ইউজার লগইন

শামান সাত্ত্বিক'এর ব্লগ

আইপিএল এবং কিছু রাজনৈতিক ভাবনা

সাকিব আল হাসানের জন্যই আইপিএল নিয়ে একটু আগ্রহী হয়ে উঠছি। যেভাবে তারকা হয়ে গেলেন এবারে তাতে সত্যি আনন্দিতই হয়ে উঠছি। আগামীবার হয়তো অনেক বেশি দামে তিনি বিক্রি হবেন। সত্যি সে বাংলাদেশের গর্ব।

কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র জয়ের পর, দুইদিন আগে যে দলগুলো নরেন্দ্র মোদীকে ছিঁইড়া ফেলাইছিলো বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ নেয়ার কথা বলায়, তাগো নেতা-নেত্রীরা যেভাবে মোদী-কে রাঁধার কৃষ্ণ মনে কইরা জপ শুরু করলো, তাতে ভাবলাম ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগে "ঢাকা বেঙ্গল টাইগার" নামে আরেকখান দল যোগ হইলে তা নিয়া আমরা বেঙ্গলিরাও একটু নর্দন-কুর্দন করতে পারতাম।

ফারাবী বিষয়ক জটিলতা এবং বাংলাদেশ

ফেসবুকে কাজী রায়হান রাহীর সাথে বিখ্যাত ফারাবী শফিউর রহমানের একখন্ড কথোপকথন থেকে মনে হলো, কাজী রায়হান রাহী যেসব প্রশ্ন করেছেন, সবই যুক্তিসংগত এবং এটাকেই বলে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা। তার উল্টো হলেই সেটা হবে অন্ধত্ব, গোঁড়ামী, অজ্ঞতাকে ঢেকে দেয়া। আর কতদিন এভাবে ধর্মকে প্রশ্ন না করে আন-চ্যালেজ্ঞ যেতে দেবেন? যুগ যত আগাবে সত্য-মিথ্যার প্রশ্নতে প্রতিটা ধর্মই কষ্টিপাথরে বাছাই করার প্রয়োজন হয়ে পড়বে। আসলে কোনটা সত্য ধর্ম, তা মানুষকেই বুঝে নিতে হবে সত্যানুসন্ধানীর মত। ইসলাম যদি সত্য ধর্ম হয়, তবে আপনাদের মানুষের সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। শুধু নবীজির স্ত্রীদের সম্পর্কে অশ্লীল কথা বলা হচ্ছে বলে আপনাদের এমন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে ও তার বহুল প্রচার করতে ব্যর্থ হবেন।

ওয়াইনের নেশায় বুনে মাকড়সা

হঠাৎ করে একগোছা প্রজাপতি উড়ে এসে জুড়ে বসে এবং
ঘর ভর্তি রঙ বেরঙের ফ্যাশান পাদুকাগুলো পরে নেয়
ভোজন-রঞ্জন শেষে এক একে বাড়ি থেকে বের হতে হতে
যেই তারা দরজায় রাখলো পা
এক মস্ত মাকড়শা-জাল পথ করে রোধ
তারা ভু্লে গেলো ওয়াইনের পেয়ালায় রাখা
ফুলের রেণু যে নেশার রঙ মাখছিলো
সেই ঐক্যতানেই মাকড়সা জাল বুনছিলো।

বসন্ত রঙ

কখনো কখনো শৈশবের গন্ধ নাকে এসে লাগলে মেঘে
হারিয়ে যাওয়া চাঁদ সহাস্যে মেলে নরম রূপোলি আলো
বুকের গহীনে সযত্নে লুকোনো তার সফেদ জোড়া কবুতর
বিনীত ভঙ্গি তুলে আলোর মুখ দেখে উঁকি দিলে
চলন্ত ট্রেনের জানালা গলে এগিয়ে আসা বসন্ত রঙের হাওয়া
কোন এক যাত্রীর চোখের তারায় ঝিকিমিকি ঝিলিক তুলে।।

সর্বনাশ, জহির রায়হান ইসলাম-বিদ্বেষী!!

মাদ্রাসা শিক্ষার সেকাল এবং একাল

"হেফাজতের মূল আস্তানা হাটহাজারী মাদ্রাসায় ভর্তির সময় সব ছাত্রকে উর্দুতে লেখা একটি হলফনামায় সই করতে হয়। মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা কতটা দাসত্বশৃঙ্খলে আবদ্ধ তা বুঝতে এ হলফনামাই যথেষ্ট। এতে ছাত্ররা শপথ নেয়,কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিবে না,কোনো ছাত্র সংগঠনে যুক্ত হবে না,অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত সংবাদপত্র,সাময়িকী ও বই পড়বে না,অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো পরীক্ষা দেবে না, টেলিভিশন দেখবে না,খেলাধূলাসহ যে কোনো ধরনের পাঠ্যবহির্ভূত কাজে (এক্সট্রা কারিকুলার) অংশ নেবে না, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবে ইত্যাদি!” দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় একই ব্যবস্থা চালু আছে বলে জানিয়েছেন হ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মুমতাজ আহমদ।"
(মাদ্রাসায় দাসত্বের অবসান হোক, মুজতবা হাকিম প্লেটো, মে ১১, ২০১৩)

অনৈসলামিক স্ট্যাটাস - ৩

বাংলায় কি পড়ানো হয় মাদ্রাসাগুলোতে? শুধু অ আ ক খ? বাংলা সাহিত্য পড়ানো হয়, যেমন স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে বাংলা সাহিত্য রয়েছে। ওটার কথা উঠলে তো নাউজুবিল্লাহ। রবীন্দ্রনাথ ওনাদের কছে বিধর্মী। এমনকি জাতীয় কবি নজরুলও যায়েজ নয়। আর সাহিত্যচর্চা মানেই বেশরিয়তি কাজ। সুতরাং যা বাংলা শিখতেছে, তা তাদের আরবী-উর্দুর প্রচারের কারণে।

যে শিক্ষায় নিজেকে চেনা যায় না, নিজের জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য-মুক্তিযুদ্ধকে জানা যায় না, সেটা কুশিক্ষা। মাদ্রাসাগুলোতে মানুষ তার নিজের জাতিকে চেনা তো দূরে থাক, নিজেকে চেনার সুযোগ নেই। কেননা ধর্মের নিম্নমানের এবং স্থান বিশেষে বিকৃত চর্চার মাধ্যমে এক ধরণের দাসত্বের বেড়াজালে নিজেদের এবং নিজেদের মানুষদের বন্দী করার রুচিহীন শিক্ষা চলে। এ বন্দীত্বটা মনোজগতের, চেতনার।

কষ্ট

গুণতে গেলে কষ্টগুলো বেড়েই চলে
রাত আকাশের তারা গোনা সহজ না
বাড়তি কিছু কান্না জমতে থাক
চোখের পাতার নীচ বাষ্পিত অবয়ব

রুদ্ধশ্বাসে অন্ধমুখী হলে হবে
কিছু না কিছুর উদয়
ঝড়-ঝাপটা চলবে
মরে বগাও বৈ কি

ধবল মসৃণ তুষারে
একজোড়া পা হেঁটে চলছেই
বিরতি নেই
বর্ষণ সিক্ত হবেই আজ রোদজ্বালা সুদূর দুপুর।।

চোখ

চোখ ভেঙ্গে এসেছে ঘুমের সমুদ্র।
পূর্ণিমা জল রাধিকার নিঝুম নৃত্য।।

কলম

কলমের ঘোর কলমেই থাক না
অথবা কীবোর্ড
এমন বিষাদহীন অপমান যাক ছুঁয়ে
শূন্য নদীর তীর

নিপতিত হোক বর্ষণ জলের
সেখানে থাক করুণা ধারার রঙ
আশ্বাসগুলো হোক মিথ্যে আবারও।।
জলবসন্তের শ্বাস তুলুক আকাশ।।

সময়ে সময়ে সময় ভেঙ্গে যেতে থাকে

ধবল গন্ধরাজ আমাকে যেদিন মোহিত করেছিল
শিপ্রার নীল স্কুল ড্রেসে তার ছাপ এঁকে দিচ্ছিল
আমি সুবাস নিতে চেয়েছিলাম তখন
সে না গন্ধরাজ না শিপ্রা – বুঝিনি

বহু বছর পর তার ত্রিমূর্তিতেও আমি মোহিত -
তার জলবৎ কথামালার 'পর ভাসমান পোকারা ছুটে
দিক-বিদিক দ্রুত
পদ্ম পাতার মুক্তোও হঠাৎ উঠে নড়ে
মূহুর্তের বিস্ফোরণে সময় পাখা মেলে

সময় থেকে পৌঁছি আমি অন্য আরেক সময়
বোধ থেকে পৌঁছি আমি অন্য আরেক বোধ

রক্তাভ দালিম দানাগুলো এক এক করে
উন্মুক্ত গ্রাসে যেই ছুট দিলো
অগত্যা আমার ডানা মেলে উড়তেই হলো

নিকষ আলোর পাপ

ফিনিক্স জন্মের বোধোদয় নয়
শরীরের মাঝে যদি জেগে যায় অশরীরী কিছু
তবে তো তারস্বরে চীৎকারও ক্ষয়ে যায়
আহ্‌ শব্দহীন এক আস্ফালন কেন যে ভেতর ভেতর জেগে উঠে
কান্নার সঘন তারস্বর ভেসে আসে না

আমার হৃদয়ের ডান বাম সম্মুখ পশ্চাৎ সব দেখেছি

"নিওলিবারাল পুঁজিবাদ"-এর অলীক ভূত এবং বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা

একটা কথা ক'দিন ধরে মাথার মধ্যে ঘুরছে। '৭৫-এর ১৫ আগষ্ট এবং ৪ নভেম্বরের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতেও একপক্ষের ফাঁকা মাঠে গোল দেবার চমৎকার অবস্থা তৈরি হয়ে গিয়েছিলো। এবং এই সুযোগটা ক্ষমতালিপ্সু জেনারেল জিয়া ঠিকই একতরফা কব্জা করে নিয়েছেন। এই ধুরুন্ধর লোভী জেনারেল প্রো-পাকিস্তানী দাওয়াই অব্যর্থভাবে ব্যবহার করেছেন।

উনি জানতেন প্রো-পাকিস্তানী আবহ তৈরি করতে হলে যুদ্ধাপরাধী রাজাকার শাহ আজিজুর রহমান, আব্দুল আলীম এদেরকে তার মন্ত্রীসভায় স্থান দিতে হবে। সে সাথে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে বৈধতা দিয়ে জামায়াতে ইসলাম, মুসলিম লীগকে রাজনীতি করার পুরো সুযোগ দিতে হবে। আর অন্যদিকে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তাকে তখন বাংলাদেশে মার্কিন-পাকিস্তানী অক্ষ শক্তির বিজয় রথকে এগিয়ে নেয়ার মিশনে নামতে হয়েছিল। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে দুর্বল করে ফেলার পরিকল্পনায় এগুচ্ছিলেন রীতিমত। যে কারণে চীনাপন্থী বাম-রা এসে পড়ে তার দলে, মন্ত্রীতে। এসব কাজই তিনি করছিলেন একতরফাভাবে, রাজনীতিশূন্যতায়, আওয়ামীলীগের বিপন্ন অস্তিত্বের সুযোগে।

অরাজনৈতিক স্ট্যাটাস - দুই

আওয়ামীলীগ সাংবিধানিক শূন্যতার অজুহাতে হোক, অথবা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার অজুহাতেই হোক ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।

আর বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলনে অগণতান্ত্রিক নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে এবং নির্বাচন বর্জন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।

অতএব বাংলাদেশের বড় দুই জোটই গণতন্ত্র রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে কি সিকিমের মত বাংলাদেশকে পুরোপরি ভারতের হাতে তুলে দেবো? ওটা তো বিশাল জনসংখ্যার কারণে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ।।

[বি: দ্র: আমার গত পোষ্টটা মুছে দেবার কোন কারণ ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাজ থেকে পাওয়া গেল না। পোষ্টটা সরানোর পর অন্ততঃ কারণ জানানোর প্রয়োজন মনে করছি। অথচ অন্য এক ব্লগে এই পোস্টটাতে ৯ জনের মন্তব্য পেয়েছি, যাতে পোস্টটাতে কোন সমস্যা আছে বলে কেউ বলেন নি। "আমরা বন্ধু"-র কর্তৃপক্ষের আচরণে মর্মাহত।]

৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর

আমার মনে হয়, ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনটা একটা দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। '৯০-এর পর এই পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে ('৯৬-এর তামাশার নির্বাচন ছাড়া) তাতে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতিই তাদের পরাজয়ের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও যদি সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতো, তবে আওয়ামীলীগ হয়তো পরাজিত হতো। কিন্তু তার পরে ঘটনা কী হতো। ১৮ দলীয় জোট নির্বাচিত হলে, বিএনপির ঘনিষ্ঠ সহযোগী জামায়াতের কারণে পাকিস্তান ইন্টিলিজেন্স আইএসআই-র নির্দেশে যুদ্ধাপরাধীদের 'শূয়রের খোয়াড়' থেকে মুক্ত করে দেবেন বেগম খালেদা জিয়া । (আইএসআই-এর তৎকালীন প্রধান সেদেশের সুপ্রীম কোর্টে বলেছেন, ১৯৯১-এর নির্বাচনে তারা খালেদা জিয়ার বিএনপি-কে এক কোটি টাকার উপর দিয়েছে।)

অরাজনৈতিক স্ট্যাটাস - এক

ফরহাদ মজহারের পক্ষের ছাগু, তথাকথিত বাম দলের ভেতরের ছাগু, বিএনপি-র ছুপা ছাগু, আর জামায়াত-শিবিরী ছাগু তো আছেই - এরা সবাই এখন তাদের রাজনৈতিক দর্শনে হাহাকার, হতাশায় ভুগছেন। #যুদ্ধাপরাধী কসাই মোল্লার ফাঁসিতে তাদের রাজনৈতিক দর্শনে ভয়ানক এক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন ভয়াবহ রকম মানসিক বৈকল্য দেখা দেবে, তা আগে বোধ হয় ধারণা করা যায় নি। কেননা, তারা হলেন সর্বজানা এবং রাজনৈতিক সবকিছুতেই আগে থেকে নিশ্চিত ভবিষ্যত গণন করা গোষ্ঠী।

তবে তাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, #যুদ্ধাপরাধীদের রায় সবে কার্যকর শুরু হয়েছে। আমি আশাবাদী আরো রায় কার্যকর হবে। এবং শেষমেশ যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতও প্রকৃত অর্থে, নিষিদ্ধ হবে। সেই সাথে আপনাদের রাজনৈতিক দর্শন চিন্তায় ধ্বস নামা শুরু হবে, প্রচন্ড হোঁচট খাবেন আপনারা। কারণ, বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে সরকার এবং বিরোধীদল উভয়কেই হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বস্ত, দেশ মাতার প্রতি অনুগত। এর অন্যথা হবার সম্ভাবনা একাত্তরের শহীদানরা রেখে যান নি।

ভারতের প্রকাশ্য নাক-গলানোর দায় আপনাদের উপরও বর্তায়

সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারছে ভারত। ভারত আমাদের পাওনা পানি দিচ্ছে না। ভারত বাঁধ দিয়ে, আমাদের ভাতে মারছে। তিতাস নদী দু'ফাঁক করে তাদের বাংলাদেশের উপর দিয়ে ট্রানজিট দেয়া হয়েছে। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কৌশল নিয়ে আমাদের সুন্দরবন ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে, ভারতের সাথে আমাদের বিরাট বাণিজ্য ঘাটতি আছে। এবং আরো আরো যেসব ঘৃণ্য কাজ করছে ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সেসব কিছুর বিরুদ্ধে দেশে জোরে-সোরে প্রতিবাদ হোক, আন্দোলন হোক, বিপ্লব হোক কোন সমস্যা নাই।

কিন্তু ভারতকে শায়েস্তা করার জন্য, পাকিস্তানের আইএসআই-এর মদদে গোপনে দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে এনে সে দেশের বিচ্ছিন্নবাদীদের হাতে তুলে দেবেন। এই ধৃষ্ঠতা দেখাবার অপরিসীম কাপুরুষত্ব কোথায় পেলেন? ভারত কি বসে বসে জর্জ মিঞা নাটক দেখবে?

অমসৃণ আঁধার

ভয়ংকর রকম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শীতের আগুণখানা
ওখানে তপ্ত ঘি ঢেলে দিও না
পুড়ে যাবে শরীরের শান্ত টলোমলো ধাম

যেভাবে ছড়িয়েছে কার্বন বাতাসে
সহসা পাকিয়ে পাকিয়ে কুন্ডলী
- তেজোস্ক্রিয়তায় মৌণ নিথর হবে
পোড়া দেহের মাংস
কী যে এক বিন্দু বিন্দু জলীয় রসের নিঃসরণ
প্রলেপ মাখাতে চাইবে ফুটন্ত সময়
চেতনহীন রাজপথের অমসৃণ আঁধারে।

মাশরুম জন্ম

সব সৌন্দর্য নিয়ে ইতি-উতি উঁকি দেয় সে
রাতজাগা আকাশ
তার পায়ের কাছে বেজে চলে নীরব সমুদ্র ঝুমঝুম
যদিও ভস্মিভূত সে চিতার অনলে
দগ্ধ বুকের বাহাদুরি
কোথাও বাজিয়ে তুলে সতর্ক সাইরেন

তখন বৃষ্টি মেঘের স্পর্শ বাড়িয়ে এনে
গজিয়ে তোলে দু'চারটা ব্যাঙের ছাতা - মাশরুম।

দুধেল প্রহেলিকা

এখনি ঝড় তোলা রাতে জন্ম হয়ে গেলো দুধেল পুষ্করিণীর
টাকি মাছে মাখন রঙ বসলো চেপে
কই মাসের শ্বাস-প্রশ্বাস দুধেল উচ্ছ্বাস
চিংড়িগুলো একেক করে দেখে গেলো
শরীর জুড়ে ছোপ লাগলো দুধ আলতার
উঠোন মুড়ে রাঙা বৌয়ের বটি ঝরায় রক্তিম-রস জ্বালা

এমন সময় গোয়াল ঘরে গাভী ডাকলো জাবর কাটলো
ইচ্ছেগুলো দানা বেঁধে তুললো শূন্যে ঝড়।।

নিরব কুজ্‌ঝটিকা

অদৃশ্য হয়ে গেলে ছাপ এসে পড়ে মনের উপর
লঘু চালে সড়ক-বন্দর পার হতে হয়
কখন যে আমার ফিরতি পথের ট্রেনে যেতে হবে
কুয়াশা মোড়া রাত উদ্দেশ্য অজানার জন্ম দেয়
তখনই পাঁচিল ঘেরা ভূ-খন্ডে গুটি পায়ে
নেমে আসে চিরায়িত সে মানবী তার ক্ষীণ-কটি
তবে আঁধার লালিমায় শোনা যায় না কন্ঠ কূজন
সে নাকি জলের ঝর্ণাকে টেনে নিয়ে এসেছিল
অলিগলি পার হয়ে রাজপথের মধ্য মুকুটে।

একজন ফরহাদ মজহার এবং অনৈসলামিক রাজনীতি - দুই

স্বয়ং বুদ্ধিবৃত্তিক রাজাকার ফরহাদ মজহার