পেচ্ছাপেছি: ইহা কীভাবে খায়?
১. দুনিয়াতে দেখার মতো অনেক মজার জিনিস আছে- সমস্যা হইলো কোনটা মজার আর কোনটা অ-মজার সেইটা পার্থক্য করার ক্ষমতাটা সবার থাকে না। যানজটের কারণে আজকে যদি মধ্যবাড্ডা এলাকাটা বন্ধ করে দেয় সরকার বা সিটি করপোরেশন, তাহলে হয়তো অধিকাংশ মানুষ বিরক্ত হবে, কিন্তু আমার মজা পাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। কারণ আমাকে প্রতিদিন ঘণ্টাখানিক যানজট ঠেলে ওই এলাকাটা পার হতে হয়; দিন দিন বিরক্ত হতে হতে এখন এমন একটা স্যাচুরেশন পয়েন্টে পৌঁছে গেছি যে, মজা পাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। এই লেখায় যদি আপনারা কমেন্ট করেন, তাহলেও যেমন মজা পাবো, কোনো কমেন্ট না করলেও কিন্তু একইভাবে মজা পাবো! সুতরাং আপনি কমেন্ট করবেন কি করবেন না, সেইটা আপনার ভাবনা! আমার মজা পাওয়া থেকে আমাকে আপনি কোনোভাবেই বিরত রাখতে পারবেন না।
২. ভাবছি একটা তালিকা বানামু। কীসের তালিকা সেইটা অবশ্য ঠিক করি নাই; ঠিক করতেই হবে সেরকম দিব্যিও অবশ্য কেউ দেয় নাই। এই দুনিয়ায় তালিকার অভাব নাই, তার ভিড়ে নতুন তালিকা করলেও কারো কিছু যায় আসবে না; না করলেও কারো কিছু আসবে যাবে না। তারপরও ঠিক করেছি তালিকা একটা বানাবো। আপনারা অবশ্য বুদ্ধি-পরামর্শ দিতে পারেন, আমেরিকাবাসী কেউ থাকলে তার বুদ্ধিটা একটু বেশি গুরুত্ব দিয়া বিবেচনা করতাম, এই আর কি! সুতরাং তালিকা নিয়া যদি বুদ্ধি দিতেই হয়, আমেরিকানিবাসী ছাড়া অন্য কেউ চাইলে দিতে পারেন- কিন্তু নিমুই যে সেই গ্র্যান্টি দিতে পারি না।
৩. শিয়ালজানি খালের ওপর একটা বাঁশের বিরিজ ছিল। শিয়ালজানি খাল আইজকা মোটামুটি পুশকুনির সমান। তবে বাঁশের বদলে সেখানে ইট-সিমেন্ট দেয়া হইসে। সমস্যা ছিল- ছোটবেলায় এই্ বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে সাঁকো যতোটা দুলতো, তার চেয়ে বেশি কাঁপাকাপি করতো আমার নিজস্ব জন্মসূত্রে পাওয়া দুই ঠ্যাং- বুকের ভিতরের রক্তপাম্পের মধ্যে দুলুনি আরেকটু বেশি হতো কিনা আমার জানা নাই। ডরেভয়ে একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম এর পর থেকে বাজারে যেতে হলে একটু ঘুরে দৌলতপুর দিয়া যাবো, তারপরও এই ব্রিজ আর না! নিজেই ছুটি দিলাম নিজেরে, পরে যেটা হইলো কিছুদিন পর ইট-সিমেন্টের ব্রিজ হয়ে গেল। অবশ্য ঠিকাদার কখনো স্বীকার করে নাই যে, আমার ছুটির খবর শুনেই সে ব্রিজ বানানো শুরু করেছিল! সুতরাং আমি ছুটি নেই নাই, ছুটি নিয়েছিল রবীন্দ্রনাথের ফটিকবাবু।
৪. খাওয়া-দাওয়া নিয়ে যারা ব্লগ লিখেন, তাদের একজন কিংবদন্তী একসময় এই ব্লগে লিখতেন। সেই আমলে পেচ্ছাপেছি নিয়ে একটা কাণ্ড হতো, কিন্তু পেচ্ছাপেছি জিনিসটা কী আমি সেইটা এখনো ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারি নাই। আমি খাদ্যরসিক মানুষ, ধারণা পত্রিকার কলামগুলো খেতে সুস্বাদু বেশি। সুতরাং পেচ্ছাপেছি করতে করতে খাওয়া যায় কিনা, সেইটা আমার চিন্তার বিষয় না। আমার কথা হলো, এখন পেচ্ছাপেছি হয় না কেন? আপনারা যদি মনে করেন মধ্যরাতে পেচ্ছাপেছি করবেন, করেন- আমি না করবো না, অনুমতি লাগলে দিয়েই দিবো, কিন্তু পেচ্ছাপেছির টাকা কীভাবে যোগাড় করবেন, সেইটা আপনের চিন্তা! আমার প্রশ্ন- পেচ্ছাপেছি কীভাবে খায়?
এইভাবে (http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=205297&cid=3) কাতরস্বরে বুদ্ধি চাইলেও যদি না দেন তাইলে আপনার নিক বদলায়া রাখমু তানবীরা পাষাণী।
যান, কমেন্ট করলাম না!
এখন কন, তাইলে ক্যামনে মজা পাইলেন?
মজা আমি পামু, তা আপনারে কই বা না কই! পেচ্ছাপেছির মজা অন্যরকম!
ক্যান কইবেন না?! ইউ পম গানা?!
ম্যান ইউ আর ইটিং এবি!
আহারে সেই পেচ্ছাপেছি...
দিন গুলো মোর .... ... ... ভুইলা গেছি
আবার ইশ্টার্ট করেন...
কেউ নাই
...
উদরাজী ভাইরে ফেরত চাই
আপনার দাবি জাতীয় দাবিতে পরিণত হোক।
পেচ্ছাপেচ্ছি করছিলেন উদ্রাজি, স্যাতঁস্যাতেঁ হাল থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন মারজুক, আর করেছিলেন যা জেনেভা .।.।।। আহা, বাহবা বাহবা!
সরসিজ আলীম ????
একদেশে আছিলো এক পেচ্ছা, আরেক দেশে আছিলো এক পেচ্ছি। তো দুইজনে একদিন বিয়া কইরা ইস্টেটাস ঝাড়লো, আম্রা এখন পেচ্ছাপেচ্ছি। আমি এই গল্পই শুনছিলাম। এখন আপ্নে কইতেছেন এইটা নাকি খাদিও দ্রোবইয়। কেমনে কি?
আমি তো এই কাহিনী জানতাম না! জানবার লাইগাই তো এই পুস্ট!
তবে ভাইজান- তিনি কি পেচ্ছি নাকি পেছি?
পেচ্ছি কিনা পেছি সেইটা নিয়া একটা বিরাট আর্থসামাজিক গোলটেবিল বৈঠক ডাকা যাইতে পারে। যেইখানে চাইরকোনা এক টেবিলের আশেপাশে কিছু মানুষ বইসা আলুছানা কর্তে কর্তে হাপায়া যাইবো।
স্পন্সর করবো কিডা? অর্থমন্ত্রী তো দেশে নাই!
সেই পেচ্চাপেচ্চি খুউপ মিস করি। আরো কতজনরে যে মিস করি! কমু না নাম।
গৌতমদারেও কতদিন দেখি না!
একদিন দাওয়াত দেন। দাওয়াত দিলেই দেখতে পাবেন।
হাসেন ক্যান?
হাসলে হেলেথ জুশ থাকে
জুশ নাকি হেলথ ডিরিংক?
প্রশ্ন কমন পড়ে নাই। পেচ্ছাপেছিতে কঠিন প্রশ্ন করন যাইবো না।
তাও ঠিক
হ! লুকজনে বইলে পেচ্ছাপেচ্ছির লগে পরিচিত হইবো
লুকজনের কথারে সম্মান জানান, পেচ্ছাপেছি চালু রাখুন।
পোস্টু পড়ে তো মজাই পাইলাম! মাগার পেচ্ছাপেচ্ছির শানে নযুল কিতা ?

টুটুল ভাই, মেসবাহ ভাই, জয়িতা আপা, শুভ ভাই, জেবিন আপা, মাসুম ভাই ইত্যাদি সব পুরান পাবলিককে জিগান। আমি কিছু জানি না। ভাবছিলাম খাওয়াদাওয়ার কিছু একটা- কিন্তু এখনো তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না!
সবার আগে দর্কার সাহাদত উদরাজী ভাইজানরে...
অর্থনীতিতে বলে প্রয়োজনই যোগানের জননী।
সেইকালে উদ্রাজী কাকারে কিন্তু যোগান দিসিলেন থুক্কু জয়েন করাইছিলেন মেসবাহভাই!!
মেসবাহ ভাইরে জাতি স্মরণ করছে...
আহারে কি দিন আছিলো! পেচ্ছাপেচির জন্য অফিসে কুনু কাজ করা হইত না।হাসতে হাসতে একেকদিন অবস্থা কাহিল। মুখে ওড়না চেপে ধরে বসে থাকতাম যাতে লোকজন না দেখে যে আমি হাসতেছি।
সেই দিন ফিরা চাই।
দিন গেলে দিন আর পাবে না
দিইন গেএলে দিন
দিন গেলে দিন আর পাবে না
ভাটা যদি লয় যৌবন...
আমার মনে আছে, সেই সময় জয়িতা নামে এক আপা দারুণ দারুণ কমেন্ট করতেন। জয়িতা আপা নাই, পেচ্ছাপেছিও মনে হয় শেষ!
আহারে মাইয়াডা কি মইরা গেছে?বড় ভালা মেয়ে আছিলো। কি দিনকাল আইলো,লুকজন চল্লিশারও দাওযাত দেয় না।
না মারা যায় নাই। উনার স্মৃতি ভ্রম ঘটছে। বন্ধুদেরকে ঠিকমতো চিনতে পারতেসে না। মনে হয় মাথায় শক্ত একটা
দিলে সমস্যা মিটে যাবে।
অাহারে!বেচারী।সর্কারের মত মাথাত দুষ???
কিরাম আছেন? আপনের কৃরবানী কপে?
শিশুদেরকে কৃরবানী দেয়া গুনা, আপনে কি জানেন না?
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা এই শিশুর অন্তরে
নেটের স্পীডের জন্য এক্টু পেচ্ছাপেছিও করতে পারতেছিনা। আফসুস।
দাওয়াত দিপ কেন আপনারে? আর ইউ পম গানা?
নু, আম গোয়িং গানা টু সি গানাং পিফল!
আম গোয়িং কেনু? গানার দেশে আমগাছ নাই?রাসেলরে বলেন রাজশাহী থেইকা আম নিয়া যাইতে। যদিও রাসেল তো এখন আর জীবিত নাই। আহারে! বড় ভালো পুলা আছিলো।
বুজেন্নাই? উনি আম গোয়িং দিয়া বুঝাইতে চাইছে উনি আম এক্সপোর্টিং টু গানা।
ও আইচ্ছা। আমি ডু নট আন্ডারইস্টেন্ড। আমার আন্ডারইস্টেন্ডিং এ এক্টু পবলেব আছে তাই এখন জলিল ভাই এর ইংলিশ শুনতেছি। কি যে কইতাছে বুঝতাছি না।
আপ্নে জংলিশ শিখছেন যে জলিল বাইয়ার জংলিশ বুজতে পারবাইন?
কিন্তু রাসেল ভাইয়ের কাহিনীটা কবে ঘটলো?
সেকি! মীর দেখি রাসেলের কাহিনি জানে না!!
সুনির্দিষ্ট কারনবশত আমরা রাসেলের বিয়েতে যেতে পারি নাই যদিও, কিন্তু আমাদের টান কি উপেক্ষা যোগ্য (কেবল আপ্নেই পারেন করতে আমাদের হেলা, তাই দেখি দেন না কোন বেলা!!) রাজনের বিয়েতে কবজি ডূবায়ে খাওনের সময় দেখি ঢাকায় পা রাখা মাত্রই রাসেল এসে হাজির সবার সাথে দেখা করতে!
রাসেলের আজকের অবস্থাঃ বিবাহোত্তর আপ্যায়নে জামাইবাবু পেরেশানিতে বড়োই জেরবার আছেন!
আপনারে আরেকটা দিলাম।
রাসেল ভাই, রাজন ভাই দুইজনকে কনগ্রাচুলেশন্স
এই খানে কিছু না কৈলে কিমুন জানি দেখায়
তাই নিয়া প্রস্ত্তত হও... মনে রাখবা, রক্ত... দুর যা কি কৈতে কি কৈতাছি...
আমার দোস্ত উদরাজী আছিলো এবিতে হিট লেখক। বিশেষ কৈরা সেই ডয গুলনাহার.... সেইটা ছিলো এবির স্মরণকালের সেরা লেখা... আলোচিত, সমালোচিত...
হের জনপ্রিয়তা দেইখ্যা কতিপয় লোক হেরে পঁচাইতে শুরু করলো। এরপর তারে ব্যান করা হৈলো... সেইটাও একটা ইতিহাস...
আমার সেই বন্ধু রাগে-দুঃখে-অপমানে এবি ছাড়লো... ছাড়লোতো ছাড়লো... নট কাম ব্যাক
আইজকা নেই উদরাজী বাঁইচ্যা (স্যরি এবিতে থাকলে) আমগো আনন্দের অভার হৈতো না। পেচ্ছাপেচ্ছির ও এত আকাল হৈতো না...
ভাইসব, আসেন আমরা এই অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারি মনোভাবের প্রতি তেব্র নিন্দা জানাই। আর কুশপুত্তলিকা দাহ করি... কার, সেইটা জানিনা... তবে যার যা আছে
বস... কুশ পুত্তলিকা কৈ পাওন যায়? বানানোতো ম্যালা হ্যাপা...
মেসবাহ ভাই পেচ্ছাপেছি করতে গিয়ে আওলাইয়া গেসেন...
এই ব্লগে জলিল ভাই ফ্যান কিলাব নাই। এই ব্লগে থাকুম না।
মডুর কাছে দাবি জানান।
হুম !!
(?)
মন্তব্য সহ পড়লাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন