ইউজার লগইন

গল্প: আওয়াজ

-স্যার, ঘুমাচ্ছেন?
- না, মোকাররম। চোখ বন্ধ করে ছিলাম। বলো কি বলবা।

-ছাত্ররা স্যার আপনার বিরুদ্ধে আলাপ সালাপ শুরু করেছে।
-কোথায়?
-টঙ দোকানে। নিজেদের আড্ডায়।
-করুক। ছাত্রদের কাজই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কথা বলা। ওই বয়সে আমিও বলেছি।

- যে কোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি বিগড়ে যেতে পারে স্যার। তাই বলছিলাম...
- বিগড়াবে? কী আর হবে? বিপ্লব হবে?
- হতেও পারে স্যার।
- ভয় পেও না মোকাররম। আজকাল ছেলেপেলেরা বিপ্লব কি জিনিস বোঝে না। তাদের জন্ম বিপ্লবের জন্য হয়নি। তারা কাপুরুষ। পুলিশের ডান্ডার বাড়ি খেলে সুরসুর করে ঘরে চলে যাবে।

- নাও তো যেতে পারে স্যার।
- যাবে না? না গেলে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেব। তারা হলো চাকরির জন্য পড়ে। এ ভয় সামলানোর ক্ষমতা তাদের নেই।

- তবে স্যার, অবস্থা ক্রমশ আপনার বিপরীতে যাচ্ছে। শুনেছি প্রক্টর তাদের পক্ষে যাচ্ছে।
- তাই নাকি? প্রক্টরকে সরিয়ে দেব। চিন্তা করো না।
- প্রক্টর সরাবেন স্যার? কিন্তু সেজন্য তো সিন্ডিকেট বৈঠক লাগবে।
- সিন্ডিকেট নিয়ে চিন্তা করো না। ওটা আমার হাতের মুঠোয় আছে।

২.
- স্যার, আজ বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আপনার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীরা কথা বলতে শুরু করেছে।
- করুক। তোমার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই ভড়কাবে নাকি? তোমার কাজ তুমি করো। চুনুপুটি ছাত্রদের কথা চিন্তা করো না। আজ বিক্ষোভ করেছে। কাল করবে। পরশু করবে। আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাবে।
- ছাত্ররা স্যার নিস্তেজ হয় না। তাদের বয়স তো নিস্তেজ হওয়া নয়। আপনার ব্যবস্থা নেওয়া অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
- ঠিকাছে। প্রক্টরকে বলো, হল থেকে কোনো ছেলে যাতে সন্ধ্যার পর বের না হয়।

- স্যার, প্রক্টরকে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি এ কাজ করতে রাজি হননি।

-শুনো মোকাররম, একটা বিষয় মনে রাখবা; যখন তুমি বিপ্লব করার চেষ্টা করবা তখন তোমার মূল শক্তি হলো আশেপাশের মানুষ। তাদের তুমি নিষ্কৃয় করতে পারলেই সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।

-তাহলে কী করবেন স্যার?
-খোঁজ নাও। প্রক্টরের সঙ্গে কোন কোন শিক্ষক আছেন।

- স্যার, প্রক্টরের সঙ্গে আছেন- অধ্যাপক মহসিন, ড. আলি সাদ, ড. মোজাম্মেল সহ কয়েকজন জুনিয়ার শিক্ষক।
- হুম। বুঝলাম। ড. আলি সাদ ও দুইজন জুনিয়র শিক্ষককে অব্যাহতি পত্র পাঠিয়ে দাও।
- ঠিকাছে স্যার।

- স্যার, আজকে সাংস্কৃতিক জোট আপনার বিরুদ্ধে গান বাঁধছে। বটতলায় অনুষ্ঠান হবে।
- কোনোভাবেই যাতে তারা এগুলো না করতে পারে। মনে রাখবা মোকাররম, এইসব কবি-গায়ক-লেখক বিপ্লবের জন্য ভয়ানক। তারা আন্দোলন উস্কে দেয়। তারা গুলি খাবে না। কিন্তু অন্য ছাত্রদের গুলি খেতে উৎসাহিত করবে। পুলিশ ডাকো। কোনোভাবেই যাতে গানটান না করতে পারে। দরকার হলে দাঙ্গা পুলিশ খবর দাও।

- ছাত্রদের লাঠির বাড়ি খাওয়াবেন স্যার? বিষয়টা ভেবে দেখেন। তারা তো আপনারই ছাত্র।

- মোটেও না। তারা উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র। তারা আমার ছাত্র হতে পারে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করছে। আমার ছাত্ররা আমার পদত্যাগ চাবে না।

- কিন্তু স্যার, ভালো খারাপ মিলিয়েই তো আপনার ছাত্র। ছাত্র তো ছাত্রই। পক্ষ-বিপক্ষ মানা তো ঠিক না। আর তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় তো তাদের সমাজ পাল্টানোর কথাই শেখায়। মুক্ত চিন্তা করতে শেখায়।
- মোকাররম, তুমিও কি আমার পদত্যাগ চাও?
- না স্যার। তবে এই বিষয়টা যদি সরকার পর্যন্ত যায় তবে আপনার সমস্যা হতে পারে। তাই বলছিলাম...

- সরকারের হাতে অনেক কাজ। তারা বিরোধী দল সামলাতেই ব্যস্ত। তারা শিক্ষা দীক্ষায় অত মাথা ঘামায় না। সরকার যদি শিক্ষা নিয়ে মাথা ঘামাতো তাহলে আমাদের মতো বুদ্ধিজীবীদের প্রয়োজন হত? তারাই এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান হতো।

৩.
- স্যার, পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
- কেউ নিহত হয়েছে?
- না স্যার। তবে অনেকে আহত হয়েছে। সবাই এটিকে সংস্কৃতির উপর আঘাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
- আজকালকার ফেসবুক জেনারেশন সংস্কৃতির মূল্যবোধ বোঝে না। ওসব ফালতু কথা।
- স্যার, এ মূল্যবোধ শেখানোর দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। গানের মাধ্যমেও মানুষ যুদ্ধ করতে জানে। সেটা তো ইতিহাসই বলে। আর সে ইতিহাস চর্চা তো বিশ্ববিদ্যালয়েই হয়।

- মোকাররম, মাঝে মাঝে তোমাকে তাদের লোক বলেই মনে হয়। তুমি আমাকে কি বোঝাতে চাও? বিশ্ববিদ্যালয় কি মূল্যবোধ শেখাতে পারে? হাজার হাজার ছেলেমেয়ে এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে বের হচ্ছে। এরা কোথায় যায়? এরা যদি মূল্যবোধ শিখতো। তবে এদেশের আজ এ অবস্থা হতো?

- স্যার, আপনাকেও আমি বুঝি না। টিভিতে টক শো’তে বুদ্ধিজীবীরা যত সুন্দর করে কথা বলে। ঠিক তেমন করেই বলেন। কিন্তু দেশের জন্য তাদের কোনো অবদান চোখে সহজে পড়ে না।
- মোকাররম, এই যে তুমি আবার আমার বিরুদ্ধেই কথা বলছো।

৪.
- স্যার, অধ্যাপক সঞ্জয় আপনার সঙ্গে দেখা করতে চায়।
- আসতে বলো।

- কী খবর সঞ্জয়? তুমিও কী আন্দোলনে নেমেছ?
- এখনো নয় স্যার। তবে আপনি ছাত্রদের দাবির কথা কি ভাবলেন?
- ওদের কথা কী ভাবব?
- ওরা আপনার পদত্যাগ চায়।
- ওরা যা চাবে তাই কি আমাকে করতে হবে? ওরা যদি কাল তোমাকে এসে বলে, আমাদের সবাইকে পাশ করিয়ে দেন। কোনো পরীক্ষা দিতে পারবো না। তাহলে কি তুমি পাশ করিয়ে দেবে?
- অন্যায় দাবি তো মানবো না!

- সেটাই, অধ্যাপক সঞ্জয়। অন্যায় দাবি। আমার কাছে তাদের দাবি ‘আমার পদত্যাগ’। সেটাকে আমি অন্যায় হিসেবেই দেখি।

- কিন্তু স্যার। আপনার অনিয়ম নিয়ে যে কথা হচ্ছে সেটার ব্যাখ্যা দেন।
- শিক্ষকের কাছে আজ পর্যন্ত কেউ ব্যাখ্যা চায়নি সঞ্জয়। তুমিও চাওনি। তোমার কাছেও কেউ চায়নি। তবে আজ কেন আমি দেব?
- শিক্ষার স্বার্থে ব্যাখ্যা দেওয়া জরুরী।
- স্বার্থ শুধু তুমি বোঝো? আমি বুঝি না?
- ঠিকাছে স্যার। আমি উঠি।

৫.
- স্যার, অধ্যাপক সঞ্জয় সেদিন আপনার কক্ষ থেকে বের হয়ে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
- হুম।

- স্যার, আপনি ভাবেন স্যার। সিদ্ধান্ত নেন। পরিস্থিতি ঘোলা হচ্ছে।
- গ্রীষ্মকালীন ছুটি কবে? সেটা এগিয়ে এনে ছুটি দিয়ে দাও। ঘর বাড়ি ঘুরে আসুক।

- স্যার, ছুটি দেওয়া হয়েছে। তারা বলছে এও আপনার এক চক্রান্ত।
- হুম।
- স্যার, তারা বলছে কিছুদিন আগে এক ছাত্র মারা গিয়েছিল। তার সুষ্ঠ তদন্ত হয়নি।

- বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝে মাঝে খুন খারাবি হওয়া ভালো। জীবনের বাস্তবতা তারা বুঝতে পারবে।
- কিন্তু স্যার, তারা তদন্ত চায়।

- ঠিকাছে। তাদের বলো, একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

৬.
- স্যার, পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হচ্ছে। তদন্ত কমিটিতে আপনার পছন্দের লোকরাই আছে। তাই শিক্ষার্থীরা মানবে না।
- শিক্ষার্থীদের স্বভাবই না মানার। ওরা সবাই নেতা হতে চায়। নেতাদের স্বভাবই ‘না বলতে পারা’। তাই সবাই ‘না’ বলে।

- তাহলে স্যার কী করবেন? মিডিয়া আসতে শুরু করেছে। টিভিতে মিটিং মিছিলের ভিডিও দেখানো হচ্ছে।

- দেখাক। মিডিয়াও এদেশের মানুষকে কি দিয়েছে? ওদের কাজ খবর পৌঁছে দেওয়া। এরবেশি ক্ষমতা নেই। তাদের এতো ক্ষমতা থাকলে সাগর-রুনির হত্যার বিচার হয়ে যেত। এখনো নাকি আসামীই চিহ্নিত হয়নি। তাদের নাকি এতো সোর্স! সেই সোর্সের মাধ্যমে তারাও কি খবর বের করতে পেরেছে? মিডিয়াকে ভয় পেও না মোকাররম। ওরা আসলে চা-বিস্কুট খাওয়াও। আমার রুমে আসতে চাইলে নিয়ে এসো।

৭.

- স্যার, টিভি থেকে একজন সাংবাদিক আপনার সঙ্গে দেখা করতে চান।
- ঠিকাছে পাঠাও।

- বসেন সাংবাদিক সাহেব। ভালো আছেন?
- জি ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতিতে আপনার সিদ্ধান্ত কি? পদত্যাগের কথা কি ভাবলেন?

- আমাকে যারা নিয়োগ দিয়েছেন তারা না বলা পর্যন্ত পদত্যাগের কোনো প্রশ্নই আসে না।

- কিন্তু স্যার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমতো ব্যহত হচ্ছে।

- তা হচ্ছে। এর জন্যে দায়ী কে? আমি নাকি ছাত্ররা? তারাই তো আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নষ্ট করছে। আর পদত্যাগ মানে কি? এদেশের সরকার যে এতো অনিয়ম করে? তারা কি পদত্যাগ করে? এতো খুন-ডাকাতি-ছিনতাই-ধর্ষন- দূর্নীতি-গুম চলছে দেশে। তারা কি পদত্যাগ করছে? আপনারা খালি পারেন সম্মানিত ব্যক্তিদের ভুল বের করতে। ছাত্ররা এখানে পড়তে এসেছে। আন্দোলন করতে আসেনি। পড়াশোনা বাদ দিয়ে তারা আন্দোলন করছে আর আপনারা মিডিয়া তাদের সাপোর্ট দিচ্ছেন। আপনাদের এইসব আচরণও আমার কাছে বিব্রতকর।

৮.

- স্যার, গতকাল সাংবাদিক এসেছিলেন। তিনি আজ পত্রিকায় আপনার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছেন।
- বুঝলাম।

- স্যার, আমি মনে করি আপনার পদত্যাগ জরুরী।
- মোকাররম, তুমিও শেষ পর্যন্ত আমার পদত্যাগ চাইলা?

- স্যার, বিশ্ববিদ্যালয় জাতির বিবেক তৈরি করে। আজ বিবেকেরা আপনার পদত্যাগ চায়। তাই স্যার বিবেকের কথা মানা উচিত।

- মোকাররম, এই পদ অনেক কষ্টে অর্জিত পদ। সরকারের দলের মুখপাত্র হয়ে এ পদ পেয়েছি। সহজে আসেনি। কত সিনিয়রের বিরুদ্ধে লেগে এই পদে অধিষ্ঠিত হয়েছি। আমি এ পদ এতো সহজে ছাড়বো না।

৯.
সকাল থেকে মোকাররম গায়েব। চলে গেছে। প্রধানের অফিস শুনশান। কেউ নেই। খালি প্রতিষ্ঠান প্রধান একা একা বসে থাকেন। শুনশান নিরবতায় হালকা আওয়াজে রবীন্দ্রসংগীত শুনছেন। সঙ্গে একটি সিগারেট। হুট করে বৃষ্টি নেমেছে। বৃষ্টির ঝুমঝুম শব্দ হচ্ছে। বাইরে থেকে স্লোগানের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কেউ সেই আওয়াজ ঠেকাতে পারছে না। না বৃষ্টি, না নিরবতা, না রবীগুরুর সংগীত...

৩০ এপ্রিল, ২০১২

পোস্টটি ১৯ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

নুরেন's picture


Sad গল্পটা ভালো,এক নিঃশ্বাসেই পড়লাম,কিন্তু মন খারাপ হয়ে গেলো।কোন শিক্ষার্থী মারা গেলেই কোন প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে তদারক করে না।আমাদের এখানেও একজন শিক্ষার্থী আত্নহত্যা করেছে।শিক্ষকের গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরে।তার অপরাধ ছিলো সে একটু বাকপ্রতিবন্ধী ছিলো।একজন ডাক্তার নাকি এমন হতে পারেনা।যদি তাই হতো তাহলে ভর্তির আগে ওকে বাতিল করে দিতো।তানা করে তাকে দিনের পর দিন ক্লাশে অপমান করতো।ছেলেপেলেরা ভয়ে স্যারের নামে নালিশ করতো না।কারণ স্যার না চাইলে এখানে কেউ পাশ করতে পারেনা।পুরোটা সময় আমি কলেজের মধ্যে ছিলাম।যখন সবাই চলে গেলো তখন ও।কেবল একটা কথাই মনে হতো যে,আমরা কতো স্বার্থপর।চোখের সামনে লাশ টা অটপ্সি হলো।ডেড সার্টিফিকেট ও স্যাররা লিখে দিলো।কিন্তু তাদের রায় ছিলো সে মানষিক ভাবে অসুস্থ।সেদিনগুলোতে যে কি ভীষণ আত্নগ্লানিতে ভুগেছিলাম,বলে বোঝানো যাবেনা।কিছুই করতে পারিনি আমরা।একবছরে সবাই ভুলে গেছে।কিন্তু যে মায়ের একমাত্র ছেলে হারিয়ে গেছে,সেকি ভুলবে কখনো! Sad

M Mzd's picture


mastor jath tai kharap.amar mote kono mastorkae sontan nea/thaka utchit na, taile ontoto mastor salara `student`rao j karo sontan,tadero dika j onek poribar chea thake saita bujto..mastor salader jobab dehitar jaiga thaka uchit........ (............

তিথি's picture


বাহ ! এই না হলে গোপালগঞ্জের অধিবাসী ভিসি ।

SHAHBUDDIN's picture


Smile Smile Smile

লীনা দিলরুবা's picture


শিক্ষণীয় গল্প!

তানবীরা's picture


শিক্ষণীয় গল্প!

স্বপ্নের ফেরীওয়ালা's picture


শিক্ষণীয়!!

~

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.