ইউজার লগইন

গ্রিফিন'এর ব্লগ

কুসংস্কার লইয়া ভাবনা চিন্তা-২

কুসংস্কারঃ- পরীক্ষা দিতে যাওনের আগে আণ্ডা খাওয়া বারণ, তাইলে নিকি পরীক্ষায় আণ্ডা পাওন লাগে।

সাম্ভাব্য ব্যাখ্যাঃ- আণ্ডার একটু গুরুপাক দোষ বা গুন, যেইটাই কন, আছে। মানে টাইমলি আণ্ডা হজম না হইলে প্যাটের ভিতর ভুটভুটায়। আবার লুজ মোশান শুরু হইয়া যাওয়াও অস্বাভাবিক কিছু না। আর পরীক্ষার হলে বইসা বারবার টাট্টিখানায় দৌড়াইলে সাধারণ ভাবেই আণ্ডা পাইয়া যাওনের চান্স থাকে।

কুসংস্কারঃ- রাইতের বেলা সুই / চুন বিক্রিতে অনিচ্ছা।

সাম্ভাব্য ব্যাখ্যাঃ- এইখানে মনেহয় নিরাপত্তার। স্পেসিফিক ভাবে কইতে গেলে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার কথাই চিন্তা করা হইছে।
যেই লোক সুই লইবো এক হইতে পারে সূক্ষ্ম জিনিস বইলা সেডি হারাইয়া যাওনের সম্ভাবনা থাকে, আবার এই জিনিস ভুইলা বিছানা বা পাটিতে ফালাইয়া থুইলে শরিলে বিঁধা আহত হওনের ব্যাপারটারেও ফালায়া দেওন যায় না।

কুসংস্কার লইয়া ভাবনা চিন্তা-১

আম্রা সবাই মোটামুটি বড় হইয়া উঠছি নানা রকম কুসংস্কাররে আশ-পাশে সঙ্গী কৈরা। ফলো করছি কিনা সেইটা মূল কথা না, মূল কথাটা হইলো আমাদের বাইড়া উঠনের একখান অইন্যতম অনুষঙ্গ আছিলো কুসংস্কার। ছোটকালে সেগুলারে লইয়া ভাবনা চিন্তা করতাম না, ময়-মুরুব্বিতে কইছে বইলা মাইনা নিতাম। এই বয়সে আইসা হাতে পায়ে কাজকাম কম থাক্লে এগ্লা নিয়া চিন্তা ভাবনা করনের চেষ্টা চালাই। সেইখান থিকাই আসলে এই লেখাটা আইছে। লেখার উদ্দেশ্য কুসংস্কার গুলারে সুসংস্কারে রূপান্তর বা অইরাম কিছু না, জাস্ট নিজের মনের ভিত্রের ভাবনা গুলারে শেয়ার করন।

কুসংস্কারঃ- ঘরের ভিতরে স্যান্ডেল বা জুতা উলটাইয়া থাক্লে ঝগড়া হয়।

রিকল অফ সাম মেমোরীস আফটার ম্যাট্রিক

ম্যাট্রিক থিওরি শেষ হইছে, প্রাক্টিকাল বাকি। এর ভিত্রে গেলাম বড় খালার বাড়ি বেড়াইতে। খালার বাড়ি সর্বহারা প্রধান এলাকায়। খালু সাবে আবার ওই গেরামের এক টাইমের জমিদারও আছিলো। খালতো ভাই-বইনগুলা সব আমার থিকা দশ বিশ বচ্ছরের বড়। মজার একটা হিসাব দেওন যায়, আমার আমার মা আর আমার বড় খালার বড় মাইয়া সেম বয়সের। যাই হউক। ঐ টাইমটা আছিলো গরমের টাইম। মজাসে আম-কাঁঠাল খাইতেছি, পুকুরে দাপাইতেছি, বিকালে ক্রিকেট খেলতে খেলতে দৌড় পাইড়া চইলা যাইতেছি পাশের আখের খেতে। সব হইতেছে আমার ভাইস্তা ভাতিঝাগো লগে। বড় ভাতিঝা সেই টাইমে নয়া নয়া বিয়া করছে, ছোটডি আমার এক ইয়ার জুনিয়ার। এই ভাতিঝাগো গেরাম সূত্রের ইয়ার-দোস্তগোর কাছেও আমি বাই ডিফল্ট চাচা হইয়া গেছি। বেশ জুয়ান জুয়ান পোলাপাইনে যখন চাচা-চাচা কইয়া ডাকে, শুনতে খুব একটা খারাপ ফিলিংস লাগেনা।

ব্যানার সমালোচনাঃ- যেদিন তর্জনি'র "যাদুকরি" ইশারাতে জেগে উঠেছিলো মানুষ, মুক্তির আস্বাদে

নিজের বাংলা গেয়ান লৈয়া খুব বেশি গর্ব করনের মতন কিছু নাই, হিন্দিও শুইনা বুঝি এরম।
এই গেয়ান লৈয়াই কিছু লেখনের টেরাই দিতেছি।

হিন্দিতেঃ-
আলাদীন কি পাস এক যাদুই চেরাগ থি.............
বা
ইস গাঁও মে এক যাদুগর রেহতা হ্যাঁয়, জিনকো পাস এক যাদুই জুতা হ্যাঁয়।
বা
উন আঁখোকি যাদুই ইশারেপে ম্যাঁয় ঘায়েল হুঁয়া........

বাংলাতেঃ-
ক্রিস এঙ্গেল বা ডেভিড ব্লেইনের থেকে আমার ডেভিড কপার ফিল্ডের যাদুই বেশি ভালো লাগে।
বা
যাদুর পেন্সিল, আআহা যাদুর পেন্সিল
থাকতো যদি এমন একটা যাদুর পেন্সিল।

হিন্দিতে যতবার যাদুই লিখছি, ততবারই কইলাম যাদুই এর মিনিং বাংলায় যাদুর অর্থ লয়।

যেরাম হিন্দি শব্দগুলারে বাংলায় কইতে গেলে আমি এমনে কমু যে

জীবনের শেষ শুকনা খাওয়া

নিরান্নব্বই সালের শ্যাষ সপ্তায় দুই দোস্ত মিল্যা ঠিক করলাম নয়া সেঞ্চুরিতে আর শুকনা ধরামু না। আরেক দোস্ত আছিলো খুলনাত, তারে দিয়া শুকনা আনাইলাম তিরিশ টেকার। সেই টাইমে তিরিশ টেকায় বহুতগুলা শুকনা পাওন যাইতো। যাই হউক, শুকনা সাইজ করনের দায়িত্ব পড়লো আমার উপরে। অইটাইমে শুকনা ভালোই সাইজ করতে পারতাম। তো আটানা দামের সান-মুন সিগ্রেটের সুকা ফালায়া দিয়া পুরা শুকনা দিয়া তিনটা লোড দিলাম। সান-মুন সিগ্রেটের ফিল্টার দামী সিগ্রেটের ফিল্টারের থাইকা ছোট আছিলো, যার লাইগা বেশি ধুমা ফিল্টার হইতোনা :হুক্কা:।