লুঙ্গি ওপেন ও চাদর ধোয়া
লুঙ্গি ওপেন
আমরা তখন মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনিতে থাকি। এসএসসি পরীক্ষার পর অফুরন্ত অবসর। পড়াশুনা নাই। স্কুলের নিয়মের বেড়া নাই। সারাদিন আড্ডা, খেলা নিয়া থাকতাম। আরেকটা জিনিস শিখতে শুরু করেছি তখন, মেয়েদের সাথে ফিল্ডিং মারা। মাঞ্জা মেরে দলবেধে ঘুরতাম আর বিল্ডিংয়ের বারান্দায় দাড়ানো মেয়েদের সাথে টাংকি মারতাম।
ঐ সময় অন্যের লুঙ্গি টান দিয়ে খুলে ফেলার একটা ফাইজলামির চল ছিল। সাধারণত ফিল্ডিং মারার সময় কেউ লুঙ্গি পরে আসত না। কিন্ত একদিন বিকালে কামরুল আমাদের সাথে লুঙ্গি পরে ঘুরছিল। হঠাৎ আকবর লুঙ্গি ধরে টান। আর ঝপ করে লুঙ্গির গিঁট খুলে পায়ের কাছে। সে এক অবস্থা! প্রকাশ্য দিবালোকে চারিদিকে মানুষ বিশেষ করে মেয়েরা বারান্দায় দাড়িঁয়ে এর মধ্যে কামরুল লুঙ্গিহীন অবস্থায়। কিন্তু ও লুঙ্গি না পরেই আকবরকে ঐ অবস্থায় ধরতে যেতে চায়। আকবর দৌড়। আমরা সবাই নিচ থেকে লুঙ্গি পরায় দিচ্ছি। কামুরল বলে, ছাইড়া দে আমারে আই শ্যাল ওপেন হিজ লুঙ্গি।
অফ টপিক: ইয়াযিদ ভাইরে অনেক দিন দেখিনা!
বিছানা ধোয়া
এই ঘটনা কয়েক বছর পরের। সাবেদের প্রেম হইছে কুল্সুমের সাথে। সাবেদ পটাইয়া আবেদরে রাজি করাইছে তার বাসায় ডেটিং করার বিষয়ে। আবেদ আর তার বাবা থাকে বাসায়। বাপ অফিসে চলে গেলে সারাদিন বাসা খালি। একদিন সাবেদ আর কুলসুম ডেটিং করল আবেদের বাসায়। বিকালের দিকে আমরা বইসা আড্ডা মারতেছি। আবেদ আইসা মুখ কালো কইরা ডাইকা সাবেদরে নিয়া গেল। কিছু একটা ঘাপলা হইছে ধরতে পাইরা আমরা খানিক ক্ষণ পর আবেদের বাসায় গেলাম সবাই। গিয়া দেখি সাবেদ আবেদের বিছানার চাদর ধুইতেছে। (খেক খেক খেক)
অফ টপিক: মাসুম ভাইয়ের এতো রাতে টিভির অনুস্ঠান করতে গিয়া ডাইনোসর হওয়ার চাইতে টক শো ছাইড়া দেওন উচিৎ।
হাহাহাহহাহা.। হাসলাম অনেকক্ষন পোষ্ট পৈড়া। কিন্তু দুঃখ পাইলাম এই লাইনটা পৈড়া..
এসএসসির পর শিখলেন কেমনে ফিল্ডিং মারতে হয়!!!
কি অপচয়, কি অপচয়........
হ ভাই আমার সব দেরি কইরা। এস এস সির আগে সাহস পাইতামনা।
ব্যাপার না। এখন পোষায়া নেন।
এখন আরেক হ্যাপা। (ভরা মজলিশে কৈতে পারতেছিনা)
ভরা মজলিশে কইতে কী বাকি রাখছেন?
এই নেন
খান, ঠাণ্ডা হন।
কিছু লিখতে চেয়েছিলাম, হাসতে হাসতে ভুলে গেছি সব।
এক্কেবারে
পোস্ট ।
আফসুস, লুকজন ডিসক্লেইমারও ভাল কইরা পড়ে না।
পড়লাম, আর অন্যদের পড়বার জন্য আকুল আবেদন জানাইলাম।
ডাইনোসর হতে কেউ চায় না, তবু হতেই হয়। সাধু সাবধান !
মাসুম ভাই টক শোও (
) ছাড়বো না মিস্টি শোও (
) ছাড়বো না
নিজের কথা না বলে সব বন্ধুদের উপড় দিয়া চালায়া দিলো। কি বুদ্ধি!
হায় হায়!! এই লেখাটাও দেখি মাসুম ভাইয়ের ডাইনোসরের বংশধর
দুইটা অফটপিকেই ভোট দিলাম। লুঙ্গি টানাটানির ঘটনা সর্বত্রই চলে। এক্ষেত্রে চিটাগাংএর ছেলে-পিলেরা বিশেষ পারদর্শী।
মাসুম ভাই ভালো বলতে পারবেন
আমি কেমনে কমু? সাইদরে জিগান, সে সদ্য চিটাগঙ ফেরত
সাইদ ভাই বলেন তাইলে
আমিতো আর চিটাগাঙে লুঙ্গি টানতে যাইনাই।
ছেলেদের মাঞ্জা কেমন হয়? রঙচটা জীন্সের প্যান্ট পরা?
ফিল্ডিং, মাঞ্জা, টাংকি সবই মারছেন কিন্তু প্রেম করেন নাই! সব উদ্যোগ তাইলে বিফলেই
গেছল
ওরে গোবিন্দ, ওরে আবেদ, ওরে সাবেদ, ওরে কামরুল, ওরে কে কোথায় আছিস, আমারে ধর। আমি হাসতে হাসতে শেষ
গুরু, আজ আপনি আবার প্রমান করলেন, আপনিই আমার সেরা গুরু!
(ঘটনা নিয়া বেশী ঘটাঘটি করলাম না! আপনার সাহস আছে বটে!)
আপনি টিএন্ডটি কলোনীতে থাকতেন! আমার সেখানে যাতায়ত ছিল। পোষ্ট অফিস স্কুলের সামনে অনেক আড্ডা মেরেছি! টিএন্ডটি কলোনীর ভিতর দিয়ে হেঁটে ফকিরাপুলে চা খাওয়া আমাদের নিত্য কাজ ছিল। আমি মডেল হাই স্কুল থেকে পাশ দিয়েছিলাম! কলোনীর ছেলেরা এমনিতেই একটু বেশী দুষ্ট হয়! মডেল স্কুলের পিছনে ১ যুগের বেশী সময় আড্ডা দিয়েছি!
আমার ছোট বেলার অনেক বন্ধুই মতিঝিল কলোনীর! দুষ্টামী কাকে বলে, আমি জানি!
ভাই আমাদের সবারই এমন কিছু না কিছু ঘটনা আছে, কিন্তু কয়জন বলতে পারে অথবা শেয়ার করতে পারে। জটিল হয়েছে ভাই।
Software and Website Portfolio
১)
একটা গ্রুপ ছিলো, তারা যখন ব্যাচেলর থাকতো এক বাড়িতে, তখন রাইতে মাঝে মধ্যে মাল খায়া একজন জামাকাপড় খুলে নাচতো।
এর বহুবছর পরে, ততদিনে ঐ গ্রুপের সবাই বিয়ে করেছে, বউ বাচ্চা আছে, শুধু ঐ নাচনেওয়ালা এখনো বিয়া করে নাই।
এক রাতে পুনর্মিলনী। সারারাত মদ জুয়া আড্ডা চলতেছে পুরনো দিনের মতো। হঠাৎ সেই পুরনো দিনের কথা উঠলো, এবং সবাই দাবী তুললো এখনো তারে সেভাবে নাচতে হবে।
সে তো আর রাজী হয় না, হাজারহোক এখন তো এখানে বন্ধুর বউরা আছে...
কিন্তু তার কথা তখন কে শোনে, বন্ধুর বউরা আরো বেশি উৎসাহী... শেষপর্যন্ত তার প্যান্ট খোলা হইলো... তা করতে গিয়া তিনজন অবশ্য গুরুতর আহত হইছিলো
২)
বেশ অনেক বছর আগের কথা, তখনো ঢাকার মেয়েদের হাত ধরতে অনুমতি নিতে হয়। তো সেইকালে এক সাহসী ছেলে প্রেমিকারে রুদ্ধদ্বার প্রেমে রাজী করায়ে ফালাইলো। অনেক কষ্টে এক নববিবাহিত বড়ভাইয়ের ঘর জোগাড় করা হইলো কয়েক ঘন্টার জন্য।
ডেটিংয়ের তিনদিন আগে থেকে ছেলের সে কী উত্তেজনা... কীভাবে কী করতে হবে না হবে সেইসব পরামর্শ, দুনিয়ার যতো নীলছবি দর্শন, কতক্ষণ আগে ভরপেট খেতে হবে, এমনকী বেলুন পরার কায়দাকানুনের হাতেকলম শিক্ষাও হইলো।
তারপর এক হিরন্ময় বিকেলে তারা গেলো রুদ্ধদ্বার বৈঠকে। অন্য বন্ধুরা অপেক্ষায়, কারণ এই উপলক্ষ্যে পার্টি হবে শ্যালেতে। সন্ধ্যায় বন্ধু আইলো পুরাই বিন্ধস্ত... কাউরে কিছু কয় না খালি মন খারাপ কইরা বইসা থাকে। পাগলের মতো কিছুক্ষণ খায়া শুরু করলো ভেউ ভেউ কান্দা... এই জীবন রাইখ্যা লাভ কী তাইলে?
ওরে কঠিন! তারপর জীবন রাখছে না ছাড়ছে?
হাহাহাহাহাহাহ। নজরুলের কাছে তো গল্পের ভান্ডার। ছাড়েন না কেন?
অফ টপিক বেশী ভালো লেগেছে ।
লেখা পড়ে হাসা শুরু করেছি। মন্তব্য পড়তে পড়তে শেষে এসে নজরুল ভাই এর লেখা পড়ে আবার হাসতে হাস্তে ক্লান হয়ে গেলাম। কী যেন লিখব ভুলে গেছি।
ঘটনাস্হল- চালিবন্দর এলাকা, সিলেট।
পুলায় ''তৈরী হচ্ছে'' টাইপ বিল্ডিংয়ের একতলায় খাড়ায়া পাশের বাড়ীর মাইয়ার সাথে টাংকি মাইরা যাওয়ার সময় ভাবলো ইট্টু ''স্পেকটাকুলার এক্সিট'' মারি.। যেই ভাবা সেই কাজ.. পুলায় সিড়ি দিয়া না নাইমা লাফ দিয়া নামল.। পুলায় নাইমা গেছে, মাগার লাফ দেয়ার সময় বিল্ডিংয়ের পাশ দিয়া বাইরায়া থাকা রডের মাথায় লুংগি আটকায়া ঝুইলা রইছে...
এরপরে মাস দুয়েক ঐ এলাকায় আর পুলার চেহারা দেখা যায় নাই। মাস খানেক পরে এলাকার লোকে খবর পাইল পুলায় গতরাতে স্পেনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিছে

মন্তব্য করুন