হুদাহুদাই (১)
কোন মহিলা প্রথম বিদেশযাত্রা নিয়ে ভ্রমণকাহিনী লিখেছিলেন? ঢাকার মেয়ে হরিপ্রভা মলি্লক। তিনি হরিপ্রভা তাকেদা হিসেবেই অধিক খ্যাতি অর্জন করেন। জাপানি যুবক উয়েমন তাকেদাকে বিয়ে করে মলি্লকের পরিবর্তে তাকেদা উপাধি পেয়েছিলেন। জাপান-যাত্রীর (১৯১৯) লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী হিসেবে ১৯১৬ সালে প্রথমবারের মতো জাপান ভ্রমণকালেই সৃষ্টি হয়েছিল অভূতপূর্ব এক আলোড়ন। আর হরিপ্রভা তাকেদা জাপান ভ্রমণের ওপর সেই বিখ্যাত বই 'বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা' লেখেন ১৯১৫ সালে। শুধু জাপান ভ্রমণ ও সে-সংক্রান্ত বই লিখেই উদারপন্থী হরিপ্রভা তাকেদা বসে থাকেননি। তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্যও অনেক দুঃসাহসিক ভূমিকা রেখেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি স্বামীসহ জাপানে ছিলেন। তখন সেখানে বিপ্লবী মহানায়ক রাসবিহারী বসু অবস্থান করছিলেন। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়ে ব্রিটিশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। মূলত সুভাষ চন্দ্র বসুর আহ্বানে হরিপ্রভা আজাদ হিন্দ ফৌজের পক্ষে প্রচার শুরু করেন। জাপান বেতার কেন্দ্রে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পক্ষে হরিপ্রভা বাংলা অনুষ্ঠান করেছিলেন। ঢাকার তৎকালীন খিলগাঁও গ্রামের একজন সাধারণ মেয়ে হয়ে তিনি জাপান জয় করতে পারলেও তাঁকে আজ ভুলতে বসেছে নিজ ভূমির মানুষ। তাঁর কোনো স্মৃতিচিহ্ন ঢাকার কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না।
হরিপ্রভার তো তাও বই আছে ইতিহাসে তার নামটা আছে। কিন্তু আরেক বাঙ্গালী মহিলার কথা জানা যায় এক ইংরেজের লেখায়। রাজা রামমোহন রায় যখন প্রথমবার বিলেত যান, তাঁর সাথে গিয়ে ছিল অনুচরদের এক বিরাট বাহিনী। বিলেতি অনেকেই তাঁর সাথে আলাপ করেছিলেন। এক আশ্চর্য তথ্য পাওয়া যায় এক ইংরেজের বিবরনে। তিনি রামমোহনের সাথে দেখা করতে গেলে রাজা তাঁর সাথে আলাপ করিয়ে দেন এক মুসলমান মহিলার। সেই মহিলা বিলিতি আদব কায়দা জানেন, কথা বলতে পারেন ইংরেজীতে। সাহেব বর্ণনা করেছেন "she appeared to be very close to him. বোঝাই যায় ইনি ছিলেন রাজার রক্ষিতা।” দুঃখজনকভাবে ওই মুসলিম বাঙ্গালী মহিলা যিনি কিনা বিলাতি আদব কায়দাতেও অভ্যস্ত ছিলেন নামটা জানা যায়নি। যদি সেই মহিলা কিছু লিখে যেতেন তবে তার চোখে দেখতে পেতাম আমরা বিলেতের সেই আমলের অন্যরকম এক চিত্র।
এতোকিছু পাকনামি তথ্য দিতে পারলাম আমাদের অদিতির সাথে নানান কথায় এইদু'জনের ব্যাপারে জানতে পেরে। এইবার নিজের কথা শুরু করি। দিন পনেরোর মতো হতে চললো দেশছাড়া। এটুকু পড়েই অনেকে ভাববেন, নতুন নতুন তাই দিনক্ষন গুনে চলছে, যাক ক'দিন কই ভেসে যাবে সব। কি জানি হয়তো তাই হবে, মনেই থাকবে না কিছু। তবে যতটুকু এদ্দিনে নিজেকে দেখলাম ছোট্টছোট্ট ব্যাপারও কমই ভুলে যাই, ক্ষনেক্ষনে অকারনেই কোন ছোট্ট মূহুর্তও আমাকে নিয়ে যায় কোন একটা স্মৃতির রাস্তায়, পাল্টাতে পারলে আসলেই ভালো।
৩০জুন বিকেলে পৌছালাম সিডনীতে, লম্বা জার্নি হলেও ঝামেলাবিহীন সময় কেটেছে। আসার আগে রায়হানভাই বলছিলেন, “এই যে, ঢাকার এখানে ওখানে চলতেও তোমার কারো সঙ্গ লাগে, এবার কি হবে তোমার?” আসলেই সেই আমিই যে কিনা ঢাকার বাইরেও একা যাইনি কখনো, দিব্যি চলে এলাম এখানে! না ভয়, না উত্তেজনা, না ভালোলাগা –- কিছুই লাগেনি, জাস্ট কিচ্ছু না! মূলকথা হলো, আমার বোধটাই বোধ করি মরে গেছে।
আমি ঘরের নাই কাজের কাজী তাই সবসময়ই বিজি! চলে আসার আগে এই শেষসময়েও এটা ওটা মুন্ডুমাথা ঠিক করতে করতে আত্নীয়স্বজন আর বন্ধুদের সাথে আয়োজন করে দেখা করা হয়নি। নিজের ফ্যামিলি ছাড়াও আমার আরেকটা ফ্যামিলি আছে, সেখানে আছে আমার ৩টা দুধভাইবোন, বাবা-মা। মজারই ব্যাপার, একবাসায় আমি ছোটমেয়ে হলেও অন্যবাসায় আমি বাড়ির বড়মেয়ে! করবো করবো করেও আমার সেই ফ্যামিলির সাথেও গিয়ে দেখা করিনি। এতোকিছুর মাঝেও এবি'র বন্ধুরা বাসায় বাসায় আয়োজন করছে! (যদিও আমাদের সুনাম আছে, আমরা টেবিলের তো বটেই হাড়িঁরগুলো শেষ করে ফ্রিজের খাবারেও হাত দিয়া আসি) বন্ধুদের কথা বাদ দেই, তাদের বাসার মানুষরা যেই আদর দেখাইছে, মুরাদ-টুটুলভাইয়ের মায়েরা জড়ায়ে ধরে মাথায় ফুঁ দিয়ে যখন দোয়া করে দেন যে, ''যেখানেই থাকো মানসম্মানের সাথে ভালো থেকো মা", এই কিছুই না নিজেকে তখন অনেক স্পেশাল মনে হয়!
''আদর ভালোবাসা কাজেই তো বুঝবে যে বুঝার মুখে বলতে হবে কেন'' – আমরা ভাইবোনগুলা এই মতে চলা একটু নিরামিষটাইপের। তাই কান্নাকাটি ছাড়াই ঘর ছেড়ে আসছি, একমাত্র আম্মা ছাড়া। তবে এই ভাইবোনগুলাই ফোন দিয়ে যেই ফোঁপানিটা দিছে কি আর বলি! এখন মজাই লাগছে ভাবতে আমার কুলভাব নেয়া বড়োভাইয়ের চেহারা কান্নার পর কেমন হইছিলো, আপুতো কাদঁলে পুরা ফকিরন্নী টাইপ লাগে আর পিঠাপিঠিটার কান্না সেটাও পচাঁ!
এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে কথা হলো রুনা আর সুমি নামের দু'জনের সাথে। তারা অনেকদিন যাবত আছেন অষ্ট্রেলিয়াতে একাই যাতায়াত করছেন অনেকবার। কথায় কথায় বেরুলো দু'জনের শ্বশুরবাড়ি একই বিল্ডিং-এ আবার তাদের শ্বশুররাও বন্ধু। আবার কাক্তালীয়ভাবে অষ্ট্রেলিয়াতে এই দু'জনই বিউটিফিকেশনের উপর কাজ করতে চায়/করছে। একজন বেড়াতে এসে নতুন যন্ত্রপাতি নিয়ে যাচ্ছেন ব্যাবসার জন্য আর অন্যাজন নতুন কোর্স করে যাচ্ছেন দেশ থেকে। রুনা মেয়েটা জাতীয়বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের টেষ্ট দিয়ে গেলো এবার আর সিডনীতে কোন ইউনিভার্সিটিতে অন্যকোর্সের সেকেন্ড সেমিষ্টারে ভর্তি হতে যাচ্ছে, সাথে চলছে তার পার্লারের কাজ করার চেষ্টা। অন্যদিকে সুমি মোটামুটি সেটেল্ড কাজে, তার বর ডাক্তার। ভবিষ্যতে দেশে এসে ডায়াগনোস্টিক সেন্টার চালু করার ইচ্ছে তাদের। অবাক হয়ে দেখলাম, আমার চিরায়ত অভ্যাস বকবকানি বাদ দিয়ে আমি দু'জনের কথা শুনছি। এত্তো ভদ্র কি করে হলাম আমি!
এইদিকে প্লেনের হাল 'ন'টার ট্রেন ক'টায় আসবো' টাইপ। ১.২০ এ প্লেন ছাড়ার কথা থাকলেও ১টার পর দেখা গেলো 'গেট' দেয়া হয়নি এই প্লেনের যাত্রীদের! এইসব বুঝবার কথা না আমার, বিমানে কাজ করা ভাইয়ের কল্যানে জানলাম। শুনেছিলাম এয়ারপোর্টে কত্তো ঝামেলা হয় প্রথমযাত্রায়, এটা ওটা কতো কি জিজ্ঞেস করে। ইউনিফর্মড হয়ে ভাই কাছেই ছিলো তাই আমি কিছুর সম্মুখিন হইনি, একবার কেবল ইমিগ্রেশন অফিসার বললেন, “ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে নিজের নামটা বলুন তো।'' কিন্তু এই অফিসারই কিছু আগে রুনাকে টানা ১৫মিনিট দাড়ঁ করিয়ে রেখে নানানটা জিজ্ঞেস করেছে, এমনকি এটাও যে, “আপনাকে তো বিবাহিত টাইপ লাগছে না! আসলেই” কি বিয়ে হয়েছে আপনার?!”
সব পার করে অপেক্ষায় আছিতো আছিই! এর মাঝে সব বন্ধুদের এসএমএস দিলাম, কথাতো কিছুই বলতে পারবো না তারচেয়ে যা বলার এভাবেই বলা শ্রেয়। ফাইনাল চেকিং-এ এক মহিলা জিজ্ঞেস করলো””, “সাথের স্যার কি হন আপনার?” যেই বললাম, “আপন ভাই আমার, বড়োভাই", শুনে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চেয়ে রইল! ছোট হয়েও আজীবন বড়োসুলভ আচরন করি যেটা ওর সবসময়ের অভিযোগ ছিলো, যা কিনা আমি থোড়াই কেয়ার করে চলেছি। হঠাৎ মন ভার হয়েছে এই ভেবে যে, এয়ারপোর্টে এসেও আমি ওর সাথে চোটপাট করেছি যা কিনা বাইরের মানুষেরও চোখে পড়েছে!
খামোখাই জানালার ধারের সিট নিয়েছিলাম, রাতের আধাঁরে কিছুই চোখে পড়ে না, কেবল কাচেঁ পড়া বৃষ্টির ফোটাঁগুলো ছাড়া। এইদিন সারাটাক্ষনই বৃষ্টি পড়েছে। কাদঁতে তো পারিনি, হাউমাউ করে যেটা করার কথা ছিলো, আমার হয়ে যেন প্রক্সি দিচ্ছিল আকাশটা সারাদিনই! প্লেনে বসার পরও বাসা থেকে ফোন আসছিলোই, কাউকে যে নিজে থেকে ফোন দিবো তার উপায় নাই, এইদিকে চার্জও প্রায় যায়যায়। এতোকিছুর মাঝেও অনেকদিন পর কথা হলো একজনের সাথে। সে অন্তত জানতে পারলো এখন পুরো শান্তিতে কাটবে ওর সময়, হঠাৎ কোথাও আমাকে দেখার আতংক ঘিরে থাকবে না ওকে! ওর সাথে এলোমেলো অনেক কথার মাঝেই এয়ারহোস্টেজ এসে ফোন অফ করতে হবে বলে পাশে দাঁড়িয়ে রইল!
মানুষ বিদেশ যায় ঠাটবাট নিয়ে ভাব ধরে, আর আমি রওনা দিলাম পুরা লঞ্চ থেকে ঢাকায় নতুন আসা স্টাইলে! ঘরে থাকা বাহারী নামের 'প্রেসিডেন্সী' সুটকেসের ওজনই প্রায় ৬কেজি বলে আমাকে দেয়া হলো প্যাচাঁনো চেইন খুলে বাড়িয়ে নেয়া কাপড়ের ব্যাগগুলো! ল্যাপটপের ব্যাগ আর আমার হ্যান্ডব্যাগটাই যা কিছু জাতের জিনিষ, নইলে আমার চেহারার মাঝেও খ্যাতভাব প্রকট আর শখের বশে নাক ফোড়াঁনোর কারনে তা আরো বেড়ে গেছে! যাক, ব্যাপার না, শখের দাম ম্যালা। হাবিজাবি সব পুরানো জিনিষপত্র নিয়ে যখন পোটলা বাধঁতে বসলাম ওয়েটের চিন্তা না করেই শুরু করেছিলাম। নির্ধারিত থাকে শুনেছি ২৫কেজি লাগেজ আর হ্যান্ডব্যাগ ৫কেজির মতো, ভাই সেটা করিয়ে এনেছিলো ৪০ আর ৭। কিন্তু বাধাঁছাদাঁর পর দেখা গেলো ৫৩ আর ৬ বানায়ে বসে আছি! এই দেখে ওর চিল্লানী - “শুরু করলি কি তুই! তোর নিজের সাইজের মাল নেয়ার প্ল্যান করলে প্লেন তো আর মাটি ছেড়ে উঠবে না রে!” যতোই চেচাঁক আমার কোনটা রেখে কোনটা নিবো হাল দেখে কমাতে দিলো না কিছুই। আর সেইসব পোটলাপুটলি নিয়ে দিলাম রওনা!
এই লেখাটার একটা শিরোনাম দিতে চাইলাম মজার, মাথায় কেবল আসছে মাসুমভাইয়ের পোষ্টের ''পাহারি'র পতে”'' ওলা দারুন সেই লাইন! চিন্তা করে এটার নাম দিলাম 'মা চলেচি আকাশের পতে, পিরে আসবোই আল্লাহর রহমতে'
এইবার একটা গান শুনেন।
নিজ[র প্রথম বিদেশ যাত্রার কথাটা বেশ স্পষ্টই মনে আছে। এয়ারপোর্টে সবার সামনে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদছিলাম। প্রথম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনও মনে পড়ে। একগাদা বন্ধু-বান্ধব এয়ারপোর্টের দরজায় অপেক্ষা করছিল। কতদিন হয়ে গেছে .... আজকাল বেশ শক্তপোক্ত হয়ে গেছি, আমি .... আমরা সবাই। একমাত্র মা ছাড়া আর কেউ কান্নাকাটি করে না। দেশে ফেরার সময়ও এয়ারপোর্টে ছোট ভাইটা ছাড়া আর কেউ অপেক্ষা করে না।
তুমি তো গেলা কুট্টিকালে আমি এই বুড়াকালে গেছি তাই মনে হয় কান্নাকাটি নাই!
একটা কথাই বলি
হ!
দুইটা অসাম লাইন। থ্যংকস্ ..
ভালো থাকবেন।
এটা লেখার আগে একটা বন্ধু যে কিনা দারুন ছড়া লেখে তারে এই কথাগুলা বলেছিলাম! লাইনটা শুনে ওরও একই রিএকশন হইছে! তাই আপনারটা পড়ে মজা লাগ্লো!
নিজের কিছু বয়ান না করলে কেম্নে বুঝমু?
আছো কেমন?
যেখানেই যাও, মনে রাইখো
গাছের জীবন লতাপাতা...............................
যেখানেই থাকো আনন্দে থাকো। চমৎকার একটা লাঞ্চ আর খাওয়া হবে না হয়তো তোমার সাথে, সো উই মিস ইউ।
তাতা'পু র লেখাটা মনে রাখছি!

আর লাঞ্চ আড্ডা সবকিছুতে - মিঠঠু! মিঠঠু!
দূরদেশে গেসেন।
আপু অলওয়েজ ভাল থাকবেন আর নিজের যত্ন নিবেন। 
ধন্যবাদ পড়ার জন্যে!
তুই ভেবে দেখ আর একজন বিখ্যাত কেউ তার বিদেশ যাত্রার কাহিনী লিখছে, তুই আর অদিতি তার নাম ভুলে গেছিস
মানু'র একথাটাই আসলে সত্য।
গাধী, ছেড়ে দিলে, সারাক্ষণ আতঙ্কে রেখে হার্ট এ্যটাক করালি কেন ঐটার
পার্টু টু তাড়াতাড়ি দিস। অহনার প্যারালাল হোক তোর অভিজ্ঞতা। পরে মিলিয়ে দেখবি
সত্যি কই, অহনার কথা লেখার মন ছিলো এইখানে, আপ্নে না আবার আইসা বলেন, "আমি কি মরছি নাকি যে ইতিহাসের পাতায় ঠাইঁ নিছি" এই ডরে লিখি নাই! আর জানেনই তো আমাদের এইখানে না মরার আগে কেউ মেধাবী গুনে গুনান্বিতা হইতে পারেনা!
মানু আমার দেখা, অল্পবয়েসে অনেক বুঝদার একটা মানুষ
পার্ট টু দিবো জলদিই, সেইম চ্যানেলে থাকেন সাথে!
অহনা অনেক পরিনত, অনেক অভিজ্ঞতালব্ধ কেউ। ওইটা আলাদা দারুন লেখা। এটা হুদাই যাচ্ছেতাই আমার কথা! প্যারালাল হবার প্রশ্নই আসে না! তা অহনার খবর নেই না ম্যালা দিন!
আহা! আহা! বেচারার রাত্রে ভাল ঘুম হইল। তোমারে ধইন্যাপাতা দিতে পারলাম না।
ভাল থেকো সব সময়।
আমারে ধইন্যাপাতা দেয়াতে কে বাধাঁ দিলো একবার খালি নামটা কন!

থ্যাঙ্কস আপু!
যাত্রাপতে অপরিচিত কারো দেয়া কিছু খাওনাই তো?

খাইছি!
পরে মনে হলো উচিত হয় নাই! সেইটাও ম্যলা প্যাচাইন্না কাহিনী! 
আর তাকেদার কাহিনী দিয়া কি বুঝাইতে চাইলা? তুমারো কি জাপানি কারো লগে পরিচয় হয়া গেছে

মাত্র ২দিনের বৈরাগী এখনই এইসব! আরেকটু বুঝি শুনি!
বন্ধুরা কইছেন, এখন যা করবা তাতে নিজের সময় দিবা জীবন না! তাই "তাকেদা" খুজাঁর ভাবে আর নাই! 
আরে আমি কি কৈছি তুমি "'তাকে'দা(হাতে লৈয়া)" খুজতেছো? ধুর ধুর... আমি গাই কি আর আমার সারিন্দায় বাজায় কি

গ্রামে একটা কথা আছে, পাগলা রে সাকোঁ নাড়াইতে কইস না!
তাকে-দা নিয়া খুজাঁর কথা কিন্তু আপ্নেই বললেন জনাব! 
মাননীয়া, আপনি তাহলে নিজেকে পাগোল বলিলেন? আমি ইচকিরিমশট লৈয়া রাখলাম
আপনেও তো লেখলেন অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের কথা, এখন কি দু:সাহসিক ভূমিকা রাখতে যাচ্ছেন...
এটা তো ভাল জ্বালা হইলো দেখছি! পোলাপানরে ইতিহাস জানাইতে গেছি কই তা নিয়া ভাব্বো, নাহ, শুরু করছে অন্যেরে খুচানি! আমি কোন ভ্রমন কাহিনী লেখার মধ্যে নাই, শুরু করছি নিজের প্যাচালি লেখা সেইটাও কি কম দুঃসাহসিক কাজ!
কি কয়
সত্যবচন! কমই কই!
ভুলে দিয়া দিছি এইখানে এখনতো ডিলিটেরও উপায় নাই! 
অসাধারণ একটা লেখা... অদিতিরে কিছুটা ধইন্যা দিও... অনেক অজানা তথ্যে পোস্ট সমৃদ্ধ..
মাসুম ভাইয়ের মত বলতে হয়... চমৎকার একটা লাঞ্চ আর হবে না
... তোমাকে আমরা মিস করবো আড্ডার আসরে... আবার আড্ডায় না আসার ফাকিবাজিতে... 
বন্ধু হারানোটা ব্যাপক ঝামেলার
অদিতি মেয়েটা এত্তো ইনফো কেম্নে যে মাথায় রাখে আসলেই অবাক লাগে! ওরে অনেক ধন্যবাদ
জেবীন, একটা কথা আমি খুব বিশ্বাস করি- বন্ধু কোনো কারণে হারালেও বন্ধুতা হারায় না...
তোমাকে মিস করবো, মিস....
বন্ধু কি হারায়? কতো ছোট্ট ছোট্ট মূহুর্ত নিয়ে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব! কিছুতেই কি তা বিলীন হয়! নাহ এটা আমার লাগে!
হ! মিস রে তো মিসই করবেন! 
এইটা কি আমারে মিন করলা? লাস্ট মোমেন্টে আমিও তো কল দিসিলাম! আমি কি কিছু এলোমেলো কথা কি কইছি? এলোমেলো নামক কি কথা হইলো সেইটাও বল।
বিস্তারিত কইরা পার্ট ২ লিখো।
যার যার ঢোল তবলা বাঁশী খন্জনী নিয়া সবাই বইসা পড়ুক।
ব্লগ মানেই বিনোদন।
মাথু তোমার এই এটিচিউডটা ভালো লাগলো না ।
লেখার কোথাও কিন্তু তোমার নাম উল্লেখ করা নাই।
কুল ডাউন, তুমি এলোমেলো কথা বলছো সেইটা তো লেখার কোথাও আসে নাই সো ঘাবড়াচ্ছো কেন এতো?
আমি যতটা বুঝছি , লেখিকারে যে ফোন দিছিলো তার সাথে লেখিকা অনেক এলোমেলো কথা কইছে, সেইটা বুঝাইতে চাইছে।
এইটা দিয়া কি বুঝাইলা? একটা স্বাভাবিক লেখাটায় তুমিই প্রথম গরম আবহাওয়া নিয়া আসছো যাতে অন্যরা চটকদার মালমসলার গন্ধ খুঁজে পায়।
This should not be the way mite
বিমা@ আরে, মাথু দুষ্টামি করতেছে আর তুমিও ভাবলা ও সিরিয়াসলি বলতেছে!
মাথু@আমি আলাদা করে বন্ধুদের নাম দেই নাই, কার কার সাথে কথা বলছি, নাজ, শাওন, জয়িতা, তুমি, আরো আছে, হ্যা, সবার সাথেই এলোমেলো কথা বলছি, প্যানপ্যান ঘ্যাঙ্ঘ্যান টাইপ! আমি যে বেশি কথা বলি এটা তো জানোই, সেইসব লেখলে কি এক পার্টে হইবো নাকি!

ঠিক ধইরা ফেলচো। এক্সাট এইটাই চাইতেচিলাম। বাট তুমি কেমনে শিউর হইলা আমি এলোমেলো কথা কইনাই?
BTW, আমিগাবরাইনাই।
তুমি কিন্তু নিজেই কনফিউজড
টুটুল্ভাই@ আপ্নেও মাথু'র কথায় ভুল বুঝলেন!
যাই হোক, আজকেই না বলতেছিলেন ব্লগে পোলাপান আসে না! এই দেখেন অনেকদিন পরে একইদিনে মানু মাথু দুইজনই হাজির! 
আর এইটা কিন্তু ঠিক যে, জেবীন কারোই নাম বলে নাই...
হুদাহুদাই
পোষ্টে লাইক কর্ছি।
বয়স জত বাড়তেছে বুদ্ধি-সুদ্ধি দিন দিন লোপ পাইতেছে। এই বুদ্ধি দিয়া আর যাই হোক ব্লগিং চলপে না। আপাতত বিদায় নিলাম।
(
চরি, টপিক বুচতে না পাইরা ক্ষেইপা গেচিলাম।
রাগইমনের মত যদি থাকতে না পারি তাইলে অন্যকোনো নিক নিয়া আমু।
হ্যাপিব্লগিং!!! খুদাপেজ।
পোষ্ট লাইক করার জন্যে থ্যঙ্কস! তারচেয়েও বেশি থ্যঙ্কস মন্তব্যের জন্যে!
ঠিক!
চটকদার মন্তব্য দিয়া যেকোন সাধারন লেখার হিট বাড়ানি যে কত্তো সোজা তার উদাহরন দিয়া দিলা!
আতংকে কে আছে জানি না তবে আমি বড়ই দুঃখে আছি। নেক্সট টাইম দেশে গিয়া কার সাথে রিক্সা ভ্রমনে বের হব।
খবরদার! কেউ যেন রিক্সায় না উঠে তোমার সাথে, কাউরে পেলেও পৃথক পৃথক যুদা যুদা রিক্সায় করে যাইবা!
দুরত্ব বাড়ালে মন কাছে আসে বেশি এটাতো জানোই! তোমার সুবিধার জন্যেই নির্দেশ থুক্কু উপদেশটা দিলাম! 
তুমি আমারে রাইখা কারে কারে ফুন্দিছো?
এই ছিল তোমার মনে
যাউকগা... পয়লাবার দেইখা মাফ কৈরা দিলাম
হ, আমারেও ফোন কল কর নাই

আমি তো আমিই! কার মনে যে কি, জানতে পারে অন্যকারো বাপের সাধ্য আছে নি!
সরি জেবীন, বউ পাশে থাকায় অনেক সময়ই তোমার ফোন ধরতে পারি নাই। তোমার যাওয়ার রাতেও ফোন ধরতে পারি নাই। আবারও সরি।

আপ্নেরা কেউ টুটুল্ভাইয়ের মত কপাইল্লা হইতে পারলেন নাহ! কি সুন্দর নাজের সাম্নেই ফুন ধরে, আড্ডা পিটায়!
ভাবীতো সাথেই ছিলো, তাইলে ট্রেনের মইধ্যে যে পরে ফোন করলেন তখন আপ্নে কই ছিলেন!! 
ও! সেই আলাপ?

ক্যাচাইল্লা প্রশ্নঃ আপনার বড় ভাই যেই সার্ভিসেরই হোক না কেনো, উনি কি অন ডিউটিতে ছিলেন? অফ ডিউটিতে থাকা অবস্থায় কিন্তু ইউনিফর্ম পড়া নিষেধ আছে আইনে, সোজা কোথায় সার্ভিস রুলে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য ( যদিও অনেকেই এটা করে থাকে
)। বলা বাহুল্য সবাই জানে যে, বিমানবন্দরে কাস্টমস-ইমিগ্রেশন থেকে শুরু করে পোর্টাররা পর্যন্ত অহেতুক ঝামেলা করে 
নাহ, সেদিন এয়ারপোর্টে ওর ডিউটি ছিলো না, অবৈধভাবেই গিয়েছিলো কলিগের পাস ব্যবহার করে! হ্যা, বলেছে এটা শাস্তিযোগ্য, তবে ওরা এই রিস্কটুকু নেয় শুধুমাত্র অহেতুক হয়রানী থেকে কাছের মানুষগুলোকে মুক্ত রাখতে!
পোস্ট টা অসাধারন হয়েছে। তার চেয়েও লাইক করলাম কমেন্টগুলো... নিজের খেয়াল নিস
হ, আপনা খেয়াল রাখনা
ফারজানা@ তুইও এই লেখা পড়তে হাজির! নিজে কিছু লিখিস না কেন? এখনতো আর আগের মতো কাজের ব্যস্ততা নাই, লেখাপড়ার মাঝে দিয়া ব্লগ লেখলে খারাপ হবে না!
মেসবাহভাই@ হ! আপ্নের বলা কথাটা মনে থাকবো!
আমার পাশের গ্রামের মেয়ে কত্ত আগে বিমানে চড়ছে।
এখন বাসায় মেহমান কয়জন ?
আমাদের পুরান বুয়া এসে আমারে বুঝায়, "ছোট্টাপা ডরাইবেন না একদম, আমার ভাই দুবাই ঘুইরা আইছে কোন অসসুবিদা হয় নাই, যা লাগবো মাইনষেরে জিগাইলেই কইয়া দিবো!"
এইখানে মানুষই পাই না তায় আবার মেহমান! তবে ঢাকাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২জন বর্তমান!
আমারেও একটা ফুন দিলা না
ভালা থাইকো।লেখা ভালা হইছে 
এসএমএস দিসিলাম কিন্তু আফা, কেন যে গেলো না জানি না! আমার অন্য অনেক ফ্রেন্ডও পায় নাই নাকি! সরি!
লেখা পড়ার জন্যে থ্যাঙ্কস 
আমিও কয়দিন পর পরবাসী হইয়া যাবো, পোস্ট পড়ে এখন ই কাঁদতে ইচছা করতেছে

আপু ভালো থাকবেন।
ধুরো! কান্নাকাটি করে লাভ নাই! চোক্ষের পানির বেইল নাই!
ভালো থাইকো আপু, মন খারাপ করো, আনন্দে থাকো, যাই করো, করো তবে যেটা করতে যাচ্ছো পরবাসী হয়ে সেটা দারুন করে শেষ কইরো! 
শুরুতে জ্ঞ্যানের কথা পৈড়া ভিমড়ি খাইতে নিছিলাম, ভাবলাম এডি কেডা লিখলো?
যাক, কাহিনি হৈলো, মন খারাপের মেলা টাইম তো পাবেনই, এখন, আশে পাশে একটু পর্যটক মুডে মজা নেন।
(আমিও বিদেশের গল্প করতে চাই!)
আদ্দিকালের ইয়ং জেনারেশনের মতো ভাব নিচ্ছো কেন? আজকাল্কার পোলাপান দের দেখে শিখো তারা জ্ঞানের কথা শুনলেই আগ্রহ দেখায়, নিজেরা আরো দু'কথাও শুনাইয়া দেয়!
মন খারাপ করি নাইতো! আর আপনার ফেলে আসা বৈদেশে গফও শুনতে থুক্কু পড়তে চাই!
কি খাইসিলেন প্লেনে? কে খাওয়াইলো??
সেই কাহিনী আলসেমির জন্যে লেখতাছি না আফা, নইলে সেইটাও লেখাতো ওয়ান্টুর ব্যাপার!
আছো কেমন? 
আলসেমি বাদ দিয়ে লিখে ফেলেন।
আপনি কেমন আছেন?
ভালো নাই
লেখা তো সেরম হৈছে
'বুলো না আমায়'
এইতো ভেজালে ফেললেন! জনাবা কি আমাকে ঘটনা বুইলে মানা কইল্লেন কি কোন? নাকি "যাও পাখি বলো তারে সে যেন বুলে না মোরে" এইটা বললেন!
উত্ত্র দিলাম এ্কটা "বুইলে চাইলেই কি বুলা যায়!"
আর সেইরম মাইনষের লেকাহ তো সেরমই হবে! তা আপ্নে ছিলেন কই এদ্দিন, আমরা ইতি উতি চাই, আপ্নের দেখা আন পাই!
'বুলতে বলিসনা'

আমি কই ছিলাম, কেমন ছিলাম, দেখতে চাইছস
মিছা কতা কবি না, সত্য ক।
বুঝছি! এন্টেনার টিউনিং ভুল হইছে! তাই মনে মনে যে খুজছি টের পান নাই!
(কানেকানে শুইনেন এটা, নইলে আর যাদের এটা বলছি তারা আইসা চিল্লাইবো আবার!
)
ছূটকালে "ক" তো শিকছিলাম এক্টাই, "ক" সত্য আর মিথ্যা দুই ক্যাটাগরির নাকি!
এয়ারপোর্টে যায়া ফোন দিবি কইছিলি, দিস নাই, বকা দিলাম না, মনে মনে খুঁজছস, শুইনা প্রাণে পানি আসছে, 'বুলোস নাই' তাইলে
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিমটার কারনে আমার ঐ দেশটাই পছন্দ না খুব একটা!
এত তাড়াতাড়ি ভুলবেন না জানি তাই দেরিতেও ভুইলেন না!
তুমি কিরাম বন্ধু? আমার গলায় ধইরা তো কানলা না বেটি! হুদাই এস এম এস কইরা আমারে একলা কান্দাইলা। তুমারে মাইনাস।
বিদেশ যাইতে মন্চায় গো আফা।
মন্তব্য করুন