেবার কথা যে শিল্পীর সে আর তুলি হাতে নিতে অনিচ্ছুক। অনেক আগে শিল্পীর তুলির রঙ কেড়ে নিয়েছিলো যে তরুণ, তার কাছেই বাঁধা আছে শিল্পীর রঙীন রেখা গুলোও।
"তার" ভুলে যাওয়া কালো বেড়ালটা কিভাবে জানি আলফেসানীর রঙমাখা সময়ের দেখা পেয়েছিলো। উটকো দুধের পাত্র থেকে পড়ে যাওয়া দুধ ভেবে চেটেপুটে খেয়েও নিয়েছিলো সবগুলো সময়, রঙীন সময়। এরপরেই বেড়ালটা স্বভাবসুলভ ভাবে চলে গেলো "তার" কাছে। "তার" পায়ে গা ঘষটাতে ঘষটাতে আদুরে মিয়াও ডাক ছাড়তেই বদলে গেলো তার গলার সুর। "তার" চোখের তারাতেও পড়লো সেই রঙের ছায়া। আর রঙীন রেখার বিচ্ছেদের ফসল হিসাবে কালো বেড়ালটার স্থান হ'লো রোদক্লান্ত ব্যালকনিতে।
আলফেসানীও চাচ্ছে ভুলে থাকতে ফস্কে যাওয়া রঙ, সেই উটকো দুধ খাওয়া কালো বেড়াল আর সেই রঙীন রেখার বিচ্ছেদাক্রান্ত শিল্পীকে। ভুলে থাকার পথ ভেবে অস্থিরতা চাপা দিতে সে মিশে গেলো জনস্রোতে। উড়িয়ে দিলো হাজার হাজার ধোঁয়ার কবুতর। ছেঁটে ফেলে দিলো এলোমেলো বেড়ে ওঠা স্বপ্নের ডালপালাগুলোকে। জনস্রোতে তার চোখ ঝলসে যেতে থাকলো বহুবর্ণীল জামার ভাঁজে লুকিয়ে থাকা বিবিধ রঙের ঝলকানিতে। কবুতরের পালকে পালকে খুজে পেতে থাকলো "তার" ভুলে থাকা কালো বেড়ালের লোম। স্বপ্নের ডালপালাগুলো বাড়তেই থাকলো অবিরাম।
"তার" ভুলে থাকা কালো বেড়ালটা অনভ্যাসে ভুলে গেছে আদুরে মিয়াও ডাকটা। শুধু রোদের দেয়ালে গা ঘষে, সে শুন্যে ছুড়ে দেয় তার গায়ের লোম। যেই লোম গুলো বাতাসে ভেসে "তার" রোদেলা মনের গহন থেকে উঠে আসতে আসতে বারবার রঙ বদলিয়ে চলে। একসময় হারিয়ে যায় নাগরিক জঞ্জালের সাথে। "তার" চোখে সেই রঙীন লোমের ছায়া পড়লেও ভুলে থাকার সর্বময় প্রচেষ্টা নামের ভুতটাই জিতে যায়।
আলফেসানী জানেনা তার সাথে রঙীন রেখার বিচ্ছেদাক্রান্ত শিল্পীর সাথে আবার কখনো হবে কি না হাঁটা, আবার কখনো দেখা হবে কি সেই উটকো দুধ খেয়ে নেয়া কালো বেড়ালের। তাই সে মনোযোগী হয়ে ওঠে একটা আয়নাঘর বানাবার প্রক্রিয়ায়। যে ঘরের নয়টি দিকেই থাকবে আয়নার কুহেলিকা। যাতে চোখ রেখে একা একাই সে ভেসে যাবে জনস্রোতে। যাতে দেখা যাবেনা কোনো রঙ, আর তাই মুহুর্তের অসাবধানতায়ও হাত ফস্কে রঙ পড়বেনা ছলকে। সেই ঘরে কোনো বেড়াল বা বিচ্ছেদাক্রান্ত শিল্পীর থাকবেনা প্রবেশাধিকার। আলফেসানীই কেবল কথা বলবে নিজের সাথে নাহয় অগুনতি আলফেসানীর সাথে।
পড়লাম এবং ভাষার কারুকার্যে মুগ্ধ হলাম!
(এখন যদি আবদার করি - বুঝায়া দেন - কি করবেন?)
এইটার বুঝায়া দেবার কি আছে কামাল ভাই? এইটা একটা মৃদু গড়ে ওঠা বা গড়ে ওঠার আগেই ধসে পড়ার গল্প
আমার এখানে একটা কালো বেড়াল আছে। মাঝে মাঝে যদি রাতে বারান্দায় বের হই বেড়ালটা ভয়ংকর জ্বলজ্বলে চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে আর আমি ভয় পাই। কাউকে ফোন করে বলি... আমার খুব ভয় লাগছে, কালো বেড়ালটা তাকিয়ে আছে-------(গল্প আর না বাড়াই
)
ঘটনা হলো যে, এসব লেখেন কেমন করে? মন্ডা খারাপ মনয়। রঙ ছলকে না পড়ুক---আচ্ছা রঙ ছলকে পড়ুক, রাঙিয়ে দিক পৃথিবী।
কিছু লেখার মুড আসে না
সেই সাথে ইচ্ছাও করে আপনাদের সবার সাথে কথা বলতে। তাই এরকম লেখা বের হয় 
হুমমমম! ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ...
ছোটগল্প ট্যাগিং দেখে সেই মুড নিয়ে পড়তে গিয়ে এবং পড়া হলে মনে হল মুক্তগদ্যই পড়লাম। এবং কিছুই বুঝলাম না
মুক্তগদ্য ট্যাগ না থাকলে আমার কি করার আছে
নাইলে এইটারই ট্যাগ বদলাইয়া প্রবন্ধ কইরা দেওয়া উচিত 
আর যদি কিছু নাই বুইঝা থাকেন তাইলে তো আমার প্রবন্ধ লেখায় হাত দেওয়া উচিত
ছোটগল্প ট্যাগিং যেহেতু করেছো তুমি তো ছোটগল্পই লিখেছো।
ভাষার কারুকাজ তো তোমার ভাল হয়, কিন্তু পাঠককে লেখার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার জায়গা তো দিতে হবে।
প্রবন্ধকে কী তোমার অবোধ্য মনে হয়! এই প্রথম শুনলাম। আমি তো প্রবন্ধ অসম্ভব পছন্দ করি। আহমদ শরীফ এর প্রবন্ধের জানালা খুব কঠিন, ঢুকতে কষ্ট হবে, কিন্তু একবার ঢুকলে আর বেরুতে মন চাইবে না। এ-কথা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রবন্ধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
লেখা শেষের পর ট্যাগ করার সময় যখন মুক্তগদ্য পাইনাই, তখন লেখাটা আবার পইড়া মনে হইলো যেহেতু লেখাটা দিয়া একটা ঘটনা বলতে চাইছি, সেহেতু এটাকে সামহোয়াট ছোটগল্প হিসাবে ডিফাইন করাই যায়। সেই ইচ্ছা থেকেই আসলে ছোটগল্প ট্যাগ দেয়া। আমি কখনো ডেলিবারেটলি ছোটগল্প লিখতে পারি না। লেখবার সময়েই কেমন একখান দমবন্ধ ভাব কাজ করে মাথার ভেতর, তাই লেখাটাও দাঁড়াইতে পারে না।
আর প্রবন্ধের ব্যাপারেও আমার ব্যখাতীত একটা ভীতি/অনীহা/বিদ্বেষ কাজকরে। প্রবন্ধ মাত্রই আমার কাছে দুর্বোধ্য তা কিন্তু না, তয় দুর্বোধ্য কিছু হিসেবে চিহ্নিত করতে প্রবন্ধের উপমা আমি প্রায়ই দিয়া থাকি। এইটারে আমি নিজের কুসংস্কার হিসেবেই দেখি
মাথার উপর দিয়া গেল.....
আপ্নের প্রোপিকের মাথার উপ্রে থাকা ঐ রিং টা দিয়াও ধরতে পারেন নাই
আলফেসানী জানেনা তার সাথে রঙীন রেখার বিচ্ছেদাক্রান্ত শিল্পীর সাথে আবার কখনো হবে কি না হাঁটা, আবার কখনো দেখা হবে কি সেই উটকো দুধ খেয়ে নেয়া কালো বেড়ালের।----- দেখা না হওয়াটাই ভাল,
দেখা হলে সুন্দর একটা লেখা থেকে পাঠক বঞ্চিত হবে 
তারমানে আপ্নে চাইতেছেন আলফেসানী অলটাইম এরম সিচুয়েশনে পড়ুক
আলফেসানী আর 'তার' মন খারাপ। দেখেও আলফেসানীকে কি অদেখা করতে মরিয়া চেষ্টা "তার"? আর তাই আলফেসানীও চাইছে সব কিছুকে উপেক্ষা করতে?
জীবনে এত্তো জটিলতা কেন রে!
মুক্তগদ্য জিনিষটা আসলেই বিটকেলা!
জীবন ভরা জটিলতা
তারই কিছুটা মুক্তগদ্যের ভিতরেও চলে আসছে 
হুমম, সরি ম্যাও
থ্যাংকু মিয়াও

অসাধারন লেখাটা
আরে থ্যাংক্স
আমাকে কি লাইন বাই লাইন বুঝায়ে দিবেন ?
অন্য অনেকের মত আমিও মূর্খ পাঠক
পাঠক হইবার জন্যে ধৈন্যা...
এবং কিছুই বুঝলাম না
আলফেসানি কোন দেশের মানুষ, মদীনার?
মন্তব্য করুন