আজকে প্রথম আলোতে মোস্তফা জব্বার ভার্সেস মেহেদী হাসান এর বক্তব্য পড়লাম।
মোস্তফা জব্বারের বক্তব্যের পর আমাদের এখন অভ্র বাদ দিয়ে ইউনিজয়ের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। এমনকি অভ্র-টিমেরও তাই করা উচিৎ। মোস্তফা জব্বারের ৮ই এপ্রিলের মিথ্যাচারের পর ইউএনডিপি সহ নির্বাচন কমিশন এগুলোর আসে-পাশে-সাথেও দাঁড়ানো উচিৎ ছিল, কিন্তু ওই অংশটুকু আমরা এড়ায় গেছি।
প্রথমত, অভ্র টিমের ব্যাখ্যাগুলো আরো বেশী টেকি ফোকাসড হওয়া দরকার। এতে মোস্তফা জব্বার কর্তৃক পরে কোন লিগ্যাল স্টেপ এর আশংকা থাকলে অভ্র টিম আইনি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবে। ফেসবুক-ব্লগ বিপ্লব দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই অংশটা হয়ত দ্বিতীয় ধাপে আসতে পারে।
অভ্র টিমকে মনে রাখতে হবে, অভ্রের জনপ্রিয়তা এখনো মূলত ভার্চ্যুয়্যাল দুনিয়া কেন্দ্রীক। এমনকি এটা আমরা যারা ফেসবুকে-ব্লগে অভ্র বিপ্লব ঘটাচ্ছি তাদেরও বোঝা দরকার। বিজয় ওয়াজ ওয়ান অফ দ্য বিগিনার্স এন্ড অভ্র ইজ নট দ্য এন্ড।
ওমনিক্রনল্যাব তাদের সাইটে অভ্র'র ফিচার নিয়ে বলতে গিয়ে এটা জানিয়েছে --
"Keyboard layouts those are added with the current release are - UniBjoy (99% match with popular Bijoy keyboard layout) ..."
যেহেতু অভ্র বলেই দিচ্ছে, অভ্র ইউনিজয় বেজড, ইউনিজয় ৯৯% বিজয় এর আদল ফলে অভ্র-টিম এখন যে যুক্তিটি দিচ্ছে, যে একটি কী এর পার্থক্যই একটি নতুন লেআউটের জন্ম দেয়, এ ব্যাপারে তাদের আরো উদাহরণ এবং আরেকটু বিস্তারিত বর্ণনা করলে তবেই হয়ত তা মোস্তফা জব্বারকে থামাতে পারে ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে আসলে টেকি-লড়াইটা অভ্র-কেন্দ্রীক কোনভাবেই নয়, বরং ভেতরে গিয়ে ইউনিজয় কেন্দ্রীক। ইউনিজয় অবশ্য তাদের সাইটে অনেক আগেই লিখে রেখেছে - "We have no affiliation with Mr. Jabbar or with Ananda Computers."
নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে মোস্তফা জব্বারের উষ্মা অনেক পুরনো, ২০০৮ সালেও তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল নির্বাচন কমিশন তাদের ১০ হাজার ল্যাপটপে তাঁর অনুমতি ছাড়া বিজয় ব্যবহার করছে। এ প্রসংগে তখন তিনি বলেন,
"I don't seek any royalty from the election commission. I just want to get official acknowledgment from the government,"
এখন যে অভ্র-কেন্দ্রীক উন্মাদনা হচ্ছে তা না হয়ে খুব ভাল একটা বিতর্ক হতে পারতো, যেখানে মুক্ত সফটওয়্যার, বাংলা কী-বোর্ড লেআউটের পেটেন্ট প্রয়োজনীয়তা/অপ্রয়োজনীয়তা/, পেটেন্টের উপকার/অপকার, ফ্রি-ওয়্যার হলে আইটি ইউজারের লাভ এবং বিপরীতে আইটি ব্যবসায় অ-লাভ এবং অতঃপর পাইরেটেড নিয়ে আমাদের আইন নিয়ে জমজমাট আলোচনা হতে পারতো....কিন্তু বিষয়টা ওরকম হচ্ছে না !
>>> আমরা বন্ধুতে এটা আমার পুত্তুম কমেন্ট , অতিথি হিসেবে
"আমরা বন্ধু" ব্লগে প্রকাশিত লেখা ও মন্তব্যের দায় একান্তই সংশ্লিষ্ট লেখক বা মন্তব্যকারীর, ব্লগ কর্তৃপক্ষকে এজন্য কোনভাবেই দায়ী করা যাবে না।
পোস্ট প্রদান কারী ব্লগার এবং মন্তব্য প্রদান কারী ব্লগারের পোস্টে অথবা প্রোফাইলে পরিষ্কারভাবে লাইসেন্স প্রসঙ্গে কোন উল্লেখ না থাকলে স্ব-স্ব পোস্টের এবং মন্তব্যের সর্বস্বত্ব সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট ব্লগারের বা মন্তব্য প্রদানকারী ব্লগার কর্তৃক সংরক্ষিত থাকবে। ব্লগার অথবা মন্তব্য প্রদানকারী ব্লগার/অতিথি ব্লগারের অনুমতি ব্যতিরেকে পোস্টের অথবা মন্তব্যের আংশিক বা পূর্ণ অংশ কোন ধরনের মিডিয়ায় পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।
কপিরাইট (c) ২০১১ - ২০১২২ | আমরা ব্ন্ধু ডট কম
আজকে প্রথম আলোতে মোস্তফা জব্বার ভার্সেস মেহেদী হাসান এর বক্তব্য পড়লাম।
মোস্তফা জব্বারের বক্তব্যের পর আমাদের এখন অভ্র বাদ দিয়ে ইউনিজয়ের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। এমনকি অভ্র-টিমেরও তাই করা উচিৎ। মোস্তফা জব্বারের ৮ই এপ্রিলের মিথ্যাচারের পর ইউএনডিপি সহ নির্বাচন কমিশন এগুলোর আসে-পাশে-সাথেও দাঁড়ানো উচিৎ ছিল, কিন্তু ওই অংশটুকু আমরা এড়ায় গেছি।
প্রথমত, অভ্র টিমের ব্যাখ্যাগুলো আরো বেশী টেকি ফোকাসড হওয়া দরকার। এতে মোস্তফা জব্বার কর্তৃক পরে কোন লিগ্যাল স্টেপ এর আশংকা থাকলে অভ্র টিম আইনি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবে। ফেসবুক-ব্লগ বিপ্লব দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই অংশটা হয়ত দ্বিতীয় ধাপে আসতে পারে।
অভ্র টিমকে মনে রাখতে হবে, অভ্রের জনপ্রিয়তা এখনো মূলত ভার্চ্যুয়্যাল দুনিয়া কেন্দ্রীক। এমনকি এটা আমরা যারা ফেসবুকে-ব্লগে অভ্র বিপ্লব ঘটাচ্ছি তাদেরও বোঝা দরকার। বিজয় ওয়াজ ওয়ান অফ দ্য বিগিনার্স এন্ড অভ্র ইজ নট দ্য এন্ড।
ওমনিক্রনল্যাব তাদের সাইটে অভ্র'র ফিচার নিয়ে বলতে গিয়ে এটা জানিয়েছে --
"Keyboard layouts those are added with the current release are - UniBjoy (99% match with popular Bijoy keyboard layout) ..."
যেহেতু অভ্র বলেই দিচ্ছে, অভ্র ইউনিজয় বেজড, ইউনিজয় ৯৯% বিজয় এর আদল ফলে অভ্র-টিম এখন যে যুক্তিটি দিচ্ছে, যে একটি কী এর পার্থক্যই একটি নতুন লেআউটের জন্ম দেয়, এ ব্যাপারে তাদের আরো উদাহরণ এবং আরেকটু বিস্তারিত বর্ণনা করলে তবেই হয়ত তা মোস্তফা জব্বারকে থামাতে পারে ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে আসলে টেকি-লড়াইটা অভ্র-কেন্দ্রীক কোনভাবেই নয়, বরং ভেতরে গিয়ে ইউনিজয় কেন্দ্রীক। ইউনিজয় অবশ্য তাদের সাইটে অনেক আগেই লিখে রেখেছে - "We have no affiliation with Mr. Jabbar or with Ananda Computers."
নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে মোস্তফা জব্বারের উষ্মা অনেক পুরনো, ২০০৮ সালেও তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল নির্বাচন কমিশন তাদের ১০ হাজার ল্যাপটপে তাঁর অনুমতি ছাড়া বিজয় ব্যবহার করছে। এ প্রসংগে তখন তিনি বলেন,
"I don't seek any royalty from the election commission. I just want to get official acknowledgment from the government,"
এখন যে অভ্র-কেন্দ্রীক উন্মাদনা হচ্ছে তা না হয়ে খুব ভাল একটা বিতর্ক হতে পারতো, যেখানে মুক্ত সফটওয়্যার, বাংলা কী-বোর্ড লেআউটের পেটেন্ট প্রয়োজনীয়তা/অপ্রয়োজনীয়তা/, পেটেন্টের উপকার/অপকার, ফ্রি-ওয়্যার হলে আইটি ইউজারের লাভ এবং বিপরীতে আইটি ব্যবসায় অ-লাভ এবং অতঃপর পাইরেটেড নিয়ে আমাদের আইন নিয়ে জমজমাট আলোচনা হতে পারতো....কিন্তু বিষয়টা ওরকম হচ্ছে না !
>>> আমরা বন্ধুতে এটা আমার পুত্তুম কমেন্ট , অতিথি হিসেবে