বন্ধু আমার-২
কারিনার রুম থেকে বেরিয়ে স্বাতী একছুটে করিডোর টা পেরিয়ে - ড্রাইভ ওয়েতে নেমে এলো। একই কম্পাউন্ডের মধ্যে বেশ কয়েকটা এপার্টমেনট। হাতের বাম দিকের এপার্টমেন্টটায় ওদের এ্যানোনিমাস কাউন্সেলিং রুম, কিন্তু সংশ্লষ্ট ব্যাক্তিরা ছাড়া কেউ জানে না। এমন কি এপার্টমেন্টের বাসিন্দারাও না। খুব কঠিনভাবে এর গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।
এম্নিতে এপার্টমেন্টের বাযার আছে। কল বাটনে ২০৩ তিন চাপলেই, যে কোন কর্মী এসে খুলে দেয়। কিন্তু আজকের ব্যাপারটা ভিন্ন। আজকের সকালের শিফট টা ওরই। অন্য কেউ এ সময় থাকার কথা না।
কেউ না থাকলে, এপার্টমেন্টে ঢুকতে হয় অন্য ভাবে।
প্রথমে PCLL লেখা মেইল বক্স থেকে চাবিটা সন্তর্পণে বের করলো স্বাতী। তারপর দরোজার বটোম লকটাকে আনলক করল। আনলক করার পর, ১৫ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হয়- এই ১৫ মিনিটকেই ওর কাছে ১৫ দিন মনে হচ্ছে।
কুট করে একটা নরম শব্দ কানে যেতেই, প্রাণ ফিরে পেল সে। এবার ডোর নবের কম্বিনেশন লকটাকে একবার ডানে এবং দুবার বামে ঘুরিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যা মিলিয়ে তবেই ঢোকা সম্ভব। কাজটা করতে গিয়ে স্বাতী দেখলো তার হাতটা অল্প অল্প কাঁপছে। দুচোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর আলতো করে দরোজাটা খুলে যায়, জুতো জোড়া হাতে নিয়ে নিঃশব্দে উপরে উঠে গেলো স্বাতী।
স্টাফ রুমের সামনে এসে বিশেষ উপায়ে আবার একটা লক খুলে, ঘরে ঢুকলো। প্রথম দুটো রুম দেখলে কেউই বুঝতে পারবে না যে, ভেতরে সুসজ্জিত একটা আলাদা কক্ষ আছে। যেখান থেকে ফোন এ্যাটেন্ড করা হয়।
ফোন রুমে ঢুকে, স্বাতী প্রথমে নিজেকে ১০ মিনিট সময় দিল। নিজেকে একটু সামলে নিয়ে কাউন্সেলর ৫৩৮ কে ফোন দিল। প্রত্যেক কাউন্সেলর এর েকটা করে কোড নাম্বার আছে। ৫৩৮ কাছ থেকে একটা বিশেষ ফাইল এর পাসওয়ার্ড স্বাতী চেয়ে নিল। প্রতি শিফটে কাউন্সেলর চেঞ্জ হয়, সব কলারের কথাই সব কাউন্সেলর রা পালা করে জানে। শুধু এই ফাইলটার কথা কারিনা কেন তাকে জানতে দেয়নি, স্বাতী তা ভেবে পেল না।
স্বাতীর নিজেকে প্রচন্ড অসহায় মনে হচ্ছে.............
কম্পিউটারের কিবোর্ডে ঝড় তুলছে স্বাতীর আঙ্গুল, আর সেই সাথে ঝড় বইছে তার মনেও। বিজয় এখন কেমন আছে? মরে যায়নি তো?
কোন বাঙ্গালীকেও স্বাতী ফোন করতে পারছে না।
এখানকার বাঙ্গালীরা মুখ ফুটে কিছু না বললেও স্বাতী কে যে খুব একটা পছন্দ করে না। তার চলাফেরায় যে কেউ সন্তুষ্ট নয়, স্বাতী সেটা হলফ করে বলতে পারে। মহিলা মহলে প্রায় তাকে নিয়ে আলোচনা হয়, সেটা তার কানেও আসে। কোন পার্টিতে গেলে ঘুরে ফিরে সবাই তার অতীত জানতে চায়, এতদিন কেন একা আছে, সে সব খঁুটিনাটি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
আর তাকে আর বিজয়কে নিয়ে এখানকার বাঙ্গালীরা রসিকতা করতে মোটেও পিছোপা হয় না। সেই জন্য ইদানীং সে বাঙ্গালী কমিউনিটিকে এড়িয়ে চলে। মাস ছয়েকের মত যোগাযোগ নেই তার বিজয়ের সাথেও।
স্বাতী যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তার ক্যাম্পাসটা ততটা বড় নয়। আর সেখানে বাঙ্গালী যে ক'জন ছাত্র ছাত্রী আছে, মোটামুটি সবাই সবাইকে চেনে। সরাসরি পরিচয় না থাকলেও, ইউনিভার্সিটিতে বাঙ্গালী ছাত্র-ছাত্রীদের একটা ওয়েব সাইট আছে, সেখানে সবার ইনফর্মেশন দেয়া আছে। সেখান থেকে সবাই সবার তথ্য জেনে যায়। বিজয় সেদিক থেকে একটু অন্যরকম। তার কোন তথ্য ঐ সাইটে দেয়া নেই। সে নাকি মেম্বার নয়। হয়তো হতে চায়নি। এটা অনেক পরে স্বাতী জানতে পেরেছিল।
স্বাতীর সাথে বিজয়ের সাথে পরিচয়টা হয় একটু অন্যভাবে।
২
হেমন্তের কোন এক পাতা ঝরা সন্ধ্যায়, নিঃসঙ্গ একাকী একটা ছেলে বিষন্ন হয়ে বসেছিল আটর্স বিল্ডিং এর মাঠের একটা বেঞ্চিতে-- তখন অন্ধকারটা কেবলই ঘন হচ্ছে চারিদিকে। পায়ে হাঁটা পথ টুকুতে কেমন আবছায়া ভাব। বাতাসে কুয়াশার বাদামী রং এর ঘের।
স্বাতী ক্লাস করে ফিরছে-- হঠাৎ স্বাতীকে দেখে ভূত দেখার মত চমকে উঠল, ছেলেটা।
স্লামালেকুম আপু্। যেন স্বাতী আসবে সে জানতই। যেন স্বাতীকে সালাম না দেওয়াটা খুবই অপরাধের কাজ। যেন স্বাতী ছেলেটার যে ভাবেই হোক ধ্যন ভঙ্গ করেছে।
-আপনি বাংলাদেশী? স্বাতী অবাক হয়ে প্রশ্ন করে। ছেলেটাকে স্বাতী আগে কখনই দেখেনি। আসলে পি এইচ ডি শেষ সময় কাটে গুলো খুব ব্যস্ততা আর টেনশনে। অন্য দিকে মনযোগ দেবার কোন অবকাশই থাকেনা।
আমাকে তুমি করে বলবেন। আমি আপনাকে চিনি। আপনিও আমাকে দেখেছেন কিন্তু পরিচয় হয়নি।
ছেলেটার কথা বলার ধরণে কোথায় যেন একটা আন্তরিকতা ছিল। মুখটায় মায়া মায়া ভাব। সেই সন্ধ্যায় স্বাতীর মনে হয়েছিল-- খুব চেনা একজন কেউ দাঁড়িয়ে আছে।
তুমি এখানে একা বসে কি করছিলে?
দেখুন চারিদিকটা কত সুন্দর লাগছে। দেখুন ম্যাপল ট্রী গুলো কি চমৎকার কমলা আর খয়েরী রং এ ছেয়ে গেছে।
-স্বাতী মনে মনে ছেলেটির তারিফ করে। বাহ! বেশ সপ্রতিভ তো। ছেলেরা সাধারণতঃ গুছিয়ে কথা বলতে পারে না। এ ছেলে কবিতার মত করে কথা বলছে।
হুম। নাম কি তোমার?
বিজয়।
-তুমি বুঝি প্রকৃতি খুব ভালো বাসো?
পায়ে পায়ে ততক্ষণে ওরা অনেকটা পথ চলে এসেছে।স্বাতী শুনল- ছেলেটাও এখানে পি এইচ ডি করতে এসেছে। বছরখানেক পরে ওর পি এইচ ডি শেষ হবে।
-বিজয় আমার একটা জরুরী কাজ আছে, আমি আজকে যাব। কথার এক ফাঁকে স্বাতী জানিয়ে দেয়।
বাই দ্যা ওয়ে.... তুমি কি আমার নাম জান?
সে খুব গভীর আর গাঢ় গলায় বলে, আপনি স্বাতী।
সেই শুরু। বিজয়ের সাথে বন্ধুত্ব হতে খুব বেশী সময় লাগেনি খানিকটা নিঃসঙ্গ স্বাতীর। শুধু স্বাতীর প্রতিদিনের রুটিনে নয়, তার ভার্চুয়াল জগতেও ছিল বিজয়ের অবাধ যাতায়ত। ব্যাস্ততার কারণে দেখা হত না দুজনের বেশী । কিন্তু প্রায় দুজন গল্প করে কাটিয়ে দিত সারা রাত। কখনও টেলিফোনে আবার কখনও ফেইসবুকে।
এই দূর প্রবাসেও বাঙ্গালীরা তাদের খঁটি বাঙ্গালী মানসিকতা থেকে খুব একটা সরে আসতে পারেন না। সোজা কথায় বল্লে--"বেশীর ভাগ বাঙ্গালীরা চাঁদে গেলেও সনাতন বাঙ্গালীই থেকে যান, ঠিক মানুষ হয়ে উঠতে পারেন না।" তাই নিজের পরিচিত মানুষ-জন থেকে যখন স্বাতী নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছিল, ঠিক তখুনি স্বাতী বিজয়কে খুঁজে পেল যার পরচর্চা নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। বিদেশে যারা পড়াশুনা করতে আসেন, তাদের বেশীর ভাগ মানুষই তার নিজস্ব পড়াশুনার গন্ডির বাইরে তেমন কিছু ভাবতে চান না বা হয়তো সময় ও পান না।
কিন্তু বিজয়ের সাথে স্বাতী যে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারত। সাহিত্য সংস্কৃতি, ধর্ম, দেশাত্ববোধ, রাজনীতি, খেলাধুলা সব কিছুতেই ওর সমান আগ্রহ। স্বাতীর বেশ লাগত।
তারপর কি যে হল------------------------
স্বাতী আবার বাস্তবে ফিরে আসে। বিজয়ের ফাইলটা পড়তে পড়তে স্বাতী একা একা অন্ধকার ঘরে নিঃশব্দে কাঁদে। ফাইলটা বেশ কয়েকবার পড়ে তথ্যগুলো নিজের মনে গেঁথে নেয়।
তারপর কারিনাকে ফোন করে, ছুটি নেয়। পরবর্তী ১ ঘন্টায় কাউন্সেলর রবার্ট কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে-ভীষন ক্লান্তি নিয়ে স্বাতী বাড়ি ফেরে।
বাড়িতে ফিরেই অনুভব করে, যে ভাবেই হোক-বিজয়কে দেখতে যেতে হবে।
স্বাতী একটা শাড়ি পরে। কালো জমিনে সিলভারের কাজ। কান্না লুকিয়ে চোখে কাজল আঁকে। ফাউন্ডেশনে ঢাকে, হতাশা আর ক্লান্তি।
তারপর ঘর থেকে বেরুবার মুখেই, হঠাত কলিং বেল শুনে থমকে যায়।
কে হতে পারে? স্বাতীর কাছে সাধারণতঃ কেউ আসেনা। এই অসময়ে তো নয়ই।
কে এলো?
অনেকসময় এমন হয়... একদমই অন্যক্ষেত্রের কারো সাথে এতো এতো কথা বলা যায়... পরিচিত অন্যদের সাথে হয়তো বলার সময় সেগুলোকে বলার মতোই কিছু লাগে না ... কিন্তু সেইজনের সাথে তুচ্ছ সব কথাই বলতে বলতে অনেক কিছু বলা হয়ে যায়... তাতে এসে যায় জীবনের মূল্যবান ব্যাপারগুলোও...
মজা লাগলো, প্রথমটা শেষ করতে না করতেই পেয়ে গেলাম ২য় পর্বটা... :) গল্পটা দারুন একটা জায়গায় এনে শেষ করেছেন... তাতে পরবর্তীটা পড়ার আগ্রহটা টিকে থাকছে অটুটভাবে...
সত্যি জেবীন, অনভিজ্ঞতার কারনে, আপনার মন্তব্যের জাবাব সময়মত দিতে পারিনি বলে, দুঃখিত।
কিন্তু আপনার মন্তব্য পড়ে আমি রিতীমত বিনীত বোধ করছি।
বাহ, দারুন লাগলো, পরের পর্ব শনিবার?
হুম দেখি, একটু ভেবে তো লিখতে হবে নাকি?
ভালো থাকুন নীড় দা।
এবারে আর কোন বিভ্রাটের কথা বলছিনা । সময় হলে নিজে একবার পড়বেন । ভাল হচ্ছে । অধীর আগ্রহে বাকীটা জানবার জন্য অপেক্ষায় রইলাম । ও হ্যা, 'এ্যানোনিমাস কাউন্সেলিং রুম'টা কি একটু জানাবেন ?
ধন্যবাদ নাজমুল ভাই, আপনাদের এমন উতসাহে আমি বিনীত।
উন্নত বিশ্বের প্রায় সব দেশেই টেলিফোন কাউন্সেলিংটা বেশ জনপ্রিয়। এই ধরণের কাজগুলো সাধারণঃত কোন এনজিও প্রতিষ্ঠান করে থাকে। তাদের অনেক কাজের মধ্যে একটা ফ্রী সার্ভিস হল টেলিফোন কাউন্সেলিং। মানুষ তাদের খুব গোপন দুঃখ গুলো খুব গোপনে কারো সাথে শেয়ার করে ভালো থাকবে, এটাই এই কাজের মূল লক্ষ্য। তো যে রুম থেকে টেলিফোন ধরা হয়, সেই মূল রুমটাকে এ্যানোনিমাস রাখা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে, ক্লায়েন্টের বিশ্বস্ততা অর্জনের স্বার্থে।
গুড জব শাপলা আপু।
পরের পর্ব কাল দিয়েন।
দেব রে দাদা দেব। সত্যি ভালো লেগেছে?
অবশ্যই ভালো লেগেছে।অনেকদিন পর কেও আমারে দাদা বলে ডাকলো।মনটা ভরে গেলো আপু।
ভালো থাকবেন আর দোয়া করবেন আমার জন্য।
সুন্দর, চমৎকার। কিন্তু বইনগো, একই দিনে দুইটা পোস্ট (তাও ঘন্টাখানেকের ব্যবধানে...) না দিয়া এক পর্বে লেখলেই পারতেন (এট্টু বড় হৈলেও খারাপ লাগতো না) !!
নাকী মিছা কৈলাম
না, মেযবাহ ভাই, ঘন্টা কানেকের ব্যবধানে দেই নাই তো, প্রথম পর্বটা পোষ্ট করেছিলাম, এখানের সকাল ৬ টায় মানে বাংলাদেশ সময় ভোর তিনটায়। সারাদিন অপেক্ষা করলাম, দেখি কেউ কোন মন্তব্য করে না। মন টা খারাপ হয়ে গেল।
এদিকে ভাবনা গুলো মাথার মধ্যে কিলবিল করছিল। যদি ভুলে যাই, যদি আর সময় করতে না পারি, যদি লিখতে ইচ্ছা না হয়, এসব ভেবে দিয়ে দিলাম।
কিন্তু দেবার পর মনে হচ্ছিল আরও পরে দিলেও পারতাম। পরের পর্বটা দিয়েছি এখানকার রাত ৯ টায়।
ভালো থাকুন। ১৮ তারিখ দেশে যাচ্ছি।
কতদিন থাকবেন দেশে??
২১ দিন। জানুয়ারীর ৯ এ ফিরবো।
পিকনিকে যাইবেন্না, জাতীয় ফুল আপা ?
আহরে আপু এমন একটা জায়গায় পর্বটা শেষ হইল..!!পরেরটার জন্য অপেক্ষাইতেছি...
আরিগাতো নে।
"আরিগাতো নে।" বুঝতে পারলাম না ।
আরিগাতো মানে হল ধন্যবাদ।
আরিগাতো ।
দো ইতাশি মাশিতে মানে you are welcome.
শাপলু আমাদের লক্ষী মেয়ে, বেশিক্ষন অপেক্ষা না করিয়ে তাড়াতাড়ি পরের পর্ব ও ছেড়ে দাও।
স্বাতী আপনার কথা না রেখে কি পারি?

চুপচাপ পড়ে গেলাম।
আপনার এই চুপচাপ বলে যাওয়াটা আমি খুব এনজয় করি।
পড়ে গেলাম মুগ্ধ হলাম, এবং আপেক্ষায় থাকলাম...।
ধন্যবাদ ঈশান। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দুটো পর্ব একসাথে পড়ে নিলাম। চলুক, কলিং বেল চাপলো কে? বিজয় নাকি!
ধন্যবাদ লীনা।
দেখা যাক, দরোজার ওপাশে কে?
আপনে এইবারও বেকায়দা জায়গায় আটকাইয়া দিছেন
এমনটা দেখতাম দস্যু বনহুরের সিরজ পরার সময়... এমন জায়গায় শেষ হতো যে পরবর্তী পর্বের আগে শান্তি মিলতো না
...
ধইন্যা
পিকনিকে যাইবেন্নি? যদি ঢাকায় থাকেন
টুটুল ভাই, এমন করে বল্লেন- যে লজ্জায় পড়ে গেলাম। আমি কি আর এত ভালো লিখি?
সেই জন্যই তো মনের দুঃখে নিজের মাথার চুল ছিঁড়লাম, কারণ দেশে যাব কিন্তু ২৪ তারিখে ঢাকায় থাকতে পারবো না কোনভাবেই। পিকনিক মানে আপনাদের দেখার বড় শখ ছিল।
টেনশন, টেনশন...
আমি বিনীত।
চমৎকার হয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষা।
ধন্যবাদ রায়হান ভাই। লিখবো তাড়াতাড়ি।
ভাল লিখেছেন।
ধন্যবাদ হালিম।
পরবর্তী ককটেলটা কখন কবে ছুড়ছেন?
ছুঁড়েছি কিন্তু ককটেলটা, আপনি এখনও পড়েননি কিন্তু।
আর এটা পরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আবার জিগায় .।ভাল না লাগ্লে পরের পর্ব ছাইতাম না
।ধইন্য|বাদ তয় কেডা আইলো গো আফা। পরের পর্ব ছারেন জলদি।
ধন্যবাদ নীড় দা। আমি বিনীত।
দস্যু বনহুর টাইপ শুরু করছেন। ক্লাইমেক্সে আইসা লেখা শেষ?
বস, আপনার কমেন্ট পেয়ে রিতীমত গর্বিত।
মারছে!
ফ্লাশ ব্যাক আবার বর্তমান মিলাইয়া মিশাইয়া দারুন রান্না করতাছেন দেখি!!!
জনগনের উৎসাহ তুমুলে উঠবে!
বার বার চেক করতে হবে, পরের পর্ব দিলেন কিনা!
শাব্বাশ!
হন্তনি আরিগাতো বিলাই, আমি তো এমন মন্তব্য পেয়ে পাঙ্খা মেইলা উড়তাছি।
মন্তব্য করুন