ইউজার লগইন

মো. সাজিদ খান'এর ব্লগ

কার কদর বেশি?

আমরা কেউ আসল গুণীর কদর করিনা। যার যা প্রাপ্য তাকে না দিয়ে অন্যকে দিয়ে দিই। যেমন আমরা ফুলের কদর করে তাকে নিয়ে কবিতা লিখি প্রিয় মানুষটিকে উপহার দিই। যে গাছে ফুলটি ফুটে তাকে নিয়ে কবিতা লিখিনা উপহার দিইনা প্রিয় মানুষকে। অথচ গাছ না থাকলে ফুল কি আমরা জানতাম না। আর ফুল না ফুটলে আমরা ফল পেতাম না। আবার আমরা রাতের আকাশে পুর্ণিমার চাঁদকে নিয়ে কবিতা লিখি এবং গান গাই তুলনা করি প্রিয় মানুষের মুখের সঙ্গে। কিন্তু যে সুর্যের আলোয় চাঁদ এমন সুন্দর হয় সে সূর্যকে নিয়ে কি আমরা তেমন করে কবিতা লিখি বা গান গাই? উত্তর একটাই তা হলো না। অথচ চাঁদের সৌন্দর্যের জন্য সূর্য়ের অবদান বেশি।

৮০% কবি ও গীতিকার ডাহা মিথ্যাবাদি

৮০% কবি ও গীতিকার ডাহা মিথ্যাবাদি। কারণ তাদের কবিতা ও গানে সত্যের চেয়ে মিথ্যা কথাই বেশি থাকে। যেমন তারা বলে চাইলে আমি তোমার জন্য আকাশের চাঁদ এনে দিতে পারি। আরো পারি তোমাকে আমার হৃদয়টা বের করে দিতে। শীল্পীর কণ্ঠে শুনি আঙ্গুল কাটিয়া কলম বানাইয়া নয়নের জলে কইরা কালি, কলিজা চিড়িয়া লিখন লিখিয়া পাঠাতাম শ্যাম বন্ধুর বাড়ি। আজ পর্যন্ত কি কেউ কাউকে চাঁদ এনে দিতে পেড়েছে? আপনারাই বলুন আঙ্গুল কেটে ফেলে সে কিভাবে লিখবে? নয়নের জলে চিঠি লিখলে কি সে লেখা পড়া যাবে? আর কলিজা চিড়লে তো তার বেঁচে থাকার কথাইনা তাহলে লিখন লিখিয়া কিভাবে প্রাণ বন্ধুর বাড়ি পাঠাবে? মরা মানুষ কি কোনো কিছু করতে পারে? স্বাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী। লাউ কাউকে কখনো বৈরাগী বানিয়েছে কেউ দেখেছেন?

সর্বোচ্চ সম্মান ও অধিকার নারীর পাওয়া উচিত

ভীষণ খারাপ লাগে যখন দেখি কোনো নারী গাড়িতে প্রচন্ড ভীরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। অথচ পুরম্নষরা সিটে দিব্যি বসে থাকে। আমরা ইচ্ছে করলে তাদেরর জন্য নিজের সিট ছেড়ে দাঁড়াতে পারি। এটা করা উচিত বলে মনে করি। কারণ নারী মায়ের জাত। সব ৰেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান ও অধিকার তার পাওয়া উচিত। কিন্তু আমরা তাদেরকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছি। শুধু সম অধিকারের দোহাই দিয়ে। আমি মনে করি কোনো গাড়িতেই নারীর জন্য নির্দিষ্ট সিট রাখা উচিত না। লিখে রাখা উচিত নারি যাত্রী আসলে পুরষরা সিট ছেড়ে দিবেন। কতকিছুর জন্য মানুষ আন্দোলন করে অথচ এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলেনা। কতর্ৃপৰেরও সেদিকে নজর নেই।

কে বেশি ছাড় দেয়?

আমি মনে করি ছাড় দেয়ার ৰেত্রে নারীর চেয়ে পুরম্নষরাই এগিয়ে। যদিও পুরম্নষরা মায়া-মমতায় নারীর চেয়ে পিছিয়ে। নারী মমতাময়ী হলেও ছাড় দেয় কম।
বিয়ের ব্যাপারে নারীর চেয়ে পুরম্নষরাই ছাড় দেয় বেশি। যেমন_ একজন পুরম্নষ যোগ্যতাসম্পন্ন হয়েও একজন কম শিৰিত বেকার মেয়েকে বিয়ে করে তার ভরন পোষণ করতে পারে। কিন্তু নারীরা তা পারেনা। তারা বিয়ের সময় অবশ্যই যোগ্যতাসম্পন্ন ভালো পয়সাওয়ালা দেখে মত দেয়। বিয়ের পর স্বামীকে অবশ্যই উপাজর্ন করতে হবে। কিন্তু নারীর তা না করলেও চলে। আজ পর্যনত্ম যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো নারীকে বলতে শুনি নাই যে তার স্বামী বেকার হলেই চলবে এবং তার চেয়ে কম শিৰিত হলেই হবে। অথবা সে অঢেল টাকা না হলেও চলবে। অথবা কোনো নারী কখনো তার স্বামীর ভরন পোষনের দায়িত্ব নিয়ে বিয়ে করেনি। অথচ পুরম্নষরা ঠিকই তা করে।

এটা কি হওয়া উচিত না?

আমাদের দেশে নারী নির্যাতনের বিচার হয়। নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনও রয়েছে। কিন্তু পুরুষ নির্যাতনের বিচার হয়না। নারি নির্যাতিত হলে সে গলা ফাটিয়ে কান্না করে সবাইকে জানিয়ে বিচার চাইতে পারে। কিন্তু পুরুষরা তা পারেনা। আমাদের দেশে কি কোনো পুরুষ নির্যাতিত হয়না? হয় নারীর চেয়ে বেশি হয়। কিন্তু বিচারের ক্ষেত্রে পুরুষরা অসহায়। তারা নারীর মত কাঁদতেও পারেনা বিচারও চাইতে পারেনা। অসহ্য মানসিক যন্ত্রনায় তারা নিজের ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়। আমাদের দেশে স্ত্রী দ্বারাই পুরুষরা নির্যাতিত হয়। পুরুষের পাশাপাশি যদি নারী সব কাজ করতে পারে তাহলে নারী নির্যাতন রোধ আইনের পাশাপাশি পুরুষ নির্যাতন রোধ আইন পাশ করা হচ্ছে না কেন? এটা কি হওয়া উচিত না?

বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন বিরতি

দিন দিন বাংলা নাটকের মান কমলেও প্রচুর নাটক প্রচার হচ্ছে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে। এর মধ্যে কিছু ভাল মানের নাটক হয়। সেগুলো ইচ্ছা থাকা সত্তেও দেখা হয়না। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন বিরতির কারণে। একবার বিজ্ঞাপন শুরু হলে তা যেন শেষ হতে চায়না। অথচ আমাদের নাটকের তুলনায় প্রতিবেশী দেশের নাটক খুব ভাল না হলেও দর্শক ঠিকই দেখছে শুধু বিজ্ঞাপন বিরতি কম হওয়ায়। আমরা যে বলি পাশের দেশে আমাদের চ্যানেল চলেনা। তা চালু করার ব্যাপারে আমরা তাদের কাছে আবেদন করি। যদি চালু করে আমাদের চ্যানেলগুলো পাশের দেশে তাহলে কি সেখানকার দর্শকরা আমাদের বিজ্ঞাপন বিরতির কারণে অনুষ্ঠানগুলো দেখবে বলে মনে হয়না। বরং উল্টা গালাগালি করবে। একবার দেখলে দ্বিতীয়বার আমাদের চ্যানেলে তারা ঢুকবেনা। কারণ আমরই তো সংবাদ ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান দেখিনা। কতরকম যে বাজে মন্তব্য বেরোতে চায় তা প্রকাশ নাই বা করলাম। আমাদের চ্যানেলগুলোর বিরতিহীন বিজ্ঞাপন প্রচার দেখে মনে হ

বদলে যাওয়া মানে কি?

বদলে যাওয়া মানে নিজেকে বদলে ফেলা। আমরা দৈনিক প্রথম আলোর স্লোগানে এ লেখা যেখানে সেখানে দেখতে পাই। সবাই নিজেকে বদলে ফেললে কি ঠিক হয়ে যাবে? তাহলে তো যে ভালো ছিল সে খারাপ হয়ে যাবে আর মন্দলোক ভালো হয়ে যাবে। আসলে বলা উচিত নিজের বদ অভ্যাসগুলো বদলে ফেলুন। আমি কি কোনো ভুল বললাম?