শুভ্র সরকার'এর ব্লগ
এক মাহাথিরের সন্ধানে
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় অনুষ্ঠিত ০৫ জানুয়ারীর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটবিহীন একতরফা নির্বা চনের মাধ্যমে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নবগঠিত সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই তিনি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বা চিত হয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন ক্রীড়াপ্রেমী ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৮-২০১৩ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন সুযোগ পেলেই তিনি মাঠে গিয়ে লাইভ খেলা দেখেছেন খেলোয়াড়দের উত্সাহ জুগিয়েছেন অনেক অনেক পুরস্কার ও প্রণোদনা দিয়েছেন তারই শাসনামলে বাংলাদেশ সহযোগী আয়োজক হিসাবে সফলভাবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন করেছে
পরবতর্ী সরকারের করণীয় কি ???
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির জনাব সেলিম ০৫ জানুয়ারী, ২০১৪ এর সাধারণ নির্বা চনকে পোকা খাওয়া নির্বা চন বলে অভিহিত করেছেন প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এই নির্বা চনকে প্রহসনের নির্বা চন বলেছেন বিশিষ্ট বৃদ্ধিজীবি এই নির্বা চনকে স্নেহের নির্বাচন বলেও অভিহিত করেছেন আর ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ এটাকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার নির্বা চন বলতেই আগ্রহী গতকাল ০৬ জানুয়ারী, ২০১৪ নির্বা চনের পরদিন গণভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে মনে হয়েছে তিনি এই নির্বা চন এবং এর ফলাফল নিয়ে বেশ খুশি যদিও পরবর্তী নির্বা চন ব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতা ও আলোচনার জন্য বর্ত মান প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এর চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু তার বডি ল্যাংগুয়েজে মনে হয়েছে যে, তিনি নবগঠিত সরকারের মেয়াদ দীর্ঘা য়িত করবেন এজন্য তিনি পরবর্তী নির্বা চনের জন্য বিরোধীদলকে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, নবগঠিত সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করার চেষ্টা করবে পাশাপাশি রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে সমঝোতার সংলাপ চালিয়ে যাবারও চেষ্
মাছির মারার নির্বাচন!!!
গত ২১ ডিসেম্বর থেকে বাসায় একা একা বাস করছি আমার গিন্নী মেয়েকে নিয়ে তার বড়ভাইয়ের বাসায় থাকছে আমি মনেশ্বর রোডের ভাড়া বাসায় বাস করছি ইদানিং দু'জনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না তাই পারিবারিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক দু'জন আলাদা থাকছি একা একা থাকার সুবাদে যথেষ্ট সময় পাচ্ছি কখনো একাডেমিক প্রবন্ধ পড়ে, কখনো পত্রিকা পড়ে আবার টিভি দেখে সময় পার করছি আমি অবশ্য রান্নাও করতে পারি গত ২ বছর জাপানে থাকার সুবাদে আমি রান্নাটা শিখেছি অবশ্য আমার রান্না আমি ছাড়া অন্য কেউ খেতে পারবে বলে আমার মনে হয় না যাহোক ছুটির দিনে সারাদিন রান্না বারি, বইপড়া, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, টিভি দেখেই সময় পাড় করছি
জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
গত ৪৩ বছরের ইতিহাসে দেশ আজ চরম রাজনৈতিক সংকটে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি'র আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য জামায়াত-শিবিরের চোরাগুপ্তা হামলা, জ্বালাও-পোড়াও, জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে কার্যতঃ দেশ অচল হয়ে পড়েছে এই রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধানের জন্য সরকারী দল ও বিরোধী দলের মধ্যে দফায় দফায় সংলাপ হলেও কোন ইতিবাচক সমাধান বের হয়ে আসে নাই সরকারী দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ফলপ্রুশ সংলাপের জন্য বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত জামায়াত-শিবিরের সঙ্গ ছাড়তে হবে অন্যদিকে বিএনপি'র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের শতর্ মানতে হবে মূলতঃ সরকারী দল ও বিরোধীদল উভয়ের দাবীই যৌক্তিক আমজনতার দাবীও তাই আমরা চাই নির্দলীয় ব্যক্তির অধীনে সাধারণ নির্বাচন হোক এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হোক সুতরাং জনগণের দাবীকে মূল্যায়ন করে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন আমরা চাই আওয়ামীলীগ বিএনপি সবাই মিলে এই দুটি দাবী পূরণ করুন তবেই দেশে স্থায়ী শান্তি আসতে
কেন একা থাকতে চাই???
আমার ১২ বছরের সংসার জীবনে সবসময় আমার একা থাকতে ইচ্ছা করেছে আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সমাপ্ত করে চাকুরীতে যোগদান করার ১১ দিনের মাথায় বিয়ে করি বিয়েটা আমার পছন্দের মেয়েকেই করেছি কিন্তু বিয়ের পরদিন থেকেই সংসারে সুখ আসেনি ছোট খাটো বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো তারপরও সমাজের দিকে তাকিয়ে আমরা ছাড়াছাড়ি করতে পারি নাই ইদানিং আমাদের দাম্পত্য কলহ জটিল আকার ধারণ করেছে দু'জন দু'জনকে একটুও সহ্য করতে পারছি না গত শুক্রবার আমাদের মধ্যে রফা হয় দুজন আলাদা থাকবো সেই থেকে আমরা আলাদা আছি আমার স্ত্রী এলিফ্যান্ট রোডে তার বড় ভাইয়ের বাসায় আর আমি আমার ভাড়া করা বাসায় আছি
আমার একা থাকতে ভালোই লাগছে এই ক'দিনে একবারের জন্যও আমার স্ত্রীর জন্য খারাপ লাগেনি আমি আমার মনের মাঝে আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছি না তার জন্য বরং অনেক ঘৃণা জন্ম নিচ্ছে কারণ গত ১২ (বার) বছরে চেষ্টা করেছি সবকিছু ম্যানেজ করে সংসার করার জন্য কিন্তু বার বার ফেল করেছি
কে সফল ???
২০০৮ সালের জাতীয় নিবর্াচনে আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রধান নিবর্াচনী ইস্তেহার ছিল '৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা ২০০৮-২০১৩ এর সময়কালে আওয়ামীলীগ সরকার মানবতাবিরোধী/যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষ করতে না পারলেও তারা ২০১০ সালে বিচার শুরু করে তারই ধারাবাহিকতায় ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩ '৭১ এ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী কসাই কাদের নামে খ্যাত আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে কাদের মোল্লাকে ফাঁসি না দেওয়ার জন্য বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ ও আন্তজর্াতিক সংস্থার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে টেলিফোনে অনুরোধ করা হয় কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি আইনের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি আইনগতভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে, যদিও যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে দেশে বিদেশে আপত্তি উঠেছে বিশেষ করে ২০১২ সাল থেকে জামায়াত শিবির যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করার জন্য দেশে সহিংস আন্দোলন শুরু করে দেশের বিভিন্নস্থানে জ্বালাও পোড়াওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর প্রকাশ্য হামলা চালায়
সরকারের এখন কি করা উচিত্
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এখন ২টি অপশনঃ (১) জামায়াত-শিবিরের তান্ডব বন্ধ করার জন্য হার্ডলাইনে যাওয়া; (২) অন্তর্বতী কোন সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া ২ নং অপশন গ্রহণ করলে আওয়ামীলীগের জন্য তা ক্ষতির কারণ হতে পারে ক্ষমতা ছাড়ার সাথে সাথে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা আওয়ামীলীগের নেতাকমর্ীদের উপর বেপোয়ারাভাবে আক্রমণ করার সুযোগ পাবে এছাড়া বিএনপি ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর হবে না সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের সাংগঠিক কাঠামো দূর্বল হতে পারে নেতাকমর্ীরা অনেকটা নিষ্কিয় হতে পারে সুতরাং দেশ-বিদেশের যতই চাপ থাকুক না কেন, দেশের স্বার্থে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আমাদের বর্তমান দাবী জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কঠোরহস্তে দমন করতে হবে অন্যথায় লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রাণের স্বাধীনতা আজ বিপন্ন প্লিজ একটা কিছু করেন প্লিজ প্লিজ প্লিজ!!!
পলাশীর মীর জাফরদের গন্ধ পাচ্ছি !!!
দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে আমাদের সবার প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হলো দেশকে শত্রুমুক্ত করা। ’৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের তাজা রক্ত এবং ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হানি এবং হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে স্বাধীন হলেও স্বাধীনতার ৪১ বছর পরও দেশ আজও শত্রুমুক্ত হয়নি। বাংলাদেশ কি ঐতিহাসিকভাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মীর জাফরদের জন্ম দিয়ে যাবে ?
ধর্মের নামে ভন্ডামি এবং মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করুন !!!
’৭১ এর পরাজিত শক্তি জামায়াত শিবির এবং তাদের দোসর বিএনপি-বিশেষ করে বিএনপি জামাত ঘরোয়ানা গণমাধ্যম এই আন্দোলনের গায়ে নাস্তিকতার তকমা লাগিয়ে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য মিথ্যা অপবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে যে ’৭১ এর এই ঘাতকরা আন্দোলনকারীদের অন্যতম সহযোদ্ধা আহমেদ রাজীব হায়দারকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর মৃতব্যক্তিকে নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপি-জামাতের অভিযোগ প্রয়াত রাজীব হায়দার নাকি ইসলাম ধর্ম, ধর্মীয় অনুশাসন, এবাদত, নামাজ রোজা, হজ্জ যাকাত ইত্যাদি বিষয় এবং মহানবী(সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ লেখালেখি করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশের ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞদের অভিমত শাহবাগের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ’৭১ এর পরাজিত শক্তি প্রয়াত রাজীবের নামে ভূয়া একাউন্ট খুলে তার নামে ইসলাম বিরোধী রচনাবলী পোষ্ট করেছে। তর্কের খাতিয়ে যদি ধরেও নেওয়া হয় যে, প্রয়াত রাজীব হায়দার একজন ইসলাম বিরোধী ব্লগার। তারপরও কোন সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে একজন মৃতব্যক্তিকে মুরদাত ঘোষণা করা ইসলাম অনুমোদন করে কিনা- কোরআন-হা
দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও
প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সুবাদে সুদূর জাপানে বসেও বাংলাদেশের সমসাময়িক ঘটনাবলী সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। যদিও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রায়শই দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সংবাদ প্রচার করে থাকে। বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম নিরপেক্ষ খবর প্রচার করতে পারে না দলীয় আনুগত্যের কারণে। তারপরও সকল গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর দেখলে একটা বাস্তব চিত্র বিশ্লেষণ করার প্রয়াস পাওয়া যেতে পারে। ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত শিরোনাম হলোঃ “সিলেটে শহীদ মিনারে হামলা-ভাঙ্চুর, গুলি”, “চট্টগ্রামে গণজাগরণ মঞ্চে হামলা”, “হামলায় ১৭ জন সাংবাদিক আহত”, “দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা, নিহত ৪” – (দৈনিক প্রথম আলো)। “উত্তাল সারাদেশ” “কুচক্রী মহলের ফাঁদে পা দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষ ও সাধারণ মুসল্লীদেরকেও প্রতিপক্ষ বানানো শুভকর হবে না” “তৌহিদী জনতার আড়ালে জামায়াতে শিবিরের হামলা” “যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির এক দাবিসহ জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ফের প্রকম্পিত শাহবাগ চত্বর”, “ইসলাম ও মহানবী (সা.) অবমাননা প্রতিবাদে গর্জে উঠছে চট্টগ্রাম” (দৈনিক ইনকিলাব)। “সি
প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন এবং জামায়াত শিবিরের অপপ্রচার
আজকের (১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩) দৈনিক ইনকিলাবের ইন্টারনেট সংস্করণে “ফুঁসে উঠেছে তৌহিদী জনতা” শিরোনামের রিপোর্টটি পড়লাম। রিপোর্টটির মূল বক্তব্য হচ্ছে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলাম, আমাদের প্রিয় নবী (সাং), ইসলামী অনুশাসন ইত্যাদির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছে। শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের ইসলামের শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। জামায়াত শিবির এবং বিএনপি যখন রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলনকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তখন তারা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশের নিরপেক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদেরকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি শাহবাগের আন্দোলনের সাথে ধর্মের কোন বিরোধিতা নেই। ইসলাম আমাদের প্রাণের ধর্ম। বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলমান খুবই খোদাভীরু, ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যেই আমাদের বেড়ে ওঠা। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে ধর্মীয় অনুভূতির সাথে সাংঘর্ষিক কোন বক্তৃতা বা বিবৃতি দেয়া হয়নি। আপনারা একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন, গত দুই সপ্তাহ যাবৎ কোনপ্রকার অঘটন ছাড়াই শাহবাগের আন্দোলন এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে হাতে হাত ক
শিরোনামহীন
আমি বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, বাসদ, জাসদ, কমিউনিষ্ট, আওয়ামীলীগ-কোন দলেরই সমর্থক নই। আমি রাজনীতি বুঝি না। আমি মিছিলে যাই না। আমি ভোট দেই না। আমি বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতি এবং ভন্ড রাজনীতিবিদদেরকে ঘৃণা করি। আমার মতো হাজারো মানুষ বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতিকে এবং রাজনীতিবিদদের ঘৃণা করেন। তারপরও আমি একটা জিনিস চাই- যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তি। ৪২ বছর ধরে আমরা এই কলঙ্ক বয়ে বেরাচ্ছি। যুদ্ধাহত কত মুক্তিযোদ্ধা তিন বেলা পেটভরে ক্ষেতে পান না। অথচ বাংলাদেশের শত্রু পাকিস্তানের বন্ধু রাজাকারের দল কোটি টাকার দামে গাড়িতে চড়ে বেড়াচ্ছে। যারা বাংলাদেশ চায়নি তারাই গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ায়। আমাদের দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনী তাদেরকে স্যালুট জানায়।।। আর সেই জামাত শিবিরের হাতে ব্লগার খুন হয়।।। হায় অভাগা দেশ!!!
শুভ্র সরকার, জাপান।
আমরা কি অসভ্য হয়ে যাচ্ছি !!!
যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে যখন সারাদেশ আন্দোলন করছে, জামাত শিবির তখন এই বিচারকে বাধাগ্রস্ত ও বানচাল করার জন্য সারাদেশে জ্বালাও পোড়াও করছে। ঢাকা ও চট্রগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে। জামাত শিবিরের আঘাতে আহত ব্যাংক কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছে। মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে শিশু অপহরণকারীদের জামিন দিয়ে দিচ্ছি। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতার ধোঁয়া তুলে বিচারকের এজলাস থেকে কাঠগড়া ভেঙে আসামিকে ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি আমাদেরকে কি আদিম বর্বর অসভ্যতার যুগে নিয়ে যাচ্ছে নাকি ? হত্যা, গুম, জখম, সন্ত্রাস, অপহরণ, রাহাজানি, চাঁদাবাজি, টেন্দারবাজি দলবাজির মতো শত বাজি তো আমাদের দেশের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। প্রথম আলোর খবরে প্রকাশ জামিন না দেওয়ায় বগুড়ায় আদালতের কাঠগড়া ভেঙে জাতীয়তাবাদী যুবদল ও ছাত্রদলের ছয়জন আসামীকে ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে
১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের ধ্বংসাত্মক তান্ডব দেখেছি। ছাত্রশিবিরের রগকাটা রাজনীতির কারণে শেষ পর্যন্ত রাজশাহী ভার্সির্টিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারিনাই। বাংলাদেশ ছাত্রশিবির হলো পৃথিবীর সবচেয়ে একটা উগ্রপন্থী ছাত্রসংগঠন। এরা ধর্মের নামে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতেও দিধাবোধ করে না। এরা ইসলামের দুশমন। এরা রক্ত দিয়ে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু এরা জানে না যে, রক্ত দিয়ে কখনো কোনধর্মই প্রতিষ্ঠিত হয়নি। জামাতের ভন্ড নেতারা স্কুলের গন্ডি পার না হতেই বাংলাদেশের কোমলমতি কিশোরদেরকে শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করে। বাংলাদেশের অভিভাবকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ আপনারা আপনাদের ছেলে মেয়েদের সম্পর্কে একটু সজাগ থাকেন যাতে কোনভাবেই আপনার সন্তান ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পৃক্ত না হয়।