খসড়া
ইদানিং ঢাকাতেও খসড়া সম্পর্ক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এটা পশ্চিমা সংস্কৃতি। ধীরে ধীরে পূর্বেও চলে এসেছে। প্রতিবেশি দেশে এটা খানিকটা বেশি বা আগে ওটা অনুকরণ শুরু হয়। এদেশে এজাতীয় সম্পর্কের অনুপ্রবেশ গণমাধ্যম এবং সাহিত্যর মাধ্যমে। আমরা স্যাটেলাইটে ভারতীয় চ্যানেল মনস্ক অনেকটাই। পত্রিকা বা সাহিত্যের স্বাদ পেতেও। এতে বিরোধ বা সংঘর্ষের কিছু নেই। কিন্তু কথা হলো এই মাধ্যম গুলো থেকে আমরা নেয়া বা অনুকরনের বেলাতে কোনটিকে বেছে নিচ্ছি। ঐ স্যাটেলাইট চ্যানেল বা সাহিত্যের মেধার ঘনত্ব বা উচ্চ মানের অবস্থান সেটা কি আমরা অনুসরন করতে পারছি? উত্তরটা যে ইতিবাচক নয়, এটাতো হলফ করেই বলা যায়। কিন্তু ঐ স্যাটেলাইট চ্যানেলের অনুকরণে পোশাক- পরিচ্ছদ পাল্টে ফেলছি দ্রুতই। এমনকি সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনেও, নিজেদের রেওয়াজটা সরিয়ে রেখে স্যাটেলাইট চ্যানেলের ধারাবাহিক গুলোর রেওয়াজকে গ্রহন করছি আনন্দ চিত্তে। বলে নেয়া ভাল প্রতিবেশি দেশের বাস্তব জীবন ধারা কিন্তু স্যাটেলাইট চ্যানেল গুলোতে অনুপস্থিত। ওখানে যা দেখানো হয় তার বেশিরভাগটাই আরোপিত। প্রতিবেশি দেশটা তার রাজ্য ভিত্তিক সংস্কৃতি আকড়ে আছে গর্বের সঙ্গেই।
পোশাক-পরিচ্ছদ ছাড়াও সম্পর্কের বন্ধন তৈরির বেলাতেও আমরা ঐ স্যাটেলাইট বা বায়োবীয় সংস্কৃতিকে অনুকরণ করছি বেশ দাপটের সংগেই। কিছুদিন আগেও সম্পর্ক ধরে বা টিকিয়ে রাখতে ছেলে- মেয়ে উভয়েই যতোটা ছাড় দিতো, ততোটা ছাড় এখন আর দিতে রাজি নয় উভয় পক্ষই। সম্পর্ক গড়ার বেলাতেও ভিত্তিটা মজবুত করার বেলাতে মনোযোগ কম,তাগিদ কম। সম্পর্ক তৈরি চলছে পর্যবেক্ষন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। পরিচয় হলো, কাটুক না কয়েকটি দিন। একটু চোখের আড়াল কিংবা ভুল বোঝাবুঝি। ব্যস বাদ। আবার নতুন কাউকে খোঁজা। এমনকি এক ছাদের নিচে থাকাতেও কোন দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি নেই। যতোদিন আকর্ষন আছে ততোদিন থাকা, ঘোর কেটে গেলেই টা-টা। এটা উভয় পক্ষ থেকেও হচ্ছে। খসড়া সম্পর্ক তৈরি করা এখন হালের ফ্যাশন!এতে সকল বয়সীরাই মেতে উঠছে। তবে এই ফ্যাশনটাও খসড়াই রয়ে যাবে। একসময় সবাইকে আবারো টেকসই সম্পর্ক গড়া ছাদঁনা তলাতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হবে। ঐ পর্যন্ত কিছু অস্থিরতা চারপাশকে বিব্রত করবে খানিকটা। সেটাকেও খসড়া হিসেবে দেখাই মঙ্গল।
হ, অনেক জ্ঞানী কথা কৈলেন। সবাই যদি আপনার মত করে বুঝতো !
এত্ত বুঝলেন ভাই। সব দোষ নন্দ ঘোষ সরি স্যাটেলাইটের।
হুম
আমার মনে হয় টিভিতে বেশি বেশি ইসলামি জীবন টাইপ প্রোগ্রাম দেয়া উচিত। মানুষের ধর্মে কর্মে মতি থাকবে, শয়তান আছর করতে পারবে না। গানের অনুষ্ঠান মানে তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ তুলে দিয়ে, আজানের অনুষ্ঠান দেয়া যেতে পারে, নাম হবে "মেশকে আম্বর"। কেরাত প্রতিযোগিতা হতে পারে, চলো যাই মদিনা টাইপ নাম হতে পারে।
ভাইজান কি বলেন?
হুম
লেখাটা ভালো লেগেছে।
লেখাটার সাথে পুরোপুরি একমত। এই অনুকরণ যে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে কোথায় নিয়ে যাবে তা ভাবলে মনে শঙ্কা জাগে।
মন্তব্য করুন