কে সফল ???
২০০৮ সালের জাতীয় নিবর্াচনে আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রধান নিবর্াচনী ইস্তেহার ছিল '৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা ২০০৮-২০১৩ এর সময়কালে আওয়ামীলীগ সরকার মানবতাবিরোধী/যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষ করতে না পারলেও তারা ২০১০ সালে বিচার শুরু করে তারই ধারাবাহিকতায় ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩ '৭১ এ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী কসাই কাদের নামে খ্যাত আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে কাদের মোল্লাকে ফাঁসি না দেওয়ার জন্য বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ ও আন্তজর্াতিক সংস্থার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে টেলিফোনে অনুরোধ করা হয় কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি আইনের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি আইনগতভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে, যদিও যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে দেশে বিদেশে আপত্তি উঠেছে বিশেষ করে ২০১২ সাল থেকে জামায়াত শিবির যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করার জন্য দেশে সহিংস আন্দোলন শুরু করে দেশের বিভিন্নস্থানে জ্বালাও পোড়াওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর প্রকাশ্য হামলা চালায় জামায়াত শিবিরের হাতে অসংখ্য পুলিশকে জীবন দিতে হয়েছে জামায়াতের একজন নেতা তো দেশে গৃহযুদ্ধের হুমকিও দিয়েছিল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর থেকে দেশে দৃশ্যতঃ গৃহযুদ্ধই চলছে বিএনপি জামায়াতের সহিংস আন্দোলনের কারণে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাকমীর্রা প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হচ্ছে জামায়াত শিবির ধ্বংসাত্নক ও সহিংস আন্দোলন করেও যুদ্ধাপরাধের বিচার রহিত করতে পারে নাই সেক্ষেত্রে জামায়াতের আন্দোলন ব্যথর্ হয়েছে বলা যেতে পারে অপরদিকে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় কতটুকু সফল তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন থাকলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে তারা যে সফল তা বলা যেতে পারে অন্য কথায় বলা যায় যে, রাজনৈতিকভাবে জামায়াত-শিবির ব্যথর্ হয়েছে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর পর থেকে বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ২(দুই) বছর আন্দোলন করে আসছে এখানেও বিএনপি তাদের আন্দোলন সফল করতে পারেনাই ১৮ দলীয় জোট এবং জামায়াত শিবির আলাদাভাবে গত ২(দুই) বছর আন্দোলন করে মানুষ মেরেও তাদের দাবি আদায় করতে পারে নাই অথর্াত্ বিরোধীপক্ষ রাজনৈতিকভাবে ব্যথর্ হয়েছ
রাজনৈতিক দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে বিএনপি জামায়াত ব্যথর্ হলেও ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ সরকার সফল হয়েছে এ কথাও বলার কোন সুযোগ নেই কারণ আওয়ামীলীগ গত ৫ বছরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে পদ্মা সেতু কেলেংকারী, শেয়ার বাজার দূর্নীতি, হলমার্ক কেলেংকারী ইত্যাদি অনিয়মের কথা সবারই জানা সব চাইতে উদ্বেগের বিষয় হলো-গত ১(এক) বছর যাবত্ দেশের সাধারণ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে ব্যথর্ হয়েছে সরকারের মেয়াদ শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নিবর্াচন করতেও ব্যথর্ হয়েছে সুতরাং গত ২(দুই) বছরের রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, রাজনৈতিকভাবে সকল দলই কমবেশী ব্যথর্ কোন দলকেই সার্থক বলা কোন সুযোগ নেই বড় ব্যর্থতা আম জনতার আমরা কোন পক্ষেই দুর্বার আন্দোলন করতে পারি নাই না সরকারের পক্ষে না বিরোধীদলের পক্ষে আমরা কেবল মারই খাচ্ছি
বহুদিন আগে প্রক্ষ্যাত উর্দূ লেখক শাহাদত হোসেন মান্টুর "মুত্রী" নামক একটি অনু গল্প পড়েছিলাম । ভারত বিভাগের অল্প কিছুদিন পর লেখক একবার বম্বের এক পাবলিক পেশাব খানায় যান । দূর্গন্ধে অতিষ্ট লেখক নাকে রুমাল চেপে কাজ সাড়ছিলেন । চোখ গেল সামনের দেয়ালে । সেখানে কেউ লিখে রেখেছে, " মুসলমানুনে পাকিস্তান মারা ।" তিনি নাক চেপে ধরেই বেড়িয়ে আসেন ।
কিছুদিন পর তিনি আবার একই পেশাব খানায় গিয়ে দেখেন আগের লাইনটির নীচে কেউ লিখে রেখেছে, " হিন্দুঁউনে হিন্দুস্থান মারা ।" নাক চেপে রেখেই তিনি কাজ সেড়ে বের হোন ।
আবারো তাঁকে যেতে হয় সেই মূত্রীতে [পেশাবখানা] আরো কিছুদিন পর । এবার তিনি দেখতে পান আগের লান দূটির নীচে লেখা, " হিন্দু আউর মুসলমানুনে আপনা আপনা মা কৌ মারা [মারা শব্দটির বাংলা খুবই কদর্য । তাই অনঅনুবাদ রইল] এবার কিন্তু পেশাবের দূর্গন্ধটা তার আর খারাপ লাগেনি ।
গত ৪২ বছর ধরে দল গুলোর কর্ম দেখে মনে হয় এরা সবাই মিলে “বাংলা মা কৌ মারা " এদের সফলতা/বিফলতার নিকুচি করি ।
বহুদিন আগে প্রক্ষ্যাত উর্দূ লেখক শাহাদত হোসেন মান্টুর "মুত্রী" নামক একটি অনু গল্প পড়েছিলাম । ভারত বিভাগের অল্প কিছুদিন পর লেখক একবার বম্বের এক পাবলিক পেশাব খানায় যান । দূর্গন্ধে অতিষ্ট লেখক নাকে রুমাল চেপে কাজ সাড়ছিলেন । চোখ গেল সামনের দেয়ালে । সেখানে কেউ লিখে রেখেছে, " মুসলমানুনে পাকিস্তান মারা ।" তিনি নাক চেপে ধরেই বেড়িয়ে আসেন ।
কিছুদিন পর তিনি আবার একই পেশাব খানায় গিয়ে দেখেন আগের লাইনটির নীচে কেউ লিখে রেখেছে, " হিন্দুঁউনে হিন্দুস্থান মারা ।" নাক চেপে রেখেই তিনি কাজ সেড়ে বের হোন ।
আবারো তাঁকে যেতে হয় সেই মূত্রীতে [পেশাবখানা] আরো কিছুদিন পর । এবার তিনি দেখতে পান আগের লান দূটির নীচে লেখা, " হিন্দু আউর মুসলমানুনে আপনা আপনা মা কৌ মারা [মারা শব্দটির বাংলা খুবই কদর্য । তাই অনঅনুবাদ রইল] এবার কিন্তু পেশাবের দূর্গন্ধটা তার আর খারাপ লাগেনি ।
গত ৪২ বছর ধরে দল গুলোর কর্ম দেখে মনে হয় এরা সবাই মিলে “বাংলা মা কৌ মারা " এদের সফলতা/বিফলতার নিকুচি করি ।
মন্তব্য করুন