পলাশীর মীর জাফরদের গন্ধ পাচ্ছি !!!
দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে আমাদের সবার প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হলো দেশকে শত্রুমুক্ত করা। ’৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের তাজা রক্ত এবং ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হানি এবং হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে স্বাধীন হলেও স্বাধীনতার ৪১ বছর পরও দেশ আজও শত্রুমুক্ত হয়নি। বাংলাদেশ কি ঐতিহাসিকভাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মীর জাফরদের জন্ম দিয়ে যাবে ? আজ বার বার মুরব্বীদের মুখে শুনে আসা বহুল উচ্চারিত প্রবাদ “ঘরের শত্রু বিভীষণ” মনে পড়ছে । লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণ বিদেশী শত্রু শক্তিশালী পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীকে মোকাবিলা করে দেশকে স্বাধীন করতে পারলেও আমাদের স্থানীয় মীর জাফরদের জন্য এখনও দেশ শত্রুমুক্ত হয়নি । স্বাধীনতার পর যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের দল নিষিদ্ধ জামায়াত শিবির কিভাবে পূনর্বাসিত হয়েছে তার ইতিহাস কমবেশি আমরা সবাই জানি। ক্ষমতার জন্য বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতি বারবার স্বাধীনতার শত্রু জামায়াত শিবিরকে পূনর্বাসন করেছে। আজকের এই লেখায় ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করব না। বর্তমান প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আপোষহীন নেত্রী হিসাবে পরিচিত বেগম খালেদা জিয়ার গতকালের (০১ মার্চ, ২০১৩) সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে কিছু বলার প্রয়াস করব।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানা যায় যে, আদালত কর্তৃক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী আরও একজন রাজাকার মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ার পর সারাদেশে জামাত শিবির যে তাণ্ডব চালায় তাতে প্রায় অর্ধশত মানুষ প্রাণ হারায় যারা মধ্যে জামাত শিবিরসহ, আওয়ামী লীগ যুবলীগ, বিএনপি/ছাত্রদল, নিরীহ সাধারণ জনগণ এবং শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন। জামাত শিবির কর্তৃক দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু-বিশেষকরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, মন্দিরে আক্রমণ করা হয়েছে । সরকারী স্থাপনা, বেসরকারী ব্যাংক, যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দৃষ্টে মনে হচ্ছে জামাত শিবির সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। অবশ্য কদিন পূর্বে জামাতের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা জনাব হামিদুর রহমান আযাদ দেশে তো গৃহযুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে রুলও জারি করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বাংলাদেশের এই সংঘাতময় পরিস্থিতিকে ‘রায়ট’ বলে অভিহিত করে নিউজ করেছে। মূলত: জামাত শিবির যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী কয়েকজন চিহ্নিত রাজাকারকে বাঁচানোর জন্য দেশে গৃহযুদ্ধ ঘোষণা করেছে । শাহবাগ থেকে নতুন প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে সুদীর্ঘ ২৫/২৬ দিন যাবৎ সম্পূর্ণ অহিংস বিরামহীন আন্দোলন করলেও জামাত শিবির সহিংস আন্দোলনের নামে দেশকে অকার্যকর করতে বদ্ধ পরিকর । মাওলানা সাঈদীসহ বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য জামাত শিবিরের একমাত্র কৌশল হলো দেশে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করে রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থাকে অকার্যকর করা । যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের দল জামায়াত শিবির খুনী রাজাকার পাকিস্তানের দালালদের বাঁচানোর জন্য এই রকম সহিংসতা করতে পারে এটা সহজেই অনুমেয়। জামাত শিবিরের এই সশস্ত্র তাণ্ডব ’৭১ এর নরহত্যা, বুদ্ধিজীবি হত্যা, খুন-ধর্ষণ, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া লুণ্ঠন ইত্যাদির কথা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়। সারাদেশে জামাত শিবিরের এই সহিংস সশস্ত্র হামলা অরাজকতা সৃষ্টি করবে বিষয়টি নিয়ে দেশের সাধারণ জনগণ অবাক হয় নাই। কারণ জামাত শিবির একটা সশস্ত্র মৌলবাদী ও জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন । কিন্তু দেশের জনগণ বেশ অবাক হয়েছে এক সময়ে জনপ্রিয় নেত্রী যাকে সবাই আপোষীহীন নেত্রী হিসাবে জানে, যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী যিনি প্রত্যক্ষভাবে পাক বাহিনী এবং তাদের সহযোগী জামাত শিবিরের স্বাধীনতাবিরোধী কার্যকলাপ দেখেছেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যার ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়, যাকে তুলনামূলকভাবে একজন খুব ভদ্র নেত্রী হিসাবে জানে, সেই আপোষহীন নেত্রী ক্ষমতার লোভে জামাত শিবিরের এই সশস্ত্র সহিংস সন্ত্রাসী তাণ্ডবকে সমর্থন করে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে শাহবাগের আন্দোলনকে অবমূল্যায়ন অপব্যাখ্যা দিয়ে জাতি সামনে বক্তৃতা দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদলের জনপ্রিয় নেত্রীর জামাত শিবিরের এই সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের স্বপক্ষে বিবৃতি দেওয়াতে সারাদেশ স্তম্ভিত নির্বাক। ক্ষমতার লোভে আমরা এতটাই নির্লজ্জ হতে পারি ? বিএনপিতে কি ’৫৭ পলাশীর মীর জাফরের আত্মা ভর করেছে ? বেগম জিয়ার এই বিবৃতির মাধ্যমে এটাই প্রমাণ করেছে যে, বিএনপি একটা মেরুদন্ডহীন দল । জামাত শিবিরের কাছে এরা বিক্রি হয়ে গেছে। বাংলদেশের সাধারণ জনগণ বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-যুবক আপনাদেরকে কোনোদিন কখনই ক্ষমা করবে না না না না । বেগম খালেদা জিয়া এই বক্তব্য মাধ্যমে দেশ এবং বিএনপি’র জন্য নিম্নোক্ত পরিণতি ঘটতে পারেঃ
প্রথমত: বেগম খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের মাধ্যমে জামাত শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করা হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশে সহিংসতা আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পেতে পারে। মাত্র ক’জন যুদ্ধাপরাধীকে বাঁচাতে গিয়ে সারাদেশে শত শত জনগণকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়ত: সরকার যদি জামাত শিবিরের এই সশস্ত্র হামলা ও তান্ডবকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশে তৃতীয় কোন শক্তির উত্থান হতে পারে যেটা দেশের জন্য, দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তৃতীয়ত: পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপি’র ভরাভুবি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
যেকারণে বিএনপি’র ভরাভুবি হতে পারেঃ
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্যতম ম্যনুফেষ্ট ছিল “যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের বিচার নিশ্চিতকরণ”। আওয়ামী লীগের এই অঙ্গীকার ছিল বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের প্রাণের দাবি। ফলে তরুণ সমাজের প্রায় সিংহভাগ ভোট আওয়ামী লীগের বাক্সে পড়ে যার জন্য আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ নিয়ে সরকার গঠন করে । নির্বাচনের অঙ্গীকার পূরণের জন্য সরকার আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য শুরু করে । উক্ত আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় রায়ের পর আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় । কুখ্যাত খুনী রাজাকার জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় হওয়ার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণও জামাতের সাথে আওয়ামী লীগের আতাঁত হতে পারে মর্মে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ বিশেষ করে আমাদের তরুণ ছাত্র ও যুব সমাজ যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে বাংলাদেশে আর কোন রাজনীতি করতে দিবে না। মোদ্দা কথা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে উদ্বেলিত শাহবাগের আন্দোলন এখন দেশের গণমানুষের আন্দোলনে রূপ নিয়েছে ।
গত নির্বাচনে বিএনপি’র ভরাভুবির জন্য অন্যান্য কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ ছিল বিএনপি’র মদদে যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের গাড়িতে লাখ শহীদের রক্ত আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রাণের লাল সবুজ পতাকা উড়তে দেওয়া। জামাত শিবিরের সাথে নির্বাচনে জোট করলেও বিএনপি যদি রাজাকারদেরকে মন্ত্রীত্ব না দিতো, রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়তে না দিতো তাহলে বিএনপি’র ভরাভুবি হলেও সেটা হয়তো এতটা ভয়াবহ ভরাভুবি হতো না। কারণ বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দলই কমবেশি একই রকম। সবাই ক্ষমতার জন্যই রাজনীতি করেন। দেশের জনগণের কল্যাণের কথা কেউ ভাবে না। ক্ষমতাকে অর্থোপার্জনের একটা টাকশাল হিসাবে দেখা হয় । ৪২ বছরের ইতিহাসে সকল সরকারের সময়ই কমবেশী দুর্নীতি, হত্যা-গুম, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি হয়েছে। সরকার ভেদে ১৯/২০ বা ১৮/২০ পার্থক্য হতে পারে। বিএনপি বারবার গণতন্ত্র, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, ইলিয়াস গুম, বিশ্বজিৎ দাসের নৃশংস মৃত্যু, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে । এটার জন্য বিএনপি রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে । এজন্যও বিএনপিকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে । আপনারা কেন সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেন না ? একটা রাজনৈতিক দল হিসাবে এই ব্যর্থতা আপনাদের। বিএনপি’র শাসনামলে সংঘটিত ভয়াবহ কিছু ঘটনাও দেশের সাধারণ জনগণকে খুবই ব্যথিত করে । বিএনপির শাসনামলেও দেশে অসংখ্য রাজনৈতিক হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে; বিশ্বের ইতিহাসে বাংলাদেশেই প্রথম ৫০০টির বেশি স্থানে একযোগে বোমা হামলা হয়েছে; বাংলাদেশের সংস্কৃতি রমনার বটমুলে বোমা হামলা, যশোরের উদীচীতে বোমা হামলা, গুলিস্তানে ভয়াবহ গ্রেনেট হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক, মৌলবাদের উত্থান, রাজপুত্র এবং তাদের বন্ধুদের পাহাড় সমান অর্থ কেলেঙ্কারি, বিসিএস চাকুরী কেলেঙ্কারি, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অযোগ্যদের চাকুরী প্রদান ইত্যাদি ইত্যাদি অনিয়ম দুর্নীতি বাংলাদেশের জনগণের খুব ভালোভাবে মনে আছে। ম্যাডাম জিয়া, বাংলাদেশের জনগণকে আর বোকা ভাববেন না । আমাদের রাজনীতি যে খুবই নোংরা হয়ে গেছে সেটা দেশের সাধারণ খুব ভালোভাবে বুঝে গেছে। জনগণকে আর ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না । বাংলাদেশের রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদ পোঁকায় খাওয়া বেগুনের চেয়ে খারাপ হয়ে গেছে। বিষয়টি পরিস্কার করছি। বাংলাদেশের অনেক দরিদ্র পরিবার পোঁকায় খাওয়া বেগুন দিয়েও (কিছু অংশ বাদ দিয়ে) তরকারি রান্না করতে পারে এবং ঐ তরকাতি দিয়ে আহার করতে পারে। কিন্তু আমাদের রাজনীতিকে এতটাই পোঁকাড় খেয়েছে যে তাকে কোনভাবে কাজে লাগানোর কোন উপায় নেই।
যাহোক আবার ফিরে আসি বিএনপি’র পরিণতির বিষয়ে। একজন রাজাকারের গাড়িতে যখন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়তে দেখে তখন আমাদের তরুণ প্রজন্ম তা মেনে নিতে পারেনা। মূলত: সেই স্পিরিট থেকে শাহবাগের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আর আপনারা সেই আন্দোলনকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক গেম, নাটক ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে জনগণের দাবিকে অবমূল্যায়ন এবং অপমান করলেন। তর্কের খাতিরে জামাত শিবিরকে নিয়ে যদি আওয়ামী লীগ আতাঁত করার পরিকল্পনা করেও থাকত, শাহবাগের আন্দোলন সেই কল্পিত আতাঁতকে প্রতিহত করেছে। শাহবাগের আন্দোলন বুঝিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগও তার পরবর্তী রাজনৈতিক সামনে পথচলায় আর কোনদিনই যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের সাথে কোনপ্রকার কোনপ্রকার সমঝোতা করার কল্পনাও করবে না। একটা বড় রাজনৈতিক দল হিসাবে যেই আন্দোলন আপনাদের করার কথা ছিল সেটা ছাত্র-যুব সমাজ করেছে। অন্তত: এইজন্য হলেও শাহবাগের আন্দোলনের প্রতি আপনাদের কৃতজ্ঞ প্রকাশ করা উচিৎ। আপনাদের রাজনৈতিক দৈলিয়াত্ব ঢাকতে গিয়ে জনগণের স্বতঃফুর্ত আন্দোলনের গায়ে নাস্তিকতার তকমা লাগিয়ে যুদ্ধাপরাধী সন্ত্রাসী মৌলবাদী খুনি নরঘাতক নরপিশাচ জামাত শিবিরের গুণকীর্তন গাইছেন ? ধিক ধিক শত সহস্র ধিক বিএনপির এই মীর জফরী রাজনীতিকে যারা ক্ষমতার জন্য প্রকাশ্যভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানের প্রেতাত্ম জামাত শিবিরকে সমর্থন করে। কিন্তু বিএনপি বোধহয় ক্ষমতার লোভে দিশেহারা হয়ে গেছে। বিএনপি মনে করছে কেবলমাত্র জামাত শিবিরের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা যাবে। ভুল ভুল এই ধারণা খুবই ভুল। আপনাদের এই ক্যালকুলেশনও করা প্রয়োজন বাংলাদেশে কত শতাংশ ভোটার ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী। আপনাদের নিজেদের এবং জামাত শিবিরের কট্টর সমর্থক ছাড়া ২০-৩০ বছর বয়সী ছাত্র-তরুন ও যুব সমাজের একটা ভোটও বিএনপি’র বাক্সে যাবে না। অধিকন্তু জামাত শিবিরের এই সন্ত্রাসী তান্ডবের ফলে এই দলের প্রকৃত চেহারা জনগণের নিকট পরিস্কার হয়ে গেছে। আমার দেশ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের মতো বেগম খালেদা জিয়াও ইসলাম ধর্ম ও নাস্তিকতার ধোয়া তুলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বানচান করতে চাইছেন। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ইতোমধ্যে বুঝে গেছে শাহবাগের আন্দোলন ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। এই যুদ্ধ দেশকে রাজাকারমুক্ত মীর জাফরমুক্ত শত্রুমুক্ত ৪১ বছরের কলঙ্কমুক্ত করার যুদ্ধ । শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দেশকে শত্রুমুক্ত ও রাজাকারমুক্ত করবই। এই হোক শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের দীপ্ত শপথ। বাংলাদেশে ’৫৭ পলাশীর মীর জাফরদের পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শুভ্র সরকার, জাপান ।
তেলাপোকা আর মীর জাফর যুগে যুগে কালে কালে থাকবেই।
দেখলেই ঝাড়ুর বাড়ি দিয়া ঠাণ্ডা করে দিতে হবে।
ভারো বলছেন
মন্তব্য করুন